নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইল্যাকাডা

দিনমজুর

নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন

দিনমজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?”

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০১

মিরপুর, সাভার, চিটাগাং, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, যশোর, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, ঘাটাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ময়নামতি ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় তার তালিকা আমাগো জানা নাই। মহাখালি, বনানি কিংবা মিরপুর ডিওএইচএস (ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি) এ অবসরপ্রাপ্ত অফিসারগণরে জনগণের জমি বিনামূল্যে বিলায়া দিয়া আমাগো কি লাভ হইছে তাও আমরা জানি না। সেনা কল্যাণের নাম কইরা সেনা কল্যাণ সংস্থা নামের এক অফিসার কল্যাণ সংস্থা কিংবা আর্মি ওয়েল ট্রাস্টের মতো মস্ত একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গইড়া কারা ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হইতাছে তাও আমরা জানি না। কারণ জাননের কোন উপায় নাই আমাগো। শুধু নেড়ি কুত্তার লাহান গন্ধ পাই, কি জানি হইতাছে কোথায়- ব্যাবসা, বাণিজ্য!



আকামের গন্ধ কিংবা ধোয়া বেশি দিন ঢাইকা রাখন যায় না, ঠিকই বাইর হইয়া যায় একদিন। যেমন বাইরা হইয়া গেল এই বেলায় রূপগঞ্জের বুকের পাটা ওয়ালা গেরামবাসীগোর ফোসফোসানিতে। বহুত খায়েশ আর্মি ওয়ালাগো। ক্যান্টনমেন্ট ডিওএইচএস এর জমি মাগনা খায়া পেট ভরে নাই। না, ঐগুলা তো খায় ব্রিগেডিয়ার-কর্ণেল-জেনারেলরা। ক্যাপটেন, মেজর কিংবা লেফটেনেন্টগো লাইগা কি হইব! গণিমতের মাল বাংলার কৃষকের ভূ-সম্পত্তির ভাগ কি তারা পাইবা না! পাইব পাইব। তবে একটু কষ্ট করতে হইব, হালকা খরচাও ভি হইব। তাগো ব্যাবস্থাও হইতাছে- নাম এএইচএস(আর্মি হাউসিং স্কিম)। ডিওএইচএস এর বদলে এএইচএস এ তাগো জন্য আছে ৫ কাঠার একেকটা প্লট। প্লটের মূল্য মোটামুটি ১৫ লক্ষ টাকা। বাজার দরের চেয়ে সস্তা হইলেও ক্যাপ্টেন সাহেবগো লাইগা কি একটু কষা হইয়া যায়? চিন্তা নাই, মূল্য কিস্তিতে কিস্তিতে দেওন যাইব আর মুশকিল আছান ট্রাস্ট ব্যাংক তো আছেই!একেকজন ৮ লক্ষ কইরা লোন নিতে পারবো ট্রাস্ট ব্যাংক থেইকা। সারা দেশে নাকি এইরকম অনেক এএইচএস করা হইবো। এই প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য “Self Financed Housing Scheme for the Army’’ নামের একখান প্রস্তাব এএফডি(আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন) এর কাছে পাঠানো হইছিল। সেইখান থেইকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হইয়া ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর “নীতিগত ভাবে” অনুমোদিত হইছে এই প্রকল্প- Dhaka Cantonment letter নাম্বার 4006/5/A&L/1414 নাকি এর প্রমাণ। পুরা কারবারটা বাস্তবায়নের লাইগা ১৯২৪ এর কম্পানি আইনের আওতায় The Army Housing Scheme (AHS) রে জয়েন্টস্টক কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধন করা হইল। সিদ্ধন্ত হইল পুরা কাজে সাহয্য করবো Sena Kalyan Constructions and Developments (SKCD)।

(সূত্র: হোয়াই এএইচএস? http://www.ahs.org.bd/about.html)



২০০৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেইকা আনুষ্ঠানিক যাত্রা করল এইচএস। শুরুতে একটাই প্রজেক্ট- এএইচএস প্রজেক্ট-১ । ঢাকার মধ্যে। শুধুই অফিসারগো লাইগা। যদিও সৈনিক ভাইগো লাইগাও মুলা ঝুলায়া রাখা হইছে, ভবিষ্যতে নাকি জায়গা জমির প্রাপ্যতা অনুসারে তাগো ব্যাবস্থাও হইব! অবশ্য তারা কেমন কইরা এই হাউজিংরে “সেল্ফ ফাইনান্স” করব সে বিষয়ে কোন কথা নাই। যাউকগা শুরুর এই প্রকল্পের জায়গা হইল গিয়া বসুন্ধরা ও পূর্বাচল হাউজিং প্রকল্পের পাশে শীতলক্ষার একপাড়ে অবস্থিত রূপগঞ্জ ও তার আশাপাশের এলাকা।





সূত্র: ডিলিট করা ওয়েবসাইট ahsbd.wordpress.com এর গুগল ক্যাশ ব্যাবহার করে পিকাসা ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত





এইখান থেইকা ৬ হাজার বিঘা জমি কেনার খায়েশ তাদের। জমি কেনা বেচার সামান্য অভিজ্ঞতা যার আছে, তারা সহজেই বুঝবেন, একসাথে এত জমি কখনই সেচ্ছায় মানুষের কাছ থেইকা কিনা যায়না। ভিটাবাড়ি, পারিবারিক কবরস্থান এবং টিকে থাকার একমাত্র অবলম্বন কৃষিজমিটুকু কে-ই বা স্বেচ্ছায় বেচতে চা! কৃষি জমির মূল্য কৃষক মাত্রই বুঝে। আর্মির অলস দেশ প্রেম ধুইয়া পানি খাইলে কৃষকের পেট ভরবো না। ফলে আর্মি তেরছা রাস্তা ধরলো।



রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২৪টি মৌজা থেইকা জমি কেনার জন্য তারা তানমুশরি, পূর্বগ্রাম, ইছাপুরা ও রূপগঞ্জ সদরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পাশে স্থানীয় প্রসাশনের কাছে আনুষ্ঠানিক কোন অনুমোদন ছাড়াই সেনাক্যাম্প স্থাপন কইরা বসল। ইউনিফর্ম এর জোর দেখায়া তারা ২৪ টি মৌজায় সব ধরণের জমি কেনা বেচা বন্ধ কইরা দিল। তাগো সাফ কথা, জমি যদি কেউ বেচতে চায় তাইলে সেনাবাহিনীর কাছে বেচতে হইব। আর জোর জবরদস্তিই যখন করতেই হইল তখন আবার ন্যায্য দাম কিসের? কৃষকগো কেঠায় ন্যায্য দাম দিছে- বসুন্ধরা, যমুনা, রাজউক সবাই তো দবরদস্তি কইরা অন্যয্য দামে জমি হাতায়া নিছে। আর্মি হইল দেশ প্রেমিক বাহিনী। দেশ প্রেমের জোরে তো সে কৃষকরে, জমির মালিকরে বিঘাপ্রতি ৩০/৪০ কিংবা জায়গা ভেদে ৬০/৭০ লাখ টাকার জামি ১৪/১৫ লাখ ট্যাকায় বেচতে বাধ্য করতেই পারে!







কৃষকের ঘাম-রক্তে ভিজা জামিতে দেখেন কি সোন্দর ডিজাইনের বাড়ি উঠাইবো আর্মি অফিসারেরা।





সূত্র: এএইচএস অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.ahs.org.bd/exterior.html



সেই বাড়ির স্বপ্নে আর দেশ প্রেমের জোশে আর্মি প্রশাসন এমনকি রাজউকের কাছ থেইকা অনুমোদ নেয়ারও প্রয়োজন মনে করে নাই। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তারা তাগো ওয়েবে লেখছে: Approval of RAJUK This is under process.





সূত্র: FRESH INFORMATION ABOUT- AHS বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবাসাইট থেকে সংগৃহীত Click This Link



তারপর প্রায় একবছর পার হয়া গেছে। তবু রূপগঞ্জের ঘটনার পর

Rajuk Chairman Nurul Huda said he too did not know of any housing project for the army in Rupganj.

As per the rules, he said, developers must obtain an approval from Rajuk to implement a housing project. And to get the go-ahead, they need to submit a layout of the project in keeping with the Detailed Area Plan.



সূত্র: ডেইলিস্টার, ২৪ অক্টোবর,২০১০ Click This Link



বাহ! বাহ! ২০০৭-২০০৮ সাল জুইড়া অবৈধ দখল দারিত্ব নিরসনের নামে হকার-বস্তিবাসীগো উচ্ছেদ করলো/পেটে লাথি মারলো সামরিক বাহিনী, আর এখন দেখতাছি নিজেরা রাজউকের অনুমতি-টতির তোয়াক্কা না কইরা, লোকজনের কাছ থেইকা জোড় জবরদস্তি কইরা জমি কাইড়া নেওয়া শুরু করছে! যথাযথ অনুমোদনহীন এই প্রজেক্টের জন্য এরমধ্যেই ১ হাজার বিঘারও বেশি জমি দখল করা এবং ৭ হাজার অফিসারের কাছ থেইকা রেজিস্ট্রেশান ফি বাবাদ ১০ হাজার টাকা এবং ৪ লক্ষ টাকা কইরা দুই দুইটা কিস্তি বাবদ ৮ লক্ষ কইরা টাকা নেয়াও সারা। বাকি আছে আর ৪টা কিস্তিতে আরও ৭ লক্ষ টাকা আদায়।





সূত্র: APPLICATION FOR ARMY HOUSING SCHEME (AHS) -PROJECT-1 (SECOND GROUP) নং 3917/AHS/R



আর এর মধ্যে কি-না বাগড়া বসাইল গ্রামবাসী- রাগ হইব না, অফিসার ভাইগো! হেই রাগেই তো দুই চাইরটা গুলি ফুইট্টা গেছে- যার একটা রূপগঞ্জের হরিণা নদীর পাড়ের কৃষক আব্দুর রফিকের ছেলে মোস্তফা জামাল(২৬)রে খুন করছে, মারাত্মক আহত করছে অর্ধ-শত ব্যাক্তিরে। খেলা এই খানে শেষ না, জমি দখল করছে আর্মি, পাবলিকের গায়ে গুলি করছে, খুন করছে আর্মি-রেব-পুলিশ আর প্রতিবাদ/প্রতিরোধ করায় উল্টা ৩/৪ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা দিয়া দিছে রাষ্ট্র।



ব্যাপার না, চালায়া যান সামরিক হুজুরেরা, যতদিন পারেন- আমরাও কিন্ত দেইখা নিমু !



রূপগঞ্জবাসীরে লাল সালাম!





পুনশ্চ:

বাংলাদেশ আর্মি এখন স্রেফ একটা প্রথাগত সামরিক প্রতিষ্ঠান না, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ান আর্মির মতো এইটা এখন একটা বৃহত মিলিটারি কর্পোরেশন। ফলে আর্মি কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের আচরণ করছে এবং কেন করছে, এ বিষয়টা বুঝতে গেলে আর্মিকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা বৃহত পুজির একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমলে না নিলে ভুল হবে।



কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিয়েল এস্টেট বিজনেসেও তার ভাগ চাই। আর সেই জন্যই Sena Kalyan Constructions and Developments (SKCD) সহায়তায় এই এইএচএস প্রকল্প। ইতিমধ্যে "আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট" এবং "সেনাকল্যাণ সংস্থা"র নামে হাজার হাজার কোটি টাকার পুজি বিনিয়োগ ও মুনাফা করছে আর্মি। বিবিসির কামাল আহমেদ একটা রেডিও ডকুমেন্টারিতে ফৌজি বাণিজ্যের দুর্দান্ত একটা তত্ত্ব তালাশ করেছেন। সেখান থেকে দেখা যায়:



সেনা কল্যাণ সংস্থার সচল প্রতিষ্ঠানগুলো



মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরী , ডায়মন্ড ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ , ফৌজি ফ্লাওয়ার মিলস , চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলস , সেনা কল্যাণ ইলেক্ট্রিক ইন্ডাষ্ট্রিজ , এনসেল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড , স্যাভয় আইসক্রিম , চকোলেট এন্ড ক্যান্ডি ফ্যাক্টরী , ইষ্টার্ণ হোসিয়ারী মিলস , এস কে ফেব্রিক্স, স্যাভয় ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী , সেনা গার্মেন্টস , ফ্যাক্টো ইয়ামাগেন ইলেক্ট্রনিক্স , সৈনিক ল্যাম্পস ডিষ্ট্রিবিউশন সেন্টার , আমিন মহিউদ্দিন ফাউন্ডেশন , এস কে এস কমার্শিয়াল স্পেস , সেনা কল্যাণ কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স , অনন্যা শপিং কমপ্লেক্স , সেনা ট্রাভেলস লিমিটেড , এস কে এস ট্রেডিং হাউস , এস কে এস ভবন – খূলনা , নিউ হোটেল টাইগার গার্ডেন , রিয়েল এস্টেট ডিভিশন – চট্টগ্রাম এবং এস কে টেক্সটাইল।





আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের ষোলটি প্রতিষ্ঠান



আর্মি শপিং কমপ্লেক্স , রেডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেল , ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটিড , সেনা প্যাকেজিং লিমিটেড , সেনা হোটেল ডেভলেপমেন্ট লিমিটেড , ট্রাষ্ট ফিলিং এন্ড সিএনজি ষ্টেশন , সেনা ফিলিং ষ্টেশন- চট্টগ্রাম , ভাটিয়ারী গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব , কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব , সাভার গলফ ক্লাব , ওয়াটার গার্ডেন হোটেল লিমিটেড - চট্টগ্রাম , ট্রাষ্ট অডিটোরিয়াম এবং ক্যাপ্টেনস ওর্য়াল্ড।



সূত্র: http://www.amrabondhu.com/masum/1914



রূপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মির এই বাণিজ্যিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে বোঝাটা জরুরী। এই ধরণের ঘটনা থেকে জনগণের অর্থে লালিত পালিত আর্মি কর্পোরেট পুজির মালিকে পরিণত হয়ে আর দশটা কর্পোরেট গ্রুপের মতোই লুটেরা শোষক শ্রেণীর কাতারে দাড়িয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়।



(শিরোনামটি হুমায়ুন আজাদের “তৃতীয় বিশ্বের একজন চাষীর প্রশ্ন” শীর্ষক কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।)

মন্তব্য ৫৯২ টি রেটিং +২৯৪/-১১৫

মন্তব্য (৫৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আই ওয়াজ জাস্ট ওয়েটিং ব্রাভো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৮

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আওয়াজ, টুইট, এফবি দিলাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৪

দিনমজুর বলেছেন: আবারো ধইন্য!

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৯

কুঁড়ের বাদশা বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট

স্টিকি করার হোক

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৫

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৯

বোকা মানব বলেছেন: পোষ্টে +
আমার একটা প্রশ্ন ছিল। সরকার আর্মীরে চালায় না আর্মী সরকাররে চালায়???

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৭

দিনমজুর বলেছেন: ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান সহ যেইখানেই সামরিক বাণিজ্যের সুযোগ কইরা দেয়া হইছে সেইখানেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। যতদিন না ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ করা যাইতেছে ততদিন এইরকম ঘটনা ঘটতে থাকব। মাথা লেজরে নিয়ন্ত্রণ না কইরা লেজ ই মাথারে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকবো।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৪

শেষের_কবিতা বলেছেন: ওরা সব খেতে চায়, গাছের উপরের টা ও নীচের টা।



সময়োপযোগী পোষ্ট

স্টিকি করার হোক।

+++

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৮

দিনমজুর বলেছেন: হ খাইতে খাইতে জিহবা বড় হয়া গেছে অনেক। নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সব খায়া ফালাইবো!

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৫

হায় ঈশ্বর! বলেছেন:


একটা জলপাই জোকস ,

" গ্রামবাসীদের সাথে ধস্তাধস্তিতে কয়েক রাউন্ড গুলি বের হয়ে যায় " :-B

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৯

দিনমজুর বলেছেন: দেশ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী তো, সব সময় বন্দুকের সেফটি ক্যাচ অন করাই থাকে!

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৫

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: রুপগঞ্জবাসীরে লাল সালাম!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩০

দিনমজুর বলেছেন: সাহসী রুপগঞ্জবাসীরে লাল সালাম। এই এএইচএস প্রজেক্ট সহ সকল ভূমি-দস্যূদের ভূ-খোর প্রকল্প বাতিল হোক।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৮

টেকি মামুন বলেছেন: ভাই না জেনে আমাদের সেনাবাহীনিকে বিতর্কিত করতে কেন চাচ্ছেন ??

Click This Link

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

দিনমজুর বলেছেন: লিংকটা আগেই দেখছি। আমাগো বক্তব্য আমরা এই লেখাতেই দিছি..

সেনাবাহিনী এমন কোন পবিত্র কিছু না যে এইটা নিয়া বিতর্ক করা যাইবনা! বিতর্কিত হওয়ার মতো কাজ কারবার করলে বিতর্ক হইবই। ফৌজিবাণিজ্য বন্ধ না হইলে বিতর্ক আমরা তুলবই। ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩১

বুমবুম বলেছেন: এইটুকু একটা দ্যাশের পুরাডাই দখল কইরা বইসা মৌজ মারতেছে X(

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

দিনমজুর বলেছেন: কি যে বলেন! ‌তেনারা তো দেশ সেবা করতে গিয়া নিজেদের বেসিক হিউমেন নিড এর দিকে তাকানোর ই সময় পান না।

Accommodation is a basic human requirement. Due to the nature of job and other factors, army personnel can not give adequate and timely attention to this basic human need.
সূত্র: http://www.ahs.org.bd/index.php

তাইতো তাদের হইয়া ফৌজি বাণিজ্যের কর্ণধাররা এই এএইচএস হাউজিং স্কিম চালু করছে!

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: আতেল পোষ্টে মাইনাছ।

না জাইনা খালি ফাল পাড়লে তো হৈবোনা ।

প্রথম প্রশ্ন: আপ্নে কি স্পটে ছিলেন ঐদিন ?

দ্বিতীয় প্রশ্ন : আপ্নে কী জানেন যে এইটা প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদন নিয়া হৈছে কিনা?

তৃতীয় প্রশ্ন : আপ্নি কী আর্মিতে ? যদি না থাকেন তাইলে তারা কি করে আর না করে ক্যান্টনমেন্টে বইসা সেইটা আপ্নি কী জানেন ?

চতুর্থ প্রশ্ন : কবে দেশে কোন দুর্যোগটা লাগছে আর আর্মি সেইখানে যায়নাই ?



আসলে রাজনীতি নামক নোংরা কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বলি হচ্ছে আর্মি .....

আর কোনকিছু না জাইনা ঘরে বইসা নেটে সার্চ মাইরা বালছাল লেখায় বাঙালি বড়ই ওস্তাদ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

দিনমজুর বলেছেন: প্রথম উত্তর: স্পটে ছিলাম কি ছিলাম না সেইটা তো মূল প্রশ্ন না- যা কইলাম সেইখানে ভুল কিছু কইলাম নাকি সেইটা মুল প্রশ্ন।

দ্বিতীয় উত্তর : আপনে মনে হয় খেইপা গিয়া লেখাটা ভালো কইরা পইড়াও দেখেন নাই! আমরা কিন্তু লেখছি "এই প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য “Self Financed Housing Scheme for the Army’’ নামের একখান প্রস্তাব এএফডি(আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন) এর কাছে পাঠানো হইছিল। সেইখান থেইকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হইয়া ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর “নীতিগত ভাবে” অনুমোদিত হইছে এই প্রকল্প- Dhaka Cantonment letter নাম্বার 4006/5/A&L/1414 নাকি এর প্রমাণ।"

এই নীতিগত অনুমোদন যদি নেওয়াও হইয়া থাকে, তারপরও কথা থাকে। রাজউক এর কাছ থেইকা অনুমোদন নেয়া হয় নাই। অনুমোদন নেয়ার প্রকৃয়া চলতাছে কইয়াই তারা ভুমি দখল শুরু কইরা দিছে।সবচেয়ে বড় কথা অনুমোদন নিলেও বা কি! এই দেশে অনুমোদন নিয়াও অনেক বড় বড় আকাম হইছে। রাষ্ট্র নিজেই যেখানে শোষকের হাতিয়ার, সেখানে রাষ্ট্রের হাতিয়াররা চান্স পাইলে যে লুটপাট করবে সেইটা তো স্বাভাবিক!


তৃতীয় উত্তর : আর্মিতে/ক্যানটনমেন্ট এ কি হয় না হয় সেইটা জানার দাবীও তো করিনাই।আমরা তো লেখছিই "ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় তার তালিকা আমাগো জানা নাই। " আর জানার কোন উপায়ও তো রাখেন নাই। একেবারে আর্মি ক্যাম্প বসাইয়া ভূমি দস্যূতা যে হইতাছে সেইটাও তো যানতাম না যদিনা রুপগঞ্জবাসী সাহসী ভূমিকা না নিতো।

চতুর্থ উত্তর: খালি দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্যান পাবলিকের পয়সায় যাগো বেতন হয়, তারা পাবলিকের যে কোন প্রয়োজনে যাইতে বাধ্য। এইটা পাবলিকের প্রতি আর্মির দয়া না, দায়িত্ব!

হ ভাই, জানার কোন রাস্তা না থাকলে নেটে সার্চ মারা থেইকা শুরু কইরা অনেক বালছাল কাজ কামই আমরা করুম। জানার উপায় কইরা দেন, তাইলেই তো ল্যাঠা চুইকা যায়!

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

েকউ একজন বলেছেন: টেকি মামুন এবং ছ্যাকামাইছিন ভাই..........।
আর্মি কেন বাণিজ্য করবে এই প্রশ্নটার উত্তরটা যদি দয়া করে দিতেন...............।
আমাদের সেনাবাহিনী নি্য়ে এসব রিপোর্ট কেন আসবে?????????
Click This Link

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক কথা, সেনাবাহিনী বাণিজ্য কেন করবে? ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

হায়রে ভালবাসা বলেছেন: বুঝলাম না কিছুই। তয় মেলা কিছু জানলাম উইদাওট বিশ্বাস... /:)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

দিনমজুর বলেছেন: না বুইঝা বিশ্বাস করার চেয়ে সন্দেহ করা ভালো। আশা করি অনুসন্ধান চালায়া যাবেন...

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫২

আমি মদন বলেছেন:
রুপগঞ্জে ৪০০০ গ্রামবাসীর নামে বেনামে মামলা
Click This Link

আর কত চাই সেনাবাহিনীর, জনগনের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার, বন্দুক নিয়ে জনগনের জমি দখল ? প্রশ্ন ??

Click This Link

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

আমি মদন বলেছেন: জনগনের টাকায় আমরা এইডা কি বানাইলাম আমরি না বেনিয়া ? বাংলাদেশ সেনাব্যবসা বাহিনী।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৭

দিনমজুর বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাব্যবসা বাহিনী!

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

সুখসাগর বলেছেন: েকউ একজন বলেছেন: টেকি মামুন এবং ছ্যাকামাইছিন ভাই..........।
আর্মি কেন বাণিজ্য করবে এই প্রশ্নটার উত্তরটা যদি দয়া করে দিতেন..............?
আর রুপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মির এই বাণিজ্যিক চরিত্রটা পরিস্কার করেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

দিনমজুর বলেছেন: ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ হউক।

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৯

ক্ষেতমজুর বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট।

পোস্টটি স্টিকি করার হোক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২২

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

আমি মদন বলেছেন: দন্যবাদ বাই নাইল্যাকাড,,, বহুত বহুত দন্যবাদ,,, আমি মদন,,,
মনে আছে ঐ যে খেত আমরা এক লগে ক্ষেত নাইল্যা কাডি।

দারুন লেহা দিছেন.... হেবি,,,, হেবি,,,,

আমরা কারও শত্রু না,,, শয়তানের বন্দুও না। তয় সব হালার সব কইয়া দিমু, কাউরে বাদ দিমু না। দ্যাশের কুন কাম করতে না পারলেও বেক হালার আকাম আম জনতারে কইয়া দিমু,,,,

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: +++++
সময়োপযোগী পোষ্ট ।
স্টিকি করার হোক ।
ফেসবুকে শেয়ার করলাম ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

দিনমজুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। সময়োপযোগী। শোষিত মানুষের পক্ষে আমাদের মিডিয়ার উচিত পাশে দাঁড়ানো। সিভিলিয়ান সরকার যা আচরন করছে তা বিগত সকল সামরিক শাসনের মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। আর্মিরা শালার পারলে মনে হয় ৫৫ হাজার বর্গমাইলের পুরাটাই খাইয়া ফালাইবো।

আপনাকে প্লাস। পোস্ট টি স্টিকি করার দাবী জানাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। রুপগঞ্জবাসী এই ঘটনা না ঘটাইলে মিডিয়ায় এসব একেবারেই আসতো না। ৬ মাসেরও বেশি সময় ধইরা চার চারটা ক্যাম্প বসাইয়া একরকম রেজিস্ট্রি অফিস দখল কইরা ভূমি দস্যূতা চলতাছিল.. মিডিয়া এইটা নিয়া কোন কথা কইছে কিনা আমাগো জানা নাই। ঠিকই বলছেন, শোষকের মধ্যে সিভিলিয়ান আর আর্মি বইলা কোন বিভেদ নাই- ফারুক ওয়াসিফের ভাষা ধার কইরা কইতে পারেন- এরা হলো সিভিকো-মিলিটারি-কর্পোরেট শোষক।

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৯

কৃষ্ণনগর বলেছেন: পারলে রুপগঞ্জবাসীকে একটা করে গোল্ড মেডেল দিতাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

দিনমজুর বলেছেন: গোল্ড মেডেল না পারি, আসুন রুপগঞ্জবাসীর ভুমি রক্ষা আন্দোলনে সমর্থন জানাই।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৯

রাতমজুর বলেছেন: লেখাটা চমৎকার, বিশ্লেষন দারুন! আর্মীকে এসব ব্যাবসা থেকে দূরে রাখাটা আসলেই প্রয়োজন, নইলে যত সময় যাবে এর শেকড়টা তত পোক্ত হবে।

এই পোষ্টে আর্মী দরকার নাই টাইপ দাবী নেই দেখে ভালো লাগলো, সেনাবাহিনী দরকার তবে এখন যা আছে তার ৫০% হলেই চলে।

এএইচএস নিয়ে আরেকটু খুঁড়ুন, অনেক জরুরী তথ্য পাবেন, এটা একটা চেইনের একটা অংশ, সেই চেইনটার মূল অংশ পেয়ে যেতে পারেন ;)

আর্মীর অন্ধ সমর্থক যারা মাইনাসে ভরছেন, ভাইয়া কি কারনে আপনারা ইদানিং নিজের ক্যান্টনমেন্টেই ঠিক নিরাপদ বোধ করছেন না একটু জানাবেন দয়া করে, এই অধম সিভিলিয়ান, তবে কিছু খোঁজ রাখে বৈকি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১২

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। কোন হিন্টস বা সূত্র দিবেন নাকি? মেইল করতে পারেন..

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২১

আমার জন্য লেখা বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করার হোক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৩

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: আর্মির আচরন সাধারন মানুষ পছন্দ করত না। বিডিআর ঘটনা নিয়ে সাধারন জনগন সিপাইদের দলে ছিল। পরবর্তিতে মানুষ আর্মির উপর সহনুভুশিল হয়ে পড়ে।

এঘটনা আর্মিকে আবার জনবিচ্ছিন্ন করে দিবে।

ট্রেডিশনালি আর্মিদের চরিত্র একই, সেটা আমেরিকান, পাকিস্থান, কিংবা অন্য যে কোন দেশ হতে পারে। বাংগালিদের সাথে পাকিস্থানি আর্মিদের আর দেশিয় আর্মিদের আচরনগত পার্থক্য নেই।

বিষয়টা বড়ই দুঃখ জনক। আর্মির লাগাম এখনই টেনে ধরার সময় তা না হলে জনগনের ব্যাপক মুল্য দিতে হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৬

দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

কানা-বাবা বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৪

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: ছ্যাকামাইছিন @ আপনা কে একটা প্রশ্ণ.........................

কী রাষ্ট্রী নিরাপত্তা জন্য হুমকি মূলক অবস্থা বিরাজ করছিল যে রূপগঞ্জে সাব রেজিস্টার অফিসের দোর গোড়ায় সেনা ক্যাস্প বসাতে হবে। তা্ও সেনা তাবু নয় রীতি মত আধ পাকা ক্যাম্প।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৮

দিনমজুর বলেছেন: ভালো প্রশ্ন। ধন্যবাদ।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০০

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: +++

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০০

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: +++

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১

অডং চাকমা বলেছেন:
ভাই, আপনারে পেলাস না দিয়া কী উপায় আছে? +++++

জব্বর শিরোনাম, “দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?”

আরো এক জায়গায় লিখলেন “কৃষি জমির মূল্য কৃষক মাত্রই বুঝে। আর্মির অলস দেশ প্রেম ধুইয়া পানি খাইলে কৃষকের পেট ভরবো না”। ১০০% খাসা কথা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০০

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৩

রাতমজুর বলেছেন: ঠিক আছে, ইনফো ফিনিক্সের ডিমের পকেটে পৌঁছাবো সরাসরি।

৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২১

রোহান বলেছেন: পুর্বাচল নামক সরকারী আবাসনের ঘোষনা আর সাথে তিনশো ফুট সংযোগ সড়ক ও চার লেনের ফ্লাইওভারের ঘোষনা ঐ এলাকার চারপাশের হাজার হাজার বিঘা জমিকে সোনায় পরিণত করেছে যার লোভে ব্যাঙের ছাতার মতো ঐ এলাকায় নানা নামে নানা বর্ণে ভূমিদস্যুদের আনাগোনায় এলাকাবাসীর জীবন এমনিতেই অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পারিবারিক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম কদিন আগে, ভদ্রলোকের ঐ এলাকায় কিছু জমি ছিলো, সেই জমি পানির দরে বিক্রী করে দেবার জন্য তার উপর যেই সব আক্রমনাত্মক চাপ আসছে তা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম.... এতোদিন ছিলো স্যুট টাই পরা এক্সিকিউটিভ আর তাদের মাফলার চাদর পরা দালালদের দৌরাত্ম্য আর এর উপর যোগ হয়েছে উর্দিধারীদের জলপাই পোষাক... গ্রামবাসী ভিটা মাটি ছেঁড়ে আর কতো পিছাবে....

ড্যাপ নিয়ে হাউকাউ হবার পরে শীতলক্ষ্যার ওপাশের জায়গার দাম আরও বাড়ছে যার অনুঘটক হিসাবে কাজ করছে এর উপর রাজউকের প্রভাবের বদলে পৌরসভার প্রভাব। রাজউক বলছে আমরা আমাদের আওতার বাইরে হস্তক্ষেপ করতে পারছি না, পৌরসভা অনুমতি দিয়ে আবার বলছে আমাদের পার্ট আমরা করেছি বাকী ভূমি অধিদপ্তরের কাছে...এইসব পিংপং বল খেলার ফাঁকে নানা আবাসন প্রকল্প পাবলিকের কাছে চড়া মূল্যে জমি বেঁচেই যাচ্ছে, যার কাঠাপ্রতি মূল্য সাত আট লাখ টাকা আর হ্যান্ডওভার ডেট তিন থেকে এগারো বছর...বোঝেন অবস্থা...

মানুষ ঠকিয়ে, মানুষকে বুঝিয়ে একটা জমি দখল করা কিংবা কিনে নেওয়াটাও একটা আর্ট, এই কাজের দালাল থাকে কিছু লোকই থাকে, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন থাকে। তাই বলে উর্দি পড়ে ক্যাম্প বানিয়ে বন্দুক নিয়ে ঘোরাঘুরি করে একটা চাপা আতংক ছড়িয়ে দিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির উপর সেল প্রেশার তৈরী করার মতো বোকামীটা করার কি দরকার ছিলো কে জানে... পাবলিকরে এতো আন্ডার এস্টিমেট করাটা ঠিক না...

জলপাই যেখানে ক্ষমতায় সেইখানে মিডিয়া আশ্চর্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে... এইটা আর নতুন কি...জলপাই মাফিয়ার দৌরাত্মে আমাদের পাঁচটা পিএসটিএন এর হাজার দেড়েক কোটি টাকার দেশীয় বিনিয়োগ স্রেফ খোলা আকাশের নিচে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে, একটা মিডিয়াতে একটুও টুঁ শব্দ নাই....আমার আম্মা প্রায়ই একটা কথা বলে, ৭১ এ জলপাই পোষাকটা আমাদের উপর এতো অত্যাচার করছে যে এই পোষাকটার প্রতি আমাদের আতংক কেটে যেতে আরও অনেক গুলো প্রজন্ম চলে যাবে...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৯

দিনমজুর বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্য। মন্তব্যে +

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্যরে জন্য রোহান কে ধন্যবাদ।

পাকিস্তান সেনা বাহিনী উত্তরসূরী হিসাবে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর জন্ম।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উত্তরাধিকার মাত্র।কেউ বলতে পারবেন না যে , মুক্তিযুদ্ধ উত্তর কালে বাংলাদশে সেনাবাহিনী তার আভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিতে কোন পরবির্তনের প্রয়াস চালিয়েছে।

৩২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৩

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এইদেশের আর্মির দেশপ্রেম ও প্রফেশনালিজমের প্রতি প্রশ্ন না তুলেই বলতে চাই, এটি এখন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়ার দিকে মোড় নিচ্ছে। এক টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসা ছাড়া মনে হয় দেশের সব ব্যবসাতেই তাঁরা নেমে পড়েছেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৭

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক কথা

৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৫

েকউ একজন বলেছেন: সুখসাগর বলেছেন: েকউ একজন বলেছেন: টেকি মামুন এবং ছ্যাকামাইছিন ভাই..........।
আর্মি কেন বাণিজ্য করবে এই প্রশ্নটার উত্তরটা যদি দয়া করে দিতেন..............?
আর রুপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মির এই বাণিজ্যিক চরিত্রটা পরিস্কার করেন।

রুপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মি এর বাণিজ্যিক চরিত্র এটা আমি বলিনি.....
আমি বলতে চাই রুপগঞ্জের ঘটনা আর্মি এর ভোগবাদী চরিত্র এর একটা নমুনা মাত্র.............

যাকে প্রমাণ করে আর্মি এর ফৌজি বাণিজ্যে জড়িয়ে পরা.....

৩৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২২

অসীম দিগন্ত বলেছেন: ++++++.

৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৩২

রোহান বলেছেন: @তায়েফ: টেলিকমিউনিকেশনে জলপাই মাফিয়ার দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশী... এইটার ভুক্তভোগী তো খোদ আমরাই :) খামাখা কোনো নাম দিয়ে টেলিকম খোলার কি দরকার আছে?

আফসোস এক বিটিআরসির গত তিন চার বছরের দুই জলপাই প্রধানের আমলে ইনকাম করা হাজার কয়েক কোটি টাকা দিয়ে কিংবা ওয়ান ইলেভেনে রোডস, পিডিবি, ওয়াটার বোর্ড সহ নানা সরকারী দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে নানারুপ ভয়ভীতি দেখিয়ে উপার্জন করা (এমন নানা ঘটনাই তো চারপাশে শোনা যায় তাই না) আরো শত শত কোটি টাকার কোনো অংশ দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু বানাতে পারলাম না, এই টাকা দেশের কোনো খাতে যে লাগলো তাও জানতে পারলাম না ;)

৩৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫১

রিডার ওয়ান বলেছেন:

এ প্রসংগে সামুর পরিবেশ কিছুদিন উত্তপ্ত থাকবে মনে হচ্ছে। :|
এ সুযোগে আমি আমার মতামতটা দিয়ে যাই ! :-B


সেনাবাহিনী জনগনের ট্যক্সের টাকায় পরিচালিত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। তাই জনগনের পূর্ন অধিকার রয়েছে এর ব্যপারে সমালোচনা করার। আমিও জনগন। তাই তাদের কে সমালোচনা করব। তারা ত আর ধোয়া তুলসীপাতা না। আবার মনে রাখতে হবে Nobody Ever Kicks a Dead Dog. তাদেরকে আমাদের প্রয়োজন বলেই আমরা সমালোচনা করছি। আসলে রুপগন্জ্ঞের ঘটনাটা কি হতে পারে তা এই পোস্টে কিছু কমেন্টে বলেছিলাম। সেটা আর নতুন করে বললাম না। দেখে নিতে পারেন।

তবে একেবারে বিচার বিবেচনাহীন ভাবে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারনে বিষোদাগার করব না। ব্লগে অনেকেই আজব আজব আলোচনা করছে। তবে আপনারটা তেমন না। লেখায় যথেষ্ঠ বিবেচনা আছে। যদিও সেটা সম্পূর্ন আপনার (এবং একই ঘরানার অন্যদের) মতামত। আমিও মোটামুটি একমত। তবে কিছুটা পার্থক্য করছি।

১. বিশ্বের সব সামরিকবাহিনীকেই বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় বা হত। এর কারন হয়ত মৃত্যুকে হাতে নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তা না হলে লোক খুজে পাওয়া যেতনা। মার্কিন সেনাবাহিনীতে সৈন্য হিসেবে নেয়া হয় একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে। কারন তাদের আর কোন উপায় নেই। তাদের জন্য ওটাই লোভনীয় চাকরী। তাদের কি কি দেয়া হয় আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না! তবে কিনা দেশের অন্যান্য অবস্থার সাথে সামন্জস্য রেখেই সেটা করা উচিৎ। আসলে সামন্জস্য কোথায় বা রাখা হয়? দেশের বেশিরভাগ সম্পদই অল্প কিছু মানুষের কাছে কুক্ষিগত। সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতিও তাই! সামরিকবাহিনীরটা শুধু দৃশ্যমান এই যা। আমাদের দেশের চাকরির বাজারে সামরিক বাহিনীর চাকরিকে লোভনীয় করার জন্যই এইসব সুবিধা দিতে হয়। মধ্যবিত্তের বেকার সন্তানদের জন্য নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের এটা একটা দারুন সুযোগ। বিয়ের বাজারে সামরিক বাহিনীর চাকুরীজীবিরা (নন-কমিশনড জওয়ানরাও) এই জন্যই বোধহয় এত উপরে থাকেন! বয়স থাকতে সামরিকবাহিনীতে আবেদন করিনি দেখে এখন আফসোসই হচ্ছে!

২. রুপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মির এই বাণিজ্যিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে বোঝাটা জরুরী। এই ধরণের ঘটনা থেকে জনগণের অর্থে লালিত পালিত আর্মি কর্পোরেট পুজির মালিকে পরিণত হয়ে আর দশটা কর্পোরেট গ্রুপের মতোই লুটেরা শোষক শ্রেণীর কাতারে দাড়িয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়।

সম্পূর্ন সহমত। আর্মিও কর্পোররেট প্রতিষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে, এটা সত্য। কাজটা ঠিক হচ্ছে কিনা জানি না। আসলে পরিবর্তনের হাওয়া সব যায়গায় লেগেছে। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে ঢোকা বাদ রেখেছে কে? সরকারও বসে আছে কি? আগারগাওয়ে আধুনিক নতুন একটি কর্পোরেট সচিবালয় তৈরি হচ্ছে! আমাদের দেশের সরকারগুলি সবসময় নিজেদের স্বার্থে কিছু প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে রাখে। এই ভূতগুলিকে তারাই খাওয়াইয়া খাওয়াইয়া মানুষ থেকে ভূত বানায় এবং যথাসময়ে কাজে লাগায়। সেনাবাহিনী, বিচারবিভাগ কোনটাই বাদ পরে নি। এই ভূতকে এখন ঠান্ডা রাখা হচ্ছে! পরে কাজে লাগানো হবে!!

৩. রুপগন্জ্ঞবাসীকে লাল সালাম দিতে পারছি না কেবল একটা কারনে। তাদের এই আন্দোলন মূলত স্থানীয় কিছু দালাল চক্র (যারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা) এবং ভূমি ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে হয়েছে। বড়-ছোট ভূমি দস্যুরা নিজেদের স্বার্থে এই ধরনের উসকানী দিয়েছে। গুজব ছড়িয়ে এবং ভুল বুঝিয়ে তারা এই কাজটা করেছে। আজকের পত্রিকায়ও এই কথা গুলো এসেছে। সেনাবাহিনী না কিনলে ওই জমিগুলিই আরও অনেক কম দামে হাউজিং কোম্পানীগুলো কিনে নিত এবং অনেক বেশি দামে মানুষের কাছে বেচত। অর্থাৎ তারা সেনাবাহিনীর কাছে দালাল এড়িয়ে সরাসরি বিক্রি করলেই লাভবান হত। সুতরাং তাদের কোন মহত্ব/বীরত্ব এখানে খুজে পাচ্ছি না। তারা বরাবরের মতই নির্বোধ। তাদেরকে নির্বোধের পুরস্কারে ভূষিত করা যেতে পারে!

৪. রূপগন্জ্ঞের এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর তেমন দোষ আমি খুজে পাচ্ছি না। জমি কেনা বেচা সম্পর্কে যে তাদের কোন ধারনা নেই এটাই বোঝা গেল গত দুদিনের ঘটনায়। তাদের উচিৎ হয়নি নিজেরা গিয়ে জমি কেনাবেচা করা। কারন বাংলাদেশে জমি কেনাবেচায় হাত ডোবালে হাত নোংরা হবে এটাই স্বাভাবিক। হাউজিং কোম্পানির মত তারা যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না তা বোঝা উচিৎ ছিল। জোর করে কেন করছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে (দালালদের হাতে জিম্মি হওয়ার ভয়ে), আবার নিজেরা কেন করছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে (তাড়াতাড়ি এবং কমমূল্যে পাওয়ার আশায়)। এত বড় এলাকার জমি কিনতে গেলে কিছু বাড়াবাড়ি ত হবেই! এই জমিগুলো মূলত সেনাবাহিনীর যারা তূলনামূলকভাবে কম পয়সাওয়ালা লোকজন তাদের জন্য (মূলত অল্পবয়সে রিটায়ার্ড, অন্য কোথাও জমি নেই ইত্যাদি)। কম পয়সায় দিতে গেলে কিছু সাহসী উদ্যোগ ত নিতেই হবে। কিন্তু তাদের এর মধ্যে নাক গলানো উচিৎ হয় নি। অনভিজ্ঞতার চরম মূল্য তাদের এখন দিতে হবে। তাদেরকে সতর্কও করা হয়েছিল। প্রধান দোষটা আমি দিতে চাই ওই স্থানীয় নেতাদের যারা জমির দালালী করে থাকে। আর সরকারের অদক্ষ নীতিকে, সেনাবাহিনীকে সেখানে জমি কেনার জন্য পাঠানোই উচিৎ হয় নি। এখন জনগন-সেনাবাহিনীকে একটা মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়ে গেল।

৫. রাজউকের অনুমতির ব্যপারে আপনার মতামতটা নিতে পারলাম না। রাজউকের অনুমতি নেই, এটা একটু Naïve কমেন্ট হয়ে গেল! যারা ভূমি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা জানে যে এগুলো কাগজে কলমে। রাজউকের অনুমতির প্রয়োজনটা বেশি হয় যখন হাউজিং সোসাইটির নামে সাধারন মানুষকে প্রতারনা করা হয় বা নিয়ম নীতি না মেনে ইচ্ছা মত শহর সম্প্রসারন করা হয়। এক্ষেত্রে এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল না। কেননা সরকারের অনুমতি এখানে ছিল। ডেভেলাপিং বা জমি রেজিস্ট্রেশন বা হস্তান্তরের আগে অনুমতি হয়ত তারা পেয়েও যেত। যদিও রাজউকের আনুষ্ঠানিক অনুমতির অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। রাজউকের চেয়ারম্যন এ ব্যপারে কিছুই জানতেন না এটা বোধহয় একটা কৌতুক!

তাছাড়া আপনি যে ডকুমেন্টের স্ক্রিনশট দিয়েছেন তা অনেক পুরানো। এটা হল প্রকল্প প্রস্তাবনার সময়কালের। তখনো রাজউকের অনুমতির তেমন প্রয়োজন ছিল না। এখন কি অবস্থা তা জানি না। ওয়েব সাইটে তেমন আপডেটেট ইনফো নেই দেখলাম। এ ব্যপারে আমি খোজ নিয়ে দেখেছি এই প্রকল্পের জন্য তাদের আলাদা তেমন কোন স্টাফও নেই। দায়সারা গোছের কাজ করছে। অনঅভিজ্ঞতার ছাপ স্পস্ট। ওয়েবসাইটে অনেক ভুল তথ্যের অভিযোগ আছে শুনলাম। এ নিয়ে প্রকল্পে আবেদনকারীরাও শুনলাম ক্ষুব্ধ। তবে এটাই প্রথম AHS না। এর আগেও খুব সম্ভবত সেনা জওয়ানদের জন্য সাভারে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে তত্বাবধায়ক সরকার আমলে।

৬. বর্তমানে মিডিয়ার যুগে সেনাবাহিনীর আর আগের মত চুপ করে থাকার সময় নেই। তাদের উচিৎ নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করা। ধরুন এই ব্লগেই তাদের একজন থাকা উচিৎ ছিল যে আমাদের সঠিক খবরটি দেবে। কিন্তু তারা এখনও পুরানো যুগেই বাস করছে। আইএসপিআর আর ডিজিএফআই দিয়ে এখনকার মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব না। আইএসপিআর যে বক্তব্য দিয়েছে তা অসম্পূর্ন। ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে আবার গুলি বের হয় কিভাবে?! এটা কি গুলতি না এয়ারগান?!

৭. পৃথিবীর সব খানেই সামরিক বাহিনীর চরিত্র প্রায় একই রকম। বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের (রাজনীতি, গনতন্ত্র) ক্ষমতা কিছুটা কম থাকায় সেনাবাহিনীকে অনেক ক্ষমতাশালী মনে হয়। যুদ্ধের বাইরে তাদের বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পরাও ঠিক একই কারনে হচ্ছে। আসলে আমাদের দেশের মানুষের একটা প্রবনতাই হল সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করা। যারা বলছেন, সেনাবাহিনী কেন ক্যম্প করল, কেন অস্ত্র নিল, কেন ইউনিফর্মে গেল, সেনাবাহিনীর কর্মকান্ড সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা নেই খুব সম্ভবত! পৃথিবী থেকে সামরিকবাহিনী উৎখাত করতে পারলেই ভাল হত। কিন্তু সেটা কি সম্ভব। আর সামরিকবাহিনী থাকলে ওই ব্যপারগুলি মেনে নিতেই হবে।

৮. সামরিকবাহিনীকে আমি আলাদা এনটিটি ভাবতে রাজি নই। অনেকেই বলেন তাদের হওয়া উচিৎ ছিল একেবারে ১০০ ভাগ পবিত্র। হয়ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন টা অনেক বড়ই ছিল। স্বপ্নটা বাস্তব করতে পেরেছি কি? আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানটা এমন পবিত্র আছে? সামরিকবাহনী থেকেই এটা আমরা আশা করি কেন? তারাই (সেনাবাহিনী) বা এটা দাবী করে কেন? আর দেশের অন্যরা ( সরকারী কর্মকর্তা, অসৎ ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যু, ছাত্র, শিক্ষক), তারা কি করছে? শুধু উপরের দিকে থুতু ছেটালেই হবে? নিজেদের কিছু করতে হবে না? সেনাবাহিনীকে বিষোদাগার করা হচ্ছে, অন্যদের নিয়েও কি একই কথা বলছেন? নিজেকে দিয়েই কি শুরু করা উচিৎ না? নিজেদের লোভকে আগে সামলানোটাই কি প্রয়োজনীয় না?

৯. আমি আরও একটা ব্যপার বুঝি না এত দাম দিয়ে ঢাকা শহরের জমি আর ফ্ল্যট কেনার টাকা মানুষ কই পায়? আমার ত এত টাকা নেই। ফ্ল্যট বা জমি কিনলে অবৈধ আয়টা লুকানো সুবিধা, এটাই কি মানুষের উদ্দেশ্য? তাহলে কি আমরা সবাই এই সিস্টেমের অন্তর্ভূক্ত? সবাই কি দুর্নীতিতে অভ্যস্ত? ধিক মানুষ! সমাজের অন্য যারা দুর্নীতি টা করছে তাদের খবর কি? সেই রক্তচোষাদের খবর কি কেউ নেয়?

১০. আমাদের দেশের বাস্তবতা হল শ্রেনীবিন্যাস। ভুল-শুদ্ধ যাই হোক এটাই আমাদের বাস্তবতা। সেনাবাহিনীও অন্য আরও অনেকের মত “উচ্চ শ্রেনীর” নাগরিক হিসেবে বিবেচিত। এতে আমাদের যতই হিংসা হোক বাস্তবতা তাতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। রাষ্ট্র যন্ত্র “উচ্চ শ্রেনীর” স্বার্থই রক্ষা করবে। কয়েকদিনের মধ্যেই দেখবেন বেওকুফ, নির্বোধ রুপগন্জ্ঞবাসীর বারোটা বেজে যাবে!

আপনি আপনার মতামত দিয়েছেন। আমি আমারটা দিলাম! গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আলোচনা-সমালোচনা, মত-পাল্টামত খুবই গুরুত্বপূর্ন! তবে খেয়াল রাখতে হবে দেশের স্বার্থ আসবে আগে। গুজব ছড়িয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে সার্বভৌমত্বটাকেই যেন আমরা হুমকির সম্মুখীন না করি! দেশকে অস্থিতিশীল করে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। /:)


ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

দিনমজুর বলেছেন: ১) বিশ্বের সব আর্মি কে কি কি সুবিধা দেয়া হয় কেন দেয়া হয় সেটা একটা প্রশ্ন। কিউবা কিংবা একসময়কার চিন-রাশিয়ার পিপলস আর্মিকে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যোদ্ধাদেরকে সেরকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল কি-না সেটাও কিন্তু একটা প্রশ্ন। সেসব বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, বর্তমানে আমরা আমাদের দেশে কোন সুবিধাবাদি আর্মি চাই কি-না, মুক্তি যুদ্ধের সময় এই কলোনিয়াল আর্মিই আমরা চেয়েছিলাম কিনা সেপ্রশ্রের মিমাংসা করা আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। পুজিতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসক শ্রেণীর রক্ষাকবচ হিসেবে সেনাবাহিনী বা অন্য যে কোন ক্ষমতাধর বাহিনী চূড়ান্ত অর্থে শাসক শ্রেণীর চরিত্র/প্রয়োজন/ধরণ ধারণ অনুযায়ীই চলতে চাইবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কি সেরকম রাষ্ট্র কাঠামো চাই যেখানে গুটিকয়েক বেশিরভাগের উপর খবরদারি করবে শোষণ করবে? ফলে আমরা যখন সেনাবাহিনীর সমালোচনা করি তখন গোটা কাঠামোটার কথা মাথায় রেখেই করি। গোটা রাষ্ট্র কাঠামোটা পাল্টানোটা কেন জরুরী সেটা সেই রাষ্ট্র কাঠামোর পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানের চরিত্র উন্মোচন না করে পরিস্কার করা সম্ভব না। আমরা যেন পিপলস গভেমেন্ট চাই তেমনি পিপলস আর্মিও চাই যে আর্মির সদস্যরা জনগণের অংশ হিসেবেই জনগণের যে কোন সংকট/আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করবে—বৈষয়িক সুবিধা দিয়ে যাদেরকে যুদ্ধে পাঠাতে হয়, তাদের হাতে কোন দেশের জনগণের নিরাপত্তার ভার ছেড়ে দিয়ে শান্তিতে ঘুমানোর পক্ষপাতি আমরা না।

২. আপনার দুই নং পয়েন্ট নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। শুধু এইটুকু বলি সরকারের কর্পোরেট ব্যাবসায়ীর চরিত্র অর্জন করাটার যেমন প্রতিবাদ করি একই ভাবে আলাদা আলাদা ভাবে রাষ্ট্রের যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট ব্যাবসায়ীর বনে যাওয়ার বিরোধীতা করি। এই বিরোধীতা একটা আরেকটার পরিপুরক।

৩. রুপগন্জ্ঞবাসীকে আপনার নিবোর্ধ বলাটাকে কি বলব ধৃষ্ঠতা নাকি মুর্খতা? যাই হোক, আমাদের বক্তব্যটা পরিস্কার—রুপগঞ্জবাসীকে রাজনৈতিক নেতারা উস্কিয়েছে নাকি বিভিন্ন ডেভলাপার কোম্পানি উস্কিয়েছে সেটা আমাদের কাছে একেবারেই অ-গুরুত্বপূর্ণ। বারুদের স্তুপে আগুন কার ইন্ধনে লাগানো হয়েছে সেটা খোজার চেয়ে বারুদ কেন জমছিল সেটাই মুখ্য প্রশ্ন। সেনাবাহিনী তার প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিকে পুজি করে ক্যাম্প-ট্যাম্প বসিয়ে সেখানে জোরজুলুম করে লোকজনের কাছ থেকে জমি কিনছিল এই সত্যটুকুই যথেষ্ট আর্মিকে জনগণের কাঠগড়ায় দাড়ানোর জন্য। রুপগঞ্জবাসী সামরিক শক্তিকে সমস্ত ভয়, শংকা, ভবিষ্যতের চিন্তা বা প্রলোভনকে উপেক্ষা করে (উস্কানিতে কিংবা বিনা উস্কানিতে যাই হোক) সেনাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে, সাময়িক কালের জন্য হলেও রুপগঞ্জ থেকে বিতারিত করেছে সেটাই তাদেরকে বীর বলে অভিনন্দন জানানোর জন্য যথেস্ট।

৪. আহা! আপনার ৪ নং কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে সেনাবাহিনী প্রশাসকরা বুঝি দুগ্ধ পোষ্য শিশু—বৈষয়িক বিষয-আশয় সম্পর্কে তেমন ভালো ধারণা না থাকায় তারা একটু বোকামি করে ফেলেছে!! জবরদস্তি করে কম পয়সায় পাবলিকের জমি কেড়ে নেয়াটা বুঝি আপনার কাছে “সাহসী উদ্যোগ”! বোঝা যাচ্ছে দুই নং কমেন্টে আপনি “রুপগঞ্জের ঘটনাকে আর্মির এই বাণিজ্যিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে বোঝাটা জরুরী।” আমাদের এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করলেও ঠিক বুঝে উঠতে পারেন নি বা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে এরকম একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কোন একটা নতুন প্রকল্পে যখন বিনিয়োগ করতে যায়, গিয়ে যদি জমি জবর দখল করতে গিয়ে লোকজনকে খেপিয়ে তোলে তবে সেটাকে মুনাফার ধান্দায় অন্ধ হয়ে যাওয়া বলা যেতে পারে, বোকামি নয়। এরকম ঘটনা বোকামি বা না বোঝার কারণে ঘটেছে এটা বলাই চরম বোকামি কিংবা চরম চালাকি!

৫. রাজউকের অনুমতির ব্যপারে আমাদের মতামতটা আপনি নাও নিতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাছে এর গুরুত্বটা অন্য জায়গায়। এএফডি বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নৈতিক অনুমোদনের কথা আমরাও উল্ল্যেখ করেছি। কিন্তু ক্যাম্পকরার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি কিংবা হাউজিং করার জন্য রাজউকের অনুমতি নেয়া না নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের কাছে কোন Naïve বা স্রেফ কাগজে কলমের ব্যাপার না—এটা হলো সেনাবাহিনীর ক্ষমতার দম্ভের বহি:প্রকাশ। কারণ সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন অবৈধ বসতি উচ্ছেদ কর্ম চালাচ্ছিল তখন কিন্তু এগুলো কাগজে কলমের ব্যাপার বলে কিন্তু কেউ ছাড় পায় নি। তারমানে কি, অন্যের জন্য যা বাধ্যতামূলক আর্মির জন্য তা কাগজে কলমের ব্যাপার? এ প্রসঙ্গে আপনার যুক্তিটা বেশ কৌতুককর মনে হলো:
. “যারা ভূমি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা জানে যে এগুলো কাগজে কলমে। রাজউকের অনুমতির প্রয়োজনটা বেশি হয় যখন হাউজিং সোসাইটির নামে সাধারন মানুষকে প্রতারনা করা হয় বা নিয়ম নীতি না মেনে ইচ্ছা মত শহর সম্প্রসারন করা হয়। এক্ষেত্রে এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল না। কেননা সরকারের অনুমতি এখানে ছিল। ডেভেলাপিং বা জমি রেজিস্ট্রেশন বা হস্তান্তরের আগে অনুমতি হয়ত তারা পেয়েও যেত।“

আর ডকুমেন্টের স্ক্রিনশটের তথ্য যে ২০০৯ সালের সেটা আমাদের লেখাতেই উল্ল্যেখ করেছি। এরপর অনুমোদন পাওয়ার কোন খবর আর্মির ওয়েবসাইটে নাই। ফলে আমারা রাজউকের চেয়ারম্যানের বক্তব্যের রেফারেন্স ব্যাবহার করেছি। আমাদের কাছে রাজউকের চেয়ারম্যনের না জানার ব্যাপারটা মোটেই কৌতুককর মনে হয় নি, ভয়ংকর মনে হয়েছে। এত বড় একটা হাউজিং প্রকল্প করছে রাষ্ট্রীয় একটা বাহিনী, আর রাজউক সেটা জানেনা। শুধু রাজউক না এমনি গৃহায়ন মন্ত্রীও না জানার কথা বলেছেন। ফলে বোঝা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর একধরণের গ্রীণ সিগনাল আগাম নিয়ে রেখে চুপ চাপ জামির দখল-টখলের কাজ সম্পন্ন করার পরই এএইচএস এর ব্যাপারটা পাবলিকলি প্রকাশ করার ধান্দা থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজউকের অনুমোদন না নেয়ার ঘটনাটা ঘটেছে।

৬. শুধু ব্লগ ক্যান সকল গণমাধ্যমের উন্মুক্ত বিতর্ককে তারা এড়িয়ে চলেন এবং যতদিন না তাদের গোপন কাজ কারবার বন্ধ হচ্ছে ততদিনই তারা এই কাজটি করবেন। কারণ বিতর্ক উঠলে কোন কিছুই ঢেকে রাখা সম্ভব নয়।

৭. “পৃথিবীর সব খানেই সামরিক বাহিনীর চরিত্র প্রায় একই রকম” কথাবার্তা বলে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর করা যাবতীয় অত্যাচার নির্যাচনকে যায়েজ করার চেষ্টা করলেন বলে বোঝা গেল। আমরা মনে করি না, সেনাবাহিনী থাকলেই এইসব ব্যাপার মেনে নিতে হবে। দুনিয়ায় এরচেয়ে ভিন্ন অনেক উদারণ আছে। এই সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেই কর্ণেল তাহের তার ভিন্ন ধরণের চর্চা শুরু করেছিলেন। রাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টিয়ে সেনাবাহিনীর চরিত্র পাল্টানো সম্ভব বলেই আমরা মনে করি। সেই আকাঙ্খা বাস্তাবায়নের জন্যই বর্তমান রাষ্ট্র ও তার বিভিন্ন বাহিনীর গণবিরোধী চরিত্র উন্মোচণের প্রয়োজন বোধ করি।

৮. একবার বলছেন দুনিয়ার সব স্থানেই সামরিক বাহিনী বিশেষ সুবিধা ভোগ করে, কিংবা সামরিক বাহনীর জন্য রাজউকের অনুমোদন নেয়া না নেয়াটা কাগজে কলমের ব্যাপর আবার অন্যদিকে বলছেন: “সামরিকবাহিনীকে আমি আলাদা এনটিটি ভাবতে রাজি নই।“ আমরাও সামরিক বাহিনীকে কোন বিশেষ কিছু ভাবার পক্ষপাতি নই। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে সামরিকবাহিনী একটা বিশেষ বাহিনী হিসেবেই বিশেষ বিশেষ সুবিধা ভোগ করে আসছে, বিশেষ বিশেষ আকাম করছে- রুপগঞ্জের ঘটনাটা যার সাম্প্রতিক উদাহরণ।

৯. এখানে যারা সামরিক বাহিনীর বর্তমান কর্মকান্ডের সমালোচনা করছেন তারা কেউ কিন্তু বলছেন না সামরিক বাহিনীই শুধু এই রকম কাজ করেছে আর কেউ করেনি। আপনি অযথাই অন্যান্যদের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। অন্যরা করছে বলে তো রাষ্ট্রের বিশেষ সুবিধা ভোগী বাহিনীরও সেই কাজ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল না!

১০. আট নং পয়েন্টে “সামরিকবাহিনীকে আমি আলাদা এনটিটি ভাবতে রাজি নই“ বলে এখন আবার শ্রেণী বিভাজনের বাস্তবতার কথা বলছেন, বলছেন “সেনাবাহিনীও অন্য আরও অনেকের মত “উচ্চ শ্রেনীর” নাগরিক হিসেবে বিবেচিত”। বলছেন: “এতে আমাদের যতই হিংসা হোক বাস্তবতা তাতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। রাষ্ট্র যন্ত্র “উচ্চ শ্রেনীর” স্বার্থই রক্ষা করবে। কয়েকদিনের মধ্যেই দেখবেন বেওকুফ, নির্বোধ রুপগন্জ্ঞবাসীর বারোটা বেজে যাবে!” ঠিকই বলেছেন: রাষ্ট্র যন্ত্র উচ্চ শ্রেণীরই স্বার্থ রক্ষা করছে। কিন্তু চিরকালই রাষ্ট্র যন্ত্রের এই উচ্চ শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী চরিত্র বজায় থাকবে বলে আমরা মনে করিনা। রাষ্ট্র যন্ত্রের এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এই উচ্চ শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকারী চরিত্র পাল্টানোর সংগ্রামের অংশ হিসেবেই আমরা এখানে কথাবার্তা বলি।

তাতে আপনার ভাষায় “দেশ অস্থিতিশীল” হলেও আমাদের কিছু করার নাই।

৩৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০১

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: জোর করে জায়গা কেনাটা সমর্থনযোগ্য না তেমনি একশ্রেনীর লোকের সবকিছুতে আর্মির দোষ দেখাটাও ঠিক না। চোর বাটপার রাজনীতিবিদরা আর্মিদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নানা অনৈতিক সুবিধা করে দেয়।

৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২১

রোহান বলেছেন: @রাজিব: সবকিছু রাজনৈতিক নেতাদের দোষ, সব কিছু পাশের দেশের ষড়যন্ত্র এই জুজু আঁকড়ে ধরে বসে থেকে নিজেদের মাথার পঁচন দেখেও না দেখার ফলাফল কি আদৌ ভালো হয় বলেন? জলপাই নেতারা হয়তো ভালো থাকে কিন্তু নিচের দিকের সবাই কি সেই লাভের গুড়ে ভাগ বসাতে পারে?

ছোট্ট একটা গল্প বলি... একের পিঠে এগারোর সময়ের গল্প..বাংলাদেশের কোনো একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সরকারী সংস্থার সর্বোচ্চ কয়েকটি পদের বেশকজন কর্মকর্তাকে কোনো জলপাই রঙা মানুষের দল কোনো একটি জায়গায় প্রতারণা করে ডেকে নিয়ে যায়... তারপর তাদের সামনে বেশ কিছু টাকা পয়সা ছড়িয়ে রেখে সাংবাদিকদের ডেকে ছবি তোলায়... দুপুরে দেশের বড় বড় মিডিয়াতে যেটা ব্রেকিং নিউজ হিসাবে আসে আবার সেইটাই সন্ধ্যার মূল খবর থেকে হাওয়া হয়ে যায়...নিউজ আর্কাইভ ঘেঁটেও তা পাওয়া তো যায়ই না, নানা অপমান অপদস্তের পর্বের শেষে ক'মাস পরে সেই কর্মকর্তারা জেল থেকে বের হয়ে আবার স্ব পদে পূনর্বহাল হয়ে যান...এই পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে কত জলপাই রঙের গ্যারেজ মিটসুবিসি আর টয়োটাতে ভরে যায় সেই খবর কে রাখে....

ভাইরে রাজনীতিবিদদের তো প্রকাশ্যে চোর বাটপার বলে ঘুরে বেড়াই, দুই বছরের জলপাই স্রোতে কি কি ভেসে গেছে সেই খবর দেবার বুকের পাঁটা কি দেশের কোনো রাজনীতিবিদেরও আছে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৩

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ রোহান আপনাকে

৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: রিডার ওয়ান @ ১. বিশ্বের সব সামরিকবাহিনীকেই বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় বা হত। এর কারন হয়ত মৃত্যুকে হাতে নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তা না হলে লোক খুজে পাওয়া যেতনা।

তাহলে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ কোন দেশের মুক্তি সংগ্রামে মানুষ খুজে পাওয়া যেত না ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৫

দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। এরা জনগণের বাহিনী বা পিপলস আর্মিকে ভাড়া খাটা মার্সেনারি সাথে গুলিয়ে ফেলেছে।

৪০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

আরিফ জেবতিক বলেছেন: তুখোড় ও তীক্ষ, বরাবরের মতোই।

ফেসবুকে লিংক দেখে এলাম। প্রিয় পোস্টে নিলাম আর ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফ জেবতিক।

৪১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

রিডার ওয়ান বলেছেন:

@হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: তাহলে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ কোন দেশের মুক্তি সংগ্রামে মানুষ খুজে পাওয়া যেত না ।

আমি নিয়মিত সেনাবাহিনীর কথা বুঝিয়েছি। শুধু নিয়মিত সেনাবাহিনী দিয়ে মুক্তিসংগ্রাম হয় না। আমাদেরটাও হয় নি। কিছু সেনা যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তারা দেশপ্রেম থেকেই যুদ্ধ করেছিল। টাকার জন্য নয়। কিন্তু মার্কিন বাহিনী যে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করছে তাদের সেনারা শুধু টাকার জন্যই যাচ্ছে। আমাদের দেশে যারা সেনাবাহিনীতে যায় তারাও মূলত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যপারটাই দেখে। ব্যতিক্রম ভিন্ন জিনিস।


গ্রামের সহজ সরল রূপগন্জ্ঞবাসীর জন্য যারা মায়াকান্না কাদছেন তাদের জন্য বলছি....

আপনি যদি ঢাকায় থেকে থাকেন...

ঢাকা শহরের বেশিরভাগ জমিই গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে কেনা। সম্প্রসারিত ঢাকা ত অবশ্যই। ভূমিদস্যুরা এভাবেই আমাদের দুই দিক থেকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আপনি যে বাসাটিতে বসে আছেন সেটিও সামান্য মজুরির বিনিময়ে অশিক্ষিত মূর্খ শ্রমিকের রক্তপানি কা শ্রমের বিনিময়ে তৈরি। শহরের যে দাড়িয়ে আছে, আমাদের অর্থনীতি যে দাড়িয়ে আছে, সব ওই ছোটলোকদের জন্য যাদের আমরা প্রতিনিয়তই ঠকাচ্ছি। আসুন তাদের জন্য মায়া কান্না না দেখিয়ে একটু কাজের কান্না কাদি!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

দিনমজুর বলেছেন: আপনি বার বার সব জায়গাতেই সব সময়েই অন্যায় হয় জাতীয় কথা বলে বর্তমান অন্যায়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছেন। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ জমি গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে কেনা- এই সত্য তো রুপগঞ্জ বাসীর জন্য আপনার ভাষায় "মায়াকান্না কাদার" বাধা হতে পারে না।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়েই শ্রেণী বিভক্ত সমাজের নানান শোষণ নির্যাতণের বাস্তবতা সবার চোখে মূর্ত হয়ে উঠে। কোন একটি ঘটনা মূর্ত হয়ে ওঠার পর সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে যদি কেউ বলে আরো তো এরকম অনেক ঘটনা আছে, ওগুলো নিয়ে তো প্রতিবাদ যেহেতু হচ্ছে না, তাহলে এইটা নিয়াও প্রতিবাদ করা যাবে না- তাহলে তো কখনই কোন ঘটনার প্রতিবাদ করা যাবে না। আমরা সকল ধরণের ভূমি আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে। তবে অন্যগুলোর সাথে রাষ্ট্রীয় কোন পোষাক ধারী প্রতিষ্ঠানের ভূমি আগ্রাসন একটু ভিন্ন মাত্রার কেননা জনগণের সম্পদ রক্ষাকারী বাহিনীই যদি সম্পদ দখলকারীতে পরিণত হয়(অর্থাৎ যদি বেড়াই ক্ষেত খায়) তাহলে তো জনগণের বিপদ অনেক বেশি।

আজকে সেনাবাহিনী কর্তৃক ভূমি আগ্রাসনের প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আসুন সকল ভূমি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি।

৪২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: অসাধারণ এই পোস্ট স্টিকি করা হোক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৮

গোলন্দাজ বলেছেন: দিন-রাইত লেফট রাইট করলে ঝাকির চোটে মাথার বুদ্ধি হাটুতে নাইমা আসে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলছেন

৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

শ।মসীর বলেছেন: আর্মির অলস দেশ প্রেম ধুইয়া পানি খাইলে কৃষকের পেট ভরবো না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

দিনমজুর বলেছেন: সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ

৪৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১১

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: Click This Link

৪৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় তার তালিকা আমাগো জানা নাই।

- বিশ্বের কোন ক্যান্টনমেন্টে কী কী পয়দা হয় যা বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে পয়দা করতে চান?

জনগণের জমি বিনামূল্যে বিলায়া দিয়া...

- বিনামূল্যে হলে বিলিয়ে দেয়াই হত, কিন্তু সরকার কারও জমি বিনামূল্যে নেয়নি এবং ডিওএইচএস-এর জমি উন্নয়নের সব অর্থ নিজেকেই বহন করতে হয়.

সেনা কল্যাণের নাম কইরা সেনা কল্যাণ সংস্থা নামের এক অফিসার কল্যাণ সংস্থা কিংবা আর্মি ওয়েল ট্রাস্টের মতো মস্ত একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গইড়া কারা ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হইতাছে তাও আমরা জানি না। কারণ জাননের কোন উপায় নাই আমাগো। শুধু নেড়ি কুত্তার লাহান গন্ধ পাই,কি জানি হইতাছে কোথায়- ব্যাবসা,বাণিজ্য!

- জানি না মানে? এইতো জানলেন! দেশের কয়টা শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খবর জানেন আপনি? তারপরওতো সেনাকল্যাণের এতকিছু জানলেন, এত গোপন খবর, কোন গোয়েন্দার থেকে কিনে তবে জানলেন? ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হলে আপনার কী সমস্যা? চুরি করে হচ্ছে নাকি? নিয়ম মাফিক ব্যবসা করে হচ্ছে. ব্যবসা করতে নিযেধ আছে? সেখানে চাকুরি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনারা, তাদের ওয়েফেয়ার হচ্ছে, দেশের চাকুরির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, দেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে. মাঝখান থেকে আপনি ‘নেড়ি কুত্তার লাহান গন্ধ’ পেলে কার সাধ্য আপনাকে মানুষ বানায়? মানুষকে নিজে থেকেই মানুষ হতে হয়.

৫ কাঠার একেকটা প্লট। প্লটের মূল্য মোটামুটি ১৫ লক্ষ টাকা। বাজার দরের চেয়ে সস্তা হইলেও ক্যাপ্টেন সাহেবগো লাইগা কি একটু কষা হইয়া যায়?

- দালাল ছাড়া সরাসরি জমির মালিক থেকে জমি কিনলে যেখানে সেনাসদস্যরা লাভবান হয় আবার জমির মালিকরাও লাভবান হয়, সেখানে আপনার জ্বলুনির কী কারণ থাকতে পারে? জ্বলুনি হবার কথা দালালদের, ভূমিদস্যুদের – আপনি কোন দলে? রূপগঞ্জে জমি কিনে নিজেরা জমির উন্নয়ন করে (স্বরণে রাখুন বসুন্ধরারা নামমাত্র টাকায় জমি কিনে অথবা না-কিনে কতগুন লাভে বিক্রি করে থাকে) ১৫ লক্ষ টাকায় ৫ কাঠার প্লট – মানে কী দাড়াল? মানে দাড়াল, জমি খুবই ন্যায্যমূল্যে কেনা হচ্ছিল. আপনার ভাবখানা এমন – আর্মি মাগনা জমি নিচ্ছিল! এখানে দালাল ও ভূমিদস্যুদের কোন ভূমিকা আপনার তত্ত্বতালাশে এল না, যারা দেশের সরকারকে ধমক দিতে পারে, যারা দেশের মিডিয়া চালায়. স্যরি, এজন্য আমি আপনাকে ভূমিদস্যুদের দালাল হিসাবেই চিনছি.

মুশকিল আছান ট্রাস্ট ব্যাংক তো আছেই!একেকজন ৮ লক্ষ কইরা লোন নিতে পারবো ট্রাস্ট ব্যাংক থেইকা।

- তথ্য সঠিক. তো? ব্যাংকের লোনটা কি আপনি শোধ দেবেন? নাকি ভেবেছেন, আপনার ভূমিদস্যু অন্নদাতারা যেভাবে ঋনখেলাপি হয়ে পার পেয়ে গেছে সেভাবে তারাও পার পাবে? এখানে সুবিধা একটাই, অন্য ব্যাংক থেকে ১-শতাংষের মত সুদ কম আছে, ব্যাস.

প্রকল্পের জায়গা হইল গিয়া বসুন্ধরা ও পূর্বাচল হাউজিং প্রকল্পের পাশে...

- যেটা বলেন নাই, এএইচএস ঢাকা থেকে আরও দূরে. কিন্তু ইনিয়েবিনিয়ে এত বড় প্রকল্প বলে মাতম করার সময় সচেতনভাবেই কোথাও বলেন নাই যে, বসুন্ধরা ও পূর্বাচল হাউজিং প্রকল্পগুলো হাওয়ার উপরে হয়েছে, নাকি মানুষের জমির উপরেই হয়েছে.

জনগণের অর্থে লালিত পালিত আর্মি কর্পোরেট পুজির মালিকে পরিণত হয়ে...

- সেনা কল্যাণ সংস্থা কিংবা আর্মি ওয়েল ট্রাস্টের টাকাতো কারও ব্যক্তিগত পকেটে যাচ্ছে না, সেনাসদস্যদের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে. ওখানের কল্যাণ ফান্ডে চাঁদা আপনি দেননি, দিয়েছে সেনাসদস্যরা. আপনার বলার ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে, কিন্তু লুটপাট হলে আর রূপগঞ্জে সস্তায় জমি কেনা কেন, ঢাকাতেই কেনা যেত. আসলে বাংলাদেশে আমরা সবাই লুটপাটের সাইকিতে অভ্যস্থ – সেই অসুস্থ সাইকির প্রলাপ এটা!

বিডিআর ঘটনায়ও এমন সেনাবিদ্বেষে ব্লগ ভরে গিয়েছিল, তখন আমি এর প্রতিবাদ লিখেছিলাম, আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সেখানে. Click This Link

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

দিনমজুর বলেছেন: বিশ্বের কোন ক্যান্টনমেন্টে কী কী পয়দা হয় যা বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে পয়দা করতে চান?

----বিশ্বের কোন ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় জানিনা, তয় বাংলাদেশের ক্যানটনমেন্টে আমরা ধান পয়দা করতে চাই, খাদ্য সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিনামূল্যে হলে বিলিয়ে দেয়াই হত, কিন্তু সরকার কারও জমি বিনামূল্যে নেয়নি এবং ডিওএইচএস-এর জমি উন্নয়নের সব অর্থ নিজেকেই বহন করতে হয়.

-----হা! হা! জমি পায়ছে মাগনা, তাতেও শখ মিটেনা, জমি উন্নয়ণও কি সরকার কইরা দিব? আর্মির ওয়েবসাইটে ডিওএইচ সম্পর্কে বলা আছে:
DOHS is an welfare proj sponsored by Bangladesh govt, where govt land is given free of cost.

জানি না মানে? এইতো জানলেন! দেশের কয়টা শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খবর জানেন আপনি? তারপরওতো সেনাকল্যাণের এতকিছু জানলেন, এত গোপন খবর, কোন গোয়েন্দার থেকে কিনে তবে জানলেন?

----ব্যাপক মজা পাইলাম। কোথ্থেইকা গোপন খবর পাইলাম সেইটার লিংক তো দিয়াই দিছি, মাথা বেশি গরম হওয়ার কারণে দেখেন নাই না?
সূত্র: http://www.amrabondhu.com/masum/1914

ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হলে আপনার কী সমস্যা? চুরি করে হচ্ছে নাকি? নিয়ম মাফিক ব্যবসা করে হচ্ছে. ব্যবসা করতে নিযেধ আছে? সেখানে চাকুরি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনারা, তাদের ওয়েফেয়ার হচ্ছে, দেশের চাকুরির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, দেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে.

----আপনার দেখি বেসিকেই গন্ডগোল। আর্মি ব্যাবসা করলে সমস্যা কি সেইটা জিগাইতেছেন! এক কথায় বললে, দেশ রক্ষা বাদ দিয়া মুনাফার ধান্দাতেই তার সমস্ত কর্মকান্ড বিস্তৃত হইব, মুনাফা করতে গিয়া আর দশজন পুজিপতির মতোই শোষক শ্রেণীর কাতারে গিয়া জনগণের বিরুদ্ধে দাড়ায়া যাইব, ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান বইলা মুনাফার ধান্দায় ক্ষমতার অপব্যাবহার হইব—যার সব উদাহরণ ইন্দোনেশিয়া-পাকিস্তান এ দেখা গেছে। রুপগঞ্জের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও সুবিধা না।

দালাল ছাড়া সরাসরি জমির মালিক থেকে জমি কিনলে যেখানে সেনাসদস্যরা লাভবান হয় আবার জমির মালিকরাও লাভবান হয়, সেখানে আপনার জ্বলুনির কী কারণ থাকতে পারে? জ্বলুনি হবার কথা দালালদের, ভূমিদস্যুদের – আপনি কোন দলে? রূপগঞ্জে জমি কিনে নিজেরা জমির উন্নয়ন করে (স্বরণে রাখুন বসুন্ধরারা নামমাত্র টাকায় জমি কিনে অথবা না-কিনে কতগুন লাভে বিক্রি করে থাকে) ১৫ লক্ষ টাকায় ৫ কাঠার প্লট – মানে কী দাড়াল? মানে দাড়াল, জমি খুবই ন্যায্যমূল্যে কেনা হচ্ছিল. আপনার ভাবখানা এমন – আর্মি মাগনা জমি নিচ্ছিল! এখানে দালাল ও ভূমিদস্যুদের কোন ভূমিকা আপনার তত্ত্বতালাশে এল না, যারা দেশের সরকারকে ধমক দিতে পারে, যারা দেশের মিডিয়া চালায়. স্যরি, এজন্য আমি আপনাকে ভূমিদস্যুদের দালাল হিসাবেই চিনছি.


-----কে বলল দালাল ছাড়া জমি কিনতাছিল? আওয়ামি লিগের স্থানিয় চেয়ারম্যান দালালির লাইগা ওইদিন পাবলিকের হাতে মাইরও খাইছে। আমাগো জ্বলুনির মূল কারণ হইল জোর-জবরদস্তি কইরা কম দামে জামি কিনা। জোর জবরদস্তি ও ভয়ভীতি দেখানো ছাড়া ঐটুকু এলাকায় চার চাইরটা আর্মি ক্যাম্প বসানোর কারণ কি? জাতীয় নিরাপত্তা নাকি?আর বসুন্ধরা বা অন্যকোন ভূমি দস্যূ দালালের মাধ্যমে জমি কিনলে বা দখল করছে বইলা কি এহন ঐ লুটপাটে আর্মির অংশগ্রহণ জায়েজ হয়া গেল? অনেকের মন্তব্যেই দেখেছি এই সুর—আহা সবাই লুটে নিল, আর আর্মি একটু চাটতে গেলেই দোষ! ভাই, আমরা কোন লুটপাটরেই সমর্থন করি না। তয় আর্মির লুটপাটরে বেশি ঘৃণা করি কারণ তাতে জনগণের আর বিচার চাওয়ার কোন উপায় থাকে না।

তথ্য সঠিক. তো? ব্যাংকের লোনটা কি আপনি শোধ দেবেন? নাকি ভেবেছেন, আপনার ভূমিদস্যু অন্নদাতারা যেভাবে ঋনখেলাপি হয়ে পার পেয়ে গেছে সেভাবে তারাও পার পাবে? এখানে সুবিধা একটাই, অন্য ব্যাংক থেকে ১-শতাংষের মত সুদ কম আছে, ব্যাস.


------আপনি দেখি কিছুই বুঝেন না, ব্যাংকের কথা উল্ল্যেখ করা হইছে এর সাথে ব্যাংকিং স্বার্থের সংযোগ দেখানোর জন্য এবং গোটা বিষয়টার যে একটা বাণিজ্যিক চেহারা আছে, সেটা পরিস্কার করার জন্য!

যেটা বলেন নাই, এএইচএস ঢাকা থেকে আরও দূরে. কিন্তু ইনিয়েবিনিয়ে এত বড় প্রকল্প বলে মাতম করার সময় সচেতনভাবেই কোথাও বলেন নাই যে, বসুন্ধরা ও পূর্বাচল হাউজিং প্রকল্পগুলো হাওয়ার উপরে হয়েছে, নাকি মানুষের জমির উপরেই হয়েছে.


----এএইচএস ঢাকা থেইকা কত কিমি দূরে সেইটা নিয়া আমার মোটেই মাথা ব্যাথা নাই। ঢাকা থেইকা দূরে হইলেও সেটা জবর দখল, ঢাকার ভিতরে হইলেও জবর দখল। আর কে বলল বসুন্ধরা ও পূর্বাচলের কথা বলিনাই, লেখার পঞ্চম প্যারায় তো পরিস্কার বললাম: “কৃষকগো কেঠায় ন্যায্য দাম দিছে- বসুন্ধরা, যমুনা, রাজউক সবাই তো দবরদস্তি কইরা অন্যয্য দামে জমি হাতায়া নিছে।” ধীরে ভাই ধীরে আমাদেরকে ভূমি দস্যূদের দালাল বলাল আগে নিজের অবস্থানটা আরেকটু ভেবে দেখেন- আপনি আবার কারো দালালি করে বসছেন না তো!

সেনা কল্যাণ সংস্থা কিংবা আর্মি ওয়েল ট্রাস্টের টাকাতো কারও ব্যক্তিগত পকেটে যাচ্ছে না, সেনাসদস্যদের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে. ওখানের কল্যাণ ফান্ডে চাঁদা আপনি দেননি, দিয়েছে সেনাসদস্যরা. আপনার বলার ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে, কিন্তু লুটপাট হলে আর রূপগঞ্জে সস্তায় জমি কেনা কেন, ঢাকাতেই কেনা যেত. আসলে বাংলাদেশে আমরা সবাই লুটপাটের সাইকিতে অভ্যস্থ – সেই অসুস্থ সাইকির প্রলাপ এটা!


------সেনাকল্যাণ সংস্থার টাকা কারও ব্যাক্তিগত পকেটে যে যাচ্ছে না সে বিষয়ে এত নিশ্চিত হচ্ছেন ক্যামনে? এর আয় ব্যায়ের কোন হিসাবই তো পাবলিকের কাছে প্রকাশ হয় না। বরং লুটপাট হওয়ার আলামত মাঝে মাঝেই স্পষ্ট হইয়া উঠে। আবারও বিবিসি’র রিপোর্টের কথা তুলতে হয়: http://www.amrabondhu.com/masum/1914
লুটপাট হোক আর না হোক, সাফ কথা, আর্মি ব্যাবসা করলে কর্পোরেট চরিত্র আর্মির উপর সাওয়ার হইব, আর্মি কর্পোরেটরে মতই জনগণের শোষকে পরিণত হইব।

বিডিআর ঘটনায়ও এমন সেনাবিদ্বেষে ব্লগ ভরে গিয়েছিল, তখন আমি এর প্রতিবাদ লিখেছিলাম, আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সেখানে.


----বিডিআর বিদ্রোহ নিয়া আমাদের লেখাটাও পইড়া দেখতে পারেন:
Click This Link

৪৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১২

রোহান বলেছেন: @রিডার ভাই: ৭১ এর আর্মির সাথে ২০১০ এর অবস্থা মেলাতে যাওয়ার উপায় বোধ হয় নেই...আর ৭৫ থেকে শুরু করে দেশের ইতিহাসের যতো কালো ছাপ তার অধিকাংশেই তো জলপাই থিংক ট্যাংকের সংশ্লিষ্টতা। এক এগারোর পরে এই বাহিনী যে বৈভবের গন্ধ পেয়েছে তা থেকে একে বের করে আনা কঠিন... ভাই কর্পোরেট কালচার আর দশ জায়গায় ঢুকে পড়া এক জিনিস আর আর্মিতে ঢুকে পড়া আরেক জিনিস। আমার বাসার সামনের চিপা রাস্তায় একটা ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিলো, আর সব গাড়ি রাস্তা বন্ধ দেখে ঘুরে যাচ্ছিলো। এমন সময় এক আর্মি অফিসারের জিপ গলির মাথায় এসে হাজির, বালু নামানোর কাজ বাদ দিয়ে সেই ট্রাক অনেকটা পথ পিছিয়ে সেই জিপকে স্বেচ্ছায় রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। আর দশটা কর্পোরেট হাউজ কি শত কোটি অর্থ দিয়েও এই এক্স ফ্যাক্টরটা অর্জন করতে পারে বলেন?

আর রুপগন্জের বিষয়ে যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়ই... বসুন্ধরা কিংবা যমুনা এমনিতেই দশ লাখে ঐ জায়গা নিয়ে যেতো সেইখানে আর্মি সতেরো লাখের অফার দিয়ে পাবলিকরে ব্যাপক দয়া করতে গেছে এমনটা বলে অপকর্মকে সমর্থনের উপায় নেই। যদিও প্রতিবাদটা কোনো সিভিলিয়ান কর্পোরেট হাউজের বিরুদ্ধে না গিয়ে সেনা কর্পোরেটের বিরুদ্ধে হয়েছে বলে এইটারে উস্কানি কিংবা প্রপাগান্ডার রং লাগিয়ে ধামাচাপা দিয়ে ফেলার সম্ভাবনা সুস্পষ্ট। তারপরেও বলবো এই প্রতিবাদের ট্রিগার যেখানেই হোক, এর পেছনে ঐ অঞ্চলের মানুষের উপর গত বেশ কবছর ধরে চলে আসা এই ভূমিদস্যুতার অত্যাচারের অবদান কিন্তু কম নয়... সেনাবাহিনী শুধু আক্ষরিক অর্থে ভয়ভীতি না দেখিয়ে স্রেফ মানুষের মনে লালিত জলপাই ভীতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে এই যা...

তার উপর ড্যাপের আওতাধীন এই জমিগুলো আদৌ আবাসনের জন্য ঠিক কিনা সেটা খতিয়ে দেকা দরকার। পাশাপাশি এই কাজে আগের সব প্রজেক্টের মতো রাজউক কে সংশ্লিষ্ট না করে পাশ কাটিয়ে পিএম এর কার্যালয় থেকে একটা প্রজেক্ট পাশ করিয়ে আর্মি সরাসরি এভাবে সিভিলিয়ানদের সাথে গিয়ে দরকষাকষি করবে তাও উর্দি পরে বন্দুক হাতে, এটা একটু বেশী বোকামি কিংবা অতি চালাকি হয়ে গেলো না?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০

দিনমজুর বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন:

"বসুন্ধরা কিংবা যমুনা এমনিতেই দশ লাখে ঐ জায়গা নিয়ে যেতো সেইখানে আর্মি সতেরো লাখের অফার দিয়ে পাবলিকরে ব্যাপক দয়া করতে গেছে এমনটা বলে অপকর্মকে সমর্থনের উপায় নেই। যদিও প্রতিবাদটা কোনো সিভিলিয়ান কর্পোরেট হাউজের বিরুদ্ধে না গিয়ে সেনা কর্পোরেটের বিরুদ্ধে হয়েছে বলে এইটারে উস্কানি কিংবা প্রপাগান্ডার রং লাগিয়ে ধামাচাপা দিয়ে ফেলার সম্ভাবনা সুস্পষ্ট। তারপরেও বলবো এই প্রতিবাদের ট্রিগার যেখানেই হোক, এর পেছনে ঐ অঞ্চলের মানুষের উপর গত বেশ কবছর ধরে চলে আসা এই ভূমিদস্যুতার অত্যাচারের অবদান কিন্তু কম নয়"

ধন্যবাদ।

৪৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২০

হোমার জে সিম্পসন বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হউক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: কি ব্যাপার ভাই আপনি মিথ্যার সাথে খানিকটা সত্য জোড়া দিয়ে অপপ্রচার চালালেন আর্মির বিরুদ্ধে। আর্মিকে জনগনের প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা অনেকদিনের। ভুলে যাবেন না যে আর্মি অফিসাররা বিদেশ থেকে আশা কেউ না, আমাদের ই আপনজন। অনেকেই চায়না আমাদের একটি শক্তিশালী আর্মি থাকুক তাহলে ভারত আরামচে আমাদের দেশে রাজ করতে পারবে। তাদের সেই সাধ কখন পুরন হবেনা।

আর আর্মিদের নষ্ট করছেটা কে? এই রাজনৈতিক দল গুলোই তো। ক্ষমতার লোভে দুর্নীতিবাজ লোকদের বড় পদ গুলো দিয়েছে, চড়া বেতন দিচ্ছে আর দেশপ্রেমিক অফিসাররা আজ বঞ্চিত। ৮০,৯০ এর দশকেও বাংলাদেশ আর্মিতে অনেক ভালো অফিসার ছিলো, তখন ছেলেরা আর্মিতে যেতে চাইতো দেশের সেবা করার জন্য আর এখন আর্মিতে জেতে চায় জাতিসংঘ মিশনে যেতে। কাজেই অভিযোগ করতে হলে আগে রাজনৈতিক নেতাদের ধরুন তারপর আর্মিকে নিয়ে খোচাবেন।

শেষ প্রশ্নঃ আপনি বা আপনার রাজনৈতিক দল লেফট রাইট করে কয় মন ধান ফলিয়েছেন??

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

দিনমজুর বলেছেন: কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্য একটু ধরায়া দিলেই তো হয়! আর কে বলল আমরা শাসক-শোষক রাজনৈতিক নেতাদের ধরিনা। আমাদের ব্লগের লেখাগুলোর উপর একটু চোখ বোলানোর অনুরোধ রইল।

ভাই আমরা লেফট রাইট করি না। তবে লেফট করি। মানে লেফটিষ্ট বলতে পারেন। বাংলাদেশের লেফটরা ধান ফলাতে পারুক আর না পারুক, কারো ধান লুটপাট করতে যায় নাই উল্টো কৃষকের ধান রক্ষায় সবসময়ই সোচ্চার থেকেছে।

লেখা পড়া ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৫০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: রিডার ওয়ান@

২. আর্মিও কর্পোররেট প্রতিষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে, এটা সত্য। ..........আমাদের দেশের সরকারগুলি সবসময় নিজেদের স্বার্থে কিছু প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে রাখে। এই ভূতগুলিকে তারাই খাওয়াইয়া খাওয়াইয়া মানুষ থেকে ভূত বানায় এবং যথাসময়ে কাজে লাগায়। সেনাবাহিনী, বিচারবিভাগ কোনটাই বাদ পরে নি। এই ভূতকে এখন ঠান্ডা রাখা হচ্ছে! পরে কাজে লাগানো হবে!!

আমি এ প্রসঙ্গে Jérémie Codron এর গবেষণা পত্র Putting Factions ‘Back in’ the Civil-Military Relations Equation Genesis, Maturation and Distortion of the Bangladeshi Army থেকে এরশাদের সামরিক তোষন নীতি ও সে নীতির সীমাবদ্ধা কারণ হিসাবে তাঁর পতন কেন হল উল্লেখ করছি।
''Ershad understood that mid-ranking officers must be controlled, because they are the men who directly command troops. For instance, the August 15, 1975, coup had been organized by such officers. So, he was making some of them millionaires, whereas others only received their usual salaries. Or, if officers were becoming dangerous, he used to punish them by appointing them to degrading positions. Every man who was not corrupt began to think that Ershad was destroying the army’s prestige.''

২০ বছরে ক্ষমতাসীন দ্বিদলীয় চক্র পুজিবাদের নিয়মে সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠানিক বোধ টুকু সেই prestige বোধ ধ্বংস করেছে ।রাষ্ট্রের প্রশাসন বিভাগ/ যন্ত্র বলি আর বিচার বিভাগ বলি সর্বত্র মুনাফা লুটবার তাড়না এখন্ও সমষ্টিক বা প্রতিষ্ঠানিক নয়। কিন্তু আজ দুই দুই প্রতিষ্ঠান হাতে হাত ধরে রাষ্ট্র যন্রতকে তাদের মুনাফা লুটবার হাতিয়ারে পরিনত করেছে।
এক, আইন বিভাগ যাকে বলি সংসদ।
দুই, সেনাবাহিনী।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

দিনমজুর বলেছেন: অসাধারণ!

৫১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

সর্বনাম বলেছেন: আইনী দিক থেকে কয়েকটা নোটঃ

১। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে দেয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, "বিক্ষুব্ধ জনতা সেনাবহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনাবশত কয়েক রাউন্ড গুলি বেরিয়ে যায়"।

এর মানে হলো, সেনাবাহিনীর অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়েছে তাঁরা স্বীকার করছেন।

কথিত ঘটনাস্থল সিভিল প্রশাসনের অধীনস্ত এলাকা; কোন সামরিক স্থাপনা, ক্যান্টনমেন্ট অথবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রশাসনিক আওতাধীন এলাকা নয়। ফলে ঐ সিভিল এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ত্ব সিভিল প্রশাসন পুলিশের। হাতে অস্ত্র থাকলেও পুলিশের সাহায্য নিতে সেনাবাহিনী বাধ্য। তা না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে সেনাবাহিনীর ঐ সদস্যরা ফৌজদারী অপরাধ করেছে। যে কোন সিভিল সামাজিক বিরোধে আইন নিজের হাতে না তুলে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতে নাগরিকেরা যেমন বাধ্য তেমন।

সেনাবাহিনীর সদস্যদের সিভিল এলাকায় ডিউটি করতে পাঠিয়েছে যে অফিসিয়াল আদেশ বলে সেই আদেশের ভিত্তি কী? কে পাঠিয়েছে? ঐ হাঊজিং প্রজেক্ট কী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল অপারেশনাল কর্মতৎপরতা? নাকি সেনাসদস্যদের ব্যক্তিগত? সরকার কী ঐ এলাকাকে সামরিক স্থাপনা এলাকা বলে সিভিল প্রশাসনিক এলাকা থেকে ওটাকে আলাদা ঘোষণা করেছিল?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি নেগেটিভ হয়ে থাকে তবে সেনাসদস্যদের ডিঊটিতে পাঠানোর সেই অফিস আদেশ বেআইনী এবং সেনা আইনেই অপরাধ্মুলক কাজ। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)
এই বিষয়ে তদন্ত করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য জানিয়ে নিজেদেরকে স্বচ্ছ করতে হবে।

সেনাসদস্যরা সরকারী জমি রেজিষ্টি অফিস এলাকায় গিয়ে জমি কেনাবেচা তদারকি করতে বসেছিল। সেনাসদস্যদের ঐ সিভিল প্রশাসনিক এলাকা কোন ডিঊটি করতে পাঠানো হয়েছিল? সে আদেশের এক্তিয়ার কী?

আবার সরকারও রেজিষ্ট্রী অফিসগুলো বন্ধ রেখেছিল, কোন আদেশে? কার আদেশে? ভিত্তি কী সে আদেশের?

আমরা সার কথায় দেখতে পাচ্ছি ব্যক্তিগত লাভালাভের উদ্দেশ্যে সেনাসদস্যরা নিজেদের অফিস, নিজেদের উর্দি, নিজেদের অস্ত্রকে ব্যবহার করেছে। ভুমিদস্যুরা যা যা করে ঠিক তাই তাই ভাবে জমি দখল করতে গিয়েছে।
আমরা কেঊ কী সেনা পোষাকের গায়ে ভুমিদস্যুতার দাগ দেখতে চাইব?
সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাবার, কলঙ্কমুক্ত রাখার স্বার্থে আভ্যন্তরীণ তদন্ত করে নিজেদের ক্লীন ইমেজ জনগণের কাছে অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। আমরা কী তা আশা করতে পারি?
আমাদের মনে আছে, প্রাক্তন সেনাপতি মইন ভুমিদস্যু বসুন্ধরার শাহ আলমের কাছ থেকে ষ্টেডিয়াম উপটৌকন নিয়েছিল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

দিনমজুর বলেছেন: আপনার তোলা আইনি দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।ধন্যবাদ।

৫২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৬

অ্যামাটার বলেছেন: একটা শক্তিশালী দেশপ্রেমিক স্বশস্ত্রবাহিনী চাই, পাকিস্তানের মত মাথাভারি পেটোয়া বাহিনী চাইনা।

৫৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
পড়লাম , মাথা উত্তপ্ত হইলো, কিন্তু তারপর?
সাত আটজন আর্মি বন্ধু আছে (নৌ,বিমান সহ) - তিনটারে ফোন কইরা মাথা গরমটা ঝাড়লাম। তারপর?

যে দ্যাশে আমার প্রকৌশল পাস করা বন্ধুরে বুঝাইতে পারি না 'ইউনিফর্ম' গায়ে দিয়া জমি কিনতে গেলে
কি সমস্যা, বা আর্মি কেন ব্যাবসা করবে এইটাই একটা বিরাট প্রশ্ন - সেই দেশে তারপর কি হবে?


[ মুখপুস্তিকায় ডিরেক্ট ম্যানুয়াল - কোনোভাবেই লিঙ্ক নেয় না, আজীব!!]

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

দিনমজুর বলেছেন: মাথা গরম কইরেন না।সমস্যাটা তো আর ব্যাক্তির না। সমস্যাটা প্রাতিষ্ঠানিক। সেইভাবেই এইটারে দেখতে হইব ও মোকাবেলা করতে হইব। ভালো থাকেন।

৫৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: পুরোটাই ছুঁয়ে গেল...আমার আর জামালের কোনও পার্থক্য নাই...সৃস্টিকর্তা আমাদের এক মাটি দিয়েই বানিয়েছন...যে মাটির টান জামালকে ভাবিয়েছে...সেটা আমারও সমান...

কদিন আগেও আমরা জানিনা আমাদের পায়ের তলার যে মাটি, সে মাটি আসলে পায়ের তলায় নেই...
অথচ আমরা এখনো এই গ্রামের দিকে পা বাড়াই...উৎসবে...আয়োজনে...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০১

রিডার ওয়ান বলেছেন:

@ লেখক:

আপনি আমার মন্তব্যে বুঝতে পারেন নি বা আমি বোঝাতে পারি নি বা আপনি বুঝতে চান নি। কারনটা হয়ত মন্তব্য আপনার লেখার বিপক্ষে গেছে! কিন্তু আপনার পোস্টের মর্মার্থ বুঝতে আমার একটুও অসুবিধা হয় নি!

পোস্টে বিদ্বেষের ভার স্পস্ট। আপনার বিদ্বেষ কি গোটাবিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর প্রতি? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান চরিত্রের প্রতি? সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির প্রতি? রূপগন্জ্ঞের কর্মকান্ডের প্রতি? নাকি তাদের যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তার প্রতি?

পোস্ট দেখে মনে হয় আপনি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রতি একধরনের বিদ্বেষ অনুভব করেন। রূপগন্জ্ঞের ঘটনাটিকে বিদ্বেষ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। হয়ত আপনার কোন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারনে। শুধু সামরিক বাহিনীর প্রতিই আপনার এই বিদ্বেষের কারনটা ব্যক্তিগত না হলে জানার কৌতুহল রইল। আপনি কি চান সামরিক বাহিনীহীন একটি রাষ্ট্র? সেটা করতে হলে ত বিশ্বের সব জায়গা থেকেই তা করতে হবে। আর সামরিক বাহিনী যদি রাখতেই হয় তাহলে তাদের সুযোগ সুবিধা ত দিতেই হবে। একটু কমমূল্যে আশা করছেন নাকি? /:)

কিন্তু মনে রাখবেন রাজনৈতিক নেতাদের বিষোদাগার আর একটি দেশের সামরিক বাহিনীকে বিষোদাগার করা এক কথা নয়। কথাটা ভালভাবে ভেবে দেখবেন।

আমি সামরিক বাহিনীর কেউ নই। আমিও আপনার মত নিরীহ পাবলিক যে কিনা ব্লগে এসে সরকারের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়ি! আপনারই মত পোস্ট লিখে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি হয়ত !! সুতরাং আমি তাদের হয়ে সাফাই গাইছি না। তারাও অনেক সময় অনেক অপরাধ করেছে। কিন্তু তাই বলে গড়পড়তা বিষোদাগার একেবারেই অযৌক্তিক এবং মাঝে মাঝে এটা বিপদজনকও হতে পারে। তাদের অবস্থান পরিস্কার করার দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। আমরা কেবল "অনুমাননির্ভর" মতামত দিতে পারি। কাজ ত করছে তারাই।

দেশ অস্থিতিশীল হলে আপনাদের "কিছুই করার" থাকবে না কেন? দেশের ভাল কি আপনারা চান না? /:)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৪

দিনমজুর বলেছেন: আপনার বক্তব্য অনুসারে সামরিক বাহিনী নিয়া কিছু বলা যাবে না, বললে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। আমরা কোন কিছু না বলার এই ধরণের স্থিতিশীলতার তোয়াক্কা করিনা। আর দেশের ভালো চাওয়া? দেশের স্বার্থ আমাদের কাছে শ্রেণী নিরপেক্ষ কোন ধারণা না। শ্রমিক কৃষক ও সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থই আমাদের কাছে দেশের স্বার্থ। ফলে শ্রমিক কৃষক ও সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থ লংঘন কইরা আর্মির স্বার্থ আমাদের কাছে দেশের স্বার্থ না। পরিস্কার?

আপনি প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ আছে কি-না? অবশ্য তারপর নিজেই লেখা থেকে বিদ্বেষের সুর আবিষ্কার করে ফেলেছেন। আসলে এই প্রশ্নটার উত্তরও শ্রেণী নিরেপেক্ষ ভাবে দেয়া সম্ভব নয়। সেনাসদস্যরা শ্রেণীগত ভাবে আমাদের কাছে উর্দি পরা কৃষক সন্তান। ফলে সাধারণ সেনাসদস্যদের প্রতি বিদ্বিষ্ট হ্ওয়ার কোন কারণই নাই আমাদের। তবে শ্রেণীগত ভাবে যে অফিসারসম্প্রদায় নিজেদেরকে এলিট শ্রেণীর অংশ মনে করে এবং ক্ষমতায় থাকা বুর্জোয়া শ্রেণীর স্বার্থে কাজ করে এবং নিজেরাও সেই শোষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তাদেরকে আমরা শ্রেণী শত্রু মনে করি।

রুপগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনায় সেনা প্রশাসনের যে কর্পোরেট শোষকের চরিত্রের পরিচয় ফুটে উঠেছে সেটাই সেনাপ্রশাসনের প্রতি(সাধারণ সেনা সদস্যদের প্রতি নয়) আমাদের ক্ষুব্ধতার কারণ।

আর সেনাবাহিনী বিহীন দেশ বা পৃথিবী চাই কি-না? শুধু সেনাবাহিনী না, রাষ্ট্র জিনিসটাকেই আমরা মনে করি এক শ্রেণী কর্তৃক আরেক শ্রেণীর উপর আধিপত্য আর শোষণের হাতিয়ার। শ্রেণীশোষণের অবসানের সাথে সাথে আমরা রাষ্ট্র্ ও তার সমস্ত আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানেরই বিলুপ্তি চাই।

৫৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পথে প্রান্তরে বলেছেন: আগ্রাসী জলপাই ভূমিদস্যুদের কাছে রূপগঞ্জের জনগণকে অসহায় ভাবে ছেড়ে দিলে পরবর্তী হামলার শিকার যে আপনার গঞ্জে হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নাই

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪১

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৫৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহবুব সুমন বলেছেন: বরাবরের মতোই দারুন ,
ফেসবুকে শেয়ার করলাম

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ

৫৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: @রিডার ওয়ান – অনেক ধন্যবাদ আপনাকে. পোস্ট দেয়ার সময় আপনার মন্তব্য চোখে পড়েনি, তাহলে আমার পোস্ট দেয়ার প্রয়োজন পড়ত না. এখন দেখতে পাচ্ছি, যথেষ্ঠ এলোমেলো লিখেছি. অদ্ভুত সুন্দর লিখেছেন, যুক্তি আর প্রজ্ঞার সাথে গোছানো লেখা. অন্ধ সাফাই আর অন্ধ বিদ্বেষের বৃত্তের বাইরে এমন নিরাবেগ, দায়িত্বশীল মন্তব্যগুলি দুবার পড়ে বুঝতে বাধ্য হয়েছি.

আগের মন্তব্যে একটি লিন্কের উল্লেখ করেছিলাম, আসেনি, আবার দিলাম Click This Link

৫৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৭

ক্লাউড নাইন বলেছেন: ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: পুরোটাই ছুঁয়ে গেল...আমার আর জামালের কোনও পার্থক্য নাই...সৃস্টিকর্তা আমাদের এক মাটি দিয়েই বানিয়েছন...যে মাটির টান জামালকে ভাবিয়েছে...সেটা আমারও সমান...

কদিন আগেও আমরা জানিনা আমাদের পায়ের তলার যে মাটি, সে মাটি আসলে পায়ের তলায় নেই...
অথচ আমরা এখনো এই গ্রামের দিকে পা বাড়াই...উৎসবে...আয়োজনে...


ইশতিয়াকের মন্তব্য খুব ভালো হইছে। মন্তব্যে প্লাস দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল।

৬০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৮

দেশী পোলা বলেছেন: হ, দ্যাশে উত্তর কোরিয়ার লাহান সমাজতন্ত্র চাই, তাইলেই তো আপনে ডুগডুগি বাজাইবেন =p~ =p~

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫১

দিনমজুর বলেছেন: না রে ভাই, আমরা কোন আমদানি করা সমাজতন্ত্র চাই না, আমাগো নিজেগো প্রয়োজন ও বৈশিষ্ট্য মন্ডিত সমাজতন্ত্রের ডুগডুগিই আমরা বাজাইতে চাই!

৬১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৮

সামদ বলেছেন:
মিডিয়ার লোকজনের মেরুদন্ড আগের থেকে কিছুটা হলেও শক্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাই আমরা নিচের খবরগুলো দেখতে পাচ্ছি-



১.

পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকেই রূপগঞ্জে সহিংসতা


নারায়ণগঞ্জ, অক্টোবর ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বসতভিটা হারানো এবং ন্যায্য দাম না পাওয়ার শঙ্কাই রূপগঞ্জের সহিংসতার মূল কারণ বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির উস্কানিতে নয়, নিজেদের রক্ষা করার জন্য এবং আবাসন প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই গত শনিবার ঘটেছে।



২. রূপগঞ্জ থমথমে

যেভাবে জমি কিনছে সেনাবাহিনী

রূপগঞ্জ বাজারের হোমিও ডাক্তার জোগীষ চন্দ্র জানিয়েছেন, এখানে বর্তমানে জায়গার দাম বিঘা প্রতি ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু সেনাবাহিনীর আবাসন তৈরি করার জন্য জোর করে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকায় জমি বেচতে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা এই দামে জমি বিক্রি করতে রাজি হচ্ছে না, তাদের দলিল ছিঁড়ে ফেলা হয়। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবু মিয়ার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা মহিবুর রহমান হজ্বে যাওয়ার জন্য অপর ছো্ট ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রি করতে চাইলে বেচতে দেয়া হয়নি। তারও দলিল ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাড়িয়াছনি গ্রামের মঈনুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম জানান, রাজউক ইতিমধ্যে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ হাজার বিঘা জমি হুকুম দখল করে পূর্বাচল উপশহর নির্মাণ করছে। একই এলাকার পূর্বগ্রাম, মুশুরী, বাড়িয়াছনি, নাওড়া এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে আর্মি হাউজিং প্রকল্পের কাছে জোর করে কৃষি জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। তাছাড়া কায়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২৪ মৌজার জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ ছিল। মাঝিনা মৌজার ৭০ লাখ টাকার জমি আর্মি হাউজিং প্রকল্পে বিঘা প্রতি ১৬/১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করছে। ভাইয়ের জমি ভাই, বোনের জমি ভাই, পিতার জমি পুত্র ক্রয় করতে পারছে না। জমির দাম কম দেয়া, ভূমি অধিগ্রহণ করার আশংকা, জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করে দেয়া, ওয়েব সাইটে গ্রামবাসীর জমি-ঘরবাড়িসহ পস্নট বানিয়ে প্রচার করা, প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ না করা, সেনাবাহিনী ও র্যাবের টহল বৃদ্ধি করা, বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের আশংকায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে।

রূপগঞ্জ থমথমে

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৮

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। মেরুদন্ড শক্ত হইছে কি-না জানি না তবে মিডিয়া নিশ্চই বোঝে হাওয়া কোন দিকে!

৬২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৮

আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ হউক।পোষ্টটি স্টিকি করা হউক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৪

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: ৭১ পরবর্তী সময়ের মেরুদন্ডবিহীন সেনাবাহীনীকে নতুন ভাবে গড়ে তুলেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান তার সময়েই সেনাবাহীনীকে আধুনিক করে গড়ে তুলা হয়েছিলো। সেনাবাহীনীকে মর্যাদা দেয়া হয়েছিলো, নাহলে আজো সেনাবাহীনী থেকে রক্ষী বাহীনীর মূল্য ও প্রভাব বেশী থাকতো। আজকের সেনাবাহীনী নিয়ে আমি কোন গর্ব করিনা। গর্ব কারার মতো কিছু খুজে পাইনা। যে সেনাবাহীনির কান্ডারী ছিলেন ওসমানী, জিয়া। সেনা বাহীনী থেকে আজ বের হয় মইনের মতো শুওর, ইতর ও কাপুরুষ।

আমি ভুলি নাই নেতা জিয়াকে হত্যা করেছে এই সেনা বাহীনী,
আমি ভুলি নাই এরশাদের পেটুয়া কুকুর বাহীনী হয়ে কাজ করেছে গনতন্ত্র পন্থী মানুষের বিরোদ্ধে।
আমি ভুলি নাই ২২ শে অগাস্ট যখন মইন লেলিয়ে দিয়েছিলো আমার বনধু ও সহপাটী ভাই বোনদের উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমি ভুলি নাই যখন দেশের সেরা ও চৌকষ কিছু অফিসারকে দরবার হলে দাওয়াত দিয়ে এনে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছিলো তখন মইনের নেতৃত্বের বীর্যহীন সেনা সেনাবাহীনীর কথা।
আমি ভুলি নাই যখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (ভিন্ন মতাবলম্বী) দের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছিলো এ বর্তমান নপংশুক সেনাবাহীনী।
আমি ভুলি নাই ২২ অগাস্ট হামলার পরে বিশ্ববিদ্যালয় হল ছেড়ে যাওয়ার দিন দু পয়সার মূর্খ সেনাবাহীনী আমার বোনদের কে ছুড়ে দিয়েছিলো বাজারের সমস্ত খিস্তি খেউর।
আমি ভুলি নাই বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির এক উজ্জল নক্ষত্র ব্যারিস্টার রেজোয়ানকে জিয়া বিমান বন্দরে বেধরক পিটানোর কাহীনী।


সেই সেনা বাহীনী আজ নিরীহ গ্রাম বাসীর উপর আক্রমন চালাবে স্থুল বানিজ্যক স্বার্থে এটাই স্বাভাবিক।
হয়তো কোনদিন দেখবেন কোন পিতা তার মেয়েকে সেনা সদস্যের কাছে বিয়ে না দেয়ার কারনে পুরো সেনা বাহীনী এসে তান্ডনবলীলা চালিয়েছে।

আজ সেনাবাহীনী মানুষের বন্ধু নয়। আজ সেনা বাহীনী ও পুলিশ বাহীনীর মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়না।

আজ সেনাবাহীনী নির্বাচনে জেতার অস্ত্র হয়ে গেছে। আজ সেনাবাহীনী আর বসুন্ধরা গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য নাই। হয়তো দেখা যাবে জমি দখল নিয়ে সেনা বাহীনী ও বসুন্ধরা সম্মুখ যুদ্ধে নেমেছে। আগেকার দিনের চর দখলের মতো।


বাংলাদেশের গর্ব সেনাবাহীনিকে নস্ট কারার জন্য রাজনীতিবিদদের চেস্টা শিঘ্রই সফল হবে বলে মনে হচ্ছে।

৬৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ১. বাংলাদেশের ক্যানটনমেন্টে আমরা ধান পয়দা করতে চাই

সেনানিবাসের অনাবাদি জমিগুলোতে বরাবর ধান চায করা হয়, সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি - আশা করি ধান নিয়ে ধানাইপানাই এবার বন্ধ করবেন.

২. আপনার দেখি বেসিকেই গন্ডগোল। আর্মি ব্যাবসা করলে সমস্যা কি সেইটা জিগাইতেছেন! এক কথায় বললে, দেশ রক্ষা বাদ দিয়া মুনাফার...

রূপগঞ্জ প্রকল্প ব্যবসার জন্যে হয় নাই, নিজস্ব আবাসনের খোঁজে হয়েছে. আর সেখানের ব্যবস্থাপনার দায়ীত্বে মূলত অবসরপ্রাপ্ত ও তাদের পোষ্যরা.


৩. --ব্যাপক মজা পাইলাম। কোথ্থেইকা গোপন খবর পাইলাম সেইটার লিংক তো দিয়াই দিছি, মাথা বেশি গরম হওয়ার কারণে দেখেন নাই না?

সূত্র খুব দেখেছি - মাথা গরম করে আপনিই স্বরিরোধিতা করছেন, কারণ আপনিই বলেছেন কারণ জাননের কোন উপায় নাই আমাগো।

৪. কে বলল দালাল ছাড়া জমি কিনতাছিল?

এ প্রসঙ্গে গত বেশ কিছু দিন আগে থেকে আমার যা জানা আছে তাই বলেছি, অকুস্থলে আমি ছিলাম না, তাই ঘটনার তাত্ক্ষণিক উত্পত্তির ও এর দায়দায়ীত্ব বিষয়ে আমি কিছু বলছি না - কিন্তু আপনি সব জানেন... কেন জানেন আমার সন্দেহের কথা আমি বলেছি 'আমি আপনাকে ভূমিদস্যুদের দালাল হিসাবেই চিনছি'

৫. ব্যাংকের কথা উল্ল্যেখ করা হইছে এর সাথে ব্যাংকিং স্বার্থের সংযোগ দেখানোর জন্য এবং গোটা বিষয়টার যে একটা বাণিজ্যিক চেহারা আছে, সেটা পরিস্কার করার জন্য!

২ নং এর উত্তর দ্রষ্টব্য

৬. বিডিআর বিদ্রোহ নিয়া আমাদের লেখাটাও পইড়া দেখতে পারেন

পড়েছি, দুয়ে দুয়ে চার মিলল - ওল্ড হ্যাবিট ডাইজ হার্ড

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৯

দিনমজুর বলেছেন: ১. আর্মিরা ধান কিংবা বাঙ্গি যাই চাষ করুক তাতে আমাগো কি? আর ঐ ধান চাষের হিসাব কৈ। ধান কিংবা অন্যকিছু আমরা চাষ করতাম চাই পাবলিকের মালিকানায়.. অর্থাত ক্যানটনমেন্টের হাজার হাজার একর জমি কি কাজে লাগছে তার হিসাব চাই এবং অকাজের জমি পাবলিকের মালিকানায় পাবলিকের স্বার্থে ব্যাবহার করতে চাই।

২. তাতো সব সেনা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই বলা হয়... সবই হয় সেনা কল্যাণের জন্য, ব্যাবসার জন্য নয়। আবাসনের জন্য তো বটেই, সেই সাথে বাণিজ্য কথাটাও যুক্ত করতে হইব। আবাসন বাণিজ্য।

৩. পুরা বক্তব্যটা ছিল এই রকম:

মিরপুর, সাভার, চিটাগাং, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, যশোর, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, ঘাটাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ময়নামতি ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় তার তালিকা আমাগো জানা নাই। মহাখালি, বনানি কিংবা মিরপুর ডিওএইচএস (ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি) এ অবসরপ্রাপ্ত অফিসারগণরে জনগণের জমি বিনামূল্যে বিলায়া দিয়া আমাগো কি লাভ হইছে তাও আমরা জানি না। সেনা কল্যাণের নাম কইরা সেনা কল্যাণ সংস্থা নামের এক অফিসার কল্যাণ সংস্থা কিংবা আর্মি ওয়েল ট্রাস্টের মতো মস্ত একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গইড়া কারা ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হইতাছে তাও আমরা জানি না। কারণ জাননের কোন উপায় নাই আমাগো।

এর মধ্যে স্ববিরোধিতা পাইলেন কই? বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ফৌজি বাণিজ্য সম্পর্কে বিবিসি'র প্রতিবেদন থেইকা কিছু বাণিজ্যিকা সংস্থার নাম আর কিছু খুচরা তথ্য পাওযা টি সত্যিকার অর্থে "কোন উপায়" হইল? ঐ রিপোর্টে কি ক্যানটেনমেন্টে কি কি হয় সব কিছুর হিসাব নিকাশ আছে নাকি ডিওএইচএস এর লাভ লোকসান এর কথা আছে? মাথা আপনার এখনও ঠান্ডা হয়নাই !

৪. অযথাই ভূমিদস্যূদের দালাল বইলা গালাগালি না কইরা কিছু যুক্তি টুক্তি থাকলে করেন। আমি তো বলছি অন্যরে দালাল বলার আগে নিজে কি করতাছেন সেইটা বিচার কইরা দেখেন...

৫. ২ নং দ্রষ্ট্যব্য

৬. ঠিকই ধরছেন, এখনই ঠিক লাইনেই আছি..

৬৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ভাই আমরা লেফট রাইট করি না। তবে লেফট করি। মানে লেফটিষ্ট বলতে পারেন। বাংলাদেশের লেফটরা ধান ফলাতে পারুক আর না পারুক, কারো ধান লুটপাট করতে যায় নাই উল্টো কৃষকের ধান রক্ষায় সবসময়ই সোচ্চার থেকেছে।

মোদ্দা কথাটা পেলাম - লেফটিস্ট! ধান ফলান নাই, তাদের জন্য সোচ্চার থেকেছেন! জনগণও সেই সোচ্চারের মানে বুঝেছে - পরগাছা না হয়ে সংসদে একটা সিটও পাননি এজন্যই.

আর যে সোচ্চারের গল্পটা বললেন, সেটা সবাই বোঝে - পরগাছা হিসাবে বিক্রি হওয়ায় জন্য মকারি.

সেই পুরানো মকারি আবার করছেন - ক্যারি অন প্লিজ... কিছু ধান্ধা না করলে দিন চলবে কিভাবে? পুঁজি তো এই একটাই!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৩

দিনমজুর বলেছেন: ব্লগে এই লেখা দেয়ার মাধ্যমে কেমনে ধান্দা করা যায় একটু বলেন না ভাই, আপনারা তো ধান্দার ওস্তাদ.. আপনাগো কাছ থেইকা কিছু শিখি!!

৬৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:১৪

রিডার ওয়ান বলেছেন:

@লেখক

আপনি বার বার সব জায়গাতেই সব সময়েই অন্যায় হয় জাতীয় কথা বলে বর্তমান অন্যায়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছেন।

সব জায়গার অন্যায়ের কথা বলে অন্যায় কে জাস্টিফাই করছিলাম না। অধিকাংশ মানুষ যে অন্ধ একচোখা নীতিতে কথা বলে সেটাই বোঝাতে চাইছিলাম। মূলত সেই কারনেই এই পোস্টে কমেন্ট করা। সেনাবাহিনীর “ভূমিদস্যুতা” নিয়ে কথা ওঠার আগে অন্য ভূমিদস্যুদের নিয়ে কখনও সবাইকে এত উত্তেজিত হতে দেখি নি। ভূমিব্যবসায় খুনোখুনি আগেও হয়েছে। এত জোরদার আন্দোলন, মিডিয়া কাভারেজ, এগুলো কিসের আলামত বুঝতে পেরেছেন? সেনাবাহিনীর ব্যপারে বিষোদাগার করতে গিয়ে “ভূমিদস্যুতা” কে ব্যবহার করা হচ্ছে। রূপগন্জ্ঞের “ভূমিদস্যুতা” ছাড়িয়ে আলোচনা অন্য অনেক দিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনটা যে ভূমিদস্যুতা আর কোনটা নয় এই সাধারন পার্থক্যটুকু বোঝা যাচ্ছে না শুধু সেনাবিদ্বেষ আর ওই Naïve চিন্তাধারার কারনে। শুধু প্রকৃত ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই বোঝা যেত সেনাদের উদ্দেশ্য "ভূমিদস্যুতা" ছিল না অন্য কিছু?! মানুষ হঠাৎ সেনাবাহিনীর ব্যপারেই ক্ষেপে উঠল কেন তা বোঝা যেত একচক্ষু নীতিতে চিন্তা না করলে! একটু মাথা খাটালেই বোঝা যেত সমস্যাটা আসলে কোথায়, সেনাবাহিনীর ভুমিকা এখানে কি ছিল?! কেন জনতা ক্ষেপে উঠল। কিন্তু বিদ্বেষের কারনে চিন্তাভাবনা যে সব ব্লকড হয়ে গেছে! /:) তাই বুঝিয়ে দেয়ার পরও ধরতে পারছেন না! B:-/

এখন বলতে পারেন অন্যদের মত সেনাবাহিনী কেন ভূমিব্যবসার মধ্যে জড়াল? সেটাযে তাদের উচিৎ হয় নি সেটা আগেই বলেছি।


মন্তব্যের জবাব গুলো পড়েই আপনার সেনাবিদ্বেষের কারণটা পরিস্কার হল! আসলে আমার আরও আগেই বুঝতে পারা উচিৎ ছিল আপনার প্রিয় পোস্টের লিস্ট, নিক ইত্যাদি দেখে। এখনও বইয়ের পাতায় পরে আছেন মনে হচ্ছে! বাস্তবতা থেকে বহু দূরে আবেগস্বর্বস্ব এক দুনিয়ায়! সেটা অবশ্যই আপনার নিজস্ব ব্যপার। তারপরেও সতর্ক করতে চাই, চে (যিনি খুব সম্ভবত আপনার একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব) কিন্তু ঘরে বসে বিপ্লব করেন নি। তিনি যতটা না তার দর্শনের জন্য তারও বেশি তার দর্শনের প্রয়োগের জন্য মানুষের কাছে আদর্শ হয়ে আছেন। যে নব্য পুজিবাদের আক্রমন ধেয়ে আসছে, আবেগস্বর্বস্ব স্বপ্নিল জগতে বসে থেকে তা মোকাবেলা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। /:) :-<


ভাল থাকবেন।



২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৮

দিনমজুর বলেছেন: চিন্তা কার ব্লকড হয়া আছে? কোন ব্যাবসায়ী গোষ্ঠীর পয়সা আর ভাড়া করা মাস্তানির জোরে ভূমি দস্যুতা করা আর রাষ্ট্রীয় এলিট নিরাপত্তা বাহিনী তার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার জোরে ভূমি দস্যুতা করা--- জনগণের কাছে দুটো বিষয়ে একই ধরণের প্রতিক্রিয়া আশা করেন ক্যামনে আপনে?

সব কিছুর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখার বদঅভ্যাস বাদ দেন। সারা দেশে প্রতিদিনই তো কত খুন হয়। কিন্তু একজন সাংসদের পিস্তলের গুলিতে একজন মারা গেলে কি পরিমাণ শোরগোল পড়ে দেখছেন? একই কারণে পাবলিকের পয়সায় চলা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যাবহার কইরা আকাম কুকামের বিরুদ্ধে লোকজনের ক্ষুব্ধতাও বেশি। এইটাই স্বাভাবিক এবং উচিতও বটে। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খুজা আরেক ষড়যন্ত্র, আসল বিষয় ধামা চাপা দেয়ার ষড়যন্ত্র!

হ, ভাই বইয়ের পাতাতে তো আছি অনেক দিন ধইরা, তবে আমরা যেসব বইয়ের পাতায় আছি সেইগুলা আর্মির ম্যানুয়াল না বাস্তবতার নিবিড় পাঠ। আর হ্যা, চে কিংবা অন্য কোন মহান বিপ্লবী সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষেরই প্রিয় ব্যাক্তিত্ব। প্রিয় ব্যাক্তিত্বের মতো হইতে পারিনাই বইলা তো দু:খ আছেই- তাগো মতো হইতে পারলে তো ব্লগে কিবোর্ড যুদ্ধ না চালায়া ঘটনা স্থলেই শ্রেণী শত্রু খতম করার সংগ্রাম করতাম।

তবে চেষ্টা ছাড়িনাই।আছি।

আপানে তো নব্য পুজিবাদরে ব্যাপক বুঝেন বইলাই মনে হইল। আসেন অলস একটা রাষ্ট্রীয় এলিট প্রতিষ্ঠানের নব্য পুজিবাদী হইয়া উঠা ঠেকানোর সংগ্রামের মধ্য দিয়া নব্য পুজিবাদের বিরুদ্ধে নব্য আন্দোলন শুরু করি!


৬৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৩

আমি ভালো ছেলে বলেছেন: +

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৪

শয়তান বলেছেন: গ্যালারীতে বসলাম ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২০

দিনমজুর বলেছেন: অনেক ক্ষণ হয়া গেল, এখনও আছেন?

৬৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২০

প্রশ্নোত্তর বলেছেন: @রিডার ওয়ান

ধরেন আমি খালি সেনাবাহিনীর ভূমিদস্যুতা নিয়া কথা কইবার চাই, এ্যানি প্রবলেম? আফনে বাকি দস্যুগো লয়া চিল্লান; না তো কেউ করে নাই!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২১

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক কথা। ধন্যবাদ

৭০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২২

হোমার জে সিম্পসন বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনি কুন কাজের কাজ করে না। তারা জনগনের টাকায় আরাম আয়েস করে। আর মাঝে মাঝে অন্যদের কাজে সাহাজ্য করে। সেনাবাহিনির পিছনে যত টাকা নষ্ট করা হয় আমাদের বাযেটে তত টাকা দিয়ে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া বানান যেত। সেনাবাহিনিতে যারা ইন্টার পাস দিয়ে ভর্তি হয় তারা আর কিছু করার যোগ্যতা রাখে না বলেই সেনাবাহিনিতে যায়।অনেকে তার পর কিছু পরা লেখা করে। বেশিভাগ করে না জানি।



এ দেশের সেনাবাহিনি কখন দেশে ভাল চায় নি। ১/১১ র পর তাদের অনেকে ভাল বেসেছিল। কিন্তু এখন তাদের চুরির অনেক গল্প বেরিয়ে আসছে। তারা বসুন্ধরার জমি বিক্রি করতে গিয়েই জমির দালালি শিখেছে। মানুষের প্রানের বিনিময়ে তারা বসুন্ধরার সাথে থাকা তথ্য প্রমান নষ্ট করেছে।



সেনাবাহিনির সদস্যরা ডিজিএফআইতে চাকরি করতে গিয়ে কি করে সেসব এখন বেরিয়ে এসেছে। তারা বিডিয়ারের টাকা মেরে খায়। যে কারনে বিডিয়ার জোয়ানদের খেপিয়ে তোলতে পারা সহজ হয়। বিডিয়ার বিদ্রোহিদের বিচার হবে কিন্তু যারা টাকা মেরে খেয়েছে তাদের বিচার কখনই হবে না।




দেশ বাচানর যুদ্ধে সাধারন মানুষরাই আগে থাকবে। সেনাবাহিনি সবসময়ে তার সাথে্ যায় যে ক্ষমতায় থাকে। দদেশের টাকা খেয়ে তারা মিশনের টাকা পায়। সে টাকা দিয়ে তারা ফ্ল্াট করে গাড়ি কিনে। দেশের মানুষ তখন না খেয়ে কাটায়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪০

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক কথা: "দেশ বাচানর যুদ্ধে সাধারন মানুষরাই আগে থাকবে।"

৭১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২২

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
পোস্টটি স্টিকি হবার দরকার ছিল ।

হয়নি, সেটা অস্বাভাবিকও না !

ব্লগমালিকরা সেনাবাহিনীকে ভয় পাবেন না, তা কি হয় !


রূপগঞ্জে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু : যৌনহয়রানির প্রতিবাদে সোচ্চার শিক্ষকের প্রাণ নাশ : কিবোর্ড সিপাহীর দু'পয়সা

এইখানে এট্টু চোখ বুলায়েন , সময় থাকলে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: লেখাটি পড়লাম। ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৭২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৯

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:

হোমার জে সিম্পসন বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনি কুন কাজের কাজ করে না। তারা জনগনের টাকায় আরাম আয়েস করে। আর মাঝে মাঝে অন্যদের কাজে সাহাজ্য করে। সেনাবাহিনির পিছনে যত টাকা নষ্ট করা হয় আমাদের বাযেটে তত টাকা দিয়ে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া বানান যেত। সেনাবাহিনিতে যারা ইন্টার পাস দিয়ে ভর্তি হয় তারা আর কিছু করার যোগ্যতা রাখে না বলেই সেনাবাহিনিতে যায়।অনেকে তার পর কিছু পরা লেখা করে। বেশিভাগ করে না জানি।

তুমি আমার বালডা জানো!

৭৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৪

মরিযাদ হারুন বলেছেন: আপনাকে লাল সালাম।
প্রিয়তে রাখলাম এবং +৫।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৭

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ

৭৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৯

কর্ন বলেছেন: কিছু মানুষের জলপাই রঙের ভালোবাসা দেইখা অবাক হইলাম

৭৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১০

কর্ন বলেছেন: কিছু মানুষের জলপাই রঙের ভালোবাসা দেইখা অবাক হইলাম

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৩

দিনমজুর বলেছেন: জলপাইদেরকে এইরকম কইরাই ভাবতে শিখানো হয়, ভালোবাসতে শিখানো হয়।

৭৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৭

মনির হাসান বলেছেন: রুপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?” টাইটেল ব্যানারেই একশয় একশ


আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ হউক।পোষ্টটি স্টিকি করা হউক।

৭৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৩

আমিরনী বলেছেন: I agree,Thanks.

৭৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৫১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আস্তে আস্তে সারাদেশ ভরে যাবে ডিওএইচএস আর এইচএসএ তে।
দেশ দুভাগ হয়ে যাবে। সাধারন পাড়া বনাম অভিজাত এইচএসএ পাড়া।
ব্যবসা দুই ধরনের হয়ে যাবে, সাধারন পাবলিকের মারখাওয়া ব্যবসা বনাম খাকি কল্যান সুবিধাভোগী ব্যবসা।
সরকার শুধু তাদের জন্যেই হবে, সাধারন মানুষ বৈষম্যেই মধ্যে পড়ে থাকবে।

রীতিমত ভেদাভেদ হয়ে যাচ্ছে দেশটায়। আর্মিরা এতটাই এলিট হয়ে যাচ্ছে যে সাধারন মানুষ নিজেদের একসময় খড়কুটো ভাববে হয়ত। একটা ভয়ংকর ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখছি।

৭৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করা উচিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে সে আহবান জানানোর অনুপ্রেরণা পেলামনা।
কারণ সামহোয়ারের পোস্টগুলোর মধ্যে শুধু এই একটি পোস্টই এখন ফেসবুকে শেয়ার করা যাচ্ছেনা। কর্তৃপক্ষ যদি এটা শেয়ারের অপশন বন্ধ করে দিয়ে থাকেন তবে সেটা তারা এখানে উল্লেখ করে রাখলেই পারেন।

বাংলাদেশ আর্মি আবারও দেশটাকে ডোবাতে যাচ্ছে। পাকিস্তানকে দেখে যদি আমরা এখনই সচেতন না হই তাহলে সর্বনাশ নেমে আসতে বাধ্য। অস্ত্রধারী সংগঠনের এরকম সবকিছুতে নাক গলানো ভালো লক্ষণ না।

যেখানে শহর থেকে ক্যান্টনমেন্ট উঠিয়ে দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে, সেখানে নানান জায়গায় এমএইচএস/এএইচএস/বিএইচএস গড়ে তুলে তারা কি করতে চাচ্ছে সেটা দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি।

৮০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২১

মাহবুব সুমন বলেছেন: এই দেশ আর্মির বাকি সব বালছালের, বালছাল মরলে কি এসে যায় !

আপনার এই লেখা ফেসবুকে সরাসুরু শেয়ার করা যাচ্ছে না কারগরী শয়তানীর কারনে। অন্য কোনো মিডিয়ায় পূনঃ প্রকাশ করা যাবে প্রচারের স্বার্থে ?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২১

দিনমজুর বলেছেন: অবশ্যই পুনপ্রচার করা যাবে। ধন্যবাদ।

৮১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৬

সত্যান্বেষী বলেছেন: ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: "আপ্নে কি স্পটে ছিলেন ঐদিন ?"

কতবড় আবাল হইলে মানুষ এই কথা বলতে পারে? যারা স্পটে যায় নাই তারা কি ঘটনা জানতে বা বুঝতে পারে না? সিরাজদৌলার সাথে ক্লাইভের যুদ্ধের সময় কি আপনার বাপের জন্ম হইছিল? তার মানে কি সেই যুদ্ধের কারণ ফলাফল এইসব বিষয়ে আপনার কথা বলা সাজে না?

একই আবাল আরেকটি 'মহাগুরুত্ত্বপূর্ণ' প্রশ্ন ছুড়েছেন: "কবে দেশে কোন দুর্যোগটা লাগছে আর আর্মি সেইখানে যায়নাই?"

বলি, আর্মিরে জনগনের পয়সায় বানানোই হইছে ক্যান? জনগনের খেদমত করার জন্য। অর্থাৎ তারা হইল গিয়া ক্ষেতের বেড়ার মতো। কিন্তু বেড়া যখন ক্ষেত পাহারা না দিয়া ক্ষেত খাইয়া ফালানোর কাজে মন দেয় তখনই মানুষ নেমে আসে রাস্তায়।

আর হ্যা ছ্যাকামাইছিন আবালের অবগতির জন্য আরেকটা তথ্য দেই। প্রসঙ্গ: "কবে দেশে কোন দুর্যোগটা লাগছে আর আর্মি সেইখানে যায়নাই ?" ১৯৮৮-র বন্যায় এক পর্যায়ে ডিনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) বাধে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়। যেকোন সময় তলিয়ে যাবে দশ লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আপনার সেই আর্মি নামের সেবকদের টিকিটিরও দেখা পাওয়া যায়নি। বাধের ভিতরের মানুষ (এর মধ্যে আমিও ছিলাম) নিজেরা মাটি/বালি দিয়ে বস্তা ভরে বাধের ফাটল ঠেকায়। পানি ঠেকানোর কাজ যখন চূড়ান্ত তখন আপনার সেই আর্মি আসে ভিডিও ক্যামেরা আর কিছু পোষা সাংবাদিক নিয়ে। তারা যখন দুই-এক কোদাল মাটি কাটে আর ভিডিও করতে শুরু করে মানুষ তখন এই অসহ্য প্রহসনকে সহ্য করতে না পেরে জুতা, ইট, শক্ত মাটির ঢেলা মারতে থাকে আর্মির উপর তাদের গাড়ির উপর। তখনকার আর্মি এখনকার মতো এতটা খারাপ হয়ত ছিল না, তাই তারা রুপগঞ্জের মতো গুলি না চালিয়ে মানে মানে সরে গিয়েছিল গাড়ি নিয়ে। ডিনএনডির দশ লাখ মানুষ এই ঘটনা জানে।

৮২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৭

সত্যান্বেষী বলেছেন: আমার যতটুকু মনে হয় এই লেখা স্টিকি হবে না। এই লেখা এস্টাব্লিশমেন্ট বিরোধী তাই। তবে এর বহুল প্রচার যারা চান তারা এর লিংক ফেইসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিতে থাকেন। উল্লেখ্য লেখাটির সন্ধান আমিও পেয়েছি ফেইসবুক থেকে।

৮৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে সব সরকারই সেনাতোষণ নীতিতে বিশ্বাসী। তাই জনগণের স্বার্থ কখনোই মূখ্য বিষয় নয়।

সাহসী পোস্টে ১০০০০০০ প্লাস!

অভিনন্দন!

৮৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৪

স্বপ্নশিকারী বলেছেন: লাল সালাম।

৮৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

হিজলবন বলেছেন: অন্য দেশের তাবেদার সেনাবাহিনী আমাদের দেশে দরকার নাই। ওদেরকে ছাটাই করে মাত্র ১ লাখে নিয়ে আসা হোক। ওখান থেকে যে জায়গা পাওয়া তা দেশের দরিদ্র সমাজের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হোক।

৮৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৫

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: Some where in blog ধন্যবাদ।
লেখাটি আর কত সময় মুক্ত থাকে সন্দেহ।

ইতিমধ্যে ফেইসবুক এটাকে ব্লক করা হয়েছে।

৮৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫০

ছোটমির্জা বলেছেন: আর্মির অলস দেশ প্রেম ধুইয়া পানি খাইলে কৃষকের পেট ভরবো না। ফলে আর্মি তেরছা রাস্তা ধরলো।।
...কোন দিকে যাচ্ছি আমরা?

৮৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০০

ক-খ-গ বলেছেন: দিনমজুরকে নতুন করে কিছু বলার নেই! গ্রেট শব্দটা নিতান্তই পানসে হয়ে গেছে ওনার কাছে।

তবে সামহ্যয়ারইন কে ব্রাভো, আমি চমকে গিয়েছি, এই লেখা ষ্টিকি হলো....

৮৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০১

অক্টোপাস বলেছেন: সেনাবাহিনী কতৃক ৯শ কোটি টাকা লুটপাট।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার তোলা এই প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ( রেফারেন্স থাকলে খুব ভালো হতো):

তত্বাবদায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরী সভা ডেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ২৮ডিসেম্বর ২০০৮ প্রকল্প অনুমোদন করে। কোন দরপএ ছাড়াই ১হাজার ৮শ কোটি টাকার এত বড় বিশাল প্রকল্পের কাজের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে দেয়া হল কেন? যা সম্পুর্নরূপে বে-আইনী। বিষয়টি প্রশ্নকারে আসায় ব্যপক আলোচিত হছে। সচেতন মহলে শুরূ থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, এধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কোন যোগ্যতার বলে কোন নীতির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেনা বাহিনীকে? নগরায়ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষীত অনেক প্রকৗশলী আছে বাংলাদেশে। কেনো হাতিরঝিলে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়নি? কেনোইবা এলজিইডিকে পাশ কাটিয়ে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের এতবড় দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হলো?

৯০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৪

দিনমজুর বলেছেন: লেখাটি স্টিকি করার জন্য সামহোয়ার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং যারা কালকে লেখাটি দেয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে লেখাটির সাথে থেকেছেন, সমর্থন জানিয়েছেন এবং স্টিকি করার জন্য দাবী জানিয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ।

রুপগঞ্জ বাসীর আন্দোলন সংগ্রাম শেষ হয়নি। এখন্ও নিখোজ লাশের সন্ধানে কাদছে স্বজন। নামে বেনামে তিন চার হাজার গ্রাম-বাসীর নামে মামলা করা হয়েছে যেন যাকে তাকে মামলা দিয়ে যখন তখন হয়রানি করা যায়।

পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, প্রসাশন বলছে, সকল গ্রামবাসীকে হয়রানি করা হবেনা, কেবল প্রকৃত অপরাধীদেরই নাকি শাস্তি দেয়া হবে। প্রকৃত অপরাধীদের যদি শাস্তি দিতে হয় তাহলে সেনা প্রশাসনের যেসব ব্যাক্তি এই ভূমি দস্যুতার সাথে যুক্ত ছিল, যেসব দালাল তাদের হয়ে লোকজনকে চাপ দিয়েছে-- তাদের কেই শাস্তি দিতে হবে। একজন সাধারণ গ্রামবাসীকেও হয়রানি করা যাবে না।

পত্রিকায় এসেছে, এ প্রকল্প নাকি ছোট করা হবে। আমরা প্রকল্প ছোট করা নয়, এরকম জোর-জুলুমের প্রকল্প বাতিল করার দাবী জানাই এবং এর মধ্যে দিয়ে সকল ভূমি-দস্যুতা বন্ধ এবং সারা দেশের সকল দখলকৃত ভূমি বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবী করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

৯১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৭

শরিফ নজমুল বলেছেন: একমত।
আর্মীর বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।
অবশ্য দুর্ণীতিতে ধ্বজভংগ হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র থেকে ভাল কিছু আশা করা নেহায়েত গাধামী।
আপনার সাহসী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৯২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৯

রুহানি বলেছেন: একতরফা লেখার জন্য মাইনাস...আপনি কি বিপ্লবি নাকি??? :) গ্রামবাসীরে সাথে নিয়া বিপ্লব ঘটাবেন? সবকিছু নরমালই আছে। আপনার এসব একতরফা তথ্যমূলক পোস্ট না দিলেই ভাল হয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৭

দিনমজুর বলেছেন: ভাই আমাগো লাগবোনা, গ্রামবাসীই যথেষ্ট। যা করার তারাই করছে এবং ভবিষ্যতেও করবো। চিন্তা কইরেন না!

৯৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৩

নতুন রাজা বলেছেন: একমত...

৯৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৫

দিনমজুর বলেছেন: বাণিজ্যিকী করণের ফলে পাকিস্তিনি সেনাবাহীনিতে কি হয়েছে এবং হচ্ছে সেসব সম্পর্কে আমাদের আবছা হলেও একটা ধারণা আছে। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও কিন্ত একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। আসুন দেখি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটা প্রতিবেদনে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর ভূমি দস্যুতা বিষয়ে কি বলা হয়েছে:

Military foundations were set up beginning in the 1960s to provide social services, such as housing and education, for the troops and their families. They soon expanded into businesses ventures as a way to generate revenue, ostensibly to pay for their welfare activities.


Yayasan Kejuangan Panglima Besar Sudirman (YKBPS). In 2006, YKBPS owned three universities, a high school, and hospital.132 A second foundation, Yayasan Kesejahteraan Perumahan Prajurit (YKPP), was involved in housing, while the ministry’s third
foundation, Yayasan Satya Bhakti Pertiwi (YSBP), had numerous profit-oriented companies.

In early 2006 an army colonel and a private citizen were arrested on charges of conspiring to embezzle as much as $14 million from the army’s housing fund.

Indigenous communities in Riau province reported that during the Soeharto era thousands of hectares of community land were seized under intimidation from armed police and military, and without any compensation.

In 1967, citing “national security considerations” in the wake of a border dispute, the Indonesian government granted a military-owned company, PT Yamaker, concession rights on a huge tract of land covering more than one million hectares along the Indonesia-Malaysia border.

সবাইকে রিপোর্ট পড়ার আহবান জানাচ্ছি। রিপোর্টটি ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে:

Click This Link


৯৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৬

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট -
রুপগন্জবাসীর সাহসিকতাকে সালাম।
সাথে ব্লগের মানুষের জনেরও সাহসিকতা আছে- না হলে এই ধরনের পোষ্ট করতে কলিজা লাগে।
------------
আমার জানা মতে ব্লগেই ডিজিএফআই এর ইনফর্মার আছে - ওরা সব মনিটর করে -
করুক - দেখুক -
বুঝুক মানুষ জলপাই উর্দিকে কতোটুক ঘৃনা করে।
-------------

রিডার ওয়ান ভাইজান সেনাবাহিনীর একজন এ্যাপোলোজিষ্ট - সমস্যা নাই - আপনার কথা গুলোও মনদিয়া পড়লাম -
আমার কথা শুধু একটাই - এই যে এতো বালছিড়ু তাল সেনাবাহিনীর এতো ক্লিন ইমেজের ফুটানি ***য় -- রাজনীতিবিদ ব্যসবায়ী চাকুরীজীবিরে ইচ্ছা হলেই রুলের বাড়ি দেয়ার হিম্মত করে -
তারা আবার কর্পোরেট মাখন চাটতে যায় কেন ? তারা কেন
জমির প্লটের স্বপ্ন দেখে -
ক্লিন ইমেজ নিয়া - খড়ের বিছানায় শুইয়া থাকতে পারে না ?
জমির না নিয়া টিনের চালায় থাকতে পারে না -

জিভ যখন বড় হৈসেই - তবে মানুষেরে উঠতে বসতে লাথি দেয়া বন্ধ করতে হবে - নিজের এলিট ফুটানিও বন্ধ করতে হবে -

বাংলাদেশের মানুষ এখন পাল্টা লাথ্থি দেয়া শিখসে ।
এখন তো রুপগন্জে ধাওয়া খাইলো -- বেশি বাড়াবাড়ি করলে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে গিয়া মাইর খাবে ।

নিজের সম্মান নিজে না রক্ষা করতে না পাড়লে - আরেকজনে প্যান্ট টাইনা ধইরা পাছা বাচাইয়া দিবো না

-----------

সেনাসদস্যরা শ্রেণীগত ভাবে আমাদের কাছে উর্দি পরা কৃষক সন্তান। ফলে সাধারণ সেনাসদস্যদের প্রতি বিদ্বিষ্ট হ্ওয়ার কোন কারণই নাই আমাদের। তবে শ্রেণীগত ভাবে যে অফিসারসম্প্রদায় নিজেদেরকে এলিট শ্রেণীর অংশ মনে করে এবং ক্ষমতায় থাকা বুর্জোয়া শ্রেণীর স্বার্থে কাজ করে এবং নিজেরাও সেই শোষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তাদেরকে আমরা শ্রেণী শত্রু মনে করি।

এই কথা কয়টা ব্যাপক লাইক হৈলো । বুড়া আঙুল উচায় ধরার ইমো হৈবে।

তবে সমাজতান্ত্রিক ফর্মূলাই সর্বরোগের মহাওষুধ এটাও আমি মনে করি না

---------------

ক্ষতিগ্রস্থ নিকটাতো জানতাম - পয়েন্ট টু পয়েন্ট কথা বলে -
এখন তো মনে হয় কাপড় ধরে রাখা দায় হয়ে গেসে- @ক্ষতিগ্রস্থ - সাধারন মানুষের চোখে আর্মিরে দেখার চেষ্টা করেন - না হলে কয়দিন পর নিজের পোষ্ট পড়ে নিজেরে গাইল পাড়বেন - কাগো দালালী করতে গেসিলাম বইলা।
--------------

@জ্বিনের বাদশা : ফেসবুকে শেয়ার কে বন্ধ করসে জানি না - তবে শেয়ার করা যাইতাসিলো না- আমি একটু ট্রিক খাটাইলাম -
শেয়ার দেয়ার পর - ফেবুর ভিতরের হেডিং ক্লিক করে কয়েকটা অক্ষর কমায়া দেন -
কাজ হয়ে যাবে

আর বাকি সবাইও শেয়ার করেন।

--
@লেখক - অনুমতি দিলে লেখাটা শেয়ার করতে চাই

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২০

দিনমজুর বলেছেন: আপানর চমৎকার আলোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই শেয়ার করবেন। সবার সাথে শেয়ার করার জন্যই তো লেখা।

৯৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৭

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এরকম পোস্টেরই অপেক্ষায় ছিলাম।সবার লুটপাটের মহরা দেইখা আর্মিগোও লুটপাটের লোভে পাইছে।

৯৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৯

কামাল আহমেদ বলেছেন: No comment

৯৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২২

সত্যান্বেষী বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করে সা.ইন কর্তপক্ষ যে সাহসিকতা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

৯৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২২

মাইন রানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্য

১০০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২২

পারভেজ আলম বলেছেন: রুপগঞ্জবাসীরে লাল সালাম! পোস্ট স্টিকি করায় ব্লগ কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ। আর দিনমজুরকে ধন্যবাদ সঠিক সময়ে এই পোস্ট দেয়ায়।

১০১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৪

পারভেজ আলম বলেছেন: সত্যান্বেষী, আমি আসলেই সন্দেহে থাকি যে সামহোয়ারইনব্লগ এই দেশের শোষিত মানষের পাশে দাঁড়াইতে কতদুর পর্যন্ত সাহসের পরিচয় দেবে? আজকে আমার সন্দেহ কিছুটা হইলেও কমছে। সামু এই স্ট্যান্ড ধইরা রাখুক এই কামনা করি।

১০২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৪

ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই পোস্টটার জন্য। সামহোয়ার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ। পোস্টটা স্টিকি না করলে খুঁজে পাইতাম না।

১০৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৪

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

১০৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:২৫

শাহেদ জামান বলেছেন: এখোনো সময় আছে সচেতন হবার না হলে নিরিহ মানুষ গুলা প্রান দিবে একটুকরো ভিটামাটির জন্য। আর এর দায়ভার সরকারকেই নিতেহবে। পোস্টি সময় উপোযগি ধন্যবাদ পোস্টির জন্য।

১০৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

পারভেজ আলম বলেছেন: এই ব্লগেই একবার কার কার সাথে জানি তর্ক হইলো যাতে আমি দাবি করছিলাম যে বাংলাদেশের আর্মির মাথা থেইকা পাকিস্তানী ভুত এখনো নামে নাই, আশা করি তাদের চোখ কিছুটা হইলেও খুলবে।

বাংলাদেশের মতো দরিদ্র একটা দেশের আলাদা সেনাবাহিনী থাকার দরকার কি সেইটাই বুঝিনা। বড় বড় কেন্টনমেন্টে বইসা বইসা আর জনগণের উৎপাদিত অন্ন আর অন্যান্য সম্পত্তি ধ্বংস কইরা পাছায় চর্বি জমান আর নানাবিধ কসরৎ কইরা সেই চর্বি কমান, এই ছাড়া বাংলাদেশের আর্মির আর বিশেষ কোন কাজ আছে বইলা তো মনে হয় না। আমার ঠিক মনে নাই, তবে এত এত টাকা আর অন্ন ধ্বংস করা এই আর্মি ভারতের আগ্রাসন নাকি ১৫ দিনের বেশি ঠেকাইতে পারবেনা, ঐ ১৫দিনই তাগো দৌড়। এই ১৫ দিনের পেছনে এত টাকা খরচ না কইরা আমরা গণবাহিনী বানাই না কেন এইটা একমাত্র আমাগো পবিত্র সংসদ ভবনের পবিত্র মানুষগুলাই মালুম। তুর্কি, কোরিয়ার মতো দুনিয়ার বহুত দেশেই গণবাহিনী আছে, নিয়মিত সেনাবাহিনীর বাড়তি খরচা এরা কান্ধে নিতে চায় না। আর আমগো হালার বাঙালির কান্ধে এত্ত জোর কবে হইলো ঐ পবিত্র সাংসদরাই মালুম।

১০৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

সত্যান্বেষী বলেছেন: পারভেজ আলম এর সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই: "সামু এই স্ট্যান্ড ধইরা রাখুক এই কামনা করি।"

১০৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

সহজ পৃথিবী বলেছেন: সামুর জন্মের পর থেকে আজ প্রথম একটা সঠিক পোষ্ট স্টিকি দেখলাম। ধন্যবাদ কতৃপক্ষকে।

১০৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪২

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: লেখাটি ফেইসবুক দেয়ালে শেয়ার করতে ব্যর্থ হয়ে .........ভিন্ন একটা পথে চেষ্টা করলাম................

Col.Taher(কর্নেল তাহের) শীরনামে ১৬০০ + সদস্যের একটা গ্রুপে আমি Admins এর দায়িত্ব পালন করি। Admins হিসাবে মেসেজ আকারে সকল মেম্বারকে মেইল করতে গিয়ে ও .....................

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

দিনমজুর বলেছেন: টেকি ভাইরা একটু গবেষণা কইরা দেখলে খুব ভালো হয়, ক্যান এই লিংকটা শেয়ার করা যাচ্ছেনা, এইটা কি লেখার কোন ছবি বা অন্যকোন বিষয় ফেসবুকের সাথে কনফ্লিক্ট(!) করছে নাকি এটা কোন ধরণের ব্যান?

১০৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৩

হিজলবন বলেছেন: যে ১৪ জনের ভালো লাগেনি তারা নিশ্চয় সেই বাহিনীর সদস্য।

১১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শূন্য আরণ্যক এর এই রাস্তাটা, ফেসবুকে শেয়ার কে বন্ধ করসে জানি না - তবে শেয়ার করা যাইতাসিলো না- আমি একটু ট্রিক খাটাইলাম -
শেয়ার দেয়ার পর - ফেবুর ভিতরের হেডিং ক্লিক করে কয়েকটা অক্ষর কমায়া দেন -
কাজ হয়ে যাবে , কাজ করে।

আপনারা ট্রাই মারেন।

১১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আমি একটু কই...

আমি কিঞ্ছিত সৈরাচারি মনের, হিটলার টাইপ... আমার দেশের দরকার হিটলার টাইপ সেনাবাহিনি, যার একটা খারাপ দিক বাদ দিলেই প্রকৃস্ট নেতা বলা চলে... যা হোক আমি কিছু বিপক্ষে বলব সেনাবাহিনির...

১। আমার একটা কাজিন, নেভির কমোডর ছিলেন, ২য় ইন কমান্ড... বনানি নেভি হেড কোয়ার্টারে থাকতেন... রিটায়ার্ড করেছেন গত বছর... তার ২টা ছেলে... তা বাড়িতে গেলে আমি যা দেখি, তা হলো... একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি, রুম কত গুলা বলতে পারব না, ৩টা কাজের লোক, ২টা কেয়ার টেকার, ৩টা সরকারি গাড়ি...সেই বাসায় ঢুকলে আপনার বের হতে ইচ্ছা হবে না। আমি জানি না, আমাদের সরকারের কত কি আছে । দেশের মানুষ গরীব মনে হবে না ওদের বাসায় ঢুকলে।

২। র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গা হোলো, অবৈধ । ভাল কথা । কিন্তু আমার একটা পুরানো এয়ারপোর্ট কতটুকু জরুরী যে এমন একটা বিল্ডিং ভাংতে হবে যেখানে অনেক গুলা বড় বড় কোম্পানির অফিস আছে, আর এইসব কোম্পানি সরাসরি ট্যাক্স প্রাদান করতেছে । ঠিকাছে বিল্ডিং টা জরুরী ভাঙ্গা, ওখান থেকে রাস্তা হবে, এখন বলেন যারা ওই বিজয় স্বরনী রোড টা ব্যবহার করেন, তারা কতটুকু উপকার পাচ্ছেন। জ্যাম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ঐ খানে সেনাবাহিনি বসাতে হয়েছে রাস্তা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই গুলা হচ্ছে আমাদের দেশের সরকার এবং তদকালীন সেনাবাহিনির উর্বর মস্তিষ্কের ফসল। প্লান আগেই করতে হবে, কি হতে পারে এবং কি না হতে পারে। তাও যদি রাস্তা টা অরজিনাল প্লান এ করতে পারত। আকাবাকা রাস্তা গুলা করা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধিন বাড়ি গুলা ভেঙ্গে কিন্তু ঐ স্থানে রাজুকের প্লান এ পরা অবৈধ সরকারি বিল্ডিং গুলাকে বাচিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। সেনাবাহিনি সরকার কি করতে পারে তাদের মগজ দিয়ে উপর্জপরি বলতে হয় অসৎ উদ্দেশ্যে। একটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে, হিসাব করতে হবে আমার SWOT. ব্যাবসায়ী দের বিরক্ত করে যে একটা গরীব দেশ উন্নতি করতে পারে না, তা তো দেখতেই পারেন। আর সব সমস্যার ই বিকল্প সমাধান থাকে। ভাঙ্গা ই সব সমস্যার সমাধান না, গড়তে হবে গরীব দেশের উন্নতি তে।

৩। গত বি.এন.পি এর সময় এ.আই.ইউ.বি এর মিজান নাম এ একটা ছেলে কে র‌্যাব ধরে মারছিল এক রাতে এবং সে তার ২দিন পর মারা যায়। পরে জানা যায় যে তারা যে সন্ত্রাসী মিজান কে খুজতেছিল এই মিজান আসলে সে না । কি আর করা, বাংলাদেশে মাফ চাইলে তো আর কিছু বাকি থাকে না ।

৪। ঢা বি তে যে ঘটনা না টা ঘটিয়েছিল ছাত্র এবং সেনাবাহিনি সেখানে তো সেনাবাহিনি নায়ক বেশে ফিরেছিল, তা সবার মনে আছে । কিন্তু আমি মনে করি এই ঘটানার পুর্ব কিছু নিদর্শন ই বলে দেয় ছাত্র রা কতো বিরক্ত ছিল। প্রথম কথা, ঢাবি তে রাজনিতি আছে, থাকবে। সেটা সুস্থ হোক তা সবার ই কাম্য কারন বাংলাদেশ স্বাধিনতার সব গুলা ক্ষেত্রেই ঢাবি এর অবদান না মানার মত নয়, সেখানে সেনাবাহিনি ক্ষমতা নেয়ার পরি সেনা মোতায়েন করা হলো যাতে কোনও অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে । কিন্তু আপনার কি মনে হয়, ঢাবি এর সবাই সন্ত্রাসি ? কাউকে সন্দেহ হলেই তুই তোকারি করা হতো । যাহক বুঝলাম এ রকম ই তাদের ব্যবহার, কিন্তু একটা কথা কি, এই রকম স্থানে ছাত্র দের সাথে খারাপ ব্যাবহার করার পরিনতি কি তা তো মানুষ দেখছেই। ছাত্র ছাত্রি দের যখন ২ঘন্টার মধ্যে হল ছাড়তে বলা হলো, এদিকে পুরা ঢাকা তে কারফিউ, গাড়ি বন্ধ, আমি জানি না কিভাবে একটা মেয়ের পক্ষে তার বাড়ীতে ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেনাবাহিনি ই বলতে পারবে। মানুষ বিরক্ত হলে কি ঘটতে পারে তাই ঐ সময় ই বুঝতে পারা গেছে, আর আমাদের সেনা বাহিনি কতোটুকু কার্যকর সমাস্যা সমাধানে তা আমরা ছাত্র রা বুঝছি । আপনাদের ও বোঝার কথা।

৫। আমাদের বি-ডি-আর বিদ্রোহ, আমি জানি না একটা গ্রুপ সমস্যা সমাধানে কতো ধংসাত্মক হতে পারে। নিজেরাই নিজেদের ধংস করে। নিজেরা এতোটাই বিদ্রোহি, যা নিজদের বস দের খুন করতে পারে, তাদের স্ত্রি দের ধর্ষন করতে পারে। তাইলে যারা ধর্ষন করে তাদের পরিবার পরিজন অথবা আত্মীয় স্বজন কতোটুকু নিরাপদ থাকতে পারে । '৭১ এ না হয় পাকি রা ধর্ষন চালিয়েছিল, তাদের ঘ্রিনা করতে পারি, গালি দিতে পারি, কিন্তু নিজেরা যখন নিজেদের ধর্ষন করে তখন কাকে ঘৃনা করবেন, কাদের গালি দিবেন, কার কাছে বিচার দিবেন।

৬। প্রতি নিয়তো যে বর্ডার এরিয়া তে বাংলাদেশী সাধারন মানুষ মারা যাচ্ছে, আমাদের এত নাম করা সেনা বাহিনি কি করে? ভারতীয় রা এসে আমাদের এলাকা থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়, কেউ কিছু বলে না। আর আমাদের বাচ্চা রা তাদের এলাকাতে গেলেই কোর্টে চালান দিয়ে দেয়। আমরা হা করে আমাদের বিখ্যাত সেনাবাহিনির দিকে তাকিয়ে থাকি আর রাস্তা দিয়ে গাড়ি দিয়ে যেতে থাকলে আমরা রাস্তা ছেড়ে দেই, নইলে তো গালি শুনব।

আপাততো এই টুকুই থাক। ধন্যবাদ।



েকউ একজন বলেছেন: .....ঢাবি এর ঘটনার দিন রাতে আজিজ মার্কেটে কি হয়েছিল.......।
বাস স্ট্যান্ড গুলোতে আর্মি কি করেছিল তা ভুক্ত ভোগি মাত্রই জানে.....
এসব ব্যপার মিডিয়া তে আসেনি............



এগুলা আর্মির অনেক গুলা ভালো কাজের নমুনা। আসা করি ভেবে দেখবেন। আমার কথা হচ্ছে যা দের যে দায়িত্ব তারা যদি সেটা না করে তাইলে কি সমালোচনা করবে না মানুষ? তাইলে মানুষ আর্মি তে আসে কেন? আর্মি তে এডমিশন টেস্ট দেয়ার সময় তো নিশ্চই তার মাথায় থাকে যে, আমি আর্মি তে ঢুকলে একদিন আমাকে কোনও না কোনও কাজে কিংবা যুদ্ধে যেতে হবে, এখন যদি তারা বলে আমি দেশের জন্যে মেলা বড় কাজ করে ফেলছি, তাইলে আমি বলব আশরাফুল তো অনেক গুলা বড় জয়ে দেশের নাম বড় করছে তাইলে আজ সে দলের বাইরে কেন? কারন হচ্ছে এখন সে তার দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ। রান করা টা তার চাকরি, রান করে টিভি তে বড় বড় লেকচার দেয়া তার কাজ না। চাকরির বিজ্ঞাপনে জব স্পেছিফিকেশন বলে একটা অংশ থাকে, ওটার মানে একটু বুঝবেন আশা করি। @ খতিগ্রস্থ ও টেকি মামুন।

আমি উপরের মন্তব্য টা আরেকটা পোস্ট এ দিয়েছিলাম, সেখান থেকে কপি দিলাম। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি আমার দেশের প্রয়জনে আমার আর্মি কতটুকু সার্থক।

১১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

নিশান ইব্রাহিম বলেছেন: দিনমজুর, অনেক অনেক ধন্যবাদ........................... আপনাকে মনে রাখব এবং আপনার কথা গুলা মানুষের কাছে পৌছাবো ইনশাল্লাহ..............................

১১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

স্বাধীন জামিল বলেছেন: ধন্যবাদ লেখক ভাই কে আর সামু কে......

১১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

হা...হা...হা... বলেছেন: সামুতে আমার পড়া অন্যতম সেরা পোষ্ট।


রুদ্র-র কবিতাটার কয়েকটা লাইন

দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো - কোন পক্ষে যাবে তুমি?

সীমান্ত রক্ষার নামে তৈরি করা হয়েছে তোমাকে
সার্বভৌমত্বের নামে অস্ত্র দেয়া হয়েছে তোমাকে
শৃঙ্খলা রক্ষার নামে তৈরি করা হয়েছে তোমাকে
আইন রক্ষার নামে অস্ত্র দেয়া হয়েছে তোমাকে।

সীমান্ত রক্ষাও নয়, সার্বভৌমত্বও নয়, শুধুমাত্র পুঁজি
শুধুমাত্র পুঁজিবাদ রক্ষাই এখন তোমাদের মৌল কাজ।
তোমরা এখন বিত্তের পাহারাদার, বিত্তবানের প্রহরী,
বিত্তমান তোমাকে ব্যবহার করেছে তার বিত্তের স্বপক্ষে।

বিত্তের বিরুদ্ধে তাই যখন শ্লোগান ওঠে শহরে ও গ্রামে
যখন মিছিল নামে রাজপথে মানুষের দাবির মিছিল
যখন মিছিল নামে রাজপথে মানুষের ক্ষুধার মিছিল
তখন তোমার হাতে গর্জে ওঠে তীক্ষ্ণ রাইফেল,
তুমি ব্যবহৃত হও, নিরুপায় ব্যবহৃত হও।
তোমার হাতের ভেতরে তখন শোষকের হাত
তোমার আঙুল, সে তখন খুনী জান্তার আঙুল
তোমার সুশিক্ষিত পা, সে তখন স্বৈরাচারের পা
তোমার চোখ তখন এক ঘাতকের চোখ
তোমার জিভ তখন এক ঘৃণ্য দুর্বৃত্তের জিভ।

দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো - কোন পক্ষে যাবে তুমি?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

দিনমজুর বলেছেন: দারুণ কবিতা। ভীষণ প্রাসঙ্গিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

নিশান ইব্রাহিম বলেছেন: দিনমজুর ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ........................... আপনাকে মনে রাখব এবং আপনার কথা গুলা মানুষের কাছে পৌছাবো ইনশাল্লাহ..............................

১১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০২

নিজাম কুতুবী বলেছেন: আমরা কামলা মানুষ অত বুঝি না

১১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

স্বাধীন জামিল বলেছেন: .....দুঃখিত... আমার উপরের কমেন্ট এ... আমি কথা গুলা বলেছি... @ যারা আর্মির পক্ষে কথা বলেছেন।

১১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

বাঁশপাতা বলেছেন: 'রূপগঞ্জ'- বানানটা ঠিক করে দিন। গুরুত্ত্বপূর্ণ পোস্টে বানান বিভ্রাট মানাচ্ছেনা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০২

দিনমজুর বলেছেন: ঠিক করে দিলাম। ভুল হয়ে গিয়েছিল(এরকম আরো অনেক হয়তো বানান বিভ্রাট রয়ে গেছে)।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১১

রঙধনু বলেছেন:
এখানে ক্লিক করে ,,,,, গতকালের বিবিসির খবরটা শুনতে পারবেন ...
প্রথমে বিশ্ব সংবাদ ... এরপর শুনবেন খবরটি ... তাই একটু সময় দিন

রুপগন্জে সেনাবাহিনী কি করল শুনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন , বিবিসি খুব ভাল রিপোট করেছে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

১২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১২

রোবট ভিশন বলেছেন: লিখা ভাল হয়েছে, কিন্তু আমার একটা কথা আছে, সেইটা হইল, বাংলার গরীব কৃষক দের জমি শুধু, মিলিটারী না, ভুমি দস্যু নামের বিভিন্ন ভুইফোড় প্রতিষ্ঠানও কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের সবার প্রতিই ঘৃনা প্রকাশ করা উচিত।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

দিনমজুর বলেছেন: অবশ্যই।

১২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: ..................বাংলাদেশের আর্মির মাথা থেইকা পাকিস্তানী ভুত এখনো নামে নাই,.............................

অস্থির পৃথিবী এর তারঁ ''সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব কতটা যৌক্তিক?'' শীর্ষক লেখা শুরু করেছেন এই কথা দিয়ে...............
''আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীর জন্ম। আমাদের মধ্যে কয়জন আছে যারা মুক্তিযুদ্ধকে সামরিক দিক থেকে বিশ্লেষন করতে জানি? যদি জানতাম তাহলে বুঝতে পারতাম মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর ভূমিকা গেরিলাদের থেকে কত আলাদা ছিল এবং এর গুরুত্ব কেমন ছিল। যাই হোক মুক্তিযুদ্ধতো অনেক আগেই শেষ তাই এটা নিয়া আর কথা বলব না।''

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উত্তরাধিকার মাত্র।কেউ বলতে পারবেন না যে , মুক্তিযুদ্ধ উত্তর কালে বাংলাদশে সেনাবাহিনী তার আভ্যন্তরীণ সাংস্কৃতিতে কোন পরবির্তনের প্রয়াস চালিয়েছে।????????/

''১৯৭১ সালে যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল তা ছিল একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ। ব্যাপক জনগণের সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছিল বলে মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ বলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জনগণ থেকে উঠে আসা একটি বাহিনীই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারতো। বাস্তবে তা হয় নি। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলা হয় ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টের পুরোপুরি অনুসরণের মাধ্যমে, যা ইংরেজ প্রবর্তিত ১৯১১ সালের ইন্ডিয়ান আর্মি অ্যাক্টের উত্তরাধিকার মাত্র। বাংলাদেশ প্রতিরাক্ষ বাহিনীর ক্ষেত্রে কেবল পাকিস্তান শব্দটি বাংলাদেশ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ''
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=1942

১২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

চুপিচুপি বলেছেন: রুপগঞ্জবাসীরে লাল সালাম!

১২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৭

দুনিয়ার সব ভাল মানুষ বলেছেন: ++++++++++++

১২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৮

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি হলো না কেনো? :(

১২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

কাকপাখি ২ বলেছেন: ++++++

গান্ধা হুমায়ুন আজাদের লেখা থেইকা শিরোনাম টা না নিলে কি হইত না?

লেখায় প্লাস।

ভুমিদস্যুরা নিপাত যাক।

১২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৮

মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট
অসংখ্য ধন্যবাদ

ফেসবুকে শেয়ার করলাম
প্রিয়তে

১২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৮

অরাজনৈতিক বলেছেন: কেউ কেউ সেনা বাহিনীর সুনাম করতে গিয়ে দূর্যোগে সহায়তার কথা বলেন অথচ এ কাজের জন্য তারা কন্টিজেন্সি বিল পেয়ে থাকেন তা উল্লেখ করেননি। ওনারা বিনা পয়সায় খাটেন না!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

দিনমজুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

১২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

রঙধনু বলেছেন: আমার মাথায় তো কিছু ঢুকে না ,,,,,,,,,,,,,,,,,, Facebook এ শেয়ার করতে পারচি না ..................... কেনো ,,,,,

ওন্য সব লেখা হচ্ছে ,,,,, এটা হচ্ছে না কেনো ..

১২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

আমি মদন বলেছেন:

১৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

ফয়েজ ০৮ বলেছেন: অসাধারণ। সোজা প্রিয়তে.....।

১৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

মর্তবাসী বলেছেন: আমার সব মনের কথা আপনি লেখে দিয়েছেন। তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। কতিপয় উচ্চপদস্ত আর্মি অফিসারের লোভের কারণে আর্মিকে ধবংস হতে দেওয়া যায় না। কল্যানসংস্থা নামে সব ধরনের বানিজ্য থেকে দূরে রাখা দরকার।

বাংলাদেশ আর্ম ফোর্সেস গঠিত হয়েছে বহিশত্রুর আক্রমন থেকে দেশের ভূমিকে রক্ষা করার জন্য অথচ তারাই দরিদ্র কৃষকদের ভূমিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে।

আমি সেনাবাহিনীকে ঢালাও ভাবে দোষারোপ করতে চাই না তবে সেনাবাহিনীর সার্থেই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিচার হওয়া দরকার।
+++++++++++++++++++++++++

১৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

কবিরাজ শরীফুল ইসলাম বলেছেন: রুপগন্জবাসী লও সালাম

১৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: একতরফা লেখার জন্য মাইনাস...
আপনি কি বিপ্লবি নাকি??? গ্রামবাসীরে সাথে নিয়া বিপ্লব ঘটাবেন? সবকিছু নরমালই আছে। আপনার এসব একতরফা তথ্যমূলক পোস্ট না দিলেই ভাল হয়।

১৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

রোহান বলেছেন: কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য...

কিছু লোকের অন্ধভাবে জলপাই প্রীতি দেখে মুগ্ধ হলাম... বার বার ঘুরে ফিরে একই তেনা পেঁচাতে দেখে হতাসও হলাম...

বিষয়টা হলো দস্যুতার প্রতিবাদ। দস্যু তো দস্যুই, বিঘাপ্রতি সাত লাখ টাকা বেশী দিয়ে দস্যু ফেরেসতা হয়ে যায় না। এই বছরের শুরুর দিকে পূর্বাচল দেখতে গিয়েছিলাম। ইছাপুর ব্রীজ পেরিয়ে রুপগন্জ, আরও পরে কাঞ্চনব্রীজ পেরিয়ে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে...যেদিকে চোখ যায় খালি হাউজিং আর হাউজিং, সাইনবোর্ড আর সাইনবোর্ড। ধানের ক্ষেতে সাইনবোর্ড, পাটের ক্ষেতে সাইনবোর্ড, মাছভর্তি পুকুরে কিংবা কারো খড়ের গাদায় এমনকি ভিটাবাড়ির গোড়ায় সাইনবোর্ড। ধরেন একলোক ঠিক করলো এক হাজার বিঘা জমি কিনবে, সেই এক হাজার বিঘা আয়তাকার, মাঝে আমার দুই বিঘার একটা ভিটেবাড়ি আছে। শখের এই বাড়ি, জমি যদি আমি বিক্রী করতে না চাই (আমি না চাইতেই পারি, এমন তো না দেশের স্বার্থে রাস্তা হবে কিংবা সরকার এটা অধিগ্রহন করে নিচ্ছে) তাহলে কি হবে? আমার উপর রাত দিন হুমকি দেয়া হবে, আমার বাসার সামনে এটা সেটা ফেলে রাখা হবে, কদিন পরে চারপাশ থেকে আমার সব চলাফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে আরও কত কি... আগে তো এমনও শোনা গেছে কোনো একটি আবাসনে জমি দিতে না চাওয়া মালিকদের কেউ কেউ স্রেফ নিখোজ হয়ে গেছে, আমি নিজে ঐ এলাকার অনেকের সাথে কথা বলেছিলাম ঐদিন, তাদের কারো মনেই শান্তি নাই, পূর্বাচল আবাসন ঐ এলাকার মানুষের জীবনের সুখশান্তি নষ্ট করে দিয়েছে অনেক আগেই...

লোভে পড়ে, চাপে পড়ে গরিব কৃষক এই যে তার শেষ সম্বল বিক্রি করে দিয়ে যাচ্ছে, কদিন পরে হয়তো এই পূর্বাচলে গড়ে উঠা বড় বড় শহরে, আবাসন প্রকল্পে এই কৃষকরাই ফিরে আসবে, নতুন কিছু বস্তি হবে, যেই হাতে সোনা ফলতো সেই হাতে রিকসার হ্যান্ডেল কিংবা হাতুড়ি বাঁটাল দেখে আমরা আমোদিত হবো... বেনী দুলিয়ে দুপুরে ক্ষেতে খাবার নিয়ে যাওয়া কোনো কিষানী আদুরে দুলালীকে তিনবেলা খাবার আর শ পাঁচেক টাকা বেতনে বাসায় কাজ দিয়ে বিশাল কাজ করে ফেলেছি ভেবে ধেই ধেই নাচবো... এর মাঝে আবার সব আবাসনই এক রকম হবে না, কোনোটা হবে রেস্ট্রিকটেড, কৃষকের বৃদ্ধ বাবা ভিখারী বেশে কোনো মতে ঢুকে পড়লে শক্ত বুটের লাথি খেয়ে ফুটপাথে পড়ে থাকবে, আমরা নিস্পৃহের মতো চেয়ে থাকবো..

আমাদের সাথে তো এমনটাই হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে তাই না?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৮

দিনমজুর বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। কমেন্টে প্লাস। বিশেষ করে এই জায়গাটা দারুণ:

লোভে পড়ে, চাপে পড়ে গরিব কৃষক এই যে তার শেষ সম্বল বিক্রি করে দিয়ে যাচ্ছে, কদিন পরে হয়তো এই পূর্বাচলে গড়ে উঠা বড় বড় শহরে, আবাসন প্রকল্পে এই কৃষকরাই ফিরে আসবে, নতুন কিছু বস্তি হবে, যেই হাতে সোনা ফলতো সেই হাতে রিকসার হ্যান্ডেল কিংবা হাতুড়ি বাঁটাল দেখে আমরা আমোদিত হবো... বেনী দুলিয়ে দুপুরে ক্ষেতে খাবার নিয়ে যাওয়া কোনো কিষানী আদুরে দুলালীকে তিনবেলা খাবার আর শ পাঁচেক টাকা বেতনে বাসায় কাজ দিয়ে বিশাল কাজ করে ফেলেছি ভেবে ধেই ধেই নাচবো... এর মাঝে আবার সব আবাসনই এক রকম হবে না, কোনোটা হবে রেস্ট্রিকটেড, কৃষকের বৃদ্ধ বাবা ভিখারী বেশে কোনো মতে ঢুকে পড়লে শক্ত বুটের লাথি খেয়ে ফুটপাথে পড়ে থাকবে, আমরা নিস্পৃহের মতো চেয়ে থাকবো..

১৩৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

বিশেষনহীন বলেছেন: সভ্য দেশের সাথে আর্মি শব্দটাই যায় না। আর্মি হল শোষন চালানোর নিরাপদ হাতিয়ার। দিনমজুরকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারন এই আর্টিকেলটার জন্য।
তুমি শোষক নাকি শোষিতের ?

১৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: সেনাবাহিনীতে ফেরেস্তারা নেই, তারা মানুষ, তারও বেশি বাঙ্গালি - আপনার-আমার মত বাঙ্গালি. তাদের পাকিস্তানি-ভারতীয় হওয়ার সুযোগও নাই. সেনাবাহিনীর বাঙ্গালিত্ব বা বাঙ্গালপনা মেনে নিয়ে দায়িত্বশীল সমালোচনাই কাম্য.

শুধু বলতে চাই, বাঙ্গালি হুজুগে জাতি (সেনাবাহিনীসহ) - রূপগঞ্জে হুজুগের উল্লাস হয়েছে.

আর শিক্ষিত বাঙ্গালি হল হুজুগে+পরশ্রীকাতর (বেহেস্তে দারোয়ান না থাকার কৌতুকটি স্মর্তব্য) - এই পোস্টের পরিবেশ সেটা সপ্রমাণে খুব ব্যস্ত.

একটি বাহিনীর প্রতি ঘৃনা ও বিষোদ্গারী পোস্ট স্টিকি করা হল - আমি স্তম্ভিত! ব্যক্তিবিশেষের পরশ্রীকাতর, অবিবেচক মতামত থাকতেই পারে, কিন্তু ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাতে হাত মিলাল! মডারেশনের প্রতি ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি.

ধন্যবাদ.

১৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

এম এস জুলহাস বলেছেন:
মন্তব্য কইরা বুটের গুঁতা খাইতে চাইনা, কারন আগামী টার্মের পূর্বেই তাহারা পূণরায় আসিতেছেন দেশ চালাইতে !

১৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: কি রকম স্বশস্ত্র বাহিনী গঠন করা উচিত আমাদের , এই ব্যাপারে একটা পরিকল্পনামূলক পোষ্ট দেন , কিভাবে সক্ষমতা বাড়ানো যায় , দূর্নীতি , ক্ষমতার অপব্যাবহার রোধ করা যায়।



শুধু এসব তর্ক বিতর্ক কোনো কাজ আসবে না , আমরা দোষারোপে অভ্যস্ত , গঠনে অবদান রাখুন ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৩

দিনমজুর বলেছেন: লিখতে গেলে, প্রতিবাদ জানাইতে গেলে সাজেশান দিতে হবে এরকম কোন নাকে খত কোথাও দেই নাই। আপানার কোন সাজেশান থাকলে দেন না... আর আমরা সাজেশান না, দাবী জানাই।

সোজা কথা ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ কর। নইলে এইরকম ঘটনা আরো ঘটবে।

সামরিক-বেসামরিক সকল ধরণের আবাসন প্রকল্পের নামে এই ভূমি-দস্যুতা বন্ধ কর, নইলে সারা বাংলাদেশ রূপগঞ্জ হয়া যাবে।

১৩৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

প্রবাসী১২ বলেছেন: এই পোষ্টে সরাসরি মাইনাস দিলাম।

কিছু কিছু বিষয়ে নো-কম্প্রোমাইজ। সেনাবাহিনি সে ধরনের একটি বিষয়। সমস্যা থাকবেই। তার সমাধান করতে হবে।

সেনাবাহিনিকে বিতর্কিত করার / বিলুপ্ত করার এটা প্রয়াস বিশেষ মহলে লক্ষ করা যাচ্ছে। আপনার লেখা সে সকল পঞ্চম বাহিনির পক্ষে যাওয়ায় বাই ডিফল্ট মাইনাস।

সেনাবাহিনির কল্যাণমূলক কাজে যারা উপকৃত হয়ে থাকেন, তারাতো আমাদেরই কেউ।

১৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

শিক্ষানবিস বলেছেন: বাংলাদেশ আর্মির প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। পোষ্ট পড়ার শুরুতে নিয়ত করেছিলাম, পোষ্টে মাইনাস দেব। কিন্তু পড়ে প্লাস না দিয়ে পারলাম না।
এ পোষ্ট সবার চোখ খুলে দিক।
সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবা দেই পোষ্টটিকে স্টিকি করার জন্য।
সেনাবাহিনী জনগনের টাকা থেকে বেতন নেয়। তাদের কোন কাজ নেই। তারপর আবার তারা বাণিজ্য করে। এরপর আবার গরীব মানুষের বাস্তভিটা দখল করবে কেন? রক্ষক কেন ভক্ষক হবে?

সরকারী আমলা, আর্মি, পুলিশ, সাংসদ প্রমুখের জন্য হাউজিং করার সংস্কৃতি বাদ দিতে হবে। এগুলো সরকারীভাবে ভূমি দস্যুতা ছাড়া আর কি? জনগনের সম্পদ খেয়ে তাদের উপর একটি জুলুম বলেই মনে হয় আমার কাছে।
জোর করে কারো জমি-জমা বা জিনিষপত্র ক্রয় করা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
আমাদের ধর্মও তাই বলে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৩

দিনমজুর বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: একটি বাহিনীর প্রতি ঘৃনা ও বিষোদ্গারী পোস্ট স্টিকি করা হল - আমি স্তম্ভিত! ব্যক্তিবিশেষের পরশ্রীকাতর, অবিবেচক মতামত থাকতেই পারে, কিন্তু ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাতে হাত মিলাল! মডারেশনের প্রতি ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি.


পো্ষ্টে কোনো সাজেশন নাই , কি করা উচিত , শুধু .........


সহমত

১৪২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৩

kisuna বলেছেন: বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। এই লেখাটির লিঙ্ক ফেসবুকে শেয়ার দেয়া যাচ্ছে না!!!

দিনমজুর ভাই, আমি উপায়ন্তর না দেখে আপনার ব্লগ লিঙ্কটাই শেয়ার দিলাম ফেসবুকে। আশা করি ক্ষমা করবেন।

+++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৫

দিনমজুর বলেছেন: কোন এক অজ্ঞাত কারণে সবারই এই সমস্যা টি হচ্ছে। খুব ভালো করেছেন ব্লগ লিংকটা শেয়ার করে।

ধন্যবাদ।

১৪৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১২

পারভেজ আলম বলেছেন: সেনাবাহিনীর সমালোচনায় যাগো এত সমস্যা তাগোরে জিগাই, পুলিশের সমালোচনা করা গেলে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা যাবে না কেন? দীর্ঘদিন ব্রিটিশ আর পাকিস্তানী আর্মির বুটের তলে থাকতে থাকতে মিলিটারি মানেই বাপ এমন চিন্তা চেতনা যে অনেকের মনেই তৈরি হইয়া আছে তাতে আসলে কোন সন্দেহ নাই। অবশ্য এই দেশই ১৫ বছর সেনাবাহিনীর বুটের তলে আছিল, সেনাবাহিনীর লাত্থি খাইয়াও তাগোরে বাপ ডাকার মতো দাস মনবৃত্ত্বির মানুষ বাংলাদেশে আসলেই কম নাই।

১৪৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৫

শয়তান বলেছেন: যারা ফেসবুকে লেখাটা ফেসবুকে বা টুইটারে শেয়ার করতে অসুবিধায় পরেছেন তারা পোস্ট লিংক শর্ট করে শেয়ার করুন ।

এইভাবে ঃ

[ রুপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?”http://bit.ly/cE0EjN ]

ব্র্যাকেটবন্দী অংশটুকু কপিপেস্ট করে দিন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

দিনমজুর বলেছেন: এই উপায়টাও তো মনে হয় কাজ করছে না।

তবে লিংক হিসেবে শেয়ার না দিলেও, শেয়ার দেয়ার সময় লিংক অপসনটা কেটে দিয়ে স্রেফ ষ্ট্যাটাস হিসেবে কিন্তু সহজেই শেয়ার দেয়া যাচ্ছে।

১৪৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৭

রিডার ওয়ান বলেছেন:

@লেখক:

ষড়যন্ত্র না দেখে উপায় নেই। আজ পত্রিকায় যা পড়লাম, পরিস্থিতি আসলেই ঘোলাটে। কিছু লোকজনকে একই ধরনের গেন্জ্ঞি এবং একই ধরনের লাঠি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ঐ এলাকায় দালালদের ভূমিকাও পত্রিকায় এসেছে। ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেব কি করে? যারা নিখোজ বলছেন তারা যে পালিয়ে যান নি তা কে বলতে পারে? সরকারের উচিৎ এটা পরিস্কারভাবে তদন্ত করা। যদিও কখনই তারা সেটা করে নি! এখানেও করবে না।

আমি জানি আপনি এই লেখার জন্য অনেকেরই বাহবা পাচ্ছেন/পাবেন। কিন্তু আপনার লেখার সাথে আমি পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। কেন পারলাম না তা আগেই বলেছি। আমি আবারও বলছি, শুধুমাত্র একপাক্ষিক সেনা বিদ্বেষ থাকার কারনে আপনার লেখার আর্গুমেন্টে ভুল আছে। আপনি প্রকৃত ঘটনাটি খেয়াল করছেন না। মিডিয়াকে সবসময় বিশ্বাস করার কোন কারন নেই। পিলখানায় হত্যাকান্ডের সময়ও আপনার মতই মিডিয়া অনেক অবিবেচক মন্তব্য করেছিল।

আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল। তাতে দালাল আর ভূমিদস্যুদের স্বার্থে আঘাত লাগে। তারা এলাকার জনগনের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে এ ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করল।

আগেও বলেছি, সেনাবাহিনীর উচিৎ ছিল আরও আগে সেখান থেকে সরে আসা। গুলি ছোড়ার মত (আসলেই তারা গুলি করেছে কিনা তা আমি দেখি নি!) পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অনেক আগেই তাদের সতর্ক করা হয়েছিল এবং তাদের তখনই সরে আসা উচিৎ ছিল। ভূমিব্যবসা যে জোর দিয়ে হয় না এটা বোঝার অক্ষমতা তাদের অনভিজ্ঞতাকেই প্রমান করে। জমি কেনাবেচায় অনেক পলিটিক্স থাকে। সেই সব অনভিজ্ঞ অফিসারদের শাস্তি দাবি করছি!


২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

দিনমজুর বলেছেন: সেনা বাহিনী ঐ খানে কন্যা দায় গ্রস্থ পিতাদের উদ্ধার করার মতো জামি দায় গ্রস্থ কৃষকদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল!

১৪৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৮

বিজ্ঞান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা করে খায় এই দেশ এ যারা নিজের জীবন বাজীরেখে দশ স্বাধিন করল আর আমাদের লেফট রাইট করা ভাইয়েরা D.O.H.S এ ১ টাকা দিয়ে ১ কোটি টাকার জমি পায়।

আর কুত্তার বাচ্চা রাজনৈতিক ব্যাক্তি রা ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের আন্ডায় তেল মালিস করে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ।


৭ দিন আগে পরিচিত এক আর্মির পোলা (বছরে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে কানাডার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরতাছে) আমারে জিজ্গাস করল যে রংপুর রে বিভাগ করল কেন । তাকে বললাম যে একবার কি ভেবে দেখেছ যে প্রাইমারি স্কুল বা কেরনিক মানুষটি ৩০০০ টাকা বেতন পা্য সে কেমন করে রাজশাহী গিয়ে অফিসের প্রয়োজনীয় কাজটি করবে।
কথা প্রসংগে যখন বললাম যে মানুষ হইছ তো ক্যান্টনমেন্টে গ্রামের মানুষ কি ভাবে জীবন নির্বাহ করে সেটা তুমি বুঝবা কেমনে । এই কথা তার ইগোতে লাগছে।


আসাধারন একটি লিখার জন্য আসাধারন একটি ধন্যবাদ।

রুপগন্জবাসীদের সাথে আছি ............



১৪৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৩

রিডার ওয়ান বলেছেন:
ধন্যবাদ সামুকে এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য। এর মাধ্যমে অনেকেই আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারবে এবং অবিবেচকের মত কথা বলার খারাপ দিকটা জানতে পারবে। সামুতে সবাই আসে বিনোদনের আশায়। আমি নিজেও তাই। দেশের সমস্যা নিয়ে সত্যিকার অর্থে কেউ মাথা ঘামায় না। সেই সময়ও নেই হয়ত। অন্ত:ত এই সুযোগে সবাই একটু সিরিয়াসলি মাথা ঘামাক। দেশের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ আমাদের খুব একটা আসে না!

সাথে আমি অনুরোধ করবএই পোস্টটিও স্টিকি করা হোক। পাশাপাশি ভূমিদস্যুতা, জমিদখল, নদী দখল এবং সর্বোপরি আমাদের দেশের দূর্নীতির প্রসংগে সামুতে নিয়মিত স্টিকি পোস্ট আশা করছি! /:) :-0


@পোস্ট স্টিকি হওয়ার পর যারা পড়ছেন...

একটি কমেন্টে আমাকে সেনাবাহিনীর apologist হিসেবে আখ্যায়িত করা হল। শুধু সেনাবাহিনী না আমি পুরো বাংলাদেশেরই apologist! বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের apologist । আমি নির্দিশ্ট কারও চাকরি করি না যে তাদের নিমকের জন্য দালালী করব। কিন্তু নির্বোধের মত চোখে ঠুলি পরে থাকতে আমি রাজি নই। মিডিয়াকে অতটা বিশ্বাস আমি করি না। সেনাবাহিনী অনেক সময়ই বিতর্কিত কাজ করে, বাড়াবাড়ি করে অনেকবার দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছিল। যেমন- তত্বাবধায়ক সরকার আমলে ছাত্র বিক্ষোভের সময় তাদের দায়িত্বহীন ভূমিকা। রুপগন্জ্ঞের ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখকের অসাড়, অপ্রাসঙ্গিক ও বিদ্বেষমূলক Naive বিশ্লেষনের প্রসংগে সেনাবাহিনীকে ডিফেন্ড করার ব্যপারটি এসেছে।

কিন্তু তাই বলে আমি একচক্ষু ভাবে ইনজেনারেল তাদেরকে শুধু দোষারোপ করে যাব না। কোন প্রতিষ্ঠানকেই করব না, যদিনা তারা অন্যায় করে। একচক্ষু সমালোচনার ফলে অন্যায়কারীরা সুযোগ পেয়ে যাবে। এতে দোষীদের আমরা খুজে পাব না। আমাদের বুঝতে হবে সেনাবাহিনীকে আমাদের অবশ্যই দরকার। কেন দরকার সেটা সাধারন মানুষ না বুঝলেও যারা দেশ চালায় তারা বুঝলেই চলবে। আমি সেনাবিদ্বেষী নই। নির্দিশ্ট সেনানেতৃত্বের প্রতি হয়ত আমার ক্ষোভ থাকতে পারে। আসলে সরকারগুলির নীতিহীন কার্যকলাপই এসবের জন্য দায়ী। বিশ্বাস করতে না চাইলে কয়েকদিন আগের আমারএই পোস্টটি
পড়ুন।

আজকের পত্রিকা থেকে তুলে দিলাম...

সেনা আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি গত রাতে বিবিসিকে বলেছেন, কিছু মহলের চক্রান্তের কারণে রূপগঞ্জে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ যদি জমি দেয়, তবে অবশ্যই প্রকল্প চলমান থাকবে। তবে প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর না হলেও প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী সেনাক্যাম্প করার কথা তিনি স্বীকার করেন। নাসিমুল গণি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু জমি কিনেছি। এই ক্যাম্পগুলোয় বেশ কিছু বেসামরিক লোক কাজ করেছে। তাঁদের সহায়তা দেবার জন্যই এই ক্যাম্পগুলো আমরা ওখানে স্থাপন করেছিলাম। পাশাপাশি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের যে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ আছে, তা-ও চালু রেখেছিল।’ জমি বেচার জন্য জোরজবরদস্তি এবং আলোচনার জন্য কয়েকজন গ্রামবাসীকে ক্যাম্পে ডেকে গুলি করার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ অসত্য। আমি মনে করি, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি আপনাদের বলছি, জমি বিক্রয় করাটা অত্যন্ত আবেগের। এই আবেগটাকে যদি কেউ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে যে কেউ ভালোও করতে পারে, মন্দও করতে পারে। আমি মনে করি, জমি বিক্রয়ের আবেগটাকে নিয়ে কেউ কেউ সাধারণ কিছু কিছু বিপথগামী মানুষকে বিপজ্জনকভাবে ব্যবহার করেছে।’ এ পেছনে কোনো চক্রান্ত আছে কি না—জানতে চাইলে নাসিমুল গণি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা বলা ঠিক হবে না। কারণ দেশের প্রচলিত আইন আছে, পদ্ধতি আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আছেন, তাঁরা পুরো বিষয়টি বলবেন।’ প্রকল্পের রাজউকের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে নীতিগতভাবে অনুমোদন নিয়েছি। অনুমোদন হওয়ার পরে নিয়ম হলো কিছু জমি কিনতে হবে। কেনার পর একটা পরিকল্পনাসহ রাজউকের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা এক হাজার বিঘার মতো জমি কিনেছি। আমাদের মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছে। আমরা আশা করেছিলাম হয়তো বা ফেব্রুয়ারি, ২০১১-এর মধ্যে রাজউকের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে পারব অনুমোদনের জন্য।’ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসিমুল গণি বলেন, ‘এই প্রকল্প আমাদের সবার কল্যাণের জন্য, আবাসনের জন্য। এখানে অনেক হাউজিং কোম্পানি আছে, তারাও জমি কিনছে। সাধারণ মানুষ যদি আমাদের কাছে বিক্রি করে তাহলে আমরা কিনব, নয়তো কিনব না। তাদেরকে উপযুক্ত মূল্য দেব। এখানে কোনো জোরজবরদস্তি বা কোনো কিছুর প্রশ্রয় আসে না। সাধারণ মানুষ যদি জমি দেয় তবে অবশ্যই প্রকল্প চলমান থাকবে।

সূত্র : প্রথম আলো Click This Link



আগের পোস্টটির এই কমেন্ট গুলো হয়ত আপনারার কষ্ট করে পড়বেন না। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য কপি করে দিয়ে গেলাম। আমার বক্তব্য পরিস্কার করার উদ্দেশ্যেই কলেবর বৃদ্ধি করতে হল। আগেই দু:খ প্রকাশ করে নিচ্ছি।


আশিক হাসান বলেছেন: রুপগন্জের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সবচাইতে বড় ভুল স্থানীয় হাউজিং কোম্পানী এবং তাদের অনুগত স্থানীয় দালাল শ্রেনীকে হিসাবে না আনা। বাইরের দুনিয়া আর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিবেশ এক না ,বিশেষ করে যেই অন্চলে ভূমিদস্যু স্বরুপ হাউজিং কোম্পানীর লোলুপ দৃষ্টি সেখানে তাদের হওয়া উচিত ছিল আরো কৌশলী আর সাবধানী। এখানে সোজা কথার কোন মূল্য নেই এমনকি ভাল কাজকে রং চড়িয়ে জনগনকে কিভাবে বোকা বানানো যায় এই ঘটনা থেকে সেনাবাহিনীর শিক্ষা নেয়া উচিত।

যেখানে হাউজিং কোম্পানী বিশেষ করে ভুলুয়ার মত কোম্পানী গুলো সাধারন মানুষকে প্রতারিত করে একের পর এক জমিগুলো বন্ধক রেখে প্রতারনার ফাঁদ পাতছিলো সেখানে সেনাবাহিনী মহাসমারোহে যখন নগদ টাকায় জমি কেনা শুরু করে তখন তাদের বোঝা উচিত ছিলো যে হাউজিং কোম্পানীগুলো হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবেনা । এবং বাস্তবে হয়েছে ও তাই একের পর এক প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে । এখানে অবশ্যই বলে রাখা ভাল যে বাঁধাগুলো একে একে অপসারন করা হলেও নতুন করে আরো প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছিলো ,এর পেছনে ইন্ধনে ছিলো রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বেসরকারী হাউজিং কোম্পানীর কালো টাকার খেলা এর মধ্যে বসুন্ধরা ,ভুলুয়া নাম উল্লেখ্যযোগ্য ।

ঘটনা ঘটার পূর্বেই সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগনের সবগুলো দাবী মেনে নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলে এই মহল নেমে পড়ে সর্বশেষ খেলায় আর সেটা ছিলো সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানো । এর পেছনে কাদের সুবিধা ছিলো বেশী এটা ক্ষতিয়ে দেখতে খুব বেশী একটা কষ্ট করার প্রয়োজন নেই । কথায় আছে "আকালমানকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়"।

সেনাবাহিনী এখানে অনেক আগেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে ছিলো যে কোন ব্যক্তিকে তার বসটভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবেনা ,কারও জমি অধিগ্রহন নয় বরং বাজারদরে ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করা হবে । এখান দেখার বিষয় এই হাউজিং কোম্পানীর টাকায় কে কে বিক্রি করেছে নিজেদের আর সরকার এবং সেনাবাহিনীকে এই ধরনের একটি বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চেয়েছিল।


রিডার ওয়ান বলেছেন:

এই বিষয়ে আজ সামুতে মনে হয় অনেক পোস্ট এসেছে। সব দেখতেও পারি নি। শুধু একটা ছাড়া অন্যগুলিতে কমেন্টও করতে পারি নি। সেই কমেন্টটি আপনারটাতে দিলাম। অনেকে সব অদ্ভুত অদ্ভুত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে!


১. জমিগুলো মূলত রাজউকের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগে শহর সম্প্রসারনের অধীনে করা। এর পাশেই আছে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প। গ্রাম রক্ষা এখানে সরকারের নীতি নয়। শহর সম্প্রসারন মূল ফোকাস।

২. দেশের সকল পেশাজীবির জন্য এধরনের হাউজিং সোসাইটি আছে। সেনা বাহিনীও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এটা ডিওএইচএস নয়। কারন এগুলো নগদ অর্থেই সেনাসদস্যদের কিনতে হবে। ঢাকা শহরের সম্প্রসারনের জন্য অন্যন্য হাউজিং সোসাইটির মত এটিও রাজউকের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগে হচ্ছে। জমি ক্রয়, ডেভেলাপ থেকে শুরু করে বন্টন সবই হাউজিং কতৃপক্ষ করে থাকে। রাজউকের অনুমতি থাকে মাত্র। অপরদিকে ডিওএইচএস সরাসরি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জমি যা নামমাত্র মূল্যে দেয়া হয় এবং সেটা সরকারী নীতিমালা মধ্যেই।

৩. ওই এলাকার জমির দাম নিয়ে মিডিয়া যেসব অংক দেয়া হয়েছে তা অন্যের বরাত দিয়ে এবং তা অত্যন্ত হাস্যকর। ওই জমিগুলো ভোক্তা পর্যায়ে সেনাসদস্যরা (কমকর্তা ও নন-কমিশনড) প্রতি কাঠা ৩ লক্ষ টাকা করে কিনবেন। তাহলে বিঘা প্রতি দাড়ায় ৬০ লক্ষ টাকা (১বিঘা=২০কাঠা)। ৭০ লক্ষ টাকায় কিনে সেটা ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হবে!? ওই এলাকার অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি গুলো প্রায় একই দামেই (কাঠাপ্রতি ৩ লক্ষ) টাকায় ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছে। সুতরাং মূল দাম অনেক কম। কেননা জমি কেনার পর এর সাথে ডেভেলাপিং চার্জ যোগ করেই ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হবে। সাধারনভাবে জমির দাম বিঘাপ্রতি ১০ লক্ষের বেশি এলাকাবাসীর পাওয়ার কথা না!

৪. বিঘা প্রতি ১৭ লক্ষ টাকায় (মিডিয়ার খবর অনুযায়ী) যে সেনা কতৃপক্ষ কিনছে তা কিন্তু এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সরাসরি। ওই এলাকার জমিগুলো অন্য আরও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও কিনছে। কিন্তু তারা কেনে দালালদের কাছ থেকে, সরাসরি নয়। ফলে এলাকার মানুষ বেচে ১০ লক্ষে, দালালরা সেটা বেচে ১৫ লক্ষে!

৫. দালালরা এলাকার মানুষের কাছ থেকে কম টাকায় কিনে একধরনের সিন্ডিকেট করে ফেলে এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দালালদের নির্ধারিত দামে কিনতে বাধ্য করে। সেনাকতৃপক্ষের সাথে খুব সম্ভবত এই কাজটাই তারা ঠিকভাবে করতে পারছিল না! এলাকার মানুষ যাতে সরাসরি তাদের কাছেই বিক্রি করে এজন্য প্রশাসনের সহায়তায় খুব সম্ভবত অন্যদের কাছে (দালালদের কাছে)বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য এসব দালালের কাজগুলো করে থাকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত আওয়ামীলীগ নেতারা। এটাই আমাদের দেশের জমি কেনা বেচা এবং রিয়েল স্টেটের সিস্টেম!

৬. সেনা কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কারনে এই সিস্টেমের ব্যঘাত ঘটেছে! সরাসরি বিক্রি করতে পারার কারনে বিক্রেতা পর্যায়ে জমির দামও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে গেছে। অন্যন্য কোম্পানীগুলোও দালালদের মাধ্যমে কিনতে গেলেও পারছে না। কারন ১৭ লাখের সাথে অন্তত আরও ৫ লাখ যোগ করে কিনতে হচ্ছে। আবার দালালরাও লাভের মুখ দেখতে পারছে না কেননা সরাসরি বিক্রির সুযোগ থাকায় কেউ তাদের কাছে কমদামে বিক্রি করছে না। সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করেও পারছে না প্রশাসনের বাধার মুখে। তাই গুজব ছড়িয়ে এই ধরনের একটি পরিস্তিতি তৈরি করা হল। শুধু গ্রামের সহজ সরল মানুষ নয় শহরের শিক্ষিত মানুষও গুজবে কান দেয়!

৭. বিঘা হিসেবে কিনে নেয়ার পর সেখানে আছে ডেভেলাপিং চার্জ। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এখানে একটা বড় দাও মারে। তারা সঠিকভাবে বালু ভরাট করে না। কিন্তু সেনা কতৃপক্ষ সেটা করার কথা না। তারাত আর ব্যবসা করতে নামে নি!

৮. বাংলাদেশে জমি কেনাবেচাতে অনেক ধরনের নোংরা রাজনীতি থাকে। সাধারনত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গুলো এগুলো সামাল দিতে পারলেও বোঝাই যাচ্ছে সেনা কতৃপক্ষ এটা পারে নি। সরকারের উচিৎ ছিল নিজেরা ক্রয় করে সেনা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা । সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগত। এখন সেনাবাহিনী নাম ব্যবহার হওয়ায় জনগনের সাথে সেনাবাহিনীর দূরত্ব বোধহয় আরও বাড়ল!

৯. গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারেরই একটা অংশ। বিভিন্ন সময় সরকারগুলো তাদের ভুলভাবে ব্যবহার করেছে। সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়েও আছে অনেক দুর্নীতি। আবার অতীতেও সেনাবাহিনীর কিছু নেতৃত্ব দেশের ক্ষতি করে গেছে। কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী স্রেফ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারনে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে অবিবেচকের মত কথা বলে। তারা চায়টা কি? সবসময় হুজুগে মাতা! তাদের অন্তত সত্য ব্যপারটা চিন্তা করা উচিৎ। জমি কেনা বেচা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই মনে হচ্ছে!

১০. এই ঘটনায় কয়েকজন হতাহত হয়েছে। আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। গুলি পুলিশ করেছে না সন্ত্রাসীরা করেছে না সেনাবাহিনী করেছে তা বোধহয় ঘরে বসে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। সত্যি যেটাই হোক আমার ধারনা এই ঘটনার জন্য দায়ী ওই জমির দালালরা যারা কিনা একই সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাও।

১১. বাংলাদেশের সাধারন পাবলিককে নিয়ে আমার তেমন অভিযোগ নেই। কারন এরা নিজেরাও জানে না কখন কি বলবে! কথা বলতে ত আর পয়সা লাগে না! বাঙালী মাত্রই অন্যের ভাল সহ্য করতে পারে না। আমি নিজেও ত পাবলিক। তবে আমাদের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও ভেবে দেখা উচিৎ কি বলছি! চিন্তাভাবনা না করে মাত্রা ছাড়া কথা বলতে গিয়েই আমরা জাতিগতভাবে অনেকবার বিপদে পরেছি।


একটা আলাদা পোস্ট দেয়া উচিৎ ছিল!

ধন্যবাদ।


রিডার ওয়ান বলেছেন:
শিপু ভাই বলেছেন: সেনা বাহিনী আমাদের সম্পদ। এখানে বাংলাদেশের নাগরিকরাই চাকরি করে। তারা আমাদেরই সন্তান। কোন ধরনের বিভেদ- বিভাজন কাম্য নয়। ভাল মন্দ সব খানেই আছে।

এর সাথে যোগ করতে চাই, বিভিন্ন সময় সরকারগুলো নিজেদের স্বার্থে সেনাবাহিনীর (যা কিনা রাষ্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ন সংগঠন) নাম ব্যবহার করে জোর করে অনেক কাজ করিয়ে নেয়। বদনামটা হয় সেনাবাহিনীর। দুরত্ব তৈরি হয় সাধারন মানুষের সাথে।

এটা ঠিক যে সেনাবাহিনী অনেক সময় বাড়াবাড়ি করে, বিশেষ করে সামরিক শাসন আমলে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একটা সংগঠন চলে উচ্চপদস্থ কিছু নেতৃত্বে ভর দিয়ে। কিছু লোকের দোষের জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন এই অংশটিকে সামগ্রিকভাবে দোষারোপ করা অন্যায়। তাছাড়া দেশের অন্য সংগঠনগুলি যে খুব ভাল কাজ করছে তাও ত না। রাজনীতিবিদই বলেন, সামরিকবাহিনীই বলেন আর সরকারী আমলা বা ব্যবসায়ীরা বলেন সবাই ত আমাদের দেশের জনগনই! তাহলে কি দোষটা দেশের সব মানুষকে দেব?!?

আর এখন চলছে গনতান্ত্রিক সরকার! সেনাবাহিনী গনতান্ত্রিক সরকারের নেতৃত্বেই আছে!!
রিডার ওয়ান বলেছেন:
আমি শুধু সেনাবাহিনীকে এককভাবে দোষ দিতে চাইনা। কারন আমি তাদের আলাদা কোন এনটিটি ভাবতে নারাজ। তারা নিজেরা যদি ভাবে সেটা তাদের ভুল।

নেতৃত্ব বলতে আমি সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীন নেতৃত্বই বুঝিয়েছি। যেমন- এরশাদ। অল্প কিছু মানুষের জন্য সেনাবাহিনীও আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মত কলুষিত হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্থান সেনাবাহিনী থেকে আলাদা কিছু হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আফসোস ত সেখানেই। এর জন্য দায়ী এরশাদ টাইপের লোকজন যারা স্বইচ্ছায় পাকিস্থানে বন্দী থেকে যুদ্ধের পরে দেশে ফিরে পাকিস্থানী চরিত্রটা ধরে রেখেছে।

আবার সেনাবাহিনীকে যদি আলাদা বা বিশেষ কিছু ধরেও নেই, তাও দেখা গেছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক নেতৃত্বের প্রভাবও ওদের মধ্যে পরেছে। রাষ্ট্র যন্ত্র তাকে বিশেষ কিছু হিসেবে সবসময় ব্যবহার করতে চেয়েছে।

আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটা দেশে সব কিছু ঠিক ভাবে হয় না। যদিও আমাদের স্বপ্নটা ছিল অনেক বড়।


রিডার ওয়ান বলেছেন:

আমি যে তথ্য দিয়েছি তা পত্রিকা পড়ে আর জমি কেনা বেচা সম্পর্কে ধারনা থেকে। আমার কাছে কোন তথ্য প্রমান নেই! তাই আলাদা পোস্ট দেইনি, মতামত দিয়েছি।

আইএসপিআর যে বিজ্ঞপ্তি দিল তা অসম্পূর্ন। তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভবও নয়। আসলে সরকারেরই (স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়) উচিৎ ছিল বিষয়টি পরিস্কার করা। কিন্তু সেটা করতে গেলে থলের বিড়াল বের হয়ে যেতে পারে! কারন বিষয়টার সাথে খুব সম্ভবত আ'লীগের স্থানীয় নেতারা জড়িত!

যাই হোক, সাংবাদিকরা ত লেগেই আছেন! আমরা সব তথ্যই পাব আশা করি। যদিও পত্রিকার তথ্যে কিছুটা গুজবের মিশ্রনও থাকবে!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫১

দিনমজুর বলেছেন: আপননি এই ধরণের কথা এই পোষ্টে আগেও বলেছেন, সেগুলোর জবাবও দিয়েছি। তারপরও পোষ্ট স্টিকি হওয়ার পর যারা পড়ছেন তাদের জ্ঞাতার্থে আপনি আপনার কমেন্ট গুলো আবার দিচ্ছেন। ভালো কথা। কিন্তু কিছু বিশেষ অংশ মনে হয় আপনি দেন নি,
আপনার পুরানো কমেন্ট গুলা যখন দিলেনই, তবে আপনার এই অংশটুকুও পাঠকের জানা জরুরী, আপনাকে বুঝতে/চিনতে সুবিধে হবে:

রূপগঞ্জ বাসী সম্পর্কে আপনার বক্তব্য: তাদের কোন মহত্ব/বীরত্ব এখানে খুজে পাচ্ছি না। তারা বরাবরের মতই নির্বোধ। তাদেরকে নির্বোধের পুরস্কারে ভূষিত করা যেতে পারে!

আর রুপগঞ্জের ঘটনায় আপনি আর্মির কোন দোষ খুজে পাচ্ছেন না: "রূপগন্জ্ঞের এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর তেমন দোষ আমি খুজে পাচ্ছি না।"

বলেছেন: সামরিক বাহিনীকে আপনি আলাদা এন্টিটি ভাবতে রাজী নন আবার বলেছেন “সামরিকবাহিনী থাকলে ওই ব্যপারগুলি মেনে নিতেই হবে।”(সূত্র: এই লেখার ৩৬ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্ট্যব্য)

বেশি কিছু লাগে না, স্রেফ এই বক্তব্যগুলোই সামরিক বাহিনীর apologist হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

১৪৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৩

সবাক বলেছেন: সেনাবাহিনী হলেই কি, আর না হলেই কি? দেশের জন্য সেনাবাহিনীর দরকার আছে কি নেই, সেটা ভিন্ন মামলা। অনটপিক হচ্ছে সেনাবাহিনীর দস্যুপনা। আরো আতংকের বিষয় হচ্ছে- ভূমি দখল করতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবহার করা!

একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার ব্যপ্তি কতটুকু? বাংলাদেশে রাষ্ট্রের চাইতে সেনাবাহিনী বেশি ক্ষমতাধর। জনগনের চাইতে জনপ্রতিনিধি বেশি ক্ষমতাধারী। আবার অধিক ক্ষমতাশালী সেনা আর রাজনীতিবিদরা তলে তলে খালাতো ভাই। বোধাই জনগন বুইঝা না বুইঝা কখনো রাজনীতিবিদগো পায়জামার তলায়, আবার কখনো সেনাবাহিনীর বুটের তলায় গিয়ে আশ্রয় খোঁজে। অথচ কোনটিই তার নিরাপদ আশ্রয় নয়।

যারা এ লেখায় সমস্যার সমাধান খুঁজছেন তাদেরকে বলছি -
আপনারাতো এখনো সমস্যা নির্ণয়ই শিখেননি, সমাধান করবেন কিভাবে? আগে দেখে নিন বাঁশটা আপনার কোন পজিশন বরাবর তাক করা আছে, তারপর নিজের সমাধান নিজেই খুঁজতে পারবেন।


লেখককে স্যালুট, সমস্যা অথবা আমাদের বিপদসমূহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩২

রিডার ওয়ান বলেছেন:

এই প্রসংগে এই মন্তব্যটুকুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। মন্তব্যকারীর অনুমতি ছাড়াই কপি করলাম। আগের কমেন্টেও দিয়েছি। কিন্তু গুরুত্ব বোঝানোর জন্য আবার দিলাম !!


আশিক হাসান বলেছেন: রুপগন্জের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সবচাইতে বড় ভুল স্থানীয় হাউজিং কোম্পানী এবং তাদের অনুগত স্থানীয় দালাল শ্রেনীকে হিসাবে না আনা। বাইরের দুনিয়া আর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিবেশ এক না ,বিশেষ করে যেই অন্চলে ভূমিদস্যু স্বরুপ হাউজিং কোম্পানীর লোলুপ দৃষ্টি সেখানে তাদের হওয়া উচিত ছিল আরো কৌশলী আর সাবধানী। এখানে সোজা কথার কোন মূল্য নেই এমনকি ভাল কাজকে রং চড়িয়ে জনগনকে কিভাবে বোকা বানানো যায় এই ঘটনা থেকে সেনাবাহিনীর শিক্ষা নেয়া উচিত।

যেখানে হাউজিং কোম্পানী বিশেষ করে ভুলুয়ার মত কোম্পানী গুলো সাধারন মানুষকে প্রতারিত করে একের পর এক জমিগুলো বন্ধক রেখে প্রতারনার ফাঁদ পাতছিলো সেখানে সেনাবাহিনী মহাসমারোহে যখন নগদ টাকায় জমি কেনা শুরু করে তখন তাদের বোঝা উচিত ছিলো যে হাউজিং কোম্পানীগুলো হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবেনা । এবং বাস্তবে হয়েছে ও তাই একের পর এক প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে । এখানে অবশ্যই বলে রাখা ভাল যে বাঁধাগুলো একে একে অপসারন করা হলেও নতুন করে আরো প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছিলো ,এর পেছনে ইন্ধনে ছিলো রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বেসরকারী হাউজিং কোম্পানীর কালো টাকার খেলা এর মধ্যে বসুন্ধরা ,ভুলুয়া নাম উল্লেখ্যযোগ্য ।

ঘটনা ঘটার পূর্বেই সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগনের সবগুলো দাবী মেনে নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলে এই মহল নেমে পড়ে সর্বশেষ খেলায় আর সেটা ছিলো সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানো । এর পেছনে কাদের সুবিধা ছিলো বেশী এটা ক্ষতিয়ে দেখতে খুব বেশী একটা কষ্ট করার প্রয়োজন নেই । কথায় আছে "আকালমানকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়"।

সেনাবাহিনী এখানে অনেক আগেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে ছিলো যে কোন ব্যক্তিকে তার বসটভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবেনা ,কারও জমি অধিগ্রহন নয় বরং বাজারদরে ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করা হবে । এখান দেখার বিষয় এই হাউজিং কোম্পানীর টাকায় কে কে বিক্রি করেছে নিজেদের আর সরকার এবং সেনাবাহিনীকে এই ধরনের একটি বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চেয়েছিল।

১৫০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

মহাপাগল বলেছেন: হাম্বা-বিম্পি এইডা নিয়া যতই লাফালাফি করুক, প্রকৃত সত্য আপনার পোষ্টে বেড়িয়ে এসেছে। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

১৫১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

রিডার ওয়ান বলেছেন:

গতকালের আরও একটি অসাধারন কমেন্ট ... :-B :)

ওয়ান ম্যান বলেছেন:

টাকাও এক ধরনের অস্ত্র। সততা ধুইয়ে দেয়ার জন্য এটিই সবচে বেশি কার্যকর।

বাধাই করে রাখার মত কথা !! B-)) /:)

১৫২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪০

ভিন্ন চিন্তা বলেছেন: রিডার ওয়ান @

আপনি বলেছেন ''আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল। ''



আপনার কাছে একটাই প্রশ্ন ..............'' রূপগঞ্জে কেন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল?''

১৫৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

এক্স বলেছেন: @রিডার ওয়ান - রূপগন্জের এমপি কে? শুনলাম ওই এলাকায় নাকী গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলের খুব প্রভাব? উড়া কথা তাই জোর দিয়ে বলতে পারছি না, আপনি কি একটু কষ্ট করে জানাবেন... (গোলাম মোস্তফা হল সেই মুজিব আমলের রেডক্রস না কিসের যেন হেড ছিল, সেই ডালিম আর তার পরিবারকে মেয়ের বিয়ে বাড়ি থেকে কিডন্যাপ করে গুম করতে চেয়েছিল)

এই পাবলিক একদিন আর্মির উপর ক্ষেপবে আবার দুইদিন পর তাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য কাঁদবে,, আবার ক্ষেপবে আবার কাঁদবে ... পাবলিক কি চিন্তা করছে এটা ইস্যু না, ম্যাস মিডিয়া হাতে থাকলে যে কোন কিছুকেই যে কোন দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায়. তাই কোন কমেন্টও করছি না প্রতিবাদও করছি না. বরং ধরার চেষ্টা করছি সামগ্রিক ভাবে কোনখাতে ঘটনাকে প্রবাহিত করা হচ্ছে ... কারা এই কাজ করছে...

বর্তমান পাবলিক ব্লগে জামাত ঠেঙ্গায়া মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ ও ক্রেডিট নেয়, আর্মি ঠেঙ্গায়া দেশপ্রেমিক হয়, মানুবদরদী হয়. আসল ফিল্ডে দেশদ্রোহী বা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রীদের টিকিটাতে চুমো দেবারও সাহস বা ক্ষমতা তাদের নাই. তারা খালি বাতাস দেখে পাল তুলে আর কল্পনায় দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ গ্রহন করে. আসল কাজে এই ব্লগযোদ্ধাদের কোন হ্যাড়মই নাই.

আমরা সবসময়ই বিতর্ক পছন্দ করি. সবারই মনে আছে মূসার এভারেস্ট বিজয় নিয়ে বিতর্ক আর কী-ঝড় , প্রচার কতটা অপ হতে পারে তা আমরা দেখেছি, না বুঝেই অনেকে বিতর্কের আগুনে ঘী ঢেলেছেন... মাঝখান থেকে বিতর্কিত ও মনোকষ্টে ভূগেছেন বাংলার ওই কৃতীসন্তান. আমরা কীর্তি গড়তে জানি না তবে ক্রিটিসাইজ করতে জানি. এইটাও ঠিক সেরকম একটা বিতর্ক. তবে রূপগন্জের এটা কোন হিংসুক কলেজ মেটের হিংসার ফসল নয় এর মূল অনেক গভীরে,

বসুন্ধরা ভূমি অধিগ্রহনের জন্য হত্যাকান্ড-সন্ত্রাস চালালেও সেখানে কেন গনপ্রতিরোধ হয়না কিন্তু দেশকে সুদীর্ঘ মিলিটারি সার্ভিস দেয়ার পর সেনাদের একটা বাসস্হান নিয়ে এত ক্যাচাল এত গনপ্রতিরোধ কেন হয় সেটা ভেবে দেখার মতই একটা বিষয়.

১৫৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

বিজ্ঞান বলেছেন: রুপগন্জে জমির দালাল এর অত্যাচার মানুষ জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করেছে .............কিন্তু ব্লগে সেনাবাহিনীর দালাল দের প্রতিবাদ করতে কি ব্লাগ জীবন বিসর্জন দিতে হবে নাকি ?????


এই বেহায়া মানুষ গুলোর কি লজ্জা সরম বলে কি কিছু নাই ????

এরা কোন সভ্যা দুনিয়ার মানুষ ????

কি ভাবে সন্দেহ পোষন করে যে ঐ মনুষগুল সরকারী পেটোয়া বাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়নি ????

এদের মনুষত্ব বলে কি আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ????


সাধারন পোষকে আর্মির লোক রেজিস্ট্রি আফিসে বসে কি বাল ফেলাইতেছিল ???


রাগে ঘৃনায় আর কিছু লিখতে পারলাম না ।

১৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: ভাল কথা।

১৫৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: স্টিকি করার জন্য মডারেটরদের অভিনন্দন।

১৫৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৯

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: এক্স বলেছেন:

বর্তমান পাবলিক ব্লগে জামাত ঠেঙ্গায়া মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ ও ক্রেডিট নেয়, আর্মি ঠেঙ্গায়া দেশপ্রেমিক হয়, মানুবদরদী হয়. আসল ফিল্ডে দেশদ্রোহী বা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রীদের টিকিটাতে চুমো দেবারও সাহস বা ক্ষমতা তাদের নাই. তারা খালি বাতাস দেখে পাল তুলে আর কল্পনায় দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ গ্রহন করে. আসল কাজে এই ব্লগযোদ্ধাদের কোন হ্যাড়মই নাই.

ভাল লাগল আপনর কমেন্ট।

১৫৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫১

শ্যুটার বলেছেন: লেখককে ++
আমার মন্তব্যটি এই লিংকে দিলাম - Click This Link

১৫৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৩

ঈবলিশ বলেছেন: মিরপুর, সাভার, চিটাগাং, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, যশোর, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, ঘাটাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ময়নামতি ক্যানটনমেন্টে কি কি পয়দা হয় তার তালিকা আমাগো জানা নাই।

পোষ্টে+++

১৬০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০১

দিনমজুর বলেছেন: রিডার ওয়ান বলেছেন: “আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল।“

হ ভাই রিডার, সেনা বাহিনী ঐ খানে কন্যা দায় গ্রস্থ পিতাদের উদ্ধার করার মতো ভূমিদায়গ্রস্থ কৃষকদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল!

১৬১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০৩

রাতমজুর বলেছেন: রিডার, বাংলা শুনেন, আর্মির প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ আর ডেভলপারের কামড়াকামড়ির বলির পাঁঠা হইছে রূপগঞ্জ বাসী, এইবার গিয়া মুড়ি মাখা খান।

১৬২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১১

তেলাপোকা বলেছেন:
দিনমজুর বলেছেন: রিডার ওয়ান বলেছেন: “আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল।“

হ ভাই রিডার, সেনা বাহিনী ঐ খানে কন্যা দায় গ্রস্থ পিতাদের উদ্ধার করার মতো ভূমিদায়গ্রস্থ কৃষকদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল!


---------
কিছু রামছাগলের মাইনাস দিছে দেখলাম। ব্যাপারনা। আপনারেও লাল সালাম।

১৬৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৪

কার্ল মার্কস বলেছেন: আমরা পশ্চিমা সভ্যতাজাত জ্ঞানকান্ডে বেড়ে উঠা সময়ে বসবাস করছি। এখানে পুঁজিবাদ হচ্ছে পরম ধর্ম। রাষ্ট্র'র সংজ্ঞাও সে নিজ প্রয়োজনে ঠিক করে রেখেছে। তাই চাইলেই সাথে সাথে আমরা নিজেদের মতো করে কল্যান রাষ্ট্র তৈরী করতে পারি না। এ অবস্থায় থেকেই লড়াই বা চেষ্টা করতে হবে। সেনা বাহিনী কি রুপ হবে সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে বা নিজেদের বিশ্লেষণী প্রক্রিয়া থাকতে পারে কিন্তু সব সময় মনে রাখতে হবে, আপ্নি এমন একটি বাস্তব অবস্তানে আছেন যাকে এড়াতে পারেন না। দায় আছে সাধারণ, বোকা বা শেয়ানা মানুষদের কল্যাণকামী করে তোলা। যেসব অথর্ব সেনা কর্মকর্তার জন্য আজ বাংলাদেশের সেন বাহিনীর এ অবস্থা, তাদের ছুড়ে ফেলা যাবে না। কারণ তারা না বোঝার কারণে বিরোধীতা করে, তাই তাদের যতক্ষণ পর্যন্ত বোঝাতে না পারা যায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কারণ বিপ্লব মানে মানুষ হত্যা তথা প্রতিপক্ষ হত্যা নয়। বিপ্লব মানে সকলের কল্যাণ । বাংলাদেশের বাম পন্থিদের একটা অংশ আজব তত্ত্বগত কারণে অথবা একচোখা কারনে সেনা বাহিনীর বিরোধীতা করে। আমরা চাই বর্তমান এ অবস্থানে শক্তিশালী সেনা বহিনী।
যে সেনা বাহিনী হবে রাষ্ট্রের অধীন, রাষ্ট্র সেনা বাহিনীর অধীন নয়, যেমনটা পাকিস্তান এর ক্ষেত্রে। সেনা বাহিনীকে নষ্ট করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদী। আমাদের সেনা বাহিনীকে ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন দিতে পারি না। তাদের অর্থের প্রয়োজন হলে তা রাষ্ট্র মেটাবে। পাকিস্তান সেনা বাহিনী - রাষ্ট্রের সাথে প্যারালাল শক্তি হয়ে উঠেছে। এটার জন্য তার চরম াস্থিরতায় ভোগে। এর আংশিক প্রভাব বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে। তাই দ্রুত একে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১৬৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৫

িপকলুচাচা বলেছেন: ডারুন পোসট.োনেক োজানা িনফোরমাটিোন জানলাম. পেলাস। +

১৬৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২১

একলোটন বলেছেন: চমৎকার।
মন্তব্যগুলো পড়া বাকী রইলো।

১৬৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৪

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ক্ষতিগ্রস্থ নিকটাতো জানতাম - পয়েন্ট টু পয়েন্ট কথা বলে -
এখন তো মনে হয় কাপড় ধরে রাখা দায় হয়ে গেসে- @ক্ষতিগ্রস্থ - সাধারন মানুষের চোখে আর্মিরে দেখার চেষ্টা করেন - না হলে কয়দিন পর নিজের পোষ্ট পড়ে নিজেরে গাইল পাড়বেন - কাগো দালালী করতে গেসিলাম বইলা।


@ শূন্য আরণ্যক- আপনি বিডিআর ঘটনার পর সেনাবিদ্বেষী কুত্সাপিডিয়া রচনা করেছিলেন এই ব্লগে, তার প্রতিবাদে আমি সিরিয়াল পোস্ট দিয়েছিলাম, বুঝা গেল আপনি পড়েছেনও, কিন্তু কোন মন্তব্য করেননি, মন্তব্য করার মশলা হাতে নেই, তাই?

আমার কাপড় নিয়ে একটু কম ভেবে নিজের কাপড়ের যোগারযন্ত্র করুন. পারলে আমার উত্তরগুলো দিয়ে যেয়েন - পয়েন্ট টু পয়েন্ট না বলে সুইপিং কমেন্ট করতে চাইলে স্বাগত জানাচ্ছি না.

১৬৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৭

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: Click This Link

১৬৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

মোসাজস বলেছেন: বাংলাদেশের আর্মির ধরন কি রকম হওয়া উচিত উল্লেখিত ব্লগারদের কাছ থেকে একটা নকশাটা পেলে ভালো হতো...

১৬৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫২

মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: ধিক এই নির্বোধদের বর্বরোচিত আগ্রাসনকে।।।

১৭০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৪

রোহান বলেছেন: রিডার ওয়ানযখন বলেন “আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল" তখন আর কি বলার থাকে... আপনি যখন ধরেই নিয়েছেন ভূমিদস্যুতা একটা ভালো কাজ তখন আর এতো লম্বা লম্বা আলোচনার কি দরকার কে জানে... আপনি গুগল আর্থ থেকে পাঁচ হাজার বিঘার একটা গোল্লাকৃতি জায়গা সিলেক্ট কইরা ঠিক করলেন যাক এইটা কিনা নিমু, মাইনসে যত কইবো তার থিকা সাত লাখ টেকা দিয়া বেশী দিয়া কিনুম... এখন আমার ভিটাবাড়ি আপনার সিলেক্টেড গোল্লার মাঝে পড়ছে, মাগার আমি ভিটা বেচুম না, এই ভিটা এই ক্ষেত সব আমার বাপ দাদার স্মৃতি। আর্মি বলছে পাবলিক বেচতে না চাইলে বেচবো না, আমরা জোর জবস্তি করবো না, এইবার আমারে আপনি বুঝান গোল্লার মাঝে যদি আমার মতো একশো জন ঘাউড়া পাবলিক জমি না বেচতে চায় তাইলে আবাসনটা কিভাবে হবে? বসুন্ধরা কিংবা যমুনা কিংবা নতুন গজিয়ে উঠা সবাই তখন কি করে? আর্মি কি তাদের ব্যতিক্রম হবে, তারা কি ফুলের তোড়া নিয়া আমারে অভিনন্দন দিয়া বলবে ভাই আচ্ছা তুমি চাষা আমার আবাসনের মাঝে মিলেমিশে থাকবা?

বসুন্ধরা করলে ভূমিদস্যু, যমুনা করলে ভূমিদস্যু আর সরকার পূর্বাচল করলে কিংবা জলপাই আবাসন করলে সেইটা তাদের চাহিদা এইটা কেমন কথা? কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নিয়া কিছু বলা মানে দেশে অস্থিরতা তৈরী করা, সব রাজনৈতিক নেতা আর পাশের দেশের ষড়যন্ত্র এই জুজুর ভয় দেখিয়ে তাদের আইসোলেট করে রাখার কি মানে?

১৭১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৭

সত্যান্বেষী বলেছেন: রুপগঞ্জকে মনে হয় ইরাক, আর সকল ভূমিখেকোকে (সামরিক, বেসামরিক) মনে হয় আমেরিকা। আহা রুপগঞ্জ, অপনা মাঁসে হরিণা বৈরী।

১৭২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০১

েপচাইললা বলেছেন: @ক্ষতিগ্রস্ত: আপনার প্রোফাইল পিক দেইখাই লেখকের বোজা উচিত ছিল যে আপনি দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী (আপনি বা আপনারা এখন আভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব গ্রাসকারী কি-না তা অন্য কোন সময় আলোচিত হইবে, আপাতত বর্তমান আলোচনায় থাকি)।

আপনি লিখেছেন, ফুইলা ফাইপা কদলি কিংবা বটবৃক্ষ হলে আপনার কী সমস্যা? চুরি করে হচ্ছে নাকি? নিয়ম মাফিক ব্যবসা করে হচ্ছে. ব্যবসা করতে নিযেধ আছে? সেখানে চাকুরি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনারা, তাদের ওয়েফেয়ার হচ্ছে, দেশের চাকুরির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে,

আপনাকে আমরা কি দেইনি? চাকুরীতে থাকাকালীন মাগনা ভাতকাপর, সরকারি আবাসন, আমাদেরকে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেবার ক্ষমতা, এবং আমাদের এবং আমাদের ভাইদের নাই করে দেবার জন্য বেয়োনেটঅলা বন্দুক কিংবা কার্তুজ- কোনটা বাদ আছে? অবসরের পর আপনাদের গচ্ছিত টাকার সাথে আমাদের টাকা থেকে মোটা অংকের পেনশন, আজীবন রেশন-কোনটা দেইনি। তারপরও এত চাই কেন আপনার, আপনাদের? বন্দুক ঘাড়ে নিয়া তর্জনি নিশপিশ করে?


আর্মির অফিসাররা স্বাধীনতার পর আমাদের কি কচুটা দিয়েছে যে, তাদের জন্য সরকারি জমি, সরকারি অর্থ সারাজীবন ধরে দিয়ে যেতে হবে? এই টাকা কোথ্থেকে আসে জানেন? আমার পকেট থেকে, আমার বাবার মত একজন কৃষকের পকেট থেকে। বন্দুক ঘাড়ে নিলেই হয় যুদ্ধ নয় দস্যুতা করতে ইচ্ছে হয়?

বাংলাদেশ আর্মির পাকিস্তানাইজেশন চলছে, এই কথা কইতে গিয়া এই সামুতেই প্যাদানি খেয়েছি অনেকের হাতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধোয়া তুলসি পাতা!

আর্মিতে চাকরি করা অনেক কষ্ট! আর্মির জীবন সবসময় দ্যাশের জন্য নিবেদিত। হ, ঠিকই তো। নইলে মিয়ানমারের মত একটা দ্যাশ সীমান্ত দিয়া হাজার লোক পাঠাতে পারে এই দ্যাশে, বঙ্গোপসাগরে আমগো জমির উপ্রে মাস্তানি করবার পারে! তখন কোথায় ছিল আর্মি। তখন সার্বভৌমত্বে টান পড়ে নাই!! আমার রক্তে তো ঠিকই আগুন লাগছিল। বলার দরকার নাই যে, এইটা সরকারের ডিসিশানের উপ্রে নির্ভর করে।আমরা খুব ভাল বুঝি। দ্যাশের প্রধানমন্ত্রীরে উঠায়া ক্যান্টনমেন্টে লইয়া যাওন যায় আর এইসব কাজে সরকারের পারমিশন দরকার হয়। আমি কইতাছি না যে, তারা যুদ্ধ বাধাইয়া দিক, কিন্তু এত টাকা খরচ কইরা এতগুলান আবাল আর্মি পুইষা আমার লাভ হইল কি? আমার শক্তির প্রদর্শন কই? এগলান কি খালি ব্লাডি সিভিলিয়ানগো শাসাইবার লাইগা। না-কি ভবিষ্যতের চিন্তায় জমি দখলে ব্যস্ত ছিল?

আসল কথায় আসি। এতবড় আর্মি দিয়া আমাগো লাভ কি? আর্মির এত শান-শওকত দিয়াই বা কি যায় আসে আমার রাষ্ট্রের। শ্রেণী-বিভাজনের তাত্ত্বিক প্যাচাল না তুইলাই বলা যায়, যে প্রতিষ্ঠানটির হাতে প্রতি মুহুর্তেই রাষ্ট্রক্ষমতা বা গণতন্ত্র হারানোর ভয় থাকে তার সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামা থাকাটাই কাম্য। আবার পুলিশ তথা আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীকে শক্তিশালী না করে যেখানে সেখানে আর্মির ধনে তেল দেয়াও কাজের কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের আবাল রক্তচোষা রাজনীতিকরা তাদের ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে তেল দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে। ঢাকার অর্ধেক জায়গা, দু-চারটি রূপগঞ্জ নয় পুরো দেশই এদের পকেটে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না, যদি রূপগঞ্জবাসীরা এগিয়ে না আসে।


পোস্টে প্লাস। রূপগঞ্জবাসীদের সালাম।







১৭৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৬

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
দিনমজুরের বজ্রাঘাতে যুগপৎ চমকিত ও আনন্দিত। তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৭৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৭

রিডার ওয়ান বলেছেন:

কার্ল মার্কসের মন্তব্যটুকুতে সহমত।

কার্ল মার্কস বলেছেন:

কারণ বিপ্লব মানে মানুষ হত্যা তথা প্রতিপক্ষ হত্যা নয়। বিপ্লব মানে সকলের কল্যাণ । বাংলাদেশের বাম পন্থিদের একটা অংশ আজব তত্ত্বগত কারণে অথবা একচোখা কারনে সেনা বাহিনীর বিরোধীতা করে। আমরা চাই বর্তমান এ অবস্থানে শক্তিশালী সেনা বহিনী।যে সেনা বাহিনী হবে রাষ্ট্রের অধীন, রাষ্ট্র সেনা বাহিনীর অধীন নয়, যেমনটা পাকিস্তান এর ক্ষেত্রে। সেনা বাহিনীকে নষ্ট করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদী। আমাদের সেনা বাহিনীকে ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন দিতে পারি না। তাদের অর্থের প্রয়োজন হলে তা রাষ্ট্র মেটাবে। পাকিস্তান সেনা বাহিনী - রাষ্ট্রের সাথে প্যারালাল শক্তি হয়ে উঠেছে। এটার জন্য তার চরম াস্থিরতায় ভোগে। এর আংশিক প্রভাব বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে। তাই দ্রুত একে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


এটাই হয়, বিপ্লবী আর প্রতিবিপ্লবীরা কামড়াকামড়ি করে আর মাঝখান দিয়ে সর্বনাশটা করে যায় সুযোগ সন্ধানী রাজাকার, জামাত-শিবির, পাকিস্থান ফেরত কীট আর ভারতীয় দালালরা!

১৭৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

রিডার ওয়ান বলেছেন:
"আমি আবার বলছি, যতদূর বুঝেছি, ঐ এলাকায় সেনারা একটি ভাল কাজ করতেই গিয়েছিল।"

এখানে ভাল কাজটা ভূমিদখল নয়। বুঝতে ভুল করছেন। ঐ এলাকার জমির দালাল আর ভূমিদস্যুদের (যারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা) প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল সেনাবাহিনী। তাদের প্রতিহত করাটাকেই ভাল কাজ মনে করছি। অন্যদের হয়ত এটা ভাল কাজ মনে হয় নি! এলাকার জনগনকে সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ মনে করাটা চরম বোকামি। এলাকার মানুষগুলোকে ভুল বুঝিয়ে সেনাবাহিনীর মুখোমুখি করা হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। আমার মূল পয়েন্ট এতটুকুই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

দিনমজুর বলেছেন: হ, ভূমি দস্যুদের প্রতিরোধ করতে গেলে তো আর্মি ক্যাম্প বসায়া নিজেরাই ভূমি দস্যু হইয়া উঠতে হয়! জবরদস্তি কইরা লোকজনরে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করতে হয়! আর্মি যদি অন্য কোম্পানির ভূমি দস্যুতা বন্ধ করতে চায় তাহলে সেটা চায় একমাত্র নিজে ভূমি দস্যুতা করবার জন্য- অর্থাত মনোপলি।

আপনার মূল পয়েন্টটা পুরাই ভুয়া।

১৭৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭

মৃগয়া বলেছেন: বিম্পির পরিকল্পিত হামলা। খামোখা আর্মিরে দোষ দিচ্ছেন। একমাত্র আর্মিরাই দেশের জন্য কিছুর করে। সাথে আম্লীগ। বিশ্বাস না হইলে দ্যাখেন।

Click This Link

১৭৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬

আমি মদন বলেছেন: ফেইস বুক গ্রুপে ঘুইরা আসেনঃ রুপগঞ্জ সেনাবাহিনী হাউজিং Click This Link

১৭৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭

রেশাদ১০৬ বলেছেন: ভাই এক্কেবারে মনের কথাই কইছেন। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার বিশ্লষণধর্মী লেখার জন্য। ফেসবুক-এ শেয়ার করলাম।

১৭৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

তীর জোক বলেছেন: লেখকের কথা,
বাংলাদেশ আর্মি এখন স্রেফ একটা প্রথাগত সামরিক প্রতিষ্ঠান না, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ান আর্মির মতো এইটা এখন একটা বৃহত মিলিটারি কর্পোরেশন।
- পাকিস্তানের সাথে আমাদের আর্মি তুলনা মাইরা কি প্রমান করতে চান?

সাধারন মানুষের কষ্টের দাবী তুলেন ভাল কথা কিন্তু একচাপা আর্মিকে খারাপ বলে বিতর্কিত কইরা লাল সালাম মারা বন্ধ করেন দাদা।


১৮০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ


যারা আর্মির এই অনাচারের পক্ষে কথা বলতেছে, আমরা ধরে নিতে পারি যে তারা প্রত্যেকেই এই অনাচারের বেনিফিশিয়ার।
এছাড়া এই অসভ্য কার্যকলাপকে সমর্থন দেয়ার পেছনে কোন যুক্তি নেই।

১৮১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫

রোহান বলেছেন: ঐ এলাকার জমির দালাল আর ভূমিদস্যুদের (যারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা) প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল সেনাবাহিনী। তাদের প্রতিহত করাটাকেই ভাল কাজ মনে করছি।

ঐ এলাকার জমির দালাল আর ভূমিদস্যুরা যে কাজ করে সেনাবাহিনী সেই একই কাজ তো করতে গেছে, এইক্ষেত্রে তারা নিজেরা নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ হতে পারে কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ তো গ্রামবাসীই তাই না? আর্মি বসুন্ধরার থেকে সাত আট লাখ টাকা বেশী দিচ্ছে এই তো, এই ছাড়া আর কি পার্থক্য আপনি দেখছেন (পাবলিকের চোখ থেকে, বিজনেস কেপিআই দিয়া না)।

আর প্রতিহত করা হইলো কোন কনসেপ্ট থেকে? আগে দশজন ব্যবসা করতো (লিগাল হোক আর ইল্লিগাল হোক) এখন দশজনরে ভাগায়া আমি বন্দুক কাঁধে নিয়া একাই ব্যবসা করবো এই তো? ভালোই... সবখানেই একই মজা, জলপাই রঙে এক্স ফ্যাক্টর আছে তাই দেশের সব ব্যবসা তারা দখল করবে, সেইটা লিগাল হোক কিংবা ইল্লিগাল... দেশকে অস্থিতিশীল করতা আমরা চাইনা বলে সবাই মুখ তো বন্ধ রাখবোই...

১৮২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

তীর জোক বলেছেন: সামুর কি হইলো বুঝলাম না :-*

এত ভাল ভাল লেখা থাকতে এই হালের বিতর্কিত পোস্ট কিভাবে আঠা মারে?
আর ভাষাগত বিসদৃশ ভাব তো আছেই :-0

বরং উনার প্রতি পোস্ট স্টিকি করা যেতে পারে,
জুল ভার্ন

১৮৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০

আশীষ কুমার বলেছেন: সেনাবাহিনীর পাতা এত ধোয়া না যে তা নিয়ে বিতর্ক করা যাবে না। বিতর্ক করলে কি তারা ক্ষমতা দখল করবে?? এত ভয় কিসের? এটা পাকিস্তান না? সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সবসময় বিতর্কিত। কোন কাজ তারা বিতর্ক ছাড়া করতে পারে নাই।

দেশপ্রেমের গুষ্ঠি উদ্ধার করে তারা জনগণের গুষ্ঠি কিলায়। দেশপ্রেম আমার কারো চেয়ে কম নাই। দেশপ্রেম কি সেনাবাহিনীর পৈতৃক সম্পত্তি?? আর কারো কি দেশপ্রেম থাকেতে নাই??

১৮৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০

মৃতস্বর বলেছেন: সেনারা সব জায়গাতেই বহুত খচ্চর... পাব্লিকরে নাশ করতে এক্কেবারে খাড়া। গ্রামবাসী আর আপ্নারে ধইন্যবাদ। উচিৎ শিক্ষা আর্মিগোরে দেওনগেলে ভালা অইত। পোস্টে প্লাস দিসিলাম বহুত আগেই... আর সুজোগ নাই। স্টিকি করা উচিত।।

১৮৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কার পারপাস সার্ভ করার জন্য পোস্ট স্টিকি করা হলো।

বসুন্ধরার বিরুদ্ধে দেখিনি এমন গনঅভ্যুত্থান। এমন আরো অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি পাবলিকের জায়গা জোরকরে দখল করে এস্টেট বানায়।

১৮৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭

মুজিব রহমান বলেছেন: সেনাবানিহী দেশের কোন কাজে লাগে বলে জানি না। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় তাদের জন্যই। ওরা শিখে কিভাবে মানুষ খুন করতে হয়, গুলি করতে হয়। ওদের জন্য আবাশন বান্দরবানে করা উচিত। ওরা সভ্য মহলে থাকবে কেন?

১৮৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮

ওয়ান ম্যান বলেছেন:
গতকাল পোস্ট দিয়েছিলাম পুরো ঘটনার একটি পয়েন্ট নিয়ে। পোস্টটি তুলে দিলাম :



বসুন্ধরা ক্ষমা পায়, সেনাবাহিনী মাইর খায়


এতটুকুন মানচিত্রে কতটুকুনই ভূমি আছে? সে ভূমিতে আবার দস্যুও আছে! শীর্ষ দস্যুদের খোমা লুকানো নেই, তারা প্রকাশ্যেই দস্যুপনা করে যাচ্ছে। জনগন জমি দিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এবার এতো রোষ এলো কোত্থেকে? রাষ্ট্রের শীর্ষ ভূমিদস্যু বসুন্ধরা গ্রুপ, আসিয়ান সিটি সহ অন্যান্যদের সাথে জনগনের সংঘাত হচ্ছে না কেন? রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর সাথেই লাগবে কেন? নাকি বঞ্চিতরা সব এক হয়েছে? জনগন বঞ্চিত ভূমি থেকে, আবাসন কোম্পানিগুলো বঞ্চিত দখলদারি থেকে, বিরোধীদল বঞ্চিত ক্ষমতা থেকে।

খবরে প্রকাশ সেনাবাহিনীর জন্য কম দামে জমি বিক্রি করতে জনগনকে হুমকী দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী নেতা। এটা একটা দুর্যোগের লক্ষণ ছাড়া আর কিছুই না। সেনাবাহিনী যখন নিজ ভোগদখলের জন্য প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারস্থ হয়, তখন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের পাহারা দেয়াটা অনিশ্চিত হয় ভয়ানক ভাবে।

কিন্তু বরাবরই রাষ্ট্র যাচ্ছে হুমকীর মূখে। জনগন বনাম সেনাবাহিনী, সরকার বনাম জনগন, রাষ্ট্র বনাম বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান - এ ধরনের মুখোমুখী সমীকরণগুলো রাষ্ট্রের পক্ষে না।

জনগন কেন আবাসন কোম্পানিগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়ালো, বিষয়টির মনস্তাত্ত্বিক খুঁটিনাটি বের করা জরুরী।

না হলে জনগণের একীভূত রোষ ব্যবহার করে যে কোন অশুভ মহল রাষ্ট্রকে নিয়ে যেতে পারে চূড়ান্ত হুমকীর মূখে।

##


@ রিডার ওয়ান
আমার একটি মন্তব্য এখানে উল্লেখ করেছেন। তার প্রেক্ষিত কিন্তু ভিন্ন ছিলো।

##

দিনমজুরের পোস্ট পড়ে আমরা জানলাম সেনাবাহিনী কিভাবে কিভাবে আমার উপর দখলদারিত্ব বসাচ্ছে। সচেতন হলাম।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এরকম রোষ অন্যান্য আবাসন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নেই কেন? জবাবে লেখাজোকা শামীম ভাই - কিছু বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বিরক্তিতে আমি উনার মন্তব্যেরই জবাব দিইনি। কোথায় সেনা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া, আর কোথায় বিক্ষোভ মিছিল।

লেখাজোকা শামীম ভাই আরো বলেছিলেন ধুর্তামি শিরোণামের কথা। অথচ শিরোনাম এবং পোস্ট পড়লে স্পষ্ট বুঝার কথা এখানে কেবল মাত্র মাইরের প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাইর খাইলে আবাসনগোষ্ঠীগুলো খায় না কেন?

শংকা রইলো জনগণের আবেগ ব্যবহৃত হচ্ছে ভয়াবহভাবে।


##

সেনাবাহিনীর বিলোপ ঘটানোর প্রয়োজন? মানলাম। কিন্তু তা কি এভাবে? একটি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে কি খুব সহজে এর বিলোপ ঘটানো যাবে। - সেনাবাহিনীর কোন প্রয়োজনই নেই- এমন যুক্তিতে অনেকে সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করেন। আবার সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে খুব সুনাম কুড়িয়েছে - এ জন্য অনেকেই সেনাবাহিনীর ভক্ত

এভাবে করেই আবেগ ব্যবহৃত হচ্ছে।

পোস্টদাতাতো চরম আবেগের বসে খালিকুজ্জামান আর রাজেকুজ্জামানের মতো মানপত্র লিখে গেছেন।



১৮৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫০

ওয়ান ম্যান বলেছেন: পোস্টে মাইনাস।

১৮৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

মানুষ বলেছেন: পোষ্টটা ফেসবুকে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। কোন এক অদ্ভুত কারণে সেটা করা যাচ্ছে না।

১৯০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০০

ওয়ান ম্যান বলেছেন: @ মানুষ


শয়তান বলেছেন: যারা ফেসবুকে লেখাটা ফেসবুকে বা টুইটারে শেয়ার করতে অসুবিধায় পরেছেন তারা পোস্ট লিংক শর্ট করে শেয়ার করুন ।

এইভাবে ঃ

[ রুপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?”http://bit.ly/cE0EjN ]

ব্র্যাকেটবন্দী অংশটুকু কপিপেস্ট করে দিন

১৯১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০০

রাতমজুর বলেছেন: @মানুষ, ইউআরএল শর্টনার ইউজ করেন।

১৯২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৪

সাইফ মিরাজ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম। লেখা পড়ে মনে হল আপনার অনেক ক্ষোভ রয়েছে আর্মির উপর । সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইচ্ছা মত লেখা যায় কারন তাদের জন সমক্ষে এসে বলার সুযোগ নাই। আই এস পি আর তার মতামত ছোট একটা কলামে দিয়েছে । যা অধিকাংশ মানুষের চোখে পড়ে না । সরকারী কর্মচারীরা ইদানিং তাদের বাধ্য বাধকতা থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিক সন্মেলন করেন , কিন্ত সেনাবাহিনী থেকে এই ধরনের পদক্ষেপ এখন দেখি নাই । আর এই সুযোগ টাই নিচ্ছে আপনার মত স্বল্প জ্ঞানের মানুষেরা যারা শুধু মুদ্রার এক পিঠ দেখেই ক্ষিস্তি খাঊরি করে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীতে যারা অফিসার র‍্যংকে চাকরি করে সবাই বাংলাদেশ সরকারের গেজেটেড অফিসার। দেশের অন্যান্য নাগরিকের ন্যায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা এদের নাই, কিন্তু এরা সচ্ছল ভাবে বেচে থাকতে পারবে না এটা কিন্তু কোথাও উল্লেখ নাই। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এটাই তাদের দোষ। বসুন্ধরায় যারা প্লট নিয়েছেন বা যাদের এ নিয়ে ধারনা আছে তাদের কিন্তু মনে থাকার কথা ১৬/২০ লাখ টাকার এক কালীন পরিশোধের মধ্য দিয়ে প্লট পেয়ছেন।

বি ডি আর ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতি দেখেছে নিহত অফিসার দের স্থাবর সম্পত্তি বলে আসলে কিছু নাই। অসহায় পরিবার গুলো যখন সরকারের কাছে হাত পাতল তখন তাদের অনুগ্রহ এর আশ্বাস দেয়া হল। এই অসহায় পরিবারদের কেউ কেউ এই সেনা প্রকল্পের জন্য হয়ত দরখাস্ত করেছেন। সেনাবাহিনী তার বাহিনীর সদস্যদের দেখা শুনা করবে না তো কে করবে? এখন প্রশন হচ্ছে এই দেখাসশুনা করতে গিয়ে তারা কি তাদের কর্তব্য অবহেলা করছে? সেনাবাহিনী তার প্রশিক্ষন এর পাশাপাশি কিন্তু সরকারের সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা মেটাচ্ছেন।

আপনার লাল সেলাম এর জন্য রুপগঞ্জ বাসি বসে আছে কিনা জানি না তবে তাদের দূর্দশায় তাদের পাশে আপনাকে যে পাবে না তা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি ।
স্বাধীনতা এবং তার পরবর্তী সময়ে যত ধরনের বিপর্যয় দেশে এসেছে সব কটি ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী জনগনের পাশে ছিল। তর্কের খাতিরে আপনি বলবেন এদের কি তাহলে বসে বসে খাওয়াবে? কোন সেনানিবাস কি কিছু উৎপাদন করেছে? ইত্যাদি। দেশে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা এটা তারা সিদ্ধান্ত নিবেন যারা আপনাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এটার জন্য তো সেনাবাহিনীর গুষ্ঠি উদ্ধার করতে পারেন না। তাদের যা বেতন , কিংবা পেনশনের টাকা ভেংগে তারা যদি একটা জমির মালিক হতে চায় তাহলে দেশের অন্য দশজন মানুষের সাথে বিরোধ টা কোথায়?

আপনার লেখার বিষয় শুধু মাত্র রুপগঞ্জে সীমাবদ্ধ থাকেনি । সেনাকল্যাণ সংস্থা কেন এত সম্পদের মালিক হল এটাই আপনার ক্ষোভ । সেনাবাহিনীর সততা, তাদের সামষ্টিক স্বার্থ এবং তাদের স্বচ্ছতা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
যে সংস্থা গুলোর কথা আপনি বললেন তাদের ইতিহাস ঘাটুন । জিয়া উর রহমান কয়েকটি রুগ্ন শিল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দেন। আর সেই রুগ্ন শিল্প আজ সেনাবাহিনীর ম্যানেজমেন্টের কারনে আজ এখানে এসে পৌচেছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফেকটরী তার জলন্ত উদাহরন।

আসলে সেনাবাহিনীর এই উন্নতি কিছু কিছু লোকের আতেঁ ঘা দিয়েছে । প্রতিটি সংস্থা তাদের কর্মচারীদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করেছে। সাভারে পুলিশ টাঊন গড়ে উঠছে, রাজ উকের লোকজন তাদের জন্যপ্লটে কোঠার ব্যবস্থা করেছে । আপনার সমালোচনায় এগুলো উঠে আসেনি । কারন সেনাবাহিনীকে আপনি পছন্দ করেন না ।
মনে রাখতে হবে এটা এই দেশের সম্পদ । এখানে যারা প্রশিক্ষন নেয় এবং দেয় তারা এই পর্যন্ত সমস্ত দূর্যোগে জন গনের সাথে ছিলো এবং থাকবে।

রুপ গঞ্জের ঘটনার আগে কোন মিছিল হল না, কোন কেস থানায় আসল না, কোন পেপার ও এটার উপর কোন ফিচার দিল না, ১ লক্ষ ২০ হাজার বিঘা জমি কান বেচা হয়েছে তার মধ্যে শুধু মাত্র ২০ হাজার বিঘা সেনা বাহিনীর প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন। বাকি জমি যারা কিনেছে তাদের স্বার্থ টা কি আপনার চোখে পড়ল না?

আমার কাছে এই অসামঞ্জস্য গুলোর কোন উত্তর নাই। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ব্যবসায়ী খেলা। সেনাবাহিনীর তার আবাসন প্রকুল্পের জন্য জমি খুজতে গিয়ে নিজের অজান্তেই ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়েছে যারা চেয়েছে জমির দাম বাড়িয়ে কিনতে যাতে তারা এই জমি আরো বেশী মূল্যে সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করতে পারে। সেনানিবাসের পাশে যেমন জমির দাম আকাশ্চুম্বী তেমনি সেনা আবাসন প্রকল্পের পাশে জমির প্রতি মানুষে লোভ বরাবরই বেশী হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই ফায়দা লুটতে পারছিল না। জনগন কে ভুল বুঝিয়ে তারা বেশী দাম অফার করেছে । পরবর্তীতে তারা এই জমি আরো অনেক বেশী মূল্যে দেশের জনগন কেই অফার করবে।

আপনার এক পেসে লেখা তে তাই পজিটিভ কিছু পাই নাই ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের বক্তব্যটা আরেকটু পরিস্কার করার চেষ্টা করি। সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার রক্ষার একটা প্রতিষ্ঠান। সেই ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে যুক্ত হ্ওয়াতেই আমাদের আপত্তি। সেনা কল্যাণ, শিক্ষক কল্যাণ, ডাক্তার কল্যাণ, পুলিশ কল্যাণ ইত্যাদির জন্য যার যার প্রতিষ্ঠানগুলো যদি যার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ব্যাবহার করতে শুরু করে, তাহলে রাষ্ট্রের কাজ কি? শুধু সেনা কল্যাণ কেন? কল্যাণ তো সকল নাগরিকেরই দরকার-- সেজন্যই আমরা জন-কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের কথা বলি যেন তা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কল্যাণের পক্ষে কাজ করে। কিন্তু রাষ্ট্রকে পাশকাটিয়ে কোন একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যদি রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে ব্যাবহার করে আর দশটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো জনগণের সম্পদ জবর দখলের কাজে নিয়োজিত হয়, তাহলে জনগণ যাবে কোথায়? ফলে যমুনা বসুন্ধরার মতো আর দশটা ব্যাবসায়ী গ্রুপ কর্তৃক ভূমি দখল করা আর সেনাবাহিনী কর্তৃক ভূমি দখল করার বিপদের মাত্রা এক নয়, জনগণের ক্ষুব্ধতার মাত্রাও দুই রকম হতে বাধ্য।

সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ব্যাবহার করে সেনা সদস্যদের জন্য আলাদা হাউজিং প্রকল্প কেন করতে হবে? আপনি আমাদের অন্যান্য লেখা খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা কোন বেসরকারি শিল্প/ব্যাবসার পক্ষ পাতি নই, আমরা রাষ্ট্রীয় শিল্পে পক্ষে। আমরা চাই রাষ্ট্র নাগরিকের সমস্ত মৌলিক চাহিদা পূরণ করবে- খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষার মতো জনগণের আবাসনের ব্যাপারটাও দেখবে রাষ্ট্র। সেসব তো হচ্ছেই না, যার যার মতো যে লুটে পুটে খাচ্ছে। এখন এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠান যার দ্বায়িত্ব বহি:শত্রুর হাত থেকে জনগণের সম্পদ রক্ষা করা, সে নিজেই যদি সেই মুনাফা বাণিজ্যের মধ্যে ঢুকে যায়, তাইলে আমাদের বিবেচনায় এরচেয়ে ভয়ংকর তো আর কিছু হতে পারে না।

আপনি প্রশ্ন করেছেন: "তাদের যা বেতন , কিংবা পেনশনের টাকা ভেংগে তারা যদি একটা জমির মালিক হতে চায় তাহলে দেশের অন্য দশজন মানুষের সাথে বিরোধ টা কোথায়? "

তারা দেশের আর দশজন যেভাবে জমি জমা কিনে সেভাবে কিনুক না, কারো তো তাতে কোন আপত্তি নেই, কিন্তু আর্মি ক্যাম্পবসিয়ে জবরদস্তি করে একেবারে আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার বিঘা জমি একবারে কেনার আয়োজন করার তো কোন যুক্তি দেখিনা।


জানিনা বোঝানো গেল কি-না।

১৯৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৫

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: রাষ্ট্র নিজেই যেখানে শোষকের হাতিয়ার, সেখানে রাষ্ট্রের হাতিয়াররা চান্স পাইলে যে লুটপাট করবে সেইটা তো স্বাভাবিক!

এটা হলো আসল কথা।

১৯৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৮

কোহিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
ভ্রাতা
সেনাবাহিনী সেনাবাহিনীই। তাহা সেইটি রুশিয়ার রেড-আর্মিই হউক আর চিনাদের পিপলস্ আর্মি হউক।
আমাদের মতোন দরিদ্র দেশগুলিতে সেনাবাহিনি হইতেছে চিনা জোকের চাহিতেও মারত্মক।
আপনার পোস্টের জন্য একেবারেই ''অধুনাবিলুপ্ত'' লাল সালাম জানাইয়া গেলাম।
জনগণের অধিকার জনগণকেই রক্ষা করিতে হইবে।
ছহি-ছালামতে থাকিবেন।

১৯৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

মোঃ শরিফুল আলম বলেছেন: বাংলাদেশের সেনাবাহীনির মত সুযোগ সুবিধা অন্য কোন দেশের জন্য নাই।

তবু এই ঘটনাটা কেমন জানি একটু গুর পাক হাচ্ছে। বসুন্ধরা, আশিয়ান এদের ঘুটির চাল নইত?

১৯৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

সোহরাব সুমন বলেছেন: Click This Link

১৯৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

শান্ত মন বলেছেন: সেনাবাহিনীর আগ্রাসন কোন দেশের জন্যই ভাল পরিনতি বয়ে আনে না।

১৯৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩১

এক্স বলেছেন: নেটে নেটে ছড়িয়ে পড়ছে সেনাবিদ্বেষীদের প্রচার প্রচারনা ... এটা এমনই এক সময় যখন মানুষ রাস্তায় ও ব্লগে নির্বাচিত সরকারের কর্মকান্ডে বিরক্ত.

সামু ব্লগ খুবই সুন্দর সময়ে সুন্দর ভাবে এমন একটি একচোখা সেনাবিদ্বেষী পোস্টকে স্টিকি করল যে সময় নির্বাচিত সরকারের জনপ্রিয়তা সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে. এবং সম্ভাব্য তৃতীয় শক্তি হিসেবে সেনাদেরকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে. আমি বিশ্বাস করতে চাই এটা কাকতালীয় ব্যাপার. কিন্তু মিডিয়ারটা কি কাকতালীয় না হাতিতালীয়?

আমরা জানি না রাজউক কে দিয়ে ভূমি অধি্গ্রহন না করে কেন আর্মিদেরকে অধিগ্রহনের জন্য পাঠানো হল. যেখানে পূর্বাচলের পুরোটা জমিই রাজউক অধিদখল করে উন্নয়ন চালাচ্ছে সেখানে আর্মিকে কেন তার আবাসনের জন্য ডাইরেক্ট পাঠানো হল.

আমরা জানি না কে বা কারা আর্মির বিরু্দ্ধে নিরীহ অশিক্ষিত ভুক্তভোগী গ্রামবাসীকে সংঘবদ্ধ করল? যেমন ফুলবাড়ির পিছনে ছিলেন আনু মুহাম্মদ স্যার, এরকম বুদ্ধিমান লোকেরা না থাকলে কোন আন্দোলনই সংঘটিত হয় না. তবে রূপগন্জের পিছনে কে আছেন?

কারা এই ঘটনাটাকে নিউজ মিডিয়ায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ছড়াচ্ছে ও কেন ছড়াচ্ছে? কিছুদিন আগেই ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে একজন লোককে লাঠি রড দিয়ে মাথায় মেরে হত্যা করা হল. সেটা ইস্যু হল না. গত পরশুই দুইজন ব্যাক্তি যার মধ্যে একজন শিক্ষক, ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হলেন কিন্তু তা ইস্যু হল না. কিন্তু বাস্তবতা দেখে মনে হচ্ছে মিডিয়া অপেক্ষা করেই ছিল এই রূপগন্জকে ইস্যু বানানোর জন্য.

কিছুই বোঝা গেল না আর্মিদের কোন দুঃখে ভূমি ক্লিয়ার করার জন্য রাজউককে বাদ দিয়ে নিজেদেরকেই রূপগন্জে যেতে হল. অতপর সশস্ত্র বাহিনীর উপর নিরীহ গ্রামবাসীকে চড়াও হতে দেয়া হল, আর সরকার রাজনৈতিক সমাধান না দিয়ে সামরিক বাহিনীকেই তা সমাধানে বাধ্য করল. পিলখানার একটা সামরিক ব্যাপারে যেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করে রাজনৈতিক সমাধানে যেতে আর্মিকে বাধ্য করল, সেখানে পাবলিকের সাথে গ্যান্জামের ইস্যুতে তিনি ঠিকই রাজনৈতিক হাত গুটিরে রেখে সামরিক সমাধানের আশ্রয় নিলেন.

যারা আর্মিকে উতখাত করতে বলছেন, তাদের কে বলছি, ৭১ এ যদি বাঙ্গালীরা আর্মিতে না থাকতো তবে যুদ্ধ পরিচালনা করত কারা? আর এখন যদি আর্মি না থাকে তবে ভারত ও চীনের আগ্রাসী পরিকল্পনা থেকে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করবে কারা?

১৯৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

মোঃ এনামুল কবীর বলেছেন: সময়োপযোগী একটি পোস্ট। অাপনি তো খারাপ কিছু লিখেন নি, তথাপিও মাইনাস দিল কেন কিছু বুঝলাম না। তাছাড়া এত ব্যাখ্যামুলক পোস্ট দেয়ার পরও কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করছেন কি কারনে তাও বুঝতে পারলেম না। অন্যায় চিরদিনই অন্যায়। আপনার লেখাটি দেশের সকল পত্রিকায় আসা উচিত ছিল। যেন সকল দেশবাসী আপনার প্রতিবেদনটি পড়ে অনুধাবন করতে পারে, দেশে কি হচ্ছে.........

২০০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭

রোহান বলেছেন: @এক্স: "আমরা জানি না রাজউক কে দিয়ে ভূমি অধি্গ্রহন না করে কেন আর্মিদেরকে অধিগ্রহনের জন্য পাঠানো হল. যেখানে পূর্বাচলের পুরোটা জমিই রাজউক অধিদখল করে উন্নয়ন চালাচ্ছে সেখানে আর্মিকে কেন তার আবাসনের জন্য ডাইরেক্ট পাঠানো হল...."

প্রকল্পের রাজউকের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি (সেনা আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি) বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে নীতিগতভাবে অনুমোদন নিয়েছি। অনুমোদন হওয়ার পরে নিয়ম হলো কিছু জমি কিনতে হবে। কেনার পর একটা পরিকল্পনাসহ রাজউকের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা এক হাজার বিঘার মতো জমি কিনেছি। আমাদের মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছে। আমরা আশা করেছিলাম হয়তো বা ফেব্রুয়ারি, ২০১১-এর মধ্যে রাজউকের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে পারব অনুমোদনের জন্য।’ (কমেন্ট ১৮৭/ প্রথম আলো)

তাদেরকে সরাসরি পাঠানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছেন কেনো? তারা যে নিজেরাই রাজউক কে অবজ্ঞা করে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খায় নাই তার গ্যারান্টি কি?

২০১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

রোহান বলেছেন: আরেকটা কথা তাদের বুদ্ধির দৌড় যদি এতো সীমিত থাকে যে সাধারণ গ্রাম্য জমির দালালদের কাছেই বুদ্ধির মারপ্যাঁচে ধরা খেয়ে পাবলিকের উপরে গুলি করতে বাধ্য হয়, তাহলে বড় কোনো সমর পরিকল্পনায় ততোধিক ধূর্ততার সামনা তারা কিভাবে করে সেইটাও তো চিন্তার বিষয়.. বাংলাদেশ আর্মির সুনাম কিন্তু জাতিসংঘের অনেক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছে সো এই ক'হাজার বিঘা জমি কিনতে গিয়ে নাদান শিশুর মতো আচরণের বিষয়টা কেমন না?

২০২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ। রাস্ট্রপ্রধান কেন বিরোধীতা করলো বুঝলাম না। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্যেও শেয়ার দিতে পারলাম না আফসোস...

@রাতমজুর মামুর বরাতে মেলা খবর তুমি পাও গুরু সে খবর আমি জানি।

@ ক্ষতিগ্রস্থ কি ভাই? সমস্যা কি আমার তো মনে একটা খট কা লাগছে।

@লেখক আমি ব্লগের বরাবরের নিরব দর্শক। তবুও স্যালুট সাহসী পোস্টের জন্য।

২০৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬

এক্স বলেছেন: @রোহান - রাজউক যে অবৈধ ভাবে প্রকল্পকে স্লো করে দেয় নাই তারও কিন্তু কোন প্রমান নাই. আর্মি সাধারনত সবজায়গায় যেতে পারে না, গেলেও প্রটোকল মেইনটেন করে যেতে হয়. মানে তারা যে ওইখানে গিয়ে ক্যাম্প করেছে তারজন্য অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হয়েছে. তাহলে সরকার কেন অনুমোদন দিল? সেই সাথে কুম্ভকর্ন সংবাদ পত্রগুলিও কিভাবে সাড়া দিচ্ছে দেখুন.

২০৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫০

চতুষ্কোণ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট! +++

২০৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭

রোহান বলেছেন: নাসিমুল গণি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু জমি কিনেছি। এই ক্যাম্পগুলোয় বেশ কিছু বেসামরিক লোক কাজ করেছে। তাঁদের সহায়তা দেবার জন্যই এই ক্যাম্পগুলো আমরা ওখানে স্থাপন করেছিলাম। পাশাপাশি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের যে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ আছে, তা-ও চালু রেখেছিল।’

@এক্স: রাজউক ড্যাপ প্রকল্প নিয়ে হাউকাউ শুরু করার পর এমনিতেই ঐ এলাকাগুলোতে আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন ড্যাপ কনসেপ্টের সাথে যায় কিনা এই নিয়া নানা বিতর্ক আছে... সচলে জাহিদ ভাই এর একটা চমৎকার পোষ্ট আছে পড়তে পারেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এমনকি সরকারের পূর্বাচল প্রজেক্টাও ঠিক ড্যাপের পরিকল্পনার সাথে খাপ খায়না যদিও যা হয়ে গেছে তা থাক এই চিন্তা থেকে এইটা বাদ যায় নাই। সো বিশেষজ্ঞদের মতামতে আদৌ এই পাঁচ হাজার বিঘা জমি আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেয়া যায় কিনা সেটা নিয়া পর্যালোচনারও দরকার আছে। এগুলো কিছু হইছে কিনা জানি না, কিন্তু যেহেতু এইটা রাজউকের আন্ডারে সো প্রজেক্ট স্লো হোক কিংবা ফাষ্ট (বৈধ কিংবা অবৈধ যে কারণেই হোক) রাজউকের পারমিশনের জন্য যেতেই হবে। আর সেটা প্রথমেই যাওয়া উচিত ছিলো, এক হাজার বিঘা জমি কিনে ফেলে, এক গাদা বালু ফেলে জমিটাকে নষ্ট করে, অফিসারদের কাছ থেকে টাকা তুলে ফেলে তার পর রাজউকের কাছে অনুমতির কাছে যাওয়া টা হাস্যকর না? রাজউক যদি বলে অনুমতি দিমু না তাইলে কি আবার রোল ব্যাক করা হবে????

২০৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮

ইকারাস ইমন বলেছেন: ট্রেডিশনালি আর্মিদের চরিত্র একই, সেটা আমেরিকান, পাকিস্থান, কিংবা অন্য যে কোন দেশ হতে পারে। বাংগালিদের সাথে পাকিস্থানি আর্মিদের আর দেশিয় আর্মিদের আচরনগত পার্থক্য নেই। ব্রাভো

২০৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৮

ত্রিভুজ বলেছেন: আমারো একটা প্রশ্ন আছে, দিন রাত ব্লগ ব্লগাইলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

দিনমজুর বলেছেন: অন্তত: অন্যের জমি দখলের কর্ম থেকে দূরে থাকা যায় এবং অপরকেও দূরে রাখার চেষ্টা চালানো যায়!

২০৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২১

আরিল বলেছেন: how to share this post on facebook: most people have failed to share this post. this is just due to the length of the text link being bigger than allowed by facebook. you may share this post successfully in the following way:

1) click on the facebook share button on top of the post.
2) login to facebook through the box if you are not already logged in.
3) edit the link text "রুপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?” - দিনমজুর এর বাংলা..." and remove এর বাংলা... at the end to keep the text length within the limits.
4) post to facebook.

we will later try to implement autocut of text before the max character limit is reached in this sharing tool.

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

দিনমজুর বলেছেন: Thanks আরিল but the line text "রুপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?” - দিনমজুর এর বাংলা..." which is taken automatically is not editable as I faced myself.

২০৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

ডিজিটাল কলম বলেছেন:

তোগো যদি এতই ব্যবসা করতে মঞ্ছায় তাইলে রাইফেল/জাহাজ/সাবমেরিনের ব্যবসা কর.............. কি ালের আটা ময়দা সুজি লইয়া পইড়া আছস

+

২১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৯

হুনার মন্দ বলেছেন: স্যালুট...সত্যকথনের জন্য। পোষ্টে প্লাস....

যারা মাইনাচ দিচ্ছে....না বুঝেই দিচ্ছে...এরা রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবসময়ই আদর্শিক হিসেবে ভাবতে চায়....রাষ্ট্র কেন তার জনগণদের ক্ষতি করবে!!?

হাহাহা...এদের প্রতি সহানুভূতি...

২১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩১

টুনা বলেছেন: সেনা কল্যাণ সংস্থা নামেই শুধু । সাধারন সৈনিকদের কোন কাজে লাগেনা।অফিসারদের রিটায়ার্ডমেন্টের পর আরাম আয়েসে কর্পোরেট চাকুরীর একটা সংস্থা ।

২১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩

রিডার ওয়ান বলেছেন:

@রোহান

অবশ্যই সেনাবাহিনী ওখানকার ভূমিব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দীতে পরিনত হয়েছিল। সেটাই ত আমার পয়েন্ট। আমার ধারনা তারাই (ভূমিদস্যুরা) এই কান্ডটা ঘটানোর একটি পক্ষ। সেনাবাহিনী আরেকটি পক্ষ। সেনাবাহিনী এ ব্যপারে তাদের অনভিজ্ঞতার কারনে ফেসে গেছে। মাঝখানে বেওকুফ নিরীহ জনগন মার খেয়েছে। জনগনের মধ্যেই কিছু ছিল ওই ভূমিদস্যুদের পক্ষে। বাইরে থেকে এটা আন্দোলন বা জনবিস্ফোরন বা সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মনে হলেও পত্রিকা পড়েই এর ভিতরে একটা ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ভূমিব্যবসায় জড়িত হওয়া উচিৎ হয় নি তা আগেই বলেছি। আর পরিস্তিতিও তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি। এগুলো অবশ্যই তাদের দোষ। এজন্য তাদের শাস্তি ও জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছেই। এগুলো নিয়ে সমালোচনাও করা উচিৎ। কিন্তু সেনাবিদ্বেষের ঠুলি চোখে পড়তে রাজি নই। এভাবে সেনাবাহিনী ছাড়াও অন্য সব ব্যপারে ঠুলি পড়ে থাকলে সুযোগ সন্ধানীরা আমার দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়ে যাবে। আগেও এমনটা করে আমাদের বোকা বানানো হয়েছে। যেমন - ১/১১ এর আগে মোটামুটি একটা নাটক মন্চ্স্থ করে বলা হয়েছিল রাজনীতিবিদরা খারাপ তাই গনতন্ত্র ভাল না, সামরিক শাসন আন, আর্মি আন, দেশ ভাল চলবে ইত্যদি। এগুলো কিন্তু সাধারন মানুষেরই কথা! সাধারন মানুষকে তখনও বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। আবার মিডিয়াও এসব মতামত দিয়েছিল সে সময়! আমরা খুব দ্রুত সব ভুলে যাই। এই ঘটনাও ভুলে যাব। ব্লগ লিখেই খালাশ! বাস্তবে কি হচ্ছে তা কয়জন খবর নেয়! সুতরাং সাবধান থাকাই ভাল!

ব্যবসায়ী দু’রকমের হয়। সৎ-অসৎ, খারাপ-ভাল, সাদা-কালো। সেনাবিদ্বেষের ট্যগিংয়ের ঠুলি পরে থাকার কারনে এই সাদা-কালোর তফাৎটা পোস্টের লেখক ধরতে পারেননি। সেনাকতৃপক্ষ আমার দৃষ্টিতে এখানে সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে রুপগন্জ্ঞবাসীর জন্য তারাই শ্রেয়তর ছিল। বিষয় যেহেতু ব্যবসা, ব্যবসার চোখেই দেখা উচিৎ। জনগন সাদাকালোর পার্থক্যটা বুঝতে পারলেও উসকানি দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে, আমার তাই ধারনা। যদিও সেনাদের এই ব্যবসায় যাওয়া উচিৎ হয় নি , রূপগন্জ্ঞের ঘটনাই প্রমান করে তারা অনভিজ্ঞ লোকজন পাঠিয়েছিল, এই কথাগুলো আগেই বলেছি।

আবার দেখুন আরেকটা দিক। মাঝে মাঝেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকারীভাবী খোলা বাজারে পন্য বিক্রি করা হয় এবং দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়। এ কারনে ব্যবসায়ীরা এটাকে আটকাতে চায়। টিসিবির অবস্থা দেখুন! টেলিটকের খবর কি? কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া এদেশীয় পিএসটিএন গুলো? রূপগন্জ্ঞের ঘটনার সাথে এগুলোর মিল হয়ত নেই, কিন্তু এগুলো থেকে ব্যবসায়ীদের চরিত্র বা মনোভাব বোঝাটা কষ্টকর না।

২১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

এক্স বলেছেন: @নির্বাচিত কমেন্টস -
ত্রিভুজ বলেছেন: আমারো একটা প্রশ্ন আছে, দিন রাত ব্লগ ব্লগাইলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?

সাইফ মিরাজ বলেছেন:
আপনার লাল সেলাম এর জন্য রুপগঞ্জ বাসি বসে আছে কিনা জানি না তবে তাদের দূর্দশায় তাদের পাশে আপনাকে যে পাবে না তা ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি ।
স্বাধীনতা এবং তার পরবর্তী সময়ে যত ধরনের বিপর্যয় দেশে এসেছে সব কটি ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী জনগনের পাশে ছিল। তর্কের খাতিরে আপনি বলবেন এদের কি তাহলে বসে বসে খাওয়াবে?

মোসাজস বলেছেন: বাংলাদেশের আর্মির ধরন কি রকম হওয়া উচিত উল্লেখিত ব্লগারদের কাছ থেকে একটা নকশাটা পেলে ভালো হতো...

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: কার পারপাস সার্ভ করার জন্য পোস্ট স্টিকি করা হলো।

বসুন্ধরার বিরুদ্ধে দেখিনি এমন গনঅভ্যুত্থান। এমন আরো অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি পাবলিকের জায়গা জোরকরে দখল করে এস্টেট বানায়।

ঘটনা ঘটার পূর্বেই সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগনের সবগুলো দাবী মেনে নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলে এই মহল নেমে পড়ে সর্বশেষ খেলায় আর সেটা ছিলো সেনাবাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করানো । এর পেছনে কাদের সুবিধা ছিলো বেশী এটা ক্ষতিয়ে দেখতে খুব বেশী একটা কষ্ট করার প্রয়োজন নেই । কথায় আছে "আকালমানকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়"।

২১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৮

জিসান শা ইকরাম বলেছেন: প্রশ্ন : এই সেনাবাহিনী পাইল্লা আমাগ কি লাভ ?

উত্তর :উহারা প্রতিদিন কয়েকশত টন হাগু করে। হাগু একটি জৈব সার। আমরা উহা জমিতে ব্যবহার করিয়া , বিয়াফক ফসল উৎপাদন করিতে পারি। কিন্তু কোন সরকারই এই দিকটা ভাবিয়া দেখে নাই।

দেশের ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক চিন্তা আনুন। ওদের হাগু জমিতে ব্যবহার করুন।

২১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৯

তাহের বলেছেন: অবসরপ্রাপ্ত অফিসারগণরে জনগণের জমি নয় বর্ডার এলাকায় পূনর্বাসন করা যায়, এর থেকে বেশী কিছু দেয়া ভূল।

২১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

এক্স বলেছেন: @রিডার ওয়ান -

ভুয়া বিচারক পাওয়া গেলে আমরা বলি দোষী বিচারকের শাস্তি নিশ্চিত করুন, কিন্তু আর্মিদের কোন অপরাধ দেখলেই আমরা বলি আর্মিকে নিশ্চিহ্ন করুন.

৭১ থেকে যে সরকারই এসেছে সেই আর্মিদের ওপর হত্যাকান্ড ও নিষ্পেষন চালিয়েছে. মুজিব রক্ষীবাহিনী বানিয়েছিল, জিয়া ব্যাচ মোডে আর্মি নিধন করেছিল, এরশাদ এসেই জিয়া হত্যার বিচারের নামে সকল প্রতিদন্ধী আর্মি অফিসার মেরেছে ও আর্মিকে চুরি বিদ্যা শিখিয়েছে, হাসিনা-খালেদা প্রত্যেকেই আর্মিদের মুখ দেয়ালে ঠেসে রেখেছে, হাসিনা তো অগ্রবর্তী হয়ে ৫৭ জন আর্মিকে মেরেই ফেলল. কমন শত্রু এই আর্মির নূন্যতম হকটাও যে সরকাররা দিবে না এটাতো বলাই বাহুল্য.

যেখানে এমপি ও দলীয় নেতারা ঠ্যাক ঠ্যাক করে গাড়ি বাড়ি জমি পেয়ে যায় সেখানে রাজউক আর্মির আবাসন প্রপোজাল ঝুলিয়ে রাখে. হিসেব করে দেখুন, ২লক্ষ আর্মির কতগুলি লোক প্রতিবছর অবসরে যায় যাদের অনেকেই এত সাইড ব্যবসা বোঝে না বা তাদের পৈতৃক সম্পত্তিও নেই. এই সব আবাসনই তাদের একমাত্র ভরসা. অন্তত তারা জানে তারা অপারেশনে গিয়ে মরলেও তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম পানিতে পড়বে না.

২১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

অ্যামাটার বলেছেন: ফেসবুকে শেয়ার করতে পারলাম না। কমেন্ট ১৯০এ রিডার ওয়ানের ট্রিক্সটাও কাজে লাগছে না। আরিলের পদ্ধতিটা বুঝতে পারলাম না। লিঙ্ক হিসেবে পোস্ট তো করব ইউআরএল।

এই লেখাটা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে শেয়ার করা জরুরি

২১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

উসীমজদ্দীন বলেছেন: মুজিব রহমান বলেছেন: ওদের জন্য আবাসন বান্দরবানে করা উচিত। ওরা সভ্য মহলে থাকবে কেন?

@ মুজিব, বান্দরবানের মানুষকে আপনি অসভ্য বলেছেন! এটা কি ঠিক হলো?

২১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৭

অ্যামাটার বলেছেন: দুঃখিত। কমেন্ট ১৮০, ওয়ান ম্যান। রিডার ওয়ান না।

২২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

তাজা কলম বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।

সেনা বাহিনীর আদৌ প্রয়োজন আছে কি?

২২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাসেল মাহদুদ বলেছেন: বিবিসিতে দেওয়া আর্মির সাক্ষাৎকার শুনুন

Click This Link

Click This Link

২২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫

সামদ বলেছেন:
হিজবুত এর পোলাপান গুলার মাথায় ব্রেনের পরিমান ঠিক কতটুকু? এক্স এর কমেন্ট দেখে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে রীতিমত।

২২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭

েপচাইললা বলেছেন: @ রিডার ওয়ান, প্রথম আলোর একটি সংবাদের সূত্র ধরে আপনি একজন সেনা অফিসার *(নাসিমুল গণি) এর যে বক্তব্য দিলেন, সেটি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং এতগুলো মিডিয়া ছবিসহ এতগুলো নিউজ করল, তা আমরা অবিশ্বাস করব-তাই না?

বাহ্ আপনার বিবেচনাবোধের তারিফ করতে হয়।

এনিওয়ে নাসিমুল গণি বলেছেন এবং সেটাকে আপনার ডিফেন্ডিং পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছেন-তা হল, কয়েকজন বিপথগামী সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ডেভেলপাররা এই কান্ড ঘটিয়েছে! সত্যিই বলছি, ধন্য আপনি এবং আর আপনার সেনাপ্রেম। আট হাজার মানুষ বিপথগামী হল একজনের একটি কথায়! বাহ্....

আর্মিপ্রেমী এবং আর্মিদের পয়েন্টগুলো দেখে হাসি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়ে রাগ হচ্ছে বেশি।

২২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

ওয়ান ম্যান বলেছেন:
@ এক্স

সেনাবাহিনী না থাকলেতো দেশে ইসলামী হুকুম কায়েম করা খুব সহজ হবে, তাই না?

==

পারভেজ আলমসহ আরো কয়েকজন বলছে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন কি? মন্তব্যে ফোকাসের যায়গাটুকুন এতো নড়েবড়ে হলে ক্যামতে কি!!

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন কি বলেই খালাস!

মানুষে বামপন্থীদের ক্ষমতা তুলে দাও। এক্ষুনই।

রাষ্ট্রের কোলে শুয়ে রাষ্ট্রের শত্রুরা ঘুমাচ্ছে। এদের মোকাবেলা আপনাদের "কমরেড" রা করবে?

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন কি? - এ ধরনের মন্তব্য যদি এস.এম রায়হান বা সাধারণত ত্রিভুজও করতো, তবে হাস্যরসের বন্যা হয়ে যেতো।

স্বৈরাচারিতা কোথায় যে নেই!!

২২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহের সময় সামু দুইভাগ হয়ে গিয়েছিলো দেখে অবাক হয়ে ছিলাম....মানুষ কেমনে নির্বিচারে হত্যাকে সাপোর্ট দেয় তাই দেখে...এখন আর অবাক হইনা.....

এদেশের মানুষ আসলেই ভয়ানকভাবে সেনাবাহিনী আর ডাক্তার বিদ্বেষী....

২২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১

এক্স বলেছেন: @ওয়ান ম্যান - (আপনি কোন তালে কথা বলছেন ও কি কথা বলছেন বুঝা যাচ্ছে না)

ওই আর্মি গুলির জন্যই মোল্লাতন্ত্রীরা এখনও প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করতে পারে নাই. সেনাবাহিনী না থাকলে যে কেউই আজকে অস্ত্র নিয়ে দেশ দখল করত. একক শক্তিশালী সেনাবাহিনীর কি দরকার সেটা আফ্রিকা আর আফগানিস্তান ভালই বুঝছে.

২২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুবেরী বলেছেন:
@ সারওয়ার ইবনে কায়সার

"এদেশের মানুষ আসলেই ভয়ানকভাবে সেনাবাহিনী আর ডাক্তার বিদ্বেষী"

ইসরে...... কেন যে এ বিদ্বেষী এ ছোট মাথায় কুলায় না!!!!!!!!!

২২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গরম কফি বলেছেন:
আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের ভাই । সকল ভূল বুঝাবুঝির অবসান হোক ।

২২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০

ওয়ান ম্যান বলেছেন:
@ এক্স

দু:খিত কেবল আমার ২২৪ নং মন্তব্যে আপনার অংশটুকুর জন্য।

২৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২

হালকানীল বলেছেন: জটিল হইছে বস। এবং সামুকে ও ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্যে..

২৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: @েপচাইললা

আপনার বক্তব্য বর্তমান পোস্টের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ নয়, প্রসাঙ্গান্তরে যাওয়া অবান্তর... আপনার বক্তব্য বিষয়ে আমার একটি পোস্ট আছে, সেটি দেখতে পারেন, মন্তব্য করতে চাইলে সেখানে করুন.

Click This Link
ক্রমিক ১৮ দ্রষ্টব্য

ধন্যবাদ

২৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫১

েপচাইললা বলেছেন: এক্স বলেছেন: @রিডার ওয়ান -


ভুয়া বিচারক পাওয়া গেলে আমরা বলি দোষী বিচারকের শাস্তি নিশ্চিত করুন, কিন্তু আর্মিদের কোন অপরাধ দেখলেই আমরা বলি আর্মিকে নিশ্চিহ্ন করুন.

৭১ থেকে যে সরকারই এসেছে সেই আর্মিদের ওপর হত্যাকান্ড ও নিষ্পেষন চালিয়েছে. মুজিব রক্ষীবাহিনী বানিয়েছিল, জিয়া ব্যাচ মোডে আর্মি নিধন করেছিল, এরশাদ এসেই জিয়া হত্যার বিচারের নামে সকল প্রতিদন্ধী আর্মি অফিসার মেরেছে ও আর্মিকে চুরি বিদ্যা শিখিয়েছে, হাসিনা-খালেদা প্রত্যেকেই আর্মিদের মুখ দেয়ালে ঠেসে রেখেছে, হাসিনা তো অগ্রবর্তী হয়ে ৫৭ জন আর্মিকে মেরেই ফেলল. কমন শত্রু এই আর্মির নূন্যতম হকটাও যে সরকাররা দিবে না এটাতো বলাই বাহুল্য.

যেখানে এমপি ও দলীয় নেতারা ঠ্যাক ঠ্যাক করে গাড়ি বাড়ি জমি পেয়ে যায় সেখানে রাজউক আর্মির আবাসন প্রপোজাল ঝুলিয়ে রাখে. হিসেব করে দেখুন, ২লক্ষ আর্মির কতগুলি লোক প্রতিবছর অবসরে যায় যাদের অনেকেই এত সাইড ব্যবসা বোঝে না বা তাদের পৈতৃক সম্পত্তিও নেই. এই সব আবাসনই তাদের একমাত্র ভরসা. অন্তত তারা জানে তারা অপারেশনে গিয়ে মরলেও তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম পানিতে পড়বে না.



এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে....সবাই জনগণের পশ্চাদ্দেশে বাঁশ ঢুকাইয়া এদিক কইরা শেষ কইরা দিল, আর আর্মি বাদ যাইবে কেন-তাই না?

ফাইজলামি করার অন্তত একটা বেসিক পয়েন্ট দরকার। তারা (মূলত আপনারা, কারণ এটা পরিষ্কার যে আপনি একজন আর্মি পার্সোনেল) দেশকে সার্ভ করার(যদিও আমার কাছে পরিষ্কার না, কি কচু-র সার্ভিসটা তারা আমাদের দেশকে দিয়েছে) বিনিময়ে পারিশ্রমিক পায়, অন্যান্য আর দশটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশিই পায়। চাকুরি শেশে তাদের একটি হ্যান্ডসাম পেনশন দেয়া হয়, এগুলো সবগুলোই কিন্তু সরকারের টাকায়। সো, ক দেয়া হয় নাই ভ্রাতা....!!

ধরুণ আমি ডিসিসি-তে ক্লিনারের কাজ করি। আমার দায়িত্ব নগর ধোয়ামোছা করা। বিনিময়ে সরকার আমাকে কি দেয়? চাকুরি শেষে কি দেয়? আপনাদের সাথে তুলনা করুন। না-কি আপনাদের লাট-বাহাদুরদের সাথে সাধারণ নাগরিকদের কোন তুলনা হয় না! আপনারা মহামহিম, আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানস...!!!

বলেছেন, বিভিন্ন সরকারের আমলে নিষ্পেষণের কথা। জিয়া-এরশাদ মিলে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো এখনও আপনি করতেন, যদি ক্ষমতায় থাকতেন। এখনো যে করেন না, তার প্রমাণ অবশ্য আমাদের কাছে নাই। দলাদলি ইত্যাদিতো আপনাদের নিত্যসঙ্গী। জনগণকেই যেভাবে গুম করেন, অন্যদের যে কি অবস্থা তা আপনারাই জানেন।

হাসিনা তাইলে সত্তুরটারে ফেলেছে...!! গুড পয়েন্ট। অন্তত এটুকু এতদিনে প্রকাশিত হল যে, পিলখানা হত্যাকান্ড স্বয়ং হাসিনা-র কাজ। তাইলে আর সাধারণ বিডিআরদের এভাবে বিচারের নামে প্রহসনের মধ্যে টানছেন করছেন কেন? হাসিনারে তুলে ফেলুন ক্ষমতা থেকে...! না-কি ওই সত্তুরজনের লাশের বিনিময়ে অঢেল ক্ষমতা আর সম্পদ ভোগ করার জন্য লোল ঝরছে...!!!

২৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

বেশ কয়েক বছর আগে একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক বলেছিলেন আমাদের সেনাবাহিনী যুদ্ধ করতে ভুলে গেছে বা যাবে। তাদের অধিনায়করা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত [ পাজেরো ] সিডান কার বা জিপে চড়ে, আর আসনের পেছনে [ অথবা সামনে থেকে ] সুগন্ধী মাখানো টিস্যু পেপারে ঘাম মুছে।

এই সেনাবিহিনীতে এখন যারা আছেন, তারা কতখানি দেশ-সেবা করার জন্য গেছেন আর কতখানি ১০ বছরের চাকুরি কালে বিদেশে দুইটা মিশন করে পেনসন নিয়ে অবসরের জন্য গেছেন, সেটা ভেবে দেখাবার বিষয়।

সবচেয়ে দঃখের কথা হল, যারা সেনাবিহিনীতে চাকুরীরত, তারা অ-সামরিক [ মানে আম জনতা ] লোকদের মনে করে ব্লাডি সিভিলিয়ান। এই ব্লগে অনেকগুলো লেখা পড়ে মনে হল যারা অ-সামরিক লোকদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলেন, তাদের 'দিলে খুউর লাগসে'।

কি করবেন [ সেনা ] দাদারা, সত্যি কথা এমনই তিতা হয়!

২৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ইনক্রেডিবল বলেছেন: লেখক বলেছেন : আপনি আমাদের অন্যান্য লেখা খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা কোন বেসরকারি শিল্প/ব্যাবসার পক্ষ পাতি নই, আমরা রাষ্ট্রীয় শিল্পে পক্ষে।
/:) পৃথিবীর কোন দেশটা এই পদ্ধতিতে চলছে? বাংলাদেশের সরকার আজ পর্যন্ত নিজে কোন শিল্পটা ইফিসিয়েন্টলি চালিয়েছে?
শিল্প/ব্যবসা চালাবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আর সরকার পালন করবে রেগুলেটরীর কাজ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯

দিনমজুর বলেছেন: সমাজতান্ত্রিক দেশগুলার উদাহরণ বাদ দিলাম, আজকে যেসব দেশকে উন্নত দেশ বইলা চিনেন, সেই সব দেশ উন্নত হওয়ার ম্যাকানিজম কিন্তু এই রাষ্ট্রীয় শিল্প ভিত্তি। "শিল্প/ব্যবসা চালাবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আর সরকার পালন করবে রেগুলেটরীর কাজ।"--- বইলা যে আপ্তবাক্য দিলেন, সেইটা ৭০ দশক থেইকা চালু করছে নয়া উদারনৈতিক অর্থনীতি ওয়ালারা নিজেদের দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান যেন অন্যদেশগুলোর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ভাগ বসাইতে পারে সেই খায়েসে। সেই জন্যই দেখবেন বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর যেকোন ঋণ বা সাহায্য সহযোগীতার প্রধান শর্তই হইল বেসরকারি করণ।

সুতরাং সাম্প্রতিক একটা মডেলকে চিরকালীন বা চিরন্তন একটা মডেল মনে করাটা সঠিক হবে না।

২৩৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এক্স বলেছেন: স্টিকি বাতিল করা হোক ...
স্টিকি বাতিল করা হোক ...
স্টিকি বাতিল করা হোক ...

৭১ এ যে সেনারা আমাদের পাশে দাড়িয়েছিল, বন্যা, ভূমিকম্প ও দুর্যোগে যাদের পাশে পাওয়া যায় তাদের একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে নিয়ে সেনাবিদ্বেষী প্রচারনা চালানো বন্ধ হোক.

২৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাটির সুবাস বলেছেন: বাতাসে নানা গুজব ভাসে। এর ভেতর একটা হইলো হিজবুত নাকি ডিজিএফাইএর উৎপাদিত পণ্য। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়নাই। এক্সের কমেন্ট দেখে বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে।

যারা ওরা গু খাইছে আমরা খামু না কেন টাইপের বড় বড় কমেন্ট করতেছে তাদের বলার একটাই কথা আছে একটা খুন দিয়ে আরেক্টা খুনকে কখনই জাজ করা উচিত না।

২৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নোটার্হম বলেছেন: রূপগঞ্জে সেনাবাহিনী বা অব: সেনাবাহিনী তাদের আবাসনের জন্য যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তা বেআইনীভাবে নেয় নাই। গায়ের জোরেও নেয় নাই। তার যা কিছু করছে বা করছিল, সরকারের অনুমোদনক্রমেই করছে। সরকারের শুধু অনুমোদন নয় বরং এ কাজে সরকারের উৎসাহও ছিল ।
কাজেই সমস্যার মূল কোথায় চলুন আমরা সবাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।সমস্যা আছে এবং সমস্যা হচ্ছে এই বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে এগুতে হবে।
আমাদের দেশের সকল প্রকার নেতাদের এটা স্বভাবসূলভ বৈশিষ্ট হয়ে গেছে যে দেশের কোন স্থানীয় সমস্যা অথবা জাতীয় সমস্যা হলেই ,যে নেতারা সরকারে নাই তারা সমস্বরে চীৎকার করে উঠেন এটা সরকারের ব্যর্থতা আর যে নেতারা সরকারে তারা আরও জোরে চিল্লাইয়া উঠেন "আমাদের বিরোধী নেতারাও এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে"
নেতাদের কেউই সমস্যার কারণ বের করার চেষ্টা করেনা,কেউই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেননা। যা কিছু সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয় সরকারের পক্ষে, তা শুধু যখন তখনই নেয়া হয়, যখন দেখা যায় সে সমস্যা সমাধানের পথে যে অর্থ ব্যয় হবে তা থেকে সরকারের নেতাদের পকেটে বেশ কিছু যাবে। এরূপ বহু উদাহরণ আছে, যে project/venture এ সরকারের নেতাদের পকেটে কিছু আসার সম্ভাবনা নাই, তা বাতিল হয়ে গেছে ।

২৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০

হুনার মন্দ বলেছেন: হেহেহে.....উদ্ধারে চরম এফিসিয়েন্ট আমাদের রক্ষীবাহিনী....কয়দিন আগেই এই তুরাগেই কতকিছু হৈল...কত কিছু আনল...অত্যাধুনিক সোনার ইত্যাদি ইত্যাদি...নৌবাহিনী আইসা পড়ছে...তুলল কে? ;)

২৩৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০২

মহাসাগর বলেছেন: সব সরকারই মনে হয় সেনাবাহিনীকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে। কারণ বুঝি না। এদের বেতন ভাতা দিয়েইতো রাখা হইছে। যদি কারো পছন্দ না হয় চাকরি ছাইড়া দিয় চলে যাক এদেশে চাকরির জন্য লোকের অভাব হবে না।

এদের এত তৈলাক্ত করে রাখার কিছু নাই।

২৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

দিনমজুর বলেছেন: জিয়া চৌধুরি নামের এক ব্লগার "স্টিকি বাতিল করা হউক" দাবী করেছেন। সমস্যা নাই, তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু বিরক্তিকর ভাবে অসংখ্য বার সেটা লেখার কারণে অনাকাঙ্খিক একটা কমেন্টে পরিণত হয়েছে। ফলে সেটা ডিলিট করে দিতে বাধ্য হলাম। দিনমজুরের লেখা থেকে এই প্রথম কোন কমেন্ট ডিলিট করা হলো। @জিয়া চৌধুরি দয়া করে এরকম ফ্লাডিং কমেন্ট আর করবেন না। প্লিজ।

২৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০

দিনমজুর বলেছেন: একই কারণে ছোট মির্জা'র কমেন্ট ও ডিলিট করা হলো।

২৪২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: বিডিআর ঘটনার পর ব্লগার শূন্য আরণ্যকের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে ডিওএইচএ বিষয়ে লিখেছিলাম, এএইচএস ডিওএইচএস নয় যদিও, বিষয়টি প্রাসঙ্গিক বিধায় কপি-পেস্ট করলাম...

লিন্ক Click This Link

------- -----
১৩. * শূন্য আরণ্যকের তালিকা: ‘'নামমাত্র মূল্যে ডিওএইচ এ জমি প্রাপ্তি। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া বাড়ি তোলা। ধরা পড়ার পর জরিমানা প্রদান (দুদক প্রধান)’.'

ডিওএইচএস-এ জমি প্রাপ্তির বিষয়টি ভারত-পাকিস্থানেও আছে. বাংলাদেশেও পুলিস, ব্যাংকার আরও কিছু পেশাজীবিদের এমন জমি প্রাপ্তির বিষয় আছে. ভারতে একজন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট কিস্তিতে একটি ফ্লাটের মালিক হয়, মেজর হতেই তার কিস্তি শোধ হয়ে যায়. ট্যাক্স ছাড়া একটি মারুতি গাড়ি সে প্রায় অর্ধেক মূল্যে সিএসডি থেকে কিস্তিতে কেনে. তাদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল. এ অঞ্চলে ভারতীয় সেনা-অফিসাররা সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী. কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ এমন পরশ্রীকাতর বিষোদ্গার করে না. যারা দেশ রক্ষায় প্রাণবাজির (noblest act of mankind) শপথ নিয়েছে, এমন ঘৃণার ছোবলে জর্জরিত হওয়া তাদের প্রাপ্য নয়. আর হ্যা, বর্তমানে একক প্লট বরাদ্ধ বন্ধ প্রায়, পাচ জন অফিসার মিলে ছয় কাটা পাচ্ছেন, সেও অনিশ্চয়তায় ভরা (সন্দেহবাদীরা পরিচিত চাকুরিরত/অবসরপ্রাপ্ত সেনা-অফিসারদের মাঝে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন).

একজন সেনা-অফিসার ২১ বছর বয়স থেকে ১ম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা. ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই ৩৫-৪৫ বৎসরে অবসর নিয়ে আরও ১০-২০ বছর উঁচু বেতনের চাকুরি/ব্যবসা করেন. তার একটা বাড়ি ঢাকা শহরে না থাকাটাই কি অস্বাভাবিক না? এ প্রসঙ্গে একটি জিজ্ঞাসা, ঢাকা শহরে যে কোন এলাকায় বাড়িওয়ালাদের খোঁজখবর নিলে দেখা যাবে, সরকারি চাকুরেদের (চাকুরিরত/অবসরপ্রাপ্ত) অধিকাংশই ২য় থেকে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি. তারা কীভাবে বাড়ির মালিক হলেন? কোন সাবেক আমলার বাড়ি ঢাকা শহরে নাই? সব বাড়িওয়ালাদের বাদ দিয়ে সেনা-অফিসারদের নিয়ে মাতামাতির কারণ থাকতে পারে না. সৎ, বৈধ উপার্জন দিয়ে নিজেদের যোগ্যতায় যারা স্বীয় আবাসস্থলকে অভিজাত করে তুলেছেন - তাদের সে যোগ্যতা সমীহের, ঘৃণার বাষ্পে দূষিত হওয়ার নয়.

২৪৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২

তেইল্লাচোরা বলেছেন: এতোদিন তো ছিল দুই বেডি আর তাদের চৌদ্দপুরুষের দেশ। এখন থেকে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর জন্যও সুযোগ চালু হইলো আর কি!!
নয়া কিছু তো না।
ভোদাই বাঙালী আবার সেনাবাহিনীর দালালিও ব্লগে আইসা করে!!
পোস্টে প্লাস। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কিছু আশা করি না।

২৪৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অসাধারণ!
------------
শিরোনামের কবিতাটা অনলাইনে কোথাও পাওয়া যাবে?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

দিনমজুর বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের একজন চাষীর প্রশ্ন"
- হুমায়ুন আজাদ


আগাছা ছাড়াই, আল বাঁধি, জমি চষি, মই দিই,
বীজ বুনি, নিড়োই, দিনের পর
দিন চোখ ফেলে রাখি শুকনো আকাশের দিকে। ঘাম ঢালি
খেত ভ'রে, আসলে রক্ত ঢেলে দিই
নোনা পানি রূপে; অবশেষে মেঘ ও মাটির দয়া হ'লে
খেত জুড়ে জাগে প্রফুল্ল সবুজ কম্পন।
খরা, বৃষ্টি, ও একশো একটা উপদ্রব কেটে গেলে
প্রকৃতির কৃপা হ'লে একসময়
মুখ দেখতে পাই থোকা থোকা সোনালি শস্যের।
এতো ঘামে, নিজেকে ধানের মতোই
সেদ্ধ ক'রে, ফলাই সামান্য, এক মুঠো, গরিব শস্য।
মূর্খ মানুষ, দূরে আছি, জানতে ইচ্ছা করে
দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক'মণ শস্য ফলে
এক গণ্ডা জমিতে?

২৪৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯

কাউসার রুশো বলেছেন: জটিল পোস্ট +++

২৪৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

হাসানুর বলেছেন: সেনা সদস্যরা শুধু বসে বসে খায় এমন নয় ! তারাতো প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও দেশে আনে । তাছাড়া প্রাকৃতিক দূর্যোগ তথা দেশের যে কোন প্রয়োজনে তাদের অনেক অবদান আছে । যে দেশের অধিকাংশ মানুষ দূরর্নীতিগ্রস্হ সেখানে তাদের দূরর্নীতির হার অনেক কম । আপনাদের কি মনে হয় শুধু পুলিশ -বিডিআর দিয়ে এই দেশের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে ! আমারতো মনে হয় এটি একটি দূরর্নীতিগ্রস্হ পোষ্ট ! আবেগতাড়িত চিন্তা ভাবনা !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

দিনমজুর বলেছেন: বৈদেশিক মুদ্রা মূলত দেশের শ্রমজীবি মানুষেরাই আনে। কখনও দেখেছেন ডি্ওএইচএস এর মত তাগেরকে মাগনা জামি দেয়া হয়?
প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু সেনাবাহিনী না দেশের সকল মানুষই যার যার মতো ভূমিকা পালন করে। সেনাবাহিনী যেটা করে সেটা করা তার দ্বায়িত্ব। আর এর জন্য তাদেরকে পয়সাও প্রদান করা হয়।

একদিকে বলছেন দুর্নীতি গ্রস্থ পোষ্ট আরেক দিকে বলছেন আবেগ তাড়িত চিন্তা ভাবনা। ভাল খুব ভাল।

২৪৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

ইউনুস খান বলেছেন: মাইনাস। বড় এক পেশে পোস্ট। যে পোস্টে পড়লে এ দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা সেটাই প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে যায়।

সেনাবাহিনীর অপকর্মগুলোর বিরোধিতা আমরা করতে পারি। ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।

এরকম একপেশে বক্তব্যওয়ালা পোস্ট কেমনে স্টিকি হয়!!!!!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের প্রশ্নটা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কি নাই সেইটা নিয়া না, আমাদের প্রশ্ন সেনাবাহিনী কি রূপে থাকবে সেইটা নিয়া-- অর্থাত সেনাবাহিনী কি জনগণের পক্ষের কোন বাহিনী হিসেবে থাকবে নাকি ফৌজি বাণিজ্য করতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাড়িয়ে যাবে সেটা নিয়ে।

২৪৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: এই সেনা বাহিনীর সদস্যরাই দুইজন রাস্ট্রপতিকে হত্যা করেছে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। বারবার সেনা শাসনের নামে সাধারন মানুষের জান-মাল-ইজ্জত হরণ করেছে। এই সেনাবাহিনীই এখন কিষকের ভিটে মাটি, জমি জিরাত কেড়ে নিচ্ছে।

এরাই বন্দুক হাতে, উর্দী পরে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে! শোষিত মানুষের পক্ষে আমাদের মিডিয়ার উচিত পাশে দাঁড়ানো। বর্তমান সিভিলিয়ান সরকার যা আচরন করছে তা বিগত সকল সামরিক শাসনের মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

দিনমজুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। সিভিল শাসকেরাও কম ফ্যাসিস্ট না। আসলে পুজি পতি শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে আর্মি-সিভিল উভয় ধরণের শাসকেরা জনগণের উপর শোষণ-নিপীড়িন চালায়।

২৪৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদা ভাকু আর বাম-- বাই ডিফল্ট এন্টি সেনা !!!


সেনা বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তোলা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

সেনা বাহিনী বিচারের উধ্র্ধে নয়- তবে নির্দিষ্ট প্রমাণ এবং তথ্য থাকলে সরাসরি আদালতে যাওয়াই উত্তম।

তাছাড়া তাদের নিজস্ব মার্শাল কোর্ট আছে, যা তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বরত।

প্রোপাগান্ডার বিষ বাষ্প সেনা সদস্যের (যদি ঘটে থাকে )অন্যায় থেকে সেনা বাহিনীর দিকে টার্ন নিচ্ছে। যার সাথে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর কুচক্রিদের প্লান সামঞ্জস্য পূর্ণ। তাই সতর্ক থাকা উচিত।

যারা বলেন সেনা ১৫ দিনও টিকবে না তাদের জ্ঞাতার্থে রৌমারী পাদুয়ার ঘটনা স্মরন করিয়ে দিতে চাই- যা বিডিআরের বীরত্বে মাইলফলক। সুতরাং অর্বাচীন স্বপ্ন না দেখাই ভাল- আসলে বোঝা যাবে কতধানে কতচাল।

সভ্য দেশে সেনা নেই ধূয়া তুলে যারা শোরগোল তুলছেন তাদের লেজ দেকা যাচ্ছে! তাদের মনে জ্ঞানে...প্রতিরক্ষা, সার্বভৌমত্ব আর স্বাধীনতার মানে বিন্দুমাত্রও অবশিষ্ট আচে কিনা ব্যাপক সন্দেহ!!!!

২৫০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: সাকিব গং এক সিরিজ জিতে গা্ড়ি, প্লট পেল। কদিন পরে যখন সাকিব গং নিয়মিত সিরিজ জিতবে সেখানে প্রতি সিরিজে কি একটা করে প্লট দেয়া হবে ? প্লট এদেশে কত সহজলভ্য দেখেছেন ? সরকার চাইলে এদেশে যাকে তাকে প্লট দিয়ে দিতে পারে ।


সেখানে সেনাবাহিনী নিজের পয়সায় যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে জমি কেনে সমস্যা কোথায় ? আসলে সেনাবাহিনীর ভুল হলো অধিগ্রহনে না গিয়ে মূল্য দিয়ে জমি কেনা , তাও আবার দালাল ছাড়া সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে । এদেশের দূর্নীতির পরত সেনাবাহিনী এখনও ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেনি । তাই যমুনাগ্রুপ বসুন্ধরাগ্রুপ সরকারের মন্ত্রী, আমলা, জামিলুর রেজা মতো শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কে হুমকি দেয়া আলোচনার টেবিলেই আর সেনাবাহিনী মার খেয়ে ফিরে আসে।

আর রিডার ওয়ান এর মন্তব্যেই প্রকাশ সেনাবাহিনী এবং ভুমিদস্যুদের কেনা বেচার পার্থক্য।


এদেশের মানুষের পেটে নিয়মনীতি কোন দিন সহ্য হয়না। অনিয়মের খিচুড়ীই এখানে সহজপাচ্য।

২৫১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রবিন-৭৭ বলেছেন: :| :| :|

২৫২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

অপলক বলেছেন: যা অন্যায় তা সবার জন্যে অন্যায়। তথ্যবহুল ব্লগিঙের জন্যে লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আর সামু কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন, এই পোষ্ট ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্টিকি করা হোক।

২৫৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১

নেটপোকা বলেছেন: @লেখক ও মন্তব্যকারী কতিপয় ব্লগার,
এই লেখা ও এর প্রেক্ষিতে করা বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে আপনারা একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে আপনাদের চরম বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা প্রকাশ করেছেন। রূপগঞ্জে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনার জন্য যারা দায়ী (হোক তারা সেনা কর্তৃপক্ষ, নেপথ্যের মদদদাতা প্রতিপক্ষ ভূমিব্যবসায়ী কোম্পানীসমূহ কিংবা স্থানীয় স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক মহল) - সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার হোক, সেটা আমিও চাই। কিন্তু তাই বলে এ ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে পুরো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে বিষোদগার করার এবং অন্যদেরকে উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে আপনাদের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রইল আমার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সামরিক বাহিনীর তুলনায় আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পায় কিনা তা যাচাই করার জন্য সচেতন, সুবিবেচনাসম্পন্ন সবার প্রতি রইল আহবান। কেবলমাত্র পার্শ্ববর্তী ভারতের সামরিকবাহিনীর সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে একটু খোঁজ নেওয়াই যথেষ্ট হবে বলে আমি মনে করি।

@সেনা কর্তৃপক্ষ,
আপনাদের অদূরদর্শী ও অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনারা সমগ্র সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলেন। কতিপয় উচ্চপদস্থ সেনা নীতিনির্ধারকের ভুল সিদ্ধান্ত ও বেঠিক কর্মপন্থার জন্য আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সকল সেনাসদস্যকে। অতীতেও আমরা দেখেছি রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া, অযোগ্য ও অতি-উচ্চাভিলাষী জেনারেল ও তাদের কতিপয় দোসরদের অবৈধ ক্ষমতার মোহ ও অর্থবিত্তের লোভের মাসুল দিয়েছে নিম্নপদস্থ সাধারণ সেনা অফিসার ও জওয়ানরা। যে সেনাসদস্যরা জাতীয় দুর্যোগের সময় দেশের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়; ২৪ ঘন্টার চাকুরিতে পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূর-দূরান্তে গিয়ে তাদের কর্তব্য পালন করে; উদয়াস্ত খাটুনি দিয়ে ত্রাণসামগ্রী, ঔষধপত্র বিতরণ করে কিংবা আশ্রয়স্থল নির্মাণ করে; বেতনভূক ট্রাফিকপুলিশ থাকতেও রাস্তায় যানজট নিরসনে ট্রাফিকপুলিশের কাজ করে; সিটি কর্পোরেশনের বেতনভূক সুইপার থাকা সত্ত্বেও নির্বিবাদে ঢাকার ড্রেন পরিষ্কারে নামে; জীবন-বাজি রেখে সন্ত্রাসদমন ও অবৈধ অস্ত্র-উদ্ধার অভিযানে নামে; মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার-ইন্সার্জেন্সি অপারেশনে নিয়োজিত থাকে; বেসরকারী কোম্পানীর দেওয়া দরের এক-তৃতীয়াংশ বাজেট দিয়ে জাতির জন্য ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে দেয়; জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃংখলা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রের পথ সুগম করে; যে কোন জাতীয় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলেও সে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে - আজ তারা জাতির সামনে ছোট হল জেনারেল মইন ও তার মত তার পূর্ব কিংবা উত্তরসূরি কতিপয় টপ-ব্রাসের জন্য। এসব উচ্চাভিলাষী, ক্ষমতা ও সম্পদলোভী পদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের প্রতিও রইল আমার তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা।

@সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষ,
সেনাবাহিনীর মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষপূর্ণ ও উস্কানীমূলক এই পোস্টটি স্টিকি করে আপনারা একদিকে যেমন নিজেরাই নিজেদের ব্লগ নীতিমালা ভংগ করলেন, তেমনি অন্যদিকে এই বিদ্বেষপ্রসূত অপপ্রচারণার পৃষ্ঠপোষকতা করলেন। আপনাদের স্ববিরোধী চরিত্র সম্পর্কে এখন আমরা নিশ্চিত হলাম। আপনাদের প্রতিও রইল আমার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা।

২৫৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হুনার মন্দ বলেছেন: আসেন একটা জরিপ লই......

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরে কোন কোন জায়গায় ভাল্লাগে....

১. খবরে যখন শুনি বর্ডারে গুলি কইরা ১০টা বিএসএফ মাইরা ফেলছে (বহুতদিন আগে একবার পড়ছিলাম...এরপর আর কিছু নাই..তয় এর মইদ্দে আমাগো দেশের বহুত মানুষ মরছে)

২. যখন রাস্তায় নেমে যানজট ছাড়ায় (বিশ্বাস করেন...মাইনষে তাগোরে এমন ডরায় যে, বিশেষ করে বাসট্রাকসিএনজিটেম্পু অলারা...জ্যাম হওনের কোন চান্সই নাই

৩. যখন প্যারেড করে (দ্যাখতে খুব দারুন লাগে)

৪. ঝড়টড় হৈলে যখন ত্রাণ নিয়া যায় (যদিও বিদেশী সাহায্য আর তাদের এই কার্যক্রমের জন্য বিশেষ ভাতা পায়)


৫....???? (চিন্তার বিষয়...আর খুজেঁ পাইতাছি না...)

৬.....????


৭.......??? নাহ...আর মনে হয় নাই....

২৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

লুকোচুরি বলেছেন: যদিও সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য, মর্যাদা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন-তবুও সেনাবাহিনী সম্পর্কে সরাসরি এই পোস্টের বিরোধীতা করে-এই পোস্ট এই মুহুর্তে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করছি। এই পোস্টে দেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক সেনাবাহিনী সম্পর্কে জনমনে শুধু বিভ্রান্তিই সৃস্টি করবেনা-জাতীয় ঐক্য নস্ট হবে।

সেনাবাহিনীর অপকর্মগুলোর বিরোধিতা আমরা করতে পারি। ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। এই বিষয়টাকে এভাবে প্রচার করাটা ঠিক মনে করছিনা। সত্য প্রকাশ অনেক সময়ই হিতে বিপরীত হতে পারে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

দিনমজুর বলেছেন: সেনা-অপকর্ম নিয়া কথা কইলেই জাতীয় ঐক্য নষ্ট হয়। সেনাবাহিনী কি জাতীয় ঐক্যের লিজ নিয়া বসছে নাকি।

জাতীয় ঐক্য নষ্ট করার কি পাইলেন? ফাইজলামি করেন নাকি?

২৫৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

bangal manus বলেছেন: এখনই পোষ্ট টি সরিয়ে নেয়া হোক।

২৫৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

রুবেল শাহ বলেছেন: সেনাবাহিনীর মায়রে বাপ জান দিমু জমি দিমু না.......
স্যালুট পোষ্টের জন্য......... প্রতিবাদ শুধু লাঠিতে নয় প্রতিবাদ হোক কলমে।

২৫৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রূপগঞ্জের জমি হইতেছে সেনাবাহিনীর জন্য রাষ্ট্রের উৎকচ। আগে কোনো সমস্যা হয় নাই; কিন্তু এই বস্তু গিলতে গিয়া এইবার গলায় আটকায়া গেছে। মাঝে মাঝে এইটা হয়।

সব ঠিক হয়া যাবে।

২৫৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

আধাঁর রাত বলেছেন: আপনাকে +++, প্রিয়তে নিলাম। রুপগন্জবাসিকে লাল সালাম।

২২০টা মন্তব্য পড়তে বুঝতে ২ঘন্টার উপোর গেলো।

আমার মতামত এমন সেনাবাহিনীর দরকার নাই, যারা আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাবে।

২৬০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ভিজামন বলেছেন: বাংলাদেশে আর্মির আগ্রাসন নতুন নয়, সেই মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই তা চলছে... তা না হলে ৭ জন বীরশ্রেষ্টর মধ্য কেন একজনও বেসামরিক লোক নাই... কোন বেসামরিক শহীদই কি এতটা সাহস, বীরত্ব, দেশপ্রেম দেখাতে পারেনি ? ঐ সময়ই সরকারকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ আর্মি একাজ করে... যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সাথে বেঈমানী করতে পারে তাদের দেশপ্রেম কি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া উচিৎ নয় ? ওদের জন্মই আজনম পাপ।

আমি কাজ করে টাকার জন্য... সে তা যে কাজই হোক (হাতি মরলেও লাখ টাকা..)।

২৬১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এক চিলতে আলো বলেছেন: বিভরানতি মুলোক পোসট।মাইনাস

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩২

দিনমজুর বলেছেন: কোথায় কি বিভ্রান্তি পাইলেন পরিস্কার করেন

২৬২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আহমেদ রশীদ বলেছেন: এত পক্ষপাত দুষ্ট একটি পোষ্ট ষ্টিকি করার একাধিক কারন থাকতে পারে। বেশ কটি পত্রিকায় পড়েছি রুপগন্জের ঘটনার সাথে একাধিক জমিকেনা বেচা কোম্পানি জড়িত, লেখক অথবা যারা ষ্টিকি করা না করারা দায়িত্ব থাকে তাদের সাথে এই জমির সওদাগরদের খাই খাতির

যারা মন্তব্যে সেনাবাহিনীর নিন্দা করছেন তারা হয় অনেক জানেন অথবা কোন না কোন কারনে সেনাবাহিনীর প‌্যাদানি খেয়েছেন, তবে সার্বিক ভাবে সেনাবাহিনী সম্পকর্ে তাদের ধারনা অগভীর।

এ এইচ এস করে সেনাবাহিনী অন্যায় করেছেন যারা ভাবছেন তারা মানুষের মৌলিক অধিকার বিষয়ে নিজেদের মনগড়া ধারনাটিকেই বাইবেল মনে করে।

কয়েকজন প্রশ্ন করেছেন সেনাবাহিনী বানিজ্য কেন করে? সেনাবাহিনী বানিজ্য করবে না কেন? সেনা বানিজ্যে কার কি ক্ষতি হল? লেখক যে সব প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছেন তার সবযদি সেনাবাহিনী পরিচালনা করে থাকে তাহলে শুধু এ কারনেই সেনাবাহিনীর ধন্যবাদ পাওয়া উচিৎ। কারন এসব প্রতিষ্ঠানের বেশ কটি অাগে লোকসানি প্রতষ্ঠান ছিল। সেনাবাহিনী বা অন্য কোন বাহিনীকে দায়িত্ব দেবার পর সেগুলি লাভের মুখ দেখেছে। ক্যান্টনমেন্টে যা যা ফলে তার মধ্যে এই রুগ্ন শিল্প গুলিকে দাঁড় করিয়ে দেবার ক্ষমতাও একটি। সেনা বাহিনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চকুরী করেন তাদের অধকাংশই অসামরিক। বিশ্বাস না হলে সেনা কল্যানের ওয়েভ সাইট দেখতে পারেন।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বাজেটর প্রায় অর্ধেকের সমান টাকা তারা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগান দেয় । পৃথিবীর আর কোন সেনাবাহিনীর এরকম নজির আছে কিনা আমার জানা নেই।

এ এইচ এস নিয়ে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে তার জন্যে দায়ী জমির দালাল, জমি কোম্পানী, রাজনীতি আর এ এইচ এস কর্তৃপক্ষের একগুয়েমী। লিটিল ম্যাগাজিন চালিয়ে বাম ধারায় বিশ্বাস করে, দিন মজুর এসব জটিলতা ধরতে পারবেন না এ আমি বিশ্বাস করিন। তবে রুপগন্জের শোকাহত মানুষকে পুঁজি করে নিজের নাম ফাটানোর চেষ্টা কতটা নৈতিক ভেব েদখা দরকার. মাইনাস মাইনাস মাইনাস

২৬৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্পর্কে বলা হয় যে, দখলের জন্য তারা যে একটিমাত্র অঞ্চল পেয়েছে তা পাকিস্তান। যারা নিজ দেশেই দখলদার এবং পরদেশে মার্কিনের লেঠেলগিরি করে, যাদের আমলে ভারত থেকে ট্রয়ের ঘোড়া এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরিস্তরে কায়েম হতে পারে, তারা কীভাবে কার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে?

আমাদের জাতীয় সেনাবাহিনী প্রয়োজন, কিন্তু মাখাইলাম ছাতু হইল গু জাতীয় দশা হলে সেই গু গায়ে মাখার কী প্রয়োজন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৪

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০১

অপলক বলেছেন: একটা সত্য ঘটনা বলি। আমার আপন ফুফা সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এখনও আছেন। বিয়ের ৫ম বছরে ফুফুকে সাথে করে নিয়ে যান তার কোয়াটারে। সেখানে সিনিয়র অফিসারের চোখে পড়েন ফুফু। অনাকাঙ্খিত প্রস্তাব ফুফার কাছে আসে। প্রমোশন সহ আরও অনেক কিছুর অফার পান। এরপর ফুফুকে তিনি সাথে সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তখন থেকে ফুফাকে জঘন্য সব জায়গায় বেশি মাত্রায় থাকতে হয়েছে ট্রেনিং নেবার অযুহাতে। অনেকদিন কোন প্রমোশন পাননি। অথচ দেশের বাইরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যখন বিশেষ বিশেষ উপাধি পেয়েছেন তখন তার যোগ্যতা নিয়ে একটু ভাবলেই বোঝা যায়। ফুফার সেসব অনুষ্ঠানের ভিডিও কপি দেশে নিয়ে আসায় আমি দেখেছি।

সেনাবাহিনীর বেলাইনের অসংখ্য ঘটনা খোজ করলেই পাওয়া যাবে। রূপগঞ্জ দিয়ে শুরু হয়েছে। দেখা যাক কোন গঞ্জের তুলসি পাতা দিয়ে ধুয়ে তাদের ঘরে নেয়া হয়?

২৬৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৯

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সেনাবাহিনীরে অনেকেই 'জাতীয় ঐতিহ্য' বলতেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও মাঝে মাঝে ডলা খাওয়ার পর এই ধরনের কথা বলে। শুনতে খুব ভাল লাগে।

ভয়ঙ্কর রাজনীতিবিদ আর 'জাতীয় ঐতিহ্য'- এই দু'য়ে দেশপ্রেম দেখাইতে দেশটারে নিজেদের বিছানায় নিয়া তুলছে।

২৬৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৩

মৃধা জুয়েল বলেছেন: সেনাবাহিনী কামডা ঠিক করে নাই। এর মাসুল দিতে হবে।

২৬৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৩

অলস ছেলে বলেছেন: দু:খজনক। বাংলাদেশী হিসেবে লজ্জিত হলাম এ পোষ্ট পড়ে, এবং অসংখ্য মন্তব্যে মানুষদের বড় একটা অংশের প্রতিক্রিয়া দেখে। আমরাই বোধহয় সবচেয়ে বিশ্বাসঘাতক জাতি যারা নিজেদের গোড়া কেটে ফেলতে সবচেয়ে পারঙ্গম।

সেনাবাহিনীর সমস্যা থাকলে তা মানুষগুলোর সমস্যা, সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠানটাকে ধরে টান দিয়ে নিজেদেরকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি??

পেট ভরে খেয়ে বিড়ালের মতো একশ বছর বাঁচার চেয়ে ভুখা থেকে একদিন সিংহের মতো বাঁচা অনেক ভালো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪০

দিনমজুর বলেছেন: আপনি বলেছেন আমরাই বোধহয় সবচেয়ে বিশ্বাসঘাতক জাতি যারা নিজেদের গোড়া কেটে ফেলতে সবচেয়ে পারঙ্গম।

আপনার এই কমেন্টটা পইড়া আমরাও ভীষণ লজ্জা পাইলাম! সেনাবাহিনীকি আমাদের গোড়া নাকি? এতদিন তো জানতাম জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, সব কিছুর মূল ভিত্তি। এখন কি সেইটা সেনাবাহিনী হয়া গেল?

আবার বললেন সেনাবাহিনীর সমস্যা থাকলে তা মানুষগুলোর সমস্যা, সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠানটাকে ধরে টান দিয়ে নিজেদেরকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি??

সেনাবাহিনীর সমালোচনা করলেই সেটা প্রতিষ্ঠান ধরে টান দিয়ে "কোথায়" চলে যাওয়া হয়ে যায়? প্রতিষ্ঠানের গড়নে, ধরণে, চলনে যদি সমস্যা থাকে সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে না? সেনাবাহিনী কি ঈশ্বর নাকি যে এটার কোন সমালোচনা করা যাবে না!

২৬৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৫

তাহসিন আহমেদ বলেছেন: সাদা চোখে,সোজা বাংলায় কিছু বলি,আমার কমেন্টা অনেক নিচে,অনেকেরই চোখে পড়বে না।কেউ কেউ হয়তো পড়বেই না।

সেনাবাহিনী সবসময় সরকার/ক্ষমতাশীল দলের হুকুমের গোলাম।সরকার চেন্জ হলে সানাবাহিনীর প্রধান ও চেন্জ হয়।দেশের অর্থনিতী চলে ব্যবসায়ী/শিল্পপতিদের খাটানো টাকায়।সরকার হলো কাগজের ১টা নিয়ম শুধু।আসল ক্ষমতা যার টাকা আছে তারই।

খুব ভালো নিয়ম/শৃংখলায় থাকে সেনাবাহিনী।এটা কাজে লাগিয়ে তারা বাংলাদেশের সব সেক্টরে,সব ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠান খুলছে।যতই মুখে বলুক ,সেনাবাহিনী দেশ/দেশের জনগনকে বুকদিয়ে ভালোবাসে,ততই মিথ্যে বলে তারা নিজেরা ও জানে!!

যত রকম সুবিধা নেওয়া যায়,পাউয়া যায়,সেনাবাহিনী সব কিছুই নিচ্ছে দেশ থেকে,নিজেদের মতো নিয়ম করে নিচ্ছে।কেনো এত গুলা ব্যাংক থাকর পরেও তাদের ১টা ব্যাংক খুলতে হয়?দেশের ৫৯ টা ব্যাংক যদি পুরো দেশের মানুষ ব্যভার করতে পারে,তবে সেনাবাহিনী কেনো পারবে না?


দেশের সবার ছেলেমেয়ে স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি/মেডিকেল/ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ও পড়ার সুযোগ পায় না,সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা কেনো স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি/মেডিকেল/ইন্জিনিয়ারিং ভার্সিটি তৈরি করতে হবে,আলাদা কোটা থাকতেই হবে?!!

তারা কোন দিক দিয়ে সুপিরিয়র?আমি কোন দিক দিয়ে আর্মির ১জনের চেয়ে বিলোও স্টান্ডার্ডের?আমি বুক ভরে দেশ কে ভালোবাসি।আমার ভালোবাসা কি দিয়ে মেপে আর্মির চেয়ে কম হলো আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন?

ওরা ইউনিট থাকে,প্রশিক্ষিত,সব অস্র আছে তাদের,তাই তারা সব পেয়ে যাবে?সব সুবিধা ভোগ করেই যাবে?অস্র তো ছিনতাইকারি/ডাকাতদের ও থাকে।তাই ডাকাত/ছিনতাইকারি যা যা করে/করবে,আর্মি সরকারি লাইসেস্ন নিয়ে তাই করে বেড়াবে?


আপনারা ঢাকায় যারা থাকেন,তারা চোখে দেখেন না?কানে শুনেন না?আর্মির ও দুর্নীতি আছে।সবার সামনে আসে না।ওদের ক্ষিদে যে কত ভয়াবহ,আপনার জমি যেদিন কিনতে আসবে বা আপনাকে জমির দাম না দিয়েই জমি নিয়ে যাবে,সে দিন বুঝবেন।


আর ও ১ টা কথা।মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সাধারণ অনেক মানুষ ও যুদ্ধ করেছিলো।আজ যখন ১ জন মুক্তিযোদ্ধা কে ভিক্ষে করতে দেখি,আর অবসরে যাওয়া আর্মির অফিসার মহাখালি/বারিধারা ডিওএইচএসের বাড়িতে বসে কফি গরম কাপে ধোয়া উড়ান,চোখ ফেটে রক্ত পরে,ভুক ভেংগে কান্না আসে আমার।


১টা যুদ্ধ করেই ৪০ বছর ধরে তার সুবিধা নেওয়া/ভোগ করা যায় না।ঐ মুক্তিযুদ্ধ তো আর্মি একা একা করেনাই।শহীদ তো আর আর্মির লোকই হয় নাই।দেশেতো আরও মানুষ ছিলো তখন।এখন ও আর্মির চেয়ে সাধারন মানুষ ই বেশি।

আমি ব্লাডি সিভিলিয়ান,আমি ব্লাডি,আমার বাবা-দাদা ও ব্লাডি।হয়তো আপনেও ব্লাডি সিভিলিয়ান!!কোনদিন আর্মির ১টা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলে,আপনি জানবেন,আপনি কি?!!ওরা গাড়ি থেকে ই আপনাকে বলা শুরু করবে।!!


দেশের সেরা প্রতিভা,সেরা মেধা,সেরা চিন্তাবিদ আর্মিতে তৈরি হয় না।সাধারণ পরিবারেই তৈরি হয়।তাই দেশ আজ অনেক সৈনিক পায়,তৈরি হয় অনেক প্রশিক্ষিত সেনা।কিনতু দেশের দরকার প্রতিভা,মেধা,চিন্তাবিদ।অস্র চালাতে জানলেই সব পাওয়া যাবে,এমন যাদের মূলমন্ত্র।তাদের কাছ থেকে এমন কাজ/ব্যবহার ই স্বাভাবিক।আরও বেশি মানুষ মারা গেলেও অবাক হবোনা।

বাংলাদেশ,বাংলাদেশের মানুষ সব সহ্য করে যায়।তাই যার যা খুশি করতে পারে।ওদের সাথে ফাইট করার মতো কেউ নাই,আমি দেখিও না।পুরো দেশ টা সেনাবাহিনী হয়ে গেলে কেউ কেউ খুশি হবেন!!যারা মাইনাস দিয়েছেন,যারা বিরোধিতা করছেন,তাদের কাছে জানতে চাই,পুরো দেশ টা সেনাবাহিনী হলেই ভালো হয়,কি বলেন?!!!



২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪১

দিনমজুর বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৬৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৮

লেসার বলেছেন: Click This Link

২৭০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৫

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ। রাস্ট্রপ্রধান কেন বিরোধীতা করলো বুঝলাম না। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্যেও শেয়ার দিতে পারলাম না আফসোস...


ভাইরে বিরোধিতা করিনাই , তবে একপেশে কথা বিভেদ সৃষ্টি করে , এই পোষ্ট পুরো একপেশে , আমাদের বাহিনী ফেরেশতা না , আর আমাদের বাহিনী নিয়ন্ত্রন করে আমাদের দেয়া ভোটের নেতারা ।


লেখক এখানে দাবি তুলছেন খুব ভালো, এটা স্বাভাবিক , তবে যিনি একটা দাবি তুলছেন , সেই দাবিকে ফলাফলে বাস্তবায়নে কোনো সাজেশন দেন নাই , লেখক যখন লিখছেন তখন জানতে ইচ্ছা করে তিনি কিভাবে সমাধান পেতে আগ্রহী ।


আমাদের বাহিনী ফেরেশতা না , কিন্তু ফেলনা না ,

অনেকে বলছেন সেনা কি প্রয়োজন , দয়া করে সিকিম থেকে শিক্ষা নিবেন ।






২৭১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৬

দিনমজুর বলেছেন: দুটি প্রসংগে এখানে কিছু মন্তব্য কারী বিভ্রান্তি তৈরীর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কার করা দরকার।

প্রশ্ন১: আর্মি বাণিজ্য করলে সমস্যা কি?

উত্তর: ব্যাবসা বাণিজ্য মানেই হইল মুনাফার ধান্দা। দেশ রক্ষা বাদ দিয়া মুনাফার ধান্দাতেই তার সমস্ত কর্মকান্ড বিস্তৃত হবে, মুনাফা করতে গিয়ে আর দশজন পুজিপতির মতোই শোষক শ্রেণীর কাতারে গিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যাবে, ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান বলে মুনাফার ধান্দায় ক্ষমতার যত ধরণের অপব্যাবহার সম্ভব সবই হবে—যার সব উদাহরণ ইন্দোনেশিয়া-পাকিস্তান এ দেখা গেছে। রুপগঞ্জের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও সুবিধা না।

প্রশ্ন২: আর্মিরা যদি নিজেদের বেতন বা পেনশনের টাকা ভেংগে যদি একটা জমির মালিক হতে চায় তাহলে দেশের অন্য দশজন মানুষের সাথে বিরোধ টা কোথায়?


উত্তর: দেশের আর দশজন মানুষের মতো আর্মি যদি তার বৈধভাবে অর্জিত আয় দিয়ে প্লট/ফ্ল্যাট কিনে সেটা নিয়ে তো কারো কোন আপত্তি নাই। আপত্তি হইল বিশেষ সুবিধা ভোগ আর বিশেষ ক্ষমতার ব্যাবহার নিয়া। ক্যাম্প বসিয়ে সামরিক ক্ষমতার জোর দেখিয়ে হাজার বিঘা জমি তো ছাড় এক বিঘা জমি কিনলেও সেটা ভীষণ আপত্তিকর।

২৭২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩০

এক্স বলেছেন: @মাটির সুবাতাস - হিজবুত তাহরীর খিলাফাহ ও ইসলামের রাজনীতি করে. তারা সমাজ ব্যবস্হা, এর উপাদান ও কাঠামো সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখে. তাই তারা জানে একটি সফল, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রের জন্য সেনাবাহিনীর অপরিহার্যতা. তারা ও যে কোন সচেতন ব্যাক্তিরাই সেনাবাহিনীর অস্তিত্বের সাথে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের অস্তিত্বের যোগসূত্রটি জানে. সেজন্যই আর্মিকে ধ্বংস করার যে কোন চক্রান্তের বিরু্দ্ধেই তারা কথা বলেছে. নিষিদ্ধ হয়েছে কিন্তু রাস্তা ছাড়েনি. আমি একজন নগন্য সাপোর্টার হিসেবে এই দূর্বল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কথা বলছি.

আপনি কিছুটা জ্ঞানী আওয়ামী পন্হী, তা আপনার মুখ দিয়ে বের হওয়া গুজবের ধরন শুনেই বুঝেছি. একটু নীচু প্রকৃতির গাছভুদাই লীগাররা মনে করে এরা জামাতের অংশ. জামাতরা তাহরীরকে মনে করে ইহুদীদের প্রডাক্ট, আর তাবলীগরাও মনে করে তাহরীর জামাতিদের অংশ. তাহরীর নিজেদের বলে কুরআন ও সুন্নাহ এর প্রডাক্ট.

===========================

ঘটনাটা এক নজরে দেখুলে অবস্হাটা মোটামুটি এরকম. সেনাবাহিনী রাজউকের দীর্ঘসূত্রিতাকে পাশ কাটিয়ে তাদের অবসরপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্হ সেনাসদস্যদের আবাসন সংকটকে দ্রুত নিরসনের জন্য নিজেরাই জমি ক্লিয়ার করতে গিয়েছিল. (কিন্তু সরকার কেন তাদের সেই হুকুম দিল?) এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, তবে এর জন্য দায়ী সেনাবিদ্বেষী সরকার যারা সদা সেনাসুবিধা সংকোচন করতে আগ্রহী. এই সেনাদেরকে সেখানে ক্যাম্প বানাতে সরকারই অনুমতি দেয়. আরেকটি ভুল. আগুনে আবার ঘি..

তারপর সেনারা দালালদের সাহায্য নেয় আর দালালরা অধিক মুনাফার লোভে পানির দামে স্হানীয়দের জমি কিনে প্রচলিত দামে আ্মিদের কাছে বেচার ফন্দি করে. দালালরা যে স্হানীয়দের কাছে নিজেদের আর্মির এজেন্ট দাবী করে ভয় ভীতি দেখায়নি তার কিন্তু কোন প্রমান নেই...ফলাফল গনঅসন্তোষ. আর এর থেকেই একই ধরনের গেন্জি লাঠি ওয়ালারা গ্যান্জাম লাগিয়ে পাবলিকদের সামনে এগিয়ে কেটে পড়ল. গোলযোগে মারা গেল একজন ভুক্তভোগী জমির মালিক. এটা একটা অপরাধ ও এইটারই তদন্ত হওয়া উচিত.

এবার পেছনের ঘটনা, সমগ্র ঘটনা পত্রিকার প্রকাশিত হল, আর্মিদেরকে ভিলেন দেখানো হল. পুরো ঘটনাটাকে চিত্রায়িত করা হল ফুলবাড়ি ওপেন পিট প্রতিরোধ আন্দোলনের আদলে. ফলাফল মানুষ চিন্তা না করেই বলে বসছে আর্মির খালি খাই আর খাই... আর্মি উঠিয়ে দেয়া হোক হেন তেন ইত্যাদি.

কেউ কি বলেছেন ওই নিহত ব্যাক্তির নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত হোক , যারা সামনে পিছনে এর জন্য দায়ী তাদের শাস্তি দেয়া হোক.. নাহ সবাই বলছেন আর্মিকে ধ্বংস করা হোক. এটা একটা পুরানো পলিটিক্স, আর্মি ধ্বংসের পলিটিক্স. আসল ঘটনার তদন্ত বাদ দিয়ে আর্মির পিছনে লাগা.

মুজিব-জিয়া-এরশাদ-হাসিনা-খালেদা সবাই এই কাজ করেছেন. কেউ রক্ষীবাহিনী বানিয়ে, আবার কেউ আইনকানুন বানিয়ে, করাপশন ঢুকিয়ে ধ্বংসের কাজ করেছেন. তারই নতুন এডিশন ছিল হাসিনার রাজনৈতিক ভাবে ৫৭ জন আর্মি অফিসার হত্যার ঘটনাটি. তখন আর্মির পক্ষে মানুষ দাড়িয়েছিল বলে সরকার বাধ্য হয়েছিল পিলখানায় রাজনৈতিক মিশন তাড়াতাডি শেষ করতে. সেই অল্প সময়ে দেশব্যাপি বিডিআর ক্যাম্পগুলিতে হত্যাকান্ড কমপ্লিট করতে পারে নাই, এইবার আর্মির চরিত্র হনন করে পাবলিক-আর্মির মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট করে আবার নতুন আকারে নতুন ভাবে হত্যাকান্ড চালাবে. এজন্যই আমাদের মত সচেতন মানুষরা সোচ্চার. যদিও অপপ্রচারেব বিভ্রান্ত হয়ে অনেকেই আর্মি বিদ্বেষ পোষন করছেন কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখলে সবাই এই অযাচিত আর্মি বিদ্বেষ পরিহার করবেন বলেই আমার বিশ্বাস.

লেনিন তার বইয়ে বলসিল, সেনাবাহিনী বুর্জোয়াদের রক্ষা করার হাতিয়ার, আর বুর্জোয়ারা শোষনের হাতিয়ার.

আমার কথা হল, আমরা কি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র? যে সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী মেইনস্ট্রিম আর্মিকে উতখাত করে ছাত্রলীগ-দলের মত রেডআর্মি বা গনআর্মির হাতে শাসন তুলে দিব? ছাত্রলীগ-দল-রক্ষীবাহিনীর হাতে আমরা কতটুকু নিরাপদ তা বিবেচনা করলে সবাই আর্মি রাখার পক্ষেই ভোট দিবে, এর বিপক্ষে অবশ্যই নয়.

এজন্য অবিলম্বে এই রাষ্ট্রবিরোধী ও প্রতিরক্ষা বাহিনী বিরোধী পোস্টকে আনস্টিকি করে সেনাবিরোধী অপপ্রচার বন্ধ করা হোক. দিনমজুর অন্য উদ্দেশ্যে এই পোস্ট দিলেও বাংলাদেশ বিরোধীরা যে তার কাঁধে বন্দুক রেখে ফুটাচ্ছে তা সবারই বোধগম্য হওয়া উচিত.

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৯

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের প্রশ্নটা সেনাবাহিনী আদৌ থাকবে কি থাকবে না, সেইটা নিয়া না, প্রশ্ন হইল সেইটা কিরূপে থাকবে,ক্ষমতা কাঠামোয় সেনাবাহিনীর অবস্থান কি, জনগণের সাথে তার সম্পর্ক কি আছে এবং কি হতে পারে এই সব নিয়ে।

আপনি অযথাই বিভ্রান্ত হচ্ছেন, ভিন্ন প্রসংগে চলে যাচ্ছেন এবং অন্যদেরকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।

২৭৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩০

এস বাসার বলেছেন: সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনীর অফিসারদের যেহেতু জায়গা দিতেই হবে , সে হিসেবে তাদেরকে পদ্মার চরে বা কোন বিলে প্লট করে দেওয়া হোক, সাধারন কৃষকের জমি আর ঢাকার আশেপাশেই উনাদের থাকতে হবে কেন?

২৭৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৩

শাহীন আঁখি বলেছেন: সর্বনাশের শুরু সেদিন থেকে যেদিন থেকে বাংলাদেশের সৈনিকরা জাতিসংঘের লাঠিয়ালগিরি শুরু করল ।পাল্টেগেল তাদের জীবন যাত্রা সংস্কৃতি।

২৭৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৪

বুড়ো বলেছেন: দেশের জন্য এটা খুব লজ্জাজনক ব্যাপার। নিরীহ কৃষক-গ্রামবাসীকে সর্বস্বান্ত করে বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্প কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সাধারণত দেশের মিডিয়াগুলো সেনাবাহিনীসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে যায়। ফলে ভুক্তভোগী ছাড়া সাধারণ মানুষ কখনোই সেনাবাহিনীর এসব অজানা কথা জানতে পারে না।

সামুকে ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি স্টিকি করবার জন্য।

২৭৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: দিনমজুর ভাইজানের বক্তব্য আসলে:

অক্ষমের নিষ্ফল আক্রোশ মাত্র।


ওনার জন্য মায়াই লাগতাছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫০

দিনমজুর বলেছেন: আপনার জন্য করুণা!

২৭৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫০

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: রুপগন্জের ঘটনায় আসল দোষীদের বিচার দাবী করছি। এবং অনতি বিলম্বে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্বলিত স্টিকি পোস্ট বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৩

দিনমজুর বলেছেন: সেনা বাণিজ্য বন্ধ হউক। ভূমি আগ্রাসন বন্ধ হউক।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৩

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের প্রশ্নটা সেনাবাহিনী আদৌ থাকবে কি থাকবে না, সেইটা নিয়া না, প্রশ্ন হইল সেইটা কিরূপে থাকবে,ক্ষমতা কাঠামোয় সেনাবাহিনীর অবস্থান কি, জনগণের সাথে তার সম্পর্ক কি আছে এবং কি হতে পারে এই সব নিয়ে।

আপনি অযথাই বিভ্রান্ত হচ্ছেন, অন্যদেরকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।

২৭৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৫

আইরিন সুলতানা বলেছেন: মিলবাস (MILBUS) অর্থ্যাৎ মিলিটারী বিজনেস ফৌজি বাণিজ্যের এই নামকরণটি করেছিলেন ডঃ আয়েশা সিদ্দিকা, তার রচিত The Military Inc: Inside Pakistan's Military Economy বইটিতে। এটি মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বানিজ্যমুখীতা নিয়ে। যদিও কেউ কেউ তাকে 'র' এর চর বলে থাকে। ব্যাংক, ইন্সুরেন্স, শস্য, সার, হাসপাতাল-ক্লিনিক, রেডিও-টিভি সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছে।


পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখন তাদের দেশে কী করছে সেটা আমার-আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হয়ত কিন্তু আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর এই ব্যবসায়ীবৃত্তির পেছনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে মডেল হিসেবে ধরা হয় বলে একটি বিবিসি ডকুমেন্টারীতে তথ্য দেয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ডঃ আয়েশার বক্তব্য ছিল, "আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলকে চিনি যিনি এখন একজন ব্যবসায়ী এবং বেশ ঘন ঘনই বাংলাদেশে যাতায়াত করেন। তিনি হয়ত যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারেন।"


সেনা কল্যাণ সংস্থার নিজস্ব প্রকাশনায় বলা হচ্ছে :

‘‘অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে নানারকম সেবামূলক সহায়তা দেবার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ইউনিট বা প্রকল্পের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান৻ পাকিস্তান আমলে এধরণের একটি প্রতিষ্ঠান ছিলো যার নাম ছিলো ফৌজি ফাউন্ডেশন এবং স্বাধীনতার পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সহায়-সম্পদ নিয়ে বাহাত্তর সালে যাত্রা শুরু করে সেনা কল্যাণ সংস্থা৻ ‘‘

সরকারী নথিপত্রে দেখা যায় উভয়ক্ষেত্রেই এই সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর আগ্রহের কারণে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব খাতের কয়েকটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে৻ এরমধ্যে সেনাবাহিনী বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী লিমিটেডের স্থাপনার মধ্যেই প্রতিষ্ঠা রেছে আরো তিনটি নতুন বাণিজ্যিক ইউনিট৻ এর একটি হলো বিএমটিএফ সিএনজি কনভার্সন লিমিটেড এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিএমটিএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র৻ আর তৃতীয়টি হলো হংকংয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠান ট্রেড মিউচূয়াল হংকংয়ের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ফুটওয়্যার এন্ড লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড৻

আর নৌবাহিনীর পরিচালনায় রয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং ডকইয়ার্ড অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড৻

বিবিসি'র অনুসন্ধানী রিপোর্ট বলছে, সেনাবাহিনীর বানিজ্যিক কর্মকাণ্ডের কোন একটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরাসরি পাকিস্তানের রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।


উপরের তথ্যগুলোর সূত্রঃ

১. Click This Link

২. Click This Link

বিবিসির রিপোর্টটির ২য় পর্বের লিংকটি খুঁজে পাচ্ছিনা বলে দিতে পারছিনা এই মুহূর্তে।

উপরের লিংক দু'টি থেকে আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কিছু তথ্য পাবেন।

২৭৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৪

পারভেজ আলম বলেছেন: ওয়ান ম্যান, আমার মন্তব্যরে টুইস্টেড করলেন কেন? সেনাবাহিনীর দরকার নাই এই কথা আমি বলি নাই। আমি বলছি আলাদা ভাবে নিয়মিত সেনাবাহিনীর দরকার কি? বাংলাদেশের মতো দেশে নিয়মিত সেনাবাহিনীর চেয়ে গনবাহিনী অনেক বেশি অর্থনৈতিক ভাবে শাস্ত্রয়ী এবং সামরিক নিরাপত্ত্বার ক্ষেত্রেও অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর হবে। দেশের সব মানুষের জন্য যদি সামরিক প্রশিক্ষন বাধ্যতামূলক করা হয় এবং সর্বনিন্ম বেতনে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রত্যেককেই সেনাবাহিনীতে সার্ভিস দিতে হয় তাহলে যেমন নিয়মিত বাহিনীর প্রয়োজনও পরে না, তেমনি সামরিকভাবেও আমরা শক্তিশালী থাকি। একিভাবে জনগণ-সেনাবাহিনী বিরোধও থাকেনা, কারণ তখন জনগণ নিজেই সেনাবাহিনী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও এর সপক্ষেই যায়।

২৮০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১০

বিপ্লব রহমান বলেছেন: রূপগঞ্জবাসীকে লাল সালাম!

২৮১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১১

এক্স বলেছেন: @আইরিন - মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স - আশা করি এই টার্মটি শুনেছেন. এই টার্মটার উতপত্তিই হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা মুল্লুকে. এটা হল সেনা ও ব্যবসায়ীদের কম্বাইন্ড একটা সিস্টেম যাতে ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা আন্ডারগ্রাউন্ডে এক হয়ে একে অপরকে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করতে সাহায্য করে.

এর ভয়াবহ এক ভিকটিম হল ইরাক আগ্রাসন. যেখানে আমেরিকান মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল-কমপ্লেক্স মার্কিন সরকারকে যুদ্ধাস্ত্র বেচার জন্য ইরাক-আফগান যুদ্ধে যেতে প্ররোচিত করেছিল. এর লাভ খেয়েছে মার্কিন অস্ত্রব্যবসায়ী ও সেনা অফিসাররা. উপরন্তু আমেরিকার সেনা অফিসারদের জন্য সরকার প্রাইভেট ফার্মগুলিতে বড় বড় সব পোস্টের ব্যবস্হা করে দেশ সেবার! পুরস্কার স্বরূপ.

কিন্তু আমেরিকায় কখনও সেনাদের ব্যবসার খতিয়ান প্রকাশ হতে দেখেছেন? কিন্তু তৃতীয় বিশ্ব ও মুসলিম দেশ গুলির আর্মির বিরুদ্ধে ঠিকই এইসব খতিয়ান বের হয়. মার্কিনরা চায়ই আমাদের মধ্যে বিদ্বেষ বজায় থাকুক, না হলে সেনাদের দিয়ে কিভাবে তারা রাজনীতিবিদদের শায়েস্তা করবে বা রাজনীতিবিদ দিয়ে সেনাদের হেনস্হা করবে. এই মারামারির ফলাফল দূর্বল দেশ, দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি ও বিদেশী শোষকদের সামনে প্রতিরক্ষাহীন এক জাতি.

২৮২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১১

পি মুন্সী বলেছেন: সবার মন্তব্য পড়ার মত সময় দিতে পারিনি। কিন্তু রিডার ওয়ান আপনার মন্তব্যগুলো দেখলাম। বিবিসিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণিকে উদ্ধৃত করে আপনি জানাচ্ছেন:
"তবে প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর না হলেও প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী সেনাক্যাম্প করার কথা তিনি স্বীকার করেন।"

এর মানে কিছু সেনাসদস্য তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হাসিলের জন্য "বাংলাদেশ সেনাবাহিনী" রাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছেন। রুপগঞ্জের ঐ সেনাক্যাম্প গড়তে তাহলে বেআইনী ভাবে আর্মির রুল ভেঙ্গে আর্মি অফিসারদের কেঊ না কেঊ ওখানে অস্ত্রসহ সেনাসদস্য সৈনিকদের ডীপ্লয়মেন্ট আদেশে সই করেছেন। সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লে. জেনারেল ইকবাল করীম ভূঁইয়া এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণিও ঐ ডীপ্লয়মেন্ট আদেশে বের করার সাথে জড়িত। এমন কী সেনানিবাসের এম পি প্রভোষ্ট মার্শালের অফিসও এই বে আইনী কাজের সাথে জড়িত। কারা তারা সেনানিবাস থেকে অস্ত্রসহ সেনাসদস্য সৈনিকদের ইউনিটকে বাইরে বের হয়ে যেতে দিয়ে সহায়তা করেছে, একটা বেআইনী ডীপ্লয়মেন্ট আদেশ বলে।

আপনার কী মনে হয়না আর্মি রুল ভেঙ্গে এই বেআইনী অস্ত্রসহ সেনাসদস্য সৈনিকদের ডীপ্লয়মেন্ট আদেশ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত?
শুধু তাই না অন্তত একজন গ্রামবাসীর মৃত্যু ঘটেছে। এই হত্যার দায়ও এদের সকলের?

১৭৫ নম্বরে আপনি বলছেন, "ঐ এলাকার জমির দালাল আর ভূমিদস্যুদের (যারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা) প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল সেনাবাহিনী। তাদের প্রতিহত করাটাকেই ভাল কাজ মনে করছি"।
এই "ভাল কাজ" করার আদেশ সেনাসদস্যদেরকে কে দিয়েছে? যারাই হয়ে থাকুন আইন অনুযায়ী এদের সকলের বোর্ড অফ এনকোয়রি, কোর্ট মার্শাল ফেস করতে হবে।
সেনা প্রতিষ্ঠান কলঙ্কমুক্ত রাখতে চাইলে, জনগণের কাছে বিশ্বস্ত থাকতে চাইলে এর বিকল্প নাই।

দিনমজুর কেঃ
আমাদের সেনাবাহিনী দরকার নাই আর সেনাবাহিনী বদল করে নিতে চাই - এদুটো এক কথা নয়, এক ধারণাও নয়।
আপনার লেখার শিরোনাম আমাদের রাষ্ট্রের সেনাপ্রতিষ্ঠান দরকার নাই এই ধারণার ইঙ্গিত আছে - এটা বিপদজনক। এখনকার সেনাপ্রতিষ্ঠান ওর গড়ন কাঠামো নিয়ে আপনার সমালোচনা থাকতে পারে। আপনি গণপ্রতিরক্ষা বাহিনীর ধরণের ধারণার উপর দাড়িয়েও তা করতে পারেন। কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী দরকার নাই - ধরণের ধারণার প্রচার করা খুবই বিপদজনক, নৈরাজ্যবাদীও বটে। আপনার শিরোনামে সে সতর্কতা কাজ করেনি। নেতিবাচক ধারণা ছড়ানো এক্টা কাজ এখানে ঘটে গেছে। এই সতর্কতা জরুরী ছিল।

সেনা বাণিজ্য বা ফৌজি বাণিজ্যঃ
সেনাবাহিনী বাণিজ্য করবে এটা কোন সমস্যা না, কিন্তু ঐ বাণিজ্যের আয় ব্যক্তিগত ভোগে না, প্রতিষ্ঠানের কাজেই একমাত্র ব্যবহার করতে হবে। উড়োজাহাজ, ওর ইঞ্জিন, কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতির ইত্যাদি সব বড় কোম্পানীর জন্ম হয়েছে, শেয়ার হোল্ডার হয়ে আছে আমেরিকান সেনাবাহিনী।
সেনা প্রতিষ্টান গড়া বিরাট খরচের যা রাষ্ট্রের রাজস্ব থেকে যোগানো সম্ভব না ফলে সবদেশই কমবেশী এমন করে থাকে। চীনের সেনাবাহিনীর একটা বড় আয়ের উৎস সেনা বাণিজ্য।
ফলে প্রশ্নটা সেনাবাহিনী কেন বাণিজ্যে যাবে তা নয়, ঐ বাণিজ্যের আয় কোথায়, কীভাবে ব্যয় করার নিয়ম করা হয়েছে - এটাই এখানে ইস্যু হতে পারে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই আয় অফিসারদের আরাম আয়েসের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্চে সম্ভবত মেজর পদবীর উপরে সবার দুইটা বাড়ি বরাদ্দ আছে ইত্যাদি। এর জন্য আমাদের আর্মি পাকিস্তানী মনোভাবের একথা দাবি করে নানান দিক থেকে ঘৃণা ছড়ানো ছাড়া আর কি! বিবিসির ঐ রিপোর্ট উদ্দেশ্যমুলক। ওখানে মুল বিষয় যেটা ঐ বাণিজ্যের কীভাবে কোথায় ব্যয় হয়েছে এই গুরুত্ত্বপুর্ণ দিকে দৃষ্টি না দিয়ে ইতিবাচক না হয়ে যেন আর্মি মানে দানব এই ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে। যেন সেনা বাণিজ্য জিনিষটাই খারাপ।
কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার যে পেইন এসব যদি আমরা বুঝে থাকি তবে আমরা এভাবে সরটকার্টে সিদ্ধান্তে যেতে পারি না।
এটা সত্যি যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই। ক্ষমতা দখলে ভারা খাটা সহ বহু কিছু।
রুপগঞ্জের ঘটনা এককথায় অগ্রহণযোগ্য। শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে তারা। এখানে তদন্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষে ব্যাবস্থা না নিতে পারলে আমাদের এক চরম মুল্য দিতে হবে। কিন্তু সেজন্য সেই ক্ষোভে সেনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সস্তা প্রচারণায় আমরা মেতে উঠব এটাও কাজের কথা নয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৩

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামতের জন্য।

আপনি একজায়গায় বললেন: "আপনার লেখার শিরোনাম আমাদের রাষ্ট্রের সেনাপ্রতিষ্ঠান দরকার নাই এই ধারণার ইঙ্গিত আছে - এটা বিপদজনক।" বলা দরকার আপনার এই বুঝের সাথে আমরা একমত নই। এই শিরোনামের মধ্যে একটাই ইংগিত আছে বলে আমরা মনে করি--

সেটা হলো উৎপাদন মুখী কর্মকান্ডের সাথে অনুৎপাদনশীল কর্মকান্ডের মর্যাদার প্রশ্ন। এই সমাজের তাবদ রসদের উৎপাদন যারা করে তাদের কোন দাম নাই, তারা ব্রাত্য, তাদের সাথে এবং তাদেরকে নিয়ে যা খুশি করা যায়, আর যারা সেই উৎপাদনের ফলাফল ভোগ করে তারাই সমস্ত মর্যাদার দাবীদার, তাদের বিরুদ্ধে এমনকি প্রশ্ন তোলাটাও অপরাধ--- এইরকম একটা পরিস্থিতিকে প্রশ্ন করা।

বুর্জোয়া রাষ্ট্রের লাঠিয়াল বাহিনী ও মূলত উর্দি পরা কৃষক সন্তানের বাহিনী হলেও ক্ষমতার সাথে সম্পর্কে সূত্র ধরে সামরিকবাহীনির এলিটিষ্ট ও চরম সুবিধাবাদী একটা অবদান আছে এদেশে। এটা আবার একটা প্যাসিভ অবস্থান। পুজিপতি শ্রেণীর পুজির নিরাপত্তা রক্ষা- বিনিময়ে কিছু সুবিধা ভোগ করা। অন্যদিকে নিজেরাই যখন সরাসরি বাণিজ্যিক কর্পোরেশানের মতো চলতে শুরু করে তখন আর প্যাসিভ অবস্থানটি বজায় থাকেনা, উৎপাদনের ফলাফল ভোগের জন্য সামরিক বাহনী তখন অ্যাক্টিভলি নানান পুজিবাদী লুণ্ঠন কর্মে যুক্ত হয়ে পড়ে যার ফলাফল জনগণের জন্য কখনই কল্যাণকর হয় না-- সেটা আমেরিকার সেনাবাহিনী হলেও না, পাকিস্তান কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী হলেও না। ফলে আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলছি আমরা মনে করি সেনা বাণিজ্য মানেই খারাপ।

"উড়োজাহাজ, ওর ইঞ্জিন, কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতির ইত্যাদি সব বড় কোম্পানী " সেনাবাহিনীর মালিকানায় কেন হবে? এগুলো হবে রাষ্ট্রীয় মালিকানায়, এগুলোর সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক হবে ডেভলাপার কিংবা ব্যাবহারকারীর-- মালিকানার নয়। আমরা এরকমটাই মনে করি।

সেনাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা কি সস্তা প্রচারণা করলাম বোঝাগেল না। আমরা যে প্রসংগ এবং প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেছি সেগুলোকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্য ভীষণ মূল্যবান বলেই মনে করি।

ধন্যবাদ।






২৮৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৩

কঠিনলজিক বলেছেন: ২ ঘন্টা আগে পর্যন্ত এই পোস্টে মাইনাস ছিল ২০ টা (প্রায় ২২ ঘন্টায়) । ১২০ মিনিটে মাইনাস যোগ হইছে ৪০ টা । এমন কি হটাৎ ঘটলো যে মাইনাসের গতি ১২০ মিনিটে ১৩২০ মিনিটের সমান হয়ে গেল ?
গত ১২০ মিনিটে প্রায় সাত টা পোস্ট আসছে এক দফা এক দাবী "সেনাবাহিনী বিরোধী পোস্ট স্টিকি থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক"
দাবীর পক্ষে যুক্তি গুলো হচ্ছে
#১ এরকম স্টিকি পোস্টের কারণে দেশের ভাব মুর্তি নস্ট হচ্ছে !!!
ভাব মুর্তি নস্ট হলে পোস্ট ডিলিট করার দাবী করা উচিত নয় কি ? যদি পোস্ট ঠিক থাকে তা হলে স্টিকি হইলেই অসুবিধা কি ?
স্টিকি তে সুবিধা হলো সবার চোখে পড়ে। এই দাবীর অর্থ কি এই নয় যে পোস্ট ঠিক আছে কিন্তু সবার জানার দরকার নাই একটু রাখ ঢাক করেন !!!
আর যদি এরকম হয় যে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন পোস্ট এই মুহুর্তে স্টিকি করার দরকার মনে করেন তা হলে সেই পোস্ট টা স্টিকি করার দাবী করা যেতে পারে ।
পোস্ট থাকুক কিন্তু সবার চোখে না পড়ুক এটা কি হিপোক্রেসী নয় ?
#২ কেউ কেউ দাবী করছেন এ স্টিকি পোস্টের কারণে "বিভেদ" সৃস্টি হচ্ছে !!!!
বিভেদ হবে কেন ? বরং এই পোস্ট ভিন্ন মতাম্বলী দের জন্য সুযোগ সৃস্টি করছে তাদের বক্তব্য অন্যদের কাছে পৌছানোর ।
আর যদি সমালোচনার ফলাফল সংশোধন না হয়ে বিভেদ হয় তা হলে সে জাতীর ধংস অনিবার্য ঐ জাতী, দেশ বা প্রতিস্ঠানের জন্য যত ভালবাসা ই থাকুক না কেন কোন কাজে আসার কথা না সে ভালবাসা ।
#৩ কেউ কেউ বলছেন এটা গুটি কয়েক ব্যক্তির দায়ে অন্যায় ভাবে প্রতিস্ঠান কে ক্ষতিগ্রস্হ করছে !!!!
আমার জানতে ইচ্ছা করে কোন প্রতিস্ঠানের "সফলতার" ক্রেডিট কি ঐ সফলতার পেছনের "ব্যাক্তি বর্গ" কে দেওয়া হয় নাকি প্রতিস্ঠান কে ?
ব্যাক্তি কে আলাদা করে দিলে প্রতিস্ঠার পর থেকে এই মুহুর্ত পর্যন্ত কি কোন দেশের কোন প্রতিস্ঠানের কোন সফলতা কি আদৌ পাওয়া যাবে ?
হ্যাঁ সফলতার সময় ক্রেডিট প্রতিস্ঠান কে দিয়ে ব্যাক্তি কে "পুরস্কৃত" করা হয় স্বিকৃতি স্বরুপ ।
আজকে এই প্রশ্ন করা যেত যদি সফলতার মত "ব্যার্থতার" জন্য ব্যাক্তি কে শাস্তি পেতে হতো । তখন ব্যার্থতার দায় মুক্ত হতো প্রতিস্ঠান ।
অথচ এই প্রতিস্ঠান সে দাবী এই জন্য করতে পারে না কারণ এই প্রতিস্ঠান "ব্যাক্তির" অন্যায়ের জন্য প্রাতিস্ঠানিক "দায় মুক্তি" নিয়ে সে অধিকার হারিয়ে ফেলেছে ।
একজন সৈনিক এবং সিভিলিয়ান কোন ভাবেই কখনো এক হতে পারেন না ।
এর মধ্যে দোষের কিছুই নাই । এ টা বিভেদ না এটা পেশাগত পার্থক্য ।
এই পার্থক্য চিন্তা/চেতনা/আচরণ/অভ্যাস/কর্মক্ষেত্র/অধিকার এবং দায়িত্ব সকল ক্ষেত্রেই বর্তাবে ।
যেহেতু পার্থক্য আছে/থাকবে সেহেতু তার সিমানা এবং পরিধিও আছে/থাকবে।
সেই সিমানা অতিক্রম করতে চাইলে কি কি অসুবিধা এবং পরিনাম হতে পারে সেটা এখানে দেখুন ।
Click This Link

২৮৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৫

মাইন রানা বলেছেন: ভাল

২৮৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৬

ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন: পাকিস্তানের আর্মি সম্পর্কে বলা হয়, দখল করবার জন্য তারা একটি দেশ পেয়েছে সেটা হলো স্বদেশ। আমাদের আর্মিও তাই হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল সৃষ্টির মতো এটাও গণবিরোধী কাতারে দাড়িয়েছে।

জাতীয় সেনাবাহিনী আমাদের দরকার। কিন্তু তারা হয়েছে আমেরিকার দারোয়ান আর জরুরি অবস্থার সময়ে তারা কার হয়ে কাজ করেছে সেটাও আমাদের জানা। এথন তারা কর্পোরেট হচ্ছে আর আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদের বাঙলাদেশ শাখার প্রহরাগিরি করছে। এর বেশি কী? মাখাইলাম ছাতু হইলো গু জাতীয় দশায় এই গু দেশের গায়ে নিজের গায়ে লাগিয়ে কী লাভ?

অনেক অভিনন্দন দিনমজুরকে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৫

দিনমজুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৮৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২০

এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: Click This Link

২৮৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২০

১৪ বলেছেন: +++++++++++++++++++
সময়োপযোগী পোষ্ট।

২৮৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৮

আহমেদ রশীদ বলেছেন: পারভেজ আলম পৃথিবীর েকান দেশে আপনার স্বপ্নের গণবাহিনী আছে আমার জনা নেই। যদি থাকে খরচের হার হবে অনেক বেশি।
দিন মজুরের এক পক্ষপাত মূলক পোষ্টের জন্যে এত কথা! সেনাবিদ্বেষিরা আসলে কি বুঝতে পারছেন তারা কি করছেন?

২৮৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪০

শয়তান বলেছেন: পোস্ট আলোচনাকে অফটপিকে নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করতেছে কেউ কেউ । লেখককে সতর্কদৃষ্টি রাখতে বলছি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৫

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৯০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪২

মুক্ত মানব বলেছেন: পোস্টে অসংখ্যবার ঢু মারছি। কোন মন্তব্য করি নাই। এইবার না করে পারলাম না। সেলুট পি মুন্সী ভাইকে।

২৯১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪২

পারভেজ আলম বলেছেন: আহমেদ রশীদ, দুনিয়ার বহু দেশেই এইরকম গণবাহিনী আছে। উদাহরণস্বরুপ তুর্কি, দঃ কোরিয়া, ইজরাইলের নাম বলা যায়। ইউরোপের বেশকিছু দেশেও আছে।

২৯২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪৩

বিষফোঁড়া বলেছেন: “দিনরাত
লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা
জমিতে?”
প্রথমেই বলি,আগে জেনে নিন লেফট রাইট করার উদ্দেশ্য কি?
নিশ্চয়ই এক গন্ডা জমিতে ক মন শস্য ফলানো না।
এটা হল আপনার কাব্যের জবাব।
এবার কাব্য ছেড়ে বাস্তবে আসুন।সামরিক বাহিনীর জন্ম হয়েছিল শস্য ফলানোর জন্য নয়,আমাদের ফসল যাতে অন্যে কেড়ে নিতে না পারে তাই। আমার দেশ শ্ত্রুর হাত থেকে মুক্ত রাখার কাজটাই করে সেনাবাহিনী।নিশ্চয়ই এটুকু অন্তত বুঝবেন।
আপনার অবশ্য বোঝার কথা না।কারন,বলেছেন-'' শুধু সেনাবাহিনী না, রাষ্ট্র জিনিসটাকেই আমরা মনে করি এক শ্রেণী কর্তৃক আরেক শ্রেণীর উপর আধিপত্য আর শোষণের হাতিয়ার। শ্রেণীশোষণের অবসানের সাথে সাথে আমরা রাষ্ট্র্ ও তার সমস্ত আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানেরই বিলুপ্তি চাই।''
আপনি আসলে যেটা চাচ্ছেন তা হল সমাজতন্ত্র।এত না ঘুরিয়ে সেটা সরাসরি বললেই পারেন।খামখা এত হট্বগোল না পাকিয়ে সরাসরি বলুন আপনার বক্তব্য।
*''সেনাসদস্যরা শ্রেণীগত ভাবে আমাদের কাছে উর্দি পরা কৃষক সন্তান। ফলে সাধারণ সেনাসদস্যদের প্রতি বিদ্বিষ্ট হ্ওয়ার কোন কারণই নাই আমাদের। তবে শ্রেণীগত ভাবে যে অফিসারসম্প্রদায় নিজেদেরকে এলিট শ্রেণীর অংশ মনে করে...।।"-ভালই বোঝা যাচ্ছে কোন এক অজ্ঞাত কারনে অফিসারসম্প্রদায়এর প্রতি বিরুপ আপনি।এটা কি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা অক্ষমতার প্রকাশ?

''বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদা ভাকু আর বাম-- বাই ডিফল্ট এন্টি সেনা !!''

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৯

দিনমজুর বলেছেন: "সামরিক বাহিনীর জন্ম হয়েছিল শস্য ফলানোর জন্য নয়,আমাদের ফসল যাতে অন্যে কেড়ে নিতে না পারে তাই।"

বিনিময়ে কি শষ্যের জমি তাহাদের আবাসনের জন্য প্রদান করিতে হইবে?

২৯৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪৪

এক্স বলেছেন: @আহমেদ রশীদ - সেনাবাহিনী আছে বলে হাসিনা খালেদার সোনার ছেলেরা রামরাজত্ব কায়েম করতে পারছে না বলে তারা যারপর নাই দুঃখিত. বাম মোর্চার ছেলেরা আন্দুলুন আন্দুলুন করে কাক তাড়ানোর কাজ করলেও তাদের শ্রেণী বিপ্লব হয় না এই আর্মির কারনে. এজন্য তারা যারপর নাই দুখ্খিত. সেই দুক্ষ ঝাড়া হইতাসে এই পোস্টে.
==================================

সেনাবিদ্বেষী ভাই ও বোনেদের সাথে একটা গল্প শেয়ার করতে চাই-
ঈশপের গল্পে একবার হাত আর পা তর্কাতর্কি করছিল কার অবদান বেশি সেটা নিয়ে. পেট তার অবদানের কথা বললে হাত ও পা উভয়েই হা হা করে তাকে চুপ করিয়ে দিল. বলল, তুমি থাক বসে, আমরা তোমাকে বহন করি আর খাওয়াই, তোমার আবার অবদান কিসের, তুমি আমাদের জন্য বোঝা ছাড়া আর কিছু না. শেষে তারা তর্কাতর্কী করে ক্লান্ত হয়ে ক্ষিধা অনুভব করলে পেট বলে উঠলো এত মারা মারি করে লাভ কি হল, আমি খাবার হজম করে পুষ্টি না দিলে তোমরা একদন্ডও টিকতে না.

২৯৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪৫

বাজেকাম বলেছেন: কয়েকটি প্রশ্ন সকলের জন্যঃ
১. আর্মি হাউজিং করার জন্য আর্মি ক্যাম্প কেন বসাতে হবে? যেখানে অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ রেব রয়েছে।
২. সেনা-নৌ- বিমান বাহিনীসহ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের করের টাকায় রেশন পায়। তারা কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে?
৩. কোন সেনা সদস্য দুর্ঘটনায় মারা গেলেও সে হয় বীর সেনানী। কিন্তু মিজানুর রহমান মারা গেলে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য একটু শোকও প্রকাশ করেন না।

আরো অনেক কষ্টরে ভাই.. কতগুলো লিখবো ... হাতে তো ডান্ডা নাই.....

২৯৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: রূপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?

আর বেসামরিক আবাসন প্রকল্পে ক’মণ শস্য ফলে দিনমজুর ভাইজান?

একটু তুলনা দেন তো।


২৯৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৩

বৃত্তবন্দী বলেছেন: রূপগঞ্জ বাসীর প্রতিরোধে সমর্থন প্রদান করছি...


যারা বলছেন এই লেখাটা একপেশে/ বিভ্রান্তি মূলক/ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারণ/ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ তাদের উদ্দেশ্যে আমার নিজস্বঃ একটা ধারণা বলতে চাই-

চেতনে হোক বা অবচেতনে সেনাবাহিনী আমাদের কাছে কিছুটা হলেও ভরসার স্থান। অন্য সব কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়লেও আমাদের ভিতর একটা ক্ষীণ স্বপ্ন কাজ করে, যেখানে আমরা সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে দেখতে ভালোবাসি। যারা দেশের সংকট মোকাবেলার শপথ নিয়ে এই বাহিনীতে যোগ দেয় তাদের কাছে থেকে অসৎ ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ দেখে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।

২৯৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

িমবন বলেছেন: আজ যখন সেনানীবাসের পাশ দিয়ে ইউনি তে যাচ্ছিলাম,তখন হুট করেই মনে হল
আচ্ছা সেনাবাহিনীকে বাদ দিয়ে কি আমরা সিলেবাসের মধ্যে রেখে সেনাদের এই প্রশিক্ষন গুলা নিয়ে দেশকে রক্ষা করতে পারি না?
তাহলে আমরা কি একটু স্বচ্ছল হতাম না?

২৯৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৫৯

মাসউদুল_আলম বলেছেন: প্রিয়তে গেলো। তবে প্লাস মাইনাস কিছুই দেই না।
২৮৩ নং কমেন্টার পি মুন্সীর সাথে চরম সহমত। অভিনন্দন পি মুন্সী।

২৯৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৪

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:

পারভেজ আলমের কমেন্ট পড়লে যে কেউ এই পোস্ট স্টিকি হওয়ার কারণ বুঝতে পারবেন।

৩০০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৭

জামাল ভাস্কর বলেছেন: মিলিটারীগো চরিত্র নিয়া খুব বেশি কিছু কইতে চাই না। পোষ্টে ফৌজি ব্যবসা নিয়া ভালোই প্রামাণ্য আলোচনা হইছে, এইটারে বিদ্বেষপ্রসূত কওয়া হইলে পৃথিবীর সকল দুর্নীতি বিষয়ক আলোচনাই অর্থহীন। পোষ্টে বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর অতীত আর বর্তমান আচরনের সাপেক্ষেই সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ হইছে। রূপগঞ্জের ঘটনা কেবল একটা ক্ষমতাশালী সুবিধাবাদী নির্যাতক গোষ্ঠীর নিয়মিত আচরনেরই প্রকাশ, যারা এইরম আচরণ দেশের মানুষের সাথে এই কয়দিন আগেই করছে।

তয় এক্স নামের ব্লগারের একটা কমেন্টে ৭১এ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণরে গ্লোরিফাই কইরা তাগো সকল দুর্নীতিরে জায়েজ করনের চেষ্টা করা হইতেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশ যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাও করছিলো সেইটারে কি আমরা তাইলে ভুইলা যামু! সেনাবাহিনী যে এই দেশে একের পর এক রাজনৈতিক হত্যা কইরা দেশের গণতান্ত্রিক সম্ভাবনারে পিছাইয়া দিছে বহু যূগ...তা কি আমাগো বিস্মৃত হইতে হইবো!?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩০১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৭

রাতমজুর বলেছেন:
আমাদের সেনাবাহিনী না ঘরের না ঘাটের, দোষটা কাদের? কেন নয় সমালোচনা?

১/১১ এর পরে ব্লগে কম গালি খায়নি আর্মি।

বিডিআর ঘটনার সময় প্রথম দিনে মিডিয়ার সাথে সাথেই আর্মিকেও ধুয়ে ছেড়েছে ব্লগারেরা। অবশ্য পরদিনই হাওয়া বদলে যেতেই ব্লগাররাও পাল্টি দিতে কম যায়নি।

সেদিন, তুরাগে বাসডুবিতেও উদ্ধারে দেরী হওয়াতে বেশ কপচানো হয়েছে ব্যার্থতা।


চট্টগ্রাম বন্দরের আর্মি কন্ট্রোল আজকে বাহবা দিচ্ছেন অথচ সেই সময়ই আর্মির ধোলাই খাওয়া সিভিলিয়ানদের ছবিও পোষ্ট হয়েছে ব্লগে, দাবী এসেছে আর্মিকে সামলাতে, এমন দাবীও এসেছে আর্মীর প্রয়োজন নেই!


আর্মির সরকারী প্রজেক্ট নয়, তবু আর্মিকে ব্যাবহার করা হয়েছে এমন ঘটনাতে আর্মীর সমালোচনা করাতে আজকে সবাই জান লড়িয়ে দিচছেন, কেউ সোজা বলেই বসছেন আর্মির বিরুদ্ধে কিছু শুনতেই চান না!

অথচ আর্মির কলজের ভেতরে থাকি এমন কয়েকজন সেই পোষ্টে ভদ্রতার সাথেই আলোচনা করছি আর্মিকে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাবহার রোধ করতে।

উদ্দেশ্যটা কি এই বিশেষ শ্রেনীর ব্লগারদের?

আর্মিকে মিডিয়াতে পঁচানো হচ্ছে বড়সড় কয়েকজন ডেভলপারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নক্সায়। সেটা থামাতে গিয়ে আমাদের কখনোই আর্মির অপব্যাবহার সমর্থন করা যাবে না।

কারন? প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সিভিলিয়ানের প্রান বাঁচানো সবকাজে যাদের ওপরেই ভরসা করে থাকতে হয়, তাদের নিরপেক্ষ রাখাটা অতি জরুরী।

Click This Link

৩০২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২১

হেডস্যার বলেছেন: এই আগ্রাসনের কপালে ঝাটার বাড়ি। X(( X(( X((

৩০৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২৩

চয়ন কান্তি বলেছেন: একটা গরিব দেশের এত বড় হাতি পালার কি দরকার? কাজ করে না, মরে না আর অবসরে ঢাকার দামি জায়গায় জমির আবদার করে! মামার বাড়ির আবদার। দেশের আর কোন সরকারি চাকুরিজীবী এসব আবদার করে? আমাদের তো শত্রুই নেই, দরকার কি এসব গরু ছাগল পালার? ভারতের জুজু দেখায় আর কতদিন? যে ভারত আমাদেরকে দেশ দিল সে কেন আমাদের মারতে আসবে? আজব!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫০

দিনমজুর বলেছেন: জনাব চয়ন কান্তি, ভারত আমাদেরকে দেশ দিল বলে কি বোঝাতে চাইলে? রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতা, কারো কাছ থেইকা লিল্লা তো পাই নাই, তাই না। সেনাবাহিনীর এলিটিসিজম নিয়া আপানার ক্ষোভ খুবই প্রাসংগিক কিন্তু এর মধ্যে ভারত আসল কোত্থেকে?

৩০৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩০

Saifan বলেছেন: When war will break out,you will save your life and they will come ahead with their brightest chest.But at the same time your chest will pump with your heart. yes no one is above criticism . You wrote express your despise to our brave army.Whole army is not corrupted .So your article losted its attraction.Think such a way ,One man is stand still for giving his life for his country ,dont you offer him enough inspiration ? Or will you give him just few money ,like your monthly salary? when i saw few lines of your article i thought it was from ISI or .......Bro why you people always think negative?

৩০৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৪

রাতমজুর বলেছেন: @চয়ন, আপনার মন্তব্য চুড়ান্ত আপত্তিকর।

৩০৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৭

সাইফুর বলেছেন: পাপ ..তাহা সেনাবাহিনি করিলেও পাপই হয়। স্টিকি করার সাহসের জন্য সামুকে অভিনন্দন

৩০৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪০

Saifan বলেছেন: @চয়ন কান্তি ::: India ? Why not myanmer? Why not another country? Ok stop countries invasion ,when disaster or diseases break out which institution gonna take control this type situation?Look Singapore is smaller than dhaka but they also have army and modern one too.Its your hearts bit you cant move without one pulse of it..I think you should learn about army and their working plan.They not just fight.Your post is more funny than writers article ........ :> :> :> :>

৩০৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৩

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: Thanks

৩০৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৩

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: Thanks

৩১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৪

সাইফুর বলেছেন: চয়ন কান্তি@ ইন্ডিয়ার দালালী না করি। আপনে কোন দেশে থাকেন?
আমাদের গরীব দেশে আমরা হাতি পালি বা যাই পালি আমাদের ইচ্ছা।

সেনাবাহিনী কিন্তু আমাদের সম্পদ

৩১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৪

রাতমজুর বলেছেন: @ চয়ন, আপনার মন্তব্য চুড়ান্ত আপত্তিজনক, ভারত দেশ দিলো মানে? লড়ে নেওয়া হয়েছে এই মাটি আর স্বাধীনতা, ভারত শুধুই একজন সাহায্যকারী। আপনি রাজাকারের চেয়ে কম কিসে?

৩১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৮

নীল_পদ্ম বলেছেন: দুই চারটা আর্মিকে পুড়াইয়া দিল না কেন গ্রামবাসী।

(অবশ্য ১/১১ এর মত সময় আসলে, ওরা যতদিন থাকবে ততদিন ব্লগিং বাদ :P )

৩১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৮

লড়াকু বলেছেন: +

যা বুঝলাম ব্লগারদের একটা বড় অংশই অবৈধ সুবিধাভোগী। তাই তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে কেবল আর্মির গুণগান বর্ণনা করে যাচ্ছেন।

৩১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫০

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: রাতমজুর বলেছেন: তাদের নিরপেক্ষ রাখাটা অতি জরুরী।


সহমত

৩১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: চয়ন কান্তি বলেছেন: ... যে ভারত আমাদেরকে দেশ দিল সে কেন আমাদের মারতে আসবে? আজব!

এবার ভরতের দেয়া দেশ ভারতের হাতে বুঝিয়ে দেন, এখুনি, এক্ষুণি... দারুণ সময় যাচ্ছে (২১২-৫৯ ভোটে এগিয়ে আছেন! সময় গেলে সাধন হবে না!!)... নিতে আসার জন্য নেমন্তন্ন করেন...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৪

দিনমজুর বলেছেন: ২১২ ভোট চয়নকান্তির কথাকে সমর্থন করেনা এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন। চয়নের ভারত বিষয়ক বক্তব্য আমরাও চরম আপত্তিকর মনে করি।

৩১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০১

গৌতম রায় বলেছেন: এই পোস্ট শেয়ার না করা অন্যায়।

৩১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৭

গোলন্দাজ বলেছেন: অরাজনৈতিক বলেছেন: কেউ কেউ সেনা বাহিনীর সুনাম করতে গিয়ে দূর্যোগে সহায়তার কথা বলেন অথচ এ কাজের জন্য তারা কন্টিজেন্সি বিল পেয়ে থাকেন তা উল্লেখ করেননি। ওনারা বিনা পয়সায় খাটেন না!

:-B :-B :-B

৩১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রাতমজুর বলেছেন: @চয়ন, আপনার মন্তব্য চুড়ান্ত আপত্তিকর।

৩১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৯

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++

৩২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১২

লড়াকু বলেছেন: চয়ন কান্তির রিভার্স কমেন্ট দেখে বিভ্রান্ত হবার কিছু নাই।

৩২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১২

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: রাতমজুর বলেছেন: @চয়ন, আপনার মন্তব্য চুড়ান্ত আপত্তিকর। X((

৩২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৬

দিনমজুর বলেছেন: পিপলস আর্মি প্রসংগে

অ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের পদ থেকে তাহেরকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের পুরো বিগ্রেডের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হলে- তাহের 'পিপলস আর্মি'র মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। কুমিল্লা বিগ্রেডের দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জিয়া- তাকে মেজর জেনারেল ও উপ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দিয়ে বদলি করা হয় ঢাকায়। জিয়া চলে গেলে তাহের পুরো বিগ্রেডের দায়িত্ব নেন এবং খোল নালচে পালটে ফেলেন বিগ্রেডের।

পুরো বিগ্রেডকে ফল ইন করে তিনি বলেন: "ক্যান্টনমেন্টে বসে শুধু পিটি, প্যারেড আর ভলিবল, ফুটবল খেললে চলবে না, মানুষের ভেতরে গিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে"।

তিনি দায়িত্ব ভাগ করে দেন। বিগ্রেডের এডুকেশন কোরকে নির্দেশ দেন গ্রামে গিয়ে প্রাইমারী স্কুল আর বয়স্ক শিক্ষার অনানুষ্ঠানিক স্কুল খুলতে। মেডিকেল কোরকে তিনি বলেন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা জ্ঞান দিতে। উৎসাহে সৈনিকরা মিলে সব নেমে পড়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশের গ্রামে।

অন্য সিপাইদের তাহের লাগিয়ে দেন ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশের পতিত জমিগুলোতে চাষ করতে। কাছেই কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা বোর্ড। সেখান থেকে চাষাবাদ বিষয়ে নানা বই জোগাড় করা হয়। তাহের সব অফিসারদেরও বাধ্য করেন সকালে ক্ষেতে কাজ করতে।তারা সবাই তখন কৃষক। লাঙ্গল কোদাল নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েন এক পাহীন বিগ্রেড কমাণ্ডার তাহেরও। ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশে লাগানো হয় প্রচুর আনারস, লেবু গাছ, সেই সংগে শাল আর সেগুন গাছ। সবার মধ্যেই বেশ একটা উদ্দীপনা দেখা দেয়। ময়নামতি পাহাড়ি ঢালুতে আড়াই লাখ আনারস আবাদ করেন বিগ্রেড সৈনিকরা, আনারস বিক্রি করে ক্যান্টনমেন্টের আয়ও হয় প্রচুর। তাহের তার বিগ্রেডের প্রতীক করেন লাঙ্গল।

তাহের বলেন, "যুদ্ধের সময় অফিসার, সিপাইরা কি দুর্দান্তভাবে মিশে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আর যুদ্ধের পর তারা যেন হয়ে গেছে দুই পৃথিবীর বাসিন্দা। আমি এই দূরত্বটা ঘুচিয়ে দিতে চাই"।

আশেপাশের গ্রামে যেসব মেয়েরা যুদ্ধের সময় ধর্ষিতা হয়েছেন, যাদের স্বামী মারা গেছেন তাদের জন্য ক্যান্টনমেন্টের বাইরে তাঁবু টেনে থাকার ব্যবস্হা করা হয়েছিল। তাদের সেলাই শেখানো হয়। শেখানো হয় নানা কুটির শিল্প। ঐ মেয়েদের বানানো কাপড় এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়েই উদ্বোধন হয় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের পাশের খাদি দোকানগুলো, যা আজো দাঁড়িয়ে আছে।

তাহের সিপাই আর অফিসারদের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেবারও নানা উদ্যোগ নেন। অফিসারদের নিজস্ব ক্লাব থাকলেও সিপাইদের বিনোদনের কোন ব্যবস্থা ছিল না তখন। তাহের সিপাই আর অফিসারদের পরিবার মিলে যৌথ পিকনিকের ব্যবস্থা করেন। সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এমনটি আর ঘটেনি কখনো। সিপাইদের স্ত্রীদের জন্য করা হয় ক্লাবের ব্যবস্থা। সেখানে সিপাইদের স্ত্রীদের পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেন তাহের ও অন্যান্য অফিসারদের স্ত্রীরা। সিপাই, অফিসার মিলে আয়োজন করেন বিচিত্রা অনুষ্ঠান।

অফিসারদের নিয়ে বসেন তাহের। তাদের বলেন, "আমাদের আর্মির হিস্ট্রিকে তোমাদের ক্রিটিক্যালি দেখতে হবে। পাকিস্তান আর্মি যাদের নিয়ে তৈরী হয়েছিল এরা তো সব ব্রিটিশ আর্মিরই লোকজন। ব্রিটিশদের চাকরি করতো পরে পাকিস্তান হওয়াতে তারাই হয়েছে পাকিস্তান আর্মি। ব্রিটিশ আর্মিতে যে ইণ্ডিয়ানরা চাকরি করত, হোয়াট ওয়াজ দেয়ার রোল? ওরা ছিল একটা ভাড়াটে বাহিনী। লোকাল আপরাইজিংগুলোকে ঠেকানোর জন্য এই আর্মিকে ব্যবহার করা হতো। ঐ বাহিনীকে তারা লেলিয়ে দিয়েছিল সিরাজদৌল্লার বিরুদ্ধে, টিপু সুলতান- বাহাদুর শাহ জাফরের বিরুদ্ধে। ইণ্ডিয়ার সোলজার, অফিসার দেশের মানুষের বিদ্রোহগুলোর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। এরা ছিল স্রেফ ব্রিটিশদের তাবেদার, ঠেঙ্গার বাহিনী। পাকিস্তান আর্মি তো ঐ ধরণের ব্রিটিশ ভাড়াটে বাহিনীরই কন্টিনিউশন। তাদের মাইণ্ড সেটটাও তো তাই, শুধু কারো না কারো তাবেদারি করা আর ঠেঙ্গানো।

কিন্তু আমরা বাংলাদেশ আর্মি তো গড়ে তুলেছি একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আমরা কেন ঐ লেগাসি ক্যারি করব? আর্মি এদেশের মানুষ দিয়েই তৈরি কিন্তু এই অর্গানাইজেশনটাকে সমাজের সবরকম কাজকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা আছে সবসময়। আর্মির লোকের সাথে সাধারণ মানুষের মেলামেশার কোন সুযোগ নেই। এতে করে একটা এলিটিস্ট মানসিকতা তৈরি হয়। যেন আর্মির কাজ হচ্ছে দেশের মানুষের উপর খবরদারি করা। এটা একটা তাবেদার আর্মির এজেণ্ডা হতে পারে। বাংলাদেশ আর্মির মাইন্ড সেটটা এমন হবে কেন- যার জন্ম হয়েছে একটা জনযুদ্ধের মধ্যে।
আমাদের আর্মিকে হতে হবে পিপলস আর্মি"।


তাহেরের আশা ছিল- তার এই মডেল পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিগ্রেডগুলোতেও অনুসরণ করা হবে। কিন্তু সেটা হয় না। তাকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। মানতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগই করেন।

Click This Link
তথ্যসূত্রঃ
"ক্রাচের কর্ণেল"- শাহাদুজ্জামান

৩২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৬

প্রলেতারিয়েত বলেছেন: আহা বেশ বেশ। পোস্ট স্টিকি হইচ্ছে? সামনের একুশে পদকটা হলে হত না?

আসেন এক কাম করি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কি দর্কার। এইটা বিদ্যাশে রফতানী কইররা আর বিডিয়ার "বিদ্রোহের" নাম কইরা বাকি গুলারে শুয়ায় দেই। আরেকটাও হয় যেই আর্মি অফিসার গুলা পাঠা হইতে রাজি হেগো বিচি কাইট্টা শামী কাবাব বানাই কি কন? রাতমজুর কন আল্লাহু আকবার, সামু মডুরা কন নারায়ে তাকবীর।

৩২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৯

প্রলেতারিয়েত বলেছেন: থুক্কু দিনমজুর :)

৩২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২০

জামাল ভাস্কর বলেছেন: চয়ন কান্তি এবং ক্ষতিগ্রস্থ দুইজনের পাল্টাপাল্টি কমেন্টরেই আপত্তিকর মনে হইলো...

৩২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৬

রবিনহুড বলেছেন: দিনমজুর এর এই পোষ্টের বিষয় বস্তু নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমার আপত্তি পোষ্টটা ষ্টিকি করা নিয়ে।

কথা হলো দেশ মাতার অনেকগুলো সন্তানের মত একটি হলো জনগন অপরটি হলো সেনাবাহিনী।

একই মায়ে দুটি সন্তানের মাঝে ভূল বোঝাবোঝি বা মারামারি যেটাই বলেন সেটা মায়ের কাছে আপন সন্তানের দৃষ্টিতেই বিচার হয়। আমি সেই ভাবেই ঘটনাটাকে দেখতে চাই।

সেনাবাহিনী ভূল করেছে, অপরাধ করছে... সেটা নিয়ে বিচার চাওয়া যেতেই পারে... সেটা শাস্তির দাবি ন্যায় সঙ্গত .... কথা হলো সেই বিচার চাওয়ার কথা নিয়ে পোষ্ট ষ্টিকি হবে কেন? এই পোষ্টের মূল বিষয়বস্তুটা কি? পোষ্টে যে কথাটা বলতে চাওয় হচ্ছে সেটা হলো... সেনাবাহিনী কেন ব্যবসা করতে এসছে, আর তারা ব্যবসার করতে এসে অপরাধ করছে....
এই বিষয় বস্তু নিয়েই আমার আপত্তি.... সেনাবাহিনী কোথায় ব্যবসা করতে আসল?
এটা কেমন করে সেনাবাহিনীর ব্যবসা...
বংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকান্ড তো পরিচালিত হয় অর্থ বরাদ্ধ হয় সরকার থেকে।

কেউ কি প্রমান দিতে পারবেন, উক্ত প্রোজেক্টের অর্থের উৎস কি প্রতিরক্ষা বিভাগ বা সরাকার থেকে আসত?
কখনই আসত না...

এটা তো আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের একটা অংশ যার সাথে আর্মির অফিশিয়াল কোন সম্পর্ক নেই। এটা আর্মির জন্য সরকারী কোন কর্মকান্ড নয়।
আর্মিরও চাইলে দেশের আরো ১০টা নাগরিকের মত ব্যবসা করার অধিকার রাখে না। এটা যারা করে তার আর্মি থেকে আসা কিছু লোকজন... তবে এটা বাংলাদেশ সরকার কতৃক আর্মি পরিচালিত কর্মকান্ডের সাথে কিছু পার্থক্য আছে।

সেই কারনে এই ধরনের কর্মকান্ডকে সরাসরি আর্মি কর্ম বলে দোষ চাপানোর কোন সুযোগ নেই। আলোচ্য পোষ্টে সেটাই প্রমানের চেষ্টা করছে।


একজন সেনা সদস্য যখন অফিস শেষে তার মুদি দোকানে বসবেন সেটা কিন্তু তার ব্যক্তিগত ব্যবসা। সেটার দায় দায়িত্ব আর্মির উপর বর্তায় না। এই কথাটা বোঝা দরকার।


যাই হোক।
১/১১ এ তো সেনাবাহিনী অপরাধ করেছিলো... তখন কত প্রতিবাদ এসছিলো.. তখন তো কোন পোষ্ট ষ্টিকি হয় নাই... আজ কেন সেনাবাহিনীর অপরাধের কাহিনী নিয়ে পোষ্ট ষ্টিকি হলো?

দিনমজুর আর্মির যে কোন কাজ নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন, তাতে আমার আপত্তি নেই। কথা হলো সেই সমালোচনা নিয়ে সামুর এত মাথা ব্যাথা কেন?
দিনমজুর দেখিয়েছেন আর্মি কোথায় অপরাধ করেছে, কোথায় তাদের ভূল। তার দাবি অপরাধীদের শাস্তি চাই....
ব্যক্তিগত ভাবে দিনমজুর আর্মির কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। তাই বলে প্রাতিষ্ঠানিক সামু কেনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করল?
এই পোষ্ট থেকে আমারা কি পাচ্ছি? কতগুলো প্রশ্ন ও... সমালোচনা.... সেনাবাহিনী কেন ব্যবসা করবে? সেনাবাহিনী কোন ব্যবসা বানিজ্যে জরিয়ৈ যাচ্ছে?... এটা তার ব্যক্তিগত অবিমত, তার ব্যক্তিগত মতাদর্শ।
তাই বলে সেই ব্যক্তিগত মাতদর্শ নিয়ে সামু কেন মাতামাতি করা শুরু করল?
এটা বোঝা দরকার...

একই মায়ের দুই সন্তানের বিরোধ নিয়ে সামুর এত মাথা ব্যাথা কেন সেটা বুঝতে হলে একটু পেছনে তাকাতে হবে।

সামুর ভূমিকা হলে আওয়ামিলীগ পন্থী। আজ আওয়ামিলীগ চায় সেনাবাহিনীকে জনগনের বিপরীতে দাড়াতে। আর সেই মিশন সফল করতে সামুও সেনাবাহিনী বিরুধী পোষ্টকে ষ্টিকি করছে...
এটাই হলো ষ্টিকি করার পেছনের রহস্য।

৩২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩২

রবিনহুড বলেছেন: দিনমজুরের এই পোষ্টে রুপগন্জের অপরাধ বাদেও সেনাবাহিনীর ব্যবসা নিয়েও বিষেদগার কার হয়েছে....
প্রশ্ন হলো সেনাবাহিনীর উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোতে কারা চাকরি করছে? এই প্রতিষ্ঠান গুলোর আয় কি এই দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে না?
সেই প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মচারী কারা? সবাই তো এই দেশের জনগন... উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে কার উপকৃত হচ্ছে?
উত্তর এই দেশের জনগন....

তা হলে প্রশ্ন হলো এই জনগনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে কি সেনাবাহিনী কি অপরাধ করল কিভাবে? এই দেশের জিডিপিতে অবদার রাখাটা কি সেনাবাহিনীর অপরাধ?

উক্ত প্রশ্নের উত্তর একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

৩২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন:
সামু কর্তৃপকে ধন্যবাদ এই রকম একটা সাহসী পোস্টকে স্টিকি করার জন্য। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্য দেখলাম। অনেক দালালিও দেখলাম। অনেকের মন্তব্যে পরিষ্কার বোঝা যায়, তারা সেনাবাহিনীর সদস্য বা সুবিধাভোগী বা দালাল।

যাগগে, আমার সামান্য কয়েকটা প্রশ্ন :
০১. সেনাবাহিনী রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দিয়েছিল । তারা কি আইনত এমন কোন প্রতিষ্ঠান যারা জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দিতে পারে ? যদি পারে, কোন আইনের বলে পারে ? যদি না পারে, তবে কেন ওরা এই অন্যায্য কাজটি করেছিল ? তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
আমি নিজে যা বুঝেছি, সেটা হল তারা সাব রেজিস্ট্রি বন্ধ করতে পারে না। ওটা তারা উর্দির জোর খাটিয়ে করেছে এবং অবৈধভাবেই করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হল, যে কোন মূল্যে ওই অঞ্চলের মানুষকে তাদের কাছে পানির দরে জমি বেচতে বাধ্য করা। মনোপলি ব্যবসা আর কাকে বলে !!!
০২. তারা উর্দি পরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বসে ছিল । ওটা কি তাদের দায়িত্ব নাকি অন্যায্য কাজ ? তারা কেন কোন সিভিল অফিসের দায়িত্বে বাধা দেবে ? রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমরাও তো কোন সরকারী অফিসের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারি না । তাহলে ওরা কোন ক্ষমতাবলে এই কাজটি করে গেলেন দিনের পর দিন ? কেবল এই অপকর্মের জন্য তাদের বিচার করা উচিত।
০৩. কেউ জমি বিক্রি করতে না চাইতেই পারে। তার জন্য এলাকাবাসীকে সেনাবাহিনীর লোকজন দালালদের মাধ্যমে হুমকি দিল কেন ? আবার কেউ যে কোন কারো কাছে জমি বিক্রি করতে পারে। কিন্তু নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি কেবল সেনাবাহিনীর কাছে বেচতে বাধ্য করার আইন সেনাবাহিনী কোথায় পেল ?
০৪. ওটা একটা হাউজিং প্রকল্প। কোন সরকারী বাহিনী এইভাবে হাউজিং প্রকল্প করতে পারে কিনা ? সেটা কি তাদের কাজ কিনা ? তাদের কেন মনে হল, তাদের দায়িত্ব হাউজিং প্রকল্প করা ? তারা কি টাকা দিয়ে অন্য কোন হাউজিং প্রকল্পে জমি কিনতে পারেন না ? নাকি তাদের আলাদা প্রকল্প তৈরি করতেই হবে ? তাদের কেন আলাদা প্রকল্প লাগবে ? কোন আইনের বলে তারা এই রকম হাউজিং প্রকল্প করছে ?
০৫. তাদের নিজের হাউজিং প্রকল্প করার কাজে তারা ব্যবহার করছিল তাদের নিজস্ব উর্দি পরা লোকবল। যারা নিয়োগ পেয়েছে দেশ রক্ষার নামে, যারা নিয়োগ পেয়েছে দেশের মানুষের সেবা করার জন্য, যারা নিয়োগ পেয়েছে দেশপ্রেম বিক্রি করে পেট চালানোর জন্য, তারা নিজের উর্দি ব্যবহার করে ভূমিদস্যুতায় নেমেছে। অন্য ভূমিদস্যুদের রাষ্ট্রকে ব্যবহার করার জন্য অনেক কিছু ম্যানেজ করতে হয়েছে। আর সেনাবাহিনী অন্য ভূমিদস্যুদের মতোই দালাল ম্যানেজ করেছে। তারা উর্দির প্রভাব ব্যবহার করে ওই অন্যায্য কাজটি হালাল করতে চেয়েছে। এমনকি যখন জনরোষে তারা পালিয়েছে, তখনও তারা জনগণের পয়সায় কেনা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেই পালিয়েছে। জনগণ কি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য এই সব সরঞ্জাম তাদের হাতে তুলে দিয়েছে ?
০৬. সেনাবাহিনীর সব কিছু কেন আলাদা এবং আলিশান লাগে ? তাদের স্কুল কলেজ আলাদা ও আলিশান। তাদের হাসপাতাল আলাদা ও আলিশান। তাদের বাসা বাড়ি আলাদা ও আলিশান। এমনকি তারা অবসরে গেলেও আলাদা অভিজাত হাউজিং সোসাইটি লাগে। তারা কি এমন কিছু হয়ে গেল যে, তাদের নীল রক্তের সম্মান রক্ষার জন্য দেশের মানুষের রক্ত ঘাম জল করা সম্পদ তাদের ভোগ করতে দিতে হবে ? তারা কি আমাদের দেশের কৃষক মজুরের সন্তান নয় ?
০৭. তারা এমন নীল রক্তের মানুষ যাদের অবসরে যাওয়ার পরও বিত্ত বৈভবের নেশা কাটে না। তাদের কর্পোরেট বাণিজ্যে না গেলে পোষায় না। তাইতো তারা কেবল তাদের কল্যাণের কথা ভেবেই নানা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। অথচ তারা যখন মিলিটারি সার্ভিসে যোগ দেয়, তখন দেশপ্রেমের শপথ নেয়, দেশরক্ষার শপথ নেয়, কিন্তু বাস্তবে কেবল বিত্ত বৈভবই তাদের টার্গেট হয়।
০৮. আর তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই জনগণকে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দেয়। যেন তারা মানের গোটা রাষ্ট্র। যেন রাষ্ট্রের আর কোন প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের জন্য কিছুই করে না। যেন তারাই রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি পালন করে। যেন তারাই রাষ্টটাকে রক্ষা করে চলেছে। তারা আমাদের দয়া করে এই রাষ্ট্রে থাকতে দিয়েছে এমন একটা ভাব। তাই ত তারা আমাদের সম্বোধন করে ব্লাডি সিভিলিয়ান।

আরো অনেক কথাই লেখা যায়। কিন্তু লাভ কী ? কৃষক মজুরের সন্তান হয়েও নিজেদের নীল রক্তের বলে গর্ব করা এই সব মানুষের আচরণ কি কোন দিনও বদলাবে ?


স্যালুট রূপগঞ্জবাসী।



২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৮

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই আপনরা চমৎকার "লেখাজোকা"র জন্য। এই প্রশ্নগুলা তোলা ভীষণ জরুরী।

৩২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৬

অকপট পোলা বলেছেন: সামু কর্তৃপকে ধন্যবাদ এই রকম একটা সাহসী পোস্টকে স্টিকি করার জন্য।

৩৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৮

অকপট পোলা বলেছেন: লেখাজোকা শামীম ভাইকে ধন্যবাদ পয়েন্টগুলো তুলে ধরা ও সামারীর জন্য।

৩৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৮

তামজীদ বলেছেন: পোষ্টে সপাটে প্লাস, আর চয়নকে সপাটে লাত্থি। সারা জীবন বাংলার খেয়ে, আর বছরে দুইবার কলকাতায় গিয়া ভারত কি তা খুব বুঝে গেছো না?? তোমার কথায় অবাক হবার কিছু নাই, কারন এই কথাই বাংলাদেশের অজস্র হিন্দুর মনে কথা, এই নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই বান্দা ৪ বছর ৮ মাস ভারতে কাটায় এসেছে। বাংলাদেশ নিয়ে তোমার কলকাতার দাদা-দিদি বা এমন কি সদূর দক্ষিণের মানুষের কি ধারণা তা জানতে বাকি নাই। তোমাদের ধারণা বাংলাকে ভারতই মুক্ত করেছে, আর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা তাইনা??? তবে শুনে রাখো বাংলাদেশের জন্যে ভারতের এগিয়ে আসা ছিলো শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। সে সুযোগ না পাবার কারনেই তোমাদের আজ মুখভারি। তোমার এই বলদা মার্কা মন্ত্যবের জন্য আজ ৩০ লাখ শহীদ আজ না জানি কত কষ্ট পেল। মনে হচ্ছে তোমাকে এক লাত্থি দিয়া বর্ডার পার করে দেই। (কমেন্টে তুমি ব্যবহার করা হলেও, সেটা তুই হবে!)

৩৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

ঢাকাই জোয়ান বলেছেন: তামজীদ বলেছেন: পোষ্টে সপাটে প্লাস, আর চয়নকে সপাটে লাত্থি। সারা জীবন বাংলার খেয়ে, আর বছরে দুইবার কলকাতায় গিয়া ভারত কি তা খুব বুঝে গেছো না?? তোমার কথায় অবাক হবার কিছু নাই, কারন এই কথাই বাংলাদেশের অজস্র হিন্দুর মনে কথা, এই নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই বান্দা ৪ বছর ৮ মাস ভারতে কাটায় এসেছে। বাংলাদেশ নিয়ে তোমার কলকাতার দাদা-দিদি বা এমন কি সদূর দক্ষিণের মানুষের কি ধারণা তা জানতে বাকি নাই। তোমাদের ধারণা বাংলাকে ভারতই মুক্ত করেছে, আর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা তাইনা??? তবে শুনে রাখো বাংলাদেশের জন্যে ভারতের এগিয়ে আসা ছিলো শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। সে সুযোগ না পাবার কারনেই তোমাদের আজ মুখভারি। তোমার এই বলদা মার্কা মন্ত্যবের জন্য আজ ৩০ লাখ শহীদ আজ না জানি কত কষ্ট পেল। মনে হচ্ছে তোমাকে এক লাত্থি দিয়া বর্ডার পার করে দেই। (কমেন্টে তুমি ব্যবহার করা হলেও, সেটা তুই হবে!)

৩৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

অকপট পোলা বলেছেন: চয়ন কান্তি বলেছেন: যে ভারত আমাদেরকে দেশ দিল সে কেন আমাদের মারতে আসবে? আজব!

চয়ন শুয়োরের বাচ্চা ভারত তোরে দেশ দিসে? ইতরের বাচ্চা ভারত যা। দেখ ঐখানে তুই বাংলাদেশী শুইনা ওরা কি বিহেভ করে!

৩৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৯

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

গতরাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পোস্ট স্টিকি করতে সামুর অভিভাবকরা ভয় পাবে । খানিকটা দেরিতে হলেও সেই সন্দেহ সঠিক না , তারা প্রমাণ করেছেন । তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।





"পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, প্রসাশন বলছে, সকল গ্রামবাসীকে হয়রানি করা হবেনা, কেবল প্রকৃত অপরাধীদেরই নাকি শাস্তি দেয়া হবে। প্রকৃত অপরাধীদের যদি শাস্তি দিতে হয় তাহলে সেনা প্রশাসনের যেসব ব্যাক্তি এই ভূমি দস্যুতার সাথে যুক্ত ছিল, যেসব দালাল তাদের হয়ে লোকজনকে চাপ দিয়েছে-- তাদের কেই শাস্তি দিতে হবে। একজন সাধারণ গ্রামবাসীকেও হয়রানি করা যাবে না।

পত্রিকায় এসেছে, এ প্রকল্প নাকি ছোট করা হবে। আমরা প্রকল্প ছোট করা নয়, এরকম জোর-জুলুমের প্রকল্প বাতিল করার দাবী জানাই এবং এর মধ্যে দিয়ে সকল ভূমি-দস্যুতা বন্ধ এবং সারা দেশের সকল দখলকৃত ভূমি বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবী করছি।"




দিনমজুর, আপনাদের এই বক্তব্যের সঙ্গে পূর্ণ সহমত ।

৩৩৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০২

এবং আব্দুল্লাহ বলেছেন: অকপট পোলা বলেছেন: চয়ন কান্তি বলেছেন: যে ভারত আমাদেরকে দেশ দিল সে কেন আমাদের মারতে আসবে? আজব!

চয়ন শুয়োরের বাচ্চা ভারত তোরে দেশ দিসে? ইতরের বাচ্চা ভারত যা। দেখ ঐখানে তুই বাংলাদেশী শুইনা ওরা কি বিহেভ করে!

৩৩৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৪

পি মুন্সী বলেছেন: ১। এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু সেনাবিদ্বেষী কাজ করেছে এই কথা বলাটা কোন সুযোগ নাই। বরং কিছু সেনা সদস্যের ভুমিদস্যুতা কাজের কারণে সেনাবাহিনীর যে বদনাম হয়েছে সে বিষয়কে কিভাবে দ্রুত আড়াল করা যায় তার একটা চেষ্টা এটা। কিছু সদস্য যে আকাম করেছে এই সত্য আড়াল করে লাভ কী? বরং এখানে আমরা বিভিন্ন স্বার্থের দৃষ্টিভঙ্গীর লোক যে একসাথে একই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে পরস্পরের সাথে কথা বলতে পারছি, ভাবনা শেয়ার করতে পারছি - এতো এক বিশাল সুযোগ। একটা বিষয়ে আমি আমার খুবই ভাল লাগছে যে সবাই গালাগাল বাদ দিয়ে চিন্তার সামর্থ অনুযায়ী কথা বলে যাচ্ছে, অন্যেরটা শুনছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে সামু সঠিকভাবে নিজের ভুমিকা উপলব্দি করতে পেরেছে সেটা হলো সবাইকে কথা বলার জায়গা করে দেয়া, মুখোমুখি হয়ে এক ডায়লগে লিপ্ত হওয়া। এটাই মিডিয়া হিসাবে ব্লগের মৌলিক ভুমিকা। এটা ঠিক যে শুরু করার জন্য কারও না কারও একটা পোষ্ট তো হতেই হবে। এতে যেমন রিডার ওয়ান উনি যে সমান তালে বিশাল সময় দিয়ে পালটা নিজের পয়েন্ট লিখে যাচ্ছেন তাতে তার কোন বাধা অসুবিধা হচ্ছে বলে তো মনে হচ্ছে না। আমরা তাঁর কথা মানি আর নাই মানি তাঁর কথা ভাবনাগুলো সমাজের কারও না কারও কথা। সেগুলো তাঁর মাধ্যমে এখানে হাজির পাচ্ছি। ধৈর্য ও অধ্যাবসায়ের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। যার যা ন্যায্য যুক্তি, চিন্তার ক্ষমতা আছে তা এই ওপেন আসরে এসে গেলে ভয় পাবার কোন কারণ দেখি না। আমাদের সবাইকে বিপরীত চিন্তাকে মোকাবিলা করার মুরোদ দেখিয়েই একমাত্র টিকে থাকতে পারি। একটা রেজুলেশন ফলাফলে পৌছাতে পারি।
ফলে সামুর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন ভিত্তি আমি দেখি না। সামু একটা সামাজিক তর্কবিতর্ককে সবার নজরে আনার কাজটা করেছে। কাঊকে বাধা দেয়া, একচেটিয়া কাউকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া এর ধারে কাছে সে আছে এমনটা আমি দেখছি না। ঠিক এটাই ব্লগ মিডিয়ার ভুমিকা হওয়া উচিত।
যারা কোন কারণে এনিয়ে সমাজে কোন তর্কবিতর্কই চাচ্ছেন না তারাই সামুকে দুষছেন। আমার মনে হয়না আমরা তাদেরকে জায়গা করে দিতে পারি।

৩৩৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৪

নীল ভোমরা বলেছেন:
এদেশের সেনাবাহিনী সবসময় গাছেরটাও খেয়েছে, আবার তলারটাও কুড়িয়েছে! হয় নিজেরাই রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে, নয় ক্ষমতাসীন দল তাদের মাথায় তেল ঢেলেছে..... তাই আজ এই অবস্থা!

৩৩৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১৩

টেলি সামাদ বলেছেন: সামুরে চুম্মাহ।

যেই সমস্ত ছাগু খা পোরা লাফাইতেছে সামু তাদের তালিকা তৈরী করুক।

লাইত্থ্যা দেশ থেকে শুয়ার খেদানো হঊক।

৩৩৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২০

এক্স বলেছেন: সামুর কাছে কুইচ্চেন - আর কত টাকার পাবলিসিটি হলে এই সেনাবিরোধী একপেশে পোস্ট স্টিকি থেকে নামবে?

৩৪০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২৬

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

একটা দুঃখ আর শেষ হলো না, এই ব্লগে তৃণভোজীর সংখ্যা আর কমলো না !

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন-অপ্রয়োজন ভিন্ন বিতর্ক ।

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নাই সেটা বলতে চাইনা, কিন্তু সেনাবাহিনী বেদ, বাইবেল কুরআন না, যে তাগো সমালোচনা করা যায়বো না । আদতে বেদ, বাইবেল , কুরানের সমালোচনাও এখন হরদমই হচ্ছে ।

সেনাবাহিনী যদি জবর দখল করে ভূমুদস্যু হয়, সেটা কি বলা যাবে না ?

সেনাবাহিনীর সদস্য যদি ধর্ষক হয় তা মুখে আনলে কি ঈমান যায়বো !

সেনাবাহিনীকে যারা সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করেন, তারা এইটা একটু মনে কইরেন যে, যুদ্ধ লগলে একা সেনাবাহিনী যুদ্ধ করবোনা । সাধারণ মানুষও প্রাণ বিলায়া দিবো । আর সেইসব সাধারণ মানুষের সহযোগীতা ছাড়া সেনাবাহিনী যতো শক্তিমানই হোক, কোন কাজ হইবো না ।

৩৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩০

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বাঙালি একটা জাত! তারা নিজের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করে, তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বিকৃত আনন্দ লাভ করে। এবং সর্বোপরি তারা নিজের দেশের পশ্চাৎদেশ মেরে বিমল আনন্দ পায়। বিশ্বে এইরকম উদাহরণ দ্বিতীয়টি নেই।

এই লেখা একপেশে, উস্কানিমূলক। এই লেখা স্টিকি করার নিন্দা জানাচ্ছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রতিক আর জনগণ হলো সার্বভৌমত্বের উৎস। প্রতীক যদি তার উৎসের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন তার সমালোচনা হবেই। এরমধ্যে উস্কানি খোজার কিছু নাই।

৩৪২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩০

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার আগে একটা কথা দশবার ভাববেন। বর্তমান নাজুক আইন শৃংখলা পরিস্থিতিতে দেশের উচ্ছৃংখল গোষ্টি পুলিশকে বিন্দুমাত্র ভয় পায়না। কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে।

কিন্তু সেনাবাহিনীকে দেশের আপামর জনগন যেভাবে সমঝে চলে সেটা যদি উঠৈ যায় অর্থাৎ সেনাবাহিনীকে যদি ভয় না করে তাহলে দেশের সঙকটময় পরিস্থিতি তে সেনা মোতায়েন করেও লাভ হবেনা।
তারা তখন সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। আর এধরণের ঘটনা যদি দেশব্যাপী ঘটতে থাকে তাহলে একসময় দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার কি হাল হবে ভেবে দেখেছেন?

হয়তো দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে নয়তো সেনাশাসন জারি করা হবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৭

দিনমজুর বলেছেন: আপনি আবার অযথা সেনাশাসনের হুমকি দিচ্ছেন কেন ভাই?

৩৪৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩৩

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: Valo kotha suntesi !!
there is no need of army !!
Bangladesh is not a country so why do we need a ARMY ?? BD is just a part of INDIA or MYANMAR or PAKISTAN :) :)
Why people tries to prove themselves as a wiseman !!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪২

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের প্রশ্নটা সেনাবাহিনী আদৌ থাকবে কি থাকবে না, সেইটা নিয়া না, প্রশ্ন হইল সেইটা কিরূপে থাকবে,ক্ষমতা কাঠামোয় সেনাবাহিনীর অবস্থান কি, জনগণের সাথে তার সম্পর্ক কি আছে এবং কি হতে পারে এই সব নিয়ে।

৩৪৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩৯

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মাইনাস দিতে মনে ছিল না। দেশবিরোধী এই একপেশে পোস্ট স্টিকি থেকে অবিলম্বে সরানোর দাবি জানাচ্ছি।

৩৪৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৩

জামাল ভাস্কর বলেছেন: @ফিউশন ফাইভ:

সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক কেমনে হইলো সেইটা একটু শুনাইবেন?

আমি তো মনে করি বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সবসময় নির্যাতন আর দমন-পীড়নের প্রতীক হইছে। ২০০৭ সালের ফেইক দুর্নীতি দমনের অভিযান তাগো দুর্নীতির প্রতীক হিসাবেও প্রতিষ্ঠিত কইরা ফেলতে পারতো, যদি আর কিছু দিন বেশি স্থায়ী হইতো তাগো ছদ্ম শাসনের কাল।

৩৪৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৪

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: আমি ঠিক লুকাল ঠগের উল্টাটা করলাম। অর্থাৎ সচেতনভাবে প্লাস দিলাম।

৩৪৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৯

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

দর্শক সারীতে বইসা পূর্ণ আমোদ পায়তে শুরু করছি ।

৩৪৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০১

পি মুন্সী বলেছেন: দিনমজুরের সমাজতন্ত্র, অনুৎপাদনশীল-উৎপাদনশীল, মালিকানাভিত্তিক সমাজতন্ত্রবোধ বা রাষ্ট্রিয় মালিকানা সব সমস্যার সমাধান ইত্যাদি এগুলো নিয়ে প্রসঙ্গ তুলার জায়গা এটা নয়। অন্য কোথাও অন্য সময়ে সেগুলো নিয়ে কথা বলা যাবে।

তবে আপনার অনুৎপাদনশীল-উৎপাদনশীল কথায় একটা ছোট্ট স্মৃতি মনে পড়ল সেটা শেয়ার করি। আমি তখন ক্লাস টেনে। এক মফস্বল শহরের আমি ইংরাজী শিখার কসরতের মধ্যে আছি। ইতোমধ্যে শুনে ফেলেছি ওআমলের কথা, ইন্টারমিডিয়েট পড়তে হয় ইংলিশ মিডিয়ায়, সেভয়ও কাজ করে। তাই ইংরাজী খবরের কাগজ পড়া সাব্যস্ত করেছিলাম। একদিন বাজার থেকে কাগজ কিনে বাসায় ফেরার পথে বাবার হাতে ধরা পড়লাম। বাবা ভীষণ বকুনি দিয়ে বলল ওসব কাগজটাগজ বাদ দিয়ে স্কুলের পড়ার বই পড়। এতে আমি নিজেকে ডিফেন্ড করে কোন জবাব দিতে পারিনি। ইংরাজী খবরের কাগজের সাথে স্কুলের পড়ার বই এর সম্পর্ক কী, ভাষায় নিজেকে প্রকাশের দক্ষতা কেন জরুরী আমি আজও বলতে পারিনি। পাঠকের বুঝবার জন্য বলে রাখি আমার বাবা ১৯৪৭ সালে বৃটিশ আর্মি থেকে রিটায়ার্ড করা লোক। আমার বাবার পর থেকে আমাদের চোদ্দগুষ্ঠি এক নতুন জেনারেশনে আধুনিক দুনিয়ায় প্রবেশ পদার্পন করেছিল - এর গৌরব, অবদান সবসময় নিজের মধ্যে টের পাই। সেজন্য বাবাকে সালাম জানাই। আমার বাবার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই, কারণ বাবার সাথে কারো সম্পর্ক অভিযোগের এটা হতে পারে না।
কিন্তু ইংরাজী খবরের কাগজের সাথে স্কুলের পড়ার বই এর সম্পর্ক কী? এখানে কোনটা অনুৎপাদনশীল? কোনটা আমাকে অনুৎপাদন করেছিল? বাবাকে যে জবাব দিতে পারিনি পাঠক আপনাদেরকে কিভাবে দেই?
তবে দেখেছি, মানুষের জীবনে ধানচালও লাগে আবার সেনাবাহিনী-সশস্ত্রতাও লাগে, এমনকি চিন্তা-ভজনার জন্য আল্লাহ ভগবান ধরণেরও কিছু একটা লাগে।
আমাদের প্রাণ কী কেবল জৈবিক, জীবসর্বস্ব অথবা পেটসর্বস্ব? মানুষ কেন সন্তান উৎপাদন করে - এটা কী অনুৎপাদনশীল নাকি উৎপাদনশীল উৎপাদন? নাকি কিছুই না, স্রেফ এক জৈবিক তাড়নার ফসল ফলাফল আমরা সবাই একেকজন।
বুঝতে পারছি, দিনমজুর, আপনার সাথে ভাবতে বসতে হবে। জানতে হবে সেসব।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:১৫

দিনমজুর বলেছেন: ঠিকাছে। ধন্যবাদ।

৩৪৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৩

কার্টুন বলেছেন: ব্লগে চিল্লায়া বিদ্বেষ ছড়ানোর লেইগা তরে পেলাস দিলাম । আমিও তুমার লগে লাল সালামে শরীক হইলাম। "বি ডি আর- রূপগঞ্জবাসী-জনতা-বিপ্লবী ব্লগার ভাই ভাই, সেনাদের শোগা মারতে চাই।" এই দ্যাশের ইতিহাস থেইক্যা ধোনের আর্মিগো নাম মুইছা হালামু আমরা, কি কও দুস্ত ? আমাগো দ্যাশটারে টিকাইয়্যা রাকচে তো বীর্যবান রাজনীতিবিদরাই, তাই না ? হ্যারাইতো আমাগো কান্দে কান্ধা মিলাইয়া যুদ্দ কইরা দ্যাশটা স্বাদীন করল মিয়াবাই, তাই না ? আর কুনো বাঙ্গালীর বাইচ্চা যাতে তাগোর বাষ্টার্ড পুলারে চাল-ডাল-ত্রাণ এইসব বাল ছাল বিতরণের লেইগ্যা আর্মিতে না পাডায় সবাই চলেন হেইডা নিচ্চিত করি, কি কন বস ?

৩৫০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:১১

কার্টুন বলেছেন: ব্লগে চিল্লায়া বিদ্বেষ ছড়ানোর লেইগা তরে পেলাস দিলাম । আমিও তুমার লগে লাল সালামে শরীক হইলাম। "বি ডি আর- রূপগঞ্জবাসী-জনতা-বিপ্লবী ব্লগার ভাই ভাই, সেনাদের শোগা মারতে চাই।" এই দ্যাশের ইতিহাস থেইক্যা ধোনের আর্মিগো নাম মুইছা হালামু আমরা, কি কও দুস্ত ? আমাগো দ্যাশটারে টিকাইয়্যা রাকচে তো বীর্যবান রাজনীতিবিদরাই, তাই না ? হ্যারাইতো আমাগো কান্দে কান্ধা মিলাইয়া যুদ্দ কইরা দ্যাশটা স্বাদীন করল মিয়াবাই, তাই না ? আমাগো বারতের লাহান হওন লাগব । বারতের মতো কাচিম কামু আর সেনাগোরে হ্যাগো্র নডী বানামু। আর কুনো বাঙ্গালীর বাইচ্চা যাতে তাগোর বাষ্টার্ড পুলারে চাল-ডাল-ত্রাণ এইসব বাল ছাল বিতরণের লেইগ্যা আর্মিতে না পাডায় সবাই চলেন হেইডা নিচ্চিত করি, কি কন বস ?

৩৫১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:১৩

১৬ই ফেব্রুয়ারী বলেছেন: Click This Link

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২১

দিনমজুর বলেছেন: আমাদের পোষ্টের স্যাটায়ার করার একটি চেষ্টা! হবে হবে! চালায়া যান।

৩৫২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৯

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

একটা দুঃখ আর শেষ হলো না, এই ব্লগে তৃণভোজীর সংখ্যা আর কমলো না !

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন-অপ্রয়োজন ভিন্ন বিতর্ক ।

সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নাই সেটা বলতে চাইনা, কিন্তু সেনাবাহিনী বেদ, বাইবেল কুরআন না, যে তাগো সমালোচনা করা যায়বো না । আদতে বেদ, বাইবেল , কুরানের সমালোচনাও এখন হরদমই হচ্ছে ।

সেনাবাহিনী যদি জবর দখল করে ভূমুদস্যু হয়, সেটা কি বলা যাবে না ?

সেনাবাহিনীর সদস্য যদি ধর্ষক হয় তা মুখে আনলে কি ঈমান যায়বো !

সেনাবাহিনীকে যারা সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করেন, তারা এইটা একটু মনে কইরেন যে, যুদ্ধ লগলে একা সেনাবাহিনী যুদ্ধ করবোনা । সাধারণ মানুষও প্রাণ বিলায়া দিবো । আর সেইসব সাধারণ মানুষের সহযোগীতা ছাড়া সেনাবাহিনী যতো শক্তিমানই হোক, কোন কাজ হইবো না ।


Good Point


৩৫৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
জামাল ভাস্কর @

ঢালাও মন্তব্যে আপনার দেখার চোখ পুরোপুরি নেতিবাচক, বোঝাই যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের সেনাবাহিনী আপনার কাছে 'নির্যাতন আর দমন-পীড়নের প্রতীক' রূপে ধরা পড়াটাই স্বাভাবিক। ভাই রে, এক এরশাদের উদাহরণ টেনে টেনে আর কতো সেনাবাহিনী বিদ্বেষ? ২০০৭ সালের উদাহরণ টানছেন। আপনার কি মনে নেই, দলমতনির্বিশেষে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক অবিশ্বাস্য অভিযান চালিয়ে এই সেনাবাহিনী ঝাঁকুনি দিয়েছিল পুরো দেশকেই? অথচ আপনি সেটাকে বলছেন 'ফেইক দুর্নীতি দমনের অভিযান'। তিন যুগেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ যে প্রকৃতই এক অসামান্য ও নির্ভুল ভোটার তালিকা হাতে পেল, তার পুরো কৃতিত্ব এই সেনাবাহিনীরই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহযোগী হিসেবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও তাদের বিরুদ্ধে পুকুরচুরির অভিযোগ ওঠেনি। আমরা দেখেছি, কী সচেতনভাবে তারা সংবরণ করেছে ক্ষমতার দুর্দমনীয় লোভ। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এর চেয়ে বড়ো কৃতিত্ব আর কী হতে পারে? অথচ, কী অদ্ভূত, বারবার তাদের দিকেই ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে অবিশ্বাসের তীর। দিনের পর দিন চলছে মিথ্যা প্রচারণা। কুৎসা। হ্যাঁ, কখনো কখনো দু একটি ক্ষেত্রে বিচ্যূতি ঘটেছে ঠিক, কিন্তু সেটা তো অস্বাভাবিক কিছু না।

এই যে এই পোস্টটায় সেনাবাহিনী পরিচালিত যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কুৎসা রটানোর চেষ্টা হয়েছে, সবগুলো প্রতিষ্ঠানই প্রশ্নাতীতভাবে সফল। তাহলে কুৎসা কেন, অপপ্রচার কেন? সেনাবাহিনীর সাফল্যে এই গা জ্বলুনি কেন রে ভাস্কর ভাই?

৩৫৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৭

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
কার্টুন, যখন কীবোর্ড চালায়া টাইপ করতে জানে, আর কথা কয়বার পারে, এমনকি জনতার ভীরে দৃশ্যমান হয়, তখন সেইটা এনিমেটেড হইলেও , তার ভিতরে সিস্টেম যেইরম করা হইছে, সে সেইমতেই কয়বো, তাতে আর আশ্চর্য কি !

৩৫৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪০

হরিসূধন বলেছেন:
বাংলাদেশে কোন সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নাই! অনেকের কথায় বুঝলাম।

বামপন্হিরা সব সময় একটু বেশী বুঝে কিন্তু কামের সময় গান্জা টানে আর ভাব ধরে, ইহা তাদের জন্মগত সমস্যা।

সেনাবাহিনী দেশ জাতির প্রতীক নয় তবে শেখ এবং জিয়া পরিবার দেশ জাতী এবং স্বাধীনতার প্রতীক।

নিজ দেশের গোয়ান্দা সংস্হার হয়ে কাজ করা 'দালালী" হয়ে যায়! সরকার দলীয় সাধারন সম্পাদকের ভাষন অনুসারে। শুধু প্রশ্ন জাগে সেই কার দালাল। দেশ প্রেমিক নেতার বীর্য থেকে যে দেশপ্রেমি ছানাপোনার জন্ম হবে তা চিন্তা করা ও ঠিক নয়। লেবাসে হৈতে পারে আর তাই হলো আমাদের আশ্রাফেরা।

৩৫৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪৬

ইউনুস খান বলেছেন: ইউনুস খান বলেছেন: মাইনাস। বড় এক পেশে পোস্ট। যে পোস্টে পড়লে এ দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা সেটাই প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে যায়।

সেনাবাহিনীর অপকর্মগুলোর বিরোধিতা আমরা করতে পারি। ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।

এরকম একপেশে বক্তব্যওয়ালা পোস্ট কেমনে স্টিকি হয়!!!!!!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

লেখক বলেছেন: আমাদের প্রশ্নটা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কি নাই সেইটা নিয়া না, আমাদের প্রশ্ন সেনাবাহিনী কি রূপে থাকবে সেইটা নিয়া-- অর্থাত সেনাবাহিনী কি জনগণের পক্ষের কোন বাহিনী হিসেবে থাকবে নাকি ফৌজি বাণিজ্য করতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাড়িয়ে যাবে সেটা নিয়ে।

কিন্তু আপনার পোস্টের প্রতিটি লাইনে লাইনে সেনাবাহিনীর উপর বিদ্বেষ ছড়ানো। আবার কিছু সুশীল ব্লগার মন্তব্যে সরাসরি বলছে সেনাবাহিনীর দরকার নাই। কই আপনেতো সেগুলোর প্রতিবাদও করছেন না। বরং আপনে মন্তব্যেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেই লিখে যাচ্ছেন। তাতে কি প্রমাণ হয়?

৩৫৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৮

আশীফ এন্তাজ রবি বলেছেন: আপাতত গ্যালারিতে বইলাম।

৩৫৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৪

জাস্টিস মেকার্স বাংলাদেশ বলেছেন: এতোদিনে BAL সরকার প্রমান করার সুযোগ পেয়েছে যে শুধু BNP ই সেনাবাহিনীর বন্ধু নয়, তারাও সেনাবাহিনীর পরম বন্ধু । সেজন্য শুধু রূপগঞ্জ নয়, দেশে এরকম আরো ভুমিগ্রাস, পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে এরকম আরো লাশ উপহার দিতে থাকবে.......just wait and see................

৩৫৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৭

সচল জাহিদ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। একটি সাহায্য দরকার।

আপনার পোষ্টে এই প্রকল্পের যে ম্যাপ দেয়া আছে সেটি ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি ব্লগ থেকে নেয়া যার ওয়েব এড্ড্রেস AHS এর একটি সরকারী নথিতে উল্লেখ আছে। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটও অথেনটিক। সম্প্রতি এই সাইটটি ডিলিট করা হয়েছে যা আপনি লেখায়ও উল্লেখ করেছেন। আপনি গুগুল ক্যাশ ব্যব্যহার করে তা পুনরুদ্ধার করেছেন এবং ছবিটি এখানে দিয়েছেন।

এটি একটি ভয়াবহ ম্যাপ কারন এর সাথে ড্যাপ প্রসংগ জড়িত। আমি ড্যাপ নিয়ে বেশ পড়াশোনা করেছি এবং সচলায়তনে দুটি লেখা দিয়েছিলাম। আপনার লেখায় একজন মন্তব্যকারী ( রোহান) তা উল্লেখ করেছেন।

আপনি কি অনুগ্রহ করে ডিলিট হয়ে যাওয়া সাইটটির দুই একটি স্ক্রীন শট দিতে পারেন আমাকে ? এই যেমন ধরেন একটি হচ্ছে ম্যাপ সহ স্ক্রীন শট আরেকটি মূল পেইজের।

আমি এই ইস্যু এবং ড্যাপ নিয়ে একটি লেখার কাজ শুরু করেছি।

আমার সাথে যোগাযোগের ঠিকানাঃ [email protected]

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

দিনমজুর বলেছেন: ভীষণ দু:খিত নেটে ছিলাম না বলে সময় মতো সাড়া দিতে পারিনি।

তবে ইতোমধ্যেই আপনি ব্লগার শয়তান এর মারফত লিংকটি পেয়ে গেছেন দেখে স্বস্তি পেলাম।

আপনি যদি ahsbd.wordpress.com লিখে সার্চ দেন তাহলে নীচের গুগুল পেজটি পাবেন যেখান থেকে একটা একটা করে সাইটটির সমস্ত পেজই আপনি দেখবে পাবেন।


Click This Link

ড্যাপ নিয়ে আপনার লেখালেখি ও আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। আর সচলায়তনে টিপাইমুখ বাধ ও তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে আপনার লেখা খুব ভাল লেগছে।

৩৬০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৯

রাখালছেলে বলেছেন: শালাদের হাতে অনেক অনেক টাকা । দুইটা বছর দেশ চালাইছে আর দেশে দেশে তো মিশন তো আছেই । এত টাকার গরম তো দেখাইবোই । কথায় আছে না অর্থই অনর্থের মুল । এরপর কি যে করে কে জানে কারন তেনারা সব কিছুই করতে পারে ।

৩৬১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২১

সচল জাহিদ বলেছেন: আগের মন্তব্যে লেখা হয়নি বলে এখানে দিলামঃ

ড্যাপ নিয়ে লেখাটি সামুতেও আছে এই লিঙ্কে

৩৬২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৮

শয়তান বলেছেন: AHS এর পিকাসা এখনো এলাইভ @ সচল জাহিদ ।

কিছু ইমেজ এখনো আছে এখানে ।

৩৬৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৩৫

রোহান বলেছেন: পোষ্টে জাহিদ ভাইকে দেখে ভালো লাগলো...এমনিতেই আমরা একদিকে ড্যাপ এর কথা বলে গলা ফাটাচ্ছি আবার আরেকদিকে সেই ড্যাপের অভ্যন্তরে ব্যাঙের ছাতার মতো আবাসন ব্যবস্থার আগ্রাসন দেখেও না দেখার ভান করছি...মড়ার উপরে খড়ার ঘাঁ হিসাবে আবার রাজউকের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর আগেই সেনা সদস্যরা এক হাজার বিঘা জমি কিনে নেবার কাজ ক্যাম্প বসিয়ে শুরু করে দিলো...এক বন্ধুর সাথে আবাসন মেলায় গিয়েছিলাম, খুব সম্ভবত পূর্বাচল হিল ভিউ নামের একটা প্রজেক্ট ড্যাপের ভেতরে, বললাম ভাই রাজউকের অনুমোদন লাগবে তো। বলে আরে ভাই আমাদের এইটা অনেক উঁচু জায়গা, পূর্বাচল যখন দিছে রাজউক এইটা না দিয়া পারবে না... বোঝেন অবস্থা... এখন এইসব আবাসন ব্যবসায়ীদের গলার জোর আরও বাড়বে, পাবলিকরে রেফারেন্সে যে খোদ আর্মি হাউজিং স্কিমের চিত্র দেখাবেনা তার গ্যারান্টি আছে...

@লেখক: চয়ন কান্তি কিন্তু রিভার্স নিক...

@ফিফা: খালি এরশাদই কেনো, আমাদের ইতিহাসের প্রায় অর্ধেকটাই তো জলপাই শাসনে কাটলো তাই না...

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫২

দিনমজুর বলেছেন: @ রোহান, আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৬৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৩৬

সচল জাহিদ বলেছেন: ছবিগুলোর লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ @ শয়তান

আসলে স্ক্রীন শট দরকার এর অথেন্টিসিটি আরো বাড়ানোর জন্য। গুগুল ক্যাশ থেকে স্ক্রীন শট পাওয়া গেলে তা এই ম্যাপের সপক্ষে আরো জোড়ালো অবস্থান এনে দিবে। কারন অন্য কোন সুত্র থেকেই এই প্রকল্পের কোন ম্যাপ পাওয়া যাচ্ছেনা। ম্যাপটির অথেন্টিসিটি প্রবল হলে এর সাথে ড্যাপকে সংস্লিষ্ট করা যাবে সহজেই।

আবারো ধন্যবাদ।

৩৬৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৪০

শাহেরীন বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের প্রায় সবক'টা দশের মত বাংলাদেশেও আর্মি নির্ভর সরকার বিরাজমান...(কিন্তু, আর্মি শাসিত নয়)...আর্মি কিং মেকারদের প্রিয়তম জাতি...তাই সরকারগুলো ক্ষমতার লোভে সব সময় আর্মি, তথা কিং মেকারদের তোয়াজ করেই চলে...আর এখানে প্রথম সাড়ির (সার্কুলেশন অনুযায়ী) সবক'টা নিউজ মিডিয়া কোন রকম দ্বায়বদ্ধতা ছাড়াই শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মিডিয়াকে ব্যবহার করে, আর্মির তলা না চাটলে তো আর তাদের ব্যবসা হবে না...!!!
প্রথম সাড়িতে প্রথমে থাকা যারা বদলে যাওয়ার শ্লোগানের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে বিরাজনীতিকীকরণ করে কিং মেকারদের সহায়তা করে থাকেন, তাদের সম্পাদকের পৈত্রিক নিবাসের (যেখানে তিনি নিজে ৭/৮তলায় বসবাস করেন) রাজউক প্রাপ্ত অনুমোদন হলো ৬তলার, কিন্তু তা ৩তলা বৃদ্ধি করে ৯তলা করা হয়েছে, কী সুন্দর বদলে যাওয়া!!!
রাষ্ট্র একটা নিপীড়ক যন্ত্র, আর আর্মি তার ঢাল স্বরুপ...

৩৬৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৫৮

চাটুকার বলেছেন:

আমাদের দেশের মানুষ সাধারনত ১. কথাররাজা ২. ভাবের রাজা ৩. পোপের চেয়ে ও বড় মাপের খ্রীষ্টান টাইপের মানুষ।

চাষাভূষা মানুষদের যারা ঘৃণা করে তারা-ই আপন স্বার্থের সময় কৃষক শ্রমিকের নেতা অথবা সে ভাবনায় মিড়িয়াতে ভাব ফলায়। যাই হোক জীবনে অনেক বামপন্হি আমপন্হিদের দেখেছি রাজপথে অথবা মিড়িয়ার অলিগলিতে যারা সাম্রাজ্যবাদের ধোঁয়া তুলতো বেসন সিগারেটে টান মেরে। তাদের ছেলে মেয়েরা পশ্চিমের আধুনিকতায় এখন বাম না প্রগতি চর্চা করিতেছে।

উপরের এই ৩ ধরনের মানুষের সাথে কথা বলে কোন লাভ নাই। এরা একেক সময় একেকটার পিছে লাগে কিন্তু শেষ পরিনতির সময় তাদের লেন্জাটা খুজে পাওয়া যায় না! কারন টা কি? কারনটা হচ্ছে এরা শুধু প্রচারনা এবং উস্কানি দিয়ে শুরুটা করে দেয় তারপরে নিরবে সরে যায়.... আবার সময় সুযোগ মতো ফিরে আসে বিপ্লবী হয়ে।

৩৬৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:০৩

হাসান মোহাম্মাদ বলেছেন: আপনে এই টা কি লেখলেন ভাই?? বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।

৩৬৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:০৯

মনজুরুল হক বলেছেন:

নতুন করে ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই। অগণিত মানুষের বুকের ভেতরকার চাপা ব্যাথা কারো না কারো কলমের ডগা কিঙবা কী-বোর্ড হয়ে বেরুনোর কথা। এটাই সময়ের দাবি। দিনমজুর কেবল সেই দাবিটুকুই মিটিয়েছেন। তাই তাকে এবং তাদেরকে স্যালুট।

সব কমেন্ট পড়ার সময় হলো না। তবে ত০ এবং ৩৬ আর তাদের কন্টিন্যুয়েশনগুলো পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে।

সামহয়্যারইন কে অকুণ্ঠ অভিনন্দন। একটা ব্লগ সাইট যখন সাধারণের অব্যক্ত দাবির প্রতিক হয়ে ওঠে, যখন হাজার হাজার নিপীড়িত মানুষের মুখপাত্র হয়ে ওঠে তখন তাদের কেবল সাহসী বললে কম বলা হয়। এক্ষেত্রে সামহয়্যারইন সেই কাজটিই করেছে যা এদেশের কোটি কোটি টাকার সম্মিলিত প্রিন্ট বা ইলেকট্রিক মিডিয়া করেনি, করার মত সাহসও সঞ্চয় করতে পারেনি। বরং আইএসপিআর এর আগমনের অপেক্ষায় ফাস্ট এডিশন দেরি করে ছেড়েছে!
এই পোস্ট নিয়ে অনেকে জল ঘোলা করায় ব্রতী হবেন, অনেকে একে বিভেদসৃষ্টিকারি বলে তিরষ্কারও করবেন। কিন্তু তারা কিছুতেই ভাবতে চাইবেন না যে সব মিলিয়ে লাখ পাঁচেক উর্দিধারী লোকের (৫X৫ = ২৫) লাখ সিভিলিয়ান আত্মিয় আছে, যাদের কেউ না কেউ এখানেও লেখালেখি করেন। এ বিষয়ে পরে বলব।

দিনমজুরের এই পোস্টের যে অংশটুকু গোটা পোস্টের ধমনী সেটা এই.....

"বাংলাদেশ আর্মি এখন স্রেফ একটা প্রথাগত সামরিক প্রতিষ্ঠান না, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ান আর্মির মতো এইটা এখন একটা বৃহত মিলিটারি কর্পোরেশন। ফলে আর্মি কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের আচরণ করছে এবং কেন করছে, এ বিষয়টা বুঝতে গেলে আর্মিকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা বৃহত পুজির একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমলে না নিলে ভুল হবে।"

এই কথাগুলো ভালভাবে অনুধাবন করা দরকার। এটাই আসল।

আর্মি ইটসেলফ একটি নিয়ম নীতি দ্বারা বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যারা ইচ্ছে করলেই যা খুশি করতে পারেন না। যেমন তারা সিভিল ড্রেসে রেজিস্ট্রি অফিসে বসে এই জমি যেন আর কারো কাছে না বেঁচতে পারে সে জন্য তদারকি করেছেন এবং এক পর্যায়ে রেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। রেজিস্টাররা সেটা স্বীকার করলেও পরদিন বলেছে.....না না এসব কিছু হয়নি!

এবার পাক আর্মি বিষয়ে একটা চরণ..... পাক আর্মিতে খুব জনপ্রিয় প্রবচন ছিল;

" ওয়াতন কওমকি, কওম তুমলোগ। হামলোগ কওমকি রাখেওয়াল, রাখেওয়াল কওম হ্যায়"।

এই পোস্ট অন্তত ১৫ দিন স্টিকি রাখার দাবি জানাচ্ছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৪

দিনমজুর বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্য ও সমর্থের জন্য ধন্যবাদ।

৩৬৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১৪

Saifan বলেছেন: I support Mr X,Mr jia.Here maximum people have no relatives in army i believe,including me.I just want to say one things because of one stupid incident in rupgonj ,because of few officer dont blame one organization .Few peoples said we should not have army,few just washed them with their intelligent(?) but absurd opinion.Who ever heat ours army,and said they got huge salary for their job,i just asked them please first learn how much other countries armies soldiers get .We are poor country but even though except few officer, our soldiers situation is not so good.They always looking for mission.So people we are citizen of one poor countries,son of poor mother its our bad luck,but we can improve our mindset we should not have poor mentality.Because this word"poor" is not any more expected for our mother.Few peoples comment suggest that we are not only financially poor,our mentality also poor.We are malicious about our brothers salary,its suggest we are still a poor nation. I am saying again that our soldiers are live very miserable life.Stop just blame ,because of few officers decision army is not corrupted.Despise to samu for sticky such a controversial subject.

৩৭০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১৬

আরেফ রিওনেন বলেছেন: অনবদ্য ++++++++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৭১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:২৬

রামন বলেছেন: আমার মতে হাতেগোনা দু-চারজন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদের অপকর্মের জন্য যেমন ঢালাও ভাবে সকল রাজনীতিক এবং দলকে দোষী সাভ্যস্ত করা যায় না তেমনি গুটি কয়েক সেনাবাহিনীর অফিসারের লিপ্সা ও উচ্চাভিলাষী মনোভাবের জন্য গোটা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার সৃষ্টি করাও সমিচীন হবেনা। তবে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কতৃপক্ষের উচিত এ ধরনের স্পর্শকাতর ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা এবং দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে সেনাআইনে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া। তাতেই দেশ এবং জাতির জন্য মঙ্গল। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

৩৭২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৪৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: রামন বলেছেন: আমার মতে হাতেগোনা দু-চারজন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদের অপকর্মের জন্য যেমন ঢালাও ভাবে সকল রাজনীতিক এবং দলকে দোষী সাভ্যস্ত করা যায় না তেমনি গুটি কয়েক সেনাবাহিনীর অফিসারের লিপ্সা ও উচ্চাভিলাষী মনোভাবের জন্য গোটা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার সৃষ্টি করাও সমিচীন হবেনা। তবে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কতৃপক্ষের উচিত এ ধরনের স্পর্শকাতর ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা এবং দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে সেনাআইনে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া। তাতেই দেশ এবং জাতির জন্য মঙ্গল। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

হা হা হা হা................ আমি তো দু-চারজন ভাল রাজনীতিবিদ খুইজা পাইতাছি না :( কম বেশি সবাই অপকর্মের সাথে জড়িত।
পত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে দু-চারটা খুনের সাথে জড়িত নেই এমন রাজনীতিবিদ পাওয়া দুষ্কর।

৩৭৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:১৩

রাজর্ষী বলেছেন: একটা জলপাই জোকস ,

" গ্রামবাসীদের সাথে ধস্তাধস্তিতে কয়েক রাউন্ড গুলি বের হয়ে যায় " :-B হাহাহাহা।


এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এভাবে জালপাই ব্যাবসা চলতে থাকলে আরেক বিডিআর ঘটনা দেখতে হবে জনগনের।

৩৭৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩২

শুভ্র নামের ছেলে বলেছেন: প্লাস, তথ্যের সাথে সুত্র উল্লেখ করার জন্য।

ব্লগকে ব্রাভো এই সাবজেক্টের একটা পোস্টকে স্টীকি করার সাহসের জন্য

৩৭৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৪২

অরণ্যদেব বলেছেন: সার্টিফাইড গেলমানগো খোচাখুচিতে এই পোস্ট স্টিকি থিকা সইরা গেলে বুঝতে হইব গেলমানগো পা চাটার বড়ই মজাদার। ইতিমইধ্যে আর্মি সার্টিফাইড গেলমানের ডজন ডজন নিক মাঠে নামছে।

জয় সামু।

৩৭৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:১৪

এক্স বলেছেন: এদের জ্ঞান দাও প্রভু, আর আমাদের করো মার্জনা

এদের = যারা প্রশ্ন তুলে দিন রাত লেফট রাইট করলে কত মন ধান ফলে?
আমাদের = সেই সাধারন জনগন যারা প্রতিরক্ষাবিহীন দেশে বাস করে বন্ধুপ্রতিম :( দেশের বেয়নেটের আঘাতে মরতে চায় না.

রূপগন্জের এমপি হল শেখ পরিবারের বিশেষ বন্ধু ৭৫ এ রেডক্রসের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম এর ছেলে. এই গাজী গোলামই মুজিবের আমলে ধুমিয়ে চোরাকারবারী করত, এবং তার চালানকে আটক করার অপরাধে মেজর ডালিমকে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে উঠিয়ে আনা হয়. তারপর ওই এলাকায় জমির দালালির সাথে আওয়ামীলীগ নেতারা জড়িত. এই সকল টুকরো তথ্য ছাড়া কিভাবে সবাই ঘটনাটাকে বিশ্লেষন করছে? একটা ব্যাপার মাথায় ঢুকে না বাকশালীদের ছানাপোনারা যেখানেই থাকে সেখানেই আর্মি বিদ্বেষ, বিদ্রোহ, চাল ডালে দুর্নীতি আবিষ্কার হয়. একবার আর্মি মরে তাপসের এলাকায় আবার আর্মি দাবড় খায় গাজী গোলামের পোলার এলাকায়...

যেভাবে ঘটনা গড়াচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যে হাসিনা তার গুষ্টি নিয়া বিশাল প্লান মোতাবেকই আর্মিদের বিরুদ্ধে লাগসে. তবে অবস্হা ঘুরতে টাইম লাগে না. খালেদা বুঝছে আর্মি কি চীজ, হাসিনা তো বোঝার উপরেই রইসে, এইবার বাকী থাকলো খালি সামু কর্তৃপক্ষ. আর্মি বিরোধী অপপ্রচার দিয়ে ব্লগের কাটতি বাড়ানোর অপকৌশলের ফল তাদেরকেও একসময় ভুগতে হবে.

৩৭৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:২৩

শুভ্র নামের ছেলে বলেছেন: পোস্ট স্টিকী করা নিয়ে আমারও আপত্তি, তবে এর পক্ষে বিপক্ষে জোরালো যুক্তি আছে, তবে আপনার পোস্টে যেমন প্লাস দিলাম।

পুরো বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখে দরকার, কারন আমরা যারা এখানে ওখানে কমেন্ট দিয়ে ফাটায়ে ফেলতেসি তাদের বলতে গেলে কারোই এই ধরনের বিষয় নিয়ে কমেন্ট করার মত অবস্থা নাই, খুব অল্পই আমরা জানি আর বুঝি।

আর এখানে মোটামুটি অনেকেই আর্মিতে একবার হলেও পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু চান্স পান নাই, অথবা দিবেন, অথবা প্রিলিতেই বাদ পড়েছেন, অথবা মনে মনে আর্মি অফিসার হওয়ার স্বপ্নই দেখেন।

৩৭৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৫০

নাজনীন খলিল বলেছেন: রক্ষকই যখন ভক্ষক হয় তখন জনগনের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা।
পোস্টে ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০+
স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।


চয়ন কান্তি কি আসলেই বাংলাদেশী? সন্দেহের অবকাশ আছে।কারন ওই ব্লগারকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপত্তিজনক বক্তব্য দিতে দেখেছি ।

৩৭৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৫২

বল বীর বলেছেন:

সব বুঝলাম....

রুপগন্জে সেনা ক্যাম্প করা হলো কেন? আবার চট্টগ্রাম পোর্টে কেন সেনাবাহিনীর ক্যাম্প করা হলো?

সেনাবাহিনীর কাজ দেশ রক্ষা করা বর্হি শক্তির আক্রমন থেকে তারা কেন ব্যবসা করবে? মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের সিনেমা হলে কিভাবে নীল ছবি চলতো? রাজনীতিবিদেরা কেন মন্ত্রী এমপি হয়ে নিজের অথবা পারিবারিক কোম্পানী কে রাষ্ট্রীয় বড় কাজ পাইয়ে দেয়? চেতনার নামে ব্যবসা করে? সাংবাদিকেরা কেম্নে নীতির সাংবাদিকতা করে অন্য ভূমিদূস্যদের টাকা গিলে? সেই সাংবাদিক কিভাবে এক নিকে পোষ্ট করে অন্য ৪ টা নিকে কঠিন মন্তব্য করে?

টাকা'তে সব মিলে, লুকানো যায় না পরিচয়।

৩৮০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:১৪

ঘোর বলেছেন: বুঝলাম না। সামু এই পোস্ট স্টিকি করার গ্রিন সিগনাল কই থাইকা পাইলো।

৩৮১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৪৩

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: পৃথিবীর সব রাজনীতিবিদরা কম বেশী মিথ্যাবাদী এবং বাংলাদেশেরগুলো শতভাগ মিথ্যাবাদী। এই ঘটনার পিছনে লোকাল দালাল শ্রেণীর ছোট্ট পলিটিসিয়ানদের ইন্ধন এবং বড় ইতর শ্রেণীর পলিটিসিয়ানদের উদাসীনতা দায়ী। দিনবদলের ঘোষনা দিয়ে দেশ চালাতে গিয়ে এই সব ব্যর্থতার দায় স্বীকার করছে না কেন এখন। দেশ নামক মাতৃকার সব ব্যর্থতা তাদের অদূরদর্শীতা এবং মিথ্যাচারের ফসল।

৩৮২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৪৬

ট্যামটেমি বলেছেন: আমি অতশত বুজি না বাই, তয় এইডা বুজি বাঙলাদেশের জন্য আর্মিড়া কের্মে কের্মে যেবাবে জাইকা বসতাছে, ওরা একদিন পুরা দেশডারে খাইয়া ফালাইবো, যেমনে খাইছে ডাহার অর্ধেকডারে। রাজদানীর পরাণকেন্দ্রে ক্যান্টনমেন্ট আর সেই কেন্টনমেন্টের মদ্যি দিয়া আমার দেশের সাদারণ মানুষের চলাচলে যে খি বোগান্তি যারা যাতায়াত করে তারা জানে। দুইদিন পরপর বালছালের এক একটা নিয়ম বানায় যাতে পাবলিকের বোগান্তি বাড়ে। শুয়ারের বাচাচগুলারে লাত্থাইয়া সুজা করন উচিৎ।

৩৮৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৫৭

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: পুলিশ দূর্নীতিবাজ - তাদেরকে আমরা দেখতে পারিনা, আর্মি প্রভাব খাটায় জনসমক্ষ্যে - "শুয়ারের বাচাচগুলারে লাত্থাইয়া সুজা করন উচিৎ", আর এদেরকে যারা অন্যান্য দেশের মত চালাতে পারে না তাদেরকে কি করা উচিৎ ? নষ্টা সাজেদার মত বলতে হয় - আর্মিকে এরা জনগনের মুখোখি দাড় করিয়েছে - আমি সাহারাকে বলে দিয়েছি তাদের এরেষ্ট করার জন্য।

৩৮৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:০০

নরাধম বলেছেন:

দিনমজুরকে ধন্যবাদ এমন প্রয়োজনীয় পোস্ট দেয়ার জন্য। সামুকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য। প্লাস।

৩৮৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:১৯

মোসাব্বির বলেছেন:
এখন পর্যন্ত সামুতে আমার দেখা সেরা পোষ্ট এই কারণে বলছি যে এত কম সময়ে এতগুলো মন্তব্য আমি অন্য কোন পোষ্টে দেখিনি। পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্যই এসেছে তবে একতরফা ভাবে আমি আর্মিকে দুষারোপ করার পক্ষপাতি নই। রূপগঞ্জের এই ঘটনাকে সাধারন ভূমিদস্যুদের সাথে তুলনা করে আর্মিদের পক্ষে সাফাই গাইবার কোন সুজোগ নেই। কিন্তু ব্যাপারটি কি শুধুই আর্মিদের ছিল, সরকারের কোন অংশগ্রহন ছিল না?আসুন একটু চিন্তা করি-

১। আর্মিদের কাছে রাজউক-এর কোন অণুমোদন ছিল না, রাজউক থেকে বলা হলো তারা তেমন কিছু জানেনা, সরকারী ভূমি কমিশনও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলছেনা। এই সকল সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে তারা অনুমতি নিয়েছিল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। সরকারই আর্মিদের এই সুজোগ করে দিয়েছিল তার প্রমান পাওয়া যায়।

২। স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত আর্মিদের বড় কোন অবদান আমি দেখিনা। জাতিসংঘে গিয়ে নিজেরা ফুলে ফেপে মোটাতাজা হয়েছে, সীমান্তে বি.এস.এফ এর গুলিতে বাংলাদেশী মারা যাচ্ছে আর্মিরা নিশ্চুপ, বার্মা সীমান্তে শরণার্থী আসছে আর্মিরা নিশ্চুপ, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র আগ্রসনে ব্যাস্ত আর্মিরা নিশ্চুপ, এমনকি আমিন বাজারে নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিও আর্মিরা সনাক্ত করতে পারলনা, তা সনাক্ত করল চান মিয়া নামের ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরী। আর্মি আমাদের কোন কাজে লাগছে? কেউ, কেউ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা, এটা তো তাদের এক্সট্রা রিমোনারেশন ওভার টাইমের মত এক্সট্রা ইনকাম। উপরোক্ত ক্ষেত্রে আর্মিদের ইনভলব না করা সরকারী পলিসিরই একটা অংশ বলে আমি মরে করি।

৩। রূপগঞ্জ ট্র্যাজিডি আর্মিদের মাধ্যমে পরোক্ষ ভাবে সরকারেরই একটা সিদ্ধান্ত। সরকারই তাদেরকে ক্ষমতা, বাড়ী, গাড়ী, রেশনিং সবকিছুই দিয়ে রেখেছে। এইখানে আমি আপনে তো অতি তুচ্ছ সাধারণ নাগরিক মাত্র। কথা হলো সরকার কেন তাদের এত কিছু দেয়? সহজ উত্তর, আর্মিদের ক্ষেপিয়ে ক্ষমতা নরবরে হয়ে যায়। তাই তাদের সমীহ করেই চলতে হয় এর প্রমাণ হলো ১/১১ এর পরবর্তী অবস্থা। ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন এর নেপথ্যে ক্ষমতায় ছিল মইনদ্দইন, এখনো পরোক্ষভাবে তাই চলছে। কারণ বর্তমান সরকারতো এক ধরনের সমঝোতারই ফসল। আর্মিদের যদি সব দাবীই মেনে নিতে হবে তাহলে কিসের স্বাধীন গণতন্ত্র।

৪। আমার সবচাইতে আপত্তি এই ফৌজি ব্যাবসা নিয়েই। যদিও সরকারের পরোক্ষ সহায়তায় তা পরিচালিত হচ্ছে। তারা যদি নিজেদের প্রধান দায়িত্ব ভুলে ব্যাবসায় মনোনিবেশ করে তাহলে লোভী মুনাফাখোরদের সাথে তাদের পার্থক্য কোথায়? আমিতো ঐ সকল ডাক্তার এবং শিক্ষক যারা হাসপাতালের ডিউটি রেখে ক্লিনিক ব্যাবসায় মত্ত এবং যারা স্কুল কলেজের শিক্ষকতা রেখে কোচিং ব্যাবসায় মত্ত তাদের সাথে আর্মিদের আলাদা করতে পারছি না। এই সব কিছুই চলছে কিছু স্বার্থেণ্বেষী রাজনৈতিক মহল তথা সরকারের পরোক্ষ মদদে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।

যাই হোক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদসহ প্লাস এবং ষ্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।

৩৮৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৪৬

দস্যু বনহুর বলেছেন: দিনমজুরের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং পোস্ট স্টিকি করার জন্য সামুকে ঝাজাবাদ। +++++

ডিজিএফআই এর পেইড ব্লগার (যথেষ্ট তথ্যপ্রমান আছে) ফিফার জন্য মায়াই লাগলো। বেচারা 'ওয়ান ম্যান' আর 'রিডারওয়ান' সহ অন্যান্য সব ব্যাকাপ নিক নিয়েও সুবিধা করতে পারলো না। দিনমজুরের জবাবের পরেও একই কথাবার্তা দিয়ে স্পামিং চালিয়ে যাচ্ছে। ফিফা সাহেব, আপনি বরং "রূপগঞ্জের ঘটনার সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক কি" জাতীয় শিরোনামে ৫০০লিংক সমেত সত্য-মিথ্যার মশলা বানানো একটি গরু রচনা তৈরী করুন। হিট করা জন্য আপনার নিক ফ্যাকটরি আর ব্লগের তৃণভোজীরা তো আছেই :D

নাইলে কিন্তু পেমেন্ট যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ;)

৩৮৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০৭

মনুমনু বলেছেন: পোস্টে প্লাস।
কুয়ার ব্যান্ঞ এর মত মুজিবের সরকার মনে করছে, আমিই রাজা.।!!!

৩৮৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০৮

ড. কালাম এ. মীর বলেছেন: শুধু বাংলাদেশের নয়, যে কোন দেশের শক্তিশালী দেশরক্ষা বাহীনির প্রয়োজন। বাংলাদেশের সেনাবাহীনি কতটুকু শক্তিশালী তা বিরাট প্রশ্ন! তার উপরে ২৫ ফেব্রুয়ারি তো তাদের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে, অতি উৎসাহে। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চান, তারা দুর্বল সেনাবাহীনি চাইতে পারেন না। এটা একটা স্ববিরোধী চিন্তা!

এখন দেখা যাক আমাদের সেনাবাহীনি কি করছে। এক কথায় এর উত্তর দেয়া সহজ না। তবে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমাদের সেনাবাহীনি তাদের স্বার্থকে দেশের স্বার্থের উপরে রাখছে। যার ভুরি ভুরি প্রমাণ আমরা দেখেছি। -

বাংলাদেশের রাজনীতিক, আমলা, শিক্ষক যেমন দুর্নীতির চরমে গেছে, তেমনি আমাদের সেনাবাহীনিও পিছিয়ে নেই। এটা একটা রাধাচক্র। এ চক্করের ভাঙ্গন না ধরাতে পারলে, এমনটিই চলতে থাকবে। তা করতে হলে, কোন গোষ্ঠী বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রধান উৎস তা চিহ্নিত এবং প্রতিহত করা হবে প্রথম কাজ।-

একটা আশা এই যে, এই বাংলার মানুষের সাথে বেইমানী করে কেউ পার পায় নি! ভবিষ্যতেও পাবে না।

৩৮৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:১৯

এম আই এইচ রাজন বলেছেন: রূপগঞ্জ বাসীকে লাল সালাম। আর দিন মজুর ভাইকে ধন্যবাদ দিতে পারবো না। কারন আপনাকে চাই আমার বুকের মাঝে। আপনাকে আমি স্যালুট করলাম আপনার এই সাহসী পোষ্টের জন্য।
আমি এটা জানতে চাই সেনা বাহিনীরা কি বাংলাদেশের না? ওরা কি এদেশের মা বাবার সন্তান না? ওরা কি স্বাধীন বাংলার ছেলে না? ওরা কি ভাসানী, সোহরাওয়াদি, ওসমানির দেশের ছেলে না?????????????? নাকি ভেবে নেব ওরাও পাকিদের মত এক ধরনের হিংস্র জানোয়ার......

৩৯০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২১

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: এই মহুর্তে দরকার ভারত মাতার সরকার।

পাকি জারজ আর্মি
দেশ ছাড় এখনি

সিমান্তে আছে বিএসএফ
চিন্তা আমার এবার শেষ

জয় হিন্দ

৩৯১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩২

ছোটমির্জা বলেছেন: দিন মজুর ভাই, নিজেই পোস্ট টা সরিয়ে নিন না!!
অনেক হইছে।
। । । । । ।
.............আর্নেস্ট রিকোয়েস্ট।

দোষ করার সময় নিজের ভাই-বোন কে ধোমোক দেয়া যায়, যায় চড়-থাপ্রড় মারা। কিনতু অন্যকে দিয়ে বিচার (যেহেতু -প্রশ্নটা উঠেছে) বা অন্যের সামনে বেইজ্জত না করাই ভাল।


.......... দেশের কথা ভেবেই নিজের ত্যাগটা করেন দেখি ভাই।
সেটাও দেশপ্রেম।

......অতি অবশ্যই সেনাবাহিনী খুব খরাপ কাজ করেছে।

৩৯২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৫

নেটপোকা বলেছেন: সেনাবাহিনীর মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসাপিডিয়া রচনার চলমান অপপ্রয়াস প্রসঙ্গে

৩৯৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫০

হাসানুর বলেছেন: আমরা নিজেরাইতো বেইমান, দূর্নীতিগ্রস্হ জাতী হয়ে গেছি...আর সেনা সদস্যরাতো আমরাই...তবে এই বাহীনি এখনো অতটা পঁচে যায়নি, আপনারা যা প্রমান করার চেষ্টা করছেন ।কিছু সমস্যাতো থাকবেই...তাই বলে এভাবে অপপ্রচার ! এখনো তারা অনেক শৃঙ্খল বাহীনি । শুধু সমস্যা তুলে না ধরে সমাধান সহ তুলে ধরুন...একটি শৃঙ্খল বাহীনির বিরুদ্বে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন.....নিজ অবস্হান থেকে দেশের জন্য কিছু করুন...

৩৯৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:০২

রুহুল জাকি বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন:

নতুন করে ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই। অগণিত মানুষের বুকের ভেতরকার চাপা ব্যাথা কারো না কারো কলমের ডগা কিঙবা কী-বোর্ড হয়ে বেরুনোর কথা। এটাই সময়ের দাবি। দিনমজুর কেবল সেই দাবিটুকুই মিটিয়েছেন। তাই তাকে এবং তাদেরকে স্যালুট।

ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ হউক।

৩৯৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৬

এ.জে. মিন্টু বলেছেন: রুহুল জাকি বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন: নতুন করে ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই। অগণিত মানুষের বুকের ভেতরকার চাপা ব্যাথা কারো না কারো কলমের ডগা কিঙবা কী-বোর্ড হয়ে বেরুনোর কথা। এটাই সময়ের দাবি। দিনমজুর কেবল সেই দাবিটুকুই মিটিয়েছেন। তাই তাকে এবং তাদেরকে স্যালুট। ফৌজি বাণিজ্য বন্ধ হউক।


আমি একটা ব্যপার বুঝলাম না, ছাগু সম্প্রদায় সবসময় জলপাইমামাদের পছন্দ করে ক্যান? কারো কাছে ব্যাখ্যা থাকলে জানায়েন। আমি আবার ছায়াছবি লাইনের লোক, এ বিষয়গুলো তেমন বুঝি না।

৩৯৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪২

মার্চেন্ট অফ ড্রিম বলেছেন: সুজলা সুফলা নামের মেয়েটিকে জলপাই নামের ছেলেটি বারবার রেইপ করলেও সুজলা সুফলার কোন কোন সন্তানেরা বলে, জলপাইকাকু রেইপ করলে সমস্যা কি? এই কাজ তো অনেকেই করছে।

৩৯৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১৬

জামাল ভাস্কর বলেছেন: @ফিফা:

আপনেরে একটা প্রশ্ন করছিলাম সেইটার জবাব দেন নাই।

আমার মন্তব্য যদি ঢালাও একপেশে হয় তাইলে আপনার মন্তব্যরে কি বলা যায়? আমি বাংলাদেশে জারী করা সবগুলি সামরিক শাসনই দেখছি। এই দেশে সামরিক বাহিনী যখনই ক্ষমতায় আইছে, তারা নিজেগো ত্রাতা হিসাবেই পরিচিত করতে চাইছে। সেইটা জেনারেল জিয়া, লে জে হোমো এরশাদ কিম্বা জেনারেল মঈন উ যেই'ই হোক না কেনো। কিন্তু বাঙালি জাতি সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হইছে বইলাই জানে সেনাশাসন তাগো লেইগা কখনোই সুখকর ছিলো না।

২০০৭'এর পর তারা একটা ভোটার লিস্ট করছে...একটা নির্বাচন তত্ত্বাবধান করছে। এই দুই কর্মকান্ডের বাইরে তাগো আছিলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। এইটা কইতে শেখ হাসিনা কিম্বা খালেদা জিয়ার পরিবার পরিজন পূতপবিত্র এইটা বুঝাইতেছি না। তারা সত্য সত্যই যদি দুর্নীতি দমনের অভীপ্সা নিয়া তাগো সময়কাল কাটাইতো তাইলে আর এখন কোনো রাজনৈতিক নেতারে আবার রাজনীতি করতে দেখতেন না। ঐটা যে আন্তর্জাতিক প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চালানো একটা অপারেশন সেইটা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করলেই টের পাওন যায়। এর বাইরে তারা করছে ব্যবসা। সব অবঃ'রা বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষে অবস্থান নিছে, যাগো কোনো অভিজ্ঞতা নাই। নীতি-নির্ধারণ কেবল প্রশাসন চালানো না...এইটা সেনাবাহিনীর হাটুতে বুদ্ধিওয়ালা সদস্যগো মাথায় থাকনের কথা না।

আপনে ফৌজী ব্যবসার সাফল্যের কথা কইতে চাইতেছেন। কিন্তু আমার তো মনে হয় সেইখানেও তারা মিডিওকার অবস্থানে আছে। কর্পোরেট কালচার আত্মস্থ করলেও নিজেগো অনিয়মতান্ত্রিকতা আর কামড়াকামড়ির কারনে সেনা কল্যাণ সংস্থার সব ব্যবসাই একটা জায়গায় গিয়া থাইমা গেছে।

ট্রাস্ট ব্যাংকরে জোর কইরা সামনে আননের একটা চেষ্টা দেখা যায়। কিন্তু এই ব্যাংকে ব্যাংকিং করতে গিয়া বুঝছি, ম্যানেজমেন্টের মিলিটারী আচরণ তার সার্ভিসের ক্ষেত্রেও ভালোই প্রতিফলিত হয়।

৩৯৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪৩

জানা বলেছেন:

চয়ন ভাই এবং ক্ষতিগ্রস্থ ভাই, আপনাদের দু'জনের বক্তব্যই আপত্তিকর এবং দুঃখজনক(আপনাদের নিজেদের জন্যই)!

পোস্টটি পড়েছি প্রথম দিনই তবে সমস্ত কমেন্ট পড়ার সুযোগ হলো এখন (মা'কে নিয়ে আবারও হাসপাতালে)।

আমার একটি মুগ্ধ হওয়া +(প্লাস) বা ঘৃণায় উপছে পড়া _(মাইনাস) এ এই পোস্ট বা পোস্টটি স্টিকী হওয়ার কারণের কিছুই যায়-আসে না। এ'টি একটি একপেশে বা বিদ্বেষ ছড়ানো পোস্ট হিসেবে চোখ-কান বন্ধ করে বিবেচনা করার আগে আরও খানিকটা যু্ক্তিসঙ্গত ভাবনার সুযোগ রয়েছে বলে বোধ করি।

একটি স্বাধীন ও গনতান্ত্রিক দেশে সমসাময়িক ও গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আপত্তি/বিপত্তি কোথায় বা কেনো? মত-দ্বিমত আছে বলেই তো এমন একটি খোলা যায়গায় যুক্তিযুক্ত আলোচনা-সমালোচনা করার সুযোগ আছে, সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে একটি বিষয় সমৃদ্ধ করে (পক্ষে-বিপক্ষ) জনসমক্ষে তুলে ধরার, জনমত তৈরী করার, একটি কল্যাণকর ধারনায় পৌঁছনোর। সহনশীলতার পরীক্ষায় এ,দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের কোথায় নিয়ে গেছেন এবং তার ফলাফল কত মধুর(!) তা আমাদের সবার কাছেই দিনের আলোর মত পরিষ্কার। তাই বলে নেতিবাচক/অমঙ্গলজনক বিষয়গুলো নিয়ে আর কত!

যাঁরা মনে করে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই কিংবা সেনাবাহিনীই আমাদের দুধে-ভাতে(!) রাখার জন্য... তাঁদের সাথে আমার মত একজন সাধারণ মানুষ সম্পূর্ন দ্বিমত পোষণ করে। আমরা 'সাধারণরা'ইতো এই হতভাগা দেশের প্রায় সবটা।

সেনা প্রতিষ্ঠান কলঙ্কমুক্ত রাখতে চাইলে, জনগণের কাছে বিশ্বস্ত থাকতে চাইলে সমালোচনার প্রয়োজন নেই কি?

অনেক জরুরী এবং গুরুত্বপুর্ণ মন্তব্যের পাশাপাশি ব্লগার 'বৃত্তবন্দী'র বাস্তব ও সহণশীল মন্তব্যটি লক্ষ্যনীয়:

"চেতনে হোক বা অবচেতনে সেনাবাহিনী আমাদের কাছে কিছুটা হলেও ভরসার স্থান। অন্য সব কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়লেও আমাদের ভিতর একটা ক্ষীণ স্বপ্ন কাজ করে, যেখানে আমরা সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে দেখতে ভালোবাসি। যারা দেশের সংকট মোকাবেলার শপথ নিয়ে এই বাহিনীতে যোগ দেয় তাদের কাছে থেকে অসৎ ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ দেখে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।চেতনে হোক বা অবচেতনে সেনাবাহিনী আমাদের কাছে কিছুটা হলেও ভরসার স্থান। অন্য সব কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়লেও আমাদের ভিতর একটা ক্ষীণ স্বপ্ন কাজ করে, যেখানে আমরা সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে দেখতে ভালোবাসি। যারা দেশের সংকট মোকাবেলার শপথ নিয়ে এই বাহিনীতে যোগ দেয় তাদের কাছে থেকে অসৎ ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ দেখে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।"

আমাদের হাজারও ছোট-বড় স্বপ্নভঙ্গের সাথে এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বপ্নভঙ্গ পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ ও অকল্যাণকর সময় বয়ে আনবে বৈকি।

মঙ্গল হোক এ,দেশের, আমাদের ষোলকোটি মানুষের।


৩৯৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫১

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: http://www.sachalayatan.com/mahbub/35914

৪০০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৯

রিডার ওয়ান বলেছেন:

টিআইর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১২: বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক!

৪০১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০২

প্যাঁচনাই বলেছেন: আসল ঘটনাটা কি ??? অনেকদিন পর পোস্টটা চোখে পড়ল ।।।

৪০২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

শান্তনু সুমন বলেছেন: @ জানা

আপনার করা পোস্টের ৪০০ নং মন্তব্যে তথ্য বিভ্রান্তি আছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যা সাড়ে ষোল কোটি। কিন্তু বাংলাদেশের শুমারী অনুযায়ী সাড়ে চৌদ্দ কোটি। যেখানে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের এ তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে, সেখানে আপনি কেন তাদেরটি মেনে নিচ্ছেন?

একটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় থেকে আপনার এ ধরনের ভূমিকা নিন্দনীয়।

৪০৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:১৯

মাহাদি হাসান বলেছেন: বিদেশী প্রভুদের দালাল সেনাবাহিনী রুপগন্জের স্হানীয় দালালদের সাথে এক হয়ে সাধারন কৃষক, খেটে খাওয়া মজুরদের ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করে অনেক বড় বিল্পবী কাজ করেছে! কয়েকজন ব্লগার এই ঘটনাকে নিছক কিছু সামরিক কর্মকর্তার দুষ্কর্ম বলে সেনাবাহিনীর ওপর পুরা দায় চাপানো যাবে না বলে প্রতিবাদ করেছেন, ভাল কথা! বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন প্রায় ১৫ বছর সামরিক শাসন ছিল এটাকেও কিছু সামরিক কর্মকর্তার ক্ষমতায় থাকবার খায়েশ বলবেন, পুরা সেনাবাহিনী এক্ষেএেও দুধে ধোঁয়া তুলসি পাতা, এরশাদের মত লম্পট সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, নিজামী পুএ এই সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এগুলোকে নিছকই তুচ্ছ ব্যাপার মনে করবেন, ১/১১ তে মইনউদ্দিন সাহেব যে রেনেটা লক দেসালিয়ানের পা চাটলেন যাতে মিশনের চাকুরী সহি সালামতে যুগের পর যুগ শতকের পর শতক করে যেতে পারেন, জিয়া বেয়নেটকে কলম বানিয়ে নিজের লিঙ্গ বৃত্তান্ত সংবিধানে লিখলেন এখানেও সেনাবাহিনীর কোন দোষ দেখবেন না অনেকে। অনেকে প্রশ্ন করেছেন সেনাবাহিনী এান দেয়, বিপদে পাশে দাড়ায়! দৈনিক হাজারিকা পড়ার অভিঙ্গতা আছে যাদের তারা দেখবেন জয়নাল হাজারীর মত পেশাদার ক্রিমিনাল কিভাবে জনগনের পাশে দাড়িয়েছেন, এরকম ছবি সংবলিত পোষ্ট আছে সেখানে। তাই বলে হাজারীর আপরাধ ঢেকে যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চোখ বেধঁে নির্যাতন করার কাহিনী যারা পড়েছেন তারা নিশ্চ্য়ই জানেন শিক্ষকের কি রকম সাচ্চা মর্যাদা দিতে জানেন সেনাবাহিনী! সেনাবাহিনী এধরনের বিল্পবী কাহিনীর উপাখ্যান ব্যখা করতে গেলে এরাবিয়ান নাইটসের ১০০০ রজনী পার হয়ে যাবে তবুও কাহিনী শেষ হবেনা। মিশনের টাকা খেয়ে ব্লগে যারা আমাদের বুদ্ধি বিলিয়ে বেড়ানচ্ছেন তাদের বিল্পবী কাজ আগামীতেও অব্যাহত থাকুক, সেনাবাহিনীর কু কর্মের পক্ষ নিয়ে একদিন মুখ দেখানোর লায়েক থাকবেন না তারা।

৪০৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

রোজেল০০৭ বলেছেন: থাকে বেড়ার ভিতরে,বলতে প্রায় মাগনা সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে।তারপর ও ওনাদের তেল দিয়ে চলতে হয়।আর ৭১ এর সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় ওইনারা ই পড়েছেন।

৪০৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬

রোজেল০০৭ বলেছেন: স ংশোধনঃ শেষ লাইনে কথাটা হবে ৭১ এর পর সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় ওনারা ই পড়েছেন।

৪০৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৪০৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৪

মাইন রানা বলেছেন: সেনাবাহীনীর অফিসারদের ঢাকার পাশে কেন ?? কোন চর বা পাহাড়ে দেওয়া হোক !!

৪০৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৭

-ছন্নছাড়া- বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ এ পোস্ট স্টিকি করে সাধারন মানুষের পাশে অবস্হান নেওয়ার জন্য।
সেনাবাহিনী আমাদেরই অংশ,,,, , তারা ভুল করলে অবশ্যই সমালোচনা শুনতে হবে, জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক দেশ, সেনাবাহিনী এই জনগনের টাকায়ই চলে। গনতান্ত্রিক দেশে কোনকিছুই সমালোচনার উর্দ্ধে না। সমালোচনাই ভুলগুলো শুধরিয়ে দেয়।
অনেকেরই দেখলাম আপত্তি। অবশ্য এদলের বেশিরভাগই দেশে গনতন্ত্রই মানেন না, জামাত শিবিরের সমর্থনগোষ্টি সেনাবাহিনীর পক্ষে বেশি ফাল পারতাছে। এনারা আবার সবসময় ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকে,, সেনাশাসন তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এমন বহুতজনের মুখে শুনি সেনাশাসন ছাড়া নাকি দেশটা ঠিক হবে না। অবশ্য পাকিস্হানপন্হীদের সেনাশাসন প্রিয় হওয়াই স্বাভাবিক।
লেখককে ধন্যবাদ সময়োপযোগী লেখাটির জন্য।

৪০৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৮

মা-নবি০৩ বলেছেন: সামরিক বাহিনি বিষয়ক কতিপয় উপপাদ্য

(এই পোষ্ট যে কোন দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য , শুধুমাত্র বাংলাদেশ সেনা বাহিনির গাড়ে না চাপাইলে ভাল লাগবে )

উপপাদ্য ১:

সামরিক বাহিনী হচেছ পাহারা দার কুকুর । তারে ভাল খাইয়াতে হবে , ভাল থাকার জায়গা দিতে হবে কিন্তু বাসার ভেতর (রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোয় ) জায়গা দেয়া যাবে না

উপপাদ্য ২:

সকল সেনা বাহিনী ই দেশ প্রেমিক


উপপাদ্য ৩:

৩.১ সেনা বাহিনীর সদস্য দের অলাদা ভাবে কোন পরিচয় চিন্তা চেতনা থাকে না । তারা সামরিক বাহিনীর অংশ , বলা ভালো সম্পত্তি । অবসরের পরে ও পদবী লিখতে হয় ।

৩.২ সামরিক বাহিনী থেকে বিবেক আশা করা ঠিক না কারন সেনাবাহিনী মূলত প্রশিক্ষিত ,নিয়ন্ত্রিত খুনীর দল (না হলে যুদ্দের সময় সচেতন ভাবে কাউকে গুলি করতে পারবে না )

৩.৩ সামরিক বাহিনীর চিন্তা ধারা একই রকম । যুদ্দে জেতে ভালো আর বেশী অস্ত্র দিয়ে । কিন্তু গেরিলা গো কাছে মাইর কায় কারন গেরিলারা বেশরি ভাগ সাধারন মানুষ তাগো চিন্তায় বৈচিত্র আছে ।

৩.৪ সামরিক বাহিনির প্রশিক্ষন হলো ধ্বংস বা যুদ্ধাবস্থা বা শত্রু থেকে উদ্ধার । প্রাকিতিক দুর্যোগে বা অন্য সময়ের গুলো বোনাস


উপপাদ্য ৪:

সামরিক বাহিনির বাজেট বরাদ্দ দেয় বেসামরিক প্রশাসন বা সংসদ


উপপাদ্য ৫:

ব্লাডি সিভিলিয়ান এটা সামরিক বাহিনীর মূলমন্ত্র । কারন সিভিলিয়ানরা দুর্বল তাদের রক্ষার মহান দায়িত্ব নিছে সামরিক বাহিনী । তা ও বন্ড সাইন করে (প্রশিক্ষনের সময় ই মারা গেলে সরকার বা কেউ দায়ী নয় এ মর্মে)

উপপাদ্য ৬:

সামরিক বাহিনির কর্মকর্তারা ইন্টার পাশ : ঢাহা মিছা কথা । কমিশন পাওযার জন্য গ্রাজুয়েশনের কোর্স শেষ করে যতাযথ বিশ্ব বিদ্যালযের সার্টিফিকেট নিতে হয়



এ উপপাদ্য গুলো মানলে সামরিক বাহিনী বিষয়ক তর্কের (নানাবিধ) কিছু সমাধান পাওয়া যাবে আশা করি

৪১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:১৮

শিরোনাম বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: এই ব্লগেই একবার কার কার সাথে জানি তর্ক হইলো যাতে আমি দাবি করছিলাম যে বাংলাদেশের আর্মির মাথা থেইকা পাকিস্তানী ভুত এখনো নামে নাই, আশা করি তাদের চোখ কিছুটা হইলেও খুলবে।

বাংলাদেশের মতো দরিদ্র একটা দেশের আলাদা সেনাবাহিনী থাকার দরকার কি সেইটাই বুঝিনা। বড় বড় কেন্টনমেন্টে বইসা বইসা আর জনগণের উৎপাদিত অন্ন আর অন্যান্য সম্পত্তি ধ্বংস কইরা পাছায় চর্বি জমান আর নানাবিধ কসরৎ কইরা সেই চর্বি কমান, এই ছাড়া বাংলাদেশের আর্মির আর বিশেষ কোন কাজ আছে বইলা তো মনে হয় না। আমার ঠিক মনে নাই, তবে এত এত টাকা আর অন্ন ধ্বংস করা এই আর্মি ভারতের আগ্রাসন নাকি ১৫ দিনের বেশি ঠেকাইতে পারবেনা, ঐ ১৫দিনই তাগো দৌড়। এই ১৫ দিনের পেছনে এত টাকা খরচ না কইরা আমরা গণবাহিনী বানাই না কেন এইটা একমাত্র আমাগো পবিত্র সংসদ ভবনের পবিত্র মানুষগুলাই মালুম। তুর্কি, কোরিয়ার মতো দুনিয়ার বহুত দেশেই গণবাহিনী আছে, নিয়মিত সেনাবাহিনীর বাড়তি খরচা এরা কান্ধে নিতে চায় না। আর আমগো হালার বাঙালির কান্ধে এত্ত জোর কবে হইলো ঐ পবিত্র সাংসদরাই মালুম।

৪১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪০

শয়তান বলেছেন: মাহাদি হাসানের কমেন্টে তীব্র জাঝা

৪১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

যীশূ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৪১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

বাঙ্গাল বলেছেন: প্রতিষ্ঠান হিসাবে আর্মির চরিত্র আমার কাছে সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাকারের মত...চান্স পাইলেই তারা ক্ষমতা নিয়া বসে... আর ক্ষমতা না নিলেও তারা সরকারের কাছে একচেটিয়া সুবিধাদি নেয়। আর দূর্নীতির কথা যদি বলেন, তাইলে আবাসন-পুনর্বাসনের নামে প্রায় পু...রা ঢাকাই ঘিরা ফেলছে। সেগুলান বসুন্ধরা বা যমুনাও করে, কিন্তু তাই বৈলা তারা এই দাবি করে না...তাদের নামের সামনে "দেশপ্রেমিক""দেশপ্রেমিক" বৈলা জাবর কাটা লাগবে। আর কোন পেশাজীবিরা সারা বছর জনগনের গু সাফ কোইরাও এত সুবিধাদি পায় নাই...তা সে জতই ডাক্তার-কবিরাজ-ইঞ্জিনিয়ার হোক।
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় দূর্নীতির মামলা গুলাতে সাম্রিক বাহিনী জড়িত..2/4/5 কোটি না...একবারে শত কোটির শট....মিগ-২৯ বলেন আর ফ্রিগেট বলেন...দূর্নীতি জলে স্থলে - সর্বত্ত তাদের দাপট ।

৪১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৪

চিটির বাক্স বলেছেন: স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।

৪১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৭

জাতি জানতে চায় বলেছেন: বহিঃশক্তি নির্ভর রাজনীতির কবলে পড়ে সেনা অফিসাররা দিন দিনই চরম সুবিধাবাদী-লোভী হয়ে পড়তাছে! সরকার কর্তৃক সেনা অফিসারদের বিশেষ সুবিধার বিরোধিতা আমি করি না, কিন্তু সুবিধাগুলা অবশ্যই এই ছোট্ট দেশের অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরী! নয়ত পুরা দেশটাই একসময়ে ডিওএইচএস/এএসএইচে পরিনত হবে! সেনাবাহিনীর ব্যপারে ক্ষমতালোভী সরকারের মনোভাব পরিবর্তন না করলে সেনা অফিসারদের ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়তেই থাকবো!

পোস্টে সেনা অফিসারদের লোভ আর ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বলছেন কিন্তু এসবের পেছনের কারন গুলা না আসায় পোস্টটা একপেশে হয়ে গেছে! লাল-নীল সালাম সমৃদ্ধ এ ধরনের একপেশে পোস্ট স্টিকি হওয়ায় অবাক হইছি!

৪১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৪

গডফাদার০২ বলেছেন: ++++ দিয়ে গেলাম।

৪১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৫

গিনিপিগ বলেছেন: Click This Link

৪১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০২

গৌতম রায় বলেছেন: লেখক বা মন্তব্যকারীদের অবস্থান যা-ই হোক, অনেকের যুক্তিবোধ বেশ ভালো লাগলো। পক্ষপাত বা নির্মোহ দুধরনের আলোচনা থেকেই অনেক কিছু জানা সম্ভব। ভালো লাগছে যে, এই ধরনের সিরিয়াস পোস্টে অনেকে আলোচনা করেছেন। আলোচনাকারীদের সংখ্যা ও মন্তব্যের সংখ্যা দেখে আশাবাদী হই যে, গুরুত্বপূর্ণ পোস্টেও আমরা যথেষ্ট সময় ব্যয় করি।

৪১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৭

রোহান বলেছেন: বাঙ্গাল রে থাম্বস আপ :)

৪২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২২

ব্ল্যাকটাইগার্স বলেছেন: একপেশে পোস্টে মাইনাস।

৪২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: ধন্যবাদ বা প্লাস দিয়ে আপনার পোস্টকে আমি ছোট করতে চাইনা। শুধু বলবো এই পোস্ট এই সময়ের কিছু কথারই প্রতিফলন। আর্মি ব্যবসা করুক বা চাকরি করুক তাতে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছুই এসে যায় না- তবে আমার মত হলো- তাদের ব্যবসা যেন তাদের মূল পরিচয়কে কোনভাবেই অতিক্রম না করে যায়। আমাদের দেশের আর্মি হয়তো ভেবেই নিয়েছে যে তাদের এই জীবনে কখনও যুদ্ধ করতে হবে না। তাই তারা তাদের সম্মানজনক পেশা বা পোশাকের পুরো ফায়দা লুটে নেয়াকেই অধিকতর শ্রেয় বলে মনে করে।
বস- ৬ নং কমেন্টে আপনি লিখেছেন "তাদের সেফটি ক্যাচ সবসময় অন করাই থাকে" কথাটা "অন" না হয়ে "অফ" হবে। কারণ এই সেফটি সিস্টেমটা অন করা থাকলে ফায়ার করা যায় না। ফায়ার করতে হলে আপনাকে সেফটি মুড অফ করে নিতে হবে।
ভাল তাকবেন। এরকম লেখা আরো চাই।

৪২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

ব্ল্যাকটাইগার্স বলেছেন: আর্মি কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের আচরণ করছে এবং কেন করছে, এ বিষয়টা বুঝতে গেলে আর্মিকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা বৃহত পুজির একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমলে না নিলে ভুল হবে।

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিয়েল এস্টেট বিজনেসেও তার ভাগ চাই। আর সেই জন্যই Sena Kalyan Constructions and Developments (SKCD) সহায়তায় এই এইএচএস প্রকল্প। ইতিমধ্যে "আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট" এবং "সেনাকল্যাণ সংস্থা"র নামে হাজার হাজার কোটি টাকার পুজি বিনিয়োগ ও মুনাফা করছে আর্মি। বিবিসির কামাল আহমেদ একটা রেডিও ডকুমেন্টারিতে ফৌজি বাণিজ্যের দুর্দান্ত একটা তত্ত্ব তালাশ করেছেন।



আপনার কোন সমস্যা ? যদি তারা বিনিয়োগ করে দেশের শিল্প ব্যবস্থার উন্নতি করে, তাতে আমার দেশের ই কিছু অভাবগ্রস্থ, গরীব, বেকার লোকের কর্মসংস্থান হয়।

৪২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫

তালহা তিতুমির বলেছেন: # যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন সেনাবাহিনীও থাকবে- এ ব্যাপারে কোনই দ্বিমত নেই। তবে তার মানে এই নয় যে সেনাবাহিনীর কোন সমালোচনা করা যাবে না, তবে তা অবশ্যই গঠনমূলক হতে হবে।

# আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে পেশাদার সেনাবাহিনী হিসেবে দেখতে চাই, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই না ( যেটা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে গঠেছে)। শুধু UN মিশনকেন্দ্রিক সেনাবাহিনীও আমরা চাই না।

# সরকারী জমি সেনাবাহিনীর জন্য ৫০০ টাকায় কেন ৫ টাকায় বরাদ্দ দিলেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মতের বিরুদ্ধে তাদের ভিটে-মাটি পেশীশক্তির বলে ছিনিয়ে নেয়া কোন নৈতিকতাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু মাথামোটা আর্মি অফিসারের কারণে পুরো সেনাবাহিনী বিতর্কিত হয়ে গেলো।

# শুধুমাত্র aristocrat পরিবারের লোকজন অফিসার হয় আর গরিবের সন্তানরাই শুধু soldier হয় এ ধারণাও অমূলক। মেধা ও যোগ্যতাবলে যে কেউ সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে যোগদান করতে পারে। আমার এক পরিচিত মেজর আছেন যিনি ছোটকালে অভাবের কারণে পাড়ায় পাড়ায় দুধ বিক্রি করতেন। এরকম আরো অনেকেই আছেন।

# যারা সেনাবাহিনীতে আছেন তাদের বলছি, রূপগন্জবাসীর জায়গায় আপনারা থাকলে আপনাদের কি প্রতিক্রিয়া হতো ?

# এটাও গভীরভাবে বিবেচনার বিষয় বাইরের কোন শক্তি এ ঘটনার পেছনে রয়েছে কিনা ! কারণ একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঘিরে ঘটেই চলেছে। বিডিআর বিদ্রোহ, পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত, রুপগন্জের ঘটনা গভীর তদন্তের দাবী রাখে। কারণ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড়িয়ে যাচ্ছে।

# এটা বলে শেষ করবো--- সেনা কতৃপক্ষের উচিত "ব্লাডি সিভিলিয়ান" টাইপ মনোভাব ত্যাগ করে সাধারণ মানুষের সাথে মানসিক দুরত্ব ঘোচানো। আর সাধারণ মানুষেরও উচিত হবে সেনাবাহিনীকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী হিসেবে না দেখে বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে দেখার জন্য। তাহলেই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব মজবুত হবে।

৪২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

বিষফোঁড়া বলেছেন: আমার আগের মন্তব্যের জবাবে ''লেখক বলেছেন: "সামরিক বাহিনীর জন্ম হয়েছিল শস্য ফলানোর জন্য নয়,আমাদের ফসল যাতে অন্যে কেড়ে নিতে না পারে তাই।"

বিনিময়ে কি শষ্যের জমি তাহাদের আবাসনের জন্য প্রদান করিতে হইবে?''

আপনার তো বেসিকেই সমস্যা।আপনার কথায় পরিস্কার বোঝা যায় আপনি সেনাবাহিনীকে আলাদা একটা দলে ফেলে দেখছেন।এটা ভুলে যাবেন না এ সেনাবাহিনী আমাদের ই।আমাদের আশেপাশের মানুষদের নিয়েই এ বাহিনী।
এ মানসিকতার কারন কি?সেনাবাহিনীকে এরকম শ্ত্রুপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছেন কেন? আপনি কি শ্ত্রুপক্ষের ই দালাল?

৪২৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪১

মন মানে না বলেছেন: স্যালুট বস ।

৪২৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

নীরব দর্শক বলেছেন: Click This Link

৪২৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫

মৃগয়া বলেছেন: দুর্নীতিবাজ সেনাবাহিনীর সমালোচনা নিষেধ। করলে পাছায় বিষফোড়া হবে।

৪২৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬

ব্ল্যাকটাইগার্স বলেছেন: আপনি বলেছেন, পাকিস্তান সেনা বাহিনীর উত্তরসূরী হিসাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম

হু, কথাটা ঠিক!!! কিন্তু কই কোথাও তো বললেন না কেন এর জন্ম, কোন কাজের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ? এটা নিশ্চয় জানেন সেদিন পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কুকর্ম বন্ধ, আমার মা-বোনের ইজ্জত রক্ষা এবং আমার-আপনার স্বাধীনতার জন্যই এর জন্ম।

৪২৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

উদাসীফাহিম বলেছেন: যে দেশের আর্মি তে নির্দিস্ট যুদ্ধ কৌশল নাই(প্রতিরক্কা নীতি নাই).........।সে দেশের আর্মি ত খায়/দায়/ঘুমাবে...।এবং সুযোগ পেলে বিদেশি হুজুর দের(কারণ শান্তরক্কা কাজে গিয়ে সবাই মাশাআল্লাহ আমেরিকার গোলাম/চর) নির্দেশে দেশের ক্কমতা নিজের হাতে তুলবে।
এবং নিজের ধান্ধা করবেই।
আমাদের স্ভাধিন দেশের আর্মি নাকি ওদের ইন্টার কথাবার্তায় আমাদের উদ্ধ্ ত করে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে।
শেইম

৪৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭

হককথন বলেছেন: 1.কী রাষ্ট্রী নিরাপত্তা জন্য হুমকি মূলক অবস্থা বিরাজ করছিল যে রূপগঞ্জে সাব রেজিস্টার অফিসের দোর গোড়ায় সেনা ক্যাস্প বসাতে হবে। তা্ও সেনা তাবু নয় রীতি মত আধ পাকা ক্যাম্প
২-আমাদের দেশের আর্মি হয়তো ভেবেই নিয়েছে যে তাদের এই জীবনে কখনও যুদ্ধ করতে হবে না। তাই তারা তাদের সম্মানজনক পেশা বা পোশাকের পুরো ফায়দা লুটে নেয়াকেই অধিকতর শ্রেয় বলে মনে করে।
3. স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত আর্মিদের বড় কোন অবদান আমি দেখিনা। জাতিসংঘে গিয়ে নিজেরা ফুলে ফেপে মোটাতাজা হয়েছে, সীমান্তে বি.এস.এফ এর গুলিতে বাংলাদেশী মারা যাচ্ছে আর্মিরা নিশ্চুপ, বার্মা সীমান্তে শরণার্থী আসছে আর্মিরা নিশ্চুপ, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র আগ্রসনে ব্যাস্ত আর্মিরা নিশ্চুপ, এমনকি আমিন বাজারে নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিও আর্মিরা সনাক্ত করতে পারলনা, তা সনাক্ত করল চান মিয়া নামের ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরী। আর্মি আমাদের কোন কাজে লাগছে? কেউ, কেউ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা, এটা তো তাদের এক্সট্রা রিমোনারেশন ওভার টাইমের মত এক্সট্রা ইনকাম। উপরোক্ত ক্ষেত্রে আর্মিদের ইনভলব না করা সরকারী পলিসিরই একটা অংশ বলে আমি মরে করি।

৪৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২১

নুর মোহাম বলেছেন: এক কথায় বলব, সাহসী পোস্ট, সামুতে আমার দেখা পোস্ট সমুহের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে সেরা পোস্ট

৪৩২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

কবির চৌধুরী বলেছেন: আমাদের সব চেয়ে বড় দুর্বলতা/সমস্যা কি?

আমরা আ.লীগ, বিএনপি, জামাতী করি, কিংবা কেও ঘরে বসে বাম পন্থী!!!

যে যেদল করে তার সাত খুন মাপ, আর বাকি সবাই শুয়োরের বাচ্চা!
- কি এক বিন্দু ভুল বললাম?

এই রুপ অসুস্থ মানসিকতা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে....
আমাদের মজ্জা শিরা, ধমনীতে ----
স্থুল/সুক্ষ ভাবে/ দিনে দিনে/ সবাই মিলে / ঠান্ডা মাথায়..সব মাধ্যমে.. সব ভাবে...


এই মানসিকতার আর এক বহি: প্রকাশ সামুর এই স্টিকি উপাখ্যান!!!


অ.ট.: গেল তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের প্রকাশ্য নরকের কীট গুলোকে যে ট্রিটমেন্ট দিয়েছিল, আল্লাহ বাচিয়ে রাখলে অমরা আমাদের নাতি পুতিদের গর্ব ভরে বলবো এ ঘটনা!
ইতিহাস হয়ে থাকবে...

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা এখন ও তৈরি হয়নি!
একজনকেও খুজে পাওয়া যায়নি, যারা আমাদের সঠিক/সৎ পথে নেতৃত্ব দিবে।
তারা চেষ্টা করেছিল, সফল হতে পারেনি।

অপরদিকে এই রক্তচোষাদের চেলারা (যেনে হোক কিংবা না যেনে) শেষ চেষ্টা করে যাবে এর শোধ তুলতে।

অন্তত সেনা বাহিনীকে বিতর্কিত করতে পারলেও কিছুটা গাত্র জ্বালা জুড়ায়!

বাংলাদেশে আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য আর্মিদের আরো সচেতনার সহিত কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে এটা মাত্র প্রথম অপ্রীতিকর ঘটনা, শিক্ষা নিয়ে আরো সাবধানে যে কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ তাদের এখন। (যদিও দ্রত তারা পিছিয়ে আসে)।.....

কারন আপনাদের উচ্ছেদ করার জন্য তারা মনে প্রানে রেডি!
আমরা শক্তি হারা হলে কাদের লাভ বলুন তো?
________________________________________________

এ পোস্টে কিছু লিখবো না বলে চিন্তা করেছিলাম, তবু মানসিক অসুস্থতা/দোষারোপ দেয়ার যে কালচার এই ঘৃণ্য রাজনীতিবিদেরা শিখিয়ে দিচ্ছে আমাদের তার নিয়ে বলতেই কিবোর্ড নিয়ে বসলাম।

আমরা আর কতকাল এরূপ রাজনীতিবিদদের হয়ে পুতুল নাচ নাচবো?


৪৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫১

কবির চৌধুরী বলেছেন: @ লেখক: আপনার মাথায় এটম বোমা ফেলেও আপনার ধ্যান ধারনার বিন্দু মাত্র পরিবর্তন কেও করতে পারবে না! তবে অপেক্ষা করুন সবাই, দেখবেন এ বিষয়ে আমাদের পক্ষাবলম্বন পরিবর্তন হবে। কারন আমরা বাঙ্গালীর সব সময় একটু লেট রি-অ্যাক্ট করি।

এটা পরিস্কার আপনি লেখাটি দিয়েছেন, রূপগঞ্জ বাসীর কষ্ট দুর্দশা লাঘবের নিমিত্তে নয়,
শুধুমাত্র বাংলাদেশ আর্মিকে কলংক লেপন উদ্দেশ্যে।

আপনার মন্তব্য উত্তরগুলো পড়লে বিষয়টা পরিস্কার হয়েছে।
আর বিষয় গুরুত্ব অনুযায়ী ভাষা প্রয়োগ/ব্যবহার যাচ্ছেতাই!

মাইনাস দিলাম (যদিও প্লাস মাইনাস কোন কিছুই তেমন প্রতিনিধিত্ব করে না)।

৪৩৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

জুম্মি আদুরী বলেছেন: +++++++++

৪৩৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০০

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: এই পোস্টটা স্টিকি করা সামুর মোটেও উচিত হয়নি। এটি দায়িত্বহীন কাজ হয়েছে। লেখাটি একপেশে ।

৪৩৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০১

নাভদ বলেছেন:
যারা নিরীহ গ্রামবাসীর উপর এহেন অত্যাচারের পরেও সেটার থেকে কোন বাহিনীর ভাবমূর্তি নিয়ে বেশী চিন্তিত, আমার কামনা এই সেসব ব্লগারের বা তাদের নিকত্মায়ীদের অবস্থা কখনো নিচের ছবিদুটোর পরিবারগুলোর মত না হয় -


প্রথম আলো



ডেইলী ষ্টার





Nine-year-old Mrittika, whose father Abdul Aleem Masud went missing in Saturday's Rupganj violence, weeps almost unceasingly while her mother Kohinoor, right, faints frequently at their Baraisoni village home yesterday.

৪৩৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২০

নাজনীন১ বলেছেন: ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে যেমন সিভিল আইন চলে না, সেনা আইনের দরকার পড়ে, ঠিক তেমনি সিভিল এলাকায় সেনা আইন অচল, সেখানে সিভিল আইনই একমাত্র উপায় ---- এটা আমাদের সেনাবাহিনী যতদিন না বুঝবে, ততদিন এরকম একেকটা ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

নিকট অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া ঢাবির ঘটনা থেকেও এরা কোন শিক্ষা নিতে পারেনি। ৯০-এর অভ্যুত্থান তো আরো আগের কথা। আমরা মনে হয় ৭১-এর ২৫শে মার্চের ঘটনাও ভুলে গেছি।

অস্ত্রের মুখে জনগণকে দাবানো যায় না, জনগণ যায় না ক্যান্টনমেন্টে দাপট দেখাতে, আর্মিদেরও উচিত নয় সিভিল এলাকায় দাপট দেখানো।

তবে তাই বলে আর্মিরা শস্য ফলাবে এরকম প্রতীকি চাওয়াও ঠিক নয়। আর্মিদের কাজ শস্য ফলানো নয়, দেশ রক্ষা করা। ছোটবেলায় আমরা "সমাজ" কাকে বলে , কেন সমাজ গড়ে উঠেছিল, সেটা পড়েছি। এক সমাজে বা রাষ্ট্রে সবাইকেই প্রয়োজন আছে।

অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যে কল্যাণ তহবিল থাকে, তার সাথে সেনা কল্যাণ তহবিলের মিল কোথায়, অমিল কোথায়, সুবিধা-অসুবিধা কার বেশি, কার কম, এসব তহবিল থেকে চালিত সরকার কর্তৃক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যবসার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বা ঐ প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা কি বা এতে জনগণের উপরে প্রত্যক্ষ করের চাপ কমে কি বাড়ে (অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীর কল্যাণার্থে) --- এগুলো নিয়ে আলাদা পোস্টে আরো বিস্তারিত আলোচনার দরকার মনে করছি।


আর আমরা জনগণ সেনাবাহিনীর মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিদুস্যতার বিরুদ্ধে যেভাবে জনমত গঠন করতে পেরেছি, সেরকমটা কি অন্যান্য ভূমিদুস্যদের বিরুদ্ধে পারবো? যেখানে ওইসব ভূমিদুস্য সরাসরি সরকারকে হুমকি-ধমকি দেয়, আবার কিছু সরকারী সাংসদসহ স্থানীয় কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত জনগণও ড্যাপ বাস্তবায়নে বাঁধা দেয়.........আমাদের একশ্রেণীর সুবিধাবাদী জনগণদেরও কি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার না?

৪৩৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

আমি বীরবল বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। সময়োপযোগী। শোষিত মানুষের পক্ষে আমাদের মিডিয়ার উচিত পাশে দাঁড়ানো। সিভিলিয়ান সরকার যা আচরন করছে তা বিগত সকল সামরিক শাসনের মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। আর্মিরা একদিন মনে হয় ৫৫ হাজার বর্গমাইলের পুরাটাই খেয়ে ফেলবে।এদেশের সেনাবাহীনী সাধারন মানুষের বন্ধু নয়-এরা সকারের ঠাংগারে বাহিনী হয়ে নিজেদের আখের গুটায়।পুলিশ ঘুষ খায় ২০০ টাকা জীবন বাঁচাতে আর সেনাবাহিনী লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাসী জীবন যাপনের জন্য। নৈতিকতার দিক থেকে ছিন্তাইকারী, ভুমিদস্যু, কালোবাজারী, সেনা বাহীনী ও পুলিশ বাহীনীর মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়না।

আজ সেনাবাহীনী নির্বাচনে জেতার অস্ত্র হয়ে গেছে। এখন সেনাবাহীনী আর বসুন্ধরা গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য নাই। হয়তো দেখা যাবে জমি দখল নিয়ে সেনা বাহীনী ও বসুন্ধরা সম্মুখ যুদ্ধে নেমেছে। আগেকার দিনের চর দখলের মতো।

সামু কর্তৃপক্ষকে সালাম ধন্যবাদ এই পোস্ট স্টিকি করার জন্য।

৪৩৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৭

একরামুল হক শামীম বলেছেন: বিশ্লেষণমূলক পোস্টটা ভালো লাগলো খুব।

আর্মিদের দেশপ্রেমের কথা এই পোস্টে বলছেন কেউ কেউ। বিষয়টা এমন যেন আর্মিরা মহাপব্ত্রি সত্ত্বা। তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করা যাবে না! দেশের আর্মি যখন বাণিজ্যের অংশ হয়ে যায় তখন নিসঃন্দেহে বিষয়টি সামরিক নীতির জন্য ক্ষতিকর। কথিত আর্মি হাউজিং স্কিমের নামে জনগণের বাসভূমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি নিন্দনীয়।


আপনার পোস্ট থেকে আর্মি হাউজিং স্ক্রিমের ওয়েবসাইটে গেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম-

Organization – The Army Housing Scheme (AHS) will be registered as Housing Company to the joint stock Company of Bangladesh under the Companies Act (Act XVIII) of 1924 as a Limited Company.

মজার ব্যাপার হলো ১৯২৪ সালের কোন কোম্পানী আইন নাই। এটি হবে ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন। জ্ঞানী আর্মি কর্তৃপক্ষ এই ভুলটা কিভাবে যে করলো!

৪৪০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৪

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি কাল অধ্যায়ের পেছনে জলপাই রঙটি খুব প্রকট।

৪৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫

সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: প্রধান মন্ত্রীর অফিস থেকেই এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২০০৯ সালে। তাই আর্মিকে এভাবে দোষ দেয়া আমি সঠিক মনে করছি না। বরং আর্মিকে এরকম একটা বিতর্কিত কাজে যুক্ত করা হয়েছে একটা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে - আর্মিকে বিতর্কিত কাজে জড়ালে যে বিতর্কটা হবে তাতে জনমত আর্মির বিপক্ষে যাবে। এবং তাই হয়েছে।

আমাদের আর্মিকে বিলাসী, অলস আর জন বিচ্ছিন্ন করতে পারলে যাদের লাভ তারা এই ঘটনায় নিশ্চই খুশী হয়েছে। আমাদের দেশের সুদুর প্রশারী পরিকল্পনাগুলোর খুব কমই আমরা করি। দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার বিবরন যে ভাবে জনমত তৈরী করার জন্য পত্রিকায় প্রচার পাচ্ছে, পিলখানায় এতোজন আর্মি অফিসারকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে, বিডিআর কে যে ভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে, তাতে বৃহৎ একটা পরিকল্পনা বৃহৎ একটা শক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেই মনে হয়।

৪৪২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইনক্রেডিবল বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম “দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?” দেখে হঠাৎ আমার উর্বর মস্তিষ্কে খেয়াল চাপলো : আর্মিকে দিয়েই ধান চাষ করালে কেমন হয়? ছবি সহ জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মত কাজ থেকে সরিয়ে এনে ধান চাষ করালেই আর কেউ বলতে পারবে না যে বসে বসে খায়। ;)

সরি। একটা সিরিয়াস পোস্টে ফান করার জন্য।

৪৪৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

এক্স বলেছেন: @সীমন্ত ইসলাম - সুন্দর পয়েন্ট বলেছেন.
@ইনক্রেডিবল - ইনক্রেডিবল কথা বলেছেন. কাজ চলছে, বিএসএইপ কে দেশরক্ষা চুক্তিতে রাজী করাতে পারলেই বিডি আর্মিকে দিয়ে ধান চাষ করানো হবে.

৪৪৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

এক্স বলেছেন: @সীমন্ত ইসলাম - সুন্দর পয়েন্ট বলেছেন.
@ইনক্রেডিবল - ইনক্রেডিবল কথা বলেছেন. কাজ চলছে, বিএসএইপ কে দেশরক্ষা চুক্তিতে রাজী করাতে পারলেই বিডি আর্মিকে দিয়ে ধান চাষ করানো হবে.

৪৪৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

এক্স বলেছেন: @সীমন্ত ইসলাম - সুন্দর পয়েন্ট বলেছেন.
@ইনক্রেডিবল - ইনক্রেডিবল কথা বলেছেন. কাজ চলছে, বিএসএইপ কে দেশরক্ষা চুক্তিতে রাজী করাতে পারলেই বিডি আর্মিকে দিয়ে ধান চাষ করানো হবে.

৪৪৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪

বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: একটা নাম দেবেন কি???

৪৪৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: রূপগঞ্জে যা ঘটেছে, তা নিয়ে ডিসকার্সিভ আলোচনা হওয়া দরকার। দিনমজুরকে ধন্যবাদ ক্রিটিকাল অবস্থান থেকে বিষয়টা আলোচনা করেছেন। সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ পোস্টটাকে স্টিকি করার জন্য, তাতে অনেক ব্লগারের অংশে নেয়ার সুযোগ ঘটেছে। তবে অনেকে 'সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা'র অকারণ আশঙ্কায় ভুগছেন। সেনাবাহিনী কতটা 'বিশেষ' প্রতিষ্ঠান যে তাকে নিয়ে আলোচনা করা যাবে না? বিশেষত গণতান্ত্রিক সময়ে যখন সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রতিপক্ষ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে, তখন খোলাখুলি আলোচনা হওয়াই দরকার।
মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তা পারছে না। ব্লগ/সাইবারপরিসর নিয়ে এজন্য আমি বরাবরই আশাবাদী।

৪৪৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: স্টিকি শেষ!!
মজাও শেষ!!

৪৪৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২৯

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: দুরে গিয়া মর।

৪৫০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৭

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
জানা'পুর মন্তব্য ভালো লাগলো !

সামুতে স্টিকি পোস্ট সহজে নামতে চায়না !

এই পোস্টটি একদিনেই কেন সরে গেল, নোটিশবোর্ড কি বলতে পারবেন ?

৪৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৫

আরিল বলেছেন: as noticeboard is not available now, let me give a small note. this post created a strong debate and let opinions, logic and facts be shared from more view points and at more richness than any other media could have provided. i guess many people with me feel that this debate has established a strong base to establish our own opinion on this issue, whatever these may be, than had we just flipped through the newspapers or tv channels as usual.

the post was up for two days and one night. throughout the day today we saw that the post loaded extremely slow due to the high volume of content and comments came more infrequent. we therefore decided to unstick the post for now.

৪৫২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সামু কতৃপক্ষ ডরাইছে।

৪৫৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪২

নিঃসঙ্গ বায়স বলেছেন: প্রথমেই বড়সড় একটা "মাইনাস" এভাবে এত বড় একটা সত্য কে সকলের সামনে প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য। এই ভাবে কাউরে ন্যাংটা করে দেওয়াটা কী ঠিক? তাও আবার আমাদের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের নিয়া! আপনার তো ভাই লজ্জিত হওয়া উচিৎ। এক্ষনি মাফ চান মিয়া ওই জল্পাইধারীদের দালালগুলার কাছে এই ভাবে অযাচিতভাবে সত্যকে প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য। জয় আর্মি, জয় ইতরামি !!!

৪৫৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৯

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই একপেশে ও বিদ্বেষমূলক এই লেখাটি স্টিকি থেকে দ্রুত সরানোর জন্য। সেই সঙ্গে অনুরোধ রাখছি, এইরকম পোস্ট স্টিকি করার ক্ষেত্রে তারা আরো সতর্কতা অবলম্বন করবে। এটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য ছিল যে, পেশাদারি মনোভাব ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য যে সামহোয়্যার খ্যাত, তারা কী করে এইরকম একটি বিদ্বেষমূলক প্রায় কপিপেস্ট লেখা রীতিমতো স্টিকি করে? আমার বিস্ময় জাগে, সামহোয়্যারের আধুনিক মানুষগুলো কী করে এইসব আজিজ মার্কেটজীবী অচল সমাজতন্ত্রীদের পাল্লায় পড়ে!

৪৫৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন:

সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ পোস্ট সময়মত স্টিকি করণ এবং যথাপোযুক্ত সময়ে ননস্টিকি করার জন্য। পোস্ট স্টিকি হওয়ায় সাধারণ জনগণ তাদের অব্যক্ত যন্ত্রণার কথা অকপটে বলতে পেরেছেন। সুবিধাবাদীরা হাওয়ায় গদা ঘুরিয়ে কল্পিত বিভেদের ধূয়ো তুলে গেল গেল রব তুলে নিজের সুবিধাবাদীতার ভান্ডার পূর্ণ করতে পেরেছেন। কারপুরুষরা তথাকথিত অস্ত্রধারী "সুপুরুষদের" উর্দির ভাঁজে নিজেকে নিরাপদ ভেবে চিরাচরিত দালালির ডেমোনেস্ট্রেশন দেখাতে পেরেছেন। নীতিহীন মেরুদণ্ডহীন না বাম-না ডান সুবিধাবাদীরা এই সুযোগে দুষিত রক্তের ধারাবাহিকতায় বামদের গালাগাল দিয়ে নিজের বিকৃতিকে আরো শাণিত করতে পেরেছেন। ব্যবসার পাশাপাশি কাগজের চাকরি করা বহুরূপী গিরগিটি রূপ বদলে নর্দমায় নেমে যাওয়ার দশা থেকে হাঁচড়েপাচড়ে জাতে ওঠার কোশেশ করেছেন।

তবে সত্যের নিয়ম হলো তা মাইকে ঘোষণার আগেই ইথারে ছড়িয়ে যায়। তাবড় তাবড় সব পেইড আপ সম্পাদকেরা যখন জলপাই চোখরাঙানিতে মোলায়েম সম্পাদকীয় লেখেন আর ইনিয়ে বিনিয়ে পুলিশের বরাতে প্রেস রিলিজ ছাপেন এবং বুকের ভেতরকার পাপবোধ লুকোতে "নিরুপায়","অসহায়ত্ব"কে বরণ করে আরো এক প্রস্থ ভণ্ডামির জন্য আরো একটা দিন বাঁচেন, ঠিক সেই সময় দিনমজুরেরা অকূতভয় লিখে যান। এখানে একজন দিনমজুর এক হাজার গিরগিটির চেয়ে এগিয়ে থাকেন।

কর্তৃপক্ষকে আরো ধন্যবাদ এ জন্য যে, এই থ্রেডটা অনেক লম্বা হয়ে পড়তে-লিখতে সমস্যা হচ্ছিল। ননস্টিকি করায় এবার নতুন থ্রেড ওপেন হবে। সেখানে নষ্ট আর নর্দমার কীটদেরও আমন্ত্রণ রইল।

এ.জে.মিন্টু একটা প্রশ্ন রেখেছেন- "ছাগু সম্প্রদায় সবসময় জলপাইমামাদের পছন্দ করে ক্যান? কারো কাছে ব্যাখ্যা থাকলে জানায়েন। আমি আবার ছায়াছবি লাইনের লোক, এ বিষয়গুলো তেমন বুঝি না। "

উত্তর তেমন কঠিন না মিন্টু। যার যা নেই সে তার জন্য হাপিত্যেশ করে। সমাজে কিছু ক্লিব আছে, যাদের ইচ্ছে হয় সবাইকে দাবড়ে বেড়ায়, ধমক দেয়, অঙ্গুলি হেলনে একে তাকে ওঠ-বস করায়। কিন্তু নিজের না-মরদ ক্লিবত্বে সে সব পারেনা। তার হয়ে সেই অনৈতিক কাজটা পেশাগত ক্ষমতাবলে যখন কেউ করে দেয় তখন সে এক ধরণের চরমানন্দ লাভ করে। এটা অনেকটা স্যাডিজমের পর্যায়ে পড়ে।

সিনেমার লোক যখন তখন নিশ্চই দেখেছেন থার্ড ক্লাসে বসা দর্শকরা ভিলেন মার খাওয়ার সময় অন্তর থেকেই তালি দেয়! সে তখন নিজেকে নায়কের রূপে দেখে। আর নায়ক মানেই সে ক্রসফায়ারে মরবে না, ভিলেনের লাঠির আঘাতে মরবে না, মিছিলের ইটের টুকরোয় মরবে না, এক লাখ মিছিলকারীর সামনেও সে অটল, কেননা তার হাতে বন্দুক।

৪৫৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:২১

মনজুরুল হক বলেছেন:

প্রমাদ: কারপুরুষরা > কাপুরুষেরা

৪৫৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:২৭

রাজর্ষী বলেছেন: এই *কান্তি নিক গুলোর ব্লগীয় ভুমিকা বিতর্কিত ও রহস্যজনক।

৪৫৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:০২

ক্ষত্রিয় বলেছেন: শুনলাম আর্মি নাকি আপনারে দাবরানি দিছে ???
কথাটা সত্য নাকি ??? =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৪৫৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৫

দিনমজুর বলেছেন: একটি বিলম্বিত সাফাই

দিনমজুরের পোষ্ট এর আগেও স্টিকি হয়েছে কিন্তু বোধ হয় এবারই প্রথম পোষ্টটি শুধু দিনমজুরের থাকে নি, সবার হয়ে উঠেছিল। এর একমাত্র কারণ বোধ হয় পোষ্টের বিষয়(অর্থাৎ লেখাটি নয় লেখাটির সাবেজেক্ট ম্যাটার): বিষয়টি নিয়ে সকলেরই অনেক কথা ছিল বলার মতো-- রূপগঞ্জের ঘটনা, ঘটনাকে উপলক্ষ করে এই পোষ্ট, পোষ্টটির স্টিকি হয়ে উঠার ঘটনা এতে ইন্ধন জুগিয়েছে। এই মন্তব্যটি যখন পোষ্ট করছি, তখন পর্যন্ত পোষ্টটি ৬৬৫৩ বার পঠিত, মন্তব্যের সংখ্যা ৫৭১ টি, পোষ্টটি ভাল লেগেছে ২৮৪ জনের এবং ভাল লাগেনি ১১১ জনের। একটা বিষয়ে একটু সাফাই গাওয়া দরকার- মন্তব্যে আমাদের প্রত্যুত্তর বা রেসপন্স বিষয়ে। দিনমজুরের পোষ্টে সাধারণত সকল প্রশ্ন/দ্বিমত/ভিন্নমত বিষয়ে কোন না কোন রেসপন্স করা হয়(ধন্যবাদ/প্লাস/অভিনন্দন ইত্যাদি মন্তব্যে অনেকসময় রেসপন্স করা হয়ে উঠে না)- প্রশ্নকর্তা/মন্তব্য দাতার তথ্য/যুক্তি বক্তব্য আমাদের কাছে সঠিক মনে হলে সেটা মেনে নেয়া হয় নতুবা আমাদের ভিন্নমত/বক্তব্য যুক্তি জানিয়ে দেয়া হ। এর উদ্দেশ্য তর্ক যুদ্ধে জয় লাভ জাতীয় কোন বিষয় নয় বরং উদ্দেশ্য হলো মন্তব্যকারী এবং অন্য পাঠক উভয়ের কাছে বিষয়টি সসম্পর্কে আমাদের অবস্থান যেন অস্পষ্ট বা ধোয়াশে না থাকে।

এখন এই পোষ্টটি যদি কেউ লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন, অনেক মন্তব্য/প্রশ্ন/ভিন্নমত ই আনঅ্যানসারড রয়ে গেছে। এর কারণ হলো, শুরুতে আমরা ধরে ধরে প্রত্যেকটি মন্তব্য/প্রশ্ন/ভিন্নমত বিষয়ে আমাদের মতামত প্রকাশ করেছি। কিন্তু একটা পর্যায়ে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরী হয়, যখন থেকে আর এ বিষয়টি মেনটেইন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় নি—এর কারণ মূলত দুটি- এক. বার বার একই ধরণের প্রশ্ন/অভিযোগ/ভিন্নমত আসতে থাকা যেগুলো সম্পর্কে ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের বক্তব্য পরিস্কার করেছি। দুই. কিছু কিছু মন্তব্যকারী কর্তৃক মন্তব্য ফ্লাডিং করা/অবান্তর, অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উত্থাপন করে আলোচনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা ইত্যাদি। এসময়, একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ঘটে: আমাদের বক্তব্যের সাথে একমত বা একাত্মতা পোষণ করে এরকম অনেক ব্লগার নিজ উদ্যোগেই এই ততপরতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যান এবং তারাও তাদের মতো করে উত্থাপিত প্রসঙ্গগুলোর জবাব দিতে থাকেন।

ফলে আমরা দেখলাম, একদিকে এই বিপুল সংখ্যক মন্তব্য সঠিক ভাবে, সময় মতো, সমান গুরুত্ব দিয়ে হ্যান্ডেল করা আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছেনা, ফলে আমারা খুব সচেতন ভাবেই হাতগুটিয়ে নিলাম, মাঝে দুই একবার একান্তই জরুরী দুএকটি ক্ষেত্র ছাড়া(যেমন: ফ্লাডিং ধাচের মন্তব্য ডিলিট করা, জরুরী ইনফো চাওয়ায় সেটা সরবরাহ করা, ভুল সংশোধন করা ইত্যাদি) আমরা তেমন কোন মন্তব্যে অংশ নিইনি। কিন্তু দেখলাম তাতে ক্ষতি তেমন কিছু হয় নি, কারণ ব্লগাররাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পোষ্টটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। আর প্রাণবন্ত আলোচনা-তর্কবিতর্কের কারণেই যে উদ্দেশ্যে এই লেখাটি ব্লগে পোষ্ট করা- অর্থাত রূপগঞ্জে সামরিক ভূমি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানানো এবং এ ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর বর্তমান ধরণ/ক্ষমতাকাঠামোর সাথে সম্পর্ক/এলিটিসিজম/ফৌজি বাণিজ্য/ক্রমশ গণবিরোধী চরিত্র ধারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে একটা জোরালো প্রশ্ন তোলা—সেই উদ্দেশ্য বেশ ভালো ভাবেই সফল হয়েছে বলে মনে আমরা মনে করছি যদিও এর পেছনে কৃতিত্ব পুরোটাই সামহোয়ারের ব্লগারদের যারা এ বিষয়ে মন খুলে যার যার কথা বলার মধ্যদিয়ে বর্তমান মিলিটারি হেজিমনি সম্পর্কে সাহসের সাথে তাদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন।

তবে, মনে রাখা দরকার, ব্লগজগতের এই তোলপাড়ে রূপগঞ্জের আর্মি হাউজিং প্রকল্প যেমন এখনও বাতিল হয়নি, যেমন গুম হয়ে যাওয়া লাশগুলোকে পারিবারিক দাফন/সতকারের জন্য ফিরিয়ে দেয়া হয়নি কিংবা গ্রামের ৩/৪ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি, তেমনি এ বিষয়ে ব্লগ ও মিডিয়ায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশের ফলেই এ বিষয়ে শাসকশ্রেণীর দৃষ্টি ভঙ্গি ও কর্মকান্ডের পরিবর্তন ঘটবে, সামরিক হেজিমনির অবসান ঘটবে কিংবা সামরিক-বেসামরিক, বাণিজ্যিক- অবাণিজ্যিক আবাসন বা খনিজ উত্তোলণের নামে কিংবা জাতীয় স্বার্থের মোড়কে মেহনতি কৃষকের জমি কেড়ে নেয়ার চলমান বন্ধ হয়ে যাবে-- এরকমটা নিশ্চয়ই অটোমেটিক্যালি ঘটবে না। এর জন্য প্রয়োজন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণীর পক্ষের রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ। আমরা সকলকে সেই রাজনৈতিক বিকাশের পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়ে এই বিলম্বিত ও দীর্ঘ সাফাই শেষ করছি।

সবাই কে ধন্যবাদ।

বি:দ্র: আমরা আজকে জাতীয় কমিটির জাতীয় সম্পদ রক্ষার লং মার্চে যাচ্ছি। রংপুর থেকে লংমার্চে যোগ দেব। সবাইকে ফূলবাড়ি-বড়পুকুরিয়া অভিমুখে লংমার্চে যোগদান ও তেল-গ্যাস-বিদ্যূত বন্দর রক্ষার লড়াই‌য়ে যোগদান ও সমর্থনের আহবান জানাচ্ছি।

৪৬০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৯

নিঃসঙ্গ বায়স বলেছেন: দিন্মগুর ভাই, লংমার্চ এ গিয়ে সুযোগ হলে অভিজ্ঞতা জানিয়ে একটা পোস্ট দিবেন। "রণাঙ্গন থেকে বলছি..." এই টাইপের B-) আমার এবার সময়ের অভাবে লংমার্চে যাওয়া হলো না :(

৪৬১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: ফাহমিদুল হক আপনার কি মনে হয় না পোষ্ট অতিমাত্রায় একপেশে , আর্মি পবিত্র বাহিনী না , অবশ্যই সমালোচনা হবে , হওয়া উচিত , লেখককে ধন্যবাদ , কিন্তু চরম বিদ্বেষ পুর্ন লেখা , ব্যালেন্স্ নাই ,

পুরষ্কার ও তৃরষ্কার ২ই প্রয়োজন ছিলো ,


ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি কাম্য , যেই হোক !!

৪৬২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭

ইবনান বলেছেন:
৩৬৯. ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:০৯

মনজুরুল হক বলেছেন:
" ওয়াতন কওমকি, কওম তুমলোগ। হামলোগ কওমকি রাখেওয়াল, রাখেওয়াল কওম হ্যায়"।

এই পোস্ট অন্তত ১৫ দিন স্টিকি রাখার দাবি জানাচ্ছি।

-------------

৪৫৮. ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫১

মনজুরুল হক বলেছেন:
সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ পোস্ট সময়মত স্টিকি করণ এবং যথাপোযুক্ত সময়ে ননস্টিকি করার জন্য।

--------------
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৪৬৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৬

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
আরিল, আন্তরিক জবাবের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
পোস্ট ননস্টিকি করা বিষয়ে আপনার বক্তব্য ভালো লেগেছে ।

সামুতে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিলাম , এই সময়ে এসে , আজ এই মুহূর্তে যে কথাটা বলতে ইচ্ছে করছে, তা হলো, আপনারা একটা নতুন ধারায় প্রবেশ করতে যাচ্ছেন । আর এই ধারাটা ধরে রাখলে বেশীর ভাগ ব্লগারকে আপনারা সবসময় সঙ্গে পাবেন, এই কথা জোর দিয়েই বলা যায় ।

ব্লগারই যেহেতু আপনাদের শক্তি, অন্য কোন শক্তিকে কোন অবস্থাতেই ভয় পাবার কিছু নেই । ব্লগাররা সত্যিই এই ব্লগটাকে ভালোবাসেন ।

সেক্ষেত্রে সবচে' বেশী সতর্ক থাকতে হবে আপনাদের যে পক্ষটার জন্য, সেটাকে আপাতদৃষ্টিতে কাছের পক্ষই মনে হয় । সেটা চাটুকার পক্ষ । মোসাহেবী করে এরকম মানুষরা, ক্ষতিটা করে ধীরে । একসময় ফেরার সুযোগ থাকেনা । কারণ, বন্ধুরূপেই তারা কাজটা করে । তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক বুদ্ধি দিতে পারেনা । আমাদের সরকার থেকে শুরু করে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই মোসাহেবরাই চোখের পর্দা সরতে দেয়না ।

সমালোচকরা শত্রু না । কারণ , সমালোচকের সমালোচনায়, আপনার আমার ত্রুটিগুলো পাওয়া যায় ।

শুভ ব্লগিং ।

৪৬৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৮

কল্লোল কর্মকার বলেছেন: আইজকার দুই দুইখান পত্রিকার ল্যাখা দ্যাখলাম রুপগঞ্জের ঘটনা নিয়া। একটায় কইছে রুপগঞ্জ এখনও থমথমে আর আরেকটায় কইছে প্রান ফিরে পেয়েছে রুপগঞ্জ। আসলে অবস্থাটা কি? অবস্থা সেই সাবেক। আইজকাই ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটেও আর্মি কর্পোরেশনের এক জওয়ান লেড়কা(লেড়কা কইলাম কারণ, থার্ড স্ট্যাম্পের ধর্ষকামী চরিত্রটাতো দেখাইতে হইবো) কায়েতটুলী বাজারে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে আসা এক কিশোরকে '' খানকির পুত, রাস্তায় ক্যান, মোবাইল করবি কোন বাপেরে। মোবাইল তোর পুটকি দিয়া ঢুকাইয়া দিমু।'' এই বলে লাগিয়ে দিলো দুঘা। আর আমাগো বিচিছাড়া কতিপয় পত্রিকা কইতাছে ''ওইখানে স্বাভাবিকতার সুবাতাস বইছে''। হায়রে সুবাতাস!! হ...বাতাস বইতাছে ঠিকই তয় জলপাই রংয়ের গন্ধ আছে তাতে, এতো উগ্র গন্ধ যে টেকা দায়।
খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়েরে ভাই। কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

সেই যে গোলা ছাড়া কামানের নল আমাদের আকাশ বরাবর উঠেছে, এখনও তা উঠেই আছে, শুধু এখন আর কামানের নল ফাকা নয়, তার মধ্যে তরতাজা গোলাও আছে। কারণ ওই পাকিস্তানের ভুতেদের বোঝা সারা যে, জনগন যে কোনো মুহুর্তেই তেতে উঠতে পারে। আর তাইতো বন্দুকের সেফটি ক্যাচ সবসময়ই অন থাকে, আর তা দিয়ে বের হয়ে যায় দু-একটা গুলি। কর্পোরেশনের কর্তাব্যাক্তিরা বলেন, অসাবধানে বের হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনাগো অসাবধানে যে কৃষকের মানিকটা মারা গেলো, তার কি হবে?
৭১ এর পর সোনাবাহিনী কি অবদান রাখছে, তার একটাই উত্তর ধর্ষণ আর লুটপাট। সারা পাহাড় জুরে তাদের ধর্ষনের চিত্র আর পুরো দেশ জুরে তাদের লুটপাটের চিত্র। আর্মির বন্ধুরা তো কইবেন যে, আর্মি সোনারা দ্যাশটারে বাচাইয়া রাখছে। বাল রাখছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফ্রন্ট লাইনে থেকে যুদ্ধ করেছিল কারা? এই দেশেরই সাধারণ জনগন। যদিও বীরশ্রেষ্ঠ সব কয়জনই সামরিক বাহিনীর।

জেগে উঠেছে রুপগঞ্জের জানগন, এভাবেই জেগে উঠবে সারাদেশের জনগন। এই জনগনেরই দোর্দান্ড প্রতিবাদে একদিন সেনা কর্তৃত্বের সকল দেয়াল ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। রুপগঞ্জ তার শুরু মাত্র।

ধন্যবাদ আবরো। অনেক কথা বলার ছিলো কিন্তু আপনিই সব বলে দিয়ে শুধু সহমতটাই নিয়ে গেলেন।

রুপগঞ্জবাসীদের লাল সালাম....

৪৬৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫১

কল্লোল কর্মকার বলেছেন: সংশোধনঃ লেখার দৌড়ে কায়েতপাড়া হয়ে গেছিলো কায়েতটুলী। ক্ষমা করবেন.....

৪৬৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫১

সত্যান্বেষী বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন: "এখানে একজন দিনমজুর এক হাজার গিরগিটির চেয়ে এগিয়ে থাকেন।"

৪৬৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫১

সত্যান্বেষী বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন: "এখানে একজন দিনমজুর এক হাজার গিরগিটির চেয়ে এগিয়ে থাকেন।"

৪৬৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: দেশের আভ্যন্তরীণ প্রায় সব বিষয়েই সেনাবাহিনীর নাক গলানোর প্রেক্ষাপট, এর মন্দফল ও উত্তরণের উপায়

৪৬৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গিনিপিগ বলেছেন: একটি রূপগঞ্জ বিদ্রোহ ও অনেক ভাবনা--

Click This Link

৪৭০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৫

মহাকাশ বলেছেন: এমন যৌিক্তক পোষ্ট, লেখক ভাইকে সালাম। ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অনেক মার্শাল যুক্তি আপনার পাল্টা যুক্তিতে টিকতে না পেরে রাগে রুপান্তররিত হয়েছে। সামনে পাইলে মনেহয় খবর কইরা দিত!!!

৪৭১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন: "এখানে একজন দিনমজুর এক হাজার গিরগিটির চেয়ে এগিয়ে থাকেন।"

৪৭২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২১

যুগান্তকারী বলেছেন: সেনা বাহিনীর লোকদের যখন এতই থাকার জায়গার অভাব তাহলে পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে মাল্টিস্টোরিয়েড বিল্ডিং করে দিলেইতো হয়। আর জানা মতে মাল্টিস্টোরিয়েড বিল্ডিংগুলো যেমন জ়ায়গা জমি নিয়ে কেচাল কম হবে তেমন অর্থের সাশ্রয় হবে।আসলে পুজিবাদীর নীল বিষ থেকে সেনা বাহিনীর লোকেরাও মুক্ত হতে পারছে না।যার কারনে পুজিবাদের সকল কুফলগুলো একসাথে মেলে ধরছে তারা।দিনমজুরকে সমসাময়িক লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৪৭৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১

চিন্তা শিল্পী বলেছেন: ছাগু টাইপ সেনা বিদ্বেষী আবাল পোস্টে মাইনাস

৪৭৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: “এই ধরণের ঘটনা থেকে জনগণের অর্থে লালিত পালিত আর্মি কর্পোরেট পুজির মালিকে পরিণত হয়ে আর দশটা কর্পোরেট গ্রুপের মতোই লুটেরা শোষক শ্রেণীর কাতারে দাড়িয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়”

লেখার শেষ অংশে উনি যা বললেন তা থেকে এটা বুঝা যায় যে আর্মি ব্যবসা বানিজ্য বেশ ভালোই করছে। তা না হলে তারা এতো বড় পুজি কিভাবে গড়ে তোলে? তবে তাতে করে তারা পুজির মালিক কিভাবে হয়ে যান তা বোধগম্য নয়। আর্মি একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান। তারা যে কারখানা পরিচালনা করে তাও সরকারী। সুতরাং আর্মি বড়জোর ব্যবসা পরিচালনাকারী। তারা কিভাবে তার মালিক বনে যান? বিপিসিও তো তেল বেচে অনেক মুনাফা করছে। কই এটা তো বলেন না যে বিপিসির সাথে সংস্লিষ্ট বেসামরিক আমলারা কর্পোরেট পুজির মালিকে পরিনত হয়েছেন?

দিনমজুর ভাইজানের ভাষ্যমতেঃ “বিবিসির কামাল আহমেদ একটা রেডিও ডকুমেন্টারিতে ফৌজি বাণিজ্যের দুর্দান্ত একটা তত্ত্ব তালাশ করেছেন”। ওই রিপোর্টটা পড়ার পর বুঝলাম দিনমজুর ভাইজান বেশ দুর্দান্তভাবেই ওই লেখার শুধুমাত্র শেষের অংশ (আর্মি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমুহের তালিকা) ওনার ব্লগে উল্লেখ করলেন অন্য কোন অংশ নয়। কারন অন্য অংশ তুলে ধরলে ওনার প্রতিরক্ষা বাহিনীর বানিজ্য বিষয়ক বিতর্ক (নাকি বিভ্রান্তি) নখ-দন্তহীন হয়ে যায়।

সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে,
After independence in 1971, the SKS began its journey only with Tk 2.5 crore. Within four years, the tiny investment turned into Tk 100 crore, the documentary said.
The property value of the projects and commercial efforts related to Bangladesh Army is estimated to be at least Tk 3,000 crore, the documentary said.
প্রথমতঃ আর্মিদের বানিজ্য স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু এবং র্নিবাচিত গনতান্ত্রিক সরকারের আমল থেকেই শুরু। কোন সামরিক শাসক এর সময়ে এর প্রচলন হয়নি। দ্বিতীয়তঃ তাদের সফল পরিচালনার কারনে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা দিন দিন বেড়েছে কমেনি। যেখানে অন্যান্য বেসামরিক আমলা দ্বারা পরিচালিত সরকারী প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন লোকসান দেয় সেখানে আর্মি কর্তৃক পরিচালিত সরকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফা করে।
Both Bangladesh Army and Air Force of the armed forces division are directly involved in businesses.
Following huge interest in businesses by both the forces, the government handed over several government loss-incurred-institutions to them.
তার মানে হলো এই যে আর্মিরা পরিচালনার জন্য যা পায় তা সরকারের লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহ কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। এখন এইসব লোকসানি প্রতিষ্ঠান যদি আর্মিরা ভালোভাবে চালায় তাহলে দিনমজুর ভাইজানের লোকসানটা কোথায়? কিংবা বেসামরিক আমলাদের হাতে কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান যদি বছরের পর বছর লোকসান দেয় তাতে দিনমজুর ভাইজানের লাভটাই বা কোথায়?
“The trust or institutions related with Bangladesh army do not deviate from the fundamental characteristics of capital in a capitalist society,” the documentary added.
তার মানে বাংলাদেশ আর্মির সাথে সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পুজিবাদী সমাজের মূল উপাদানগুলোকে পাশ কাটিয়ে কোন রকম বানিজ্য করছে না। কিংবা বাংলাদেশ আর্মির বানিজ্যের কারনে মূলধারার বানিজ্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না।

আর্মিরা যে প্রতিষ্ঠানগুল সফলভাবে পরিচালনা করছে সেসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ মানুষ বেসামরিক মানুষ। সুতরাং এই সফল পরিচালনার সুফলভোগী কিন্তু সেইসব বেসামরিক জনগনই। দিনমজুর ভাইজানের নামটা মজুর হলেও উনি আর্মিদের বানিজ্যকে কটাক্ষ করে যা লিখলেন তা কিন্তু ঐসকল বেসামরিক মজুরদের স্বার্থ বিরোধী হয়ে যায়।

দিনমজুর ভাইজান পরবর্তিতে একটু সর্তকতার সাথে তথ্যসূত্র দিয়েন কখন কোনটা বুমেরাং হয়ে যায়.... তার কি ঠিক আছে?

৪৭৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

িজসান বলেছেন: +++++++

৪৭৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৫

shapnobilash_cu বলেছেন: অসাধারণ

৪৭৭| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০৪

মেয়র বলেছেন: লেখক এক মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন,

== "রাষ্ট্র জিনিসটাকেই আমরা মনে করি এক শ্রেণী কর্তৃক আরেক শ্রেণীর উপর আধিপত্য আর শোষণের হাতিয়ার। শ্রেণীশোষণের অবসানের সাথে সাথে আমরা রাষ্ট্র্ ও তার সমস্ত আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানেরই বিলুপ্তি চাই।..."..

--- আমি চরম আনন্দিত এবং অবাক যে, আমারও যা একই উপলদ্ধি আমি অনেকের সাথেই বলতাম এবং আজ আপনার লেখায় পড়ে জানলাম আপনিও তাই মনে করেন। আমার কাছে মনে হয়, রাষ্ট্র ধারণাটাই মূলত শোষনের জন্য এবং রাজাদের বিলাসিতার জন্য। জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ইত্যাদি ব্যবহার করে রাজারা প্রজাদের কে তাদের রাজ সম্পদ রক্ষার জন্য যুদ্ধ করায়... পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা যুদ্ধের নাম কি বলা যাবে যার প্রধাণ কারণ রাজার ব্যক্তিগত বা কিছু রাজ শ্রেনীর স্বার্থ সম্বলিত ছিল না ? আমি খুজে পাই নি।

পৃথিবীতে যখন নগ্ন রাজতন্ত্র ছিল, তখন সব যুদ্ধ ত রাজার একান্ত ব্যক্তিগত কারণেই হত, খুবই উল্লেখযোগ্য এক যুদ্ধ ছিল 'ট্রোজান ওয়্যার'.. হেলেন নামে এক সুন্দরী নারী (রাজার স্ত্রী) র জন্য কত মানুষ জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে জীবন দিল... !!!

ধর্ম যুদ্ধ গুলোকেও একই কাতারে ফালানো যায়, যেখানে রাজার ভুমিকা পালন করে কোন ধর্মীয় নেতা.. সেখানে জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় 'নারায়ে তাকবীর... আল্লাহু আকবর..' অথবা.. 'জয় কালী... ' ইত্যাদি...

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সবই ছিল কিছু মেনিয়াক লোভী প্রেসিডেন্টের নিজস্ব লোভ আর সাইকোলোজিক্যাল কারণ.... এক দেশের সাধারন মানুষের জন্য কথনই অন্য দেশের সাধারন মানুষের সাথে যুদ্ধের প্রয়োজন হয় নি। হ্যা, যেসব দাঙ্গা হয়েছে, সেগুলোকেও একই সুত্রে ফেলা যায়, .. শোষক শ্রেনীর কিছু নেতা তাদের স্বার্থের জন্য মানুষে মানুষে দাঙ্গা লাগিয়েছে যেখানে একজন মানুষ সত্যিকার অর্থে জানেনা আরেক মানুষকে সে কেন মারছে যার সাথে তার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই।

৪৭৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: শেয়ার করলাম এই এতোদিন পরেও...

৪৭৯| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এক্কেবারে মনের কথাগুলির অনুরণন পাইলাম আপনার এই পোস্টে ...
পোস্টটা শেয়ার করবো এতোদিন পরে হইলেও ...

৪৮০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম....

৪৮১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: প্রিয়তম পোস্টগুলার একটা...

আবারো এলাম...

২৯৩ তম প্লাস...

৪৮২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০২

ডক্টর ওসমান বলেছেন: দীর্ঘদিনের চেপে রাখা কষ্টের কথা গুলু আজ আপনার কলমে দেখতে পেয়ে কেঁদে দিচ্ছিলাম প্রায়। স্যালুট বস আপনাকে।

৪৮৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

gamepinupcasino বলেছেন: Пин Ап Казино или же [url=https://pin-up777.ru/]Pin Up[/url] Casino эти игровые автоматы не обещают каждому игроку миллионы долларов, они лишь выполняют свои обязанности и четко выплачивают выигрыши!

৪৮৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৭

gamepinupcasino বলেছেন: Игровые автоматы [url=https://pin-up777.ru/]Пин Ап[/url] Казино имеют официальную лицензию и стабильно выплачивают игрокам их выигрыши!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.