![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন
এক.
দৃশ্য১: সিরাজ সাঁই এর আখড়া। সিরাজ সাই তরুণ লালনকে “সঙ্গ” দেয়ার জন্য একজন নারীকে ডাকলেন। ক্যামেরায় সেই নারীকে দেখা গেল। চোখে মুখে প্রচন্ড কামুকতা। এসেই লালনকে জড়িয়ে ধরে একটা ঘরের দিকে যেতে থাকল। লালন যেন অবশ কিংবা বশ হয়ে গিয়েছেন।তার সাথে সাথে চলেছেন। হঠাত সিরাজ সাঁই লালনকে পিছু ডাকলেন। যেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও লালন সিরাজ সাঁই এর কাছে ফিরে আসলেন (সিনেমা হলে প্রচন্ড হাত তালি)। সিরাজ সাই লালনকে সাবধান করে বললেন যে কাজ তুমি করতে যাচ্ছ সে কাজ বিপদজনক । তোমাকে বিন্দু ধারণ করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। পরের দৃশ্যে সেই নারী ঘনিষ্ঠ অবস্থায় লালনকে জিজ্ঞেস করে, পারবে অমাবশ্যায় পূণির্মা জাগাতে? লালন ইতিবাচক সাড়া দেয়। এর আগের একটা দৃশ্যে দেখা যায় সংসারের মায়ায় আচ্ছন্ন তরুণ লালনকে স্থির করার জন্য সিরাজ সাঁই একজন সাধন সঙ্গীনি জুটিয়ে দেয়ার কথা বলছিলেন।
ছবি-১:লালনের সঙ্গীনি হবার ডাক পাওয়ার পর ময়ুরির হাসি
দৃশ্য২: লালন সাঁই এর আখড়া। একলা ঘরে লালন বসে আছেন। অন্ধকার ঘরে কেবল চাদের আলো খেলা করছে। কলমি এসে লালনের সাথে কথা বলার অনুমতি চায়। লালন তাকে বসতে বলে। কলমি লালনের কাধে মুখ ঘষতে থাকে, বলতে থাকে “আমার জ্বালা মিটিয়ে দেও গো সাঁই” লালনের চোখ মুখ কেমন শক্ত হয়ে যায়। ক্যামেরা লালনের মুখের উপর স্থির। কলমির হাত এবং মুখ লালনের গা বেয়ে নীচে নামতে থাকে। আস্তে আস্তে এত নীচে নেমে যায় যে আর দেখা যায় না। লালন নিজেকে সংবরণ করার চেষ্টা করছে। একপর্যায়ে কলমির খিলখিল হাসি শোনা যায়। কলমি বলে উঠে, “এইতো তোমার শরীর জেগে উঠেছে। আমাকে শান্ত করো সাঁই। তুমি দেখছি ভাবের ঘরে চুরি করো সাই।“ লালন স্থির গলায় বলে উঠে, “শরীর জাগে শরীরের নিয়মে, মন যদি না জাগে?” কলমি চলে যায়।
ছবি-২:"আমার জ্বালা মিটাও সাই"
দৃশ্য৩: লালন সাঁই এর আখড়া। কলমি ঘরের চালে ঘরবাধার কাজে ব্যাস্ত কালুয়ার দিকে ইঙ্গিত মূলক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। কালুয়া চাল থেকে নেমে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে থাকে। নিজের হাতে বানানো ঘর নিজেই দা দিয়ে কোপাতে থাকে। সব দেখে শুনে লালন কালুয়াকে বলে তার নারী সঙ্গ প্রয়োজন এবং কলমি কে বলে কালুয়ার “সেবা” করতে। কলমি জানায় কালুয়ার সাথে একসময় তার সম্পর্ক ছিল কিন্ত কালুয়া সমাজের ভয়ে কলমিকে গ্রহণ করে নি সেসময়। একথা বলেই কলমি গান ধরে: “সময় গেলে সাধন হবে না”। শেষে যেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও লালনের নিদের্শে পালন করতে রাজী হয়ে যায় কলমি।
ছবি-৩:কালুয়ার দিকে কমলির ইঙ্গিতময় দৃষ্টি
উপরের দৃশ্য তিনটি সম্পর্কে কথাবাতা দিয়েই “মনের মানুষ” সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক। দৃশ্যগুলোতে সাধারণ ভাবে বাউল সম্প্রদায় এবং বিশেষ ভাবে লালন ও তার শিষ্যদের মধ্যকার নারী পুরুষ সম্পর্ক চর্চার এক ধরণের রিপ্রেজেন্টেশান রয়েছে, যে রিপ্রেজেন্টেশান কোন ধরণের পরিপ্রেক্ষিত কিংবা কার্যকারণ ব্যাখ্যা ছাড়াই লালন, তার গুরু ও শিষ্যদের যৌনতাকে হাজির করে। প্রথম ও তৃতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, আখড়ার নারীরা প্রচন্ড কামুকি, সিরাজ সাই কিংবা লালন তাদের ততোধিক কামার্ত শিষ্যদেরকে ঠান্ডা করার জন্য এই কামুকি নারীদেরকে স্রেফ অবজেক্ট বা উপকরণ হিসেবে ব্যাবহার করছেন। এছাড়া তৃতীয় দৃশ্যে “সময় গেলে সাধন হবে না” এই সাধনতত্ত্বের গানটির ব্যাবহার ও সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটিও গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় দৃশ্যটিতে কলমিকে কামুকি হিসেবে হাজির করা হলেও দেখানো হয় প্রথম দৃশ্যের কামে বিবশ লালন আরেকটু পরিণত বয়সে এসে কামকে দমন করছেন। আর এই দেখানোর আযোজনে কলমির মুখে “জ্বালা মিটানো”, “শান্ত করো” ইত্যাদি শব্দ কিংবা মুখ ও হাত নীচে নামিয়ে লালনের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করার ইঙ্গিত প্রদান, খিল খিল হাসি ইত্যাদির ব্যাবহার ও দর্শকের কাছে তার সম্ভাব্য মেসেজ বা বার্তাটি লক্ষণীয়।
বাউল সাধনায় জ্ঞানাচার, যোগাচার ও বামাচার- এই তিন ধরনেরই মিশ্রন আছে। এর মধ্যে বামাচারী সাধনা সকাম সাধনা। নারী সংসর্গ ও সঙ্গম এরুপ সাধনার অংশ। লালন ও তার শিষ্য সম্প্রদায়ের সাধনার মধ্যেও নিশ্চিত ভাবেই নারী সংসর্গ ও সঙ্গম এর বিষয়টি যুক্ত। কিন্তু সেটা সাধনারই একটা অংশ, কোন ভাবেই কামোন্মত্ত নারী-পুরুষকে ঠান্ডা করার জন্য পশুর মতো হুট হাট জোড় বেধে দেয়া নয়, কিংবা নারীকে সেই কাম নিবৃত্ত করার অবজেক্ট হিসেবে ব্যাবহার নয়। লালন সাই এ ক্ষেত্রে ভাবের মিলের ব্যাপারে জোর দিয়ে বলেছিলেন:
“আগে ভাব জেনে প্রেম করো
যাতে ঘুচবে মনের যাতনা।।
ভাব দিলে বিদেশীর ভাবে
ভাবে ভাব কভু না মিশিবে
শেষে পথের মাথায় গোল বাধাবে
কারো সাথে কেউ যাবে না।।“
আর প্রেম ও কামের সম্পকের্রে ব্যাপারে বলেছেন:
“সহজ প্রেমে ডুব নারে মন কেনে।
আগে ডুবলে পাবা সোনার মানুষ
আছে রে যোগ-ধ্যানে।।
এই কামের ঘরে কপাট মারো
ভাবের একতালা গড়ো
এঁটে দাও প্রেম-ছোড়ানী মেরে।।“
কিংবা
“বলবো কি সেই প্রেমের বাণী
কামে থেকে হয় নিষ্কামী
সে যে শুদ্ধ সহজ রস
করিয়ে বিশ্বাস
দোঁহার মন দোঁহার ভাবে।।“
ছবিটিতে নারী-পুরুষের সম্পর্ককে এই “ভাব জেনে প্রেম করা”, “কামী থেকে নিষ্কামী হয়ে উঠা” কিংবা “কামের ঘরে কপাট মারা”র সাধনার অংশ হিসেবে দেখি না, দেখি কামোন্মত্ত নারী-পুরুষের কাম নিবৃত্ত করার উপায় হিসেবে, লালন কিংবা সিরাজ সাইয়ের ভূমিকা যেখানে গুরুর নয়, দালালের।
দুই.
ছবির ন্যারেটিভ কন্সট্রাকশান বা আখ্যান নির্মাণের জন্য লালনকে জোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরায় বসিয়ে গল্প বলানো হয়েছে। লালন খাজনা মওকুফের জন্য ঠাকুর বাড়ির জামিদারের কাছে এসে তার জীবনের গল্প বলছেন, ফাঁকে ফাঁকে গান গাইছেন, ঠাকুর জমিদার লালনের ছবি আকছেন, লালন সম্পর্কে নানান প্রশ্ন করছেন, তার বিষ্ময় প্রকাশ করছেন এবং এক পর্যায়ে মুগ্ধ হয়ে জমিদারের জমিতে বানানো আখড়ার খাজনা মৌকুফ করে দিচ্ছেন এরকম একটি কাঠামোর মধ্যদিয়ে পরিচালক ”মনের মানুষ” ছবির গল্পটি বলেন। ছোট বড় ফ্ল্যাশ ব্যাকের মধ্যে দিয়ে গল্প এগিয়ে চলে। আমরা দেখি হিন্দু পরিবারে বেড়ে উঠা তরুণ লালু বাউল গান গাওয়ার চেষ্টা করছে, সিরাজ সাইয়ের সাথে তার কথোপকথন, দেখি কবিরাজ/তালুকদারের ঘোড়ার সহিস হিসেবে তীর্থ যাত্রায় গিয়ে বসন্ত রোগাক্রান্ত হয়, তাকে কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেয়া হয়, ছেউরিয়ায় তাকে নদী থেকে উদ্ধার করে এক মুসলমান তাতী বউ তার জীবন বাচায়, সিরাজ সাইয়ের সাথে আবার দেখা হয়, সিরাজ সাইয়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লালন, জাতপাত অস্বীকার করে এবং এক পর্যায়ে নিজেই ছেউরিয়ায় নদীর অপর পাড়ে জ্গংলের মধ্যে আস্তানা গেড়ে গড়ে তুলে তার আখড়া ”আনন্দবাজার”।
এই কথিত আনন্দবাজারে লালন ও তার শীষ্যদের কাজ হলো কেবল গান গাওয়া। নদীর পাড়ে, গাছ তলায়, খড়ের ছাউনির নীচে ক্যাম্পফায়ারের আদলে বেশ এক্সোটিক আয়োজনে চকচকে নতুন কাপড় পড়ে কেবল গান গান তারা। গায়িকার নাচ আর মুখ ও শরীরের বিশেষ ভংগীতে ভীষণ মজে যাওযা পরিচালক নানান অ্যাঙ্গেলে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ড্রামাটাইজড করে সে দৃশ্য উপহার দেন দর্শকদের।
ছবি৪: ড্রামাটাইজড এবং গ্লামারাইজড নাচা-গানা
আনন্দবাজারের লালন স¤প্রদায়ের যৌথ জীবনের শুধু যৌনতার অংশটুকু ছাড়া আরো কোন বিষয়ে কোন ডিটেল বা বিস্তারিত বর্ণনার কোন ঝোঁক আমরা পরিচালকের মধ্যে দেখি না। জাতপাত অস্বীকার করে এক পাতে খাওযার দৃশ্য আমরা দেখি, কিন্তু সে খাওয়া খাদ্যের উৎস কি সে বিষয়ে ডিটেল তো দূরের কথা কোন ইঙ্গিত পর্যন্ত ছবিতে নেই। লালন কি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেবলই গানবাজনা করতেন আর মাঝে মাঝে মোল্লা পুরুতদের সাথে বাহাস করতেন? তারা কি সেখানে কৃষিকাজ সহ কোন ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে যুক্ত ছিলেন নাকি গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতেন? সমাজ থেকে খেদিয়ে দেয়া লোকজন নিয়ে ছেউরিয়ায় যে আখড়া গড়ে উঠার আখ্যান দেখানো হয় ছবিতে তার সাথে বৃহত্তর সমাজের সম্পর্ক কি? নদীয়া থেকে রংপুর পর্যন্ত যে বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে লালনের জনপ্রিয়তা ও শক্তিশালি ভিত্তি তৈরী হয়েছিল তার উৎসই বা কি? এ কি কেবলি কাঙাল হরিণাথের মুখ দিয়ে বলানো ”গান শুনে” ভক্ত বনে যাওয়া নাকি তাতি-জোলা স¤প্রদায়ের জীবনের সংগ্রামের সাথে এর কোন যোগ ছিল? ভদ্রলোক পরিচালক গৌতম ঘোষ লালন ও তার স¤প্রদায়ের নারী-পুরুষের যৌনতা বিষয়ে যতটুকু আগ্রহ দিখিয়েছেন তার এক শতাংশ আগ্রহও দেখান নি তার সামাজিক ও যৌথ জীবনের অন্যান্য অনুষঙ্গে। আবার যতটুকু এনেছেন, সেটাকে এনেছেন ছাড়া ছাড়া ভাবে, খন্ডিত, খর্বিত, সরলীকৃত ও বিকৃত রুপে।
তিন.
গোটা ছবিতে দেখা যায় লালন স¤প্রদায়ের প্রধান শত্রু হলো মোল্লা আর পুরুত মশাইরা আর প্রধান পৃষ্ঠ পোষক হলো জামিদার। অথচ মোল্লা-পুরুতদের পাশাপাশি বাংলার মানুষের ওরাল ন্যারেটিভ বা কথ্য ইতিহাসের মধ্যে জামিদার তন্ত্রের সাথে লালন সম্প্রদায়ের রীতিমত লাঠালাঠির ঘটনার উল্ল্যেখ পাওয়া যায়। অথচ ছবিতে দেখা যায় ঠাকুর বাড়ির জমিদার দয়া পরবশত খাজনা মৌকুফ করে দিচ্ছে, পাবনার জমিদাদের লাঠিয়াল বাহিনী মোল্লা-পুরুতদের আক্রমণ থেকে লালন ও তার শীষ্যদের রক্ষা করছে! মোল্লা-পুরুতদের সাথে সংঘর্ষের দৃশ্য গুলোও ভীষণ খাপছাড়া। যেমন: পাবনার জমিদারের আমন্ত্রণে লালন মোল্লা পুরুতদের সাথে বাহাস করতে যান। সেখানে ভীষণ কাচা ও দুর্বল সংলাপের বাহাসের মধ্যে দিয়ে লালন মোল্লা-পুরুতদের পরাস্ত করলেও দেখা যায় উপস্থিত দর্শক-জনতা কোন এক অজানা কারণে লালনের দলের উপর ইট-পাটকেল ও লাঠিশোঠা নিয়ে আক্রমণ চালায় আর সে আক্রমণ থেকে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করে জামিদারের লাঠিয়াল বাহিনী!
ছবিতে তরুণ লালনকে দেখা যায় লালন হয়ে উঠার আগেই ”আর আমারে মারিস নে মা’র মতো গান গাইতে। তরুণ লালনের মধ্যে জাত-পাত বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠার পেছনে হাজির করা হয় স্রেফ তার নিজের হিন্দু পরিবার কর্তৃক মুসলমানের হাতে খাওয়ার অপরাধে প্রত্যাখ্যাত হবার কার্য-কারণ। পরিবার কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর নিজ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় গান শোনা যায়:”এ দেশেতে এই সুখ হল/আবার কোথা যাই না জানি”। লালনের আত্মতত্ত্ব মূলক এই গানটির এই ব্যাবহার উপরে উল্ল্যেখিত ”সময় গেলে সাধন হবে না” গানের ব্যাবহারের ধরণের সাথে এক সূত্রে গাথা। জলবসন্তে মরণ প্রায় লালনকে উদ্ধার করেছিলেন মতিজান। কিন্তু আমরা ছবিতে তার নাম দেখি রাবেয়া। বাস্তবে লালন ছেউড়িয়ায় তাতিদের মধ্যেই আখড়া স্থাপন করলেও ছবিতে দেখা যায় তিনি নদীর অপর পাড়ে জঙ্গলের মধ্যে নাচ-গানে ভরপুর আনন্দবাজার স্থাপন করেছেন। লালনের প্রধান সাধন সঙ্গী বিশাখার কোন উল্ল্যেখই নাই ছবিতে তার বদলে জুড়ে বসেছে কলমি। এছাড়া তার অন্যান্য প্রধান শিষ্যদের সাথে লালনের সম্পর্কের ভিত্তি কিংবা ধরণ-ধারণের কোন ছায়াও ছবিটি তে নেই। কালুয়া নামের যে চরিত্রটি লালনকে দোস্ত বলে সম্বোধন করে এবং বিভিন্ন ভাবে পাগলামি করে দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে তার ঐতিহাসিক সত্যতা আমাদের জানা নাই। এরকম আরো অসংখ্য খণ্ডায়ণ, খর্বায়ন, বিকৃতি কিংবা সরলিকরণের ছাপ ছবিটিতে রয়েছে যেগুলো উল্ল্যেখ করে আলোচনা দীর্ঘায়িত করার কোন মানে হয়না।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র কি ইতিহাস যে ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনা চরিত্রকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নিক্তিতে মেপে উপস্থাপন করতে হবে? আমরা তা দাবী করছিও না, নিশ্চিত ভাবেই ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্র বা জীবন দর্শন রূপায়নের প্রয়োজনে নতুন ঘটনা বা চরিত্র আমাদানীর স্বাধীনতা চলিচ্চত্রকারের রয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতারও একটা সীমা রয়েছে। ইতিহাসের অজানা অচেনা অধ্যায়কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রকারের যে স্বাধীনতা সেটা কিন্তু তার সাথে সম্পর্কিত কোন ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত, জানা এমনকি বর্তমান সময়েও চলমান কোন জীবন দর্শন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে বিকৃত, খন্ডিত বা সরলীকৃত করে হাজির করাকে অনুমোদন করে না। ছক্ষির পরিচালক গৌতম ঘোষ কিংবা বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও আর্শিবাদ চলচ্চিত্র এবং ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা রোজ বেলি ফিল্মস কিংবা বাংলাদেশে ছবিটির কর্পোরেট নিবেদক বাংলালিংক এলিট শ্রেণীর কোন মহানায়ক বা জাতীয় বীরকে নিয়ে এ ধরণের স্বেচ্ছাচার করার স্পর্ধা দেখাতো না, লালন নিম্নবর্গের নায়ক কিংবা জাতহীন বলেই, তাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যায় কিংবা যা ইচ্ছা করানোও যায়! আর লালনকে নিয়ে এই যা ইচ্ছা তাই করা ও করানো এবং সেটাকে লালনের জীবন দর্শন বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টাকে সাংস্কৃতিক জমিনের উপর চলমান কর্পোরেট, বহুজাতিক ও বিজাতীয় আগ্রাসন ও দখলদ্বারিত্বের নমুনা হিসেবেই দেখতে হবে এবং মোকাবিলা করতে হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৪
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন, আমাদের সাথে এই ছবি বিষয়ে যাদের কথা হয়েছে তাদের বেশির ভাগেরই একই অবস্থা। তবে বাংলাদেশের একটা এলিট গোষ্ঠী আবার এই ছবি নিয়ে বেশ বাকবাকুম। সংসদের স্পিকারের জন্ম দিনে বসুন্ধরা সিটিতে দলবল নিয়ে লালন দেখার ঘটনাও ঘটেছে! আবার কোলকাতায় তো এই ছবি নিয়ে বেশ প্রশংসা হচ্ছে।
তপন রায় চৌধুরি সাহেবরা দেশ পত্রিকায় আর্টিক্যাল লিখে রীতি মত ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন, ছবিটা নাকি "শেষ্ঠ অর্থে ধর্মগ্রন্থ হয়ে উঠে" কারণ "সব ছাড়িয়ে একটি সুরই ছবি শেষ হওয়ার পর দর্শকের মনে অনুরণিত হয়, মানব জীবনে ঈশ্বর প্রেমের গভীর ও অন্তহীন সম্ভাবনা।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৭
রাজসোহান বলেছেন: সত্য কথা বলতে এই ছবিতে লালনকে রেপ করা হয়েছে, জা আগেই ধারনা করেছিলাম।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৫
দিনমজুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০১
রোবট ভিশন বলেছেন: আরো অনেক পড়াশুনা করে মন্তব্য করতে হবে। ভালোই লিখেছেন। ছবি এর যে ট্রেলার দেখলাম, তাতে আমারো মনে হয়েছে, যৌনাতা ব্যাপার টিকে বেশি ফুটানো হইয়েছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৬
দিনমজুর বলেছেন: হু, ট্রেইলার দেখলেও একটা আন্দাজ পাওয়া যায় ছবির পরিচালক কোন বিষয়টাকে প্রাধান্য দিতে চান!
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৯
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: অন্যভাবে বলা যায়, এটা জাতে তোলার তরিকাও বটে। এরা লালনকে লালমোহন কর বানিয়ে জাতে তুলতে চান, আর তেনারা লালনের ধামে আজমীরি গম্বুজ বানিয়ে জাতে তুলতে চান।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৪
দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। টক শো কিংবা সাক্ষাতকারে বার বার লালন দর্শন ইত্যাদি নিয়ে কথা বললেও দেখা গেল লালনের দর্শনকে বুঝতে গেলে আগে এদের জন্য লালনের ধর্ম পরিচয় খোজাটা জরুরী হয়ে পড়ে!
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৯
চিকন আলি বলেছেন: আপনার লেখার প্রথম অংশ পড়ে তো আমার গা গরম হইয়া গেলো....। বাপরে বাপ.. আমার আর ছবি দেখার দরকার নাই।
আর শেষের অংশ পড়ে মনে হলো ছবিটাতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৬
দিনমজুর বলেছেন: হু গা গরম হওয়ার মতোই ব্যাপার! এই লেখার ২ নং ছবিটায় নীল রঙ এর প্রাধান্য, কমলির মখের এক্সপ্রেশান দেখেন--- গা গরম করাই উদ্দেশ্য, তাই না?
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১০
wPinwir বলেছেন: দেখার ইচ্ছাটা রিভিউ পড়ে মরে গেলো
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৮
দিনমজুর বলেছেন: আহা! গৌতম ঘোষ আর ইমপ্রেস ওয়ালাদের তাহলে কি হবে !
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১০
clingb বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। গভীর বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ। অনেকগুলো প্লাস দিলাম।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৩
এম চৌধুরী বলেছেন: এটা শুধু বাজার পাওয়ার প্রচেষ্টা বলেই মনে হয়।
বিশ্লেষণধর্মী লেখাটা চরম লাগল। লেখনীর ভাষা আর বলিষ্ঠতাকে সালাম।
পুত্তম পিলাচ!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৩
দিনমজুর বলেছেন: বাজার ধরার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ছবিটারে আপনি ভারতীয় রোজ বেলি ফিল্মস আর বাংলাদেশের ইমপ্রেস কিংবা আশীবার্দ গং এর মহড়া বলতে পারেন। সফল হলে এরা মধ্যবিত্তের জন্য এইরকম আরো অসংখ্য বানানোর ধান্দা করবে নিশ্চিত...
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: প্রথম দিকে ইচ্ছা ছিল ছবি টা দেখার । এমন কি ২ দিন আগেও ভেবেছিলাম দেখবো। কিন্তু এখন আর দেখার কোন আগ্রহ পাচ্ছি না ।
এ ছবি নিয়া কোলকাতা তে শুনেছি খুব আলোচনা হচ্ছে । হিট শুনেছি
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৭
দিনমজুর বলেছেন: দেশ পত্রিকায় তপন রায় চৌধুরি তো প্রবন্ধ লিখে এইটারে ধর্ম গ্রন্থের সাথে তুলনা করে ফেলছেন! এই ছবিটা দেখার সময় তাদের মনে হইছে তারা "অপরুপ স্বপ্ন দেখছে"!
ই অপরুপ স্বপ্ন দেখার ব্যাপারটা ইন্টারেষ্টিং.. এইটারে আমরা শ্রেণীগত স্বীকারোক্তিই কমু....ছবির জমিদার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সাথে এরা বেশ একাত্ম বোধ করে, জমিদার সাহেবের মতোই এদের কাছে আনন্দবাজার হইল একটা ইউটোপিয়া, একটা টুরিষ্ট স্পট যেখানে মধ্যবিত্ত জীবনের গ্লানি মুছে ফেলার জন্য আনন্দভ্রমণ করা যায়.. ছবি দেখতে দেখতে বাবু তপন রায় চৌধুরি সেই আনন্দ ভ্রমণটিই সারছিলেন, যেকারণে ফিল্ম শেষ হওয়ার পর তার মনে হইছিল "সব মিলিয়ে প্রায় অতীন্দ্রীয় অভিজ্ঞতায় আড়াই ঘন্টা সময় ডুবে ছিলাম"।
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২২
মিঠাপুর বলেছেন: দূর মিয়া। আপনি গেছেন ঐ সব খুজতে,,,, তাই আপনার চোখে এর বেশি কিছু ধরা পড়ার কথা না।
তাই মাইনাস দিলাম।
অসাধারণ একটা সিনেমা কে আপনি তো থ্রি এক্স বানাইয়া দিলেন। আপনার চোখে কি পজিটিভ কিছুই পড়লো না এই সিনেমার?
.......................
ক্যামেরার কাজ? দৃশ্য সিলেকশন, চন্বল চৌধুরীর অসাধারণ অভিনয়,
সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত সিনেমা টা দর্শক ধরে রাখা,
.........................
আর এটা সিনেমা, লালনের জীবনি না, যে সব হুবহ হবে।
সব কিছু বাস্তবের মত হুবহ হলে তো আর সিনেমা হত না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩১
দিনমজুর বলেছেন: ভাই ভীষণ দু:খিত আসলেই পজিটিভ কিছুই চোখে পড়ে নাই.. ভদ্রলোক চকচকে সিনেমাটোগ্রাফি ভালোই করে... কিন্তু ভালো সিনেমাটোগ্রাফি কিংবা ভালো ক্যামেরার কাজ ধুইয়া কি পানি খামু... ভালো টেকনিক দিয়া শেষ পর্যন্ত বানাইল কি? লালনরে কোই নিয়া খাড় করাইল! তার চেয়ে থ্রি এক্স বানাইলে ভালো হইতো... দর্শক বুইঝা শুইনা হলে যাইতো!
আমরা কিন্তু বলছি যে সবকিছু হুবুহু হবে এরকম কোন কথা নেই। আমরা তা দাবী করছিও না, নিশ্চিত ভাবেই ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্র বা জীবন দর্শন রূপায়নের প্রয়োজনে নতুন ঘটনা বা চরিত্র আমাদানীর স্বাধীনতা চলিচ্চত্রকারের রয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতারও একটা সীমা রয়েছে। ইতিহাসের অজানা অচেনা অধ্যায়কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রকারের যে স্বাধীনতা সেটা কিন্তু তার সাথে সম্পর্কিত কোন ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত, জানা এমনকি বর্তমান সময়েও চলমান কোন জীবন দর্শন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে বিকৃত, খন্ডিত বা সরলীকৃত করে হাজির করাকে অনুমোদন করে না।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২২
লুব্দক বলেছেন: এ জন্যেই বোধ হয় এতটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এ ছবিটি।
এখনও দেখিনাই। দেখলে আরো বুঝতে পারব।
কেমন যেন হয়েগেছে পৃথিবীটা। সবাই কেমন যেন সত্যকে লুকোতে চায় আর মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ব্যাকুল। আবার তারা পুরস্কৃত। বাহ দুনিয়া বাহ্।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৪
দিনমজুর বলেছেন: ছবিটা কোন শ্রেণীর মানুষের মাঝে কেমন আলোড়ন তৈরী করছে সেইটা এখনও পরিস্কার না। ছবিটা কেমন ব্যাবসা করতাছে তাও জানা নাই। আমরা যখন দেখতে গেছি, তখন বলাকায় খুব বেশি ভীড় দেখি নাই... তবে বলাকা বসুন্ধরায় তো বেশ কয়েক সপ্তাহ ধইরা ছবিটা চলতাছে..
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৩
মাহবু১৫৪ বলেছেন: প্রথম দিকে ইচ্ছা ছিল ছবি টা দেখার । এমন কি ২ দিন আগেও ভেবেছিলাম দেখবো। কিন্তু এখন আর দেখার কোন আগ্রহ পাচ্ছি না ।
এ ছবি নিয়া কোলকাতা তে শুনেছি খুব আলোচনা হচ্ছে । হিট শুনেছি
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন এর জন্য ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৪
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: +। হলিউডের ধাক্কায় বলিউড বেসামাল। যার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গও বাদ যায় নি। সেখানকার পরিচালকরা বেশ সাহসী। তারপরেও কোন নিজস্ব কাহিনী যদি নির্মাণ করত বলার কিছু ছিল না। কিন্তু লালনের মূল জীবনধারাকে ছাপিয়ে যৌনতাকে প্রাধান্য দিয়ে পুরো ব্যপারটাকেই বদলিয়ে দিল। এরই নাম বাণিজ্যিক মুনাফা। আর আমাদের স্পীকার ভারতীয় পরিচালকের কথা শুনে সদল বলে হাজির। অথচ তাদের দেশীয় চলচিত্রকে উৎসাহ দিতে তেমন দেখা যায় না। ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৫
দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৩
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: জোস লিখেছেন
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৫
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৪
কাদামাটি বলেছেন: নারে ভাই,,, আপনি যেমন করে লিখেছেন আমি ওতোটা খারাপ কিছু দেখিনি। কারণ লালনের সমগ্র জীবন এত বৈচিত্র ময় যে একটা সিনেমায় সব টুকু ধারণ করা সম্ভব নয়।
আর এই সিনেমায় লালনের দেহতত্বের দিকটা বেশি করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সিনেমা টা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। বিদেশী পরিচালক বলেই নেগেটিভ লিখতে হবে বা ভাবতে হবে এমন কোন মানে নেই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫২
দিনমজুর বলেছেন: নারে ভাই আমরা লালনের সমগ্র জীবন ধারণের কথা তুলিনাই আমরা সমগ্র জীবন দর্শনের কথা তুলতে চাইছি। আমাদের প্রশ্ন পরিচালকের আগ্রহ জীবনের সব দিক রাইখা কেবল শরীরের দিকেই ক্যান? হ্যা শরীরের কথাই বলবো, কারণ দেহ তত্ত্বের কিছু তো পাইলাম না.. আপনার অসাধারণ লাগতেই পারে.. আমাদের কেন ভালো লাগে নাই, কেন এই ধরণের রিপ্রেজেন্টেশানকে প্রতিরোধ করা দরকার সেইটা যুক্তি সহই বলছি-- দেশি বিদেশী পরিচালক এই খানে মূল কথা না!
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৬
ইচ্ছেফড়িং বলেছেন: ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি নিয়ে শুধু টেরা টেরা ভাবে তাকালেই ইন্টেলেকচুয়াল হওয়া যায়না। ভেতরে কিছু থাকন লাগে।গৌতম ঘোষ কে? কেউ না। তার ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়িটুকু উপড়ায় ফেললে, গৌতমের গোয়া ছাড়া আর বাকি কিছু থাকেনা।
ছাত্র অবস্থায় গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মানদীর মাঝি দেখার দূর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। ভাগ্যিস মানিক বন্দোপাধ্যায় বেঁচে ছিলেননা, কুবের আর শ্যালিকা কপিলার প্রেম কাহিনীর নাম যে পদ্মা নদীর মাঝি এইডা বুঝনের পর তিনি হাতে বিষের পেয়ালা তুইলা নিতেন নির্ঘাত। ছবির কাহিনী শুরু হয়েছিল কুবেরের সঙ্গে তার স্ত্রী মালার সেক্স দৃশ্য দিয়ে। আর ক্যামেরার খেলা ছিল দেখনের মত।
খুব কষ্ট হয়েছিল দেখার পর। বাংলার ইতিহাসে ঐ একটি উপন্যাস লেখে যদি মানিক মারা যেতেন, তার পরেও তিনি অমর হয়ে থাকতেন। ঐ উপন্যাস লেখার মত শক্তিমান লেখক এই বাংলার মাটিতে আর হাঁটেনি।
আর এই মারানি গৌতম ঘোষের সেই কামের পর থেকা তার মনের মানুষ যে কি হইতা যাইতাছে তা আর আমার বুঝনের বাকি ছিলনা। একের পর এক সে যে এই ক্রাইম গুলা কইরা বেড়াইতেছে কই সেইরাম বাদ প্রতিবাদ তো জ্ঞানি গুনি লোকজনের মুখে শুনিনা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৩
দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলছেন। পদ্মনদীর মাঝির ক্ষেত্রেও পরিচালকের এই ধরণের খাসলতের প্রকাশ ঘটছে। ধন্যবাদ।
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৬
বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: জটিল বলেছেন ইচ্ছেফড়িং।
ভাই শুনেতো মনে হচ্ছ পুরোটাই চটি কাহিনী নিয়ে বানানো ২এক্স ছবি। কেন যে বাঙ্গালী হুদাই টালিউডের সাথে ছবি বানায়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৫
দিনমজুর বলেছেন: জমিদার শ্রেণীর সাথে লালনের যে সম্পর্কটা দেখানো হয়েছে সেটাও ভয়ংকর
১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ... এবং লালনকে তো এমনভাবে দেখান হয়েছে যে সে জমিদারের পৃষ্ঠপোষকতায় টিকে আছে, যা চরম আপত্তিজনক, বউলসম্প্রদায়কে একেবাবেই ভুলভাবে তুলে ধরা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৬
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০১
যাযাবর শফিক বলেছেন: লালনের মত বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীক চলচিত্র তৈরি হলে যা হবার তাই হয়েছে....
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৮
দিনমজুর বলেছেন: হ্যা ছবির মূল ধান্দা বাণিজ্য, মুনাফা... লালন দর্শন, লালন জীবন এইসব উপলক্ষ মাত্র!
২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৩
শ।মসীর বলেছেন: পরিচালক মনে হয় সহজ ব্যবসায়িক বুদ্ধীই বেছে নিয়েছেন- হালকা যৌনতা ঢুকিয়ে দাও, সিনেমা এমনিতেই চলবে........
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯
দিনমজুর বলেছেন: সেটাই
২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১২
একলোটন বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৪
ফয়সাল খান ডালি বলেছেন: জটিল বস, জটিল। ঠিক বলেছেন। শালারা সব বাইন.....।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫০
দিনমজুর বলেছেন: ঠিক...
২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৭
রেজওয়ান করিম বলেছেন: এটার চেয়ে বাঙলাদেশের লালনের ছিনেমা অনেক ভালো। কি বলেন?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৩
দিনমজুর বলেছেন: তানভির মোকাম্মেল এর টা'র কথা বলছেন... ঐ সিনেমাটাও নানান দিক থেকে যথেস্ট প্রবলেমেটিক থাকলেও অন্তত; এইটার মতো এত বদমাইশি করে নাই বইলাই মনে হয়..
২৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯
মনির হাসান বলেছেন: সিনেকাটা দেখিনি । কিন্তু যা ভেবেছিলাম তাই ... এরকমটাই তো হবার কথা ছিল ... তাই না । বর্তমান মার্কেটে লালন ব্র্যান্ড'টাকে খাওয়াতে এর থেকে বেশি কি আশা করা যায় ।
এর থেকে বাংলাদেশে নির্মিত রাইসুল আসাদের লালন" হাজারগুন ভালো ।
পয়সাটুক বাচিয়ে রাখলাম .. রানওয়ে'টা দেখবো ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৪
দিনমজুর বলেছেন: সেটাই..লালন এখন বেশ নামী ব্র্যান্ড!
২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৫
আইজউদদীন বলেছেন: হাচা কতা কইছেন। ছবিডা দেখি নাই তয় লালনরে নিয়া মাতামাতি কোনদিনই আমার ভাললাগেনা।
২৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২২
বৃষ্টির গান বলেছেন:
তপন রায় চৌধুরী এবং সমরেশ মজুমদারের রিভিউ এখানে তুলে দেখা হলো..
Click This Link
পড়ে বেশ মজা পাইবেন।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৬
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। তপন রায়ের লেখাটা আগেই পড়েছিলাম। উপরের ৯ নং মন্তব্যে তার লেখা সম্পর্কে কিছু কথা বলেছি। এখন সমরেশের টাও পড়লাম। আসলেই মজা পাইলাম!
সমরেশ কইছে পাউলি ধামের সাথে লালনের প্রায় ব্লো জবের দৃশ্যটার মধ্য দিয়া নাকি বাংলা ছবি সাবালক হয়া উঠছে! কি আর কমু এরা কি যৌনতা ছাড়া কিছু বোঝে না, এদের কাছে সাবালকত্ব মানে যৌনতা... দেখেন না লালনের গানের মধ্যে সমরেশ কেমনে যৌনতার গন্ধ খুজছে:
‘পুনা মাছে লাফ মারিছে পুকুরে/ শনিবারের বারবেলাতে দুকুরে।’ এ কি শুধু গানের দু’টো লাইন? শনিবারের মধ্যাহ্নের আলস্যে মিলন আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত নয়?
২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩০
বৃষ্টির গান বলেছেন:
আমাদের আনিসুজ্জামান মুভি দেখে সমরেশকে কি বলেছেন?
মাস দুয়েক আগে আমি যখন ঢাকায়, তখন এক বিকেলে অধ্যাপক আনিসুজ্জমানের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার ছবি দেখে যখন বেরিয়ে এসেছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন, “আমি স্নাত।”
বুঝা যাইতেছে তথাকথিত মগজওয়ালাদের ইমপ্রেস ভালো করে স্নান করাইছে।
ও... মামুনুর রশীদ বলছিলেন, মানব ধর্মের উপাসকদের জন্যই ঐ মুভি। এতদিন পর বাঙ্গালীর মানব ধর্ম কি জিনিস বুঝতে পারলাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৮
দিনমজুর বলেছেন: পাউলি ধামের দৃশ্যটা দেইখা মনে হয় বুড়া বয়েসেও আনিসুজ্জামান মিয়া "স্নাত" হইয়া গেছিল!
২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
বোহেমেনিয়াম বলেছেন: পোস্টের সাথে সম্পুর্ণ একমত।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
২৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৭
সায়েমবিপ্লবি বলেছেন: পোস্টে প্লাস ++++++++++++++++++এবং প্রিয়তে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৮
সাইফ হিমু বেস্ট বলেছেন: বর্দ্দা আপনারে আশা করতেছি। অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করুন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০১
দিনমজুর বলেছেন: আপনাদের উদ্যোগটা ভালো লাগলো। তবে যোগাযোগের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
আপনারা এগিয়ে যান... শুভকামনা থাকল...
৩১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৬
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: আচ্ছা একটা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করি,
আমাকে কি কেউ "ঘেউ" এর কালেকশন দিতে পারেন।
আমি ঘেউ-৪ পড়ে এর ভক্ত হয়েছি কিন্তু পরে আর ঘেউ পাই নাই।
৩২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০২
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ছবি না দেইখা কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা...দেখার পর মন্তব্য দিমুনে
১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
দিনমজুর বলেছেন: ঠিকাছে
৩৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৬
মাতাল অরন্য বলেছেন: কাদামাটি বলেছেন: নারে ভাই,,, আপনি যেমন করে লিখেছেন আমি ওতোটা খারাপ কিছু দেখিনি। কারণ লালনের সমগ্র জীবন এত বৈচিত্র ময় যে একটা সিনেমায় সব টুকু ধারণ করা সম্ভব নয়।
তার চেয়ে বলেন, ক্ষমতা নাই। সিনেমায় ধারন করা যদি সম্ভব না হয় তো সিনেমা করতে গিয়ে বিকৃত করে লাভ কি?
সবই ব্যবসা মামু, সবই ভাওতাবাজি। যেমনে পারো ুটকি মাইরা আর মারা খাইয়া নিজের স্বার্থ হাসিল করো।
ছবিডার নাম 'কামের মানুষ' হইলেই মনে হয় ভালো হইত।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
দিনমজুর বলেছেন: জটিল বলছেন: "কামের মানুষ"। ধন্যবাদ।
৩৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪২
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: +
৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১
জুবেরী বলেছেন:
জটিল
৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: লালনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই কিছুটা নেগেটিভ দেখানো হতে পারে। যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানানোর দরকার কি সেটাই বুঝিনা। '৪৭ এই দুই বাংলার সংস্কৃতির মধ্যে বিভাজন শুরু হয়েছে। যত দিন যাবে ততই এই বিভেদ বাড়তে থাকবে, কারন এখানে সংমিশ্রনের কোন সুযোগ নেই। ওই বাংলার সংস্কৃতি এই বাংলার মানুষের উপর প্রয়োগ করা এখন 'গছিয়ে' দেয়ার মত মনে হতে পারে। তবে দর্শকবৃন্দকে ধন্যবাদ। ছবিটিকে বর্জন করে তারা একটা মেসেজ দিয়েছেন। আপনার এই সমালোচনার জন্যও ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৮
দিনমজুর বলেছেন: একই সাথে এটাকে সাংস্কৃতিক-বাণিজ্যিক প্রকল্পের একটা মহড়া বলা যেতে পারে। আলোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০১
সাধারণমানুষ বলেছেন: পোষ্ট পইড়া ঐ ছিঃনেমা দেখার ইচ্ছা উইড়া গেলো
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৯
দিনমজুর বলেছেন: আহা!
৩৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:২৩
টাপুর বলেছেন: আপনার লেখা থেকে বোঝা যায় আপনি অনেক অভিজ্ঞ। সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন।
ভাল লাগলো ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। এটা পড়া দরকার ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২০
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৪০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৪
আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: অসাধারন রিভিউ
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২০
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৪১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৩
পল্লী বাউল বলেছেন: চমৎকার রিভিউ।
সিনেমাটা নাকি সুনীলের "মনের মানুষ" উপন্যাস (বইটা পড়িনি) অবলম্বনে করা। সেক্ষেত্রে ইতিহাস বিকৃতির কিছু দায় লেখকের উপরওবর্তায়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৩
দিনমজুর বলেছেন: অবশ্যই। বিকৃত উপন্যাস লেখার দায় সুনীলের এবং সেই বিকৃত উপন্যাস অবলম্বনে ততোধিক বিকৃত ছবি বানানোর দায় গৌতমের। সিনেমা এবং উপন্যাসকে এক করে একটা আলোচনা করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু উপন্যাসটা পড়া নাই বলে সেটা করা গেল না। সিনেমা দেখার পর আর উপন্যাসটা পড়তেও মন চাইছে না ।
৪২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫১
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: অসাধারন আপনার বিশ্লেষণ ও ভাষা । তবে গৌতম ঘোষের ছবিতে ভাল কিছুই নেই এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। ছবিটা দেখতে হবে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৯
দিনমজুর বলেছেন: আলাদা আলাদা করে বিবেচনা করলে কোন দৃশ্যই যে আপনার ভালো লাগবে না এটা আমরা বলছি না। যেমন ধরা যাক, জাত পাত ভুলে সবাই মিলে এক পাত্রে খাওয়ার একটা দৃশ্য.. বেশ চমৎকার।
কিন্তু পরক্ষণেই দেখা গেল চঞ্চল চৌধুরি জিহবা দিয়ে পুরো হাত চেটে আবার পাত্রের খাবারে হাত দিল.... একটা হালকা মজা দেয়ার চেষ্টা।
অনেকের কাছে আবার সিনেমাটোগ্রাফি ভালো লেগেছে...
কিন্তু আমরা কোন সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যের আলাদা আলাদা ভালো মন্দ বিচার করার পক্ষপাতি নই। আমরা মনে করি, সার্বিক ভাবে/শেষ পর্যন্ত/চূড়ান্ত বিচারে গোটা ছবিটা দর্শকের সামনে কি চেহারা নিয়ে হাজির হচ্ছে সেটাই মুখ্য।
আপনাকে ধন্যবাদ
৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৬
অসম্ভব০০৯ বলেছেন: চমৎকার রিভিউ।
ঠীক বলছেন...আলাদা আলাদা শট বিচার করে লাভ নাই বা বিচার করার উপায়নাই, সার্বিক ভাবে/শেষ পর্যন্ত/চূড়ান্ত বিচারে গোটা ছবিটা দর্শকের সামনে কি চেহারা নিয়ে হাজির হচ্ছে সেটাই মুখ্য।
৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:১৪
প্রত্যুষ ফরাজী বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ!
৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৩
উ লে লে...ছোতো বাবুতা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিউট্রাল একটি রিভিউ দেয়ার জন্য--আমি আপনার লেখাটি পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল এখনি মনে হয় আজাইরা কিছু পাব --আমাদের সুশীল সমাজের মত বাহ বাহ রোল পড়ে যাবে--কিন্তু তা হয়নি--আবারো ধণ্যবাদ--
আহামরি কিচ্ছু হয়নাই--মিডিয়া ফাঁকতালে লম্ফ-ঝম্ফ করসে--বাঙ্গালীরে "লালন" এর নাম ভাঙ্গাইয়া টোপ দিসে--পাবলিক-ও পচা খাবার খাইসে--
পেপারে যদি অনবরত সেইরকম্ভাবে রিভিউ আসে-তাইলে তো পাবলিচ গিলবেই--ব্যাপারটা অনেকটা স্ট্রবেরীর কালার দিয়া পোলাপাইনরে সিরাপ খাওয়ানর মত-
৪৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৪
ঘাউড়া মাছ বলেছেন: ভাই আমি সিনেমাতা দেখি নাই, তাই এই ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
কিন্তু আমি আপনার নিচের কথা মানতে পারলাম না ঃ
""আমরা তা দাবী করছিও না, নিশ্চিত ভাবেই ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্র বা জীবন দর্শন রূপায়নের প্রয়োজনে নতুন ঘটনা বা চরিত্র আমাদানীর স্বাধীনতা চলিচ্চত্রকারের রয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতারও একটা সীমা রয়েছে। ইতিহাসের অজানা অচেনা অধ্যায়কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রকারের যে স্বাধীনতা সেটা কিন্তু তার সাথে সম্পর্কিত কোন ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত, জানা এমনকি বর্তমান সময়েও চলমান কোন জীবন দর্শন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে বিকৃত, খন্ডিত বা সরলীকৃত করে হাজির করাকে অনুমোদন করে না।""
ভাই আপনি কি কুইন্টিন টারান্টিনোর "ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড" সিনেমাটা দেখেছেন যেখানে দেখানো হয় ইহুদিদের একটা গ্রুপ হিটলারকে যুদ্ধ শেষ হবার আগেই মেরে ফেলে যা ঐতিহাসিক ভাবে ভুল কিন্তু এতে সিনেমার তো কোন ক্ষতি হয়নি।
সিনেমা একটি শিল্প মাধ্যম, আর এই মাধ্যমে পরিচালকের স্বাধীনতার ব্যপারটা পরিচালকের কাছেই থাকাই ভাল।
সিনেমাটা নিয়ে আপনার বিশ্লেষন ভাল লেগেছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৫
দিনমজুর বলেছেন: কে কইল ক্ষতি হয় নাই! কুইনন্টিন টারান্টিনোর ছবিটা উইসফুল থিংকিং এর একটা জমজমাট হলিউডি ফ্যান্টাসি হইছে বইলাই তো মনে হইল... যাই হোক আপনার কাছে মনে হইতেই পারে ক্ষতি হয় নাই... সেই মনেকরার স্বাধীনতা আপনার আছে.... কিন্তু পরিচালকের স্বাধীনতার ব্যাপারটা পরিচালকরে ইজারা দিয়া দিতে রাজি নই.. অবশ্য নিজে ছবি বানায়া খালি নিজে দেখলে তেমন কোন আপত্তি নাই..
৪৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪৫
ছোটমির্জা বলেছেন: আধুনিক সফলতার মসলা হল - প্রগতিশীলতার সাথে উৎকৃষ্ট সংস্কৃতির মিশেল।
উনি তাইকরার চেষ্টা করেছেন।
বড় বড় লুক উনার ছবি দেখেছেন,
ভাল ভাল রিভিউ এসেছে,
এবং এযাবত কালের সেরা ছবি বলে রব তুলেছেন।
এহেনাবস্হায় সমালোচনাটা ভাল লাগল।
ছবিটা আমি দেখিনাই।
দেখার ইচ্ছে আছে।
লেখা ভাল লাগল।
বক্সের বাইরে গিয়ে চিন্তা করনের দর্কার আছে।
৪৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৩
উজ্জ্বল ধর বলেছেন: অনেকদিন পর লগিন করলাম আপনার এ লেখার মন্তব্য দিতে। আপনি যা লেখেছেন তাতে আমি একমত শতভাগ। ধন্যবাদ।
লালন আমাদের আত্মার মানুুষ। লালনের দর্শন আমাদের ভাবালোকে প্রবেশ ঘটায়। কিন্তু মনের মানুষ ছবিতে যে বিষয়টা জানলাম তা হচ্ছে আধূনিক বলিউটি কাহিনী। প্রেম আছে, কাম আছে, সুগঠিত (!) নাচ আছে, আছে আবার গানও। তবে ফকির লালন যে অর্থে বা দর্শনের গান লিখেছিলেন এখানে তার পরিবর্তন ঘটেছে পুরোটা। লালন কামুক ছিলেন না বরং দুনিয়াদারী দেখাতে তিনি নিস্কামের দিকেই ঈশারা করেছেন। ছবিতে গ্রামীণ যে চিত্রপট এসেছে তাও মেকি মনে হয়েছে। তথ্য বিভ্রাটতো রয়েছেই।
যারা এ ছবি দেখে প্রশংসা করেছেন-তারা কি অর্থে করেছেন জানি না, তবে আমার মনে হয় কথিত বড় বড় মানুষরা আমাদের প্রাণের মানুষ ‘লালন’-এর প্রকৃত ইতিহাস জানার প্রয়োজনই বোধ করেননি। এরচেয়ে তাদের কাছে বিদেশী সংস্কৃতির কদর বেশী।
খেয়াল করে দেখেছি বেশীর ভাগ জ্ঞানের ঠিকাদারদের ঘরে অনুবাদের বইই বেশী থাকে। তারা তাদের সাজানো বুক শেলফে লালল, হাসন, রাধা রমনদের বই রাখতে বোধ হয় লজ্জাই পান।
কিন্তু মীর মোশারফ হোসেন,কাঙ্গাল হরিনাথ কিংবা কবিগুরু রবীন্দ্র নাথের মতো মানুষও লালনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে কার্পন্য করেননি।
লালনের কামের দেবতা নন বরং ভাবের বাউল। তাকে কামুক বানিয়ে এ ছবির নির্মাতা টাকা বানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেও তিনি যে তার জন্য বরাদ্ধকৃত সম্মানটুকু খুইয়ে গেলেন-কে দেখাবে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে।
এদের জন্যই বোধ হয় লালন লিখেছিলেন-
‘এ যে দেখি কানার হাট বাজার
এক কানা কয় আরেক কানারে চল যাই ভঅনেকদিন পর লগিন করলাম আপনার এ লেখার মন্তব্য দিতে। আপনি যা লেখেছেন তাতে আমি একমত শতভাগ। ধন্যবাদ।
লালন আমাদের আত্মার মানুুষ। লালনের দর্শন আমাদের ভাবালোকে প্রবেশ ঘটায়। কিন্তু মনের মানুষ ছবিতে যে বিষয়টা জানলাম তা হচ্ছে আধূনিক বলিউটি কাহিনী। প্রেম আছে, কাম আছে, সুগঠিত (!) নাচ আছে, আছে আবার গানও। তবে ফকির লালন যে অর্থে বা দর্শনের গান লিখেছিলেন এখানে তার পরিবর্তন ঘটেছে পুরোটা। লালন কামুক ছিলেন না বরং দুনিয়াদারী দেখাতে তিনি নিস্কামের দিকেই ঈশারা করেছেন। ছবিতে গ্রামীণ যে চিত্রপট এসেছে তাও মেকি মনে হয়েছে। তথ্য বিভ্রাটতো রয়েছেই।
যারা এ ছবি দেখে প্রশংসা করেছেন-তারা কি অর্থে করেছেন জানি না, তবে আমার মনে হয় কথিত বড় বড় মানুষরা আমাদের প্রাণের মানুষ ‘লালন’-এর প্রকৃত ইতিহাস জানার প্রয়োজনই বোধ করেননি। এরচেয়ে তাদের কাছে বিদেশী সংস্কৃতির কদর বেশী।
খেয়াল করে দেখেছি বেশীর ভাগ জ্ঞানের ঠিকাদারদের ঘরে অনুবাদের বইই বেশী থাকে। তারা তাদের সাজানো বুক শেলফে লালল, হাসন, রাধা রমনদের বই রাখতে বোধ হয় লজ্জাই পান।
কিন্তু মীর মোশারফ হোসেন,কাঙ্গাল হরিনাথ কিংবা কবিগুরু রবীন্দ্র নাথের মতো মানুষও লালনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে কার্পন্য করেননি।
লালনের কামের দেবতা নন বরং ভাবের বাউল। তাকে কামুক বানিয়ে এ ছবির নির্মাতা টাকা বানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেও তিনি যে তার জন্য বরাদ্ধকৃত সম্মানটুকু খুইয়ে গেলেন-কে দেখাবে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে।
এদের জন্যই বোধ হয় লালন লিখেছিলেন-
‘এ যে দেখি কানার হাট বাজার
এক কানা কয় আরেক কানারে চল যাই ভবপারে,
নিজে কানা পথ চেনে না পরকে ডাকে বারংবার।’
৪৯| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:২৬
ভদ্র বলেছেন: সু চলচ্চিত্রকারের প্রয়োজন।
৫০| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩১
সরকার মারুফ বলেছেন: ভালো লাগার হাফ সেঞ্চুরিটা আমাকে দিয়ে পূর্ণ হলো!
৫১| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:১৩
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ছবিটি বাণিজ্যিকই রয়ে গেল, ইতিহাসের উপকরন হতে পারল না............
৫২| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৫
কাউসার রুশো বলেছেন: দারুন লিখেছেন। গৌতম ঘোষ বানিয়েছে আর লালন ভূমিকায় প্রসেনজিতের নাম শুনেই মনে হয়েছিলো ছবিটা সুবিধার হয়নি।
তানভীর মোকাম্মেলের লালন সিনেমা সম্পর্কে আপনার মতামত শুনতে আগ্রহী
৫৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৫
বিদ্রোহের বাঁশী বলেছেন: প্রথমেই আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ছবিটা পুরো দেখে শেষ করার জন্য
আমি চার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত দেখেছিলাম , চরম অখাদ্য । এর থেকে তানভীর মোকাম্মেল এর " লালন " মুভিটাও হাজার গুন ভালো ছিলো ।
৫৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: রিভু টার জন্য ধইন্না
৫৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: খাসা...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৭
কৌশিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ছবিটা তো বাংলাদেশে সুপার ফ্লপ মেরেছে। যে দ্যাখে সে আর ফিরে কোনো কথা বলে না। সম্ভবত যেভাবে পাছা মারা খেয়েছে - সেটা আর জানতেও দিতে চায় না।