![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাদাঠাকুর (১৯৫০-এর ছবি)
আজ ২৭শে এপ্রিল সম্ভবত দাদাঠাকুরের জন্মদিন, টিভিতে দেখলাম।
এই মানুষটি সম্পর্কে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।
অনেকদিন আগে একটি সিনেমাও দেখি ও একটি লেখাও পড়ি যা ডায়রীতে নোট করি-
দাদাঠাকুর-শরৎচন্দ্র পন্ডিত-(জন্মঃ ১২৮৮বঙ্গাব্দ, মৃত্যুঃ ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ/1880 -–1968)
এক অর্থে তিনিই বাংলার শেষ কবিয়াল। দাদাঠাকুর ইংরেজ ভক্ত ছিলেন না। যেখানেই শাসকের অত্যাচার ও নীতিহীনতা দেখেছেন, সেখানেই তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গাত্মক লেখনীর মাধ্যমে আঘাত হেনেছেন।
কলকাতা থেকে ২৫০কি.মি. দুরের রঘুনাথগঞ্জ শহর থেকে প্রকাশ করেছেন ‘জঙ্গিপুর সংবাদ’ পত্রিকা। প্রকাশ করেছেন ‘বোতল পুরাণ’, ‘বিদূষক’ নামের পুস্তিকা আকারে পত্রিকাও। দাদাঠাকুর ছিলেন স্বভাব কবি এবং তীক্ষ্ণধী, সমাজ সচেতন লেখক। নিজেকে জাহির করেননি কোনও দিন।
স্বদেশি আন্দোলন ও স্বদেশিয়ানার ব্যাপারে দাদাঠাকুরের আবেগ কোনও অংশেই কারও থেকে কম ছিল না।
বিপ্লবীদলের লোক নলিনীকান্ত সরকারকে তাঁর বাড়িতে যথা সময়ে আশ্রয় দেন এবং সর্বোতভাবে সাহায্য করেন।
কাজি নজরুল ইসলামের ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাতে পাঠান শুভেচ্ছা-“ "ধূমকেতুর প্রতি বিষহীন ঢোড়ার অযাচিত আশীর্বাদ"।”
দাদাঠাকুর ছিলেন '‘একাই একশো'’- তিনি ‘জঙ্গিপুর সংবাদ’-এর কম্পো্জিটার, প্রুফ-রিডার, মুদ্রক, প্রকাশক, সম্পাদক এমনকি বিক্রেতাও ছিলেন।
নলিনীকান্ত সরকার লিখেছেন, "“দাদাঠাকুর একটি চরিত্র এবং আমাদের মনেহয় বাংলাদেশের একমাত্র চরিত্র"।
দাদাঠাকুর ছিলেন সাংবাদিক, সম্পাদক, সর্বোপরি কবি।
দাদাঠাকুরই মনেহয় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সুযোগ্য উত্তরসূরি এবং শেষ কবিয়াল।
(- তথ্য দেন তুষার ভট্ট্যাচার্য, কে এন রোড, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ।)
এঁনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দাদাঠাকুরকে নিয়ে যে সিনেমাটা দেখি তার শেষটা দেখে মন ভরে না। এখন বুঝি সিনেমা যে সময় হয়েছে তখনও তিনি জঙ্গিপুরে হয়ত বেঁচে ছিলেন।
‘দাদাঠাকুর'’(১৯৬২) সিনেমায় নাম ভূমিকায় ছিলেন ছবি বিশ্বাস।
দাদাঠাকুর তার বাড়িতেই কাগজ ছাপছেন, সহকারী স্বদেশী, মনেহয় নলিনীকান্ত-চরিত্রটি অভিনয় করেন তরুনকুমার। এক সাহেবের কাছ থেকে পুরনো প্রিন্টার মেশিন কিনে নিজেই পত্রিকা ছাপছেন-‘ 'বিদূশক'’। সেটা শহরে নিজেই গান গেয়ে ফিরি করে বেরাচ্ছেন।
সিনেমাতে দেখি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস তৎকালিন কলকাতা পৌরসভার মেয়র পথে তাঁকে অপদস্ত হতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে প্রণাম করেন।
তার একমাত্র পুত্র খুব অসুস্থ, শেষে মৃত্যুও হয়- সেদিনও দাদাঠাকুর কর্মব্যস্ত। তা দেখে নলিনীকান্ত বিরক্ত ও মর্মাহত। কিন্তু দাদাঠাকুর বলেন, ‘"তিনি যে বিদূশক!’"
তার অবস্থা দেখে কোন এক রাজা তাকে সাহায্য করতে চান। সুরসিক দাদাঠাকুর তাকে বলেন, “"ছোটবেলা থেকে আপনার দান-ধ্যানের গল্প শুনেছি, মু্গ্ধ হয়েছি, মনে মনে ঠিক করেছি এমন রাজাই হব। কিন্তু তারই অনুগ্রহে হতে পারব না"।” তার কথা শুনে রাজামশাইও তার মনের কথা বুঝে জান।
দাদাঠাকুরের চেষ্টাতেই এক তেলেভাজা বিক্রেতা পৌরসভার সভাপতি হন। চরিত্রটি করেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
দাদাঠাকুর কথা দিলে যে করে হোক তা পালন করতেন। একবার প্রবল বৃষ্টিতে রেললাইন বন্ধ, তিনি একগলা জলে ডুবে মাথার উপর প্রশ্নপত্র নিয়ে কোন এক স্কুলের পরিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হন। যা দেখে শিক্ষকরা বিস্মিত হন।
সিনেমায় আরো কিছু চরিত্র ছিল-বিশ্বজিৎ ও সুলতা অভিনয় করেন।
মদ্যপ জমিদারপুত্র প্রেমের জন্য স্বদেশী হয়ে প্রাণত্যাগ করলে দাদাঠাকুরের চোখে জল আসে। যা দেখে নলিনীকান্ত ব্যঙ্গ করে বলেন, "“বিদূশকও তাহলে কাঁদে!"”
তাতে দাদাঠাকুর যা বলেন তা অনেকটা এমন-“ 'সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে ঈশ্বর নির্বিকার, তাই বিদূশকও নির্বিকার হয়ে হাসি-ঠাট্টা করে। কিন্তু প্রকৃত বীরের মৃত্যুতে ঈশ্বরও কষ্ট পান, কাতর হন, তাই সেই বীরকে বিদূশক কি করে উপেক্ষা করেন! যে বীরের জন্য ঈশ্বর কাঁদেন, তার মৃত্যুতে তাই বিদূশকের চোখেও জল আসে।'
এখানেই সিনেমা শেষ হয়।
কাগজে দাদাঠাকুরের যে ছবিটি দেখি তাতে কম বয়সে তিনি যে বেশ শক্তসমর্থ ও সুপুরুষ ছিলেন বোঝা যায়। তাঁর চোখ দুটো দেখলে মনেহয় শান্ত অথচ কৌতুকপ্রিয়।
নেট থেকে তার কিছু নমুনা তুলে দিচ্ছি-
দাদাঠাকুরকে তাঁর পরিচিত একজন জিঞ্জাসা করলেন, " আপনি রবিঠাকুরকে দেখেছেন ?"
দাদাঠাকুর উত্তরে বল্লেন, "না দেখিনি, তবে দেখা হলে বলতুম আপনি যেমন ঠাকুর, আমিও তেমন পন্ডিত ।"
*******
শরত্চন্দ্র পন্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরকে এক কৌতুহলী ব্যক্তি মজা করে জিঞ্জাসা করলেন, " দাদাঠাকুর আপনার উপাধিটা পন্ডিত হল কি করে?"
উত্তরে দাদাঠাকুর বল্লেন,"হবে নাই বা কেন? বস্তু যখন খন্ড খন্ড হয় তখন তাকে বলি খন্ডিত। আমি যেখানেই যাই সব কাজ করি পন্ড, তাই আমি পন্ডিত। "
*******
একবার নলিনী সরকারের বাড়িতে এসে দাদাঠাকুর বল্লেন," বুঝলে হে নলিনী তোমাদের এই শহর কলকাতা বড় অদ্ভুত।"
নলিনীকান্ত বল্লেন,"কেন এই শহরের হলটা কি?"
দাদাঠাকুর বল্লেন,"হবে আবার কি? রোজ যা হচ্ছে! পাঁজিতে লেখা বছরে একদিন রাস, একদিন ঝুলন। কিন্তু এই শহর কলকাতায় নিত্য রাস, নিত্য ঝুলন। "
নলিনীকান্ত - " কোথায় দেখলেন নিত্য রাস আর নিত্য ঝুলন?"
দাদাঠাকুর - " কেন তোমাদের ট্রামে বাসে যেমন রাস তেমন ঝুলন।"
*******
হাতিবাগানের মোড়ে দাদাঠাকুর বিদূষক কাগজ বিক্রি করতেন।
একদিন তাঁর পরিচিত একজন তাঁকে নিয়ে এল আর্ট থিয়েটারের ম্যানেজার অপরেশ মুখোপাধ্যায়ের ঘরে। সে ঘরে আড্ডা দিতেন অপরেশ বাবু, জীবন বাবু, তিনকড়ি চক্রবর্তী, প্রবোধ গুহ, দানী বাবু প্রভৃতি ।
দাদাঠাকুরকে দেখে দানী বাবু হাত তুলে নমস্কার করে বল্লেন, "আজকাল আর চোখে ভাল দেখি না। আমার প্রনাম নেবেন। "
দাদাঠাকুর দানী বাবুর পাশে বসে গল্প জুড়ে দিলেন।
তাই দেখে তিনকড়ি বাবু বল্লেন," পন্ডিত মশাই, আমাদের দিকেও একটু কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপ করুন।"
দাদাঠাকুর হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন,"গরীব ব্রাহ্মণে দানী দেখলেই তাঁর কাছে যাই। আপনার ও তিনটি মাত্র কড়ি একমাত্র বামুনের হুঁকায় লাগানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগে না।"
*******
একবার নলিনীকান্ত সরকারের বাড়ি দাদাঠাকুর এসেছেন, তাঁর মেয়ের জন্মদিনে। ছানার ডালনা পরিবেশন করা হচ্ছে।
নলিনীকান্ত একটু রসিকতা করলেন - " দাদা একটু গরুর ছানার ডালনা দিই?"
সঙ্গে সঙ্গে দাদাঠাকুর বল্লেন," দে ভাই , গরুর ছানার `অকেশনেই`তো এসেছি।"
*******
দাদাঠাকুর আর নলিনীকান্ত সরকার একদিন পাশাপাশি ঘুমোচ্ছেন।
হঠাত্ গভীর রাতে নলিনীকান্তকে জাগিয়ে দাদাঠাকুর বল্লেন," ওরে নলিনী,একটা বড় জিনিষ আবিষ্কার করেছি। নলিনী পন্ডিতের (সাহিত্যিক ও সাহিত্য পরিষদের চির সদস্য) সব সম্পত্তি তোর আর আমার।"
ঘুম ভাঙ্গা চোখে নলিনীকান্ত- "কি করে হবে?"
দাদাঠাকুর -" কেন তুই নলিনী আর আমি পন্ডিত| দুজনে মিলে নলিনী পন্ডিত।"
*******
বহরমপুর পৌরসভায় ভোট হবে । লড়াই দুজন সদস্যের মাঝে ।
একজন রমনীমোহন, অন্যজন নীলমণি ভট্টাচার্য্য । দুজনেই দাদাঠাকুরের সুপরিচিত ।
ভোটের আগে দাদাঠাকুর বল্লেন," রমনীর জয় হবে আর নীলমণি হেরে যাবে ।"
ভোটের ফল বের হলে দেখা গেল দাদাঠাকুরের কথাই মিলে গেছে ।
সবাই তখন তাকে বল্লে, "এমনটা যে হবে সেকথা আপনি আগে থেকে জানলেন কিভাবে ?"
দাদাঠাকুর বল্লেন, "এ তো খুব সহজ, রমনীর (Raw Money-র) সাথে নীলমণি (Nil Money) পারবে কেমন করে ?"
*******
একদিন এক ধনীর বাড়ি নিমন্ত্রণ খেয়ে পরদিন ছাপাখানায় এসে একটা ঢেঁকুর তুলে নলিনীকান্ত সরকারকে বল্লেন,"একটু তামাক সাজ, শরীরটা আজ ভালো নেই"।
নলিনীকান্ত জিঞ্জাসা করলেন, " কেন আবার কি হল?"
দাদাঠাকুর বল্লেন," কালকের ঐ ব্রাহ্মণ ভোজনের জের, সারা রাত্রি পেট্রিয়ট হয়ে বিছানায় ছটফট করেছি । "
নলিনীকান্ত - "পেট্রিয়ট হয়ে , সে আবার কি ?"
দাদাঠাকুর -"পেটের মধ্যে রায়ট বাধলে লোকে পেট্রিয়ট হয় । আর বলিস কেন, পোলাও, লুচি ,মাছ, মাংস , মন্ডা-মিঠাই সব পেটের মধ্যে ঢুকে পড়ায়, সেই সব অপরিচিতদের দেখে , যারা স্থায়ী বাসিন্দা, ডাল-ভাত, শাক-চচ্চড়ি একত্রে উচৈঃস্বরে who are you,who are you? করে রায়ট বাধিয়ে দিল । সারা রাত্রি পেটের মধ্যে ভারি অশান্তি । তোর কাছে যখন এলুম তখনও who are you?(ঢেঁকুর) বলে একবার হাঁক ছাড়লে ।"
[http://nakshikantha.comze.com/Koutuki/Smaranio/smaranio.html]
[http://www.milansagar.com/kobi/kobi-dadathakur.html ]
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, অরন্য জুয়েল!
আমি নেটে "দাদাঠকুর" সম্পর্কে খুঁজতে খুঁজতে রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটাও পেয়ে গেলাম-
এই একলা মোদের হাজার মানুষ দাদাঠাকুর
এই একলা মোদের হাজার মানুষ দাদাঠাকুর,
এই আমাদের মজার মানুষ দাদাঠাকুর ।।
এই তো নানা কাজে, এই তো নানা সাজে,
এই আমাদের খেলার মানুষ দাদাঠাকুর ।
সব মিলনে মেলার মানুষ দাদাঠাকুর ।।
এই তো হাসির দলে, এই তো চোখের জলে,
এই তো সকল ক্ষণের মানুষ দাদাঠকুর ।
এই তো ঘরে ঘরে, এই তো বাহির করে
এই আমাদের কোণের মানুষ দাদাঠাকুর ।
এই আমাদের মনের মানুষ দাদাঠকুর ।।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: ব্রিটিশদের শাসনের প্রতিবাদ তখন কত অভিনব পন্হায় করা হইতো। আর এখন হরতাল আর জ্বালাও পোড়াও নীতি!
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, ঘুমাইলে চোখে দেখি না!
এসব কারণে দাদাঠাকুর গেয়েছেন -
দে মা আমায় রাজা করি
আর কাঙ্গাল হয়ে থাকতে না পারি
রাজাই যদি করিস মা গো
দিসনা যেন জমিদারী
ও খাজনা আদায় ভীষম লেঠা
কেমনে করব কালেক্তারি
পাওনাদারে পাওনাদারে আছে যে আমার জীবন ভরি
আমায় রাজা করার আগে
পাঠাস তাদের যমের বাড়ি
দন্ত লন্ত হলো গো মা
কেমনে চিবই কলাই মুড়ি
এখন হালুয়া ভিন্ন দিন চলেনা
বরং রাবড়ি হলে খেতে পারি
বুঝিনা মা তোর জারিজুরি
টাকা দিতে আ-কার ভুলে
টাক দিলি মা কপাল জুরি
দে মা আমায় রাজা করি.....দাদা ঠাকুর শরত পন্ডিত
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:০৯
মেহবুবা বলেছেন: দাদাঠাকুর মুভি দেখেছি কি না মনে পড়ছে না । তুমি যে এমন করে একজনকে তুলে এনেছো অনেক ধন্যবাদ দীপা ।
এই শহর কলকাতায় নিত্য রাস, নিত্য ঝুলন। কেমন মজা করে বলেছেন , ঢাকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ।
তোমার এই সকল তথ্য সমৃদ্ধ কৌতুহলী পোষ্ট আসতে থাকুক ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২৪
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, মেহবুবা! ....এই মানুষটিকে নিয়ে অনেক মজার গল্প শোনা যায়, আজ আবার ওঁনার কথা মনে পড়তে আগে আপনাদের কথাই মাথায় এলো...জানি আপনারা উৎসাহ দেবেনই...অনেক অনেক ধন্যবাদ
নেট ঘেঁটে ওঁনার সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পারলাম-
দাদা ঠাকুর মতন ব্যক্তিত্ত্ব পৃথিবীতে বিরল৷ Wit, Satire ও Humor এবং তার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিল এক স্বাধীন, কর্ত্তব্য-পরায়ণ, সংবেদনশীল মন৷ এ যুগে যা হারিয়ে যাচ্ছে৷ এই রকম একজনের কথা ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে না জানানোটা অপরাধ৷
এই বিশাল মাপের মানুষটির জীবন-আলেখ্য উপহার দিয়েছিলেন ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে স্বনামধন্য বিপ্লবী-স্বনামধন্য ব্যক্তি নলিনীকান্ত সরকার৷
নলিনীবাবুর বইটির নাম হলো ' দাদাঠাকুর ' (প্রকাশক - মিত্র ও ঘোষ পাব্লিশার্স, ১০ শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩) - যাকে আশ্রয় করে উপরের ছোট প্রবন্দ্ধটি লেখা হয়েছে৷ বিশদভাবে দাদাঠাকুরকে জানতে হলে, যিনি মূর্ত্ত হয়ে উঠেছেন নলিনীবাবুর কলমে, এই বইটি অবশ্য পাঠ্য৷
http://www.abasar.net/litDadaThakur.htm
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৩৯
দীপান্বিতা বলেছেন: মেহবুবা, আপনার পোস্টটে কেন যেতে পারছি না!!!
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মজার একটা চরিত্র মনে হচ্ছে।
মুভিটা দেখতেই হবে।
আপাতঃত আপনার লেখা পড়েই 'দাদা ঠাকুর' এ মজে গেলাম।
___ নলিনী পন্ডিতের গল্পটা একটু বেশিই মজার ছিলো
ভালোলাগা, দিদি।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩৪
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়!
দাদা ঠাকুর নিজেকে 'বিদূশক' বলতেন তাই মজার চরিত্র ছিলেন, তবে তার হাসির পিছনে যে অনেক কষ্ট, অনেক যন্ত্রণা ছিল তা বুঝতে অসুবিধা হয় না ....মানুষটি ৮৭বছর বেঁচে ছিলেন ...১৩ই বৈশাখ জন্মগ্রহণ করেন, ঐ দিনই মারা যান...
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:০৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: টাকা দিতে আ-কার ভুলে
টাক দিলি মা কপাল জুরি
দে মা আমায় রাজা করি
কী মজার মানুষ ছিলেন!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৪৩
দীপান্বিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ইমনভাই!
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:০০
বড় বিলাই বলেছেন: খুবই মজার মানুষ ছিলেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এমন একজন পন্ডিত সম্পর্কে জানতে পারলাম আপনার লেখায়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, বড় বিলাই!
আরো কিছু বলি ওঁনার কথা!
দাদাঠাকুরের জীবনদর্শন ছিল অপূর্ব। দাদাঠাকুর স্ত্রীকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন যাতে কারো কাছে কিছু না চাইতে হয়- এমন কি ভগবানের কাছেও নয়। বলেছেন- "“না চাইতে যিনি এত দিয়েছেন, কি করে খেতে হবে তাও শিখিয়েছেন, এরপরে আর চেয়ে কি পাব?”"
'‘দেহি'’ শব্দটি বলতে হবে বলে সরস্বতী পূজা করতেন না। প্রত্যুপন্নমতিত্ব আর রঙ্গরসিকতা ছিল সহজাত-যা তাঁকে আজ ও অমর এবং অপ্রতিদ্বন্দী করে রেখেছে।
অর্থ-সম্পদে তিনি ছিলেন দরিদ্র, অন্তরের বিপুল ঐশ্বর্য্যে ছিলেন বিত্তশালী। ধনী ব্যক্তিদের কাছে মাথা নোয়াননি কখনও। বরং ধনী ও উচ্চপদাসীন ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গ কামনা করতেন।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫২
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: সম্পূর্ণ নতুন কিছু জানলাম আমি। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটা ব্যক্তি সম্পর্কে জানানোর জন্য। ভালো থাকুন আপু।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৪০
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহমুদা সোনিয়া! .....আপনাদের উৎসাহে নেট থেকে আরেকটু লিখে দিলাম ওঁনার সম্পর্কে ....
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার দফরপুর গ্রাম। মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে ওলাউঠা রোগ। ভগবানের কৃপালাভের উদ্দেশ্যে গ্রামবাসীরা বেড়িয়েছেন সংকীর্তন দল নিয়েঃ
‘ভাই, হরি বল্, দুই বাহু তুলে
শমন –দমন যাতে হবে রে!
রাজার যে রাজ্যপাট
যেন নাটুয়ার নাট, ভাই রে,
দেখিতে খিতে কছু নাই রে!
ভাই, হরি বল্, দুই বাহু তুল।...’
পিছন থেকে ধ্বনিত হলো,
“একটা বমি, দুটো দাস্ত
করতে নারবে বরদাস্ত, ভাই রে!
দেখিতে দেখিতে নাড়ি নাই রে!
ভাই, হরি বল্, দুই বাহু তুলে...”
দলের নজর পিছনে পড়তেই সেই নবীন কবি-গায়কের ঊর্ধশ্বাসে পলায়ন!
এই কবি-গায়ক হলেন –‘দাদাঠাকুর’- শ্রী শরৎচন্দ্র পন্ডিত, যাঁর বিধিদত্ত সম্পদ হাস্যরস- প্রকাশ পেয়েছে কবিতা ও গানের মধ্য দিয়ে। সঙ্গে ছিল প্রচন্ড তীক্ষ্ণবুদ্ধি। কৈশোর থেকেই প্রতিভার স্ফুরণ। পড়াশুনো এফ.এ পর্যন্ত। প্রবেশিকা করেছিলেন জঙ্গীপুর হাইস্কুল থেকে, বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে এফ.এ। রঘুনাথগঞ্জে সস্ত্রীক থাকতেন, চালাতেন জঞ্জীপুর প্রেস।
৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৯
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভালোই লাগল......
+
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:২০
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আহমাদ জাদীদ!
৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:১৩
পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++++++
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:১৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ....ধন্যবাদ
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মাইনাস এইটিন_পন্ডিত বলেছেন: ধন্যবাদ। উনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:১৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, মাইনাস এইটিন_পন্ডিত! ....আমিও ওঁনার সম্পর্কে আরো জানতে চাই
১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৪৩
দূর্যোধন বলেছেন: দাদাঠাকুর বল্লেন, "এ তো খুব সহজ, রমনীর (Raw Money-র) সাথে নীলমণি (Nil Money) পারবে কেমন করে ?"
জটিল রসিক মানুষ !!
অ.ট. আপনি আছেন কেমন? অনেক দিন পর এলাম
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:১১
দীপান্বিতা বলেছেন: দাদাঠাকুরকে তাই আরেকটু জানতে চাই ...
আছি এক রকম, গরমে কাহিল ......আপনি তো জম্পেস পোস্ট দিয়েছেন!
১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দাদাঠাকুরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৩৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই!
১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৫২
আবু সালেহ বলেছেন: এই একলা মোদের হাজার মানুষ দাদাঠাকুর ...
অনেক কিছু জানা গেলো....
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫২
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আবু সালেহ! ....রবীন্দ্রনাথ যদিও এই দাদাঠাকুরের উদ্দেশ্যে এ কবিতা লেখেন নি…… .....
ওঁনার সম্পর্কে নেটে আরো যা পেলাম শেয়ার করছি…
মাত্র একুশ বছর বয়সে দাদাঠাকুর বাড়িতে একটা ছাপাখানা বসিয়ে শুরু করেছিলেন গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা। বলতেন-“আমার ছাপাখানার আমি প্রোপ্রাইটার, আমি কম্পোজিটর, আমি প্রুফ-রিডার, আমিই ইঙ্কম্যান। কেবল প্রেস-ম্যান আমি নই-সেটা ম্যান নয়, উওম্যান। অর্থাৎ আমার অর্ধাঙ্গিনী। ছাপানোর কাজে ব্রাহ্মণী আমায় সাহায্য করেন।”
চেক –দাখিলা, নিমন্ত্রণ পত্র, প্রীতি উপহার, বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ইত্যাদি ছাপিয়ে যা পান তাতেই সংসার চলে কোন রকমে। তারই মধ্যে বিপদে-আপদে লোকজনকে সাহায্য করেন।
(এ প্রসঙ্গে কাল পিসির কাছে শুনলাম- পিসির শ্বশুড়বাড়ির কিছু আত্মীয় জঞ্জীপুরে দাদাঠাকুরের বাড়ির কাছেই ছিল। একবার মেয়েদের উপর অত্যাচার শুরু হলে তিনি নিজের খরচে কামারকে দিয়ে ছোড়া বানান ও বাড়ি বাড়ি মেয়েদের বিতরণ করেন।)
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৩৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট দীপা আপু!
সিম্পলী দারুন .....
এই জন্যই তোমাকে এত ভাল লাগে আপু!
মনে মনে একটা ক্যাডবেরী বার চকলেট দিয়ে দিলাম তোমাকে
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
দীপান্বিতা বলেছেন: ক্যাডবেরীর জন্য প্রথম থ্যাঙ্কু ......ভাল লাগার জন্য তিনটে
একটা সাইট পেয়েছি সেখান থেকে টাইপ করে ওঁনার সম্পর্কে জানাচ্ছি...
দাদাঠাকুরের “জঙ্গীপুর সংবাদ”-এ নিজের আঁকা ছবি সহ সংবাদ পরিবেশিত হত। থাকতো কবিতাও-বুদ্ধিদীপ্ত ও সরস- কখনও বিদ্রুপাত্বক। অন্যায়, অসদাচরণ, নিপীড়ন দেখলেই যেন ঝলসে উঠতো লেখনী। সমাজে, রাষ্ট্রে, ধর্মে-যেখানেই কোনরূপ ব্যাধির লক্ষণ দেখেছেন, সেখানেই তাঁর যষ্টিমধুর মুষ্টিযোগ ব্যবহার করেছেন।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:২১
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোস্ট টা। দাদাঠাকুর সম্পর্কে জানতাম না।
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:৫৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রুদ্রপ্রতাপ!
“জঙ্গীপুর সংবাদ”-এর পর দাদাঠাকুর বার করলেন সাপ্তাহিক ‘বিদূষক’ আর ‘বোতল পুরাণ’ – বোতলের আকারে কালো রঙের মোটা কাগজে লাল রঙের কালিতে লেখা কবিতা-মাতালদের উদ্দেশ্যে। নিজেই কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রী করতেন, অনেক সময় গান করে।
যেমন,
আমার বোতল নিবি কে রে?
এই বোতলে নেশাখোরের
নেশা যাবে ছেড়ে।
বোতল নিবি কে রে?
১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: চমৎকার পোস্টে অনেক কিছু জানলাম আপু
ভালো লাগা রইল
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১১:০১
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন!
দাদাঠাকুরের আরেকটা 'নাইস্ রাইম্'
হিউমার স্যাটায়ার উইট্
আর ইন মাই পাবলিকেশন।
জেন্টলম্যান টেক দি বটল্
ফর ইয়োর রিলাক্সেশন।
ইট্ ইজ্ আ নাইস্ রাইম্
দেয়ার ইজ্ নো ভাইস্ ক্রাইম
য়্যাট ইয়োর লিজার টাইম্
রীড ইট ফর রিক্রিয়েশন।।
১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৫০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট দীপান্বিতা দি। সত্যি ভাল লাগল
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১১:১০
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রেজওয়ান মাহবুব তানিম!
দাদাঠাকুরের অসাধারণ কবি প্রতিভা ছিল। রসনাগ্রে সরস্বতী যেন সর্বক্ষণ বিরাজ করতেন। যে কোনও বিষয়ে তিনি বাংলা, হিন্দী ও ইংরাজী ভাষায় কবিতা বা গান মুখে মুখে বলে যেতেন, সাথী শ্রী নলিনীকান্ত সরকার মহাশয় লিখে নিতেন। দাদাঠাকুরের কাব্যপ্রতিভায় বিস্মিত হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, প্রশস্তি জ্ঞাপন করেছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, মুগ্ধ হয়েছেন রসরাজ অমৃতলাল বসু, চমৎকৃত হয়েছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৮| ০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
যাযাবরমন বলেছেন: উপরের মন্তব্য টা মুছে দিলে খুশি হবো।
পুর্বের মন্তব্যের তথ্যভুল কে তথ্যবহুল পড়তে হবে, ফোনেটিকের দোষ, আমার....না!!!
বারবরের মতই-
তথ্যবহুল এবং চমৎকার!!
০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৫:০৩
দীপান্বিতা বলেছেন:
ধন্যবাদ, যাযাবরমন!
[আপনার কথা মত করলাম]
দাদাঠাকুর বড়লোক সম্বন্ধে বলেছিলেন-"ওরা তো কর্ত্তা নয়, কারকও নয়, ওদের ডেফিনেশন হচ্ছে – বড়লোক ইজ য়্যান অব্জেক্টিভ কেস, গভর্নড বাই দি প্রিপোজিশন ড্রাইভার।"
ড্রাইভার 'প্রিপোজিশন' কি করে হলো– এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,-"বড়লোকরা তো গাড়ীর পিছনের সীটে বসে থাকে, ড্রাইভারের পোজিশনই তো আগে। তাই ড্রাইভার হলেন 'প্রিপোজিশন'।"
১৯| ০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৭
পটল বলেছেন: শরত বাবুর স্মরণে ভালো লাগা।
০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৫:১১
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, পটল!
দাদাঠাকুর ভোট প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে লেখেন-
ভোট দিয়ে যা-
আয় ভোটার আয়।
মাছ কুটলে মুড়ো দিব,
গাই বিয়োলে দুধ দিব,
দুধ খেতে বাটি দিব,
সুদ দিলে টাকা দিব,
চাল দিলে ভাত দিব,
মিটিং-এ যাব না, অবসর পাব না,
কোনো কাজে লাগবো না,
যাদুর কপালে আমার ভোট দিয়ে যা।।
২০| ০৫ ই মে, ২০১২ রাত ১:১০
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: দাদাঠাকুরের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা।
চমৎকার পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম।
+++
০৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, ধন্যবাদ!
দাদাঠাকুরের বিখ্যাত কীর্ত্তনের প্যারডি-
প্রভাত হইল ভূবন গাহিল
টাকা টাকা টাকা বলে
ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে থাকে থাকে
চলেছে কেরাণী কুলি।
এ জগতে ভাই টাকাই শ্রেষ্ঠ
টাকাই পেতে সবে সচেষ্ট
ধনিরা খুলেছে আয়রণ চেষ্ট
ভিখারী খুলেছে ঝুলি।
রৌপ্যচক্রাকার তুমি ভগবান
গোলকে ভূলোকে তব জয়গান
টাকায় টাকা বাড়ে সুদ চক্রহারে
আনে দু আনি সিকি আধুলী।।
২১| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৩৮
তারার হাসি বলেছেন: আপনার পোস্ট সবসময়ই বৈচিত্রময়।
ভাল লাগল খুব।
২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৫৫
দীপান্বিতা বলেছেন:
কতোদিন পর!...যাক্! একজন পুরনো বন্ধুকে তাও পাওয়া গেল!...অনেক অনেক ধন্যবাদ, তারার হাসি!
২২| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫১
হাসান ফেরদৌস বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম পরে পড়ব
০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, ফেরদৌস!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
অরন্য জুয়েল বলেছেন: বস্তু যখন খন্ড খন্ড হয় তখন তাকে বলি খন্ডিত। আমি যেখানেই যাই সব কাজ করি পন্ড, তাই আমি পন্ডিত।
চমৎকার কথা!! মনে ধরছে ।