নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বাস করো, আমি বেচে আছি!!!!!

I always tell the truth. Even whn I lie.

দিপ

এক নোবেলে ! ! ! ১০০ বছর ! ! ! !

দিপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা সেরা ১০ টি মুভি রিভিউ ।।। পর্ব - ২ ।।। (ভালো মুভি দেখার ইচ্ছা বা অভ্যাস থাকলে এটা মাষ্ট সি আপনার জন্য)

২২ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

প্রথম পর্ব দেখতে এখানে কিল্ক করুন।







Incendies



২০১০ সালে কানাডিয়ান মুভি কাহিনি ও পরিচালনা করেছেন Denis Villeneuve । অস্কার নোমিনেশন পেলেও In a Better World মুভির কাছে হেরে যায়। কিন্তু আরও বেশ কয়েক জায়গায় সেরা মুভির পুরষ্কার জিতে নিয়েছে এই মুভি। এই মুভি একটু অসামাজিক মুভি, মানে যারা নিজেদের ভদ্রলোক এবং গতিময় ভাবতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই মুভি না। কারন এই জন্যে যে এটা অবশ্যই বিতর্কিত মুভিগুলোর মাঝে অন্যতম





শুরুতেই আমরা দেখতে পাব এক মৃত মহিলার দুই সন্তানকে। তাদের মা মারা যাবার আগে তাদের জন্য দুট শর্ত রেখে গেছে, সেগুলো পুরন করতে হবে। তাকে কিভাবে দাফন করা হবে ( বলছিনা,মুভিতেই জেনে নেবেন ) এটা একটা। আরেকটা হলো, দুটো খাম, যা তাদের বাবা এবং ভাইকে দিতে হবে। ভাইয়ের অমতে বোন বাবা ও ভাইকে খোজা শুরু করে। মুভিতে দেখা যাবে প্যারালাল কাহিনি, একদিকে মেয়ে খুজছে,অন্যদিকে মায়ের যুবতী বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন অধ্যায়ে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে কাহিনী ঘোলা হতে শুরু করে। তখন ভাই এসে যোগ দেয়। ওদের অচেনা ভাইয়ের খবর জানা যায়। আর ধীরে ধীরে কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসে ( এই কথাটা অনেক শুনেছেন, এই মুভিতে দেখবেন এর সার্থক ব্যবহার)



মুভিটি দেখার পর নিজেকে নিস্ব মনে হচ্ছিল। কিছু বলার জন্য ভাষা এবং ভাবার জন্য চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলাম। নিজেকে যতটা অসহায় মনে হচ্ছিল মুভির চরিত্রগুলোও এতটা ভেঙ্গে পরেনি। এখানেই পরিচালকের স্বার্থকতা। অনেকটা প্রেম বিচ্ছেদের পরবর্তি সময়ের অনুভুতির মতো। একপক্ষের দৃড়তা ও শক্ত থাকার প্রবনতা অন্যপক্ষকে যেমন মৌন ও বিষন্ন করে তোলে, আমি ঠিক সেভাবেই রুপান্তর হয়েছিলাম।







The White Balloon



এটা ১৯৯৫ সালের ইরানী ড্রামা মুভি । পরিচালনা করেছেন জাফর পানাহি আর কাহিনি লিখেছেন সম্মানিত Abbas Kiarostami । মুভির গল্প যেমন তেমন কিন্তু বাচ্চা দুইটার অভিনয় একদম চোখে লেগে থাকার মতো। যেমন তেমন গল্প মানে বাজে গল্প না, শিশুযুগলের অভিনয় কাছে সত্যি গল্প যেমন তেমন। ইদানিং ইরানী মুভি দেখার নেশা বেড়েছে, ইরানী মুভিগুলো দেখার পর মানবিক দিক দিয়ে খুব তাড়িত হই। তাড়িত হতে ভালোলাগে। মৌনতা সবার ভালোলাগে।



ইরানী বর্ষপুর্তি দিনের গল্প। দুই ভাই বোনকে আখড়ে ধরে এই মুভি কথা বলবে। ছোট বোন মায়ের হাত-পাও ধরে তাকে একটা গোল্ড ফিশ কিনে দেবার জন্য। কিন্তু গতিময়তা রক্ষা করে আর হাজারো মধ্যবৃত্ত অভাবী মায়েদের মতো এই মা ও তার শিশুর আবদার পাশ কেটে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় বাচ্চটি যেমনটি হওয়া উচিত। কিন্তু মাকে অনেক কষ্টে পটিয়ে মেয়েটার বড় ভাই তাকে মাছে কেনার টাকা এনে দেয় । একটা ৫০০ টাকার নোট দেওয়া হয়, মাছের মুল্যবাবদ ১০০ টাকা রেখে তাকে বাকি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। বারবার স্মরন করিয়ে দেওয়া হয়, তার টাকা যেন না হারায়। কিন্তু মেয়েটা হারিয়ে ফেলে, টাকা, খুজেও পায়। মুল গল্প এই। কিন্তু মুভি দেখতে দেখতে যে আপনি কতো দর্শনের সাথে পরিচিত হবেন, তা বোধহয় আচ করতে পারেননি। কতটা মানবিকভাবে আগ্রহী হয়ে পরবেন, হয়তো শিশুদের দিকে একটু আদর মাখা দৃষ্টিতে তাকাবেন তা অনুধাবন করার জন্য এই মুভি ।







La Strada



আরেকটা জার্নি। ফেলিনি জার্নি। আমার প্রথম ফেলিনি চলচিত্র। ১৯৪৭ সালের মুভি যে কতটা গঠনমুলক আর আশ্চর্য সৌন্দর্যে গড়ে উঠতে পারে তার প্রমান এটা। আমি অবাক হতাম সত্যজিত দেখে, ফিলিনি দেখেও আমার একই অনুভুতি। যদিও মিউজিকে সত্যজিত ফেলিনির থেকে অনেক এগিয়ে বলে আমার মনেহয় ( একটা মুভি দেখে মন্তব্য করা, নিশ্চিত অন্যায়)। আমার এটাও মনেহয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেসব সংগীতজ্ঞ জনপ্রিয় বা সম্মানিত তারা সকলেই রবীশংকর এবং আলী আকবরের কাছে শিশু



এই মুভি আমরা দেখতে পাব একটা সরলা মেয়ে গেলসোমিনা যাকে তার মা জাম্পানোর কাছে বিক্রি করে দেয়। জামপানো সার্কাস প্রদর্শন করে জীবীকা নির্বাহ করে। সহকারী ভাড় হিসেবে সে গালসোমিনাকে ব্যবহার করে। একসাথে থাকতে থাকতে গেলসোমিনা প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে পরে জাম্পানোর উপর। কিন্তু জাম্পানোর জীবন ভোলা মানুষ। তার জীবন নারী প্রয়োজন শুধু বিছানায়। তাছাড়া গেলসোমিনার উপরে তার সেন্স অন্যরকম। অনেক ঝাপটা আসলেও গেলসোমিনা জামপানোকে ত্যাগ করে না। সুখে দুক্ষে তার সাথেই থাকবে বলে সীধান্ত নেয়। কিন্তু ??



নায়িকাকে দেখে কেমন যেন লর্ড অফ দ্যা রিং এর হবিটের মতো লাগছিল। অভিনয় ও কাজ সব সুন্দর। এই মুভি না দেখা উচিত নয় একদম। সকল প্রকার সিনেমাখোরদের জন্য এই মুভি দেখা উচিত। শেষটা সত্যি করুন।









Life of Brian



ভয়ানক মুভি কেন বলছি ? কারন এটা একটা ধর্মভিত্তিক স্যাটায়ার। কাহিনি লিখেছেন Monty Python's টিম। কয়েকজন মিলে গড়া একটি সংস্থা। এরা সাধারনত স্যাটায়ার নির্মান করে থাকেন। ব্যপক কমেডি বলে যদি কিছু থাকে তাহলে এটা একটা। সেন্স অফ হিউমার ব্যবহার সুক্ষ ব্যবস্থা আছে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট এবং ম্যাগাযিন এটাকে সেরা কমেডি বলে আখ্যায়িত করে থাকে। কোন কোন দেশে এটাকে ব্যান করা হলেও আমেরিকায় এটা বেশ ভালো ব্যবসা করেছিল



ব্রেইন নামের একজন সাদাসিধে লোক যাকে ক্রুশিফাইড করা হয়। কিন্তু করার কথাতো জেসাস কে ? হিম, এটা শেষের দিকের গল্প। শুরুতেই দেখতে পাবো আসমান থেকে কয়েকজন ফেরেস্তা নেমে ব্রেইনের মাকে প্রচুর জান্নাতি জিনিষ উপহার দিলেন, এবং ব্রেইনকে নবী বলে আখ্যায়িত করলেন। কিছুক্ষন পরে বোঝা গেল আসলে এই উপহার জেসাসের জন্য, ব্রেইন তার পাশের বাড়িতে জন্ম গ্রহন করায় ভুল করে তাকে দেয়া হয়েছে। ফিরিয়ে নেওয়া হলো, ব্রেইন বড় হয়ে উঠলেন, কিন্তু একটা বিব্রতকর অবস্থায় পরে লোকসমাজে জেসাসের আগেই একটা জমপেশ ভাষন দিয়ে ফেললেন। সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ তাকে ফলো করা শুরু করলো। শেষমেশ...... দেখা যাক।



অতিরিক্ত মাত্রার কমেডি। কিছু কিছু জায়গা আছে পজ করে হাসবেন। এলাকা কাপিয়ে হাসবেন, বিশেষ করে জেসাসের উধাও হয়ে যাওয়ার জায়গাটাতে এত অসাধারন। আর শেষে একটা গান, খুব খোটা দেওয়া গান। আমন্ত্রন রইলো আনন্দময় কিছুসময় পাস করার জন্য।







About Elly



এটা কিন্তু আমার প্রথম ইরানী মিষ্ট্রি মুভি। এর আগে ইরানী মুভি বলতেই ড্রামা বুঝতাম। এইটা দিয়ে বোঝা গেল রহস্য আর ড্রামার মিশেল মুভি যদি একটা হয়ে থাকে তবে এটাই পাবে সে সম্মান। ২০০৯ সালের মুভিটি পরিচালনা করেছেন Asghar Farhadi । ২০১১ সালে তিনি A Separation মুভির জন্য তিনি অস্কার পেয়েছেন। এটা সাধারনত ইরানী মধ্যবৃত্ত পরিবারগুলোর সম্পর্ক সম্পর্কিত।



তিনদিনের ছুটি কাটাতে Caspian Sea তে গেল কয়েকটা ইরানী মধ্যবৃত্ত পরিবার। । পিকনিকের আয়োজন করেছে Sepideh । আর এখানের সকলে তার বন্ধু। আলাদা ভাবে এল,Sepideh এর মেয়ের স্কুল টিচার আর বিদেশী বন্ধু যে কিনা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে এসেছে। আড্ডা-গান এগিয়ে চলে গাড়ি। ওরা পৌছায়, কিন্তু যেখানে থাকার কথা ওখানে আর থাকা হয় না। কারন যে মহিলাকে শহর থেকে বাসা ভাড়ার জন্য ঠিক করা সে বাসা চেঞ্জ করে চলে যাবে সমস্যাজনিত কারনে। তাই ওরা সকলে আশ্র্য় সাগর ঘেষা একটা নষ্ট বাড়িতে। আর এখান থেকেই মূল গল্প।



ভুত-টুত কিছু না। পিওর ড্রামার সাথে মধ্যভাগে চমৎকার মিষ্ট্রির মিশেল। মুভিটি দেখা শেষ, আপনি হতবাক ভাবছেন ঘটনার মারপ্যাচ আপনাকে কোথায় নিয়ে এল।ইতিমিধ্য আপনি বেশ উপভোগ করেছেন প্রেম,গল্প,আড্ডা, সন্তান ভালোবাসা , ঝগড়া , তর্ক , কষ্ট , দুক্ষ ,চিন্তা,চেতনা। এরকম আরও অনেকগুলো অনুভুতিময় শব্দের সাথে পরিচিত হতে হতেই এটা হয়ে যাবে আপনার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটা।







Witness for the Prosecution



১৯৫৭ সালের সাদাকালো একটা কোর্টরুম ড্রামা মুভি। পরিচালনা করেছেন বিলি উইল্ডার। আগাথা ক্রিষ্টির কাহিনি অনুসারে নির্মিত। ভাবতেও পারিনি মুভিটি এতটা অসাধারন। শুরু থেকেই চোখ লেগেছিল মুভিটিতে। ১ সেকেন্ডেও এদিক সেদিক হয় নি, কারন বোধহয় রহস্যের উত্তেজনা। সাদাকালোর সাথে বরাবর মিষ্ট্রির একটা মিল রয়েছে। সাদাকালো যেন রহস্যের ওপিঠ।



ভোল একজন খুনের আসামী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু ভোল প্রচুর আন্তবিশ্বাসের সাথে বলছে সে খুনটা করেনি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্ট উকিল Wilfrid Robarts । তিনি প্রচন্ড অসুস্থ থাকা সত্তেও কেসটা নিলেন নিজের শেষ কেস হিসেবে এবং অনেকটা মানবিকতার দায়ে পরে। একজন নিষ্পাপ মানুষকে শাস্তি থেকে বাচাতে তিনি সামনে পা বাড়ালেন। কিন্তু আদালত মানেই ঝামেলাতো জায়গা। অনেকটা কঠিন হয়ে পরলো ভোলকে বাচানোর কাজটা। Wilfrid Robarts এর প্রতিপক্ষও কম যায় না। কিন্তু শেষ মেষ কি হবে, ভোল কি বাচবে ? Wilfrid Robarts কি হেরে যাবে তার শেষ কেসটা ? দেখে নিবেন মুভিতে।



আপনি হয়তো ভেবে ফেলেছেন এর শেষে কি হতে যাচ্ছে, মনে রাখুন এটা অস্কার প্রাপ্ত একটা মুভি, পরিচালনা করেছে বিলি উইল্ডার। আর কাহিনি যেহেতু আগাথা ক্রিষ্টির। গারান্টি নিয়ে দেখতে বসুন আপনি যা ভাবছেন তা তো হবেই না বরঞ্চ কতটা অবাক হলেন সেটা দেখার ব্যাপার।







Central Station



১৯৯৮ সালের ব্রাজিলের একটা ড্রামা মুভি।পরিচালনা করেছেন Walter Salles । অস্কারে দুটো শাখায় নোমিনেশন পেলেও জিততে পারিনি। ভালো পুরষ্কারের ঝুড়ি শুন্য হলেও এটা যে একটা অসাধারন ড্রামা মুভি তা আমি হলপ করে বলতে পারি।



ডোরা নামক একজন জেদী,একগুয়ে বৃদ্ধা মহিলা যে শিক্ষকতা থেকে বিদায় নিয়ে বর্তমানে Rio de Janeiro সেন্ট্রাল স্টেশনে চিঠি লেখা এবং তা পাঠানোর কাজ করছেন। কিন্তু কি এক অজানা কারনে তিনি চিঠিগুলো কখনোই পাঠাননা, নিজের কাছে রেখে দেন।ছিড়ে ফেলেন। সম্ভবত তার কাছে চিঠিপত্র আদান প্রদানকে এক প্রকারের বোকামী মনে হয়। একদিন গল্পের মূল চরিত্র Josue ও তার মা ডোরা কাছে চিঠি নিয়ে আসে, Josue এর বাবার কাছে একটা চিঠি পাঠানোর জন্য, Josue তার বাবাকে আগে পরে কখনোই দেখেনি। কিন্তু ডোরা সেই চিঠিও পাঠায় না। ২য় বার চিঠি পাঠিয়ে ফিরে যাবার সময় Josue এর মা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। Josue একা হয়ে যায়। ডোরা তাকে তার বাবার কাছে পৌছে দেবার জন্য তাকে নিয়ে রহনা হয়। এখান থেকে শুরু হয় মুভির মূল ড্রামা।



অসাধারন মুভি বিশেষ করে এন্ডিং। পাষানদের জন্য নির্মিত এই মুভি দেখে না কেদে কেউ থাকতে পারবেন বলে মনে হয়না। কতসুন্দর করে সাজানো প্রতিটি সিন।







Der Siebente Kontinent



পরিচালকের নাম মাইকেল হেনেক। হয়তো অনেকেই চেনেন অনেকে আবার আমার মতো চেনেননা। এবার আমি বলি ইনি হচ্ছে একজন জার্মানি পরিচালক। আমি তার একটা মুভি পুরাটা না দেখেই তার সব মুভি এক সাথে ডাউনলোড দিয়েছি। এবং যে মুভিটার কথা আমি বলছি সেটা অবশ্যি তার সেরা কাজ নয়। কিন্তু এই কাচা হাতের কাজ দেখে আমি যতটা অবাক হয়েছি, অপেক্ষায় আছি দেখতে, আমার উপর দিয়ে কি যাবে যখন আমি তার প্রধান,সেরা ও জনপ্রিয় মুভিগুলো দর্শন করবো।



১৯৮৭ সালের এই মুভিতে আমরা দেখতে পারবো একটা পরিবারের কাহিনি। তাদের নিত্যদিনের আচার-আচরন। স্বামীর নিয়মিত অফিস বাচ্চার স্কুল আর স্ত্রির অফিস ফেরত, ডিনার,লাঞ্চ আর ছাদের নিচের জীবন যাপন। পরিচালক আমাদের একটু একটু করে তাদের দৈনন্দিন সকল কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে সে এক অদ্ভুদ স্টাইলে। কিন্তু পরিচালক কখনোই বলেনি সত্যি কি হয়েছিল এই পরিবারের সাথে। হয়তো কিছু ক্রু রেখে গেছেন, সেগুলো বোধহয় সিনেমাতেই দেখা ভালো হবে।তো আপনি প্রস্তুত আপনার সেন্স অফ হিউমারটাকে ঝালিয়ে নিতে ?







Das Experiment



যারা এই মুভিটি দেখেনি তারা জানেইনা কি জিনিষ মিস করে গেল। মনে অজান্তেই কত বড় ভুল করে বসে আছেন মুভিখোরেরা। আর যারা দেখেছে, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আমি একটা মুভির কথা বলছি না। বলছি একটা জলজ্যন্ত পেইনের (ব্যাথা) কথা। Oliver Hirschbiegel পরিচালিত এই জার্মানি মুভিটাকে মুভি বলার থেকে পেইন বলা ভালো, যতটা আপনাকে আনন্দ দেবে এই মুভি তার থেকে বেশী দেবে যন্ত্রনা। প্রচুর পরিমানে ব্রেনে চাপ দেওয়া মুভি। হঠাত হঠাত পিসি অফ করে দিতে মন চাবে। ইচ্ছা করবে ভার্চুয়ালিটির বিভেদ ভেঙ্গে দিয়ে মুভির প্লটে গিয়ে সব উলটে পালটে দিতে।

অতি সাধারন একটা গল্পকে কতটা সুন্দর উপস্থাপন।



একটা গবেষনার কাজে কিছু মানুষকে ভাড়া করা হয়। তাদের যা করতে বলা হবে তাই করে দিতে হবে, বিনিয়মে পাবে টাকা। গবেষনা শুরু হয়, ভাড়াটে মানুষগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একদলকে করা হয় পুলিশ। আরেক জল আসামী। জেলে বন্দি করা হয় আসামীদের, পুলিশদের তাদের গার্ডে রাখা হয়। শুরু হয় গেম, একটু একটু করে পুলিশ আসামীদের মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, এগিয়ে যেতে থাকে গবেষনা। বাড়ে টেনশন। চাপের মুখে উলটে যায় মন্সতাত্তিক সীধান্ত। খুব অল্পসময়ে আসামীদের সাথে গার্ডেদের একটা বিবাদ লেগে যায়। এইখানে ফিল্মের মুল টার্ন। আর এখনি শুরু পেইন।



প্রচুর অসাধারন কিছু ক্লালারের ব্যবহার দেখা যাবে এই মুভিতে। জোড়ালো মেসেজ দিয়ে শেষ হয়ে যাই এই অসাধারন ব্যথাবল জিনিষ বা সাইকোলজিকাল থ্রিলার।

বিঃদ্যঃ মুভিটি আর রেটেড তাই নিজ দ্বায়িত্তে দেখুন।







Turtles Can Fly



ইরানী চলচিত্র। দেখার আগেও জানতাম যে আমি একটা মুভি দেখতে চলেছি, দেখার পর অনুধাবন করলাম আমি কোনো মুভি দেখিনি । স্রেফ একটা ভ্রমন করে আসলাম। কিন্তু কোথায় সে ভ্রমন স্থান ? সেটা না হয় আপনিও অনুধাবন করে নেবেন। যাই হোক এর পরিচালক Bahman Ghobadi । অসাধারন পরিচালনা করেছেন তিনি। এক কথায় যে কেউ মেনে নেবে।





কাহিনি আবর্তিত হয়ে কুদরিশ রিফিউজি ক্যাম্প ঘিরে, ক্যাম্পের অবস্থান ইরাক-কুদরিশের বর্ডারে। আমেরিকা-ইরাক ঝামেলা এখনো লাগেনি। লাগু লাগু অবস্থা। বর্ডারঞ্চলের মেধাবী কিশোর ছেলে যাকে গ্রামবাসী স্যাটেলাইট বলে ডাকে কেননা সে টিভি,রেডিও,ডিশ সর্বোপরী ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় পারদর্শী। শুধু তাইনা সে একটু সেকটু ইংরেজিও জানে। সেই সুবাদে সাদ্দাম-বুশের ভালো সংবাদ তার কাছে থেকে পাওয়া যায়। সেই ছেলে মোটামুটি কিশোর এবং বুড়ো সমাজকে লিড করে। কিশোর সমাজকে নিয়ে বর্ডার অন্তর্গত খনিগুলো দেখাশুনা করছে। ভয়ংকর খনির বিষ্মরনে এখানের অনেকেই হাত- পা হারিয়েছে। ফলাফলে দেখা যায় অধিকাংশ শিশুই পঙ্গু।

কাহিনিতে গুরুত্ত্বপুর্ন চরিত্র একটা মেয়ে। আমরা পোষ্টারে যাকে দেখতে পারছি।তার সাথে একটা বাচ্চা ও ভাই। খুব রহস্যময় এই চরিত্র তিনটি।



চরিত্রগুলো বিশ্লেষন করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে মুভি। ইতিমধ্যে আপনি অনেক কিছু দেখে ফেলেছেন। ভেঙ্গে ফেলেছেন অনেক রহস্য। শিওর শেষের দিকে আপনার চোখ ছলছল করছিল। যখন ফিল্ম শেষ হয়ে গেল গারান্টি তখন আপনি ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিকে আটকে আছেন আচানক একটা মোহে। ভাসছেন কোনো এক অমিমাংশিত চিন্তায়
। আহবান রইলো এই অসাধারন ভ্রমনে।



It was the first film to be made in Iraq after the fall of Saddam Hussein.



@@@@@



টরেন্ট ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন । তারপর নাম দিয়ে সার্চ করুন। যেটা খুশি সেটা ডাউনলোড করুন।



ডাইরেক্ট ডাউনলোড করার জন্য এখানে সার্চ করুন



@@@@@



এই ১০ টা মুভি আমাকে ব্লগার হাসান মাহবুব ফেসবুকে রেকমেন্ড করেন। প্রতিটি মুভি এতোই সুন্দর যে দেখামাত্রই এগুলো আমার দেখা সেরা এবং পছন্দের তালিকার উপরের দিকের আসন দখল করে বসে আছে। একটু সময় ভেবে-চিন্তে লিখতে বসলাম। মুভিগুলো প্রচুর ব্যপ্তি নিয়ে, সেক্ষেত্রে হয়তো আমার রিভিউ তাদের সঠিক ভাব প্রকাশ করতে পারিনি। অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থনা করছি। রিভিউয়ের বিচারে মুভিগুলোকে হেলা করবেন না। সেটা হয়তো একজন মুভিখোর হিসেবে অনেক বড় ভুল বৈকী আর কিছুই হবেনা।



@@@@



যদি পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যি আমাকে এরকম বা এর থেকে ভালো অতন্ত্য একটা মুভি রেকমেন্ড করুন কমেন্টে।



@@@@



আমার মুভি বিষয় ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন আপডেটিত

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +৪৭/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫

আপেল বেচুম বলেছেন: ভেবেছিলাম পোস্ট পড়ে চলে যাব, কারন কোন মুভিই দেখা না। কিন্তু শেষ মুভিটার নাম দেখে লগ ইন করলাম। সবাইকে অনুরোধ করব এই মুভিটা দেখার জন্য। আমার অনুভূতি বোঝাতে পারব না। খুবই মন খারাপ করে দেওয়া মুভি।

এই মুভি সবার জন্য না।

২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

দিপ বলেছেন: মুভির শেষের দিকটা !!!!

সে এক থমকে থাকা অনুভুতি।

সবার দেখা উচিত।

সবার

২| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

ধূসরধ্রুব বলেছেন: কোনটাই আমার পরিচিত মুভি না :| :| এখন দেখতে মুঞ্চাচ্ছে :( :(

২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

দিপ বলেছেন: একদম প্রথমটা (Incendies ) দিয়া শুরু করুন। বাকিগুলো আপনাকে এমনিতেই টানবে

৩| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

সন্দীপ হালদার বলেছেন: সবই অপরিচিত মুভি। Das Experiment এর ইংলিশ ভার্শন দেখেছি। ভাল লাগে নি। জার্মানটা দেখার ইচ্ছে আছে।

২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

দিপ বলেছেন: জার্মানটা ভালোলাগতে বাধ্য।

Turtles Can Fly

অবশ্যি দেখা উচিত।

এটা ভালোলাগবে এবং অবশ্যি লাগবে

৪| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: Incendies , Witness for the Prosecution ,Das Experiment মাত্র এই ৩টা দেখছি.........১০০তে মাত্র ৩০......ফেল একদম ফেল :( :(

ইরানী মুভিগুলো দেখার ইচ্ছা অনেকদিন ধরেই..........যোগাড়ই করতে পারছি না..........কিন্তু দেখা ছাড়াও উপায় নাই.........

হামা ভাই দেখি অনেক ভালো কিছু মুভি সাজেস্ট করলেন........আর আমি আন্দাজে কয়েকদিনে দেখা ১০টি মুভির নাম দিলাম.......লজ্জায় পড়ে গেলাম..............

দূর্দান্ত পোস্ট হইছে এইটা.........মুভিগুলো অবশ্যই দেখতে হবে..........রিভিউ এককথায় সুপার্ব হয়েছে...+++++++++

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩০

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ, নাফিয ভাই,

আপনি নাহয় সাগেষ্ট আরেকবার কইরেন।

আপনারটা নিয়ে নেক্সট পোষ্ট হবে ইনশাল্লাহ।

আর হামা ভাইয়ের কথা বলিলেন না।

তাইনে বস মানুস।

প্রচুর বেছে বেছে একদম পারফেক্ট মুভিগুলো দেখে সে।

৫| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: মুভি খুব কম দেখা হয়। সামুর রিভিউ গুলা পড়ে যেগুলো দেখি সেগুলো আসলেই বেশ ভাল হয়। চমৎকার রিভিউ। প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩২

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ শাওন ভাই।

যত মুভিওই দেখি সব সামু থেকে নেওয়া।

সামু আসলেই অন্য একটা জগত।

৬| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সবুজ সাথী বলেছেন: এর মধ্যে কয়েকটা দেখা হয়েছে, কয়েকটা নামানো আছে আর কয়েকটা নতুন পেলাম। :) ধন্যবাদ।

Turtles Can Fly এর পরিচালক Bahman Ghobadi একজন কুর্দিস ইরানি লোক। সিনেমাটা দেখে আমার প্রিয় পরিচালক মাজিদ মাজিদির কথা মনে আসে। মাজিদ মাজিদির সিনেমা যেমন খুব সাধারণ ঘটনা সুন্দর মেকিং আর অসাধারন শটের কারনে অন্তরের গভীরে আঘাত করে এটাও আমার কাছে সেরকম মনে হয়েছে।

ভয়ংকর খনির বিষ্মরনে এখানের অনেকেই হাত- পা হারিয়েছে
এখানে একটু ভুল হয়েছে মনে হয়। ওগুলো আসলে স্থল মাইন। যাই হোক ভাল লেগেছে। :)

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৭

দিপ বলেছেন: এইখানে আমার একটু দ্বন্দ আছে।

স্থল মাইন বলতে ঠিক কি বোঝাচ্ছেন ?

আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা।

আমাকে একটু খোলাসা করে দিলে ভালো হতো,

স্যাটেলাইট যে বিষ্মরনে পা হারায়, ওইটা কি ধরনের বিষ্মরন?

৭| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

মাইশাআক্তার বলেছেন: Incendies, Das Experiment মাত্র এই দুটো দেখেছি :(
পছন্দের তালিকায় রাখলাম বাকিগুলো দেখে ফেলবো।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৯

দিপ বলেছেন: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

Incendies সম্নধে মতামত জানালেন না

৮| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

ল্যাটিচুড বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, সময় করে পড়ে দেখবো।

ভালো হয় মুভি গুলোর ডাউনলোড লিংক দিলে, তা না করে শুধু শুধু রিভিউ দিয়ে লোল ফেলানোর কোন মানে হয় না ........

আপাতত প্লাস, ডাউন লোড লিংক না দিলে মাইনচ খাইবেন কিন্তু

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৩

দিপ বলেছেন: এখানে গিয়ে সার্চ করলেই লিঙ্ক পেয়ে যাবেন

ডাইরেক্ট রিজিউমসহ ডাউনলোড লিঙ্ক

http://stagevu.com/

৯| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

পুশকিন বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৫

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ পুশকিন ভাই

১০| ২২ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১

সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ভাই আপনি থাকেন কই ? আমারে পেনড্রাইভে করে মুভি গুলা দেন । লিমিটেড ইউজার । ডাউনলোড দিয়ে কুলাতে পারবো না । স্বাধ আছে স্বাদ্ধ না টাইপ এর ... :| :| :|

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৬

দিপ বলেছেন: সময়ে-স্ময়ে মিললে নিতে পারবেন, মিরপুর থাকি।

খুব দরকার হলে ফেসবুকে যোগাযোগ করবেন

১১| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৫০

মনিং_ষ্টার বলেছেন: খালি টারটলস কেন ফ্লাই দেখছি। অসাম মুভি।
সব সময় ব্যাতিক্রম ধর্মী মুভি দেখার মুড থাকে না।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৯

দিপ বলেছেন: শ্রাবন মাসটাই কিন্তু ব্যাতিক্রমের জন্য পারফেক্ট

১২| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৪১

সবুজ সাথী বলেছেন: গুগলে land mine লিখে সার্চ মারেন, পেয়ে যাবেন আশা করি। :)

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৫৬

দিপ বলেছেন: আচ্ছা।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৭

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: একটাও দেখি নি , তোমার থাইক্কা নিতে হইবো দেখতেসি ।

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ৭:২১

দিপ বলেছেন: তাই কইরেন

১৪| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫২

ইউসুফ খান বলেছেন: কিছু দেখা বাদ আছে। দেখতে হবে। নাইস পোস্ট দিপ :)

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ৭:২২

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:১৮

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট :)

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:২৯

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার রেকমেন্ডস করা মুভিগুলো তোমার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। রিভিউ ভালো হৈসে। তবে হ্যানিকের মুভিটা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।

এইটা একটা ট্রিলজির প্রথম পর্ব। Glaciation trilogy. ছবিগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত না চরিত্র বা কাহিনীগত দিক দিয়ে। তবে থিমেটিক মিল আছে। নাগরিক জীবনের নির্লিপ্ত নৃসংশতা, ডিপ্রেশন, অন্তর্গত ভায়োলেন্স সবকিছুর চিত্রায়ন করা হয়েছে খুব নির্বিকার ভাবে। কসাই সময়ের হাতে বরফ ছুরি। যেইটা দেখসো, ঐটা গভীরতম হতাশা এবং বিপর্যয়ের গল্প। কিন্তু হ্যানিকের ট্রিটমেন্ট অন্যরকম। হাই মেলোড্রামা নাই, অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিব্যক্তিতেও তীব্রতা নাই। যেন খুব সহজে সবকিছু ভেঙে ফেলা যায়। শহরকেন্দ্রিক প্লাস্টিকজাত বাস্তবতায় মোড়ানো মানুষগুলো এমনই হয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে মোটেও হ্যানিকের কাঁচা কাজ মনে হয়নাই ছবিটা। ঐটা দেখার পর আমি প্রায় এক সপ্তাহ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এখন তোমার মন্তব্যে বোঝা গেলো, তুমি হ্যানিকের কাছ থেকে আরো চটকদার কিছু আশা করছ। সেই আশা নিয়ে দেখলে হতাশ হবা। কারণ তার এই স্বকীয় স্টাইল অন্যান্য ছবিগুলোতেও বজায় রেখেছেন তিনি। আমি তার আটটা ছবি দেখসি। খুব জনপ্রিয় অথবা সর্বজননন্দিত হবার মত না তার ছবিগুলো। তার ছবি অনুভব করতে হলে আগে তার প্রকাশভঙ্গির সাথে টিউনড হতে হবে। আমি প্রথম থেকেই সেটা কীভাবে যেন হয়ে গেসি। সে আমার প্রিয় পাঁচ পরিচালকের একজন। তার একটা কথা আমি প্রায়ই বলি, আমার গল্পের ক্ষেত্রেও সেটা খাটে বলে,

I like the multiplicity of books, because each book is different in the mind of each reader. It's the same with this film - if 300 people are in a cinema watching it, they will all see a different film.

২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:১৫

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, এত বড় কমেন্টের জন্য।

হ্যানিক সমন্ধে আপনার কমেন্ট বেশ কাজে এসেছে, কারন আমার আগ্রহ আরও তীব্র হয়েছে।

কিভাবে তাকে অনুভব করবো এটাতো আর জিজ্ঞেস করা যায় না, কিন্তু কথা দেওয়া যেতে পারে যে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো তাকে উপলব্দি করার।

কাচা কাজ বলতে, আমি প্রথম দিকের কাজ বুঝিয়েছি, মানে আমি যখন তার টপ ৫ দিয়ে সার্চ করলাম, কোনো সাইট বা ম্যাগাযিন এই মুভিটাকে সেরা ৫ এ আনেনি।

সেজন্য আমি ধরে নিয়েছি, এটার থেকে অসাধারন কাজ তার আছে।

যেহেতু এত অসাধারন মাথানষ্ট করা একটা ফিল্ম সেরা ৫ এ নেই তাহলে যেগুলো সেরা ৫ এ আছে সেগুলো কি ?

হ্যানিকের ৮ টা যেহেতু আপনি দেখেছেন সেহেতু প্লিয আমাকে আপনার টপ ৫ লিষ্ট একটু দিন, আমি সেগুলো সিরিয়ালি দেখবো

১৭| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: la pianista
The white ribbon
Funny games ( এটার দুইটা ভার্শন আছে। প্রথমটা ফ্রেঞ্চ, দ্বিতীয়টা আমেরিকান। আমেরিকানটা হ্যানিক নিজেই রিমেক কর্সে এবং ফ্রেঞ্চটার শট টু শট কপি। যেকোন একটা দেখলেই হবে)
Benny's video
Cache

দ্যা সেভেন্থ কনটিনেন্ট প্রিয় লিস্টে থাকতো, তবে ঐটা তো দেইখাই ফেলসো।

২৩ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

দিপ বলেছেন: হিম।

ডাউনলোড দিলাম

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩৯

আপেল বেচুম বলেছেন: সহমত@সবুজ সাথী। টার্টলস ক্যান ফ্লাই মুভির প্লট যে এলাকা সেখানে ইরাক প্রচুর মাইন লাগিয়েছিল। হাত-পা বিস্ফোরিত হওয়ার কারন মাইন। অন্য কিছু নয়।

২৩ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪২

অনন্ত আরেফিন বলেছেন: নন-হলিউড মুভি তেমন দেখা হয় নাই। কি দেখবো তা সিলেক্ট করার জন্য আপনার এই পোস্ট অনেক কাজে আসবে। ধন্যবাদ।।

২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৩২

দিপ বলেছেন: সবগুলোই দেখবেন।

আশা টাশা না গারান্টি দিচ্ছি হতাশ হবেননা

২০| ২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৩২

কাউসার রুশো বলেছেন: Incendies ,White Balloon, La Strada অনেকদিন ধরে হার্ডডিস্কে পড়ে রয়েছে।

Das Experiment, Turtles Can Fly কমন পড়লো।

এক্সিলেন্ট চয়েজ। খুব ভালো পোস্ট
++++

২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২২

দিপ বলেছেন: চয়েজ করে দিয়েছে হাসান মাহবুব।

আরও ১০ তা নিয়েছি, তার একটাও দেখি নাই।

ডাউনলোড দিচ্ছি, কবে শেষ হবে আল্লাহ জানে।

আর কবে যে দেখবো।

ধন্যবাদ রুশো ভাই Incendies দেখেন তাড়াতাড়ি। আপনার মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম

২১| ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১:১২

কাউসার রুশো বলেছেন: তোমারে কয়েকটা রিকমেন্ড করি। না দেখে থাকলে সময় করে দেখে নিবে।

Krzysztof Kieslowski এর A Short Film About Love আর A Short Film About Killing
Wong Kar Wai এর In the Mood for Love
ধ্রুপদী চলচ্চিত্র কাকে বলে বুঝবা এগুলো দেখলে। আমার খুবই প্রিয়। মেকিং দেখে মাথা নষ্ট!

২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

দিপ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

A Short Film About Love

A Short Film About Killing


ডাউনলোড দিয়ে দিলাম।


Informal trilogy

অনেক দিন ধরে ডাউনলোড করা আছে।

আজ কাল দেখে ফেলবো

২২| ২৪ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০

মুনতা বলেছেন: ভাল পোস্ট

+++

২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:১৩

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩| ২৫ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, নিসন্দেহে প্রতিটা মুভি প্রিয় মুভির তালিকায় থাকার মত।

২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৮

দিপ বলেছেন: সবগুলোই দেখছেন !!

কিছু রেকমেন্ড করেন !!!

২৪| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:২০

আমি রাইন বলেছেন: একটাও দেখিনি :(
এগুলো আবার নামাতে হবে সব।
এত এত মুভি কখন যে দেখি :(

২৬ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৬

দিপ বলেছেন: আসলে, ইন্টারটেইনের ফাকে ফাকে এইসব ব্যতিক্রমি মুভিগুলো দেখা ভালো, তাহলে চিন্তা ভাবনা পাশাপাশি আগ্রহে সমতা থাকে।

আশাকরি,সবগুলোই দেখবেন

২৫| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৪

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট, বেশ কয়েকটাই আনকমন পড়লো, ভালো লিছু সাজেশান পেলাম।

+++++++++

২৭ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:০৮

দিপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমার শতভাগ আনকমন ছিল।

মুভিগুলো দেখে আমার অনুভুতিটা অনেক ফুর ফুরে ছিল

২৬| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৫৭

chai বলেছেন: Witness for the Prosecution দেখেছি । মুভি না দেখলে বোঝা যাবে না কি হয় শেষে । এই পোষ্টের সব গুলো মুভি দেখার ইচ্ছা আছে । পোষ্ট খুব ভাল হয়েছে ।++++

২৮ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

দিপ বলেছেন: Witness for the Prosecution এক কথায় অনবদ্য একটা মুভি। প্রচন্ড ভালো লাগের শেষের টুইষ্ট। আসলে ভাবতেও পারেনি টাইপ কিছু দেখলে সবার ভালোলাগে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

দেখে ফেলুন একটু একটু করে

২৭| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:১৭

আমি রাইন বলেছেন: The White Balloon দেখলাম। মেয়েটা এতো কিউট। মায়ের কাছে যখন আবদার করে এত সুইট লাগে।

আজকে দেখব About Elly আর Turtles can Fly।

২৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:১৬

দিপ বলেছেন: The White Balloon বাচ্চাটা সত্যি কিউট।

আর এত মানবিক আচরন।

দেখে জানাবেন কিন্তু কেমন লাগলো

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৪২

কিংবদন্তী হাসিব বলেছেন: আপনার রিভিও গুলো চ্রম লাগল। শোকেশে রাখলাম। বেশিরভাগ মুভিই দেখিনি। হয় হলিউডের নয়, নয়তো ক্লাসিক। একটা একটা করে দেখবো। আরো রিভিওর অপেক্ষায় রইলাম............

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪০

দিপ বলেছেন: রিভিউতো অনেক দিয়েছি।

আরও আসবে সামনে,

২৯| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৩৮

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: প্রথম আর শেষ দুটি মুভি আসলে মুভি না, হাতুড়ি। কারন, এদুটো আপনার বোধশক্তির উপর আঘাত করে, নির্মম ভাবে।

আমি প্রায় অনেকখন ঠায় বসে ছিলাম একজায়গায়। কিছুই করিনি, এমন কি কোন চিন্তাও না।

হোয়াইট বেলুন আমার দেখা অসাধারন কিছু মুভি গুলর একটি। আই জাস্ট লাভ দ্যাট কিউট পিচ্চি।

আর দাস এক্সপিরিমেন্ট, এতটা ভাল লাগে নাই। এক্সট্রীম মনে হইসে।

ওভার অল, দুর্দান্ত একটা পোস্ট। চমতকার রিভিউ।

৩০ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

দিপ বলেছেন: বাকিগুলো দেখে ফেলবেন।
সমগ্রটা সত্যি চমৎকার

৩০| ৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ২:১৭

আমি রাইন বলেছেন: About Elly দেখে বেশ ভাল লেগেছে। সারাক্ষন টেনশন কাজ করেছে। ভাল লাগার রেশটা রয়ে যেত যদি এরপরে Turtles can fly না দেখতাম।

Turtles can fly নিয়ে কিছু বলার ভাষা আমার নেই। আমি ভুলে যেতে চাই এমন কিছু আমি দেখেছি। কিন্তু কোনভাবেই সেটা পারছিনা।

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮

দিপ বলেছেন: Turtles can fly সত্যি মনকে ভিষন ভাবে নাড়া দেয়।

বাকিগুলোও দেখে ফেলবেন।

কারন এখানের সবগুলো মুভিই একই রকমের।

আর জানাতে ভুলবেন না

৩১| ৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:০৪

আমি লিখতে চাই না বলেছেন: জীবনে এত ছবি দেখলাম অথচ বেশির ভাগেরই নাম অচেনা। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫১

দিপ বলেছেন: এখনতো চানা জানা হয়ে গেল।

দেখতে আর বাকি থাকবে কেন

৩২| ৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৮

দূর্যোধন বলেছেন: পরীক্ষায় ফেল করলাম :(

একটাও না !!!!!!!

৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:০৬

দিপ বলেছেন: ফেইলার ইজ দ্যা পিলার অফ সাকসেস।

দেইক্ষা ফালান

৩৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

কিংবদন্তী হাসিব বলেছেন: Life of Brian এর মত আরো দুই-একটা মুভি হবে না? হাসতে হাসতেতো পেট ব্যথা =p~ =p~ =p~

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

দিপ বলেছেন: Holy Grail
এটা দেখতে পারেন।

একই ষ্টাইলের মুভি

৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে

৩৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৭

অজস্রধারা বলেছেন: অসাধারণ সবগুলি মুভি। সবগুলোই ডাউনলোড করেছি। সবই ভাল লাগলো। নতুন করে বলার কিছু নেই, বিশেষভাবে কোনছবিকেই এদের মাঝ থেকে ভাল বলাও মুশকিল, কেননা সবগুলো মুভিই তাদের নিজ নিজ প্রেক্ষাপটে Unique.

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

দিপ বলেছেন: ঠিক

৩৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

অজস্রধারা বলেছেন: ভাই, আরও কিছু মুভি দেন না। ভাল মুভির খুব আকাল মনে হয় আমার কাছে। আপনার দুটি লিষ্ট আমি অনেক আগেই শেষ করেছি। নতুন কিছু দিতে পারেন। খুব উপকার হয়। মুভি দেখা আমার আফিমের নেশার মত। ভাল মুভি না পেলে খুব খারাপ যায় দিনগুলো। দেখেন না কিছু করা যায় কিনা? অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকবেন।

৩৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: October sky আমার কাছে সেই রকম লাগছে ......... অনেকবার দেখছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.