নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। সাগর মহাসাগর পেরিয়ে অনেক দুরে এসে শত জটিল গবেষণা করলেও জন্মস্থানের সাথে নিয়তই নাড়ির টান অনুভব করে যাই। আর বাংলাভাষা যে মস্তিস্কের অনেকটা স্থান জুড়ে আছে, তা সহজেই অনুমেয়।

দীপু সিদ্দিক

অন্যের ভালো দেখে দেখে ভালো থাকতে চাই! অন্যদের ভালো কামনা করে ভালো রাখতে চাই! মানব মমতার স্বরূপ খুজতেই অতীতকে ভালোবাসি এবং অতীত নিয়ে নাড়াচাড়া করি ।।

দীপু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের প্রথম ঘর: পাহাড়ের গুহা (পর্ব ০১)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

প্রথমদিকের মানুষেরা, বিশেষত প্রত্নপ্রস্তর যুগের মানুষেরা, তাদের শিকার ও সংগ্রহের জীবনে তেমন কোন আশ্রয়স্থল তৈরি করে নি। খুব স্বল্প পরিসরে মাথা গোজার ঠাই হিসেবে যেটুকু আশ্রয়ের সাহায্য তারা নিয়েছিল তা ছিল প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টি ও ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য। যে সব গুহাগুলোতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল সেগুলোর খুব কম সংখ্যকের সামনেই তারা রাতের বেলা বা অন্য কোন সময়ে আবরণ, বেড়া বা দরজা বসাত। অর্থাৎ সব সময়ে তা প্রাকৃতিক অবস্থায় পাওয়ার মতই খোলা থাকত।



আগুনের আবিষ্কারের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুহামুখের সামনে সার্বক্ষণিক আগুনের ব্যবস্থা করা হত, যা আসলে একদিকে বন্য প্রাণির আক্রমন থেকে বাচাত এবং অন্যদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে গুহার পরিবেশ গরম রাখত। অনেক সময়ে কোন গুহায় অনেক আগে থেকে হিংস্র প্রাণি বাস করে থাকলে সেখান থেকে প্রাণিগুলোকে তাড়িয়ে দিতেও মানুষ আগুনের ব্যবহার করত। বাস্তবিক অর্থেই সর্বশেষ বরফযুগের সময়টাতে যে ভয়াবহ ঠান্ডা আর প্রচন্ড রকমের রূক্ষ আবহাওয়ার কারণে যে অনিরাপদ জীবন ছিল, তা থেকে বাচার জন্য পাহাড়ের গুহাগুলোর চেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক অন্য কোন স্থান আর ছিল না।



বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, ঐরকম ভয়াবহ অবস্থায়ও গুহাগুলোকে আদি মানুষেরা স্থায়ী আবাস হিসেবে না নিয়ে বরং সাময়িকভাবে বা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়কালীন ঋতুভিত্তিক অস্থায়ী আবাস হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল। কেন? সহজেই বোঝা যায় যে, বেচে থাকার জন্য খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে। কারণ বরফের প্রচন্ডতায় উদ্ভিদের তেমন প্রাচুর্য ছিল না এবং সে জন্য প্রাণির সংখ্যাও তুলনামুলকভাবে কম ছিল। আর বেচে থাকার প্রয়োজনে মানুষকে ঘুরে বেড়াতে হত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ক্রমাগত ও রিরামহীন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সেই আদিম যুগে আমাদের স্মরণ
ভাল লাগল
ঈদ মোবারক

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আরো লেখা আসবে প্রাগৈতিহাসিক জীবন নিয়ে। পরামর্শ এবং আলাদাভাবে লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারনের ক্ষেত্রে সাহায্য চাই।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আরো লেখা আসবে প্রাগৈতিহাসিক জীবন নিয়ে। পরামর্শ এবং আলাদাভাবে লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারনের ক্ষেত্রে সাহায্য চাই।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪

হোসেন মনসুর বলেছেন: ভাল লাগল, চালিয়ে যান।
ঈদ মোবারক ।।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
কোন নির্দিষ্ট সংশোধনি কিছু থাকলে পরামর্শ দিতে সংকোচ করবেন না। এতে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: এক বিস্ময়কর আর চ্যালেঞ্জের জীবন ছিল সেই সময়। কত ভয়ংকর আর কষ্টের এক সুদীর্ঘ জীবন পাড়ি দিয়ে মাত্র ৫০০০ বছর আগে মানুষ শুরু করেছিল আজকের এই সভ্যতার জীবন।। অথচ মানুষের কত অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ এখন দেখা যাচ্ছে।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুঁজে খুঁজে প্রথম পর্ব পড়েই ফেললাম :)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২২

দীপু সিদ্দিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই !
একটু আগে একটু কষ্ট নিয়েই আমার পর্ব ০৩ কে ফেইসবুকে পোষ্ট করেছিলাম এই বলে:
"প্রাকইতিহাস সম্পর্কে আমার দেশের মানুষকে খুব কমই জানানো হয়। দুএকজন ছিটেফোটা যাও জানেন তা তারা নিজেদের থলের মধ্যেই রেখে রেখে ব্যাবসা করে বেড়ান। এজন্য প্রাকইতিহাস বা প্রত্নতত্ত্বের মত বিষয়গুলো আজও আমাদের কাছে ফ্যান্টাসিই রয়ে গেছে। এগুলো যে বর্তমান মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ সেই ধারণা অন্ধকারেই আছে। এজন্যই আমার কিছু কিছু ছোটখাট চেষ্টা। "

বুঝতেই পারছেন কেমন মানুসিকতা নিয়ে এগুচ্ছি। আপনাদের উপদেশ ও পরামর্শ খুবই প্রয়োজনীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.