![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যের ভালো দেখে দেখে ভালো থাকতে চাই! অন্যদের ভালো কামনা করে ভালো রাখতে চাই! মানব মমতার স্বরূপ খুজতেই অতীতকে ভালোবাসি এবং অতীত নিয়ে নাড়াচাড়া করি ।।
যাইহোক, আমরা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে ঐ সময়ের অন্যান্য যে কোন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের চেয়ে গুহাবসতির নিদর্শন বেশি পাই। কারণ অন্যগুলোর চেয়ে এগুলো খুজে পাওয়া তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহজ। এসব গুহাগুলোতে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা চালিয়ে আমরা গুহাগুলোর আদি অবস্থা থেকে কেবল সামান্যই পরিবর্তন লক্ষ করি, যেমন কোন কোন গুহাতে মানুষেরা হয়ত একটি চুলা বানিয়েছিল অথবা বাতাসের দিক ঘুরানোর জন্য কোন বড় পাথর বসিয়েছিল ইত্যাদি। এসব গুহায় প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে আমরা সাধারণত বসবাসকারী প্রাগৈতিহাসিক মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবারের সংরক্ষণকৃত নমুনা, ফেলে রাখা বিভিন্ন ভোতা ও অকেজো হাতিয়ারসমূহ, চকমকি পাথরের বিভিন্ন কাচামাল ও গুহায় বসে এগুলো থেকে হাতিয়ার তৈরির সময়কার উচ্ছিষ্ট, বিভিন্ন প্রাণির হাড়গোড় অথবা হাড়গোড় থেকে হাতিয়ার বানানোর সময়কার বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট প্রভৃতি পাই।
প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য প্রথমদিকের মানুষের নমুনা হিসেবে এগুলোই আমাদের প্রধান অবলম্বন। অবশ্য এগুলোর মাধ্যমেই তাদের জীবনমান, খাদ্যাভ্যাস, প্রযুক্তির ধরণ, প্রাকৃতিক সুবিধা অসুবিধা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অথবা বলতে গেলে মানুষের শখ আহ্বলাদ ও বিভিন্ন বিশ্বাস প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারি।
পাহাড়ের গুহা ব্যতিত প্রাগৈতিহাসিক মানুষ নিজের হাতে পৃথিবীর যে সব স্থাপত্য তৈরি করেছিল তার অল্পই প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুজে পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন অঞ্চল ও পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চলে আবিষ্কৃত নিদর্শনগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মত। অবশ্য এসব তৈরি করেছিল প্রত্নপ্রস্তর যুগের আরো অনেক অনেক পরে এসে নব্যপ্রস্তর যুগে। ৭.৫ লক্ষ বছর থেকে শুরু হয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার বছর পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে শেষ হয়েছিল প্রত্নপ্রস্তর যুগ। পরবর্তীতে ১০ হাজার বছর পূর্বেকার ভূতাত্ত্বিক যুগ পর্ব হলোসিন সময়ে পৃথিবীর আবহাওয়া ও জীবজগতের ব্যাপক পরিবর্তনের হাত ধরে শুরু হয় মধ্যপ্রস্তর যুগ। স্বল্পকালীন সময় ধরে টিকে থেকে ৭ থেকে ৮ হাজার বছর আগের সময়টাতেই মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রবল বৃষ্টিপাত ও নানামূখী পারিবেশিক পরিবর্তনের হাত ধরে মূলত শুরু হয়েছিল নব্যপ্রস্তর যুগ। মানুষের অতিদ্রুত পরিবর্তন ও জীবনের সহজলভ্যতার সেই সূচনা। আর ঠিক তখনই মানুষ তৈরি করে তার নিজ হাতের আবাস। কুড়েঘর। পৃথিবীর বুকে মানুষের তৈরি প্রথম বসবাসের স্থাপত্য। যাকে আমরা এখন বেশ আভিজাত্যের ভঙ্গিতে বলি ‘আর্কিটেকচার’।
পর্ব ০১ এর লিংক:
Click This Link
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১
দীপু সিদ্দিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে মনের দিক দিয়ে এখনও গুহাবাসীরাই এগিয়ে।
সেটা পরবর্তি পর্বগুলোতে জানানোর চেষ্টা করব।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৬
দীপু সিদ্দিক বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই তো আমরা আজকের জটিল জীবনে এসেছি।
এখন আমার মনে হয় প্রকৃতির (মহাপরাক্রমশালী স্রষ্টা) নিয়মেই আমরা আবার প্রাগৈতিহাসিক সেই সরল ও শান্ত জীবনে ফিরে যাব।। পৃথিবীর ইতিহাস কি তা'ই বলে?
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক শেষ পর্যন্ত যেতে হবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৪
দীপু সিদ্দিক বলেছেন: সেটাই পরিকল্পনা।
এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব আশা করছি। পরামর্শের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা জমা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৮
আহলান বলেছেন: গুহা বাসি আজ অট্টালিকাবাসি ...