![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
©লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের কোনো কিছু অন্যত্র প্রকাশ করা যাবে না।©
ইসলাম একটি ভাবসমৃদ্ধ শব্দ, যার অর্থ আনুগত্য, অনুসরণ ও শান্তি। কেউ কেউ ইসলামকে শান্তি অর্থ বললেও কেবল একটি অর্থে ইসলামকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, বরং এর অর্থ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
ইসলামের আভিধানিক অর্থঃ
‘ইসলাম’ শব্দটি আরবি। এটি বাবে ‘ইফয়াল’ এর মাসদার বা ক্রিয়ামূল। এটি ‘সিলমুন’ মূল ধাতু থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ নিম্নরূপে বলা হয়ে থাকে।
ক. Submission, Surrender বা আত্মসমর্পন করা।
যেহেতু মুসলমানগণ ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করে। অর্থাৎ নিজের খেয়াল খুশিমতো জীবনযাপন না করে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছানুযায়ী জীবনযাপন করে এজন্য এটাকে ইসলাম বা আত্মসমর্পণ বলা হয়ে থাকে।
খ. ‘ইতায়াত’ বা আনুগত্য করা।
আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তাঁর বাধ্যতা স্বীকার করা এ ধর্মের লক্ষ্য বলেই এর নাম ইসলাম।
ইব্রাহিমকে (আ) বলা হয়েছিল, أَسْلِـمْ
অর্থঃ ‘‘আনুগত্য কর।’’
উত্তরে তিনি বলেছিলেন, قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
অর্থঃ ‘‘আমি বিশ্ব প্রতিপালকের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করলাম।’’ (সূরা আল-বাকারাহ্, ১৩১)
ইসলাম শব্দের আরেকটি অর্থ করা হয়ে থাকে তাহল শান্তি। ইসলামকে ‘শান্তি’ বলা হয় এ কারণে যে, ইসলাম অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ তার হৃদয়ে এক প্রকার প্রশান্তি অনুভব করে, আর সমাজে ইসলাম বিস্তার লাভ করলে সমাজের মধ্যেও শান্তি বিরাজ করে বলে এটাকে শান্তি বলা হয়ে থাকে।
‘সালমুন’ শব্দটির প্রয়োগ পবিত্র কুরআনের অনেক জায়গায় লক্ষ্য করা যায়।
সূরা আল-বাকারায় বলা হয়েছে, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً
অর্থঃ ‘‘ হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরিভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ কর।’’ (সূরা আল-বাকারা ) (সংগৃহীত)
প্রথমেই আপনাকে (নাস্তিক ভাইকে) ইসলাম সম্পর্কে কিঞ্চিত জ্ঞান দিলাম । আপনি আসলে এ ব্যাপারে একেবারে অজ্ঞ বললেও অত্যুক্তি হবেনা ! একজন মানুষ যে নাকি তার নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে মহান স্রষ্টার কাছে সমর্পণ করে সে-ই মুসলিম । মুসলিম মানে একজন আত্মসমর্পণকারী ! পবিত্র কুরআন-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে- এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই ইচ্ছায়/ অনিচ্ছায় আল্লাহ্'র কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছে ।
وَلِلّهِ يَسْجُدُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلالُهُم بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ
আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে আছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং তাদের প্রতিচ্ছায়াও সকাল-সন্ধ্যায়।
মানুষকে আল্লাহ্ স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন । তাই সে চাইলে আল্লাহ্'র অবাধ্য হতে পারে । কিন্তু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি অণু পরমানু আল্লাহ্'র আনুগত্য স্বীকার করে "আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে" - এখানে "সেজদা করে" বলতে এ কথাই বুঝানো হয়েছে । তাই ইসলাম আসলে মানুষের সহজাত ধর্ম । আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন ------
প্রতিটি শিশুই ফিতরাত তথা ইসলাম গ্রহণের যোগ্যতাসহ জন্মগ্রহণ করে। তার পর তার মা-বাবা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান অথবা অগ্নিপূজক বানায়। (বুখারি ও মুসলিম)
প্রতিটি মানুষই সৃষ্টি গত ভাবে মুসলিম বা এক স্রষ্টার প্রতি আত্মসমর্পণকারী ।
নাস্তিকের প্রশ্ন:-- আস্তিক বলতে আপনি শুধু মুসলমানদের ধরবেন কেন? শুধুমাত্র মুসলমারাই আস্তিক? অন্য ধর্মাবল্বীরা আস্তিক নয়?
উত্তর : আমি আস্তিক বলতে মূলত এক স্রষ্টায় বিশ্বাস স্থাপন কারীদের প্রতি ইঙ্গিত করেছি । আর আমি তো আগেই উল্লেখ করেছি “মুসলিম” কাদেরকে বলা হয় । আপনি উপরের সংজ্ঞাটুকু ভালো মতো পড়লেই এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন ।
নাস্তিকের প্রশ্ন: --ধরেন দুই আস্তিক (খ্রষ্টান, মুসলিম) মৃত্যর পর বিচারের জন্য আপেক্ষা করতেছে, তারা কাকে দেখতে পাবে শেষ বিচারের দিন? জিসাস ক্রাইশ্ট অথবা মোহাম্মদকে?
উত্তর : ঈসা (আ) আমাদের নবী (সা) এর পূর্বে নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে ছিলেন । আমরা মুসলমানেরা তাকে একজন নবী হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করি । বাইবেলেও এই কথার সত্যতা আছে । হাজার বিকৃতি সত্ত্বেও এখনো এই কথার সত্যতা বাইবেলে পাওয়া যায় । আলহামদুলিল্লাহ্ । আপনি চাইলে আমি এই ব্যাপারে প্রচুর সূত্র উল্লেখ করতে পারি । যেখানে ঈসা (আ) নিজেই বলেছেন তাঁর পরে আরেক জন নবী আসবেন । যার নাম আহমাদ । ঈসা (আ) পৃথিবীতে আবার আসবেন । এবং তখন তিনি নবীর (সা) আনিত দ্বীনের-ই অনুসরণ করবেন । অতএব আপনি যেটা বললেন যে ---ধরেন এক খ্রষ্টান মৃত্যুর পর জানল জিসাস ক্রাইশ্ট নয়, মুহাম্মদই আসল নবী আবার এমনও হতে পারে এক মুসলিম মৃত্যুর পর জানল মুহাম্মদই নয়, জিসাস ক্রাইশ্টই আসল নবী! এর পর আপনি আরো জিজ্ঞেস করলেন- আপনার কি মত? আপনি্ও কি এই ধরনের আতংকে ভুগেন? আপনি এক কাজ করেন...আস্তিক হিসাবে এক মাস করে করে সব ধর্ম পালন করেন, যাতে বেহেশত কনফার্ম হয়।
উত্তর : এই ধারণা আসলে সঠিক নয় । আমারা মুসলমানরা ঠিক যে ভাবে মুহাম্মাদ (সা) কে নবী হিসেবে স্বীকার করি ঠিক সেভাবেই ঈসা (আ) অর্থাৎ জিসাসকে ও নবী হিসেবে স্বীকার এবং বিশ্বাস করি । আমারা যদি ঈসা (আ) কে নবী হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করি তাহলে তো আমরা প্রকৃত মুসলমানই হতে পারবো না । তাঁকে অর্থাৎ ঈসা (আ) কে বিশ্বাস করা আমাদের ঈমানের একটি অংশ । আমার তো মনে হয় এই আধুনিক যুগে এমন লোক সে হতে পারে অমুসলিম, সেও একথা জানেন যে মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্'র নবী এবং সর্বশেষ রাসুল । সারা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ এই সত্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইসলাম কবুল করে নিচ্ছেন । একথা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে মহানবী (সা) ই সর্বশেষ নবী ও রাসুল । অতএব তাঁর আনিত দ্বীন অনুসরণের মাধ্যমেই মানবতার মুক্তি । সুতরাং আতংকে ভুগার কি আছে ? আর সব ধর্ম এক মাস এক মাস করে পালন করারই বা কি আছে ? সত্য তো আমার হাতের মুঠোয় । সত্য তো একটাই , হাজারটা তো না !!
নাস্তিকের প্রশ্ন : --আপনি বলেছেন বিজ্ঞান পরম নয়, ভাই ধর্ম কি পরম জিনিষ? পৃথিবীতে এত ধর্ম, ধর্মের ভিতরেও কয়েকশ ভাগ- সিয়া, সুন্নি, আহমদিয়া, রোমান ক্যথলিক.
উত্তরঃ আপনি আগে আল্লাহ্'র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তার পর এই বিষয়ে আলোচনায় আসবো । আগে ওয়ান –টু পাশ করেন প্রাইমারী ছাড়েন তার পর হাই স্কুলে ঢুকেন !! তার মানে এই না আমি এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যাচ্ছি । মোটেও না ।এরপরও এতোটুকুই শুধু বলবো এই মতপার্থক্য কিছু ছোট –খাট বিষয়ে । মৌলিক বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই । আমাদের কাছে মানদণ্ড হিসেবে কুরআন , সুন্নাহ তো আছেই । অতএব আগে আপনি স্রষ্টার অস্তিতের স্বীকৃতি দিন । তারপর না হয় তাঁর ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যাবে । কিন্তু তার আগে তাঁকে স্বীকার তো করুন !!
নাস্তিকের প্রশ্ন : --একটা নবজাতক শিশুকে একটি বন্দি ঘরে রেখে বড় হতে দিলে সে নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে- দেব, দেবী, খোদা, জিন ভুত আবিষ্কার করবে আর তাকে যদি একটি মুক্ত পরিবেশে বড় হতে দিলে সে বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে নিজের পাশাপাশি দেশের উন্নায়ন করবে।
এই থেকে বুঝা যায় ধর্মের উৎপত্তি অনধকার গুহায়, দিনের আলতে নয়।/
উত্তরঃ একজন মানুষ সব কিছু বাদ দিয়ে যদি জঙ্গলেও চলে যায় এরপরও সে স্রষ্টার চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারবেনা । স্রষ্টার ধারণা মানুষের সহজাত । তার আত্মার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে এই ভাবনাটি । কেন সে এই পৃথিবীতে আসলো ? কে তাকে সৃষ্টি করলো ? কি উদ্দেশে সৃষ্টি করলো ? এই প্রশ্ন গুলো প্রতিটি মানুষের মধ্যেই জাগে এবং জাগতেই হবে । এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার উপরেই তার জীবনের লক্ষ্য স্থির করা সম্ভব হয় । নাস্তিকতাবাদ তো জীবনের কোন উদ্দেশই স্বীকার করে না ! এই জীবন কি উদ্দেশ্য বিহিন ? ফাইজলামি !!?
নাস্তিকের প্রশ্ন : --আপনি বলেছেন বিজ্ঞান পরম নয়, ভাই ধর্ম কি পরম জিনিষ?
উত্তরঃ আমি বলবো সত্যই পরম । আর সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে স্রষ্টা । স্রষ্টার অস্তিত্ব সত্য !
নাস্তিকের প্রশ্ন : সৃষ্টিকর্তা যদি সত্যই ধর্ম নিয়ে এতো চিন্তিত আথবা আগ্রহী হতেন তাহলে কেবল আস্তিকরাই ভাত খেতে পেত আর নাস্তিকরা না খেয়ে থাকত।সয়ং সৃষ্টিকর্তা যখন ধর্ম নিয়ে লাফালাফি করে না তখন আমাদের মত তুচ্ছদের লাফালাফি করে কি লাভ (যদি না ধর্ম নিয়ে ব্যবসার লক্ষ থাকে)
উত্তরঃ সৃষ্টিকর্তা তো আস্তিক নাস্তিক সবার সৃষ্টিকর্তা । তিনি তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির প্রয়োজন পূরণ করেন । হোক সে আস্তিক কিংবা নাস্তিক । এই পৃথিবীটা একটা পরীক্ষার স্থান । এখানে সবাইকে পরিক্ষা করা হচ্ছে । তাই সঠিক ভাবে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য যার যা উপকরণ দরকার তার সবই মহান স্রষ্টা মানুষকে দেন । আর এর পর বিচার দিবস তো আছেই । সেখানেই মানুষকে তার কাজের প্রকৃত ফল বা প্রতিদান দেওয়া হবে । অতএব এতো তাড়াহুড়া কিসের !!??
নাস্তিকের প্রশ্ন :--আসুন সৃষ্টিকর্তা চিন্তি বাদ দিয়ে দেশ মানুশকে নিয়ে চিন্তা করি, নিজের উপকার হবে, দেশের উপকার হবে আর সৃষ্টিকর্তা যদি থেকেও খাকে উনিও খুশি হবেন।
উত্তরঃ সৃষ্টিকর্তা কে বাদ দিয়ে দেশ , মানুষ কে নিয়ে চিন্তা করতে ? আমি বলবো যেই সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি না করলে মানুষ কি ? দেশ কি ? এসব কিছুই জানতাম না তাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করাটা অযৌক্তিক এবং ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই না । সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করা মানে নিজের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা বলে আমি মনে করি ।
আপনার প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আরও বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার দরকার ছিল । আমি বিশ্বাস করি জ্ঞানী’র জন্য ইশারাই যথেষ্ট । আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন । আমিন !!
(এই লেখাটি একজন নাস্তিকের তাৎক্ষণিক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমার তড়িৎ জবাব প্রদানের প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে। তাই আমি দাবি করছি না যে, এই সব প্রশ্নগুলোর জবাবে আমি যে যুক্তি গুলো তাৎক্ষণিক ভাবে দিতে সক্ষম হয়েছি তা-ই চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ! আমি চেষ্টা করেছি আমার সল্প জ্ঞানের ভিত্তিতে তাদের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে! কতটুকু সফল হয়েছি তা পাঠকরাই ভালো বলতে পারবেন )
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৫
দহন আহমেদ বলেছেন: পড়লাম এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১
দহন আহমেদ বলেছেন: আপাতত ঘুমাইতে গেলাম। কারুর কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে করতে পারেন । সময় করে উত্তর দিতে চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ । আল্লাহ্ হাফেজ ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২২
দহন আহমেদ বলেছেন:
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ প্রতিটি শিশুই ফিতরাত তথা ইসলাম গ্রহণের যোগ্যতাসহ জন্মগ্রহণ করে। তার পর তার মা-বাবা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান অথবা অগ্নিপূজক বানায়। (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদীস রচনাকারী তিনটি ধর্মের নাম বলেছে। যেমন ইহুদি, খ্রিষ্টান অথবা অগ্নিপূজক। কেন ইসলামের নাম বললো না? তাহলে কি ইহুদি, খ্রিষ্টান খুব খারাপ?
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
দহন আহমেদ বলেছেন: আগে কন-"এই হাদীস রচনাকারী" বাক্য দিয়া আপনে কি বুঝাইতে চেষ্টা করলেন? আপনে আমি ইচ্ছা করলে অনেক হাদিস বানাইতে পারমু, কিন্তু সেইটা তো আর হাদিস হইবো না ! হইবো ভণ্ডামি!
এর পরের কথায় আহি, আপনে কইলেন যে- "তাহলে কি ইহুদি, খ্রিষ্টান খুব খারাপ?" এই হাদিসের কোন জায়গায় এই কথা কওয়া হইসে পারলে দেখান দেখি? আমার তো মনে হয় আপনে না বুইঝাই কমেন্ট মাইরা দিসেন! ভাইজান, মগজটারে একটু খাটায়েন পারলে।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:০৩
প্রযুক্তি বলেছেন: গাইয়া হাজির
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩১
দহন আহমেদ বলেছেন: ক্যামনে কি?!
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১২
নিয়ানডার্থাল বলেছেন: নাস্তিকের প্রশ্ন :--আসুন সৃষ্টিকর্তা চিন্তি বাদ দিয়ে দেশ মানুশকে নিয়ে চিন্তা করি, নিজের উপকার হবে, দেশের উপকার হবে আর সৃষ্টিকর্তা যদি থেকেও খাকে উনিও খুশি হবেন।
~সহমত
উত্তরঃ সৃষ্টিকর্তা কে বাদ দিয়ে দেশ , মানুষ কে নিয়ে চিন্তা করতে ? আমি বলবো যেই সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি না করলে মানুষ কি ? দেশ কি ? এসব কিছুই জানতাম না তাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করাটা অযৌক্তিক এবং ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই না । সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করা মানে নিজের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা বলে আমি মনে করি ।
~ ধার্মিক রা যদি এই কথার মর্মার্থ ধরতে পারতো তাইলে আজকের এই দুনিয়ায় ধর্মের নামে এতো রক্ত ঝরতো না। ধনী -গরীব,কালো-সাদা,উঁচু-নীচু বলে বৈষম্য দেখা দিতনা।ধর্মগুলার গ্রন্থে যতই বলা থাকুক মানুষের ভেদাভেদ লোপ প্রসঙ্গে,কিন্তু গ্রন্থগুলার অহঙ্কারী অনুসারীরা তা কোনকালেই পূরণ করতে সমর্থ ছিলনা।
সোজা কথায় ধর্মের শততা বিভক্তিই নাস্তিকতার উদ্ভব।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৪২
দহন আহমেদ বলেছেন: নাস্তিকরা খুব ভালু! আস্তিকরা খুব খ্রাপ!
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৪
শুভ রাত্রি বলেছেন: আরেএএএএএএএএএএএএএএ তুমি তো জটিল চালাক। আগে তুমি উত্তর লিখছ তারপর উত্তর দেখে দেখে প্রশ্ন বানাইছ। :প :প
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪
দহন আহমেদ বলেছেন: এখন কি হপে?!
:!>
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক এক প্রশ্নে উত্তরে বলেছেনঃ ঈসা (আ) আমাদের নবী (সা) এর পূর্বে নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে ছিলেন । আমরা মুসলমানেরা তাকে একজন নবী হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করি । বাইবেলেও এই কথার সত্যতা আছে । হাজার বিকৃতি সত্ত্বেও এখনো এই কথার সত্যতা বাইবেলে পাওয়া যায় । আলহামদুলিল্লাহ্ । আপনি চাইলে আমি এই ব্যাপারে প্রচুর সূত্র উল্লেখ করতে পারি । যেখানে ঈসা (আ) নিজেই বলেছেন তাঁর পরে আরেক জন নবী আসবেন । যার নাম আহমাদ । ঈসা (আ) পৃথিবীতে আবার আসবেন । এবং তখন তিনি নবীর (সা) আনিত দ্বীনের-ই অনুসরণ করবেন ।
১। মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে যে বাইবেলে উল্লেখ পাওয়া যায় বলেছেন দয়া করে লিংক দিবেন।
২। ঈসা (আ) পৃথিবীতে আবার আসবেন । এবং তখন তিনি নবীর (সা) আনিত দ্বীনের-ই অনুসরণ করবেন । সেই আনিত দ্বীন মানে ইসলাম এর কথা বলছেন? কিন্তু ঈসা (আঃ) কোন দ্বীন প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন পৃথিবীতে? প্লিজ সঠিক উত্তর দিবেন। আপনাকে অনেক প্রশ্ন করার ছিলো কিন্তু এই গুলো উত্তর দিলে আবারো প্রশ্ন করবো। তবে আমি জানি এই প্রশ্নের উত্তর আপনি দিবেন না।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪
দহন আহমেদ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর পাইবেন । একটু বাইরে আছি। বাসায় গিয়া তারপর দিমু নে । আবার কইয়েন না আমি উত্তর দিতে না পাইরা পালায় গেসি!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৩
দহন আহমেদ বলেছেন: হযরত ঈসা(আঃ) নবী মোহাম্মদ(সঃ) সম্বন্ধে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যা খৃষ্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ রহেছে-
এবং তিনি আরেক সহায় তোমাদের কে দিবেন যিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
--যোহন ১৪ : ১৬
তথাপি আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে সেই সহায় তোমাদের নিকট আসবেন না; কিন্তু যদি যাই, তবে তোমাদের নিকট পাঠিয়ে দিব।
-- যোহন ১৬ : ৭
পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসবেন তখন পথ দেখিয়ে সত্যে নিয়ে যাবেন। কারণ তিনি নীজ হতে কিছু বলবেন না, যা যা শুনেন তাই বলবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদের কে জানাবেন।
( সত্য আত্মা অর্থাত সত্য পয়গম্বর)
-- যোহন ১৬ : ১৩
আমার এখন ও তোমারদের অনেক কিছু বলার আছে, এবং তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথ নির্দেশ করবেন।
-- যোহন ১৬ : ১২ এবং ১৩
তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কেননা যা আমার, তাই নিয়ে তোমাদের কে জানাবেন।
--- যোহন ১৬ : ১৩
যাকে আমি পিতার নিকট হতে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দিব, সত্যের সেই আত্মা, যিনি পিতার নিকট হতে বড় হয়ে আসবেন, যখন সেই সহায় আসবেন - তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন।
--যোহন ১৫ : ২৬
আদম থেকে শুরু করে সর্বশেষ এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ রাসুল মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত পৃথিবীর সকল নবী-রাসুলদের একটাই দাওয়াত ছিল আর তা হল স্রষ্টার একত্ববাদের দাওয়াত! ইসা (আঃ) তিনি নিজেও একজন নবী ছিলেন! অতএব অন্য সকল নবিদের মতো তিনিও একত্ববাদের প্রচারে নিয়জিত ছিলেন। আর ইতিহাসও তাই বলে!
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৮
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
প্রশ্ন করলে উলটা পালটা প্রশ্ন অনেক করা যায় --- যুক্তি সব কিছু না - বিজ্ঞান প্রমান চায় - আমিও বলি প্রমান দেখাও ঈশ্বর নাই -- আমি তোমার কথা মানি লইমু -- হাহাহাহা
একটা প্রশ্নঃ যেটার পক্ষে আমি এখনোও মানতে নারাজ - এমন কি কোথাও আছে যে শুধু মাত্র মুসলামানই স্বর্গ লাভ করবে ? লিংক দিলে ভালো হইতো পারতাম চাই !!
আমার জ্ঞানে এখনো এক ঈশ্বর বাদ এ বিশ্বাসী আর কর্ম গুনেই তাহা অর্জিত হইবে বলেই জানি ---
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
দহন আহমেদ বলেছেন: জান্নাত লাভের কয়েকটি মৌলিক শর্তঃ
১) আল্লাহর তাওহিদ বা একত্ববাদে অটল বিশ্বাসী হওয়া।
২) শিরক থেকে দূরে থাকা।
৩) সর্বশেষ রাসুল মহানবী (সাঃ) এর নবুওয়াতে বিশ্বাস স্থাপন করা।
৪) মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত চূড়ান্ত আসমানি গ্রন্থ ‘কুরআনকে’ একমাত্র জীবন বিধান হিসেবে মেনে নেওয়া এবং এরই বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
৫) ইসলাম-ই আল্লাহ্র মনোনীত একমাত্র দ্বীন, তাই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীনের অনুসরণ না করা।
৬) একমাত্র মুহাম্মদ (সাঃ) কে ইহকাল এবং পরকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মেনে নিয়ে সকল ক্ষেত্রে তাঁকেই অনুসরণ করা।
এসকল বৈশিষ্ট্য বা শর্তাবলী কোনো প্রাপ্তবয়স্ক/বয়স্কা আদম সন্তানের মধ্যে না পাওয়া গেলে, শুধু মাত্র মুসলিম নামধারণ যেমন- আব্দুল্লাহ কিংবা মুহাম্মদ যা’ই থাকুক না কেনো, তাহার স্বর্গ প্রাপ্তির ব্যাপারটি নিছক আসমান-কুসুম কল্পনাই সাব্যস্ত হইবেক!
দুঃখিত, উত্তর দিতে অনেক দেরী করে ফেললাম। আশা করি রাগ করবেন না ভাই।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১। এবং তিনি আরেক সহায় তোমাদের কে দিবেন যিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
--যোহন ১৪ : ১৬
(ক) আপনি কেবল একটি অংশ বলেছেন। আপনি ১৪ অধ্যায় এর ১৬ থেকে ২৩ পদ পর্যন্ত পড়ুন ব্যপারটা ক্লিয়ার হবে।
২। তথাপি আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে সেই সহায় তোমাদের নিকট আসবেন না; কিন্তু যদি যাই, তবে তোমাদের নিকট পাঠিয়ে দিব।
-- যোহন ১৬ : ৭
(খ) আপনি ১৬ অধ্যায় এর ৭ থেকে ৯ পদ পর্যন্ত পড়ুন ব্যপারটা ক্লিয়ার হবে। দেখুনতো কথা অনুযায়ী মুহাম্মাদ (সাঃ) পড়েন কি না।
৩। পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসবেন তখন পথ দেখিয়ে সত্যে নিয়ে যাবেন। কারণ তিনি নীজ হতে কিছু বলবেন না, যা যা শুনেন তাই বলবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদের কে জানাবেন।
( সত্য আত্মা অর্থাত সত্য পয়গম্বর)
-- যোহন ১৬ : ১৩
(গ) আপনি ১৬ অধ্যায় এর ১৩ থেকে ২৫ পদ পর্যন্ত পড়ুন । আগেরটা বিশ্বাস করলে পরের কথাগুলোও বিশ্বাস করতে হবে। নাকি বলবেন এগুলো ঠিক বিকৃত কথা?
৪। আমার এখন ও তোমারদের অনেক কিছু বলার আছে, এবং তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথ নির্দেশ করবেন।
-- যোহন ১৬ : ১২ এবং ১৩
(ঘ) বিষয়গুলো তাত্মিক একটু অনুধাবন করুন বুঝবেন।
তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কেননা যা আমার, তাই নিয়ে তোমাদের কে জানাবেন।
--- যোহন ১৬ : ১৩
যাকে আমি পিতার নিকট হতে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দিব, সত্যের সেই আত্মা, যিনি পিতার নিকট হতে বড় হয়ে আসবেন, যখন সেই সহায় আসবেন - তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন।
--যোহন ১৫ : ২৬
(ঙ) আপনার সাথে যদি একমত হই যে, এখানে মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে’ই বলেছে। ভালো কথা ও সত্য কথা মানলাম। কিন্তু যখন অন্য আরও জায়গায় ঈসা (আঃ) সম্পর্কে তার নিজের শ্রেষ্টত্ব সম্পর্কে বলেছে সেখানে কি বলবেন এখানে বিকৃত হয়েছে বাইবেল কিংবা ইঞ্জিল?
একটা গল্প বলি
একজন পিতা মৃত্যূ সজ্যা। সেতার ছেলে মেয়েদের ডেকে বলছেন বাবারে আমার আর বুজি বেশীক্ষন সময় নাই। একটা খাতা কলম নিয়ে আন দেনাপাওনা গুলো বলে যায়। মারা গেলে তোরা বিষয় গুলো দেখিস। ছেলেরা তাড়াতাড়ি খাতা কলম নিয়ে বাবার কাছে বসলো। বাবা বললো লেখ করিমের কাছে ২ লক্ষ টাকা পাবো। কাশেমের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাবো। ছেলেরা মনের আনন্দে লিখছে পাওনা টাকার হিসাব। ছেলে বলছে বলো বাবা বলো বার কার কাছে টাকা পাবা। বাবা বললো ধিরেন এর কাছে ৩ লক্ষ টাকা পাবো, বাশেরের কাছে ১ লক্ষ্। ছেলে বাবাকে বলছে আর বলো বাবা। বাবা বললো আমিতো মানুষের কাছে এগুলো পাবো। কিন্তু আমার কাছেও বেশ কিছু মানুষ টাকা পাবে সেগুলো লিখ। ছেলে বললো বলো বাবা। লেখ জমির উদ্দীন ১ লক্ষা টাকা পাবে। নাসির ২ লক্ষ টাকা পাবে, বদউল ৩ লক্ষ টাকা পাবে। ছেলেরা বাবার কথা শূনে বলছে বাবা মারা যাবে ওর মাথা ঠিক নাই এগুলো লেখিস না। পাওনার বেলায় যত আছেলেখ আর দেয়অর বেলায় তার মাথা নষ্ট? ঠিক আপনাদের অবস্থা তায় মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে ছোয় থাকলে নিবেন আর ঈসা (আঃ) সম্পকে নিগুড় তত্ব থাকলে সেটা ভুল। ভালো আপনাদের আকিদা। চলুন কোরআন দেখি মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পকে মাবুদ কি বলেনঃ
তর্কটি অতি পুরনো। তবে অবশ্যই মৌলিক। কোরআন ও শরিয়ার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতনৈক্য রয়েছে তবুও প্রকৃত আসল তথ্য উদঘাটনের চেষ্ট কেউ করেননী তানয়, তবে এই তথ্য সন্ধানে কেউ বেশী অগ্রসর হয়নি নানান কারনে। এই প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে গোড়াহ্ মৌলবাদী জ্ঞানহীন আলেম ওলামাদের ভয় করেছে বেশীর ভাগ মানুষ, গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট। এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য কিংবা লেখার জন্য যখন'ই কেউ এগিয়েছে একটু সাহসে ঠিক সেই কারনে অনেকেই লাঞ্চিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। কারো কারো বাড়ী লাইব্রেরী পুড়ানো হয়েছে। অনেকের জীবনের অভিশাপ হয়েছে এসব ধরনের প্রশ্ন করার জন্য। যে যেই ধর্মের হোকনা কেন ধর্ম বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছা হতেই পারে সেইটাকে খর্ব না করে বিষয়টি কে খারাপ অর্থে না দেখে গণতন্ত্রের চর্চায় মৌলিক অর্থে দাড় করিয়ে প্রকৃত সদুত্তর দেয়াই হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মের আলেম ওলামাদের কাজ। অনেক আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, জানিনা কোরআন বাদ দিয়ে তারা এটা কিসের ভিত্তিতে এত জোর দিয়ে বলেন। তবে যারা ধর্মের মূল হোতা, ধারক বাহক তারা দু’ একটি কথা বলে থাকেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হাদীস থেকে। অবশ্য কোরআনের পরেই সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মানুষের লেখা শরীয়া সুন্নাহ্ নামে খ্যাত হাদীস গ্রন্থ গুলি। হাদীস রাইটাররা যে কোন দরবেশ, অলি, গাউসুল আযম কিংবা পীর ছিলেন না, তাদের উপর কোন আল্লাহ্ প্রদত্ত অহি হতনা তা সকলেরী জানা; সেই কারনে হাদীস সংগ্রহে ভুল হতেই পারে; আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়। কোরআন কেবলী অন্য আর রাসুলের মত রাসুল হিসাবে এবং সতর্ককারী হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটু জানার চেষ্টা করি কোরআনের আলোতে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ্ কোরআনে কেবলী সতর্ককারী হিসাবেই মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সম্বর্ধন করেছে তা উল্লেখিত সূরা ও আয়অত থেকে জানলাম। এমন অনেক আরও আয়াত আছে এই ধরনের । অনেকই বলবে কোরআনে নাই তবে হাদীসে আছে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে হাদীস ছাড়া কোরআন অপূর্ণ কিতাব? নিশ্চয় নয়। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়অতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
মাবুদের এই আয়াত গুলো যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে মানতে হবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কেবলী অন্য রাসুলের মত একজন সতর্ককারী মাত্র। আর যদি কোরআনের এই আয়াত গুলো ভুল মনে করেন তাহলেতো আর কথা থাকতে পারে না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৩৩
দহন আহমেদ বলেছেন: পবিত্র কুরআনে দু’টি স্থানে ঈসা (আঃ)-এর জন্ম গ্রহণের প্রসঙ্গে আছে :
স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলেছিল, হে মারইয়াম ! আল্লাহ তোমাকে মনোনীত ও পবিত্র করেছেন এবং বিশ্বের নারীদের মধ্যে তোমাকে মনোনীত করেছেন। হে মারইয়াম ! তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও ও সিজদা কর এবং যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর।
এটি অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ যা তোমাকে ওহি দ্বারা অবহিত করছি। মারইয়ামের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে এ নিয়ে যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল তুমি তখন তাদের নিকট ছিলে না এবং তারা যখন বাদানুবাদ করছিল তখনও তুমি তাদের নিকট ছিলে না।
স্মরণ কর, যখন ফেরশতাগণ বলল, হে মারইয়াম ! আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ হতে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, তার নাম মসীহ, মারইয়াম পুত্র ঈসা। সে ইহলোক ও পরলোকে সম্মানিত হবে এবং আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম হবে। সে দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে পুণ্যবানদের একজন।
সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি, আমার সন্তান হবে কীভাবে ? তিনি বললেন, এ ভাবেই। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন, হও! এবং তা হয়ে যায়। এবং তিনি তাকে শিক্ষা দেবেন কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইনযিল। এবং তাকে বনী ইসরাইলের জন্য রাসূল করবেন। সে বলবে, আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে নির্দশন নিয়ে এসেছি। আমি তোমাদের জন্য কাদামাটি দিয়ে একটি পাখি সদৃশ আকৃতি তৈরি করব, তারপর আমি তাতে ফুঁ দেব এবং আল্লাহর হুকুমে তা পাখি হয়ে যাবে। আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীদের নিরাময় করব এবং আল্লাহর হুকুমে মৃতদের জীবিত করব। তোমরা তোমাদের ঘরে যা আহার কর ও মজুদ কর তা তোমাদের বলে দেব। তোমরা যদি বিশ্বাসী হও, তাহলে এর মধ্যে তোমাদের জন্যে নিদর্শন আছে।
আমি এসেছি আমার সম্মুখে তাওরাতে যা রয়েছে তার সমর্থকরূপে এবং তোমাদের জন্যে যা নিষিদ্ধ ছিল তার কতকগুলিকে বৈধ করতে। আমি তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের জন্যে নিদর্শন নিয়ে এসেছি। সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত করবে। এটাই সরল পথ।
যখন ঈসা তাদের অবিশ্বাস উপলব্ধি করল তখন সে বলল, আল্লাহর পথে কারা আমার সাহায্যকারী ? শিষ্যগণ বলল, আল্লাহর পথে আমরাই সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহতে ঈমান এনেছি। তুমি সাক্ষী থাক যে আমরা আত্মসমর্পণকারী।
হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ তাতে আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আমাদের সত্যের পথে সাক্ষ্য বহনকারীদের তালিকাভুক্ত কর। (সূরা আল-ইমরান-৪২-৫৩)
সূরা মারইয়ামেও এ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে :
বর্ণনা কর, এই কিতাবে উল্লিখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার বর্গ থেকে পৃথক হয়ে নিভৃতে পূর্বদিকে একস্থানে আশ্রয় নিল, তারপর তাদের কাছ থেকে সে পর্দা করল। এরপর আমি তার কাছে আমার রূহকে (জিবরাইল) পাঠালাম, সে তার কাছে পূর্ণ মানুষ আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল।
মারইয়াম বলল : তুমি যদি আল্লাহকে ভয় কর তবে আমি তোমার কাছ থেকে দয়াময়ের আশ্রয় গ্রহণ করছি।
সে বলল, আমি তো কেবল তোমার প্রতিপালক- প্রেরিত, আমি এসেছি তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য। মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই। সে বলল, এভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্য সৃষ্টি করব যেন সে হয় মানুষের জন্যে এক নিদর্শন ও আমার কাছ থেকে এক অনুগ্রহ। এতো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
তারপর সে তাকে গর্ভে ধরল, পরে তাকে গর্ভে নিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। সে বলল, হায়, এর আগে যদি আমি মারা যেতাম আর যদি লোকের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম !
তখন তার নীচের দিক থেকে ফেরেশতা তাকে উদ্দেশ্য করে বলল, তুমি দুঃখ কর না, তোমার পদতলে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন, তুমি খেজুর গাছের কাণ্ড তোমার দিকে নাড়া দাও, এর ফলে তোমার উপর পাকা খেজুর পতিত হবে। সুতরাং তুমি খাও, পান কর ও চক্ষু জুড়াও।
তোমার সাথে যদি কোন মানুষের সাক্ষাৎ হয়, তাকে বল যে আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতা অবলম্বনের মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা-বার্তা বলব না।
তারপর সে তার পুত্রকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হল। তারা বলল, হে মারইয়াম ! তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করেছ ! হে হারুনের বোন, তোমার পিতা অসৎ লোক ছিল না এবং তোমার মাও ছিল না ব্যভিচারিণী। তারপর মারইয়াম তার সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করল। তারা বলল, যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব ?
সে বলল, আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবী করেছেন,
যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।
আর আমাকে আমার মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব।
এই-ই ছিল মারইয়াম পুত্র ঈসা। আমি বললাম সত্য কথা, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে।
সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়, তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন, ‘হও’ এবং তা হয়ে যায়।
আল্লাহই আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা তার ইবাদত কর; এটাই সরল পথ। (সূরা মারইয়াম-১৬-৩৬)
ঈসা (আঃ) যে স্থানে জন্মগ্রহণ করেন, কুরআনের একটি আয়াতে তার উল্লেখ করা হয়েছে : এবং আমি মারইয়াম পুত্র ও তার জননীকে করেছিলাম এক নিদর্শন, তাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবণ বিশিষ্ট উঁচু ভূমিতে। (সূরা মু’মিনুন-৫০)
বল, ‘আমরা আল্লাহতে এবং আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং ইবরাহীম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল এবং যা মুসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীগণকে তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে প্রদান করা হয়েছে, তাতে ঈমান এনেছি। আমরা তাদের মধ্যে কোন তারতম্য করি না এবং আমরা তাঁর নিকট আত্মসমর্পণকারী। (সূরা আল-ইমরান-৮৪)
স্মরণ কর, যখন আমি নবীদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমার নিকট থেকেও এবং নূহ, ইবরাহীম, মুসা, র্মায়াম-পুত্র ঈসার নিকট হতেও। তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার; সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্যে। তিনি কাফেরদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা আহ্যাব-৭-৮)
তিনি তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন, যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে আর যা আমি ওহি করেছি, তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মুসা ও ঈসাকে, এই বলে যে তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং এতে মতভেদ কর না। (সূরা শুরা-১৩)
মারইয়াম পুত্র ঈসাকে তার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের সমর্থকরূপে তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করেছিলাম এবং মুত্তাকীদের জন্য পথের নির্দেশ ও উপদেশরূপে তাকে ইনযিল দিয়েছিলাম, তাতে ছিল পথের নির্দেশ ও আলো। (সূরা মায়িদা-৪৬)
স্মরণ কর, মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল : হে বনী ইসরাঈল ! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসূল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের কাছে যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সমর্থক এবং আমার পরে আহমদ নামে যে রাসূল আসবেন আমি তার সুসংবাদদাতা। (সূরা সাফ্ফ-৬)
উপরে সরাসরি এই সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত গুলো তুলে ধরেছি! হাদিস থেকে কোনো রকম উদ্ধৃতি দেই নি! আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন তা যদি আমি আমার সল্প জ্ঞানে বুঝে থাকি তাহলে একথাই বলবো যে- পবিত্র কুরআনের এই আয়াত গুলো সুস্পষ্ট ভাবেই প্রমাণ করে ঈসা (আঃ) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত একজন মহাসম্মানিত মানুষ এবং নবী ছিলেন! তিনি খ্রিস্টানদের তথাকথিত ঈশ্বর পুত্র ছিলেন না কোন ভাবেই! আপনি হাদিসের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন তাই আমি সরাসরি কুরআন থেকেই দলীল তুলে ধরলাম! আমি মনে করি, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট!
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমার কথা বুঝতে পারেন নাই। আমি বলেছি মুহাম্মাদ (সাঃ) আর নবীদের মত একজন নবীও রাসুল। তিনি সকল নবীর নবী নন। তিনার উম্মত হয়ে ঈসা (আঃ) আসবেন না ভালো করে কোরআন পড়ুন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৯
দহন আহমেদ বলেছেন: আপনে বুঝাইতে ব্যর্থ হইলে আমার করার কি আছে কন মিয়া বাই?
''আমি বলেছি মুহাম্মাদ (সাঃ) আর নবীদের মত একজন নবীও রাসুল। তিনি সকল নবীর নবী নন। তিনার উম্মত হয়ে ঈসা (আঃ) আসবেন না''
গায়ের জোরে না কইয়া পারলে এই বিষয়ে কুরআন- সুন্নার দলীল প্রমাণ পেশ কইরা দেখান। আমি আবার প্রমাণ ছাড়া কারুর কথা সহজে হজম করতারিনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৫২
নিরব একজন বলেছেন: karogor chara ato nikutvabe kan kivavea shomvob?
খরগোশের মতো লম্বা কান হলে শিক্ষকেরা সহজেই শিক্ষার্থীদের কান টেনে লাল করে দিতে পারতেন। কান ছোট হওয়ার এটা একটা উপকারিতা বটে। খরগোশের কান লম্বা হওয়ার অবশ্য সুবিধা আছে। কোনো শব্দ হলেই সে কান খাড়া করে, এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে চট করে সম্ভাব্য শত্রুর অবস্থান বুঝে নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু মানুষ কান নাড়াতে পারে না। কানগুলো এত ছোট যে, প্রায় দেখাই যায় না। আকৃতিও তেমন সুন্দর নয়। তার পরও এ রকম কানের উপকারিতা আছে বলেই বিবর্তনের ধারায় মানুষ ও-রকম কান অর্জন করেছে। শুধু শব্দ শোনাই যদি উদ্দেশ্য হতো, তা হলে মানুষের কানও খরগোশ বা হাতির মতো বড় ও নমনীয় হতো। কিন্তু মানুষের কানের উদ্দেশ্য শুধু শব্দ শোনা নয়, শব্দ সামনে না পেছন দিক থেকে আসছে, সেটাও জানা। কানের অদ্ভুত আকৃতি লাভের এটি একটি অন্যতম কারণ। যদি এ রকম না হয়ে শুধু দুটি ছিদ্র থাকত, তা হলেও আমরা শব্দ শুনতে পারতাম, কিন্তু বুঝতে পারতাম না সেটা সামনের দিক থেকে আসছে, না পেছনের দিক থেকে। সে জন্যই কানের মধ্যে অদ্ভুত নকশার খাঁজ কাটা থাকে। শব্দ পেছন থেকে এলে কানের উল্টো পিঠে বাধা পায় ও শব্দের স্পন্দন কিছুটা কমে কানে ঢোকে। আর সামনের দিক থেকে এলে কানের বিশেষ আকৃতি শব্দস্পন্দন কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এই দুয়ের পার্থক্য মস্তিষ্ক বুঝতে পারে এবং এভাবে আমরা জানতে পারি, শব্দ কোন দিক থেকে আসছে। মাথার দুই পাশে কান দুটি থাকায় শব্দ ডান দিক থেকে না বাঁ দিক থেকে আসছে, সেটাও বুঝতে পারি। কারণ, পাশ থেকে শব্দ এলে দুই পাশের কানে শব্দ ঢোকার সময়ের সামান্য পার্থক্য হয়। এই পার্থক্য থেকেই মস্তিষ্ক বুঝে নেয়, শব্দ কোন পাশ থেকে আসছে
from photom alo today