![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৪ সালে বিপুল পরিমান অস্ত্র পাচারের মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের মন্ত্রীদের সাজা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার রকেট লঞ্চার, রকেট, গ্রেনেড, মেশিন গান, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গোলাবারুদ সহ দশ ট্রাক অস্ত্র একটি সার কারখানায় আটক করা হয়েছিল, যার মালিকানা ও পরিচালনার ভার ছিল শিল্প মন্ত্রণালয়ের হাতে। তখন শিল্প মন্ত্রী ছিলেন জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে এই অস্ত্র খালাসের বিষয়টি তদারকি করছিলেন। উভয় মন্ত্রীসহ ঘটনার সাথে জড়িত আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে এবং তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সরকারের কারণেই এই বিচার সম্ভব হয়েছে। আওয়ামীলীগের আমলেই সন্ত্রাস নির্মূলের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় বছর লেগে গেলেও, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তদের উপযুক্ত সাজাও দেয়া হয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক যে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহের সাথে বিএনপি এবং জামায়াত সরাসরি যুক্ত ছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকার নিজেই এই বিপুল পরিমান অস্ত্র দেশের ভেতরে পাচার করেছিল। এসব কর্মকাণ্ড কোন বৈধ রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ। ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের পর খালেদা জিয়াকে জানানোর পরেও, দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নিরাবতা পালন করেছিলেন খালেদা জিয়া। এই নিরাবতাই সাক্ষ্য দেয় যে, বেগম খালেদা জিয়া ১০ (দশ) ট্রাক অস্ত্র পাচারের খবর জানতেন এবং তিনি এ পাচারের মূল হোতা হিসেবে কাজ করেছেন। যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মুখে মুখে সন্ত্রাস নির্মূলের কথা বলে সন্ত্রাসীদেরকে শক্তিশালী করার অগ্রণী ভুমিকায় থাকেন, সেদেশের জনগণের ভাগ্যের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ছাড়া আর কি বা আশা করা যায়। জনগণের প্রত্যাশা অপরাধী যেই হোক না কেন, হোক না তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অস্ত্র পাচারের মূল হোতা তা জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। এককালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে কোনভাবেই বিচারের বাহিরে রাখা জনগণের প্রত্যাশা নয়। আমরা চাই প্রচলিত নিয়মে বেগম খালেদা জিয়ারও অস্ত্র মামলায় বিচার করা হোক।
©somewhere in net ltd.