![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষের অধিকার বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয় নয়, তার রাজনীতির বিষয় ক্ষমতা। তার ক্ষমতার স্বার্থে সাধারণ মানুষকে জবাই করা যদি দরকার হয় তাহলে তাদের বাঁচার কোন অধিকার নেই। খালেদা জিয়ার রাজনীতি বর্বর ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে দিনে এবং রাত্রে। ডেথ স্কোয়াড তিনি তৈরি করেছেন, এই স্কোয়াডগুলো খুন করে বাসের যাত্রীকে, অগ্নিদগ্ধ করে বাসকে, পুড়িয়ে মারে নারী ও পুরুষ ও কিশোরকে, কৃষকের পণ্যে আগুন জ্বালায়, ছোট ব্যবসায়ীরা ভয়ে আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকে, কখন পেট্রোল বোমা ছুঁড়বে এ সব ডেথ স্কোয়াড। খালেদা জিয়া এমন একটি রাজনীতির চূড়ায় বসে আছেন, যে রাজনীতি ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এই রাজনীতি থেকে জনপ্রিয় আন্দোলন কখনও তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। রেললাইন উপড়ে ফেলে, রেলগাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে গণতান্ত্রিক গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। তিনি একটা সন্ত্রাসবাদী সংস্কৃতি শক্তিশালী করছেন। এখানেই তার কৃতিত্ব। ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের পর খালেদা জিয়াকে জানানোর পরেও, দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নিরাবতা পালন করেছিলেন। এই নিরাবতাই সাক্ষ্য দেয় যে, বেগম খালেদা জিয়া ১০ (দশ) ট্রাক অস্ত্র পাচারের খবর জানতেন এবং তিনি এ পাচারের মূল হোতা হিসেবে কাজ করেছেন। যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মুখে মুখে সন্ত্রাস নির্মূলের কথা বলে সন্ত্রাসীদেরকে শক্তিশালী করার অগ্রণী ভুমিকায় থাকেন, সেদেশের জনগণের ভাগ্যের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ছাড়া আর কি বা আশা করা যায়। জনগণের প্রত্যাশা অপরাধী যেই হোক না কেন, হোক না তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অস্ত্র পাচারের মূল হোতা তা জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। এককালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে কোনভাবেই বিচারের বাহিরে রাখা জনগণের প্রত্যাশা নয়। আমরা চাই প্রচলিত নিয়মে বেগম খালেদা জিয়ারও অস্ত্র মামলায় বিচার করা হোক।
©somewhere in net ltd.