![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর সংশ্লিষ্ট সকলকে তা পালনের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সকল সরকারী ও আধাসরকারী হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনা টাকায় তাঁদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। কেবিন ও সিট বরাদ্দসহ রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গুরুতর অসুস্থ হলে বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা ও অজুহাত মানবে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জন তথা পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জাতির প্রয়োজনে ওই সকল মুক্তিযোদ্ধার অনেকেই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অত্যন্ত সঙ্গত কারণে তাঁরা এবং তাঁদের পরিবারবর্গ বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্তির দাবি রাখেন। এ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গের জন্য দেশের সকল সরকারী ও আধাসরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে একটি কেবিন/সিট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণসহ যদি খালি না থাকে, সেক্ষেত্রে রোগী ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিট/কেবিন বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। দেশের সব সরকারী ও আধাসরকারী হাসপাতালে সকল রোগ নির্ণয়সহ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে। হাসপাতালে আগমনে অপারগ গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে আনয়নসহ চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। বিগত সময়ে অনেক সরকারী ও আধাসরকারী হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের অবহেলিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছেন এটা তারই সাক্ষ্য বহন করে।
©somewhere in net ltd.