দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে র্যােপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন

১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন বা র্যা ব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত একটি চৌকস বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬শে মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশের, সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার, বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে র্যা ব গঠিত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় র্যা বের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জঙ্গি, চরমপন্থী ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা রোধ, ভেজালবিরোধী অভিযান এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ভুমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থি দমন, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক দ্রব্য উদ্ধারে র্যাোব সদস্যরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ইতিমধ্যে কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা যখন ‘বাংলা ভাই’দের মতো জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ, দেশের ভাবমূর্তি তালেবানি রাষ্ট্রের কাছাকাছি তখন র্যা ব বাংলা ভাইসহ জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে পেরেছে। পরবর্তীকালে দেশের মধ্যে জঙ্গি তৎপরতা নতুনভাবে গড়ে উঠলেও ‘বাংলা ভাই’য়ের মতো মানুষের আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো সন্ত্রাসীর দেখা মেলেনি। র্যা বের তৎপরতায় বর্তমানে দেশ জঙ্গিমুক্ত। এছাড়া ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, অর্থ পাচার ও প্রতারক, নারী ও শিশু পাচারকারী এবং অপহরণকারী গ্রেপ্তারে র্যােবের সাফল্য রয়েছে বিস্তর। এমনকি সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের অভিযানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে অনেক র্যা ব সদস্য নিহত এবং তিন’শরও বেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে র্যা ব দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল র্যামবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি এখন র্যা ব বাতিল করতে হবে। একটা বাহিনীতে দুই একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক থাকতে পারে কিন্তু তার জন্য পুরো বাহিনীতো বিলুপ্ত করা যায় না। এটা অবশ্যই কোন স্বার্থন্বেষী মহলের চক্রান্ত। বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই চক্রান্ত করছে। এই বাহিনী থাকলে তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রীতিমত চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই তারা র্যাীবকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। দেশের কল্যানার্থে যে বাহিনী জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে সেই চৌকস বাহিনীকে বিলুপ্ত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

০ টি +০/-০