![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে এবং বিদেশে র্যা বের সাফল্য ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যে। জেএমবির দর্প চূর্ণ-বিচূর্ণ করতেও সক্ষম হয় র্যা৪ব। বিশ্বের অন্য কোন দেশে অল্প সময়ের মধ্যে এমন সাফল্য কোন নিরাপত্তা বাহিনী দেখাতে পারেনি। জঙ্গি-চরমপন্থী ও অন্যান্য চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অপরাধী দমনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে র্যা ব। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য জঙ্গি দমন। ইতিমধ্যে র্যা ব জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ১০৯৪ জন বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গ্রেনেড, বোমা ও ককটেল মিলে মোট ২০৪টি, আগ্নেয়াস্ত্র ৭৮টি ও ২৯২৯ রাউন্ড গুলি। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বই ও লিফলেট। ৮২০৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। তাদের কাছ থেকে ১১০১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯২৩৪২ রাউন্ড গুলি, ৭৫৪২টি ককটেল ও বোমা এবং ৫২৮০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যা ব। এভাবে জঙ্গি দমনের মধ্য দিয়ে র্যামব সাধারন মানুষের মনেও আস্থা করে নিয়েছে। ক্রসফায়ার ভীতিতে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা আত্মগোপনে, এমনকি অনেকেই সীমান্ত টপকে ওপারে চলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য মহল হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। বিশ্বব্যাপী আলোচিত সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় গত বছর ২৯ এপ্রিল র্যা ব গ্রেপ্তার করে পলাতক ভবন মালিক সোহেল রানাকে। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি আরেকটি সাফল্যের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে র্যা ব। ঘটনার মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চুরি করা ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে র্যা ব। বিশেষ করে জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমনের এ সাফল্যে র্যা ব এখন ঈর্ষণীয় বাহিনী। আর এই জঙ্গিদের দমন করতে না পারলে বাংলাদেশ যে আজ একটি তালেবানি রাষ্ট্রে পরিনত হত তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.