নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসা ছিল তার পুনর্জন্ম। তার পুনর্জন্মের পরে বাংলাদেশ পুনরায় বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল

২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় (মে ২০১৪) মর্মাহত ও ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতি পেয়ে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার প্রত্যাশা অনুসারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে প্রশাসন। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচনের আগে-পরের সহিংসতা বন্ধ করে একইভাবে আপামর দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি রানা প্লাজার নিহত-আহত শ্রমিক পরিবারের পাশে থেকে এখনো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এমন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা। সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনার সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতা তার নেতৃত্বকে বিশ্বজনীন করে তুলেছে। কারণ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা তার সরকারের দায়িত্ব হিসেবে গণ্য হয়েছে। জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও ১০ বছর মেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সম্প্রীতি রক্ষার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি নিজের দেশে প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিজ নিজ ধর্মপালনে উৎসাহী করেছেন। বাঙালির উৎসবগুলোকে তিনি সর্বজনীন সম্মিলনে পরিণত করেছেন। ঈদ, পূজা, বড়দিন, বুদ্ধপূর্ণিমা এখন সবার উৎসব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টা অভিনন্দনযোগ্য। অর্থনৈতিক উন্নতি গতিশীল রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে, রিজার্ভ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বসভায় আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভিশন-২০২১ ঘোষণা বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে যথার্থ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালো পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সব কর্মকান্ড মানুষের মঙ্গলের জন্য নিবেদিত। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। এটি ছিল তার পুনর্জন্ম। তার পুনর্জন্মের পরে বাংলাদেশ পুনরায় বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল। তেত্রিশ বছর আগের সেই দিনটি এখনকার মতো ছিল না। সেদিনকার বাতাস ছিল কান্নার বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ঝড়ের এক অপরাহ্ন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ড বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনার পদস্পর্শে সেই জল্লাদের দেশ পুনরায় সোনার বাংলা হয়ে ওঠার প্রত্যাশায় মুখরিত হয়েছিল। আজ তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। তার প্রত্যাবর্তন ছিল অতি সাধারণ, কারণ সেভাবেই তিনি দেশের জনগণের সামনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি এক বৃহৎ শূন্যতার মধ্যে এসে দাঁড়ালেন। এখানে ঘরের আপনজন কেউ নেই। তাই সারা দেশের মানুষ আপন হয়ে উঠল। তিনি এখানে আসার আগে প্রায় পাঁচ বছর স্বৈরশাসকরা বোঝাতে চেয়েছিল তারাই জনগণের মুক্তিদাতা। কিন্তু সাধারণ মানুষ ক্ষণে ক্ষণে জেগে উঠছিল, বিচার দাবি করছিল জাতির পিতার হত্যাকান্ডের। জনগণের দাবি নিয়ে রাজনীতির মাঠে রাতদিনের এক অক্লান্ত কর্মী হয়ে উঠলেন শেখ হাসিনা। তিনি নেত্রী কিন্তু তারও বেশি তিনি কর্মী। কারণ দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, বঙ্গবন্ধু ও তার শাসনকাল সম্পর্কে অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দেয়া, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা তার প্রাত্যহিক কর্মে পরিণত হলো। কেবল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন তিনি, তার রয়েছে একাধিক প্রকাশিত গ্রন্থ, লেখক হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান। ১৯৯৬-এ যেমন তেমনি ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি জনগণের কল্যাণে সব মেধা ও শ্রম নিয়োজিত করেছেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ ও ভিশন-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্য-২০২১ সালের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ উন্নত ডিজিটাল দেশ গড়ে তোলা। অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও '৭৫-এর ঘাতকরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের উন্নয়নপ্রচেষ্টা ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা। গুম, হত্যা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা, ২০০১-২০০৬ এর জোট সরকারের পাঁচ বছরের লুটপাটের প্রক্রিয়া বজায় রাখা, হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক জিয়াকে দেশে এনে রাজনীতি করানো। বর্তমান প্রজন্ম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ অনুসরণ করে যাবে, সৃষ্টি হবে বিশ্বসভার যোগ্য বাংলাদেশ। তার সাফল্য দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ঢাকার নিমতলির আগুনের মধ্যে থেকে উঠে আসা অসহায় মানুষের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছেন। কতিপয় কুখ্যাত বিডিআর কর্তৃক সেনা অফিসার হত্যাযজ্ঞ পরবর্তী পরিস্থিতি সামলেছেন। মা রমিজার কন্যা হয়ে ছুটে গিয়েছেন অজপাড়াগাঁয়ে। তিনি তার নিজের কর্মের গুণে বিশ্বজনীন নেত্রীর আসন অলঙ্কৃত করেছেন। সব শেষে আমাদের কামনা শেখ হাসিনার আগামী দিনগুলো শুভ হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.