![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের তরুণ সমাজ ’৭১ দেখেনি। কিন্তু আজকে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য দেখে তা উপলব্দি করতে পারছে। বাংলাদেশে এখন বিএনপি ও জামায়াতের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়, তাদেরও সম্ভবত অন্তিম ব্যাধিতেই ধরেছে। দেশে তারা শুধু বিরাটভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়নি, এই গণবিচ্ছিন্নতা থেকে তাদের মধ্যে বুদ্ধিভ্রষ্টতাও দেখা দিয়েছে। সমাবেশের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করতে না দেয়ায় মন ক্ষুণ্ণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার শরিক দল। কিন্তু বিগত দিনে সহিংসতা ছাড়া সভা সমাবেশ করার কথা থাকলেও তিনি কি তার দেয়া কথা রেখেছেন? প্রতিটি সভা সমাবেশে কিছু না কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তার দল ও শরিকরা ঘটিয়েছে। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় নিয়েও তারা রাজনীতি করেছে। জামায়াত এই মামলার রায়ে তাদের নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ হওয়ায় হরতাল ডেকেছিল। বিএনপি একই কারণ দেখিয়ে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের এক সমাবেশের সরকারি অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পিছু পিছু বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চেয়েছিল। দুটি দলের একটিরও মাথায় সম্ভবত এ চিন্তাটা আসেনি যে পয়লা ফেব্রুয়ারি ছিল ভাষাশহীদদের স্মৃতিপূত মাসের শুরু। ২ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন। লাখ লাখ মানুষ পরদিন তুরাগপার থেকে ঘরে ফিরবে। ঐদিন হরতাল দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত ছিল? তাছাড়া দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে তাদের বহু কীর্তিতে কীর্তিমান সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ফাঁসির আদেশ হয়েছে বলে? সেই কথা তারা মুখ ফুটে বলছে না বটে, কিন্তু এ কথাটা বলেছে যে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক এবং বিএনপিকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে। জামায়াতের পিছু পিছু বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার আসল উদ্দেশ্যটাও তাহলে বোঝা গেল। এবার আসি এক এগারোর কথায়। বাংলাদেশে এক এগারোর বিরুদ্ধে আমাদের অনেক অভিযোগ। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি এক এগারো না এলে তারেক রহমানের মত দুর্নীতিবাজকে জেলে ঢোকানো এবং তার হাওয়া ভবনের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দুর্গ ভাঙ্গার সাহস কোন সরকারেরই হত না। সন্ত্রাসী চরিত্রের ব্যক্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ি ব্যক্তিদের দলের শীর্ষ স্থানে বসিয়ে রেখে কোন দল বেশিদিন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না। সমাবেশের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হরতাল ডেকে আগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে গেলে এবার শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষও সমুচিত জবাব দেবে।
©somewhere in net ltd.