![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সম্পদ বিনিষ্টকারী বিএনপি-জামাত জোট রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে গত পাঁচ মাসে যে সহিংসতা চালিয়েছে তার একটি চিত্র তুলে ধরা হলঃ
বিএনপি-জামায়াত জোট ১০ম সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী ২ মাস এবং পরবর্তী ৩ মাস সারা দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
তারা সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলা, জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, রাস্তার পাশের গাছ কাটে। আওয়ামীলীগ কর্মীদের বাড়ী ঘরে আগুন দেয় এবং তাদের হত্যা করে।
এ পর্যন্ত তাদের হাতে নিহত হয়েছে ৪০ জন আওয়ামীলীগ কর্মী। অন্যরা ভয়ে গ্রাম ছেড়ে দূরে আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড মীরেরসরাই এলাকায় নিহত হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা জামায়াত-শিবির কর্মীদের হাতে। চট্টগ্রামগামী ২৫০ কাভার্ডভ্যানে তারা আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করে। ঐ সময় কাভার্ডভ্যানে রপ্তানী পণ্য ছিল।
তারা হত্যা করেছে ৫৩০ জন ব্যাক্তিকে, আহত করেছে ২২ হাজার ৯০৫ জনকে। রেল বিভাগের ক্ষতি সবচেয়ে বেশী, রেলের স্লিপারে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, ২৫টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন জামায়াত-বিএনপি কর্মীরা আগুন দিয়ে অকেজো করেছে। সারা দেশের রেল পথকে তারা উপড়ে ফেলেছে।
একইভাবে তারা সুন্দরগঞ্জ পুলিশ ফাড়িতে আক্রমন করে ৪ জন পুলিশ হত্যা করেছে। কাচঁপুরে পুলিশ ফাড়িতে আক্রমন করে পুড়িয়ে দেয় এবং ২ জন টহলরত বিজিবি সদস্য হত্যা করে। জামায়াত-শিবিরের আক্রমনে এ পর্যন্ত ১৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।
বৃক্ষ নিধন হয়েছে ১৫ হাজার। এক পরিসংখ্যানে জানা যায় এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। গণপরিবহন খাত জামায়াত-বিএনপি কর্মীদের হামলায় আগুনে পুড়ে অঙ্গারে পরিনত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের এই খেলা থেকে তারা নিবৃত হবে এমন আশা করে দেশবাসি। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের হুকুম দাতা–ইন্ধন দাতাদের বিচারের মুখোমুখি করবে মহাজোট সরকার এই প্রত্যাশা সবার।
©somewhere in net ltd.