![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নতজানু কুর্নিশ জানিয়ে তার কৃপা দৃষ্টি লাভের জন্য বাংলাদেশের বিএনপির করুণ প্রচেষ্টা রীতিমতো মানুষের মনে হাস্যরসের সৃষ্টি করছে। ভারতের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হতেই বিএনপি নেতানেত্রীরা আহ্লাদে আটখানা হয়ে এমন ভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন যেন মোদির এই জয় তাদেরই জয়। মোদি এখন সিংহাসনে বসেই বাংলাদেশে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে একেবারে বিএনপিকে হাতে ধরে ঢাকার মসনদে বসিয়ে দেবে। এই আশায় কথায় কথায় ভারতবিদ্বেষ প্রচার যে বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক মূলধন, সেই বিএনপি হঠাৎ ভারতপ্রেমে গদগদ হয়ে উঠেছে। ভারতের নতুন রাজনৈতিক প্রভুরা বাংলাদেশে বিএনপিকেই সুয়োরানী করবে এবং হাসিনা সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে, এটা বাংলাদেশের মানুষকে বোঝাবার জন্য যে অসৎ ও অসত্য প্রচারণা চালানো হয়েছে, তা একটি স্বাধীন দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের জন্য রীতিমতো লজ্জাজনক। শুরুতেই প্রচারণা চালানো হলো, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্ভবত দলের এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে খালেদা জিয়া নিজেই আবার আগের দিনের মতো সাজুগুজু বেগম সেজে দিল্লী যাওয়ার প্রতীক্ষা করছিলেন। কিন্তু তার সেই নতুন শাড়ি পরে অপেক্ষা করা ব্যর্থ হয়ে গেছে। দিল্লীর আমন্ত্রণ আর আসেনি।অতঃপর প্রচার করা হলো, তারেক রহমান লন্ডন থেকে দিল্লীতে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। মোদি তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাকে দিল্লীতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই খবরটিও বানানো খবর। তারেক রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা লাভের জন্য অবশ্যই হ্যাংলামি করতে পারেন। দিল্লীতে চিঠিও পাঠাতে পারেন। কিন্তু সেই চিঠি মোদির হাতে পৌঁছেছে কিনা এবং তিনি তাকে কোন গুরুত্ব দেয়া দূরে থাক, কোন প্রকার সাড়াও দিয়েছেন কিনা দিল্লী থেকে তার কোন আভাসও পাওয়া যায়নি। নিজেদের শক্তিতে ও আন্দোলনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রকার পরিবর্তন আনতে না পেরে ভারতের বিজেপি সরকারের কাছে গলবস্ত্র হয়ে তাদের সমর্থনে বিএনপির এই পরিবর্তন আনার চেষ্টা দলটির লজ্জাকর নৈতিক অধঃপতনেরই প্রমাণ।
©somewhere in net ltd.