নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

র্যা বের চরিত্র হননে মহা ব্যাস্ত তারেক-খালেদার অন্তর জ্বালা

০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

তারেক রহমানের সৃষ্টি করা দিনে দুপুরে হত্যা করতে সক্ষম জঙ্গী বাংলাভাই, আবদুর রহমান গং এর জেএমবি দলের উপরিউক্ত শীর্ষ খুনী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করেছিল। যা ছিল তারেক রহমানের প্রতি চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়াও ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ও ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকারী হরকত-উল-জিহাদ নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যাতে প্রকাশ পেয়েছে প্রথমটিতে বিএনপি নেতা, দ্বিতীয়টিতে তারেক রহমান ও জামায়াতের মুজাহিদ কতিপয় দুর্বৃত্ত পুলিশ কর্মকর্তার খুনের পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টতার কথা। এই হামলার খুনীরাও র্যা বের কিছু দেশপ্রেমিক সদস্যের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাহলে, র্যা ব বিলুপ্তি দরকার কার? খুনী, সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয় দাতাদের এবং তাদের ব্যবহারকারীদের। কোন মানুষকে, গোষ্ঠীকে, দলকে বিলুপ্ত করতে চাইলে প্রথম কি দরকার হয়? দরকার হয় ঐ মানুষের বা দলের পরিকল্পিত চরিত্র হননের, যেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবার করা হয়েছিল ১৫ আগস্ট সংঘটনের আগে। বর্তমানে চলছে র্যা বের চরিত্র হনন প্রক্রিয়া এবং র্যা বে তারেকদের মত ব্যক্তিরা কৌশলে আওয়ামী লীগের প্রিয়ভাজন হয়ে আওয়ামী লীগারদের খুন করা, যা করছে এবার। একই সঙ্গে বিদেশীদের কাছে ও জনগণের কাছে সরকারে প্রতি আস্থাহীনতার সৃষ্টি করার লক্ষ্যও সাধন করার চেষ্টা চলছে। ২০০৬ এ বিএনপি-জামায়াত জোটের নেত্রী খালেদা ও তারেকের একগুঁয়েমি, স্বৈরাচারী আচরণ ও পদক্ষেপের ফলে যখন দলীয় প্রেসিডেন্টকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদে নিয়োগ করা হলো এই পরিকল্পনায়, যে তিনি ২০০১-এর নির্দলীয় লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের মতো ভূমিকা গ্রহণ করে খালেদা-তারেক-নিজামীদের ২০০১-এর মতোই কাঙ্ক্ষিত তৈরি ফল উপহার দেবেন। এই অতি অন্যায় সংঘটনের পর তখন সেনাসমর্থিত সরকার ২০০৭-এ ক্ষমতা দখল করে। এ সময় খালেদা-তারেকের সৃষ্টি করা র্যা ব এর কতিপয় সদস্য তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের সময় দৈহিক আঘাত করে বলে শোনা যায়। এ জন্যও খালেদা-তারেক র্যা ব বিরোধী হয়ে ওঠে। শোনা যায়, এ আঘাতের চিকিৎসার অজুহাতে তারেক লন্ডনে বাস শুরু করে। মানুষের সামনে এখনও তারেক নাকি কুঁজো হয়ে লাঠি হাতে হাঁটে। সত্য হলে বলতে হয়, এটিও একটি নাটক। ২০০৮ থেকে গত ৫/৬ বছরে দেশের নানা সম্ভব, অসম্ভব স্থান থেকে শহর-গ্রামের মাদ্রাসা-বাসাবাড়ি থেকে জঙ্গীদের দ্বারা বোমা, গ্রেনেড বানাবার শত শত কেজি বিস্ফোরক পদার্থ, এ্যাসিড, বন্দুক, শটগান, রাইফেল, একে ৪৭সহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার ও শত শত জঙ্গী গ্রেপ্তারে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে,র্যা ব তাহলে প্রশ্ন, জঙ্গী গ্রেপ্তার, বোমা-গ্রেনেড বানাবার বিস্ফোরক উদ্ধার হোক, তা কি খালেদা-তারেক চায় না দেশ সন্ত্রাসমুক্ত হোক? তারা কি আসলেই ক্ষমতার মোহে একটি সোনার মত দেশও জাতিকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটুও পিছপা হবে না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.