![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালী মুসলমানের আত্মপরিচয়ের সঙ্কটের ফাঁক দিয়ে জামায়াতের মতো ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি টিকে থাকার অক্সিজেন পায়। ইসলামের তেহাত্তর ফেরকার একটা জামায়াতবাদ (jamaatism)। ভারত প্রত্যাগত পাকিস্তানী মাওলানা আবুল আলা মওদুদী এ তত্ত্বের উদ্ভাবক হলেও এর বীজ খারেজী তত্ত্বে নিহিত ছিল। খারেজীদের বাড়াবাড়ির কারণে হযরত আলী (রা.)সহ উমাইয়া শাসকদের বার বার বিপদে পড়তে হয়েছিল, এরা ইসলামের ইতিহাসে ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত পায়। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, মুসলমান হওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে জামায়াতবাদ বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যতীত পৃথিবীর কোথাও জামায়াতে ইসলামী বলে কোন সংগঠন নেই। এমনকি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে জামায়াতে ইসলামী বলে কোন দল নেই। তাই বলে কি সেখানে ইসলাম আজ বিপন্ন? বাংলাদেশের মানুষকে ফিতনা সৃষ্টিকারী জামায়াতের হাত ধরে ধর্মকর্ম পালনের কোন যৌক্তিকতা নেই। ‘প্রকৃত মুসলমান সে যার মুখ ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ’ কিন্তু জামায়াতের হাতে বাংলাদেশের মানুষ কখনও নিরাপদ নয়। একাত্তরে তাদের ভূমিকা কিংবা তাদের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন তা প্রমাণ করে। এরা নিজেদের লোক ছাড়া আর কাউকে মুসলমান বলে গণ্য করে না। পীর-আউলিয়াদের কবর জেয়ারত করাকে তারা হারাম বলে মনে করে এবং পীরভক্ত মানুষকে নাজেহাল করতে কসুর করে না। সংগঠনটি কোরানিক দর্শনের সেসব জেহাদী তত্ত্বই প্রচার করে যা তাদের আগ্রাসি কার্যকলাপকে সমর্থন করে। চটি বই আকারে সেসব তত্ত্ব তারা মেধাবী, অথচ রাজনীতিতে অজ্ঞ তরুণ প্রজন্মের কাছে সুকৌশলে পৌঁছে দেয়। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যালে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা ধর্মের মোড়কে জামায়াতীজম প্রচার করে তরুণদের একটা অংশকে বিভ্রান্ত করতে সমর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, বেতনধারী মহিলা জামায়াত কর্মীরা কোরান শিক্ষার আড়ালে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সারাবছর সরলামনা মহিলাদের কাছে সুকৌশলে জামায়াতীজম প্রচার করছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো কোরান শিক্ষার আড়ালে মওদুদীবাদ প্রচারের ফলে মায়েদের মাধ্যমে সন্তানরা শিবির হবে। সীতাকুন্ড, সাতক্ষীরা, সাতকানিয়াসহ বাংলাদেশের অনেক জায়গায় তাদের এ থিয়োরি কাজ দিয়েছে। দরিদ্র পরিবারে জামাতিরা তাদের প্রচার কৌশল প্রয়োগ করছে।
©somewhere in net ltd.