![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত মহাজোট সরকারের সময়ে কতবার বিএনপিকে আলোচনায় আসতে বলা হয়েছিল, কতবার সমঝোতায় আসার জন্য বলা হয়েছিল! কিন্তু তারা কোন আলোচনা-সমঝোতায় আসতে চায়নি। তারা চেয়েছে পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবেন। কিন্তু সেটা করতে পারেননি, তা তো সবাই জানে। তারপর তাদেরকে নির্বাচনী সরকারে যোগ দিতে বলা হয়েছিল, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন; ফলাফল কি হয়েছে, সেটা সবার জানা। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, কারণ জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না। তাই বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকল্প প্রার্থী না থাকায় সেকারণে অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় সরকারি দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তারপরও বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য কি করেছে, সেটা সবার জানা। কতগুলো স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে, কত মানুষ মেরেছে; সেটারও হিসাব আছে। কিন্তু সফল হতে পারেননি। কেন পারেন নি? কারণ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপির নেতারা আত্মগোপন করে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আন্দোলন সফল করার অরাজনৈতিক নজির স্থাপন করেছিল। এসব ভূলে যাওয়া উচিত নয়। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি নির্বাচন করেছিল। সেই নির্বাচনের পরদিন মানুষ দেশের রাজপথ দখল করে রেখেছিল। তাই বাধ্য হয়ে বিএনপি সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। ২০১৪ সালে কি ঘটেছে? নির্বাচনের পরদিন সারাদেশ শান্ত। বিএনপিকেও রাজপথে দেখা যায়নি। সারাবিশ্ব থেকে সরকারের প্রতি শুভেচ্ছাবানী এসেছে। ইতিমধ্যে সরকারের ৬ মাসও গত হতে যাচ্ছে। বাজেটও দিয়ে দিয়েছে। বিএনপি গলাবাজি করছে, জনগণ সরকারকে (সরকারের বাজেটকে) মানে না। সরকার নাকি অবৈধ। ভাল কথা, অবৈধ হলে আপনারা চুপচাপ শুধু গলাবাজি করছেন কেন? জনগণ কেন আপনাদের সাথে রাজপথে নেই? জনগণ আপনাদের সাথে নেই বলেই তো আপনারা আন্দোলনের ডাকও দিতে ভয় পাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন না করলেই নির্বাচন অবৈধ হয়ে যায় না। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সেটাও অবৈধ হয়ে যায় না। বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব সংকটে যেভাবে পড়েছে, তাতে আগামী দিনের নির্বাচনে তাদের পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না। তাই বলে আগামী দিনের নির্বাচনগুলোও অবৈধ হয়ে যাবে না।
©somewhere in net ltd.