| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবারে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সেটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বাজেট এবং সমৃদ্ধি অর্জন করার বাজেট। বিএনপি বলছে, এটা অবৈধ সরকারের বাজেট। একাত্তরের যুদ্ধের সময় জামায়াত এবং বিএনপিরা বলেছিল এদেশ স্বাধীন হবে না। কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়েছে। ৫ তারিখের নির্বাচনের আগে বলেছিল নির্বাচন হবে না, কিন্তু নির্বাচন হয়েছে। ইনশাল্লাহ বাজেটও বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের মহাজোট সরকারের বিকল্প জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি হতে পারে না, জঙ্গীবাদ তালেবানী সরকার হতে পারে না। মহাজোট সরকারের বিকল্প অন্ধকারের অপশক্তির চক্রান্ত্রের সরকার হতে পারে না। একদিকে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ সংবিধান রক্ষা করা, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশর ভিত্তি তৈরি করে দেওয়া। যেখানে শোষণ থাকবে না, বঞ্চনা থাকবে না। সেখানে নারী অধিকার থাকবে, শ্রমিক-গরীবদের অধিকার থাকবে। শেখ হাসিনা যখন যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, তখন যারা দলবাজিতে লিপ্ত হচ্ছে, তারা এ লড়াইয়ে আমাদের বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। যারা সংবিধানকে মানে না, বাংলাদেশকে মানে না, গণতন্ত্রকে মানে না তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না। আবার গলাবাজি শুরু করে বলেছে, “জোর করে ক্ষমতায় থেকে এ অবৈধ সরকার অবৈধ বাজেট প্রস্তাব করেছে। জনগণ এ বাজেট কখনো মেনে নিতে পারে না”। প্রশ্ন হলো, অবৈধ কাকে বলে? দেশের সংবিধানকে স্থগিত করে দিয়ে ১৯৭৭ সালে বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল করেছিল জেনারেল জিয়া, সেটা ছিল অবৈধ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে বর্তমান সরকার। সংবিধান মেনে যে নির্বাচনে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেটাকে কি অবৈধ বলা উচিত? তাহলে তো সংবিধানকেই অস্বীকার করা হয়। অবশ্য যাদের জন্ম অসাংবিধানিক উপায়ে, তাদেরকে সংবিধানের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়া আর না দেয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ, তারা সংবিধান, গণতন্ত্র এসবের ধার ধারে না।
©somewhere in net ltd.