![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম-আখাউড়া-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-আখাউড়া-সিলেট রেলপথে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ মাদক ব্যবসা প্রতিরোধে বাড়তি নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে রেলওয়ে পুলিশ। ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জিআরপি পুলিশ, ট্রেন গার্ড, নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যসহ ট্রেন চালকদের সতর্ক করে এ সব অপরাধ দমনে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ পথে ট্রেনযাত্রীদের সচেতনতায় ভিআইপি স্টেশনগুলোতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ পোস্টার আর লিফলেট করে প্রচারণা চালাচ্ছে রেলওয়ে পুলিশ। যাত্রী নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রেনযাত্রীদের বিশেষ সুবিধার্থে স্টেশনগুলোতে পুলিশ তথ্যকেন্দ খোলা হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল পুলিশের জরিপে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-আখাউড়া-সিলেট রেলপথ এলাকায় ২৭টি ডেঞ্জার পয়েন্ট রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায়ই এ রেলপথে হকার ও ভিক্ষুকের বেশে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। ফলে অরক্ষিত ট্রেনে জীবনের ঝুঁকি আর আতংক নিয়ে চলাচল করছে ট্রেনযাত্রীরা। এ সব ঘটনায় অপরাধ তৎপরতায় কোনো যাত্রী প্রতিবাদ কিংবা বাধা দিলে তাকে খুন করে বা পিটিয়ে আহত অবস্থায় চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পূর্বাঞ্চল রেলপথে ডেঞ্জার পয়েন্টগুলোর মধ্যে গঙ্গাসাগর এলাকা, ইমামবাড়ি, কসবা, মন্দবাগ, শশীদল, সালদা, রাজাপুর, কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ আউটার এলাকা, লাকসাম স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ আউটার এলাকা, ফেনী এলাকা এবং ভৈরব রেলব্রিজের পশ্চিম পাড় ও পূর্ব পাড়, আশুগঞ্জ রেলস্টশন এলাকা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া স্টেশন এলাকা, ভাদুঘর, পাঘাচং, ভাতশালা, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ ও উত্তর আউটার এলাকা, আজমপুর, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, মনতলা ও ইটাখলা। ঈদকে সামনে রেখে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে পুলিশ বিভিন্ন ভিআইপি রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনে সতর্কতা জোরদারকরণ করেছে। এছাড়া রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইতিমধ্যে ট্রেনে চিহ্নিত অনেক ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনযাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে পুলিশ সর্বদা সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
©somewhere in net ltd.