![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মির্জা ফখরুলদের মতো মানুষদের জন্যই বোধহয় প্রবাদটা চালু হয়েছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। প্রতিদিন এই লোকগুলো মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। সেদিন চোখা মিয়া ওরফে চোখা রাজাকারের পোলা মির্জা ফখরুল বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে গার্ল সামিটে ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। নারী উন্নয়ন বিষয়ক যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর কোনটিই নাকি বাস্তবায়ন হয়নি।
তাহলে যে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন রিপোট ২০১৪ বেরুলো, সেখানে তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা গার্ল সামিটে বলেছেন, সেগুলোই বলা আছে। তাহলে কি জাতিসংঘও মিথ্যা কথা বলা শুরু করেছে? জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ২০১৪ সালের যে মানব উন্নয়ন সূচক প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৮৭টি দেশের মধ্যে ১৪২ নম্বরে। প্রত্যাশিত আয়ু, স্বাক্ষরতা, শিক্ষা এবং মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে সারাবিশ্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনডিপি। ইউএনডিপি বাংলাদেশ রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশ যখন মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বেশির ভাগ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আগের জায়গাতে রয়েছে। বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকের ধারণাটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজে লাগাতে পারে। ইউএনডিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে গত এক বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দারুণ উন্নতি দেখিয়েছে। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ নম্বরে, যেখানে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই রয়েছে ১২৭ নম্বরে। এবারই প্রথম জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স নামে নতুন একটি সূচক চালু করেছে ইউএনডিপি, যাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ নম্বরে। এতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ নারী-পুরুষ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। মির্জা ফখরুলদের মতো মিথ্যাবাদীরা আজ সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দিতে চাচ্ছে। এসব হিপোক্রাটদের রাজনীতিতে অবস্থান কি দেশের জন্য মঙ্গলজনক? ভেবে দেখার সময় কি আসেনি? রাজনীতিতে যতোদিন এসব হিপোক্র্যাসী চলতে দেয়া হবে, ততোদিন দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখেই থাকবে। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থ এ এসব হিপোক্র্যাট মিথ্যাবাদীদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে। এদের বর্জন করুন, প্রতিহত করুন।
©somewhere in net ltd.