অপসাংবাদিকতার নায়ক মোঃ নুরুল কবির

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

মোঃ নুরুল কবির ১৯৬০ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা জেলার মুন্সীগঞ্জ মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২-৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বামপন্থী এই ছাত্রনেতা ৯০ পরবর্তীকালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি বোল পাল্টিয়ে নব্য জাতীয়তাবাদী সেজে বিএনপির গুণকীর্তন শুরু করেন। চাটুকারিতায় বাগপটু এই সাংবাদিক অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপির হাইকমান্ডের কৃপা লাভ করতে সক্ষম হন। এর পর সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নেতা বনে যান। ২০০৭-২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাকে টিভি টকশো করতে দেখা গেছে। ঐ সমস্ত আলোচনায় তিনি মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতেন এবং ফকরুদ্দিন সরকারের গুণকীর্তন করতেন। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়-সীমা দুই বছর বৃদ্ধিতে যুক্তি তুলে ধরেন। ঐ সরকারের বিশেষ অভিযানের সমর্থনে তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন। ডঃ ইউনুস এর সাথে মিলে অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখার নীল নকশার রুপকার এই নুরুল কবির। ২০০৮ সালে এসে ডঃ কোরেশির সংগে মিলে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন, উদ্দেশ্য ছিল ফখরুদ্দিন সরকারকে রাজনীতির মোড়কে জায়েজ করা। অবশেষে জনসমর্থন না পেয়ে ঐ সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। আশা ভঙ্গ হয় সাংবাদিক নুরুল কবিরের। রাজনীতির মাঠে ফেল মারা চীনপন্থী সাবেক এই বামনেতা সবসময় পিছন দরজা দিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় সে বিষয়ে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করেন, উস্কানি দেন। এই জন্য বেগম জিয়া এবং তার পুত্রদের দুর্নীতি তার লেখায় আসে না। বাংলা ভাই, শায়খ ভাইদের জঙ্গীপনা জিহাদীপনা তার লেখনিতে থাকে না। দেশে যদি তালেবানি শাসন কায়েম হয় তা হলে এই ধরণের সাংবাদিক কোথায় থাকবেন? তাদের অস্তিত্বই বিলিন হয়ে যাবে কিনা? তা একবারও ভাবেন না। কেননা তালিবানি শাসন বহু মত-পথকে প্রশ্রয় দেয় না। দেশবাসী আসুন এই অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।

০ টি +০/-০