![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিগত পাঁচ বছরে ৮৬২টি নিবন্ধনপত্র জারি করা হয়েছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্প, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিজ, লেদার প্রোডাক্টস খাতে এই অর্থ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩০৬টি শিল্প প্রকল্পের অনুকূলে নিবন্ধনপত্র জারি করা হয়, যার মোট বিনিয়োগ প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই সময় যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পের অনুকূলে নিবন্ধনপত্র জারি করা হয় ৫৫৬টি, যার মোট বিনিয়োগ ৮২ হাজার কোটি টাকা। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পুর্বে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের ফলে বিনিয়োগ কিছুটা হ্রাস পেলেও নির্বাচন পরবর্তী বর্তমান সরকার পুনরায় দায়িত্ব নেয়ার পর বিনিয়োগকারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে, তারা আস্থা ফিরে পেয়েছে, তাদের সকল দ্বিধা কেটে গেছে। এখন ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, ইতালি, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগ সহজতর করার লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিনিয়োগকারিদের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ এবং পরিবেশ ছাড়পত্রসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সহজে এবং দ্রুততম সময়ে প্রদান করা হচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন অনলাইনে দেওয়া হয়। এর ফলে একজন বিনিয়োগকারী অতি দ্রুত নিবন্ধন পেয়ে থাকেন। বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা হালনাগাদ তথ্য ও সেবাগুলো জানতে পারছেন। বেসরকারি বিনিয়োগে অধিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সেল এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। শিল্প খাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হলে বহিঃর্বিশ্ব থেকে বিভিন্ন দেশের শিল্পসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ তরান্বিত হবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে স্বনির্ভরশীল রাষ্ট্রের তালিকায়।
©somewhere in net ltd.