![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর সাত খুনের ঘটনা ঘটলো। খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায়ও নেয়া হয়েছে, বিচারও হচ্ছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের খুন নিয়ে অনেক অপরাজনীতিও হয়েছে, মায়াকান্নাও হয়েছে অনেক, এখনও চলছে সেই অপরাজনীতি। রিজোয়ানা হাসানের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক অপরহরণ হবার পর আবার মুক্ত হলেন, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরী হয়েছে। সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী গুম হলেন, নাকি আত্মগোপনে আছেন, সেটার এখনো কোন সুরাহা হয়নি। লন্ডন প্রবাসী আরেক সিলেটের বিএনপি নেতা সম্প্রতি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর মুক্ত হলেন। তিনিও কি কারণে গুম ছিলেন, সেটাও এখনো স্পষ্ট হয়নি। সংখ্যার বিচারে অপহরণ ও গুমের ঘটনা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, সেগুলো বিভিন্ন সংস্থার তথ্যই প্রমাণ দিচ্ছে। অপহরণ, গুম নিয়ে সরকারের তৎপরতাকে ঢেকে রাখার জন্যও অনেক অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেহেতু বিভিন্ন কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী অপরহন, গুমের সাথে জড়িত এবং এই অপহরণ, গুমের ঘটনার সুরাহা সরকার করতে পারছে না, সেজন্য অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে অপরহন, গুম সংক্রান্ত সকল তথ্য ও অগ্রগতি উন্মুক্ত করে দেয়া এবং সন্ত্রাসী ও অপহরণ, গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমাদের ভুলে য়াওয়া উচিত নয়, গতবছর দেশের আইন-শৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তবুও এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নেও এগিয়ে যাবে। আইন-শৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষকে আতংকিত করার স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে দেশের সকল সাধারণ মানুষকে।
©somewhere in net ltd.