![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাকব কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ করে ডেড স্কোয়াড হিসেবে কাজ করছে র্যারব। অথচ সকলেই জানেন বর্তমান সরকার র্যা ব পুনর্গঠন ও একে জবাবদিহির আওতায় এনেছে। এ সংস্থার দোষী ব্যাক্তিদের আদালতের সন্মুখীন করা হয়েছে। অর্থাৎ র্যায়বের জবাবদিহিতা ছাড়াই কোন কার্যক্রম পরিচালনার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন অপপ্রচার। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলের মন্ত্রিপরিষদ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল। তাদের হাওয়া ভবনের নেতা তারেক জিয়া ২১ আগস্ট জঙ্গিদের নিয়ে গ্রেনেড হামলা করিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোথায় ছিল? তখন তারা সেই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেনি কেন? ২০০১ সালের নির্বাচন-উত্তর হিন্দু-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছিল জামায়াত-বিএনপি। হত্যা ধর্ষণে মেতে উঠেছিল তারা। তখন এই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোথায় ছিল? ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে জামায়াত-বিএনপি প্রায় প্রতিদিন বোমা মেরে, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। তখন এই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। আসলে এই সংগঠনটি বাংলাদেশের বাইরে থেকে এ দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। ফলে তাতে ভ্রান্তি থেকেই যায়। একটি জনপ্রিয় সংস্থার প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে না থাকলেও আমাদের মিডিয়া এবং জনমানুষের নির্ভরতা অনেক বেশি। র্যাাব এখনও জনগনের কাছে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক, জননিরাপত্তার অন্যতম অবলম্বন। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশে সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে চলেছে র্যারব। আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে র্যা বের নীরবে দায়িত্ব পালনের কৃতিত্বকে আমাদের প্রশংশা করতে হবে। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের সোনালি ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা সকলের দৃষ্টি এখন তাদের দিকে। টাকা চুরি করতে দু বছরের পরিকল্পনা লেগেছে সোহেল-হাবিব গংদের এর মাত্র দু দিনে র্যা ব সদস্যরা অপরাধী চক্রকে ধরে প্রমাণ করেছে তাদের দক্ষতা-সক্ষমতা।
©somewhere in net ltd.