আইএসআই, উলফার সাথে তারেক জিয়ার মেলা বন্ধন

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবনের মালিক ছিলেন তাই নয়, তার বড় পরিচয় তিনি ছিলেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আইএসআই প্রধান। উলফা নেতাদের সাথে বৈঠক করা, তাদের দেখ ভাল করা, রসদ যোগানো, অস্ত্র সরবরাহ ইত্যাদি কর্ম তিনি সফলতার সাথে পালন করেছেন। মাফিয়া ডনদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল খুবই মধুর। মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এর সাথে দুবাই হোটেলে তার বৈঠক হয়। সেখানে আইএসআই কর্মকর্তা উপস্তিত ছিলেন। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রাম ইউসিবিএল জেটি ঘাটে আনা হয়। সেখানে অস্ত্র খালাসে উপস্তিত ছিল উলফা নেতা পরেশ বড়ুরা, মেজর লিয়াকত এবং উলফা কর্মীরা। আলোচিত ঐ মামলার আসামী উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন স্বীকার করেন তারেক রহমান এর সহযোগিতায় আইএসআই, ভারতের আসাম রাজ্যে হামলা চালিয়ে ভারতে একটি নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারেক তার বন্ধু ব্যাবসায়িক অংশীদার গিয়াস আলমামুনকে নিয়ে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র চূড়ান্ত করে। সেখানে পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং দুবাই ভিত্তিক কোম্পানির মালিক এবং পরিচালক উপস্তিত ছিলেন। ঢাকার তৎকালীন হাই কমিশনার মাঞ্জার শারিফ ঐ সভায় উপস্তিত ছিলেন। মেজর জিয়া ডিজিএফআই গঠন করেন আইএসআইর সাবেক প্রধান জেনারেল জিলানী খান এর আদলে যিনি জিয়ার কমান্ডার ছিলেন। ২০০১ সালের শেষ দিকে উলফাকে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে তারেক ও তার বন্ধুরা পরেশ বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হতে শুরু করে। উলফা নেতাদের ঢাকা-চট্রগ্রমে ব্যাবসা শুরু করতে, বাংলাদেশে অবাধ চলাচল করতে এবং আইএসআই কর্মকর্তাদের সাথে দেখা সাক্ষাতের ব্যাবস্থা করে দিয়েছে তারেক জিয়া। তাছাড়া বাংলাদেশী পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর ও তারেক জিয়া এবং চীনের ইউনান প্রদেশে যাতায়াতে সহযোগিতা করেছিল। এর বিনিময়ে তারেক জিয়া আইএসআই প্রধানের কাছ থেকে হাবিব ব্যাংকের ক্রস চেক নিয়েছিল। এ ভাবেই তারেক নিজেকে প্রমান করেন একজন আন্তর্জাতিক মানের ঘুষখোর হিসাবে। প্রমান করেন আইএসআই, উলফার মেলা বন্ধন তারেক জিয়া।

০ টি +০/-০