![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়ে ছিল সেই তাণ্ডবে শুধু বাড়িঘর দোকানপাট নয়, তান্ডবের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ধর্মীয় উপাসনালয়ের মতো স্পর্শকাতর পবিত্র স্থানও। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের ভয়াবহতা এতটাই আগ্রাসী ছিল যে বসতবাড়ি, দোকানপাট ও উপাসনালয়ের নামগন্ধ মুছে ফেলা হয়েছে। কারও বুঝার ক্ষমতা নেই এখানে কোনকালে মানুষের বসতি ছিল। ছিল মানুষের বসতভিটা। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি আগের চেয়ে অনেক ভালভাবে সেরে উঠেছে। কিন্ত তাণ্ডবের যে ক্ষত পরিবারের সদস্যদের মনে গেঁথে আছে সেই ক্ষত কি কোনকালেই সেরে উঠবে? হয়ত কোনদিনই না। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের এমন ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার বহু হিন্দু পরিবার। ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের বাড়িঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাৎক্ষণিক নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, বাড়ি ও দোকানপাট নতুন করে গড়ে দেয় বিজিবি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করতে মানবিক কারণেই যার বাড়িঘর ভাঙ্গা পড়েনি তার জীর্ণ ঘরটিও মেরামত বা নতুন করে তৈরি করে দেয়া হয়েছে। কারণ একটি পাঁকা বাড়ির পাশে আরেকটি কুঁড়ে ঘর থাকলে দেখতে খুবই খারাপ দেখায়। পাশাপাশি সামাজিক ভারসাম্যও নষ্ট হয়। সেদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নতুন বাড়িঘরের পাশের ছোট ছোট জীর্ণ ঘরগুলোকেও মেরামত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিজিবি সে মোতাবেক কাজ করেছে। বাড়ি, দোকানপাট ও উপাসনালয়গুলো খুবই মজবুত করে নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে যুগ যুগ এ সব স্থাপনা টিকে থেকে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞ সাক্ষ্য বহন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেয়।
©somewhere in net ltd.