প্রভাবশালী রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের স্বীকারোক্তি। সাংবিধানিকভাবে ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জনগণের সরকার আওয়ামীলীগ সরকার, জননেত্রী শেখ হাসিনা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

রাষ্ট্র জনগণের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত সরকার। সাংবিধানিকভাবে ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জনগণের সরকার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন নানা কারণে। প্রথমত সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। যাবতীয় হুমকি, অপপ্রচার ও অপতৎপরতার বিপরীতে। দ্বিতীয়ত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ও ড. ইউনূস চক্র যেভাবে সম্মিলিত সরকারবিরোধী অপপ্রয়াস চালিয়েছে, তার থেকে দেশকে সুরক্ষা করেছেন। তৃতীয়ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও চাপ মোকাবিলায় সফল হয়েছেন। চতুর্থত বিএনপি-জামায়াত চক্রের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম বিশেষত দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশোর কার্যক্রম সরকারবিরোধী বাহন হিসেবে সক্রিয় ছিল। তা প্রতিরোধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সফল হয়েছে। পঞ্চমত দেশের বাইরের প্রভাবশালী রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ সরকারকে উপর্যুপরি চাপ দিয়েও টলাতে পারেনি। ষষ্ঠত জঙ্গিবাদী অপশক্তি, সহিংস রাজনীতি, মৌলবাদী চক্র, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের প্রবল তৎপরতা সত্ত্বেও সরকার অটল ছিল এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। সপ্তমত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রান্ত হয়েও নাশকতার শক্তিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করেছে। অষ্টমত বিশ্বমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। নবমত রাজনৈতিক অপশক্তি এবং অগণতান্ত্রিক শক্তি সরকার পতনের ধারাবাহিক আন্দোলন ও হুমকি দিয়েও সরকারকে ভীত ও নত করতে পারেনি। দশমত দেশের জনগণের শক্তি নিয়ে এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে জনগণকে আশান্বিত করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। যারা এ কাজে ব্যর্থ তারা সরকারকে ধারণ করে না। নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতীতে উসকানি পেয়েছে, নাশকতার আহ্বান ও প্ররোচণা পেয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা বিপথে যায়নি। দেশের স্বার্থকেই বড় করে বিবেচনা করেছে।

০ টি +০/-০