![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই নির্বাচনে বিএনপির কাছে ১০০ আসনে এখনই চুক্তি চায় জামায়াত। জোটগত নির্বাচনে জামায়াতকে ১০০ আসন ছাড়ার চুক্তি করলেই কেবল তারা বিএনপির সঙ্গে সরকার পতন আন্দোলনে মরণকামড় দিতে রাজি। না হয় আন্দোলনে নামতে নারাজ। কারণ তাদের দুঃসময় আর দাবির সঙ্গে বিএনপি নামেনি রাজপথে। তাই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জামায়াত। হিসাব ছাড়া জামায়াত বিএনপির সঙ্গে আর এক পাও অগ্রসর হতে চায় না। জামায়াত কর্মীরা জীবন দেবে, মামলা খাবে আর বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এটা মানতে তারা নারাজ। হিসাব পাকা না করে আর ঝুঁকি নিতে চায় না দলটি। জামায়াত সূত্র জানায়, সর্বশেষ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠকে খালেদা জিয়া নির্বাচনের জন্য জামায়াতকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। বৈঠকে জামায়াত ১০০ আসন দাবি করেছে জোট প্রধানের কাছে। কিন্তু খালেদা জিয়া এ প্রস্তাবে সায় দেননি। বৈঠকে জামায়াত নেতারা খালেদা জিয়াকে বলেন, শর্ত মানলে আমরা আরেকটি ঢাকা অবরোধের ডাক দিয়ে সরকারের পতনের আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। এ সময় জামায়াতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সারা দেশে বিএনপির খুঁড়িয়ে চলা অবস্থা তুলে ধরেন। এখনই আসন ভাগাভাগি নিয়ে জামায়াতের গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মপরিষদের এক সদস্য জানান, দলের সর্বোচ্চ ফোরাম নির্বাহী পরিষদের ২০ জনের ছয়জন কারাগারে। বাকিদের মধ্যে ১২ জন একাধিক মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের জন্য নেতারা তাদের আসনে নির্বাচনে নিশ্চিত না হলে তাদের সরকার পতনের আন্দোলনে আনা যাবে না। জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা জানান, আমরা জীবন দিয়ে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হলেও ফল ভোগ করবে বিএনপি। নির্বাচনের সময় জোটগতভাবে ১৫ থেকে ২০টি আসনের বেশি ছাড় দেবে না। তাই আসনের বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলনে নামতে পারি না। তাছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে বিএনপিকে পাশে না পাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ জামায়াত নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, একের পর এক রায় হচ্ছে কিন্তু বিএনপি এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিচ্ছে না। তাই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ দলের হরতালে জামায়াত মাঠে নামেনি। নেতাকর্মীরা বলছেন, জোটে থাকা না থাকা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করা, দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে রক্ষা একমাত্র টার্গেট। রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে বড় ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত তারা। বিএনপি ১০০ আসনের নিশ্চয়তা দিলে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন, নইলে সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে যত ধরনের ছাড় দেওয়া দরকার জামায়াত সবই করবে।
©somewhere in net ltd.