![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশের জেএমবি সদস্য জড়িত থাকায় আবারো তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশ-বিদেশে। ঐ ঘটনায় তদন্তে নামে বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও তদন্ত চালিয়ে নানাবিধ তথ্য উদ্ঘাটন করে। সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে জেএমবি ও হুজির বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে হিটলিস্ট উদ্ধার নিয়ে চলে আলোচনা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক দলের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এসব তথ্য পেয়ে আতঙ্ক দেখা দেয় খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে। জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানের মধ্যেই হঠাৎ কেন জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এর কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সদস্যরা তথ্য পেয়েছেন, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা ও ১৭ জন প্রবাসী ব্যবসায়ীর ইন্ধনে বাংলাদেশে জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকি তারা অর্থ দিয়েও নানাভাবে সহায়তা করে আসছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থান ও কুমিল্লা অঞ্চলে জেএমবি ও হুজির ১০ নেতা দুটি গোপন বৈঠক করেছেন। এ জন্য বিদেশ থেকে আসছে অর্থ। উলফা ও ১৭ জন প্রবাসী নানাভাবে তাদের সহায়তা করছেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে তাদের কোন দুশ্চিন্তা নেই। সহায়তাকারী প্রবাসীরা দক্ষিণ আফ্রিকা, লন্ডন, মিসর, সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারতে অবস্থান করছেন। মাওলানা সায়েম মাহফুজের সঙ্গে উলফা নেতা দাউদ ইব্রাহিমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকে। তাঁদের নির্দেশনায় জেএমবিরা কাজ করছে। জেএমবি ও হুজিকে শক্তিশালী করতে যে ১৭ প্রবাসী অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন তাঁদের মধ্যে ১০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন লন্ডনপ্রবাসী মোস্তফা বিন ফয়সল, দক্ষিণ আফ্রিকার রাতুল বিশ্বাস, পাকিস্তানের জুবায়ের লস্কর, মাওলানা বাশার আহম্মেদ, ভারতের মাওলানা ইমরান হোসাইন, সৌদি আরবের সিকান্দার চৌধুরী, মিসরের দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা ওয়াত ল্যান্ডের গোলাম মোস্তফা ও খন্দকার মারুফ।
©somewhere in net ltd.