![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিরিক্ত মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারে বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ এবং কৃষির সকল ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও সমন্বিত পতঙ্গ ব্যবস্থাপনা চালু করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন। জৈবসার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটির উর্বরতা, মৎস্য ও মিঠাপানির উৎসসমূহ রক্ষায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল আধুনিক প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট তথ্যজ্ঞান প্রয়োগ করে পৈত্রিক খামারে শিক্ষিত যুবকরা আত্মকর্মসংস্থান খুঁজে নেবে এটি একটি গর্বের বিষয়। শেখ হাসিনা ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার বর্তমান মেয়াদের আগামী ৪ বছরে দারিদ্র্য ১০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে কোন সম্ভাব্য দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার কৃষি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এই লক্ষ্যে তাঁর সরকার সার, সেচ, জ্বালানী এবং কৃষি যন্ত্রপাতি জনগণের কাছে সহজলভ্য করাসহ কৃষি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি খাতে যে কোন সহায়তা করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থাগুলো অনাগ্রহী। তাদের অসম্মতির বিষয়টি বুঝতে পেরেই কৃষির বিষয়টিকে জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছে সরকার। শেখ হাসিনা বলেন, গত ছয় বছরে কৃষি খাতের উন্নয়নে ৪৩ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, উপরন্তু কৃষি যন্ত্রপাতির জন্য ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। কৃষকদের কৃষি সহায়তা কার্ড দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কোন জামানত দিতে না পারার কারণে সাধারণত বর্গাচাষীদের কোন ব্যাংক ঋণ দেয়া হতো না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই নিয়ম বাদ দিয়ে বর্গাচাষীদেরও খুবই স্বল্প সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সহায়তা শুধু ধানেরই নয়, বরং শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম, মাছ এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মিঠা পানির মাছ উৎপাদনকারী রাষ্ট্র বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
©somewhere in net ltd.