![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৪৭ সালে সেই যে পাকিস্তানী ভূত বাংলাদেশের জনগণের ঘাড়ে চেপেছিল, তা থেকে আজও আমরা মুক্তি পাইনি। নানাভাবে, নানাপথে, ঘুরেফিরে আজও হরেক কিসিমের ভেল্কিবাজির খেল দেখাচ্ছে আমাদের। এটা হরহামেশাই বড্ড জ্বালাতন করছে! মুক্তিযুদ্ধের আগের তেইশ বছর, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এবং স্বাধীনতার পরের প্রায় তেতাল্লিশ বছর ধরে চলছে এই ভানুমতির খেল। তবে সেই সময় নেতাদের যথাযথ দূরদৃষ্টির অভাবে বা আপোসকামী মনোভাবের খেসারত আমাদের আজও দিয়ে যেতে হচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। পাকিস্তান এখনও মনেপ্রাণে বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি। তারা এখনও বাংলাদেশকে দুর্বল করার নানাবিধ পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নতি করে পাকিস্তানের চেয়ে ভাল হোক, এটা পাকিস্তান কখনই চায় না। তাই বাংলাদেশের জনগণ যখন বেশ জোরেশোরে নারীশিক্ষাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নের অংশ করতে পেরেছে, তখন এটা পাকিস্তানীদের গাত্রদাহের অন্যতম কারণ। ইদানীং যুক্তরাষ্ট্র এক ডলারের বিনিময় মূল্য পাকিস্তানী রুপিতে প্রায় এক শ, আর বাংলাদেশী টাকায় তা সাতাত্তর। প্রায় পঁচিশ শতাংশ বেশি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এটা একটা বড় সূচক। বাংলাদেশ কিভাবে এতটা এগিয়ে গেল তা পাকিস্তানীদের কাছে এক বিরাট বিস্ময়। তারা কোনভাবেই এটাকে মেনে নিতে পারছে না। এমনকি তরুণ প্রজন্মের পাকিস্তানীরাও এটা মেনে নিতে পারছে না। আমাদের দেশের একটা বিশেষ মহল তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। এটা হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার মাস। এ মাসে শপথ নিতে হবে এই পাকিস্তানী ভূতকে আমাদের ঘাড় থেকে নামাতে হবে। যত দ্রুত আমরা এটা করতে পারব, ততই আমাদের মঙ্গল।
©somewhere in net ltd.