![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে যেভাবেই জিতুক না কেন, তারা বিজয়ী হলে গণতন্ত্র রক্ষা পায়। যদি জেতে আওয়ামী লীগ, তাহলে পরাজিত হয় গণতন্ত্র। দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম- ‘জিতল আওয়ামী লীগ, হারল গণতন্ত্র’; জামায়াতের মুখপত্র নয়া দিগন্তের শিরোনাম- ‘ভোট জালিয়াতির মহোৎসব : বিএনপির বর্জন’। শুধু তাই নয়, তাদের আরেকটি শিরোনাম- ‘বেপরোয়া জালিয়াতি’। দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালের কণ্ঠ এবং দৈনিক ভোরের কাগজের শিরোনামের সঙ্গে শুধু ওই ধরনের শিরোনামের মিল নেই। সংবাদপত্রের কাজ হচ্ছে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা, খুন-জখম ও জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করা। যেন এগুলো সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অন্তর্গত। বর্তমানে একটি সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে এই যে- সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সমালোচনা করা যাবে না। তারা কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়। তবে, হ্যাঁ, শেখ হাসিনা বা তাঁর সরকার সবার কাছে দায়বদ্ধ। খালেদা নয়। তাঁদের ঝোঁকও কিন্তু খালেদাকে সমর্থন। বেগম জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন কিন্তু আওয়ামী আমলে লাইসেন্স পাওয়া কোন সাংবাদিক বা সম্পাদক খালেদার সঙ্গে খোশগল্প করতে পারেননি। খালেদা জিয়া কোন পত্রিকা/টিভির সাংবাদিককে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেন না, মানুষ হিসেবেও গণ্য করেন না। কিন্তু শেখ হাসিনাকে তুলোধোনা করা ব্যক্তিবর্গ প্রায়ই দেখা যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে খোশগল্প করার সুযোগ শুধু নয় মঞ্চে বসারও অধিকার পান। অন্যদিকে, হেফাজত জামায়াত বিএনপি যখন ঢাকা দখলের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস, মানুষ হত্যা করে তার দৃশ্য কিন্তু এক সপ্তাহ কেন বার বারও দেখায়নি। বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের অনেক অনাকাক্সিক্ষত কর্মকা-কে তারা তুলে ধরেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ যে সমর্থন করে সেও তো এর পক্ষে, এই সত্য তাদের কাছে সত্য মনে হয়নি। আমাদের আপত্তি সেখানে।
©somewhere in net ltd.