![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাজারো রকমের কল-কারখানার ভিড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কায়েতপাড়ায় ঠাঁই করে নিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ডকইয়ার্ড। গ্রামের পথ চলতেই টুকটাক শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার উপক্রম। ডেমরা থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে উত্তরে এঁকেবেঁকে গেছে পিচঢালা সড়ক। সেই রাস্তা ধরে মাত্র ৩ কিলোমিটার এগোলেই সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় অসংখ্য ডকইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের অসংখ্য জাহাজ। কোনটি সবে তৈরি হচ্ছে, কোনটি সমাপ্তির পথে। যে কারোর চোখ ধাঁধিয়ে যাবে বড় বড় জাহাজের নির্মাণ যজ্ঞ দেখে। ইতিমধ্যেই শীতলক্ষ্যা পাড়ের এ চরটি এখন এলাকাবাসীর কাছে ‘জাহাজের চর’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হাজারো মানুষের পদচারণায় কায়েতপাড়া এখন এক কর্মমুখর জনপদ। কায়েতপাড়ার পূর্বগ্রাম, ভাওয়ালীয়াপাড়া, ডাক্তারখালী, বড়ালু, মাঝিনা, হড়িনা ও ইছাখালীর চরে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক জাহাজ তৈরির কারখানা। আড়াইশ ফুট থেকে শুরু করে শত ফুটের কোস্টার বা মালবাহী জাহাজ, সরোঙ্গা, ফেরি, জেটি, পন্টন, বালুবাহী ট্রলার, বলগেট আর ড্রেজার তৈরি হয় শীতলক্ষ্যার এই চরে। সব ধরনের সরকারী সহায়তায় রূপগঞ্জে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের জাহাজ। বাংলার জনগণ আশা করে উজ্জ্বল সম্বাবনাময় এই রুপগঞ্জ উন্নয়নমুখী বাংলাদেশের চাবিকাঠি।
©somewhere in net ltd.