![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক অর্জনের অধিকাংশই আর্থিক খাতে। বলা চলে উন্নত বিশ্বে যখন মন্দার পদধ্বনি, তখন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে উদাহরণ। তার স্বীকৃতিও মিলছে। এর পেছনের শক্তি কি? তার উত্তরও দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। বলেছেন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা, সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগ, এসব কিছুই ফল দিতে শুরু করেছে। এ কারণেই দেশের আর্থিক খাতের নির্দেশকগুলো যেমন প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ, রেমিটেন্স, মূল্যস্ফীতি, সঞ্চয়, মাথাপিছু আয়, রফতানি, বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে। ফলে দারিদ্র্য নিরসন, বৈষম্য হ্রাস, বিশ্ব অর্থনীতিতে সক্ষমতা অর্জনসহ সর্বশেষ স্বল্পোন্নত দেশের খোলস ছেড়ে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। ২১ সালের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মধ্য আয়ের দেশের হাতছানি। অর্থনৈতিক এ অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে রয়েছে নানা পরিকল্পনা। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখার পাশাপাশি মধ্য আয়ের পথে আরও এক ধাপ এগোনো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বাজেটে উন্নয়নের লক্ষ্য ও কৌশলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, উপযুক্ত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উন্নয়ন, গণদ্রব্য ও সেবার যোগান বৃদ্ধি, বিশ্ববাজারের সঙ্গে ক্রমান্বয়ে একীভূত হওয়া, উৎপাদন বিশেষায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন আর নিম্ন আয়ের দেশ নয়। এক ধাপ অগ্রগতি হয়ে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চলতি বছরের (২০১৫ সাল) সর্বশেষ প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১০ সালে ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। কমেছে অতি দারিদ্র্যও। এ হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশে, যা ২০১০ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে ধনী-গরিবের বৈষম্য পরিস্থিতির উন্নতির ক্ষেত্রে ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পেছনে আছে আরও চারটি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা, সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলেই এসব কিছুই অর্জনের পথে আমাদের সোনার বাংলা।
©somewhere in net ltd.