![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে ইফতার পার্টি রাজনীতির একটি অংশবিশেষে পরিণত হয়েছে। সব ছাপিয়ে বেগম জিয়া নিয়মিত নিজস্ব ও দলীয় উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন। বিদেশী কূটনীতিকরাও এই ইফতার আমন্ত্রণ থেকে বঞ্চিত হননি। এই ইফতার পার্টি চালু করেছিলেন বেগম জিয়ার স্বামী সামরিক জান্তা শাসক জিয়াউর রহমান। সরকারী দল, পুলিশ, সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিষোদগারই করাই হচ্ছে এই পার্টির উদ্দেশ্য। নামে ইফতার পার্টি, আসলে তা রাজনৈতিক সমাবেশ। হরতাল-অবরোধ নামক দিয়েও যখন বেগম জিয়ার লক্ষ্য হাসিল হয়নি, তখন তিনি নয়া নাশকতার পথ ধরবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর এই জঙ্গীদের একক নেত্রী যে তিনি, এটা নতুন করে আর বলার প্রয়োজন হয় না। জঙ্গীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যেসব সশস্ত্র চালিয়েছে, তা বিএনপি-জামায়াত নামক জোটের স্বার্থরক্ষার জন্যই। ২০ দলীয় জোটে এমন সংগঠনও রয়েছে যাদের সঙ্গে জঙ্গীদের সংযোগ রয়েছে। জামায়াত ও জঙ্গীদের নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি লাভ করার পর বেগম জিয়ার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলতে এখন আইএসআই, আল কায়েদা, জেএমবি, হুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। এসব নারকীয়তায় বিশ্বাসী সংগঠনগুলোই এখন তার ভরসা। তাই বিএনপিকে বাঁচতে হলে জামায়াতনির্ভরতা ছাড়তে হবে। বিশ্বের কাছে খালেদা আজ সন্ত্রাসের নেত্রী চিহ্নিত হয়ে আছেন। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খালেদা ও তারেককে বাদ দিয়ে বিএনপিকে পুনর্গঠন। আসলে নিজেকে মামলামুক্ত করা, পলাতক দুর্নীতিবাজ পুত্রকে দেশে ফিরিয়ে এনে দল ও ক্ষমতায় বসানো এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করাই বেগম জিয়ার ঈপ্সিত লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে তিনি জনগণকে সাথে পাবেন না, তার সবকিছুই নিষ্ফল হবে। কেননা বাঙালী চরিত্র আর যাই হোক জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা সবসময়ই।
©somewhere in net ltd.