![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যর্থতার পাল্লা ভারি হতে হতে এমন হয়েছে যে, বেগম জিয়া এখন খড়কুটো ধরে হলেও লটকে থাকতে চান। যেখানে নিজ দলে তার বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান নিয়েছে, সেখানে জামায়াত ও জঙ্গীদের ওপর তার নির্ভরশীলতা আরও বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গীদের গোপন আস্তানা রয়েছে। এসব আস্তানা এক একটি ছোটখাটো সেনাশিবির যেন। সাতক্ষীরায় সম্প্রতি বোমা ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ যে ১৬ জন জামায়াত নেতা-কর্মীকে আটক করা হয় তারা বলেছে, নতুন করে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য তারা তৎপর হয়েছে। সে নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল। আর বৈঠককালে তারা ধরা পড়ে। প্রকাশ্যে জামায়াতের কোন নেতা-কর্মী এখন মাঠে নেই। এরা গোপনে নানারকম প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেইসঙ্গে ছদ্মবেশ ধারণ করে কেউ ব্যবসায়ী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী, কেউ শিক্ষকতা, কেউবা সমাজসেবকের বেশ ধারণ করেছেন। তারা ইন্টারনেটে সংযোগ রক্ষা করেন দলের উর্ধতনদের সঙ্গে। খালেদার গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচী সফল করার জন্য জামায়াত ও জঙ্গীরা এখন সশস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বোমা তৈরি যেমন করছে, তেমনি আল কায়েদা ও আইএসের সঙ্গে সংযোগ সাধনও করছে। যারা দেশজুড়ে নতুন করে নাশকতা চালাবে। পেট্রোলবোমা হামলার বিচারের গতি শ্লথ হওয়ার কারণে যেমন খালেদা-জামায়াত, তেমনি জঙ্গীরা সাহসী হয়ে উঠছে। ফৌজদারি আদালত আর বিচার যে তাদের কিছুই করতে পারবে না সেটা তারা বোঝে। আর সরকারের মধ্যেও যে জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে, এমন প্রভাবশালীর সংখ্যাও কম নয়। তাই সারাদেশে জামায়াত জঙ্গীরা অবস্থান করলেও তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা সরব নয়। কেবল শেখ হাসিনাই জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে একা লড়ছেন। আর এই লড়াই তিনি করছেন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। এক্ষেত্রে দল অনেক পেছনে পড়ে আছে। বাংলাদেশের জনগণ অবরোধ নামক মানুষ হত্যা কর্মসূচীর পর এবার গণঅভ্যুত্থান নামক আরও পাশবিক কর্মসূচীর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, যা জঙ্গীবাদের উত্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষকে সঙ্গে না পেলেও তাদের কিছু আসে যায় না। তবে বাঙালী চরিত্র আর যাই হোক জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা সবসময়ই।
(শেষ)
©somewhere in net ltd.