নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনও ফিরে এলো না সে

আগাগোড়া ভদ্র ছেলে। অন্যায় কর্মকাণ্ড একদমই পছন্দ করি না। সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখি

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি

আগাগোড়া ভদ্র ছেলে। অন্যায় কর্মকাণ্ড একদমই পছন্দ করি না। সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখি।

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এভাবে একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে মেধাবীরা যাবে কোথায়? :( :((

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪২

অগ্রণী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানও এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। আজ শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় মুঠোফোনে উত্তর সরবরাহের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে তিনি এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছেন। তার হাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের যে কাগজটি এসেছিল সেটির সঙ্গে প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকেই পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে।’ পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হুট করেই পরীক্ষা বাতিল করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করাও জরুরি। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সকাল নয়টা থেকেই হাতে লেখা প্রশ্নপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে পাওয়া যাচ্ছিল। ১১টার দিকে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হলের ফটোকপির দোকানে পৌঁছে যায়।

ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে দেখা যায়, সেখানে ৭৫টি প্রশ্ন ও উত্তর রয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি প্রশ্নই ধারাক্রমসহ মূল প্রশ্নে রয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের পরীক্ষার্থীরাও জড়ো হন। তাঁরা বন্ধু ও পরিচিতদের কাছ থেকে প্রশ্ন নিয়ে এক ঘণ্টা পড়ে পরীক্ষা দিতে যান। অনেকেই মুঠোফোনে আত্মীয় ও পরিচিতদের প্রশ্ন জানিয়ে দেন।

আফজালুর রহমান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, সবার হাতে হাতে প্রশ্ন দেখে তিনি ভেবেছিলেন এটি ভুয়া প্রশ্ন। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দেখেন হাতে লেখা প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর অনেক পরীক্ষার্থীই হল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে যান।

এদিকে কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় মুঠোফোনে উত্তর সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মো. নাহিদ হুসাইন নামের এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ইডেন মহিলা কলেজের পাঠাগার ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাঁর পরীক্ষার আসন ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই দুজন নারী এসে পরীক্ষা পরিদর্শকের সঙ্গে কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর ওই পরীক্ষার্থীরা মুঠোফোনে উত্তর নিয়ে পরীক্ষা দেন। পরিদর্শককে এ বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। এরপর পরীক্ষা না দিয়েই তিনি বেরিয়ে আসেন।

একই অভিযোগ করেন মো. বাদল হোসেন নামের আরেক পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, তিতুমীর কলেজের ৩১৫ নম্বর কক্ষে তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের পরিচিতজনকে একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা করেন। এরপর তাঁদের প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করেন। নারী পরীক্ষার্থীদের হলে উত্ত্যক্ত করা হয়। এ অবস্থায় অনেক পরীক্ষার্থীই পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে আসেন।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার প্রশ্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগকে। ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তবে প্রবেশপত্র নিয়েছেন ৪২ হাজার জন।

বিভাগের শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এ রকম অভিযোগ তাঁরাও পেয়েছেন।



প্রথম আলো

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি বলেছেন: আমি দেশের ভবিষ্যত নিয়ে মারাত্মক উদ্বিগ্ব। এই দেশকে হয়তো আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। মগজে যদি পচন ধরে তাহলে সেটাকে আর সারানো মুশকিল।

২| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

অজগর বলেছেন: Retake the exam..

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি বলেছেন: এটা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৭

মুগ্ধ মাহি বলেছেন: এক কাজ করলেই তো হয় , অযথা লোক দেখানো পরীক্ষা না নিয়ে টেন্ডার আহব্বান করে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সিস্টেম করা হোক।

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৪

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি বলেছেন: একদম কারেক্ট বলেছেন। এইভাবে গরীব মানুষদের টাকা মেরে খাওয়ার অর্থ কি?

৪| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

গুনপোকা বলেছেন: No more exam under this Govt will be fair and credible

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি বলেছেন: কুত্তালীগ আর হিজরা দল যতদিন থাকবে ততদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হতেই থাকবে।

৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৭

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাসঁ হয়ই মেধাবীদের বাতিলের খাতায় ফেলার জন্য, কারণ বাংলাদেশে এখন কোন মেধার দরকার নাই। শামীম ওসমান বা নাসিরউদ্দিন পিন্টুর মত সন্ত্রাসীরা যখন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত হয়, তখনই বুঝে নিতে হয়, আমাদের রানৈতিক নেতৃবৃন্দ আসলে কি চায়: তারা মেধা চায় না, তারা চায় পেশী শক্তি দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণ। ১/১১ নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছি, ১/১১ কেন আসল? কেন দেশের শীর্ষ দুটিদলের কিছু সংখ্যক নেতারা ১/১১-কে সর্মথন দিল? ড: কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, তরিকুল ইসলামের মত পরীক্ষিত লোকরা দলে কেন দলে উপেক্ষিত? হাসিনা-খালেদার মত মেধাহীন দুটি মহিলা মেধার মূল্যায়ন দিতে জানে না বলেই রাজনীতিতে পেশী শক্তির আর্বিভাব। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.