![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকাল থেকেই জামাল বেশ দুশ্চিন্তায় আছে। এ দুশ্চিন্তা কাটবে আমীর মাল নিয়ে তা ফেন্সি কুইনদের হাতে হাতে পৌঁছে যাবার পর। সে ব্যাংক থেকে হিসেব মতো টাকা উত্তোলন করার পর যেন একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তখন রাত নয়টা বাজে জামাল টাকাগুলো তার ড্রয়ার থেকে বের করে একটা ব্রিফ কেস এ ঢুকাল তারপর কলিং বেল-এ টিপ দিতেই জাকির তার চেম্বারে ঢুকল।
জামাল বলল, আমীরকে ডাক দাও তো।
আমীর তার চেম্বারে ঢুকল, ভাইজান।
আমীর গালপোড়া সেলিমের মোবাইলে রিং কর তো, রিসিভ করলে আমাকে দিও।
আমীর গালপোড়া সেলিমের মোবাইলে রিং করল।
অপর পাশ থেকে সেলিমের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, আমীর ভাই বলুন।
সেলিম আমি আমীর না, জামাল।
জি বস বলুন।
তুমি এখনি আমার চেম্বারে চলে এসো, একটা অপারেশন আছে সঙ্গে তোমার বিশ্বস্ত কয়েকজন ক্যাডার নিয়ে এসো।
জি বস ।
আমীর তুমি বাইরে বস, গালপোড়া সেলিম এলে আমার কাছে নিয়ে এসো, মাইক্রো বাস নিয়ে দুলালকে রেডি থাকতে বল।
জি ভাইজান।
জামাল অভ্যাসবশত: দু’চোখ বন্ধ করে চেয়ারে বসে রইল। গালপোড়া সেলিম আর আমীর তার চেম্বারে ঢুকল তখন রাত দশটা বাজতে দশ মিনিট বাকী।
রুমে ঢুকে গালপোড়া সেলিম বলল, বস হঠাৎ কী মনে করে?
হ্যাঁ বলছি, আমীর এই ব্রিফকেসে টাকা আছে, মাইক্রো বাসে এই ব্রিফকেস নিয়ে যাও। সেলিমের মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে কোথায় কার কাছে পৌঁছে দিতে হবে সেটা ওরাই তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলবে, তুমি ব্রিফকেস দিয়ে মাল নিয়ে আসবে, একবার ঘড়ির দিকে তাকাও।
ভাইজান এখন দশটা বাজে।
তোমরা রওয়ানা দাও। তোমরা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি মোবাইলে তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব, বলে জামাল সেলিমের মোবাইলে মিস কল দিল।
সেলিম কলটা রিসিভ করার জন্য মোবাইল বের করতেই জামাল বলল, আমি মিস কল দিয়েছি এই নাম্বারটা সেভ করে রাখো, তোমরা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি এই নাম্বারে আছি।
জি বস, বলে সেলিম এবং আমীর বেরিয়ে গেল।
দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে।
আমীর এবং সেলিম কেউ-ই জানেনা এই হাইওয়ে দিয়ে তাদের কোথায় যেতে হবে? চলল প্রায় আধ ঘণ্টা সেলিম আমীরকে বলল, আমীর ভাই দেখুন তো এটা কোন ধরণের কাজ? কোথায় যাবো বস বলবে না। শুধু বলে দিল তোমরা যাও, এখন আমরা কোথায় যাই?
আমীর একবার পিছনের দিকে তাকিয়ে বলল, সেলিম ভাই দেখুন তো আমার মনে হচ্ছে পিছনের টা শুরু থেকে আমাদের ফলো করছে।
সেলিম কিছুটা বিরক্তির সুরে বলল, আমরাই জানি না আমরা কোথায় যাচ্ছি আর কোন আবার আমাদের ফলো করবে? দুলাল টা একটু স্লো কর তো।
দুলাল টা স্লো করল। একটা মাইক্রো বাস তাদের ওভারটেক করে চলে গেল। সেলিম টার দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করল, তার মনে হলো বর-কনে পাশাপাশি বসে যাচ্ছে, তে আরো দু’জন মেয়ে এবং কয়েকজন পুরুষ।
সেলিম বলল, আমীর ভাই ভয় নাই, বিয়ের ।
আবার আগের মতো গতিতে চলতে লাগল। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার মাইক্রো বাসটাকে ওভারটেক করল। আমীর যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
সেলিমের মোবাইলর রিং বেজে উঠল। সে রিসিভ করে বলল, হ্যালো।
অপর পাশ থেকে অপরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, আপনারা কি ঠিক দশটায় রওয়ানা দিয়েছেন?
জি।
কত কিলোমিটার স্পীডে চলছে?
সেলিম র মিটারের দিকে তাকিয়ে বলল, ষাট কিলোমিটার।
আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে মিট করব, আপনি ড্রাইভারকে ডান পাশের ইনডিকেটর অন রাখতে বলুন, আমাদের র ডান পাশের ইনডিকেটর অন থাকবে আমাদের দেখলেই আপনারা দাঁড় করাবেন।
জি বুঝতে পারছি।
সেলিম মোবাইল রেখে দুলালকে বলল, দুলাল ধীরে চালাও, ডান দিকের ইনডিকেটর জ্বালিয়ে দিয়ে চালাতে থাক, আর খেয়াল রাখ ডানদিকের ইনডিকেটর জ্বালানো দেখলেই দাঁড় করাবে।
দুলাল ধীর গতিতে চালাতে থাকল।
কয়েক মিনিট চলার পর ডানদিকের ইনডিকেটর চালু অবস্থায় একটা দেখতে পেয়ে দুলাল বলল, ভাইজান এই ?
সেলিমের মোবাইলের রিং আবার বেজে উঠল, সেলিম মোবাইল রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, হ্যাঁ আমি আপনাদের দেখতে পাচ্ছি, ডানে সাইট করে দাঁড়ান।
সেলিম বলল, দুলাল সাইট করে থামাও।
দুলাল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে অপর পাশ থেকে একটা এসে দাঁড়াল। থেকে একটা লোক ব্রিফকেস নিয়ে নামল। আমীর থেকে ব্রিফকেস নিয়ে নেমে দুঞ্চজনে পরস্পরের ব্রিফকেস বদল করল, এমন সময় পিছন থেকে মাইক্রো বাসটা এসে দাঁড়াল।
সেলিম তাড়াতাড়ি তে উঠে বলল, দুলাল চালাও।
দুলাল বলল, আমীর ভাই?
সময় নাই, দেরি করলে আমরাও ধরা পড়ব।
সেলিম মুহূর্তের মধ্যে জামালকে মোবাইল করে ঘটনা জানিয়ে বলল, বস আমীর ভাই তে উঠতে পারেনি, আমি এখন কী করব?
অপর পাশ থেকে জামালের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, আমীরকে ট্রান্সফার করে দাও আর পুলিশের র চাকায় গুলি করে তুমি গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাও।
জামালের নির্দেশ মতো সেলিম আমীরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড এবং পুলিশের মাইক্রো বাসের চাকায় কয়েক রাউন্ড গুলি করে সেলিম আর দুলাল পালিয়ে গেল।
জামাল ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ল। আমীর মরেছে তো? আমীর বেঁচে থাকলে তো আমার ব্যবসার সমস্ত কিছু প্রকাশ হয়ে পড়বে, আবার আমীর যদি মরেই যায় তবে আমি কী করব? উঃ আমি এখন কী করব? মিঃ টি.আর খানের মোবাইলে একবার রিং দিল। না মোবাইল বন্ধ। উঃ শালা আমাকে যে একটা মোবাইল নাম্বার দিবে তাও করবে না, প্রয়োজন হলে তারাই যোগাযোগ করবে, আমার যোগাযোগ করার প্রয়োজন হলে আমি কীভাবে যোগাযোগ করব?
জামাল তার চেম্বারের মধ্যে দুশ্চিন্তায় ছটফট করছিল। এমনসময় জামালের মোবাইলের রিং বেজে উঠল, জামাল মোবাইল রিসিভ করে বলল, হ্যালো বস।
জামাল আমার নিরাপদে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তোমার একজন লোক গুলিতে মারা গেছে। তবে হেরোইনের ব্রিফকেসটা পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে।
বস এখন কী হবে?
ডন্ট ওরি ইয়াং ম্যান, ব্যবসায় রিস্ক থাকবেই, বিষয়টা আমরা দেখছি, তুমি কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় এসো।
বস আপনার টাকা আপনি পেয়েছেন, আমার এক কোটি টাকার হেরোইন যে খোয়া গেল তার কী হবে?
কে বলে শুধু তোমার হেরোইন খোয়া গেছে?
তারমানে?
তোমাকে আমি বলছি না, আমরা দেখছি। আর তোমার কিছু ভাববার নাই। সব ঝামেলা কাটিয়ে উঠলে তুমি ঢাকায় এসো এর মধ্যে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর বেশি ভয় পেলে ঢাকায় চলে আসুন।
জি বস, আমি ভেবে দেখি কী করা যায়?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
ঘর জামাই বলেছেন: লজ্জায় পড়লাম । ধরা খাইলাম নাকি ?
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: পর্ব না হলে খবর আছে রে ভাই। স্টার্টিং টা তো সেরাম
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
ঘর জামাই বলেছেন: লজ্জায় পড়লাম । ধরা খাইলাম নাকি ?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৬
মাক্স বলেছেন: পর্ব হবে??