নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজারবাগী পীরের সঙ্গে কেন দ্বন্দ্বে জড়ালো আওয়ামী লীগ?

২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

ঢাকার রাজারবাগে ‌'সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ' এর নামে ভন্ডামি করে অর্থ উপার্জন আর মামলাবাজির মাধ্যমে নিরীহ মানুষের জমিজমা হাতিয়ে নিলেও নিশ্চুপ ছিল সরকার। বরং হেফাজতে ইসলাম সহ সরকার বিরোধী ইসলামী দলগুলোকে দমনে রাজারবাগী মুরিদদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতশত মামলার আসামি হলেও তদন্তের নামে টালবাহানা করে সরকারি গোলন্দাজ বাহিনী পুলিশ। কিন্তু মসনদের শেষবেলায় রাজারবাগীর বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসেছে সরকার! এক ভন্ডপীরের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারি পোষা পুলিশ ও মিডিয়া সন্ত্রাস! কিন্তু কেন?

১৯৯৮ সালের দিকে প্রকৌশলী বাবার মৃত্যুর পর রাজারবাগের বাড়িতে আস্তানা গড়ে নিজেকে পীর দাবি করে মুরিদের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন ভন্ড দিল্লুর রহমান। মুরিদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পত্তি নজরে এলে সেসব দখলের জন্য গড়ে তোলেন ‘মামলাবাজ সিন্ডিকেট’। পুলিশের সহায়তায় সারাদেশে ৮০০ ভুয়া মামলা করেছে। নানা ধরণের ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে জোরপূর্বক দলিল নেয়া বা জবরদখল করা হয় জমিজমা। দখলী জমিতে সারাদেশে ৭৩টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যেগুলো নানা ধরণের অপকর্মে ব্যবহার করা হয়। সেসব পুরনো কাহিনী।

সমস্যাটা হলো গত ২ বছর ধরে হিন্দু ধর্মের ব্যক্তিবর্গের নামে দেশের কয়েকটি জেলার নাম পরিবর্তনে স্বোচ্চার এই রাজারবাগী। জলসা/ওরশ ছাড়াও তার মালিকানাধীন ‘দৈনিক আল ইহসান’ ও ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত' নামে দুটি পত্রিকা ও অনলাইন ভার্সনে এ নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এতে গোপালগঞ্জের নাম গোলাপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের নাম নূরানীগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও-এর নাম নূরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম আমানবাড়িয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা শহরের হিন্দু ধর্মীয় নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন তিনি। এতেই তেলেবেগুনে সরকারের সঙ্গে।

কারণ গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অস্তিত্ব প্রতিবেশি দেশ ভারত। ভারতীয় সরকার ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা'র নোটে বাংলাদেশের সংসদ, পুলিশ, প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী দেয়া হচ্ছে হিন্দুদের মধ্যে ভারতে যারা যোগাযোগ করছেন তাদের।
ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি সহ গোয়েন্দাসংস্থাগুলো এগুলো মনিটরিং করছে এবং নিয়মিত ভারতকে তথ্য প্রদাণসহ যোগাযোগ রাখছেন। তাদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা। যে কারনে রাজারবাগীর হিন্দু বিরোধী প্রচারণা ভারত এবং তাদের আওয়ামী বন্ধু ভাল চোখে দেখছে না। এতে গত ২ বছর ধরে রাজারবাগী এই ভন্ডপীরের জমিদখলের তদন্ত নিয়ে উঠপড়ে লেগেছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের হাতে গড়ে নাট্যকার সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এখন রাজারবাগে জঙ্গির গন্ধ পাচ্ছে। তারা বলছে, রাজারবাগীর মাধ্যমে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাদের সাথে প্রচারণার কারণে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে কেউ কেউ লোন উলফ ( জঙ্গিদের একক হামলার কৌশল) হামলা করতে পারে।
সরকার ও পুলিশ বাহিনীর প্ররোচণায় সম্প্রতি আরটিভিতে একটি প্রতিবেদন করা হয়। এর আগে একযোগে রাজারবাগীর বিরুদ্ধে নিউজ করে সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকেরা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাজারবাগী পীর সহ দেশের সমস্ত পীর ভন্ড।
এদের আবাস গুলো ভেঙ্গে ফেলা দরকার। এরা জাতির জন্য ক্ষতিকর। অথচ হাসিনা শুধু উন্নয়নের জিকির তুলছেন। তলে তলে এইসব পীর পুরো জাতির ক্ষতি করছে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: যেভাবেই যে কারনেই ব্যাবস্থা নিক কিন্তু এইসব ভন্ডদের উৎখাত করা একান্ত জরুরী।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

দারাশিকো বলেছেন: রাজারবাগীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য যে সব যুক্তি দেখিয়েছেন সেগুলো খুব দুর্বল। অন্য কোন ঘটনা আছে।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের উপর আলো ফেলেছেন, যা মূলধারার কোন সংবাদে আসেনি। কেবল রাজারবাগী নয় - আওয়ামী লীগ সব ধরণের ভন্ড পীর, মাজার ব্যসসায়ী এবং ফেতনা সৃষ্টিকারী গ্রুপ ও দলগুলোকে এতদিন আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। বিনিময়ে তারাও মূল ধারার ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে তাদের আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে বিষোদ্গার করে এসেছে। কিন্তু তেল বেশি বেড়ে গেলে যা হয় আর কি!

আওয়ামী লীগ আর রাজারবাগী মুখোমুখী - এটা আমাদের জন্য একটা স্বস্তির খবর। কিন্তু এই স্বস্তি বেশিদিন টিকবে বলে মনে হয়না। আমেরিকা যখন ঘোষণা দিল যে আইসিসের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিবে - তখনও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম এই ভেবে যে আইসিস সম্পর্কে যেসব কান কথা শুনি, সেগুলো বোধ হয় সত্যি নয়। কিন্তু যখন দেখলাম যে সেটা কেবল মুখের কথা ছিল, তখন আর সেই কান কথা বিশ্বাস করা ছাড়া আর উপায় ছিলনা। প্রকৃত ইসলাম ও মুসলিমের জন্য ক্ষতিকর - এরকম কোন গ্রুপের বিরুদ্ধে আমেরিকা বা আওয়ামী লীগ কোন ব্যবস্থা সত্যিই নেবে - এটা এখন আর আশা করিনা।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

জগতারন বলেছেন:
বাংলাদেশে এতো এতো পীর (!)
এই সমস্ত পীর দিয়ে কি করে ?
এদের দিয়ে দেশের মানুষদের বা দেশের কোন উপকারে আসে (?)

বাংলাদেশের সকল পীরালী ব্যাবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
এ সমস্ত পীরদের খায়া-দায়া কোন কামকাজ নাই,
খালি নিন্দা, গিবত, বিদ্বেষ, এবং হিংসা ছড়ায়।
যা ইসলামের গ্রহিত ও বর্জনীয় কাজ।
এই সমস্ত ওয়াজি'রা যা করে তাতে মানুষের, দেশের, ও
অ-উপোকারই হয়।

বাংলাদেশের মতো এতো এতো পীর আর কোন দেশে দেখা যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.