আমাদের এখন কী করা উচতি?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৯

পলাশী যুদ্ধে পরাজয়ের পর থেকে বারবার এদেশের কতিপয় সুযোগ সন্ধানী দল বা গোষ্ঠী বিদেশীদের সহায়তায় আমাদের দেশের সরলপ্রাণ জনগণকে প্রতারিত করে আসছে। এমনি এক প্রতারনার নাম ২০১৩ এর ’প্রজন্ম চত্ত্বর - শাহবাগ আন্দোলন’। এর পেছনে থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছে এবং যারা প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছে তারা কোন কালেই আমাদের দেশের বা জাতির বা ইসলাম ধর্মের মঙ্গল চায়নি। বৃটিশ আমল থেকেই ওরা পদে পদে আমাদের ক্ষতি করেছে এবং ক্ষতি করতে চেয়েছে। এবারও নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ওরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে সুকৌশলে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে এ দেশীয় কিছু বামপন্থী নাস্তিক, বিধর্মী ও বেঈমান দালাল তাদের সাথে যোগ দিয়েছে।



আমাদের দেশের কোমলমতি সরলপ্রাণ কিশোরদের শাহবাগ চত্ত্বরে জড়ো করা হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসীর দাবীতে। যখন বিচার কাজ চলছে এবং বিচারের রায়ও ঘোষণা করা হচ্ছে তখন এ বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য দেশীয় কতিপয় নাস্তিক, উশৃঙ্খল ও নেশাগ্রস্থ বেঈমান উঠে পড়ে লেগেছে। এ দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং তারা চায় সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক, এমন কি শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের শ্বশুর রাজাকার মোশারফসহ বিএনপি-আওয়ামী লীগে লুকিয়ে থাকা অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক। অথচ এ বিচারকে ভন্ডুল করার জন্য চক্রান্ত চলছে। এক সময় কার ছাত্র শিবির কর্মী ইমরান এইচ সরকার আওয়ামী ছদ্বাবরনে এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার সাথে ছিল থাবাবাবা নামে এক ব্লগার লেখক বিধর্মী, নাস্তিক রাজীব হায়দার। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন, আমীন। ইমরান এইচ সরকারের সাথে আছে বামপন্থীরা (যারা ধর্মকে আফিমের সাথে তূলনা করে)।



জামায়াতীদের বিরুদ্ধাচরন করতে গিয়ে এই বেঈমান গোষ্ঠী আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আমাদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চরিত্র হনন করেছে। আমাদের ধর্মীয় আচার ব্যবস্থাকে ব্যাঙ্গ করেছে। আমাদের দেশের ১৫ কোটি মানুষ এতে বিক্ষুব্ধ। অথচ পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্লগার লেখক বিধর্মী, নাস্তিক রাজীব হায়দারকে প্রথম শহীদ (নাউজু বিল্লাহ মিন জালিক) আখ্যা দিয়েছেন। যদি শহীদ কথার মর্মার্থ শেখ হাসিনা জানতো, যদি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ন্যুনতম ধারনা তার থাকতো তবে সে এ কথা কিছুতেই বলতে পারতো না। আল্লাহ যেন শেখ হাসিনাকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার ও বুঝার সুযোগ করে দেন। বিধর্মী ও নাস্তিকরা কোনদিনই শহীদের মর্যাদা পায় না এবং পেতে পারে না। রাজীব হায়দারের জানাজা যিনি পড়িয়েছেন আর যারা এ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেছেন, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন এবং হেদায়েত নসীব করুন।



এবার আমি দেশের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলছি, তোমরা কোনভাবেই বিভ্রান্ত হবে না, আবেগের বশবর্তি হয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করার চক্রান্তে শামিল হবে না। উজ্জল ভবিষ্যত তোমাদের সামনে। মানুষের মত মানুষ হও। তোমরা দেশের ভবিষ্যত নাগরিক এবং এ দেশকে ভবিষ্যতে সামনের দিকে নিয়ে যেতে তোমাদেরই হাল ধরতে হবে। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পর সুদীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর কেটে গেলেও আমরা এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি। মৌলিক পাঁচটির একটিও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। আজ অবধি যারা বা যে সমস্ত দল বিভিন্ন শ্লোগানভিত্তিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের মঙ্গল চায়নি বলে দেশ ও জাতির মঙ্গল সাধিত হয়নি। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি ছাড়া আর কোন কিছুই করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ওরা এবং ওদের তাবেদাররা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের - এদেশের মানুষের! এ দেশের শাসন ক্ষমতায় যখন যারাই এসেছে তখন তারাই দেশকে শোষণ করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংশ করেছে।



আর কতকাল এভাবে চলবে? আর কত মার বুক খালি হবে? আর কত সহ্য করবো? এবার প্রতিশোধ নয়, প্রতিরোধের পালা। আমাদের বোধোদয়ের সময়। আমরা আর ভুল করবো না। নাস্তিক-বিধর্মী, আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্য কোন সন্ত্রাসী-নির্ভর রাজনৈতিক দল বা বেঈমানদের ফাঁদে পা দেবো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।

০ টি +০/-০