![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কক্সবাজারে বাড়তি পর্যটকের ভীড় - রহিংগা ইসু এড়াতে অনেকেই এখন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার প্লান করছেন।
তুলনামুলক কম ভীড় , নৌপথে (লঞ্চে) আরামদায়ক ও উপভোগ্য ভ্রমন - একসাথে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত দেখা - সমুদ্রে মিঠা পানি - ঝাউ বন, লাল কাকড়া, সুন্দর বনের পুর্বাপাশ , ফাতরার বন , বৌদ্ব মন্দির সহ ১৪ টি স্পট দেখা যায় -
চলুন ঘুরে আসি কুয়াকাটা
৫ টাকায় টার্মিনাল টিকেট কেটে ঢুকে পড়ুন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে
সদরঘাট থেকে (বিকেল ৫ টায়) আমতলির লঞ্চে উঠে পড়েন (৩৬০ টাকা টিকিট - ডাবল কেবিন ২০০০ টাকা) - (বরিশাল - বিকেল ৮টা বা পটুয়াখালি- ৬টার- লঞ্চেও যেতে পারেন - তবে রাস্তা খারাপ তাই সড়ক পথ যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায় ) - ছুটির দিন ছাড়া গেলে অগ্রিম টিকেট করতে হবেনা আশাকরি।
আমতলি পৌঁছে যাবেন পরদিন ভোর ৬/৭ টায়। সকাল বেলা পায়রা নদীর দৃশ্য মিস করবেননা - লঞ্চ ঘাট থেকে রিক্সা(৩০ টাকা) নিয়ে চলে আসুন আমতলি চৌরাস্তা, আমতলি চৌরাস্তা থেকে কুয়াকাটার বাস পাবেন সকাল ৮টা বা টেম্পু ( মাহিন্দ্রা) সকাল ৫টায় কলাপাড়া - কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা টেম্পু ( মাহিন্দ্রা) পাবেন। এছাড়া আমতলি চৌরাস্তা থেকে কুয়াকাটার মোটরসাইকেল (হেলিকাপ্টার) পাবেন।
গুগল থেকে হোটেলের কিন্টাক নম্বর পেয়ে যাবেন - ছুটির দিন ছাড়া গেলে আগে থেকে হোটেল বুক না করলেও চলবে - তবে ঝামেলা এড়াতে আগে হোটেল বুক করা থাকলে সরাসরি হোটলে গিয়ে ফ্রেস হয়ে খানিকটা রেস্ট নিয়ে নিতে পারেন।
লঞ্চে ডিনার খারাপ না, ইলিশ - মুরগি, স্পেসাল ডাল পাবেন। লঞ্চ থেকে নেমে সকালের নাস্তা করতে পারেন বা হোটেলে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে পারেন। বেশিরভাগ হোটেলে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট থাকে বা হোটেলের কাছেই রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন - ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকায় ডাবল রুম পাবেন।
৫০০-৭০০ টাকায় একজন গাইড নিয়ে নিবেন, প্রথমদিন গাইড নিজ বাইকে করে ১৪/১৫ টি স্পট ঘুরিয়ে দেখাবে - প্রতি বাইকে ২ জন করে।
প্রথম দিন ঘুরে দেখতে পারেন- মিসরি পাড়া বৌদ্ধ মন্দির, মিসরি পাড়া রাখাইন বাজার , ঝাউবন , ঝাউবন পর্যন্ত রাস্তাটি অসাধারণ ,, ঝাউবনে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন , জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ , ঝাউবন থেকে সমুদ্র সৈকত দিয়ে চলে আসুন তুলাতলি খাল - অসাধারন একটি পথ - খেয়া পেরুলেই লাল কাঁকড়ার চর , যেন এক লাল গালিচা বিছানো বাগান । লাল কাঁকড়ার চরে কিছুটা সময় কাটানোর পর সমুদ্র সৈকত ধরে চলে আসুন কুয়াকাটা মুল সৈকতের পাঁশে থাকা কুয়াকাটার কুয়া। সৈকতে পাওয়া হাজার বছর পুরাতন কাঠের জাহাজ , রাখাইন মহিলা মার্কেট , শুটকি পল্লী।এবার বিস্রাম - লাঞ্চ সেরে একটু রেস্ট।
গাইড কে বলেদিবেন ৪ঃ৩০/৫ টার দিকে চলে আসবে - সৈকত ধরে চলে আসুন লেবুরচর - সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। দেখবেন তিন নদীর মোহনা , সুন্দরবনের পূর্বাংশ এবং ফাতরার বন। সূর্যাস্ত দেখে কিছুটা সময় সৈকতে কাটাতে পারেন। সন্ধ্যার পরে লেবুরচরে বেশী দেরি করবেননা - জোয়ার এসেগেলে ফেরত আসার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাবে - তাছাড়া টুরিস্ট পুলিশের সাজেশন লেবুরচরে বেশিরাত পর্যন্ত না থাকা । কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ - 1769-690719
কুয়াকাটা মুল সৈকতে এসে গাইডকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে নিজের মত করে উপভোগ করুন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, চাঁদনী রাতে সমুদ্র দেখার আমেজ অন্যরকম (রাতে পানিতে না নামাই ভাল ) - রুমে ফেরার আগে বুক করেনিতে পারেন পরের দিনের জন্য ট্রলার (২২০ টাকা) গ্রুপ করে ঘুরিয়ে আনবে সৈকতের পাশদিয়ে সুন্দরবনের কিছু অংশ ফাতরার বন কয়েকটি খাল।
পরদিন খুব সকালে হেটে হেটে বা বাইক ভাড়া করে চলে আসুন লাল কাঁকড়ার চরে - যেখান থেকে সূর্যদয় দেখতে পাবেন - সমুদ্রে গোসল - ট্রলার ভ্রমণ - কেনাকাটা - সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিনটিকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারেন।
বাসে ঢাকায় ফিরতে পারেন - বাস ছাড়ে সন্ধ্যার পরে। এতে করে আপনি পুরা দুইদিন একরাত কুয়াকাটাতে কাটাতে পারবেন - লঞ্চে ফেরত আসতে চাইলে দুপুরের মধ্যে কুয়াকাটা ছাড়তে হবে - আমতলি থেকে লঞ্চ ছাড়বে বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিট
আপনার ভ্রমন সুন্দর হোক
পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষ্যা করুন ও বর্জ্যমুক্ত রাখুন
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ - 1769-690719
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
দুর্দান্ত কাফেলা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
সুমন কর বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম। পরে পড়ে নেবো। ধন্যবাদ এবং +।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা ছবি দুটিই ভাল লেগেছে।
আমি দেড় বছর আগে কুয়াকাটায় গিয়েছিলাম।
সুন্দর একটি জায়গা।