![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষিতার আওয়াজ শুনে কেউ কেউ অট্টহাসি দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে, কেউ কেউ ' আহারে' শব্দ উচ্চারণ করা পর্যন্তই নিজেদের দায়িত্বের পরিধি শেষ বলে মনে করে আর কেউবা দু' ফোঁটা অশ্রু ঝরায়।
কেউ হয়তো তার জ্ঞানে থাকা অক্ষরগুলো দিয়ে সেগুলোকে প্রকাশ করে আর কেউবা তা হৃদয়ঙ্গম করতে গিয়ে প্রতি মূহুর্তে শিউরে ওঠে।
আমিও থমকে যাই। কলম দিয়ে অক্ষর এঁকে মনের দুঃখ প্রকাশ করি কিন্ত তাতে কয়জনই বা বুঝে যে, " আমি ব্যথিত ? "
ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের পরিধি বড় করে যৌন সুখ নেয়া সেই ব্যক্তিও কিন্ত আমাদের সমাজ থেকেই এই শিক্ষাটা পেয়েছে। কারণ তার যদি এ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকতো তাহলে সে একাজ করবার কথা কখনো চিন্তাও করতো না। তার এই বিকৃত জ্ঞান চর্চার ফলাফল হলো " আরেকটি ব্যক্তির গায়ে সমাজ স্বীকৃত কলঙ্কের কালিমা লেপন করা।"
পূজার বাবা তাকে নিয়ে আত্নহত্যা করবার আগে হয়তো বাঁচতে চেয়েছিলো কিন্ত সমাজের প্রচলিত বিকৃত অঘোষিত প্রথা যে তাকে আর স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দেবেনা এটার বিভিন্ন উদাহরণ জেনেই হয়তো স্রষ্টার দরবারে সে চলে গিয়েছে। তাতে তার লাভ হয়েছে কিনা তা জানিনা তবে আমরা যে আমাদের মনকে আবারো আরেকটা ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ পরিণতির একটা শোক সংবাদ দিতে পেরেছি এটা শিউর।
ওহ হো, আমরা তো আবার সতীত্বের মর্যাদাকে এখন টাকার অংকে কাউন্ট করতেও শিখে গেছি। হুর রে.......
এই পূজার বাবাকেই যখন ১০০০ টাকায় আপস করবার ঘৃণ্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো তার জন্য কিন্ত প্রস্তাবদাতাকে বেশ্যামনের অধিকারী বললে একদমই ভুল হবে বলে মনে হয়না কারণ তার মেয়ের ইজ্জতের দাম তার কাছে সেই ১০০০ টাকার চেয়ে যে বেশি হবে না এটা সে তার রফাদফার কার্যপ্রক্রিয়া দিয়েই বুঝিয়ে দিতে পেরেছে ।
এই বিকৃত শিক্ষাটা কিন্ত সে তার কোন স্কুল মাষ্টারের কাছ থেকে শিখেনি বরং নিজেকে নিজে সমাজের আরো দশটা ঘটনা থেকে শিখতে বাধ্য করেছে।
বেশ্যা মন যে.......
--- --- --- ---
শবে বরাতে এরকম হাজারো ধর্ষক হয়তো তার ধর্ষণের কথা একদমই ভুলে যাবে বা সেটাকে ভুলে যেতে জোর চেষ্টা চালাবে এবং একনিষ্ঠ মনে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইবে কিন্ত ক্ষমাশীল আল্লাহ কি তাকে হক্কুল ইবাদ বা বান্দাহর হক নষ্ট করবার পরও সরাসরি ক্ষমা করে দেবেন বলে কি assure করা যায় ? কি মনে হয় আপনার ?
মুদ্রার ওপিঠের গল্পের অভিনয়শিল্পীরাও কিন্ত অনেক বাজে।
মিউচুয়াল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সকারীদেরকে কেন সূরা নূরের ২ নং আয়াত অনুযায়ী বিয়ে করিয়ে দেয়া যাবে না ? কি মনে হয় আপনার ?
তবে যেটা গোপন আছে, তা গোপন থাকাই ভালো।
এধরণের বিকৃত রুচিশীলদের উপমা কুকুরদের সাথে দেয়া যায়। কারণ তারা বারবার সঙ্গী পরিবর্তন করাকে পছন্দ করে ।
স্লীফলেস জামা পড়ে, ব্রাউন বা মেরুন কালারের চুলে, টাইট ফিট কাপড় - চোপড় পড়বার অধিকার হয়তো দেশীয় সংবিধান অনুযায়ী approved কিন্ত ফলশ্রুতিতে যদি ধর্ষণের ঘটনাকে তা উৎসাহিত করে বলে সাব্যস্ত করা হয় তাহলে তাকে disapproved disapproved বলে চেঁচিয়ে ওঠা ধ্বজাধারীদের সংখ্যা একেবারেই কম নেই আমাদের সমাজে।
তখন তো বলা হয়, ' আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবার ক্ষেত্রে সে কে?? "
হ্যাঁ, অবশ্যই যৌক্তিক প্রশ্ন তবে এটা পরিধান করবার উদ্দেশ্য যে ভিন্ন লিঙ্গধারীদেরকে আকর্ষিত করা নয় তা প্রমাণ করাটা অত্যাবশ্যক এবং এটাও আবশ্যক যে, পুরুষের ভিন্ন লিঙ্গধারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তার সতীত্বকে নষ্ট করতে একদমই আগ্রহী নয়।
কেবল তখনই এসব শারীরিক সম্পর্ককে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখা যায়, যখন পুরুষের আকর্ষণ সৃষ্টি করবার মতো বা পুরুষের নজর নিজের দিকে আনবার জন্য অবৈধ উপায়ে কোন জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়নি বলে প্রমান করা যাবে ( সবসময় নয় )।
যদি থাকে তাহলে বলবো যে,তাদের উপরও আয়াতের ( সূরা নূর, আয়াত - ২) প্রয়োগ করা হোক। তারপর না হয় ছেলের ত্বাকওয়ার বিষয়টা সামনে আনবো ।
মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে।
©somewhere in net ltd.