নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এবং আমি

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়

মাহমুদ ইমতিআজ

সবসময় সত্য জানতে আগ্রহী

মাহমুদ ইমতিআজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল যেকারনে !!

১১ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪২

১৯৭২ সালের যে কোন খবরের কাগজ খুললে দেখা যাবে প্রায় সব খবরই হচ্ছে খুন, রাহাজানি এবং ছিনতাই সংক্রান্ত।



১৯৭২ সালের যে কোন জাতীয় সংবাদপত্র খুললে প্রথমেই চোখে পড়বে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানী, আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির খবর। প্রতিদিন দেশের শহরগুলোতে ঘটছিল প্রকাশ্য খুন, ডাকাতি ও রাহাজানীর ঘটনা। গ্রামে-গঞ্জেও চলছিল ত্রাসের রাজত্ব। ক্রমবর্ধমান এ ত্রাসের নাগপাশে জনগণ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় কাল অতিবাহিত করছিল। যখন জনগণের পরনে কাপড় নেই তখনই ঘটেছিল সুতা নিয়ে কেলেংকারী। পেটে যখন ভাত নেই তখন লাখ লাখ টন বিদেশী সাহায্যে প্রাপ্ত খাদ্য নির্বিবাদে পাচাঁর হয়ে গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে।



মজলুম নেতা ভাসানী অবাধে চোরাচালানের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন। তিনি আওয়াজ তোলেন সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারনবাদের বিরুদ্ধে। জবাবে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চীন ও পাকিস্তানের দালাল, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহক প্রভৃতি বলে আখ্যায়িত করে। অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে ১৯৬৮-১৯৬৯ এর সাড়া জাগানো আন্দোলনকালে বরফের উপর আঘাত করেছিলেন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি তার নাম মাওলানা ভাসানী। মাওলানার সার্বজনীন আহ্‌বানের পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্ররা দিলেন ১১ দফা। তারই নির্দেশে ন্যাপ তার নিজস্ব ১৪ দফা বাদ দিয়ে ১১ দফাকেই তাদের দাবি হিসাবে গ্রহণ করে। ঊনসত্তোরের কারাবন্দী মুজিবর রহমানকে মুক্ত করার দুর্বার গণ আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন এই মাওলানা ভাসানীই। ১৬ই ফেব্রুয়ারী পল্টনের বিশাল জনসভায় তিনি বজ্রকন্ঠে হুশিঁয়ারী উচ্চারণ করেন, “প্রয়োজন হলে ফরাসী বিপ্লবের মত জেলখানা ভেঙ্গে মুজিবকে বের করে আনব।” তার মতো একজন অভিজ্ঞ প্রবীণ রাজনৈতিক উদারপন্থী নেতাকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা বলে গালাগালি দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি শাসক দল। এই গালাগাল পর্ব শুরু করেন তরুণ নেতারা। পরে প্রবীণরাও ক্রমে তাদের সাথে যোগদান করেন। মার্চের শুরু থেকেই খবর আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে- মানুষ মরছে অনাহারে, না খেয়ে। বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইলে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ অবস্থা। আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হতে থাকে স্থানে স্থানে। এ অবস্থায় ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্রও স্বীকার করেন যে, চোরাচালান হচ্ছে ব্যাপক হারে। তারা বলেন, “সীমান্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়ে গেলেই এই চোরাচালান বন্ধ হবে।” এ বক্তব্য দূতাবাস থেকে দেয়া হয় ২৩-৩-১৯৭২ তারিখে। দুর্নীতি ছড়িয়ে পরে দেশের সব জায়গায়, সর্বস্তরে।



১৯৭২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিব তার সংসদ সদস্যদের প্রতি এক নির্দেশ জারি করে বলেন, “চাকুরি, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতির জন্য কেউ সুপারিশ করবেন না। প্রশাসনকে চলতে দিন।” ১১ই মার্চ দৈনিক বাংলায় এক খবর বের হয় সিগারেটের পারমিট নিয়ে, “বাংলাদেশ ট্যোবাকো কোম্পানীর ২৫জন ডিষ্ট্রিবিউটর নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ তিন হাজার সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সুপারিশকারীরা প্রত্যেকেই এমন প্রভাবশালী যে, কোম্পানী কাকে ছেড়ে কাকে ডিলারশীপ দেবেন সে সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না।” ৬ই জুন চোরাচালানের স্বর্গ সিলেট থেকে দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি খবর পাঠান যে, গ্রেফতারকৃত চোরাচালানীরা প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন নেতাদের চাপে ছাড়া পাচ্ছে। একইভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য নেমে আসে সরকারের পারমিটবাজী নীতির সূচনায়। সুতার পারমিট যে পাচ্ছে তার তাঁত নেই, কেরসিনের পারমিট যে পেল সে কোন ডিলার নয়। পারমিট দেয়া হল অব্যবসায়ী রাজনৈতিক টাউটবাজদের খুশি করার জন্য। ফলে র্দুভোগ গিয়ে বর্তাল জনগণের উপর। পারমিট হাত বদল প্রথায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেল কয়েকগুন। কাপড়ের অভাবে মা-বোনেরা দিনের বেলায় ঘর থেকে বেরুতে পারতেন না। মেয়ে-মা একখানি কাপড় গোসল করে পালা বদলিয়ে পরছে। এ সমস্ত খবরও প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক পত্রিকায়। ঠিক সেই সময় সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে ভারত থেকে আনল ‘সুন্দরী শাড়ী’। যে শাড়ীতে হাঁটু ঢাকে না, পর্দাও হয় না। ভারতীয় দূতাবাস বলল টিসিবি দেখেই এনেছে এই শাড়ী। টিসিবি কোন জবাব দিতে পারল না।



আগষ্ট মাসে দেশে বন্যা শুরু হয়। আসে বিস্তর রিলিফ। রিলিফ নিয়ে লুটপাটের কাহিনী পাওয়া যাবে ১৯৭৪ সালের আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের সংবাদপত্রসমূহে। অবাধ লুটপাট চলে বাশঁ, টিন, খাদ্যসামগ্রী, রিলিফের ঔষধপত্র এবং কম্বল নিয়ে। প্রতিদিনের সংবাদপত্রে ছাপা হয় ক্ষুধাতুর মানুষের ছবি। অন্ন নেই, বস্ত্র নেই, মাথা গোজাঁর ঠাই নেই। কোটি কোটি লোক হয় ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুহারা। ৩রা আগষ্ট ইত্তেফাকে ছাপা হয় এসব ছবি। দৈনিক বাংলায় খবর বের হয়, বমি খাচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ রেডক্রস সর্ম্পকে প্রকাশিত হয় চুরি, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অসংখ্য অভিযোগ। গ্রামে-গঞ্জে রেডক্রস প্রধান গাজী গোলাম মোস্তফার নামে ছড়া বের হয়। আতাউর রহমান খান রেডক্রসের অসাধু তৎপরতার প্রতিবাদ করেন। দুর্নীতির অভিযোগ করেন। ১০ই আগষ্টের ইত্তেফাকে সে বিবৃতি ছাপা হয়। ১৩ তারিখ সংবাদপত্রের রিপোর্টে দেখা যায় যে, সারাদেশের মানুষ কচু-ঘেচু খেয়ে জীবনধারণ করছে। আতাউর রহমান খান অভিযোগ করেন যে, বিরোধী দলীয় সদস্যদের ত্রান সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টায় পুলিশ বাধা দিচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করছে। জনাব খান ১১ই আগষ্ট কাগজে বিবৃতি দেন যে, দুনিয়ায় এমন কোন নজির নেই যে রেডক্রস সমিতির চেয়ারম্যান কোন দলীয় লোক হয়। তিনি একজন বিচারপতি অথবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে এ সমিতির দায়িত্ব দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্‌বান জানান।



গ্রাম থেকে, উপদ্রুত এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ শহরে আসতে থাকে। ঢাকা শহরে ১৩৫টি রিলিফ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। ১২ই আগষ্ট যাত্রাবাড়ির রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণকারীরা বলেন যে, তিনদিনে তাদের জন্য একমুঠো খাবারও বরাদ্দ করা হয়নি। ১৬ই আগষ্ট আইসিআরসির সদস্য মিঃ এলভিন কাজ পরিদর্শনের জন্য আদমজী রিলিফ ক্যাম্পে গেলে লোকেরা কমিটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চুরি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করে। এলভিন চলে এলে কমিটির চেয়ারম্যান তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা অভিযোগকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে ছুরিকাহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাওয়ার অনুপযুক্ত পচাঁ বিস্কুট সরবরাহ করা হয়। তা থেকে ক্যাম্পগুলোতে কলেরা মহামারী আকারে দেখা দেয়। মরতে থাকে মানুষ।



মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলে। সে সময়কার পত্রিকার পাতা উল্টালে গা শিউরে উঠে। মানুষের সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ কেড়ে নেয় লাখ লাখ মানুষের প্রাণ। হাজার হাজার চাষী যারা একদা কষে ধরতো লাঙ্গল, মাঠ ভরে তুলত সবুজ শস্যের সমারোহে, তারা ভিক্ষার জন্য শহরের মানুষের কাছে হাত পাতে। ফিরে যায় ভিক্ষা না পেয়ে। তারপর বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পড়ে থাকে। আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম প্রতিদিন ঢাকা শহর থেকেই তিরিশ থেকে চল্লিশটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করছিল। সে কাহিনী ও ছবি আছে সেই সময়কার দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর পাতায় পাতায়। ঢাকায় প্রতি ঘন্টায় ৩-৪ জন লোক মারা যেতে থাকে অনাহারে। এর এক পর্যায়ে আঞ্জুমানের লাশ দাফনের কথা খবরের কাগজে প্রকাশ করা বন্ধ করে দেয়া হয় সরকারি আদেশে। আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর মাস অব্দি প্রতিটি জেলা থেকে খবর আসতে থাকে যে, শত শত লোক অনাহারে মারা যাচ্ছে। ভাত নেই, কাপড় নেই, বাসস্থান নেই। ১০ই সেপ্টেম্বর ইত্তেফাক ছবি ছাপে- মাছ ধরার জাল পরে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে গ্রামের কোন কুল বধু। চট পরে ভিক্ষার আশায় সন্তান কোলে ঘুরে ফিরছে অসহায় জননী। গৃহবধুরা ক্ষুধার জালায় হচ্ছে প্রমোদবালা। রিলিফের কেলেঙ্কারীর খবর ছাপা হচ্ছিল খবরের কাগজে। কিন্তু অপরাধী ব্যক্তিদের একজনেরও বিচার হয়েছে এমন কথা শোনা যায়নি কখনো। কেন হয়নি সে খবরও সংবাদপত্রের পাতায় আসেনি। উত্তরাঞ্চলে পানির দামে বিক্রি হতে থাকে জমি। অসংখ্য সম্ভ্রান্ত কৃষক ভিক্ষুকে পরিণত হন। সে সময়ের ২২শে সেপ্টেম্বর বায়তুল মোকাররমে দুই শতাধিক উলঙ্গ, অর্ধউলঙ্গ নারী পুরুষ অন্নবস্ত্রের দাবিতে মিছিল করে। গ্রাম থেকে আসা অসহায় মানুষের আর্তনাদ একটুও কম্পিত করতে পারেনি আওয়ামী লীগের শাসককুলের হৃদয়। আর সেই সময়েই শেখ মুজিবের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫৫ পাউন্ড ওজনের কেক কাটেন শেখ মুজিব নিজেই!!!



২৩শে সেপ্টেম্বর সারাদেশে ৪৩০০ লঙ্গরখানা খোলার কথা ঘোষণা করা হয়। সে সমস্ত লঙ্গরখানার ইতিহাস আর এক করুণ কেলেঙ্কারীর ইতিহাস। নওগাঁর আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ২৪শে সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি দিয়ে জানান যে, সারা জেলার মানুষ গত ৩-৪ দিন ধরে না খেয়ে আছে। চালের সের সাত টাকা। তার ক’দিন পরেই ৬ই অক্টেবর ইত্তেফাক খবর দেয় যে, ২১ লাখ টাকার বিদেশী মদ ও সিগারেট আমদানি করা হয়েছে সরকারি টাকায়। ঐ দিনই খাদ্যমন্ত্রী বললেন, “তখন পর্যন্ত অনাহারে কতলোক মরেছে সরকারের তা জানা নেই। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর খবর অতিরঞ্জিত।” তবে তিনি স্বীকার করেন চোরাচালান কিছুটা হয়েছে।



৮ই অক্টোবর অধ্যাপক আবুল ফজলসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ জন শিক্ষক এক বিবৃতিতে বলেন, “জাতির জীবনে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রতি এত অনাসক্তি, এত অবজ্ঞা, এত অদ্ভুত রকম ঔদাসীন্য কখনও দেখা গেছে বলে মনে হয় না। নিজের প্রতি আস্থাহীন জাতি যে কী রকম জড় পদার্থে পরিণত হতে পারে বর্তমান বাংলাদেশ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই একাত্মতা, ত্যাগের মহৎ শক্তির সেই প্রচন্ডতা পরবর্তিকালে সিদ্ধান্তহীনতায়, ভুল সিদ্ধান্তে, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় আর গুটিকতক লোকের লাগামহীন দুর্নীতির সয়লাবে সব ধুয়ে গেছে। দেশের নেতৃত্বের প্রতি এই জাতীয় দুর্দিনে আমাদের আকুল প্রার্থনা, জাতি হিসেবে আমাদের শক্তিতে আস্থাবান হওয়ার পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।”



৮ই অক্টোবর ১৯৭৪ শ্রমিক লীগের আব্দুল মান্নান এমপি জানান, “লবনের দুঃপ্রাপ্যতা সম্পর্কে সম্ভাব্য সকল প্রকার খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে যে, মজুতদার উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ২টাকা মন দরে লবন কিনে থাকে। সরকারিভাবে মজুতদারদের জন্য অশোধিত লবনের দাম ১৫ টাকা আর শোধিত লবনের দাম ৫৫ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “অশোধিত লবনের দাম ৪০ টাকা করা হলে বাজারে প্রচুর লবন পাওয়া যাবে। প্রকাশ, এ ব্যাপারে নাকি আমাদের দলীয় কোন কোন সংসদ সদস্য জড়িত রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।”



১৩ই অক্টোবর ঢাকার সংবাদপত্র সূত্রে জানা যায় যে, প্রতিদিন গড়ে ৮৪টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন হচ্ছে। ২৭শে অক্টোবর খবর আসে জামালপুরে প্রতিদিন অনাহারে শতাধিক লোক মারা যাচ্ছে। সরকার এই মৃত্যুকে পুষ্টিহীনতা বলে অভিহিত করে। অনাহারে মানুষ মরছে সরকার সেটা অস্বীকার করে। ২৫শে অক্টোবর ঢাকার সংবাদপত্রে বের হয় ট্রাক বোঝাই ধানচাল ভারতে পাচাঁর হচ্ছে। দিনাজপুরে চালের সের ৮ টাকা। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য মানিকগঞ্জের এক পরিবারের ৭জন আত্মহত্যা করেছে। এসময়ে ২৫শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি জনাব কামরুজ্জামান দাবি করেন, “দেশের প্রচলিত আইনে চোরাচালানীদের দমন করা হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে সংসদে চোরাচালানীদের গুলি করে হত্যা করার বিধান পাশ হয়। কিন্তু কাউকে কোন দিন ঐ বিধানে হত্যা করা হয়নি।” একই সঙ্গে কামরুজ্জামান অবশ্য বলেন, “দলের ভেতর থেকে দলের সমালোচনা চলবে না।” তখন থেকে আওয়ামী লীগের ভেতরেও কোন্দল দানা বেঁধে উঠে। সেই ক্রান্তিলগ্নে ২৬শে অক্টোবর ’৭৪ স্বাধীনতা সংগ্রামকালের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজুদ্দিন আহমদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের নির্দেশে মন্ত্রীত্ব হারান। জনাব তাজুদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, “জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তিনি কোন বিতর্ক সৃষ্টি করতে চান না।” ঢাকার এবং বিদেশী সাংবাদিকদের মতে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করায় জনাব তাজুদ্দিন আহমদের যে ইমেজ গড়ে উঠে তা পাকিস্তানে আটক শেখ মুজিবর রহমান সহ্য করতে পারছিলেন না। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটক শেখ মুজিবের চেয়ে স্বাধীনতার প্রশ্নকে বড় করে দেখার জন্য বেগম মুজিবও তাজুদ্দিনকে সহ্য করতে পারতেন না বলে জানা যায়। তাজুদ্দিন সম্পর্কে সরকার পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হয় যে, তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে চলে যায়। তাজুদ্দিন আহমদ বাকশালের কেন্দ্রিয় কমিটি থেকেও পরবর্তিতে বাদ পড়েন।



২৯শে অক্টোবর সারাদেশে ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। একই দিন মজুতদারী আর কালোবাজারীর দায়ে আওয়ামী লীগের আর একজন সংসদ সদস্য গ্রেফতার হন। ৩০ তারিখে লবন মজুতের জন্য আওয়ামী লীগের এমপি ডঃ শামসুদ্দিন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়।



এ অবস্থায় মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটির উদ্যোগে ১লা নভেম্বর ১৯৭৪ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গনে শিক্ষক, আইনজীবি, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, চিত্রশিল্পী ও ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বর্তমান মন্বন্তর প্রতিরোধের জন্য আন্দোলন গঠনের উদ্দেশ্যে এক বিরাট সমাবেশে যোগদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বুদ্ধিজীবিদের এত বিরাট সমাবেশ ইতিপূর্বে আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ‘মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটির’ সভাপতি সিকান্দার আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দুই ঘন্টার উপর এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এডভোকেট মির্জা গোলাম হাফিজ, ডঃ আহমদ শরীফ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, এনায়েত উল্লাহ খান, কামরুন্নাহার লাইলী, নিজামুদ্দিন আহমদ, মহিউদ্দিন আলমগীর, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মুহাম্মদ জাকারিয়া এবং বদরুদ্দিন উমর। সমাবেশে বিদ্যমান মন্বন্তর পরিস্থিতি ও মৌলিক আধিকার সম্পর্কে ১৭টি প্রস্তাব গৃহিত হয়। সমাবেশের পর বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গন থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত যায় এবং সেখানেই সমাবেশের কর্মসূচী শেষ হয়। সমাবেশে গৃহিত প্রস্তাববলীর বিবরণ:-



১৯৭৪ সালের ১লা নভেম্বর বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মন্বন্তরের গৃহিত প্রস্তাবে বলা হয় যে, এই মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতাকেও অতিক্রম করেছে এবং এই মম্বন্তর, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্টি হয়নি বরং শাসকশ্রেণী ও তাদের সহযোগীদের গণবিরোধী নীতি ও কর্মকান্ডেরই প্রত্যক্ষ পরিণতি। সমাবেশের প্রস্তাবে এই মন্বন্তরকে ‘প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা’ বলে বর্ণনা না করে একে মন্বন্তর বলে ঘোষণার জোর দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে বৈদেশিক সাহায্যের একটি শ্বেতপত্র ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।



সমাবেশের প্রস্তাবে সর্বদলীয় রিলিফ কমিটি গঠনে সরকারের বিরোধিতার নিন্দা করে অবিলম্বে একটি সর্বদলীয় রিলিফ কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয় এবং এ ব্যাপারে বিরোধী দলসমূহের প্রতি উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের আহ্‌বান জানানো হয়। এছাড়াও রেশনিং এলাকা সম্প্রসারন ও টেষ্ট রিলিফ চালু করার দাবি জানানো হয়। সমাবেশের প্রস্তাবে লঙ্গরখানার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেখানে নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। মন্বন্তর প্রতিরোধ আন্দোলন সমাবেশে রেডক্রসের চেয়ারম্যান হিসাবে সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়োগ করার দাবি জানানো হয়। রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ ও মিথ্যা মামলায় আটক ও বিনা বিচারে আটক রাজনৈতিক বন্দীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানানো হয়।



পরবর্তিকালে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় আওয়ামী লীগ সরকার ও সরকারি দলের নেতা-সদস্যদের রিলিফ চুরির ও চোরাচালানের বিবরণ দিতে গিয়ে ১৩ই আগষ্ট ১৯৯২ সালে সংসদে বলেছিলেন, “রিলিফ চুরি ও চোরাচালানের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পেয়েছিল আওয়ামী শাসনামলে যে তদানীন্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে বলতে হয়েছিল, ‘আমার কম্বলটা কোথায়??’ ”(২১শে আগষ্ট ১৯৯২ বিচিত্রায় প্রকাশিত)।



সেই সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু ঐ বক্তব্যের বিরোধিতা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিক্ত সত্যকে গলঃধরণ করে তাকে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে হয়েছিল বাধ্য হয়ে অসহায়ের মত।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +৬০/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৬

কালো চিতা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম + + +

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৮

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ২:৪২

বঙ্গবাসী হাসান বলেছেন: াই প্রিয়তে কিভাবে নেয় দয়া করে জানান আমিও প্রিয় তে নিতে চাই।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৩

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: পোষ্টের সবার শেষে যে বারটি আছে , এইখানে হলুদ রঙয়ের স্টাটিতে ক্লিক করে ওকে তে ক্লিক করলে পোষ্ট প্রিয়তে চলে যাবে।

প্রিয়তে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ৩:২৩

আসক্ত_আমি বলেছেন: কালো চিতা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম + + +

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৫

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:০৩

কালো চিতা বলেছেন: বঙ্গবাসী হাসান বলেছেন: াই প্রিয়তে কিভাবে নেয় দয়া করে জানান আমিও প্রিয় তে নিতে চাই। আপনে দেখেন পোষ্টের শেষে যেখানে লেখা থাকে পোষ্ট কত বার পরা হইছে এই লাইনটার মাঝে স্টার আছে এইটার মাঝে ক্লিক করলে পোষ্ট প্রিয়তে চলে যাবে

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৭

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৩১

ফিরোজ-২ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম + + +

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৯

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৪

পাখা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম + + +

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২২

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৮

মনুমনু বলেছেন: পাখা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম + + +

এই পোস্টগুলোর কারনেই ব্লগ ভাল লাগে।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৫

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আসুন সবাই মিলে ব্লগের পরিবেশ সুন্দর এবং প্রাঞ্জল রাখি।

৮| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৪

মিলটন বলেছেন: ১৯৪৩ সালে দূর্ভিক্ষ নিয়ে কিছুদিন আগে একটা ব্লগ লিখেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষ নিয়ে গত প্রায় ১৫/২০ দিন যাবত আরেকটি ব্লগ লেখার কাজ চলছে। তথ্য উপাত্ত্ব, দুর্লভ কিছু ছবি সংগ্রহ করছি। সব কমপ্লিট হলে পোষ্ট করবো।

আপনার দেয়া প্রথম ছবিটি বাদে আমার মনে হয় অন্য ছবিগুলো ৭৪ এর দূর্ভিক্ষের সাথে সংযুক্ত না। শেষ দিকের ছবিগুলো বাংলাদেশের কোন দূর্ভিক্ষের না। আপনি কি আবারো একটু যত্ন সহকারে দেখবেন?

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৮

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া। ধন্যবাদ আপনাকে। আর ছবিগুলার ব্যাপারে খুজ নিচ্ছি।

৯| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৫

নিভৃত নয়ন বলেছেন: প্রিয়তে :)

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৯

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৮

পুছকেছ বলেছেন: খুবই ভালো পোষ্ট ভাই। ধন্যবাদ।

পোষ্ট টা মনে হয় ভুলে দুইবার পেষ্ট হয়ে গেছে। দয়া করে একটু এডিট করে নিয়েন তাহলেই হবে।

ভালো থাকবেন ব্রো আর এমন ভালো ভালো লেখা উফার দিবেন নিয়মিত।

শুভ কামনা।


১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩১

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২০

আতিক একটেল বলেছেন: Apnar lekhar shironam ki? Ar likhlen ki?

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৫

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আমি কোন অসংলগ্নতা খোজে পাইনাই, একটুকি বলে দেবেন, কোথায় সমস্যা?

১২| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২১

আতিক একটেল বলেছেন: Apnar lekhar shironam ki? Ar likhlen ki?

১৩| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: ৭৪ এর সেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কিছু ছবি>>>

বাংলাদেশ ১৯৭৫, দুঃস্বপ্নের প্রতিচ্ছবি

১৪| ১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: আওয়ামীলীগ ধ্বংস হয়ে গেছে সি একাত্তরের মার্চেই। যখন সারা দেশের মানুষ , কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই দুর্দান্ত সাহস আর ত্যাগ এর মাধ্যমে নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য সব কিছু তুচ্ছ করে অস্ত্র হাতে নেমেছিল তখন লোভী আর কাপুরুষ আওয়ামীলীগ নেতারা সব ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। শেখ মুজিব নিজে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের কাছে। তার পরিবার সময় কাটিয়েছে পাকিস্তানিদের আতিথ্যে। যখন এ দেশের তরুনরা কোন দ্বিধা ছাড়াই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল দেশ বাঁচানোর জন্য, তখন মুজিব তনয়রা ছিল পাকিস্তানিদের নিরাপদ আশ্রয়ে। সেই মুজিব তনয়রা কোন শ্রেনীর নির্যাতন এ দেশে পরে চালিয়েছিল তা আমরা সবাই কম বেশি জানি। স্বাধীনতার পর এ দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার দায়িত্ব হাতে নিয়েছিল তথাকথিত আওয়ামীলীগ নেতারা। সেইসসব নেতারাই কিন্তু এখন নিজেদের স্বাধীনতার বাপ-দাদা বলে পরিচয় দেয়। কত অবিশ্বাস্য রকম অমানুষিক পিশাচ শ্রেনীর হলে একটা পুরো সরকার , পুরো রাজনৈতিক দল এভাবে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরে ফেলতে পারে নিজেদের চুরি, দুর্নীতি দিয়ে? সেই লীগাররাই যখন দেশ নিয়ে বড় কথা বলে ইচ্ছে করে এদের মুখের উপর যেয়ে মুতে আসি। মুজিব নিজে এবং তার সাংগ পাঙ্গ সবাই মিলে এদেশে যে সীমাহীন অরাজকতা চালিয়েছিলেন তার তুলনা কোন স্বাধীন দেশে বোধ হয় নেই। নিজেদের স্বৈরশাসন আর অমানুষিক নির্যাতন অব্যাহত রাখার জন্য বাকশাল ও বানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ইতিহাস থেকে একটা সত্য শিখতে তারা ভুলে গিয়েছিলেন , নির্যাতনের মাত্রা যখন সীমা ছাড়ায় তখন অবরুদ্ধ সময় নিজেই খুঁজে নেয় মুক্তির পথ, সেই পথ খঁজে নিতে সময় নিশ্চিহ্ন করে দেয় সব জালিমকে।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪০

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মন্তব্য প্রিয়তে নেয়ার ব্যবস্থা থাকলে অবশ্যই স্থান পেত।

১৫| ১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

নিবিড় এখন বলেছেন: আমি যতক্ষন এই লেখাগুলি পড়ছিলাম ততক্ষন আমার শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠছিল..।
এজন্য তো শেখ মুজিব মরার পর কেউ ইন্নাল্লিহা পড়ে না। আসলে একটা কথা যে মানুষ যা করে তা ই পায়।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪১

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: এইটাই বাস্তবতা।

১৬| ১১ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: এভাবে লক্ষ লক্ষ টন খাবার ভারতে চালান হলেতো দেশে দুর্ভিক্ষ হবেই।


১৯৭৪ সালের ১লা নভেম্বর বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মন্বন্তরের গৃহিত প্রস্তাবে বলা হয় যে, এই মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতাকেও অতিক্রম করেছে এবং এই মম্বন্তর, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্টি হয়নি বরং শাসকশ্রেণী ও তাদের সহযোগীদের গণবিরোধী নীতি ও কর্মকান্ডেরই প্রত্যক্ষ পরিণতি। সমাবেশের প্রস্তাবে এই মন্বন্তরকে ‘প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা’ বলে বর্ণনা না করে একে মন্বন্তর বলে ঘোষণার জোর দাবি জানানো হয়।১৯৭৪ সালের ১লা নভেম্বর বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মন্বন্তরের গৃহিত প্রস্তাবে বলা হয় যে, এই মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতাকেও অতিক্রম করেছে এবং এই মম্বন্তর, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্টি হয়নি বরং শাসকশ্রেণী ও তাদের সহযোগীদের গণবিরোধী নীতি ও কর্মকান্ডেরই প্রত্যক্ষ পরিণতি। সমাবেশের প্রস্তাবে এই মন্বন্তরকে ‘প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা’ বলে বর্ণনা না করে একে মন্বন্তর বলে ঘোষণার জোর দাবি জানানো হয়।


অথচ শেখ মুজিব মরার পর থেকে দেশে সবুজ সবুজে ভরে উঠেছে ধানের ক্ষেত, কংকাল সার দেহ গুলি হয়ে পড়েছে হৃষ্ট পুষ্ট। শাড়ি হয়ে পড়েছে ১১ হাত। চালের দাম কমে গিয়েছিলো। বাসন্তিদের আর জাল পরতে হয়নি।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৩

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই ব্যাক্তিটিকেই এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপরাধী বানানোর পায়তারা চলছে।

১৭| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৩৫

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: সেই দিনগুলিতে মানুষ কত কষ্টই না করেছে।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৪

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: শুধুমাত্র বেচে থাকার জন্য। খাবার ছারা তাদের আর কোন চাহিদা ছিলনা।

১৮| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৭

পুছকেছ বলেছেন: @আকাশের তারাগুলি বলেছেন: অথচ শেখ মুজিব মরার পর থেকে দেশে সবুজ সবুজে ভরে উঠেছে ধানের ক্ষেত, কংকাল সার দেহ গুলি হয়ে পড়েছে হৃষ্ট পুষ্ট। শাড়ি হয়ে পড়েছে ১১ হাত। চালের দাম কমে গিয়েছিলো। বাসন্তিদের আর জাল পরতে হয়নি।

কথাগুলি কিন্তু সত্যি। কিন্তু তোমার মতো রামছাগল এটা মানবানা কারণ তোমরা যারা লীগের চামচ তারা নিজেদের ভুলগুলা দেখতেই চাওনা খালি পার বড় বড় কথা বলতে। ুটকির ছাল তোলে ফেলা উচিত তোমাদের চাবুক মাইরা। আবাল।

১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২৪

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আপনার তোলার দরকার নাই, প্রয়োজন হলে জাতি একদিন এইসবের সুদে আসলে সুদ নিবে।

১৯| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: @পুছকেছ তুমি হালায় আবাল আমার কমেন্ট নিয়া টাইম পাস কর কেন। ছাগলামীর সীমা থাকা উচিত। ব্রেন কতডা শর্ট থাকলে এসব লেখে আবার কমেন্ট করে।
তুমি আবাল কি চোক্ষে দেখনা, মুজিব মারার পরদিন থেকে দেশে চাল ডালের অভাব ছিলো না, শুটকা দেহ মাংশল হয়ে গেছে, জাল পিন্দন লাগে নাই।

জাল পরা বাসন্তি শেষে মইনুল রোডের বাসভবন মত প্রাসাদে থেকেছে। উত্তর বংগে মংগার দিন ৭৫ এর ১৫ইআগষ্ট থেকে শ্যাষ। ওখানে এখন আর ভিখ নিয়া যাওয়া লাগেনা। রিলিফের টিন গম কাপড় শেখমুজিব খাইয়া শেষ করলো, আর কখনো রিলিফ চুরি হয় নাই, ফখরুদ্দী, মইনুদ্দী যেগুলা পাইছিলো সব ভুয়া। বাংলাদেশের বর্ডার মুজিবের মরার পর সিল করা পন্য পাচার দুরের কথা একটা মশাও যাইতে পারেনাই। এখন অবশ্য এই সরকার আবার ৭২-৭৫ এ ফিরা যাইতেছে।

সবচে বড় কথা তখন বাংলাদেশের মানুষ মুসলমান ছিলোনা, জিয়া ক্ষমতায় আইসা বিসমিল্লাহ ঢুকানোর পর সবার পুনঃমুসলমানি হয়ে গেছে। আমরা আমাগো পকিস্তানী থুক্কু মুসলমানি পরিচয় ফিরা পাইছি।

তয় তুমি আমার কমেন্ট লইয়া গড়াগড়ি করতাছ ভাবতে ভালোই লাগে। তুমার মত আবালরে ফ্ল্যাশ।

২০| ১৩ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:৩৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এই পোস্টগুলোর কারনেই ব্লগ ভাল লাগে।

১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩৯

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: একই কারনে আপনাদের ও ভাল লাগে।

২১| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪১

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে। এডিট করে দেন।

নাহিয়ান বিন হোসেনের মন্তব্যটি ভাল লাগল।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৩

হতাস৮৮ বলেছেন: চ্রম হইছে......++++++++++++++++++++++++++ ভাই এরকম পোষ্ট আরো চাই।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০০

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: চেষ্টা করব দেয়ার জন্য, ধন্যবাদ।

২৩| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৮

মাহমুদ মান্না বলেছেন: চাইছি, যেন মনে থাকে, শোকেসে রাখতে পারছিনা কেন যে, বোতাম দেখা যাচ্ছেনা

২৪| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৫১

মাহমুদ মান্না বলেছেন: চাইছি, যেন মনে থাকে, শোকেসে রাখতে পারছিনা কেন যে, বোতাম দেখা যাচ্ছেনা

২৫| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২০

ওয়াসিম বলেছেন: প্রিয়তে।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০১

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আপনিও আমার প্রিয়তে। ধন্যবাদ।

২৬| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ১৯৭৪ সালের সেই দিনগুলি আমি দেখেছি। সরকারী উচ্চ পদে থাকা সত্বেও সততার কারনে আমার বাবা অনেক কষ্টে একবেলা ভাতের যোগার করেছিলেন। শুকনা মরিচ, লবন ছিলো দুস্প্রাপ্য।
দেখেছি পারমিটে আর ডিলারশীপের যাদুর ছোয়ায় রাতারাতি ভিক্ষুক থেকে রাজা হয়ে যেতে।
বিদেশী সাহায্যের ছড়াছড়ি, কিন্তু সেসব সাধারন মানুষ শুধু চোখেই দেখেছে। নাগাল পায়নি।
স্কুলে স্কুলে বিদেশী কম্বল, দুধের টিন, কুইকার্সের টিন, থান থান কাপড়ের পাহাড় দেখেছি। পেয়েছি ২ গজ করে সাদা মার্কিন কাপড়। কন্ট্রোলে লাইন দিয়ে পুলিশের খাকি কাপড় যোগাড় করে তাই দিয়ে প্যান্ট বানিয়ে পড়েছি। আমরা যারা ৭৪ পার করেছি, তারা জানি, কি ছিলো সেই সব দিন।

এর বিপরিত চিত্রও এ দেশের মানুষ দেখেছে। সোনার মুকুট মাথায়, সোনায় মোড়ানো সর্ব-অঙ্গ জনগনের নেতার পুত্রবধু-দ্বয়ের ছবি। যার আহ্ববানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ছাত্রী সোনা বর্জন করে শুধু বেলী ফুলের মালা পড়ে বিয়ে করেছিলো। যেমন- হুমায়ুন ফরিদী ও মিনু।

সুন্দর পোস্ট। শুধু সঠিক ছবি ব্যাবহার করে আরো সুন্দর করুন।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৫

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আপনার সেই করুন অভিজ্ঞতার লোহর্ষক জীবনের প্রতি আমার সহস্র সালাম। আপনার কথা গুলো শুনে খুব ভাল লাগল। কারন আপনি একজন জীবন্ত ইতিহাস। আপনার ইতিহাসের ভান্ডার থেকে আমাদের কে কিছু দান করলে উপকৃত হব।

ভাল থাকবেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫২

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: আপনার পোষ্টটা ভালো লাগছে কিন্তু কেমন জানি বায়াসড মনে হইছে (লীগ বিদ্বেষী)। কোনো হাওয়ারপু_ ই ভালো না না বিএনপি না লীগ । সবগুলারে মাইরা ফালানো দরকার । ইকোনমির "ই" জানে না এরা এইসব দলের নেতা-ফেতা সালা বান_তের দল । যেমন ব্লগে একটা আছে "আকাশের তারাগুলি" । মানুষ এত নির্লজ্জ হয় ক্যামেনে ?? এইসব আবালরাই দেশটার সর্বনাশে মূল কারন ।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৮

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আমি কাহারো প্রতি বিদ্বেষ নিয়া লেখি নাই, কেবল সত্য প্রকাশ করতে চেষ্টা করছি। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব পুরান খবর বলে কি লাভ। কৃষি এখন অনেক উন্নত। ফলন বেড়েছে। এখন চালের দাম ৪৫ টাকা। কেউ না খেয়ে মরে না।

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৯

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: কেউ না খেয়ে মরে না ঠিক, কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় ভোগে। বুঝেন ক্ষুধার জ্বালা কি?

২৯| ২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০১

কাকপাখি ২ বলেছেন: ++++++++++++++++++++++

সরাসরি প্রিয়তে

২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১:০৬

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০| ২৮ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:১১

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ২, ৩, ৫ নং ছবি বাংলাদেশের বলে মনে হয় নি। এগুলো আফ্রিকার ছবি।

৩১| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১:৫৬

রবিনহুড বলেছেন: ব্লগের তাবৎ সুশীল গুলো এই পোষ্টে কোন মন্তব্য করতে আসবে না। এটা হলো আওয়ামী পা চাটা সুশীলের লক্ষন।

তবে কতগুলো পা চাটা কুকুরের দল নানান বাহানায় ভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারনা করে ত্যান প‌্যাচাইতে আসবে।

অপেক্ষায় থাকুন।

০৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: এই ছাগলের ছাওদের ধইরা গঙ্গ জ্বলে চুবানো যাইতো , দেইখা চোখ দুইটা শান্তি পাইতো।

৩২| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১:৫৯

রবিনহুড বলেছেন:

সুরঞ্জনা @ আপনাকে স্যালুট সেই দিনের নিদারুন কষ্টের সত্য কথা গুলো অকপটে বলার জন্য।

০৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৬

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও সে্লুট

৩৩| ০৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৩

রাতমজুর বলেছেন: হুম, দূর্ভিক্ষ্য গেলেও সেই প্রাকটিস যায় নি, এখনো মানুষ শোষন করে বড়লোক হচ্ছে বিভিন্নদলীয় তাঁবেদারেরা, রাজনীতিবিদরা ছেলেমেয়ে সব পাচার করেছেন বিদেশে, নিজেরাও কোনদিন গিয়ে ঠেলে উঠবেন। দেশ আর মানুষ মরলে তাদের কি?

৩৪| ১৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:০১

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: প্রথমত অধিকাংশ ছবি ভুয়া। এর মধ্যে উনি আফ্রিকার ছবি ঢুকাইসেন। দুইটা ছবির নিচের ক্যাপশন হল ১৯৭১। আর দুর্ভিক্ষের কারন বলতে গিয়ে উনি শেষ পর্যন্ত দলীয় দৃষ্টি ভঙ্গি তেই দেখেছেন সবকিছু।
এর মধ্যে একটা কালার ছবি দেখলাম। আপনি যদি সমালোচনা করতেন কিছু বলতাম না। কিন্তু আপনি কি বুঝাতে চাইসেন সেটা সবাই ভালোভাবেই বুঝসে। শেষে আবার বলা শুরু করসেন আপনি রাজনৈতিক দলের অনুগামী নন। উপর থেকে দেখে কমেন্ট করুন। আসল ছবি ক্যাপশন সহ দিন। আমি নিজেও আপনার সাথে ৫০ ভাগ সহমত। বাকি ৫০ ভাগ না আপনার দৃষ্টি ভঙ্গির কারনে। শেখ মুজিব ৫৫ পাউন্ড কেক কেটেছেন এই তথ্য কৈ পেলেন? আমাকে এটার একটু ছবি দেখাতে পারবেন। আর ২০০৩ তে মঙ্গার সময় এত যে মানুষ না খেতে পেরে মারা গেল সেটা নিয়ে এক্টূ লিখুন না। ঐ সময় তো বেগম জিয়া বছরে দুই বার কেক কাটতেন। গুগল এ যান। বিশাল বড় বড় হাই রেজোলিউশান এর ছবি পাবেন। সেই গুলো নিয়ে একটু লিখুন। আপনার লেখার হাত দেখি। যদি নিরপেক্ষ প্রমান করতে চান নিজেকে তাহলে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের ইতিহাস শিরোনাম এ লিখুন। আর আপনাদের নেত্রী একটা বচন দিয়েছেন "পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়"। আমার কথার সারমর্ম তাহলে বুঝতে পারছেন।

৩৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৪

যাযাবরমন বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম,+ও দিয়েছি, তবে ১ ও ৪্নং ছারা বাকি ছবি বাংলাদশের বলে মনে হচ্ছেনা

৩৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৪৩

এমদেশ বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল লেখা। আশা করি এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত লিখবেন। গণবিরোধী আওয়ামী লীগার-বাকশালীদের পৈশাচিক তাণ্ডবের ইতিহাস আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরা উচিত।

৩৭| ১০ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

রঙ্গভরা বঙ্গদেশী বলেছেন: শেখের শাসনামল যারা দেখেছে তারা ভুলে গেছে ৭১ পুর্ববর্তি সময়ে সে দেশের জন্য আন্দোলন ও করেছিলো।

*মুজিব ই ১৬ই জুন ১৯৭৫ এ চারটি মাত্র পত্রিকা (ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলাদেশ টাইমস) রেখে বাকি সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করেছিলেন।
তথ্যসুত্রঃ১
তথ্যসুত্রঃ২
(আওয়ামী লীগ রচিত বাংলাপেডিয়া)
তথ্যসুত্রঃ৩
তথ্যসুত্রঃ২
(আওয়ামী লীগ রচিত বাংলাপেডিয়া)



*মুজিব ই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মাত্র ১১ মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একটি মাত্র দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) কায়েম করে বাকি সব দল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে স্বাধীন মত প্রকাশের সকল পথ রুদ্ধ করেছিলেন।
তথ্যসুত্রঃ১ (কট্টর আঃলীগ সমর্থকদের এডিটকৃত)
তথ্যসুত্রঃ২


*মুজিব ই নিজেকে আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেন। বাংলাদেশ যেন তার পৈতৃক জমিদারীর মতো।
তথ্যসুত্রঃ১
Maniruzzaman, Talukder, "Bangladesh in 1975: The Fall of the Mujib Regime and Its Aftermath," Asian Survey, 16, No. 2, February 1976, 119–29.
তথ্যসুত্রঃ২
Frank, Katherine (2002)। Indira: The Life of Indira Nehru Gandhi। প্রকাশক: Houghton Mifflin। (USA)। পৃ. 388। আইএসবিএন 0-395-73097-X।
তথ্যসুত্রঃ৩


মুজিবের আমলে রক্ষি বাহিনী আর মুজিব বাহিনীর হাতে চল্লিশ হাজার মানুষ নিহত হয়। কোন কোন সোর্স মতে কয়েক লক্ষ।

তথ্যসুত্রঃ১, উইকিপিডিয়া, আঃলীগ সমর্থক উইকিপিডিয়ানদের লেখা)
তথ্যসুত্রঃ২, শ্রীমতি অরুণা সেন

*তার আমলেই ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষে না খেয়ে দুই লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল। আর যখন কিনা তার দুই ছেলে কামাল আর জামালের বিয়ে সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে করানো হয়েছিলো।
তথ্যসুত্রঃ১
তথ্যসুত্রঃ১ (আঃলীগ সমর্থকদের লেখা)
তথ্যসুত্রঃ২
তথ্যসুত্রঃ২
তথ্যসুত্রঃ৩
তথ্যসুত্রঃ৩

*২রা জানুয়ারি ১৯৭৫ এ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিরাজ শিকদারকে হত্যার পর পরদিন তিনিই সংসদে এসে হুঙ্কার দেন কোথায় আজ সিরাজ শিকদার। তার আঞ্চলিক ভাষায় আরো বলেন লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু।

[link|http://newagebd.com/newspaper1/national/3681.htmlতথ্যসুত্রঃ১]
[link|http://akramsbd.blogspot.com/search/label/সিরাজ সিকদারতথ্যসুত্রঃ২]

*তিনিই ভারতকে ফারাক্কায় বাঁধ দেয়ার অনুমতি দেন। তার পুর্বে অনেক প্রচেষ্টার পর ও ভারত ওই বাঁধ নির্মাণ করে ঠিকই, কিন্তু চালু করতে পারেনি।
Operations began on April 21, 1975.

তথ্যসুত্রঃ
*স্বাধীনতা পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে তিনিই কোরানের আয়াত (ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজী খালাক) তুলে দেন
*ভারতীয়দের খুশী করতে তিনিই সলীমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে মুসলিম শব্দটি অপসারন করেন।

আর এই মুজিব কে যারা হত্যা করেছিলো তারা সবাই ছিলো মুক্তিযোদ্ধা। মেজর শরিউল হক ডালিম ছিলেন বীরউত্তম। মেজর শাহরিয়ার রশিদ ছিলে বীরপ্রতিক। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধীনায়ক ওসমানী ছিলেন মোশতাক সরকারে ডিফেন্স এডভাইজর।

বাংলাদেশের মানুষ অতীত ভুলতে দেরি করেনা।

৩৮| ২৪ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:১২

আইআইচকিবরিয়া বলেছেন: পেলাস দিলাম...

৩৯| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

ভেপু বলেছেন: গা শিউরে উথলো পোস্টটা পড়তে পড়তে। দুক্ষের বিষয় হল ৭৪ চলে গেলেও ৭৪ এর কালচার এখনো যায় নাই। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন। কবে এই দেশ একটা সত্তিকারের নেতা পাবে :( :( :( :( :( :( :( সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। দেখে যেতে পারব কিনা জানি না

৪০| ১৭ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:১৭

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: বাহ !! অসাধারন !!

ভালো লিখেছেন !!

৪১| ০২ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভাই মনটা আজকে চরম ভাল ছিল। পোস্টটা পরে মনটা খারাপ হয়ে গেল :( :( :(











খাঙ্কির পোলা বাকশাল X(( X(( X(( X(( X((

৪২| ০২ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৬

লক্ষ্যভেদী বলেছেন: ভাগ্যিস বিএনপি'র ঘাড়ে দোষ দেয় নাই :)

৪৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১১

মোমের মানুষ বলেছেন: অজানা অনেক সত্যকে জানতে পারলাম

৪৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৮

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ। +++++++++

৪৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

লালকালো বলেছেন:
ভালো লাগলো, প্রিয়তে থাকল...
লিখায় যে তারিখ গুলো আছে সবগুলির সাথে বছর উল্লেখ থাকলে ভালো হয়।

দুইটা প্রশ্ন:
ছবিগুলি ঐ সময়ের বাংলাদেশের নাকি ?
ঐ সময়ের পত্রিকাগুলি অন-লাইনে পড়বার কোন উপায় আছ নাকি?

৪৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৩

সবুজ সাথী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

৪৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১২

জেমস বন্ড বলেছেন: ভাল লিখেছেন

+

৪৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:২৪

ডিগবাজি বলেছেন: আবার আসিতেছে

৪৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সংবাদ বলেছেন: জানাতে পারলাম অনেক কছিু

৫০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৯

আশফাক সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য

ত বে আমি একমত অস্থির পোলাপাইন -এর কমেন্টের সাথে-" কোনো হাওয়ারপু_ ই ভালো না না বিএনপি না লীগ । সবগুলারে মাইরা ফালানো দরকার । ইকোনমির "ই" জানে না এরা এইসব দলের নেতা-ফেতা সালা বান_তের দল "

৫১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩

ব্লগার রানা বলেছেন: এক আর ৫ বাদে অন্যগুলা মে বি ১৯৭৪-এর না ।
আগের-পরের হইতে পারে? আপনি কি বলেন?/////

ছবির উৎস কি????

৫২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: আওয়ামী লিগের লুঠপাট ছিল সত্যি। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ না। এই পোস্টটাও দেখুন।

৫৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

আহলান বলেছেন: এখনকান পোলাপাইন এসব জানতে চায় না ... কিন্তু আলীগ সারা জীকনের জন্য অভিশপ্ত একটি দল .....

৫৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

ঘাষফুল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৫৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

মিতক্ষরা বলেছেন: কি ভয়ংকর ছিল সেই দুর্ভিক্ষ।

আজও কি আমরা ভাল আছি? পেট্রোল বোমাতংক কেড়ে নিয়েছে ভাল থাকার ক্ষমতা।

৫৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

হায় চিল বলেছেন: জটিল লিখেছেন, মশাই। আমি এরকম লেখা অনেকদিন ধরে খুজছি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.