![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের তাকে 'পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে শুরু করে হুমায়ুন আজাদ' নানা ধরনের বই থাকে। তবে সেরা আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ গ্রন্থই।
তাই বলে আপনি কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ? আপনার কি দাঁড়ি আছে ? আপনি কি বোরকা পড়েন? হুম হুম হুম
-ও তাহলে আপনি জামাত, শিবির,জঙ্গি?
জানেন খুব সহজে ধর্মের প্রসঙ্গ আমাদের আড্ডার টেবিলে আসে না,পিছনের লোকে জামাতি বলে-এই ভয়ে। আর এই ধাচ বেশী দেখা যায় আমাদের সুশীল শ্রেণীর মাঝে।এনারাই বড় বুদ্ধিমান।
মুখে বলেন,আস্তিক।কিন্তু তাদের কথায়, ভাবে, আচরণে কোথাও আস্তিকতা প্রকাশ পায়না।
যারা নাস্তিক তারা বরং তাদের চেয়ে ভাল।কারণ তারা তাদের মত ভন্ড নয়। আস্তিকতা আর ধার্মিকতা এক নয়। (ফালতু নাস্তিক দের নিয়ে ভাববেন না)।
আমি বলি,আস্তিকতা আর ধর্মান্ধতা এক নয়, আপনি কি বলবেন?
আমাদের ধর্মের ব্যাখা করেন আমাদের ইস্কুল কিংবা পাড়ার মসজিদের হুজুর।অথচ তারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? অধিকাংশ হুজুরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব একটা নেই। ( হয়ত এখন অনেক বেশী শিক্ষিতের হার বাড়ছে হুজুরদের মধ্যেও ) তবে গ্রামের দিক টা একটু ভাবুন। ফলে একজন অশিক্ষিত লোকের ব্যাখা আপনি কেন শুনবেন? কেনই বা সেটাকে আকড়ে ধরে ভুল ব্যাখা করবেন?
আপনি জানেন ইংরেজিতে sun মানে সূর্য আর son মানে পুত্র।একটা সিলেব্যাল এর জন্য এর অর্থই বদলে দেয় অনেক কিছু।কিন্তু আপনি যদি না জানেন,তাহলে আপনার কাছে sun আর son এর মানে একটাই হত-হয় সূর্য নয় পুত্র।
আপনি জানেন বলেই অন্য কেউ সুযোগ পায় না আপনার অজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে।
তেমনি আপনি কতটুকু জানেন কোরআনের ভাষা? ততটুকুই, যতটুকু আপনাকে সেইসব হুজুররা জানিয়েছে।
এরপর???
এরপর আপনি জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছেন,ফ্রেঞ্চ কালচার আয়ত্ত করেছেন, মর্ডান আর্ট বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং আজ আপনি সফল।
কিন্তু আপনি এতটুকু সময় দেন নি,সেই গ্রন্থটার পিছনে যেটা কিনা আপনার জীবনের মূল ভিত্তি। এটা শুধু কোরআন না যে, কোন ধর্মগ্রন্থ এর জন্য অন্তর্ভুক্ত। কেন দেননি?
কারণ আপনাকে বারবার বলা হয়েছে,এটা নিয়ে চর্চা করা,জানা একধরণের অধিকার।
অথচ আপনার দেখার মত চোখ আছে,শোনার মত কান আছে,বোঝার মত বুদ্ধি আছে। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সবটা আপনি সব কাজে ব্যবহার করলেও,আপনি আস্তিক হলেও আপনি এর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেন না। আপনি নামাজ পড়েন ভয় থেকে, ভালোবেসে নয়!
আপনি হিসেব কষে মন্দ কাজ করেন না,পরকালের ভয়ে।এটা আস্তিকতা নয়।
যে কিনা আপনার স্রষ্টা, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা নিয়ে আপনি নামাজ পড়ে দেখেন,তাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য নামাজ পড়ে দেখেন,মানুষ হিসেবে ভাল থাকার জন্য মন্দ কাজ থেকে বিরত থেকে দেখেন-দেখবেন এখানে ভয় নেই।
আবার আপনি তার প্রতি কৃতজ্ঞ কিন্তু নামাজ পড়েন না। বলেন, ঈশ্বর তো সাথেই আছেন আলাদা করে উপাসনা করে কি হবে? এই প্রশ্নের জবাবে পালটা প্রশ্ন করি?-
পড়াশোনা তো বাসাতেও করা সম্ভব ইস্কুলে যাওয়ার দরকার কি?
এর উত্তর কি দিবেন?
ইস্কুলের আসল কাজ ডিসিপ্লিন শেখানো,দশটা মানুষের সাথে কি করে চলতে হয়,কিভাবে নেতা (টিচার)র কথা মানতে হয়-এই সব ইস্কুলে শেখানো হয়।কাগজে কলমে শুধু লেখাপড়া শেখা গেলে আর কেউই ইস্কুলে যেত না। আমি বলব তেমনি নামাজও।
এখন বিষয়টা এমন হয়ে গিয়েছে,যে কবিতা লিখে সে যদি কোরআন তিলাওয়াত করে,নামাজ পড়ে,ধর্মের ব্যাখা করে তবে অন্যরা তাকে সাহিত্য জগতের এলিয়েন ভাবে।তারা কবিতার ব্যাখা নিয়ে
আলোচনা করে,রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে অথচ আধুনিক মানসিকতার একটা মানুষ ধর্ম নিয়ে আলোচনা করলেই তাকে বলা হয় জঙ্গি-জামাতি।
আমাদের দরকার ফিউশন।যারা হুজুর তারা বিজ্ঞান থেকে দূরে আছেন আর যারা আধুনিক তারা আস্তিকতার দোহাই দিয়ে পাশ কাটাচ্ছেন ধর্মকে।
ধর্ম নিয়ে আমাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে কিছু শ্রেণী মজা পাচ্ছে।আর আমরাও আমাদের মূর্খতার কারণে জোকারে পরিণত হয়েছি। সহিংসতার কথা কোন ধর্মেই বলা হয় নি।সব ধর্মের মূল কথা এক-শান্তি,মনুষ্যত্ব,অন্যর প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা।
অন্যর কথায় কান না দিয়ে ধর্মকে জানুন,নয়তো একটা দিক আপনার অন্ধকারেই রয়ে যাবে,সে আপনি যতই আলোকিত,সুশীল কিংবা নাস্তিক মানুষ হোন না কেন।
আমাকে ফেসবুকে পেতে পারেন: আমার ফেসবুকে আইডি
©somewhere in net ltd.