নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই বলার নেই...

এবং সাইদি

স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে, দেখাতেও!

এবং সাইদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথশিশুদের চাই স্বাভাবিক জীবন, চাই অধিকার!

০৯ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও দেশের কান্ডারী । দেশ পরিচালনা তথা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিশাল দাযিত্বভার ন্যস্ত হবে এই শিশুদের উপর এটাই স্বাভাবিক । আজকের এই নতুন প্রজন্মদের কাছে কবিরা রেখে গেছেন তাদেরলেখা স্বরণ কালের শ্রেষ্ট কবিতা সমাহর আর অসংখ গান । কিন্তু বর্তমানে সমাজে বা রাষ্ট্রের কতিপয় দ্বাযিত্বশীল ব্যক্তিরা কতটুকু দ্বায়ীত্ববান শিশুদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে।

আইন অনুযায়ী ১-১৮ বছরের সকল বালক- বালিকা শিশু। শিুশুদের জন্য প্রকৃতির বাইরে সামাজিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণে ও প্রধানে বেশ কিছু বৈষম্য রয়েই গেছে। সামাজিক বৈষম্যের শিকার শিশুরা একাকি পথে-প্রান্তরে, রাস্তার দারে ,গাছ তলায় অলিতে-গলিতে খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। আমাদের সমাজে অবহেলিত মানুষগুলো ট্রেন লাইন ,বাস স্টেশন কিংবা ব্রিজের নিচে যাবা বসবাস করে আমরা তাদের পথশিশু বলে থকি ।
আমরা আজ আধুনিক সামজ ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধিরর দেশ দাবি করি। কিন্তু আমাদের মন-মানুষিকতার মোটেও উন্নতি হয়নি । তানাহলে মানব সমাজের একটা বিশাল অংশ আজো কেন? অবহেলিত। তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এই শিশুদের নেই স্বাভাবিক ভবিষ্যৎ, নেই সামাজিক মর্যাদা এমনকি অধিকাংশের নেই পারিবারিক পরিচয় টুকুও, এদের কে আমরা ঝারজ শন্তান হিসেবে চিনে থাকি।

আমরা যারা শিক্ষিত বলে দাবি করি এদের মধ্যে এই পথ শিশুদের সাথে ব্যবহার করি পশুদের ন্যায়। পরিচয়হীন কষ্ট বুকে নিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ না পেয়ে একটু একটু করে পাপ করতে করতে হয়ে উঠে পাপ জগতে গর্ডফাদার। তাহলে আমরা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি আধো-বাস্তাবায়ন হবে ? তবে কেন দিবা স্বপ্ন দেখি ? পাঠক দরুণ, ছোট এ্কটা চারা গাছকে যদি ফলবান, ছায়াবান সফল গাছে রুপান্তর করতে চান। তাহলে প্রথমত নিয়মিত তদারুকি সঠিক সময়ে কিটনাষক প্রয়োগ সহ এক কথায় সঠিক পরির্চযা এবং র্দীঘ অপেক্ষার পর একটি সফল গাছ হিসেবে হয়তো দেখতে পাবেন। তবে সন্দেহ ! কষ্টের ফলাফল কী হয়। তদরুপ একটা ছোট শিশুতো একটা অবোলা চারা গাছের ন্যায়। তাকে কী পরিচর্যা প্রয়োজন নেই ? যদি সঠিক পরিচর্যা না পায় তাহলে হরহামেশাই যা হবার তাইতো হবে ? নাকী এরা পথ শিশুবলে এদের কোন সামাজিক অধিকার নেই। নকি আমরা মানুষরুপি পশু তাই আমাদের কোন বিবেক নেই।

পাঠক বারং বার প্রশ্ন সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি। আবার দেখা যায় একটি চক্র এই পথ শিশুদের করুণার বদলায় মাদক, সন্ত্রাসবাদ, অনৈতিক কর্মকান্ড, যৌন নিপীড়ন সহ নানা অপরাদমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে সর্বনাশ এই পথশিশু দের । আপনি একটু পরিকল্পিত খুজে দেখুন পথের পাশে চিন্ন বস্ত্রে থাকা খাওয়া বসবাসকারী ঐ সব নির্মম মূহর্তগুলোর যে ছবি ফটোগ্রাফারা তোলেন । এই ছবি গুলো নিয়ে প্রদশর্র্নী হয় আমরাবেশ টাকা খরচ করে দেখি এবং কিনেও আনি। আবার কখনো কখনো দেখা যায় ঈদ বা বিশেষ দিবসে কিংবা শীত এলে দেখা যায় এসব পথ শিশুদের সাথে ফটোসেশনে ব্যাস্ত হয়ে যায়। অসহায়ে মাঝে কম্বল বিতরন, ঈদ পোশাক বিতরনের ছবি পত্র পত্রিকায় বা সমাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে প্রপোগ্রাফরা পুরস্কৃত হন কিন্তু এই পথ শিশুরা পথেই রয়ে য়ায়। দেখাযায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এইসব ফটো আপলোড করা হয়। লাইক দেওয়া হয়। মন্তব্য করা হয়। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়না। তাহলে কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায়।

এই ধুলোমাখা পথশিশুদের বুকে টেনে একবেলা কে খাওয়াচ্ছে? এই প্রচারনা পথ শিশুদের কী লাভ হচ্ছে ? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী ভাসমান মানুষ সর্ম্পকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছে, বাংলাদেশ ৪ লাক্ষের মতো পথশিশু রয়েছে। যার অর্ধেকেই অবস্থান করেছে রাজধানী ঢাকাতে । অন্য দিকে বেসকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী ইংরেজি ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বাস্থুহারা বা পথশিশুর সংখ্যা ১১ লাক্ষ ৪৪ হাজার । আমাদের মহান সংবিধানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার কথা বলা আছে।

কিন্তু আমাদের দেশের কতিপয় রাজনীতি বিদরা ব্যস্ত থাকেন নিজের মৌলিক চাহিদাকে পূরণ করতে। এমনকী তাইনয় আগামী চৌদ্দ পুরুষ যেন মৌশিক চাহিদা বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আর যাদের যথাযথ মৌলিক চাহিদা পাওয়ার কথা ছিল তারা পথের শিশু পথেই রয়ে গেল। আর এই শিশুরা অবিভাবকহীন চলার কারনে তারা যে কোন পাপের পঙ্কিলিত পথে বা অনাকাঙ্খিত পথে কিংবা অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়াতে একটুও চিন্তা করবেনা এটাই স্বাভাবিক। পরিশেষে বলতে চাই পথশিশুদের উন্নয়র্কাযক্রমের মধ্যদিয়ে শুরু হোক আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের প্রভাতের সূর্যে অপেক্ষা করি সে বাংলাদেশের একাজ সরকারের পক্ষে একা সম্ভবপর নয়। তাই প্রয়োজন কিশোর, যুবক, পেশাজীবী ,ব্যবসায়ী এমনকি সবাইকে একযুগে স্ব-উদ্যোগে শামিল হলে হয়তো কিছুটা এড়ানো সম্ভব । বিশেষ করে এসব পথশিশুদের ভালোবাসার পরশ দিয়ে যদি আগলে রাখা যায় তাহলে এই শিশুদের কাছ থেকে জাতি পাবে মহামূল্যবান সম্পদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.