![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিকতার সাথে সাথে বেড়ে চলেছে ভালবাসার বিভিন্ন রুপ-রং। আর এই সুযোগের অপ-ব্যবহার করছে আমাদের সমাজের কিছু ঘৃনিত মানুষ।প্রায়ই দেখা যায় বাংলাদেশের দৈনিক/অনলাইন পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে ভালবাসা/বন্ধুত্বের মত পবিত্র সম্পর্ককে জড়িয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়েদের খারাপ ছবি ও ভিডিও করে তাদের এবং পরিবারকে জিম্মি করা হচ্ছে। এ পর্ন- গ্রাফির শিকার হচ্ছে সাধারনত, কলেজ ও ভার্সিটি পড়ূয়া ছাত্রীরা। নিজেদের ও পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে তারা নীরবে সকল নির্যাতন মানতে থাকে দিনের পর দিন। তার পরও বাঁচাতে পারেনা তাদের সম্মান। এক সময় ছেলেটার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ইন্টারনেটের দৌলতে খারাপ ছবি/ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে মেয়েটার ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়।
অনুসন্ধান করে এমনই একটি সত্য ঘটনা তুলে ধরছি। আমি সাংবাদিকতার পেশায় জড়িত বলে মেয়েটি আমার কাছে সব লজ্জা-স্বরম ভুলে সম্পূর্ন ঘটনা তুলে ধরেছে। আসলেই করুন বিদারক একটি কাহিনী। কতটা ধৈর্য হারালে একটি মেয়ে এমন করতে পারে, নিচে মেয়েটির সম্পূর্ণ বিবৃতি তুলে ধরছি আপনাদের কাছে। (মেয়েটির কিছু গোঁপন ছবিও আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করেছে। ছবিগুলো খুবই আপত্তিকর তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারছিনা) সম্মানের কথাভেবে মেয়েটির নাম ও ঠিকানা গোপন করা হল। ছেলেটির নাম: মিলন পরমান্য, পিতা-লঙ্কেস্বর পরমান্য, গ্রাম-কোড়গ্রাম, ডাকঘর-মুলিয়া, থানা+জেলা-নড়াইল-৫৭০০।
মেয়েটি জানায়, মিলনের সাথে আমার খুলনা ভার্সিটির একটি প্রোগ্রামে পরিচয় হয় গত-২০১৩ ইং সালে। পরিচয় দেয়, সে ঢাকা ভার্সিটিতে ইভেনিংএ এম.বি.এ পড়ছে, আর একটা কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তার কথা শুনে তাকে ভাল মনে হয়, তার পর-থেকে সে আমার সাথে মাঝে-মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং করে। একদিন সে আমার ফোন নাম্বার চাইলে আমি তাকে দিই, আমাদের মাঝে একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝে মিলন খুলনা ভার্সিটিতে এসে আমার দেখা করত। একদিন হঠাৎ করে আমার এক বান্ধবীর বাবা অসুস্থ হয়ে ঢাকার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমার বান্ধবীর সাথে আমি ওনাকে দেখার জন্য ঢাকাতে যাই, মিলনকেও জানাই আমাদের ঢাকা আসার কথা। সকালে সেও আমাদের সাথে হাসপাতালে যায়। রাতের গাড়িতে আমাদের খুলনা ফেরার কথা মিলনকে জানাই, সে বলে ঠিকআছে, এখন আমার বাসায় চল, ওখান থেকে ফ্রেস হয়ে, খেয়ে চলে যেও। আমরা ওর ধানমন্ডি-ভুতের গলির বাসায় যাই, বাসায় কে আছে জানতে চাইলে ও বলে ওর মা আছে। পৌঁছে দেখি ওর মা নেই।
জানতে চাইলে মিলন মেয়েটিকে জানায়, তার মা বোনের বাসায় গিয়েছে, রাত্রে আসবে। আমরা ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে, মিলনকে টাকা দিয়ে আমাদের জন্য বাসের টিকেট নিয়ে আসতে বলি। ও টিকিট নিয়ে এসে বলে, রাতের টিকিট না পাওয়াতে সকালেরটা
নিয়ে এসেছে। আমরা তার কথা বিশ্বাস করি। রাতে ওর মা আর আসে নি। সকালে ঘুমথেকে উঠে আমরা গাড়িতে উঠে খুলনা চলে আসি। তার কিছুদিন পরে মিলন আমাকে ফোনে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে বলে, বিয়ে না করলে তার কাছে আমার কিছু ছবি আছে, ঢাকায় এসে যা ডিলিট করার জন্য বলে। ঢাকায় না এলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দেয় এবং আমার ফেসবুকে ছবিগুলো ম্যাসেজ এ সেন্ট করে। আমি দেখে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কারো সাথে শেয়ারও করতে পারছিলাম না। ছবিগুলো ছিল ওর বাসার বাথরুমে তোলা।
আমি আমার পরিবারের কথা, নিজের লজ্জার কথা চিন্তা করে নিরুপায় হয়ে ঢাকাতে যাই ওর বাসায়। ওকে পা ধরে অনুরোধ করে বলি, ছবিগুলো মুছে ফেলতে। সে বলে ২দিন ওর বাসায় থাকতে হবে, তাহলে মুছে ফেলবে। আর না থাকলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে। আমি ওর কথা বিশ্বাস করে এবং মান-সম্মান এর কথা ভেবে ২দিন ওর শারীরিক সকল নির্যাতন সয়েছি, আর নরক যন্ত্রনা ভোগ করেছি। ২দিন পরে আমার সামনে ওর কম্পিউটার থেকে ছবিগুলো ডিলিট করে, আমি চলে আসি।
আমি সবকিছুই মেনে নিয়েছিলাম আমার অসুস্থ বাবার কথা চিন্তা করে। মনে করেছি হয়ত আমি বেচে গেছি। কিন্তু না, মিলন আবার কিছুদিন পরে ফেসবুকে আমাকে এসএমএস করে জানায়, আমার সাথে তার জরুরি কথা আছে, আমি সাড়া দেইনি। একদিন আরো কিছু ছবি পাঠায় আমাকে, আর ম্যাসেজ লিখে জানায় এগুলো ডিলেট করতে হলে কথা বলতে হবে। এই ছবিগুলো ছিল পরের ২দিনের রাতের তোলা। আমি নিরুপায় হয়ে সেই থেকে এই পর্যন্ত ওর সকল শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন সয়ে আসছি। আমার বাবা একজন হার্টের পেসেন্ট, তাই ওনার কথা চিন্তা করেই সবকিছু নীরবে মেনেচলেছি। মিলন আমাকে সব-সময় হুমকি দিচ্ছে যে, আমি এই বিষয় কাউকে জানালে ওর কাছে আমার যে ভিডিও আর ছবিগুলো আছে ওগুলো ইন্টানেটে ছড়িয়ে দেবে। ওর ভয়ে কাউকে কিছু জানাতেও পারছি না, ওর নির্যাতন সইতেও পারছিনা। নড়াইল জেলা প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম কিন্তু কোন ফল পাইনি। তাই উর্ধ্বতন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন এই জঘন্য ও ঘৃনিত অপরাধী অচিরেই আইনের আওতায় আসে। আর যেন কোন নারীকে এভাবে কলঙ্কিত হতে না হয়।
০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
এবং সাইদি বলেছেন:
অবশ্যই .।কোথায় কোথায় ভূলগুলো হইছে একটু দেখিয়ে দিলে ভালো হত! আমার বুজতে সুবিধে হতো
২| ০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
ফেরেশতা বলছি বলেছেন: এবং সাইদ ভাই
আমি মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাই। আমি কয়েকটা এনজিওর সাথে এসব ব্যাপার নিয়ে কাজ করি। দয়া করে আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করুণ সাইদ ভাই।
আমার ফেসবুক আইডি মোহাম্মাদ ইমরান খান ইমন অথবা আমাকে মেইল করতে পারেন [email protected]
০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
এবং সাইদি বলেছেন: ভাইয়া আমি মেয়েটার সাথে কথা বলে দেখি, যদি দিতে বলে তাহলে আমি তার ডিটেলস দিতে পারবা। আর না হলে আমি দিতে পারবো না।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১১
ফেরেশতা বলছি বলেছেন: ভাইয়া
আপনি আপুটাকে বোলেন কোনো সোমস্বা নাই। আমি গুপনে কাজ করবো। আর আপনি এখানে লেখাতে বেপারটা আর গুপোন থাকল কই। এভাবে যদি সবাই ভয়ে পিছিয়ে পরে তাহলে আমাদের আর সব বোনদের কি হবে? আপু যদি বিচার চায় তবে বলুন আমাদেরকে অনুমতি দিতে। আমরা বিনা খরচে একজন ল ইয়ার দিবো . উনি ল ইয়ারের সাথে যদি মনে করে আইনি ব্যাবস্থা নিবে থান উনি একশন নিবে। আপনি আপনার ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে এদ পাঠান। উখানে বিস্তারিত আলাপ করতেছি।
০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
এবং সাইদি বলেছেন: তা হয়ত ঠিক....!
কিন্তু লেখায় মেয়েটার পরিচয় এইজন্যই গোপন করা হয়েছে..। তা নাহলে এই সুযোগে মেয়েটাকে আরও বিপদে পড়তে হতো!
৪| ০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
ফেরেশতা বলছি বলেছেন: আমি ফেসবুকে এটা নিয়ে লিখতে চাঁই।
০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২২
এবং সাইদি বলেছেন: লিখেন, অন্য বোনদের সতর্ক করেন বার্তাটি ছড়িয়ে দিয়ে
৫| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: লেখক বলেছেন:
অবশ্যই .।কোথায় কোথায় ভূলগুলো হইছে একটু দেখিয়ে দিলে ভালো হত! আমার বুজতে সুবিধে হতো
ধন্যবাদ এবং সাইদি! আপনি একটু খেয়াল করলেই ভুল গুলো দেখতে পেতেন। যা হোক আপনার অবগতির জন্য নিম্মে কিছু ভুলের নমুনা প্রকাশ করলামঃ
১। পর্ন-গ্রাফির হাতে জিম্মি ভালবাসা ও বন্ধুত্ব !
২। আমি সাংবাদিকতার পেশায় জরিত
৩। লজ্জা-স্বরম ভূলে সম্পূর্ন ঘটনা তুলে ধরেছে
৪।নিচে মেয়েটির সম্পূর্ন বিবৃতি তুলে ধরছি
৫। মেয়েটি জানয়, মিলনের সাথে আমার খুলনা ভার্সিটির
৬। মানুষিক নির্যাতন
০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
এবং সাইদি বলেছেন: ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার ফেসবুক আইডিটা একটু পেতে পারি?
আমার ফেসবুক ঠিকানা https://www.facebook.com/100004072651632
৬| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
ফেরেশতা বলছি বলেছেন: আপনি কি আপুটার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ? উনি কি এ থেকে মুকতি চান ????
০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
এবং সাইদি বলেছেন: করছিলাম কিন্তু তিনি আপাতত এ বিষয় থেকে দুরে থাকতে চান...বিষয়টি তার পরিবারের সাথে আলোচনা করেছে মেয়েটি
৭| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০০
এবং সাইদি বলেছেন: আমার ব্লোগের আমি একটি অপশন পরিবর্তন করতে পারতেছিনা, কেউ একটু হেল্প করেন...। সত্যর পথে লড়াই করি! আমার ব্লোগের আমি একটি অপশন পরিবর্তন করতে পারতেছিনা, কেউ একটু হেল্প করেন...। সত্যর পথে লড়াই করি!
আমার এইখানের লেখাটায় একটু বানানে ভুল হইছে, কিভাবে সোধরাতে পারি
৮| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
নতুন বলেছেন: মেয়েটির উচিত ঐ ছেলেটিকে নিমন্ত্রন করে নিয়ে আশা...
তারপরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে....
ছেলেটির মেশিনের ১ইন্চি কেটে নে্য়া...
০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
এবং সাইদি বলেছেন: ভাই/আপু আমি ,(((((((( আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected] ))))))
আমার এইখানটা ইডিট করবো কিভাবে?
৯| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
নতুন বলেছেন: You will find this box প্রোফাইল এডিট করুন.. clik and you can edit your info.
০৩ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
এবং সাইদি বলেছেন: প্রোফাইলে গেলে ঐ লেখাটা কোথাও খুজে পাচ্ছি না, ইডিট প্রোফাইলে গেলেও এটা আসে না
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বোকা মেয়েরাই প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়!
বর্তমা্ন সময়ে এমন বোকামী করার মানে হয়না।
মেয়েদের আরো সতর্ক হতে হবে। আর এই পোস্টের
অভিযুক্ত লম্পটকে যথাসম্ভব সল্প সময়ে গ্রেফতার
করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।
সাংবাদিক ভাই বানানের প্রতি খেয়াল রাখবেন,
কোন রিপোর্ট করার সময় যা অত্যান্ত জরুরী।