নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই বলার নেই...

এবং সাইদি

স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে, দেখাতেও!

এবং সাইদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাডিকশন কিংবা নেশা!

০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২৬


অ্যাডিকশন কিংবা নেশা, যেটাই বলা হোক না কেনো পৃথিবীর সব মানুষই বলতে গেলে কিছু না কিছুতে অ্যাডিক্টেড বা নেশাগ্রস্থ। নেশা বলতে সাধারণত সিগারেট, তামাক এসবকে বুঝানো হয় আমাদের সোসাইটিতে। আসল ব্যাপার কিন্তু তা না। নেশা বলতে বোঝানো হয় কোনো কিছুতে অধিক মাত্রায় ডিপেন্ডেন্ট বা নির্ভরশীল হয়ে পড়াকে।

নেশা কিন্তু বয়সের বাঁধা মানে না। যেমন যদি বলা হয় তাহলে আমি বলবো অনেক ছোট বাচ্চারাই খাওয়ার সময় টিভি না দেখলে খেতে পারে না। কারণ তারা টিভি দেখাতে অ্যাডিক্টেড/নেশাগ্রস্থ। আবার আমার মত কৈশরে যারা আছে তাদের মধ্যে কিছু বন্ধু-বান্ধব/বান্ধবী, হ্যাংআউট, গল্পের বই-মিউজিকে অ্যাডিক্টেড। আর যারা তরুন এবং মঝারি বয়সের তারা বিভিন্ন কিছুতে অ্যাডিক্টেড। যেমনঃ- ডিএসএলআর নামক একধরণের অদ্ভুত ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে, ভ্রমন করতে,প্রেম করতে, খাওয়া-দাওয়া করতে, এসব এ।

এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় নেশা কিন্তু সব ক্ষেত্রে খারাপ না। খারাপ তখনই হবে যখন সেটা ক্ষতিকর। ক্ষতিকর নেশার মধ্যে পড়ে সিগারেট, তামাক, নতুন ধং মারার দ্রব্য হিসেবে পরিচিত সীসা, ইয়াবা এসব। এসব জিনিসের কারণে “নেশা” আর “নেশাগ্রস্থ” দুটোর নাম শুনলেই প্রথমে খারাপ দিকটা মাথায় আসে। কিন্তু সবাইতো একরকম নয় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

বলা বাহুল্য আমিও নেশাগ্রস্ত। এ কথা বললে সবার প্রথমে চায়ের কথা মাথায় আসবে সবার যারা আমাকে চেনে বা আমার সম্পর্কে জানে তারাই আমার সম্পর্কে ভালো জানেন, আমি কিসের উপর নেশাগ্রস্থ। অবশ্যই আমি চায়ের উপর এডিক্টেড এবং তার মাত্রা ভয়াবহ, তীব্র এবং অকল্পনীয়। একদিন চা না খেলে আমার গলায় খুব সূক্ষ একধরণের অসস্তি অনুভব হয়, যা পরবর্তিতে ঘুম নষ্টে রূপান্তরিত হয়। এবং তার মাত্রা অনেক তীব্র। আমি ২০১২ সাল প্রায় থেকে প্রতিনিয়ত চা খাওয়া শুরু করেছিলাম। কারনটা হল তখন বরগুনায় বড় ভাই, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে চা বেশি খাওয়া হতো, আর ঐ থেকেই এডিক্টেড। চা ছিল আমার টিফিন এর বার্গার এর সাথে গলা ভেজানোর জন্য।

২০১৩ এর শেষের দিকে আমি অ্যাডিক্টেড হতে শুরু করি। ২০১৪ এর প্রথম দিকে আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। যার ফলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ কাপ আর সপ্তাহে ৭০ কাপ মাসে ৩০০ কাপ খেয়ে থাকি (এটা একদম নিম্ন, ঠিকমত হিসেব করলে এর থেকে দিগুন বেশি হবে)। আমি নিজেও জানি এটা কতটা খারাপ আমার জন্য তবে এটা না খেলে আমার জন্য খুব খারাপ হয়। তবে বর্তমানে কম খাওয়ার জন্য চেষ্টায় আছি।

চা নিয়ে আমাকে প্রায় প্রতিদিন লেকচার শুন্তে হয়। “চা খাওয়া ছাড়ো” “বেশি চা খেলে উপকারের পাশা-পাশি ক্ষতিও আছে অনেক” এসব। তাদেরকে কখনও বলার সুযোগ হয় নাই যে আমি এর আগেও অনেক কিছুতে অ্যাডিক্টেড ছিলাম। ৭ বছর বয়স থেকে আমি প্রায় প্রতিদিন বিকেলে “টাইগার” নামক এক্টা এনার্জি ড্রিংক খেতাম। এটার শুরু হয়েছিল আমার চাচাত ভাইএর কাছ থেকে এক ঢোক খাওয়ার পর। আমাকে আমার চাচাতো ভাই বলেছিল এটা খেলে নাকি মাথা ঘুরাবে। আমি অনেকটা চ্যালেঞ্জের মত ওকে বলেছিলাম যে আমার মাথা যদি না ঘুরায় তাহলে আমাকে চক্লেট কিনে দিবে। সেদিন এক ঢোক খেয়ে আমার মাথা না ঘুরানোর কারনে আমি চক্লেট পেয়েছিলাম আর তার সাথে পেয়েছিলাম প্রথম কোনো খাদ্যদ্রব্যের প্রতি নেশা। উল্লেখ্য আমার বয়স তখন ৭ ছিল আর আমার চাচাত ভাইএর ও সেইম। যাই হোক সেই থেকে প্রায় প্রতিদিন বিকালে আমি একটা টাইগার আর একটা ভেজিটেবল রোল খেতাম। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে একটা ৭ বছরের বাচ্চা এনার্জি ড্রিংক খেত প্রতিদিন। যখন আমার বয়স সাড়ে ৮ কিংবা ৯ হবে তখন স্পিড খাওয়া স্টার্ট করেছিলাম। টাইগার আর ভালো লাগতো না। বাসার থেকে অনেক বকাবকি করা হত যেন আমি না খাই।কিন্তু আমার জিদ আর যা বল্বো তাই হতে হবে এমন মনোভাবের জন্য আব্বু আর আম্মু ও বাধ্য হত কিনে এনে দিতে। এরপর আস্তে আস্তে নিজে থেকেই এনার্জি ড্রিংক খাওয়া বাদ দিয়েছিলাম যখন পেপার এ দেখেছিলাম একটা ক্যানে ৮-১০% অ্যালকোহল থাকে। এরপর আমি খাওয়া শুরু করলাম চকবার আইস্ক্রীম। প্রতিটা দিন ঠিক বিকেল ৫ টায় আমার আইস্ক্রীম চাই ই চাই। প্রতিটা দিন। ৩০০ এর বেশি আইস্ক্রীম স্টিক জমিয়েছিলাম আমি। আইস্ক্রীম খাওয়া থামিয়ে দিয়েছিলাম হঠাৎ করেই। ইচ্ছার উপর নির্ভর করতো। আর এভাবেই বর্তমানে আমি চায়ের উপর অ্যাডিক্টেড। তবে একটা অজানা কথা আছে, যেটা অনেকেই জানে না, সেটা হল আমি কিন্তু প্রচুর বার্গার খাই।

এখন আমাকে যদি কেউ এসে বলে তুমি চাইলেই তো চা খাওয়া ছাড়তে পারো, ছাড়ো না কেনো, আসল কথাটা হল, চা না খেলে যে আমার গলাটা অনেক চুলকায়, সেটা কে বুঝবে? চা আমাকে অনেকটা ভালো রাখে। অনেক বেশি। তাই আমি ছাড়তে চাই না এই জিনিসটা। চায়ের অনেক প্রয়োজন আছে আমার লাইফে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

সুমন কর বলেছেন: চা খাওয়া খারাপ নয়। বরং পরিমাণ মতো খেলে ভালোই লাগে।

০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

এবং সাইদি বলেছেন: ভাইয়া কিন্তু আমার যে চা পান করি ঐগুলো ক্ষতিকর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.