![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের হাওয়া (আঃ) এর কথা মনে আছে কী ? যিনি ছিলেন আমাদের মানবজাতির প্রথম মা? যারা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর তারা উনাকে “ইভ" নামে চিনেন। যেই নামেই চেনা হোক না কেনো তাঁর কথা মনে থাকলেই হবে। তাহলে মূল বিষয়ে আসা যাবে। আদি পিতা আদম (আঃ) যদি আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে একা পাঠাতেন তাহলে আপনি কিংবা আমি এই পৃথিবী তো দূরের কথা মহাবিশ্বেও থাকতাম না। কখনও কি আমরা ভেবে দেখেছি আমাদের জীবনের অস্তিত্ব কোথা থেকে এসেছে? একজন নারী আর একজন পুরুষের উছিলাতেই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন পর্যন্ত যত মানুষ জন্মেছে সেখানে নারীর অবদান কিন্তু অনেক বেশি, একজন পুরুষের তুলনায়। কিন্তু এই অবদান টাকে আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই একজন নারীর কত ভাবে আমাদের সাহায্য করে। মা যদি না থাকতো তাহলে আপনার আমার খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে এত সুন্দর একটা জীবন থাকতো না। যারা মা থেকে অনেক দূরে থাকেন তাদের বাসার যে কাজের খালাটা থাকে তিনিও একজন নারী। তিনিও কিন্তু অনেক কাজই করে দেন যেনো আমরা ভাল থাকি। যাদের ছোট বোন আছে তারা নিশ্চয় জানেন বোনরা ভাইপ্রীতি খুব বেশিই হয়, ভয় ও পায় তার বড় ভাইটাকে। কিন্তু এতকিছুর পর ও সে নিজের খাবার বা প্রিয় জিনিস থেকে অল্প কিছু হলেও রেখে দেয় ভাইয়ের জন্য। কোনো কিছু অর্জন করলে তা ভাইকেই দেখাতে নিয়ে আসে। আর বড় বোন যাদের আছে তারা তো জানেনই একজন বড় বোনের অদর। ছোট ভাইটাকে আগলে রাখা থেকে শুরু করে মা এর পাশাপাশি সেও অনেক কষ্ট করে তার ভাইটার জন্য যত যাই হোক একজন পুরুষ কিন্তু সবসময় অপূর্ণ থাকবে যদি তার কোনো নিজস্ব পরিবার না থাকে। কিন্তু একজন নারীকে বিয়ে না করলে সে কখনই একটা পরিবার পাবে না। স্ত্রী হোক বা মা কিংবা বোন, সব ক্ষেত্রে একজন নারী সবসময় একজন পুরুষের ভালো থাকার পিছনে অবদান রাখে। এই অবদানটুকু যখন আমরা অস্বীকার করতে যাই এবং পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করি, তখনই কিন্তু প্রমান হয়ে যায় একজন মানুষ কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে। কতটা নীচ হতে পারে তাদের মনোভাব।
রাস্তায় যখন আমার কিংবা আপনার বোন হেঁটে যাবে তাকে কি আমরা কুৎসিত কথা আদৌ বলতে পারবো? আপনি পারবেন আপনার বোনকে সেসব কথা বলতে যা আপনি হয়তো কখনও ভুল করে কিংবা মজা করে আরেকজনের বোনকে বলেছিলেন? আপনার বোনের সাথে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে তবে আপনি কি চোখ বুজে সহ্য করে নিবেন? যদি এটা বলে থাকেন যে আপনার বোন নাই তাহলে নিজের কোনো প্রিয় বান্ধবী বা যাকে আপনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তার দিকটা ভাবুন। কখনই আপনি পারবেন না নিজের সাথে সংযুক্ত কারো সাথে সেরকম আচরন করতে। একটা মেয়ের তখন কেমন লাগে সেটা আপনিও জানবেন না আমিও না। কারন আমরা তো আর তার ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিনা।
ইভটিজিং এর মাত্রা বিগত কয়েক বছরে হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কারণ হল পার্শ্ববর্তি দেশের প্রভাব আর সেই সাথে আমাদের অসাবধানতা এবং সাধারন কমনসেন্স কে ভুলে যাওয়া এসবের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু পরবর্তিতে আমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছি তখনই এর মাত্রা কমেছে। একজন পুরুষ যদি একজন নারীর বিরুদ্ধে ঘটা অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে তাহলে সেই প্রতিবাদ কখনই এই পুরুষ শাসিত সমাজে সেটা গ্রহনযোগ্য হবেনা। বেশিরভাগ সময়ই বলা হয়ে থাকে এক হাতে তালি বাজে না অর্থাৎ একজন মেয়ের সাথে যখন খারাপ কিছু ঘটে এতে নাকি তারও দোষ থাকে। কিন্তু যখন কোনো দোষই থাকেনা তখন কাকে দোষ দিবো আমরা? দোষ দিব কি এই বলে যে মেরেটি কেন রাস্তায় বের হয়েছিল? নাকি সে মেয়ে হিসেবে জন্মেছে দেখেই এত সমস্যা? তাহলে মনে করিয়ে দিতে চাই আল্লাহ তায়ালা যখন খুশি হন কারো উপর তখন মেয়ে সন্তান দেন। মেয়েদের অবস্থান তাহলে কতটা উঁচুতে সেটা কি আমরা ভেবেছি?
মাঝে মাঝে আমরা ২টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাই। নারীবাদি আর পুরুষবাদি। আক্ষরিক অর্থে যাই হোক না কেনো সেটার পুরোপুরি কোনো মিনিং নাই। একজন নারী যেমন একজন পুরুষের জায়গা নিতে পারবেনা, তেমনি একজন পুরুষও একজন নারীর জায়গা নিতে পারবেনা। এটা মেনে নিয়ে উভয় পক্ষকেই সম্মান করতে হবে। তাহলেই একসাথে এগিয়ী চলা সম্ভব। বেগম রোকেয়ার কথাও যদি বলা হয় তিনি কিন্তু তাঁর ভাই এবং হাসব্যান্ড এর সমর্থনের কারনেই এত দূর যেতে পেরেছিলেন। তেমনি যেসব পুরুষরা মহাপুরুষ হতে পেরেছেন তাঁদের পিছনেও কিন্তু নারীর অবদান আছে বলেই। সেটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবেনা। একজন নারীরে অসম্মান করার আগে একবার অন্তত ভাবা উচিত যে একজন নারী কখনই একজন পুরুষকে অসম্মান করে না যেভাবে একজন পুরুষ করছে বর্তমানে।
আমাদের দেশ আর সমাজ ব্যবস্থা অনেক ভাল আর অনেক বেশি অপরকে সাহায্য করে না। আমরা এখনও একজন অচেনা মানুষ পড়ে গেলে হাত বাড়িয়ে দি। কারণ তিনিও মানুষ। এই হাত বাড়ানোটুকু যদি আমরা একজন নারীর সাথে ঘটা অন্যায়গুলোকে প্রতিবাদ করার জন্য ব্যবহার করি এবং তার পাশে দাড়াই কারন একজন নারীও একজন মানুষ।এতে আমরা অনেকটা রুখতে পারবো এসব অন্যায়। নিজের দেশটাকে নিয়ে যেতে পারবো অনেক দূর। কাউকে বা কিছুকে দোষারোপ করে নয়, নিজে কিভাবে সমাধান করতে পারি আর নিজের জায়গা থেকে কতটুকু করতে পারি সেটাই বড় কথা। ইন শা আল্লাহ একদিন আমরাই গর্ব করে বলতে পারবো আমদের দেশ এ নারী পুরুষ উভয়ই নির্ভীগ্নভাবে চলাচল করতে পারে এবং একে অপরকে সম্মান করে।
১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
এবং সাইদি বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
সাহসী শুভংকর বলেছেন: অনেক সুন্দর ।
১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
এবং সাইদি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
সুনয়না্ বলেছেন: অসাধারন। খুব ভালো লেগেছে।